১৯৬৯ সনের

শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ

[The Industrial Relations Ordinance, 1969]

[১৯৬৯ সনের ২৩ নং অধ্যাদেশ]

[১৩ই নভেম্বর, ১৯৬৯ইং]

 

    ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ এবং উভয় পক্ষের মধ্যে কোন মতানৈক্য বা বিরোধের উত্‍পত্তি, নিবারণ ও নিষ্পত্তিকরণ সংক্রান্ত আইনসমূহের সংশোধন ও সমন্বয় সাধনের উদ্দেশ্যে প্রণীত অধ্যাদেশ।

যেহেতু ট্রেড ইউনিয়নসমূহ গঠন সংক্রান্ত আইন সংশোধন ও একত্রিত করা, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের মধ্যে সৃষ্ট কোন বিভেদ, বিরোধ অথবা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সহায়ক বিষয়সমূহ পরিহার এবং মীমাংসা করা সমীচীন;

এবং যেহেতু জাতীয় স্বার্থে সমরূপতা সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় আইনের প্রয়োজন রয়েছে;

অতএব, এক্ষণে ১৯৬৯ সনের ২৫শে মার্চের ঘোষণা ও ১৯৬৯ সনের অন্তর্বতীকালীণ সংবিধান আদেশ অনুযায়ী এবং সে সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে সক্ষমকারী যাবতীয় ক্ষমতাবলে, রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করছেন:

 

প্রারম্ভিক বিষয়

Preliminary

 

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা, প্রয়োগ ও প্রবর্তন (Short title, extent, application and commencement) : (১) এ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ সনের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ নামে অভিহিত হবে।

(২) এটি সমগ্র [বাংলাদেশে] প্রযোজ্য।

(৩) পুলিশ বাহিনীতে বা [বাংলাদেশের] প্রতিরক্ষা বাহিনীর কোনটিতে বা [সরকারী] কর্তৃক পরিচালিত সমরাস্ত্র কারখানাসহ [বাংলাদেশ] সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট বা আনুষঙ্গিক কোন সার্ভিসে বা সংস্থায় নিযুক্ত যেকোন ব্যক্তির উপর অথবা রেলওয়ে, ডাক, টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বিভাগসমূহ কর্তৃক শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে (administration of the State) নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে [অথবা সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন বাংলাদেশ লিঃ এ নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির উপর] এটি প্রযোজ্য হবে না।

 

১. ১৯৪৮ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ এবং ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [পাকিস্তান] শব্দের পরিবর্তে [বাংলাদেশ] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৪৮ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ এবং ১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ দ্বারা [কেন্দ্রীয় সরকার] শব্দটির পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা [অথবা সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন বাংলাদেশ লিঃ এ নিযুক্ত কোন ব্যক্তির উপর] শব্দাবলী সংযোজিত।

 

৪. এটি অবিলম্বে বলবত্‍ হবে।

 

২। সংজ্ঞাসমূহ (Definitions) : বিষয় বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কিছু না থাকলে এ অধ্যাদেশ-

(i) সালিশ (Arbitrator) বলতে এ অধ্যাদেশ মোতাবেক অনুরূপ নিযুক্ত ব্যক্তিকে বুঝাবে;

(ii) রোয়েদাদ (Award) বলতে কোন শিল্প বিরোধ বা এ সম্পর্কিত কোন বিষয়ে শ্রম আদালত, সালিশ অথবা শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে বুঝাবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন রোয়েদাদও এর অন্তর্ভুক্ত হবে;

[(iii)     *        *        *        * ]

[(iv)    *        *        *        * ]

(v)  কোন প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের ক্ষেত্রে যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি (Collective bargaining agent) বলতে যৌথ দর-কষাকষির ব্যাপারে ২২ ধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে, অথবা ক্ষেত্র অনুসারে, সংশ্লিষ্ট শিল্পে, শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বুঝাব

(vi)  মধ্যস্থতা কার্যক্রম (conciliation proceedings)  বলতে মধ্যস্থ এর সমীপে উপস্থাপিত যেকোন কার্যক্রম বুঝাবে;

(vii) মধ্যস্থ (Conciliator) বলতে ২৭ ধারা মোতাবেক অনুরূপ নিযুক্ত ব্যক্তি বুঝাবে;

২[ শ্রম পরিচালক (Director of Labor) বলতে বুঝাবে সরকার কর্তৃক অনুরূপ নিযুক্ত ব্যক্তি;]

(viii) কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিষয়ে মালিক (Employer) বলতে চাকরির চুক্তি মোতাবেক ঐ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের নিয়োগ করে থাকে, এমন কোন ব্যক্তি অথবা ব্যক্তি-সমষ্টি, সমিতিবদ্ধ হোক বা না হোক, কে বুঝাবে এবং এর অন্তভুক্ত হবে:

(ক) উপরোক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টির, ক্ষেত্র অনুসারে বা প্রযোজ্য, উত্তরাধিকারী ওয়ারিশ (Successor) অথবা স্বত্বনিয়োগী (assign) ;

(খ) প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারক এবং নিয়ন্ত্রণের  জন্য দায়ী যেকোন ব্যক্তি;

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্কে (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (iii) (iv) নং অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত

২. ১৯৮০ সনের শিশু সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৮০ সনের ২৯ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (vii-A) অনুচ্ছেদটি সংযোজিত।

 

১[(গ) সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত অথবা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রাধিকার মোতাবেক কোন প্রতিষ্ঠানের বেলায়, এ উদ্দেশ্যে নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ অথবা যেক্ষেত্রে কোন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা হয়নি, সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বা বিভাগীয় প্রধান;]

ঘ) কোন স্থানীয় সংস্থা কর্তৃক অথবা এর পক্ষে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বেলায়, এ উদ্দেশ্যে নিযুক্ত কর্মকর্তা, অথবা অনুরূপ কোন কর্মকর্তা নিযুক্ত না থাকলে উক্ত কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা;

 

বিশেষ বিধান : [সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের] অথবা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর মধ্যে যারা শ্রমিক বা শ্রমজীবি (Worker or workmen) শ্রেণী কর্তৃক পার্থক্য  টানার উদ্দেশ্যে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অথবা কোন স্থানীয় কতৃপক্ষের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর মধ্যে প্রজ্ঞাপিত ব্যক্তিবর্গ যারা উচ্চ পর্যায়ের ম্যানেজারিয়াল, সেক্রেটারিয়াল, ডাইরেকশনাল, সুপারভাইজরী অথবা এজেন্সী স্টাফ-এর পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিগর্ব মালিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে;

ঙ) অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেলায় অনুরূপ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী  (Proprietor) এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক পরিচালক (Director), ব্যবস্থাপক (Manager), সচিব (Secretary), প্রতিনিধি (Agent) অথবা অন্য কর্মকর্তা বা ব্যক্তি এবং ৩[কোন ব্যাংকিং কোম্পানীর বেলায় ব্যাপক আমমোক্তারনামা (general power of attorney) প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি অথবা সংশ্লিষ্ট (negotiable instrument) বা অবমুক্ত (Discharge) করার কর্তৃত্ব  রয়েছে এমন যেকোন ব্যক্তি;]

৪[(ix) প্রতিষ্ঠান (Establishment) অর্থ হচ্ছে যেকোন অফিস, ফাম, শিশু ইউনিট, পরিবহন, আন্ডারটেকিং, দোকান অথবা ভবন যেখানে কোন শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়;

শর্ত হচ্ছে, একটি পরিবহন কমিটি এলাকায় (Region of transport committee) পরিচালিত প্রতিটি শ্রেণীর পরিবহন যান যথা "ট্রাক/ ট্যাংক লরী", "বাস/মিনিবাস", "ট্যাক্সি" এবং "বেবী ট্যাক্সি/টেম্পো" অনুরূপ পরিবহন যানে নিযুক্ত শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রিকরণের উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে।]

(x) নির্বাহী (Executive) অর্থ হচ্ছে যে নামেই পরিচিত হোক না কেন, ট্রেড ইউনিয়ন সংবিধান মোতাবেক যে কমিটির উপর যে ট্রেড ইউনিয়নের কাজ পরিচালনা কর্তৃত্ব অর্পিত হয়েছে;

(xi) বেআইনী লক-আউট (Illegal lock out) বলতে বুঝাবে এ অধ্যাদেশের বিধান বহির্ভূত উপায়ে যে ধর্মঘট লক-আউট ঘোষিত হয়েছে, শুরু হয়েছে অথবা চাপিয়ে যাওয়া হচ্ছে;

(xii) বেআইনী ধর্মঘট (Illegal Strike) বলতে বুঝাবে এ অধ্যাদেশের বহির্ভুত উপায়ে যে ধর্মঘট ঘোষিত হয়েছে, শুরু হয়েছে অথবা চাপিয়ে যাওয়া হচ্ছে;

(xiii) শিল্প বিরোধ (Industrial dispute) বলতে কোন ব্যক্তির চাকরি অথবা কর্মহীনতা (Employment and non employment) অথবা শ্রমিকে শ্রমিকে কোন বিরোধ বা মতপার্থক্যকে বুঝাবে;

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্কে (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (গ) অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্কে (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (কেন্দ্রীয় সরকার বা প্রাদেশিক সরকারের বিভাগ] শব্দাবলীর পরিবর্তে [সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত]

৩. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্কে (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা বন্ধনীর ভিতরের শব্দাবলী সংযোজিত।

৪. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্কে (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা সংশোধিত এবং ১৯৯৩ সনের ২২ আইন দ্বারা (ix) নং অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত।

 

(xiv) শিল্প (Industry) অর্থ হচ্ছে যে কোন ব্যবসায়, বাণিজ্য, উত্‍পাদনী কাজ, জীবিকা, সার্ভিস, চাকরি বা পেশা;

(xv) শ্রম আদালত (Labour Court) বলতে বুঝাবে ৩৫ ধারা মোতাবেক প্রতিনিধি শ্রম আদালত;

১. ১৯৮০ সনের শিশু সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা

খন্ড : ৩ শিল্প বিরোধ ও ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কিত (xiv) নং অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত।

(xvi) লক আউট (Lock out) বলতে মালিক কর্তৃক কোন কর্মস্থল বা এরকম স্থানের কোন অংশ বন্ধ করে দেয়া, অথবা সামগ্রিকভাবে কাজ স্থগিত রাখা, অথবা কোন শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে  জড়িত হওয়ার ফলে মালিক কর্তৃক অনুরূপভাবে সাময়িক বা পুরোপুরি বন্ধকৃত প্রতিষ্ঠানে সামগ্রিকভাবে বা শর্তাধীনে নিয়োজিত যেকোন সংখ্যক শ্রমিককে কাজ দিতে অস্বীকার করা, অথবা চাকরির সঙ্গে জড়িত কোন শর্তাবলী মেনে নেয়ার জন্য শ্রমিকদের বাধা করার উদ্দেশ্যে, মালিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠান বন্ধকরণ, কাজ স্থগিতকরণ অথবা কাজ দিতে অস্বীকৃতি;

(xvii) সংগঠন (Organisation) অর্থ হচ্ছে শ্রমিক বা মালিকদের স্বার্থ উন্নয়ন এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য শ্রমিক অথবা মালিকদের সংগঠন;

(xviii) ন ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে কর্মকর্তা (Officer) বলতে বুঝাবে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী পর্ষদের যেকোন সদস্য, কিন্তু এর মধ্যে হিসাব নিরীক্ষক (auditor) অথবা আইন উপদেষ্টা (Legal advisor) অন্তর্ভুক্ত হবে না;

(xix) নির্ধারিত বলতে (prescribed) বুঝাবে বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত;

(xx) জনহিতকর সার্ভিস (public utility service) বলতে বুঝাবে তফসিলে বিনির্দিষ্ট সার্ভিসমূহের যেকোনটি;

(xxi) নিবন্ধিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন (registered trade union) বলতে বুঝাবে এ অধ্যাদেশ মোতাবেক নিবন্ধিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন;

(xxii) রেজিষ্ট্রার (Registrar) মানে ১২ ধারা মোতাবেক নিযুক্ত ট্রেড ইউনিয়নসমূহের রেজিষ্ট্রার বা নিবন্ধক;

(xxiii) বিধি (rule) বলতে বুঝাবে ৬৬ ধারা মোতাবেক প্রণীত বিধি;

(xxiv) নিষ্পত্তি (Settlement) বলতে বুঝাবে মধ্যস্থতা কার্যক্রমের মাধ্যমে উপনীত নিষ্পত্তি এবং মধ্যস্থতা কার্যক্রম ছাড়াও অন্য কোনভাবে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যকার যেকোন চুক্তি এর অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে, যদি সে চুক্তি লিখিত হয়ে থাকে, নির্ধারিত প্রণালী মোতাবেক উভয় পক্ষ সে চুক্ত স্বাক্ষর করে থাকেন এবং এর অনুলিপি [সরকার] মধ্যস্থ এবং নির্ধারিতব্য ব্যক্তির কাছে প্রেরিত হয়ে থাকে;

[(xxiv-A)] রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প কারখানা (State-owned manufacturing industry) মানে সরকারী মালিকানাধীন অথবা রাষ্ট্রায়ত্ত অথবা যেকোন আইনবলে বা আইন মোতাবেক সরকার কর্তৃক গৃহীত কোন শিল্প কারখানা;

(xxv) ধর্মঘট (strike) মানে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কোন দল কর্তৃক সংঘবদ্ধভাবে সংঘটিত কোন কর্মবিরতি অথবা কাজ করতে সংঘবদ্ধভাবে অস্বীকার করা, অথবা কাজ করার উদ্দেশ্যে চাকরিতে নিযুক্ত আছেন বা নিয়োজিত হয়েছেন এমন যেকোন সংখ্যক ব্যক্তির সাধারণ ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ চালিয়ে যেতে অথবা কাজ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি;

(xxvi) ট্রেড ইউনিয়ন (trade union) বলতে প্রধানতঃ শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকদের অথবা শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের অথবা মালিকের সঙ্গে মালিকের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে অথবা কোন বাণিজ্য কিংবা ব্যবসায় পরিচালনার উপর নিয়ন্ত্রণমূলক শর্ত আরোপের জন্য গঠিত শ্রমিকদের অথবা মালিকের কোন সংঘ, এবং দুই বা ততোধিক ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ফেডারেশনও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা [(xxvi-A)] অনুচ্ছেদটি সংযোজিত।

 

[(xxvi-A)] ''পরিবহন (transport vehicles) মানে ১৯৮৩ সনের মোটরযান অধ্যাদেশ (১৯৮৩ সনের ৫৪ নং অধ্যাদেশ)-এর ২ ধারার ৫৭ অনুচ্ছেদের মত একই অর্থ বহন করবে।

(xxvi-A) ''পরিবহন কমিটি'' (Transport Committee) মানে ১৯৮৩ সনের মোটরযান অধ্যাদেশের ৫৪ ধারা মোতাবেক গঠিত পরিবহন কমিটি।

(xxvii) ট্রাইব্যুনাল (tribunal) মানে এ অধ্যাদেশের ৩৮ ধারা মোতাবেক গঠিত শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল;

[xxviii) শ্রমিক ও শ্রমজীবী (worker and workman) বলতে বুঝাবে মালিকের সংজ্ঞায় পড়ে না এমন যেকোন ব্যক্তি, নিয়োগের শর্ত ব্যক্তই হোক বা অব্যক্তই হোক, শিক্ষানবিস হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তিসহ কোন প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের চাকরিতে নিযুক্ত আছেন এবং সে নিযুক্তি মজুরী বা পারিতোষিকের ভিত্তিতে সরাসরিভাবে বা কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে কোন দক্ষ, অদক্ষ কায়িক, কারিগরি বা করণিক কাজ করার জন্য নিযুক্ত ব্যক্তি, উক্ত নিযুক্তি যেভাবে হোক না কেন এবং কোন শিল্প বিরোধের প্রশ্নে এ অধ্যাদেশের অধীনে কার্যক্রম শুরু করার বেলায় সে সকল ব্যক্তি এ সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন যাদের শান্তিমূলকভাবে বরখাস্ত, কর্মচ্যুত, ছাঁটাই অথবা লে-অফ করা হয়েছে, অথবা উক্ত বিরোধের উত্পত্তি হয়েছে, কিন্তু নিম্নোক্ত ব্যক্তি এর অন্তর্ভুক্ত হবে নাঃ

(ক) কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড বা সিকিউরিটি ষ্টাফ হিসেবে বা কনফিডেনসিয়াল এসিষ্ট্যান্ট ও সাইফার এসিষ্ট্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি;

(খ) ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়ুক্ত ব্যক্তি;

(গ) তদারকি কর্তৃত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি যিনি পদাধিকার বলে বা তার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক ধরনের কাজ করে থাকেন।

ব্যতিক্রম : উপ-অনুচ্ছেদের (ক)-এ কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও কোন প্রতিষ্ঠানের প্রহরী, (watch and ward) বা নিরাপত্তা কর্মী (security staff) বা আপ্ত সহকারী (confidential assistant) বা গুপ্ত সহকারী (cypher assistant) হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি অনুরূপ গ্রেড বা পর্যায়ের অপর শ্রমিক বা শ্রমজীবীর সমান যাবতীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।]

 

১. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২নং আইন) দ্বারা [(xxvi-A)] [(xxvi-AA)]  অনুচ্ছেদ দু'টি সংযোজিত।

২. ১৯৮০ সনের সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৮০ সনের ২৯ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (xxviii) নং অনুচ্ছেদ সংযোজিত।

 

৩। ট্রেড ইউনিয়ন ও সমিতি গঠনের স্বাধীনতা (trade unions and freedom of association): এ অধ্যাদেশের বর্ণিত বিধান সাপেক্ষঃ

(ক) ভেদাভেদ নির্বিশেষে কোনরূপ পূর্ব অনুমিত ছাড়াই কেবল সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিধিমালা সাপেক্ষ নিজেদের পছন্দমত সমিতি গঠনের এবং সমিতিতে যোগদানের অধিকার সকল শ্রেণীর শ্রমিকদের আছে;

(খ) ভেদাভেদ নির্বিশেষে কোনরূপ পূর্ব অনুমতি ছাড়াই কেবল সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিধিমালা সাপেক্ষ নিজেদের পছন্দমত সমিতি গঠনের এবং সমিতিতে এবং সমিতিতে যোগদানের অধিকার সকল শ্রেণীর মালিকদের আছে;

(গ) ট্রেড ইউনিয়নসমূহের এবং মালিকদের সমিতিসমূহের নিজস্ব সংবিধান ও বিধিমালা প্রণয়নের, সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিনিধিদের নির্বাচনের, সমিতি প্রশাসন ও কর্মতত্পরতা, সংগঠনের এবং কর্মসূচী প্রণয়নের অধিকার থাকবে;

(ঘ) শ্রমিকদের ও মালিকদের সমিতিসমূহের ফেডারেশন বা কনফেডারেশন এবং অনুরূপ যেকোন সংগঠনের ও তাতে যোগদানের অধিকার থাকবে এবং অনুরূপ ফেডারেশন ও কনফেডাশনসমূহের মালিক বা শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও কনফেডারেশনের সাথে সমিতিভুক্ত হওয়ার অধিকার থাকবে।

৪। দেশের আইনের প্রতি আনুগত্যঃ অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মত শ্রমিক ও মালিকদের এবং তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানসমূহকে ৩ ধারায় উল্লিখিত বিধানসমূহের অধীনে অধিকার প্রয়োগের বেলায় দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে।

৫। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন (Application for registration): যেকোন ট্রেড ইউনিয়ন-এর সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত দরখাস্ত পেশ করে এ অধ্যাদেশ অনুসারে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রি করার জন্য আবেদন করতে পারে।

৬। আবেদনপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাদি (Requirements for application): ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রিকরণের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নবর্ণিত জিনিসগুলো থাকতে হবেঃ

(ক) নিম্নোক্তগুলো দেখিয়ে একটি বিবরণীঃ

(i) ট্রেড ইউনিয়নের নাম এবং প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা;

(ii) ইউনিয়ন গঠনের তারিখ;

(iii) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের নাম, পদবী, বয়স, ঠিকানা ও পেশা;

(iv) চাঁদা পরিশোধকৃত সদস্যদের মোট সংখ্যা;

(v) ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশনের বেলায় সদস্য- ইউনিয়নসমূহের নাম, ঠিকানা ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর;

(vi) পরিবহন যানের শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে পরিবহন যানের মোট সংখ্যা, এগুলোর মালিকদের নাম ও ঠিকানা, যানসমূহের রুট পারমিট নম্বর এবং অনুরূপ যানে শ্রমিকদের সংখ্যা।]

(খ) ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র তিন কপি, এসঙ্গে সদস্যগণ কর্তৃক গঠনতন্ত্র পাস করার সময় সভার সভাপতির স্বাক্ষর সম্বলিত গৃহীত প্রস্তাব তিন কপি;

(গ) ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার জন্য সভাপতি ও সম্পাদককে দায়িত্ব প্রদান করে ইউনিয়নের সদস্যগণ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবের একটি কপি; এবং

(ঘ) ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশনের বেলায় সদস্য ইউনিয়নসমূহ কর্তৃক উক্ত ফেডারেশনের সদস্য হতে সম্মত এ মর্মে গৃহীত প্রস্তাবসমূহের প্রত্যেকটির একটি কপি।

৭। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাদি (Requirement of registration) ২[(১) সংবিধানের নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের বিধান না থাকলে কোন ট্রেড ইউনিয়ন ও অধ্যাদেশ মোতাবেক রেজিষ্ট্রেশন পাওয়ার যোগ্য হবে নাঃ

(ক) ট্রেড ইউনিয়নের নাম ও ঠিকানা;

(খ) যে উদ্দেশ্যে ট্রেড ইউনিয়নটি গঠিত হয়েছে;

[(গ) কোন শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার নিয়মে উল্লেখ থাকতে হবে যে, সংবিধানে নির্ধারিত ফরমে আবেদন না করলে সদস্য পদ দেয়া হবে না এবং তিনি অন্য ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য নন এ মর্মে তাকে ঘোষণা দিতে হবে];

[(গগ) ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের উত্স এবং যে উদ্দেশ্যে সে তহবিল ব্যবহৃত হবে];

(ঘ) [****]

 

১. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা (vi) নং উপ-অনুচ্ছেদ সংযোজিত।

২. ১৯৭০ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশের মাধ্যমে ও (১) উপধারা হিসেবে পুনঃ সংখ্যায়িত এবং (গ) ও (গগ) অনুচ্ছেদসমূহ যুক্ত।

৩. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ৩৯ নং আইন) দ্বারা মূল (ঘ) অনুচ্ছেদটি অবলুপ্ত।

(ঙ) কি অবস্থায় কোন সদস্য ট্রেড ইউনিয়নের সংবিধানে নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন এবং কি অবস্থায় তার উপর জরিমানা অথবা বাজেয়াফতি আরোপিত হতে পারে;

(চ) ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের একটি তালিকা সংরক্ষণ এবং ইউনিয়নের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সদস্যগণ যাতে সেটি পরিদর্শন করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা;

(ছ) সংবিধান সংশোধন, রদবদল বা বাতিল করার পদ্ধতি;

(জ) ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের নিরাপদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা, আয়-ব্যয়ের বার্ষিক অডিট করার পদ্ধতি এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সদস্যগণ কর্তৃক হিসাবের খাতা পরিদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা;

(ঝ) ট্রেড ইউনিয়ন বিলুপ্ত করার পদ্ধতি;

[(ঞ) ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সভায় কর্মকর্তাদের নির্বাচনের পদ্ধতি নির্বাচিত বা পুনঃ নির্বাচিত হলে কোন কর্মকর্তা অনধিক দুই বছরের জন্য উক্ত পদে বহাল থাকবেন];

[(ট) ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তার উপর অনাস্থা প্রকাশের পদ্ধতি; এবং

[(ঠ) ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের এবং সাধারণ সভার বৈঠক অনুষ্ঠানের নিয়ম, নির্বাহী পরিষদের বৈঠক প্রতি তিন মাস অন্তর একবার এবং সাধারণ সভার অধিবেশন প্রতি এক বছরে অন্ততঃ একবার হতে হবে।]

[(২) যে প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্রেড ইউনিয়নটি গঠিত সেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মোট শ্রমিকের শতকরা তিরিশ ভাগ সদস্যভূক্ত না হলে শ্রমিকদের কোন ট্রেড ইউনিয়ন এ অধ্যাদেশ মোতাবেক রেজিষ্ট্রেশন পাওয়ার অধিকারী হবে না।]

[শর্ত হচ্ছে, একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান (establishment), যেগুলো একই শিল্প (industry) পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্পর্কিত এবং পরস্পর যুক্ত, সেগুলো তাদের অবস্থান নির্বিশেষে এ উপধারার উদ্দেশ্যে একই প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবেঃ

আরো শর্ত হচ্ছে, যেক্ষেত্রে কোন দু'টি বা এর চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান একই মালিকের অধীনস্থ কিনা অথবা সেগুলো একই ধরনের কিনা অথবা একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্পর্কিত বা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কিনা এ মর্মে সন্দেহ বা বিরোধ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।]

 

১.    ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১নং অধ্যাদেশ দ্বারা (ঞ), (ট) ও (ঠ) অনুচ্ছেদ সংযোজিত।

২.    ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (২) উপধারাটি সংযোজিত।

৩.    ১৯৮৯ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৮৯ সনের ১৭ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা শর্তসমূহ সংযোজিত।

 

[(৭-ক) ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা বা সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা (Disqualification for being an officer or member of a trade union): (১) ট্রেড ইউনিয়নে গঠনতন্ত্র অথবা বিধিমালায় যা কিছুই অন্তর্ভুক্ত থাক না কেন, কোন ব্যক্তিঃ

(ক) নৈতিক নীচতার (moral turpitude) অপরাধের জন্য অথবা ১৬ ধারার উপধারা (১)-এর (খ) অনুচ্ছেদের অপরাধের জন্য অথবা ৬১ ধারার অপরাধের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা হওয়ার বা কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অধিকারী হতে পারবেন না; এবং

(খ) যদি কোন প্রতিষ্ঠানে বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে নিযুক্ত না থাকেন অথবা কোন সময়েই অতীতে নিযুক্ত না থেকে থাকেন [অথবা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হয়ে থাকেন] তবে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে গঠিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার অধিকারী হবেন না।

উপধারা (১)-এ (খ) অনুচ্ছেদের কোন কিছুই ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

[৭-খ। রেজিষ্টার্ড ইউনিয়নকে রেজিষ্টার প্রভৃতি সংরক্ষণ করতে হবে (Registered trade union to maintain register etc.): প্রত্যেক রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়নকে নির্ধারিত ফরমে নিম্নোক্ত জিনিসগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবেঃ

(ক) সদস্যগণ কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদার বিবরণ সম্মলিত সদস্যদের একটি রেজিষ্টার;

(খ) জমা ও খরচের হিসাব সম্বলিত একটি হিসাবের খাতা; এবং

(গ) অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য একটি কার্যবিবরণী খাতা।]

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক সংশোধনী আইন (১৯৭০ সনের ১৯নং আইন) দ্বারা ৭-ক ধারা সংযোজিত এবং প্রথমে ১৯৮০ সনের ২৯নং আইন দ্বারা এবং পরবর্তীতে ১৯৮৫ সনের ১৫নং অধ্যাদেশ দ্বারা ধারাটি প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৯০ সনের শিল্প সম্পর্ক সংশোধনী আইন (১৯৯০ সনের ২২নং আইন দ্বারা [অথবা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হয়ে থাকেন] শব্দাবলী সংযোজিত।

৩. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৭-খ ধারাটি সংযোজিত।

৮। রেজিষ্ট্রিকরণ (Registration): (১) এ অধ্যাদেশে বর্ণিত সকল শর্ত পূরণ করা হয়েছে, এ মর্মে সন্তুষ্ট হওয়ার পর রেজিষ্টার নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে ট্রেড ইউনিয়নটিকে রেজিষ্ট্রিভুক্ত করবেন এবং আবেদন প্রাপ্তির ষাট দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে রেজিষ্ট্রেশনের প্রত্যায়নপত্র প্রদান করবেন। আবেদন কোন প্রয়োজনীয় বিষয় বা বিষয়সমূহ বাদ পড়ে গেলে বা যথার্থ বিবেচিত না হলে রেজিষ্ট্রার আবেদন প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে এ সম্পর্কে তাঁর আপত্তি লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নকে জানাবেন এবং আপত্তি প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন তার জবাব দেবে।

(২) রেজিষ্ট্রার কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তি যথাযথভাবে মিটানোর পর রেজিষ্ট্রার উক্ত ট্রেড ইউনিয়নটিকে উপধারা (১)-এ বর্ণিত বিধান মোতাবেক রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করবেন। আপত্তি যথাযথভাবে মিটানো না হলে রেজিষ্ট্রার আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন।

(৩) কোন ক্ষেত্রে আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে অথবা আপত্তি যথাযথভাবে মিটানোর ষাট দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রার সিদ্ধান্ত গ্রহণে (১) উপধারার নির্ধারিত সময়ের বেশি দেরি করলে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে আপীল করতে পারবেন এবং শ্রম আদালত তাঁর রায়ে কারণসমূহ বর্ণনা করে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নকে রেজিষ্ট্রিকরণ এবং রেজিষ্ট্রেশনের প্রত্যায়নপত্র দেয়ার জন্য রেজিষ্ট্রারকে নির্দেশ দিতে পারবেন অথবা আপীল বাতিল করতে পারেন।

 

৯। রেজিষ্ট্রেশন প্রত্যায়নপত্র (Certificate of registration): রেজিষ্ট্রার ৮ ধারার অধীনে ট্রেড ইউনিয়নকে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করার সময় নির্ধারিত ফরমে রেজিষ্ট্রেশনের প্রত্যায়নপত্র প্রদান করবেন এবং ট্রেড ইউনিয়নটি যথাযথভাবে রেজিষ্ট্রিকৃত হয়েছে, উক্ত প্রত্যায়নপত্র হবে তার চূড়ান্ত প্রমাণ।

 

[১০। রেজিষ্ট্রেশন বাতিলকরণ (Cancellation of registration): (১) এ ধারার অন্য বিধানসাপেক্ষে রেজিষ্ট্রার কর্তৃক একটি ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা যেতে পারে যদি ট্রেড ইউনিয়নটি-

(ক) এরূপ বাতিল করার জন্য অথবা অস্তিত্ব বজায় না রাখার জন্য আবেদন করে থাকে;

(খ) জালিয়াতি বা ভ্রমপূর্ণ তথ্যের বর্ণনার মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন হাসিল করে থাকে;

(গ) এর সংবিধানের কোন বিধান লংঘন করে থাকে;

(ঘ) কোন অসত্‍ শ্রম আচরণ করে থাকে;

(ঙ) সংবিধানে এ অধ্যাদেশের বা বিধিমালার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ কোন বিধান প্রণয়ন করে থাকে;

 

১. ১৯৭০ সনের ১৯নং আইন দ্বারা প্রথমে এবং পরে ১৯৮৫ সনের ১৫নং অধ্যাদেশ দ্বারা ১০ ধারা প্রতিস্থাপিত।

(চ) যে প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের জন্য গঠন করা হয়েছিল তাতে সদস্য সংখ্যা শ্রমিকের শতকরা তিরিশ ভাগের কম হয়;

(ছ) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক, রেজিষ্ট্রারের নিকট বার্ষিক রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হয়ে থাকে;

(জ) ৭-ক ধারা মোতাবেক নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য ব্যক্তিকে এর কর্মকর্তা নিযুক্ত করলে অথবা এরূপ কর্মকর্তা হলে; অথবা

(ঝ) এ অধ্যাদেশের অথবা বিধিমালার কোন বিধান বা বিধি লংঘন করে থাকে।

(২) রেজিষ্ট্রার যেক্ষেত্রে একটি ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে বলে মনে করেন সেক্ষেত্রে এরূপ রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের অনুমতি প্রার্থনা করে তাকে শ্রম আদালতের কাছে দরখাস্ত দাখিল করতে হবে।

(৩) শ্রম আদালত থেকে অনুমতি প্রাপ্তির দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রারকে ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে।

(৪) কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিষ্ট্রেশন (১) উপধারা (খ) অনুচ্ছেদের উল্লিখিত কারণে বাতিল করা যাবে না, যদি অসত্‍ শ্রম আচরণটি শ্রম আদালতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ থেকে পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে সংঘটিত না হয়ে থাকে।

[১১। বাতিলের বিরুদ্ধে আপীল (Appeal against cancellation): ১০ ধারার অধীনে রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন আদেশের তারিখ থেকে ষাট দিনের মধ্যে শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করতে পারবেন।]

 

[১১-ক। রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া কোন ট্রেড ইউনিয়ন কাজ চালাতে পারবে না (No trade union to function without registration): (১) আরেজিষ্ট্রিকৃত অথবা রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে এমন কোন ট্রেড ইউনিয়ন ট্রেড ইউনিয়ন হিসেবে কাজ চালাতে পারবে না।

(২) উপধারা (১)-এ উল্লিখিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলের জন্য কোন ব্যক্তি চাঁদা আদায় করতে পারবেন না।

 

[১১-খ। দ্বৈত সদস্য পদের উপর বাধা-নিষেধ(Restriction on dual membership): কোন শ্রমিক একই সময়ে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য পদ গ্রহণ করতে বা সদস্য পদ অব্যাহত রাখতে পারবে না।

 

১২। ট্রেড ইউনিয়নসমূহের রেজিষ্ট্রার (Registrar of trade unions): এ অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনে প্রকাশের মাধ্যমে [সরকার] যতজন প্রয়োজন ততজনকে ট্রেড ইউনিয়নসমূহের রেজিষ্ট্রার নিয়োগ করবেন এবং একাধিক রেজিষ্ট্রার নিয়োগ করা হলে অত্র অধ্যাদেশ মোতাবেক তাদের প্রত্যেকের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার সীমানা প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট করে দেবেন।

 

১৩। রেজিষ্ট্রারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী (Powers and functions of the Registrar) : রেজিষ্ট্রারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী নিম্নোক্তরূপ হবেঃ

(ক) অত্র অধ্যাদেশের অধীনে ট্রেড ইউনিয়নসমূহকে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান এবং এ উদ্দেশ্যে একটি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করা;

(খ) অসত্‍ শ্রম আচরণসহ অন্য যেকোন অপরাধজনক কার্যকলাপ অথবা অত্র অধ্যাদেশের বিধান লংঘন প্রভৃতি সম্পর্কে যেকোন ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে অভিযোগ্য দায়ের করা;

(গ) কোন প্রতিষ্ঠান বা শিল্পে কার্যরত ট্রেড ইউনিয়নসমূহের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা শিল্পের জন্য কোনটির যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট নিযুক্ত হওয়ার যোগ্যতা আছে তা নির্ধারণ করা; এবং

(ঘ) অন্যান্য ক্ষমতা ও কার্যাবলী যা নির্দিষ্ট করা হতে পারে।

 

১. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯নং আইন) দ্বারা মূল ১১ ধারাটি প্রতিস্থাপিত এবং ১৯৮৫ সনের ১৫নং অধ্যাদেশ দ্বারা ১১ ধারাটি পুনরায় প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৯৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ১১-ক এবং ১১-খ ধারাসমূহ সংযোজিত।

৩. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

১৪। রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের সমিতিবদ্ধকরণ (Incorporation of registered trade unions): (১) প্রত্যেক রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নকে এমন একটি নামে সমিতিবদ্ধ হতে হবে যে নামে এটিকে রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। উক্ত একই নামে উত্তরাধিকার অব্যাহত থাকবে এবং সীলমোহর, চুক্তি সম্পাদন, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, সংরক্ষণ ও বিলি বন্দোবস্তের অধিকার উক্ত নামে কার্যকর হবে। উক্ত নামে মামলা বাদী বা বিবাদী হতে পারবে।

(২) কোন রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়নের বেলায় ১৮৬০ সনের রেজিষ্ট্রিশন আইন (১৮৬০ সনের ২১নং আইন), [১৯৮৪ সনের সমবায় সমিতি অধ্যাদেশ (১৯৮৫ সনের ১নং অধ্যাদেশ)] এবং [১৯৯৪ সনের কোম্পানী আইন (১৯৯৪ সনের ১৮নং আইন)] প্রযোজ্য হবে না। এসব আইনের কোনটির অধীনে কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রিকৃত হলে তা বাতিল বিবেচিত হবে।

 

১৫। মালিক কর্তৃক অসত্‍ শ্রম আচরণ (Unfair labour practices on the part of employers): কোন মালিক বা মালিকদের ট্রেড ইউনিয়ন এবং তাদের কারো পক্ষে কার্যকর কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত কাজ করবেন নাঃ

(ক) চাকরির চুক্তিতে পক্ষভুক্ত কোন ব্যক্তির উপর ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের বা ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যপদ বহাল রাখার অধিকার হরণ করে কোন শর্ত আরোপ করা; অথবা

(খ) কোন ব্যক্তি কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল আছে বা না আছেন তার ভিত্তিতে চাকরি প্রদানে কিংবা চাকরিতে বহাল রাখতে অস্বীকার করা; অথবা

(গ) কোন ব্যক্তি ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল আছেন কিনা তার ভিত্তিতে চাকরিতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকরির শর্ত বা কাজের শর্ত নির্ধারণের বৈষম্য করা; অথবা

(ঘ) নিম্নোক্ত কারণে কোন শ্রমিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারণের হুমকি দেয়া কিংবা চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেয়াঃ

(i) উক্ত শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হয়েছেন বা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য কোন ব্যক্তিকে সম্মত করানোর চেষ্টা করেছেন;

অথবা

(ii) কোন ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের, উন্নয়নের বা কর্মতত্‍পরতা চালানোর কাজে অংশগ্রহণ করছেন;

(ঙ) কোন ব্যক্তিকে ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা না হওয়ার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হয়ে থাকলে তা বর্জনের জন্য প্রলুব্ধ করা এবং উক্ত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান বা প্রদানের প্রস্তাব করা;

 

১. ১৯৮৫ সনের ১নং অধ্যাদেশ দ্বারা ১৯৪০ সনের সমবায় সমিতি আইনটি বাতিল এবং প্রতিস্থাপিত হওয়ার ফলে [১৯৪০ সনের সমবায় সমিতি আইন] শব্দাবলীর পরিবর্তে [১৯৮৪ সনের সমবায় সমিতি অধ্যাদেশ] শব্দাবলী পড়তে হবে।

২. ১৯৯৪ সনের ১৮নং আইন দ্বারা ১৯১৩ সনের কোম্পানী আইনটি বাতিল এবং প্রতিস্থাপিত হওয়ার ফলে [১৯১৩ সনের কোম্পানী আইন] শব্দাবলীর পরিবর্তে [১৯৯৪ সনের কোম্পানী আইন] শব্দাবলী পড়তে হবে।

(চ) ভীতি প্রদর্শন করে, হয়রানি করে, হুমকি দিয়ে, চাপ প্রয়োগ করে, কোন স্থানে আটক রেখে, দৈহিক ক্ষতিসাধন বা পানি, বিদ্যুত্‍ এবং টেলিফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং অনুরূপ যেকোন হয়রানিমূলক কৌশল অবলম্বনপূর্বক যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধির কোন কর্মকর্তাকে কোন চুক্তি স্বাক্ষর প্রদানে বাধ্য করা;

(ছ) ২২ ধারার বিধান মোতাবেক অনুষ্ঠিত ভোটে হস্তক্ষেপ করা অথবা কোনভাবে প্রভাব বিস্তার করা;

[অথবা]

[(জ) ২৮ ধারা অনুযায়ী সংগঠিত ধর্মঘট চলাকালে অথবা বেআইনী নয় এ জাতীয় ধর্মঘটের সময়কালে কোন নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা। কেবল যেক্ষেত্রে আপোসকারী এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে, কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে যন্ত্রপাতি বা প্রতিষ্ঠানের গুরুতর ক্ষতি হবে এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের যে শাখায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে শাখায় সীমিত সংখ্যক শ্রমিককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমতি দিয়ে থাকরে সেক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ করা যাবে।]

(২) কোন ব্যক্তি ব্যবস্থাপকের পদে নিযুক্ত হলে বা পদোন্নতির মাধ্যমে অনুরূপ পদে নিযুক্তি লাভ করলে সে ব্যক্তি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তার পদে অধিষ্ঠিত থাকার যোগ্যতা হারাবেন অথবা সদস্যপদ বা কর্মকর্তার পদ বাতিল হয়ে যাবে এ মর্মে মালিক নিশ্চয়তা দাবি করলে, উপধারা (১)-এর বিধান বলে তা রোধ করা যাবে না।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৭০ সনের ২৯নং আইন) দ্বারা [অথবা] শব্দ সংযোজিত।

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা [জ] অনুচ্ছেদ সংযোজিত।

 

১৬। শ্রমিক কর্তৃক অসত্‍ শ্রম আচরণ (Unfair labour practices on the part of workmen) : কোন শ্রমিক বা শ্রমিকদের কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা উক্ত ইউনিয়নের পক্ষে কার্যকারক কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত কাজ করবেন নাঃ

(ক) কাজ চলাকালে কোন শ্রমিককে ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের জন্য অথবা যোগদান থেকে বিরত থাকার জন্য সম্মত করার চেষ্টা করা; অথবা

(খ) ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অথবা বিরত থাকার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকা বা না থাকার জন্য কোন ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন; অথবা

(গ) কোন ব্যক্তিকে কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বা সুযোগ-সুবিধা আদায় করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে যোগদান থেকে বিরত থাকার অথবা সদস্যপদ ত্যাগ করার জন্য প্ররোচিত করা; অথবা

(ঘ) ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রয়োগ করে কোন স্থানে আটক রেখে, দৈহিক ক্ষতিসাধন এবং টেলিফোন, পানি ও বিদ্যুত্‍ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং অনুরূপ অন্য কোন উপায় অবলম্বনপূর্বক কোন চুক্তিনামায় স্বাক্ষরদানের জন্য মালিককে বাধ্য করার অথবা বাধ্য করার জন্য চেষ্টা করা; [অথবা]

[(ঙ) আটক করে বা নির্যাতন করে বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কোন শ্রমিককে ভীতি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রয়োগ, কোন স্থানে আটক করে, দৈহিক আঘাত করে, টেলিফোন সংযোগ বা পানি বা বিদ্যুত্‍ সুবিধা বিচ্ছিন্ন করে বা অনুরূপ অন্য কোন উপায়ে কোন ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলে চাঁদা দিতে বা বিরত থাকতে বাধ্য করা, চেষ্টা করা]।

(২) ২২ ধারা মোতাবেক অনুষ্ঠিত কোন ভোটে অবাঞ্ছিত প্রভাব বিস্তার, ভীতি প্রদর্শন, জালিয়াতি অথবা নির্বাহী কর্মকর্তার অথবা এর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির মারফত উত্‍কোচ প্রদানের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করলে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের জন্য তা অসত্‍ শ্রম আচরণ বলে বিবেচিত হবে।

 

রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন এবং যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধির

অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা

[Rights and Privileges of Registered Trade Unions and Collective Bargaining Agents]

 

১৭। ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত আইনের সীমিত প্রয়োগ (Law of conspiracy limited in application) : যদি এ অধ্যাদেশ ব্যতিরেকে দেশের অন্য কোন আইন অনুসারে অপরাধ সাধন বা অন্য কোন আইন লংঘনের উদ্দেশ্যে উক্ত চুক্তি সম্পাদিত না হয়ে থাকে তবে ৭ ধারায় উল্লিখিত ব্যবস্থা অনুসারে গঠনতন্ত্রের কোন উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য কোন চুক্তি সম্পাদন করায় কোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা বা সদস্য কিংবা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক নির্ধারিত কোন যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি [দণ্ডবিধি] (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ১২০-খ ধারার উপধারা (২) মোতাবেক দণ্ডনীয় হবেন না।

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা 'ঝ' অনুচ্ছেদের শেষে [অথবা] শব্দটি যুক্ত।

২. উপরোক্ত অধ্যাদেশ দ্বারা [ঙ] অনুচ্ছেদ সংযোজিত।

৩. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮নং আদেশ দ্বারা এবং পরবর্তীতে ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [পাকিস্তান দণ্ডবিধি]-র পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।

 

১৮। কতিপয় ক্ষেত্রে দেওয়ানী মামলা থেকে অব্যাহতি (Immunity from civil suit in certain cases)

(১) ট্রেড ইউনিয়ন বিরোধে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট শিল্প বিরোধ চালিয়ে যাওয়া বা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করলে এর পরিণতিতে অন্যান্য ব্যক্তি চাকরির শর্ত ভংগ করতে উত্‍সাহিত হয়েছে, অথবা সেটি অন্য কোন ব্যক্তির ব্যবসায় বা চাকরির উপর হস্তক্ষেপের শামিল, অথবা ইচ্ছামত পুঁজি ও শ্রমিক খাটানোর অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ, শুধু এ কারণে কোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের বা যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধির বা এগুলোর কর্মকর্তার বা সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত কোন মোকদ্দমা বা অন্য কোন আইনগত ব্যবস্থা কোন দেওয়ানী আদালতে গ্রাহ্য হবে না।

(২) শিল্প বিরোধের স্বার্থে বা শিল্প বিরোধজনিত কারণে কোন ট্রেড ইউনিয়ন-এর প্রতিনিধির মাধ্যমে কারো প্রতি কোন ক্ষতিকর কাজ করলে যদি প্রমাণিত হয় যে, উক্ত ব্যক্তি নিজের অজ্ঞাতসারে অথবা ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত স্পষ্ট নির্দেশের বিপরীতভাবে উক্ত কাজ করেছেন তবে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী আদালতে কোন মোকদ্দমা বা অন্য কোনরূপ আইনগত কার্যক্রম রুজু করা যাবে না।

 

১৯। চুক্তির প্রয়োগ যোগ্যতা (Enforceability of agreement)

বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য আইনে যাই থাক না কেন, সংশ্লিষ্ট চুক্তির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ের জন্য ক্ষতিকর শুধু এ কারণে একটি ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি আইনে বাতিল বা আইনে বাতিলযোগ্য বলে গণ্য হবে নাঃ

শর্ত হচ্ছে, এ ধারার কোন বিধান কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য কর্তৃক পণ্য বিক্রয় করা বা না করা, ব্যবসায় চালানো বা না চালানো অথবা চাকরিতে থাকা বা না থাকা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে চুক্তি ভংগের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের উদ্দেশ্যে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে দেওয়ানী আদালতকে আইনগত কার্যক্রম গ্রাহ্য করার অধিকার দান করবে না।

 

২০। ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশনের রেজিষ্ট্রিকরণ (Registration of Federation of Trade Unions)

(১) যেকোন দুটি বা ততোধিক রেজিষ্ট্রিকৃত ইউনিয়ন নিজ নিজ সাধারণ সভায় প্রস্তাব গৃহীত হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের মাধ্যমে একটি ফেডারেশন গঠন করতে এবং সে ফেডারেশন রেজিষ্ট্রিকরণের জন্য আবেদন করতে পারেঃ

শর্ত হচ্ছে, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন মালিকদের ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত কোন ফেডারেশনে যোগ দেবে না।

(২) (১) উপধারায় উল্লিখিত ফেডারেশন গঠনের দলিলে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ফেডারেশনভুক্ত ট্রেড ইউনিয়নসমূহের অধিকার ও দায়িত্বের উল্লেখ থাকতে হবে।

(৩) ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশনের রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদনপত্রে ফেডারেশনের অংগীভূত সকল ইউনিয়নের সভাপতিবৃন্দের স্বাক্ষর অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের প্রত্যেকটির এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের স্বাক্ষর থাকতে হবে এবং (১) উপধারায় উল্লিখিত ফেডারেশন সংক্রান্ত দলিলের তিন কপি করে সংযোজিত থাকতে হবে।

(৪) উপধারা (১), (২) ও (৩) সাপেক্ষে এ অধ্যাদেশের বিধানসমূহ যতদূর সম্ভব এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনীসমূহ ট্রেড ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশনের বেলায় প্রযোজ্য হবে যেভাবে ট্রেড ইউনিয়নের বেলায় প্রযোজ্য হয়েছে।

 

২১। রিটার্নসমূহ (Returns)  

(১) প্রত্যেক রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো বছরের সম্পদ ও দায়-দায়িত্বের হিসাব নির্ধারিত পদ্ধিতিতে আটককৃত সাধারণ বিবরণীসহ প্রতি বছর নির্ধারিত তারিখে বা তার আগে রেজিষ্ট্রারের কাছা পাঠাতে হবে।

(২) রেজিষ্ট্রারের কাছে প্রেরিত সাধারণ বিবরণীর সঙ্গে ঐ বছরে ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের রদবদলের পূর্ণ বিবরণী এবং সঙ্গে প্রেরণের তারিখ পর্যন্ত সংশোধিত ট্রেড ইউনিয়নের এক কপি গঠনতন্ত্রও রেজিষ্ট্রারের কাছে পাঠাতে হবে।

(৩) রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের প্রতিটি সংশোধনীর একটি কপি এবং গঠনতন্ত্রের বিধানের মর্যাদাপ্রাপ্ত সাধারণ সভায় প্রস্তাবের কপি উক্ত সংশোধিত প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রারের নাম উল্লেখ করতে হবে।

(৪) রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন কোন ফেডারেশনের সদস্য হয়ে থাকেল বার্ষিক বিবরণীতে ফেডারেশনের নাম উল্লেখ করতে হবে।

 

[২২। যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি (Collective bargaining agent)  

(১) কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুচ্ছে একটিমাত্র রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে এবং উক্ত ট্রেড ইউনিয়নের মোট সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত মোট শ্রমিকদের অনধিক এক-তৃতীয়াংশ হলে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নটিকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য করতে হবে।

২। কোন প্রতিষ্ঠানে বা প্রতিষ্ঠানগুচ্ছে একাধিক রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে প্রতিষ্ঠানে বা প্রতিষ্ঠানগুচ্ছে নিয়োজিত মোট কর্মচারীদের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সম্বলিত রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের কাছ থেকে অথবা মালিকের কাছ থেকে এতদুদ্দেশ্যে প্রাপ্ত আবেদনের ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সমষ্টির জন্য যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে গোপন ব্যালট অনুষ্ঠান করবেন।

[(৩) উপধারা (২) মোতাবেক আবেদনপ্রত প্রাপ্তির পর রেজিষ্ট্রার লিখিত নোটিস জারি করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির প্রতিটি রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিতব্য গোপন ব্যালটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা তার আছে কিনা এবং এ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য আহবান জানাবেন।

(৪) কোন ট্রেড ইউনিয়ন যদি গোপন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানাতে ব্যর্থ হয়, তবে ধরে নিতে হবে যে, সে ট্রেড ইউনিয়ন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা মূল ২২ ধারাটি প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৬ উপধারার স্থলে ৩, ৪, ৫, ৬, ৬-ক, ৬-খ, ৬-গ ও ৬-ঘ উপধারা প্রতিস্থাপিত।

 

(৫) প্রত্যেক মালিকঃ

(ক) রেজিষ্ট্রার চাইলে, যাদের, চাকরি তিন মাস পুরো হয়নি, বা যারা বদলি বা নৈমিত্তিক শ্রমিক তারা বাদে উক্ত প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিযুক্ত শ্রমিকদের তালিকা, প্রতিটি শ্রমিকের নাম, বয়স, তার কর্মস্থল ও যে বিভাগ বা শাখায় তিনি কাজ করেছেন তার নাম, তার টিকিটের নম্বর এবং চাকরিতে নিযুক্তির তারিখসহ একটি তালিকা রেজিষ্ট্রার যত কপি চাইবেন তত কপি রেজিষ্ট্রারের কাঠে পাঠাবেন; এবং

(খ) তার প্রেরিত তালিকা যাচাই করে দেখার জন্য রেজিষ্ট্রার যেরূপ সুযোগ-সুবিধা চাইবেন তার সুব্যবস্থা করবেন।

(৬) মালিকের কাছ থেকে শ্রমিকদের তালিকাপ্রাপ্তির পর রেজিষ্ট্রার প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ট্রেড ইউনিয়নের কাছে উক্ত তালিকার একটি নকল পাঠাবেন, তার অফিসের কোন প্রকাশ্য স্থানে তালিকার একটি নকল লাগিয়ে দেবেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকাশ্য স্থানেও তালিকার একটি নকল লাগিয়ে দেবেন এবং কারো কোন আপত্তি থাকলে তত্‍কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁর কাছে পাঠানোর আহবান জানিয়ে সেই সঙ্গে নোটিস পাঠাবেন ও সেঁটে দেবেন।

(৬-ক) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিষ্ট্রার কোন আপত্তি পেলে যে রকম প্রয়োজনীয় মনে করেন সে রকম তদন্তের পর রেজিষ্ট্রার সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

(৬-খ) উপধারা ৬(ক) অনুসারে প্রাপ্ত আপত্তি সম্পর্কে রেজিষ্ট্রার যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তদনুসারে তিনি মালিক কর্তৃক প্রদত্ত শ্রমিকের তালিকায় প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে পারবেন।

(৬-গ) উপধারা ৬(খ) অনুসারে সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিষ্ট্রার কোন আপত্তি না পেলে রেজিষ্ট্রার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তার নকল মালিকের কাছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রত্যেক ট্রেড ইউনিয়নের কাছে ভোটের জন্য নির্দিষ্ট তারিখের কমপক্ষে চার দিন আগে পাঠিয়ে দেবেন।

(৬-ঘ) উপধারা ৬(গ) অনুসারে প্রণীত শ্রমিকের তালিকা ভোটার তালিকা বলে বিবেচিত হবে এবং যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে উক্ত তালিকাভুক্ত প্রত্যেক শ্রমিক ভোটদানের অধিকারী হবেন।

(৭) রেজিষ্ট্রার যেভাবে চাইবেন সেভাবে প্রতিষ্ঠানের ব্যালট অনুষ্ঠানের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা মালিক পক্ষ প্রদান করবেন, তবে ভোটে তারা কোনভাবে হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তার করবেন না।

(৮) কোন ব্যক্তি ভোট কেন্দ্রের পঞ্চাশ গজ ব্যাসার্ধের মধ্যে ভোটের জন্য প্রচার চালাতে পারবেন না।

(৯) যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণের জন্য রেজিষ্ট্রার নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেনঃ

(ক) ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করবেন এবং তা প্রতিটি প্রতিদ্বন্দ্বি ট্রেড ইউনিয়নকে এবং প্রত্যেক মালিককে জ্ঞাত করবেন;

(খ) ভোট গ্রহণের নির্ধারিত এবং ভোটপত্র গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট পোলিং ষ্টেশনে ব্যালট বাক্স স্থাপন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নসমূহের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাক্সের মুখ সীল করবেন।

(গ) পোলিং ষ্টেশনসমূহ ভোট গ্রহণ কার্য সম্পাদন করবেন এবং পোলিং ষ্টেশনে প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রেড ইউনিয়নসমূহের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার অধিকার থাকবে;

(ঘ) ভোট গ্রহণ শেষ হলে তা যে ট্রেড ইউনিয়নসমূহের যে সকল প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থাকবেন তাদের সামনে ব্যালট বক্সের মুখ খুলে ভোট গণনা করবেন; এবং

(ঙ) ভোট গণনা শেষ হলে ট্রেড ইউনিয়ন সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়েছে তাকে যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি ঘোষণা করবেনঃ

শর্ত হচ্ছে, ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির শ্রমিকদের মোট সংখ্যার কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ না হলে সে ট্রেড ইউনিয়নকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির জন্য যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি ঘোষণা করা যাবে না।

(১০) উপধারা (৯)-এর (ঙ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক কোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নকে কোন প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি ঘোষণা করা হয়ে থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের বা প্রতিষ্ঠান সমষ্টির জন্য যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে কোন আবেদনপত্র উক্ত ঘোষণার তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে গ্রাহ্য হবে না।

(১১) যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি, নিজের মর্যাদা ক্ষুন্ন না করে, এ অধ্যাদেশের অধীনে যেকোন কার্যক্রমে যেখানে ট্রেড ইউনিয়ন হিসেবে নিজেই পক্ষভুক্ত হয়ে রয়েছে অথবা যে ফেডারেশনের সদস্য সে ফেডারেশনের সপক্ষে সেখানে নিজেকে পক্ষভুক্ত করতে পারবে।

(১২) যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমষ্টিতে নিম্নোক্ত অধিকার ভোগ করবেঃ

(ক) শ্রমিকদের চাকরি, কর্মহীনতা, চাকরির শর্ত অথবা কাজের শর্ত সংক্রান্ত বিষয়সমূহ নিয়ে মালিক বা মালিকদের সঙ্গে যৌথ দর- কষাকষি চালানো;

(খ) যেকোন কার্যক্রমে সকল শ্রমিকের বা যেকোন একজন শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা;

(গ) এ অধ্যাদেশের বিধান মোতাবেক ধর্মঘটের নোটিশ প্রদান ও ধর্মঘট ঘোষণা করা;

(ঘ) যেকোন কল্যাণমূলক সংস্থার বা ভবিষ্য তহবিলে এবং ১৯৬৮ সনের কোম্পানীর মুনাফা (শ্রমিকদের অংশগ্রহণ) আইন (১৯৬৮ সনের ১২নং আইন) অনুসারে গঠিত শ্রমিকদের অংশগ্রহণযোগ্য তহবিলের ট্রাষ্টি বোর্ডে শ্রমিকদের প্রতিনিধি মনোনীত করা।

[(১৩) রেজিষ্ট্রার ইচ্ছা করলে উপধারা (৯)-এর অধীনে তার যেকোন ক্ষমতা অধীনন্থ কর্মচারীর উপর লিখিতভাবে ন্যস্ত করতে পারেন]।

 

[২২-ক। একাধিক প্রতিষ্ঠান সংস্থার জন্য যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি (Collective bargaining agent for institutions with more than on establishment)  

(১) কোন মালিক যেক্ষেত্রে একটি শিল্প পরিচালনা করছেন এবং উক্ত শিল্পের কার্যকলাপের স্বার্থে একাধিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হচ্ছে এরূপ ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে যেকোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়ন উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারে এবং উক্ত আবেদন প্রাপ্তির পর নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে হবে।

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৬ উপধারার স্থলে ৩, ৪, ৫, ৬, ৬-ক, ৬-খ, ৬-গ ও ৬-ঘ উপধারা প্রতিস্থাপিত এবং উপধারা (১৩) সংযোজিত।

২. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক সংশোধনী অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ২৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ২২-ক ধারা প্রবর্তিত।

 

(২) উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য (১) উপধারা মোতাবেক যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারিত হয়ে গেলে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের যেকোনটির বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ২২ ধারা অনুসারে নির্ধারিত যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য নিযুক্ত শ্রমিকদের চাকরির শর্তাবলী সংক্রান্ত বিষয়ে আর যৌথ দর-কষাকষির দায়িত্ব পালন করবে না।]

 

২৩। চেক অফ (Check-off)

(১) যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি অনুরোধ করলে যেকোন মালিক তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের, যারা ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য, মজুরী থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের তহবিলে দেয় তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক পেশকৃত অধিযাচন বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি শ্রমিকের অনুমোদনসাপেক্ষে কেটে আলাদা করে রাখবেন।

(২) যেকোন মালিক উপধারা (১) অনুসারে শ্রমিকদের মজুরী থেকে টাকা কেটে থাকলে কর্তিত সম্পূর্ণ টাকা যে সময়ের জন্য কর্তন করা হয়েছে তার ১৫ দিনের মধ্যে যে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে কর্তন করা হয়েছে তার হিসেবে জমা দেবেন।

[(৩) উপধারা (১) মোতাবেক তার সদস্যদের মজুরী থেকে কর্তন করা হচ্ছে কিনা সংশ্লিষ্ট যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি তা যাচাই করতে চাইলে মালিক এর সুযোগ দেবেন।]

 

 

যৌথ আলোচনা, সালিশী এবং মধ্যস্থতা

Joint Consultation, Conciliation and Mediation

 

[২৪। অংশগ্রহণ কমিটি (Participation Committee)  

(১) শ্রম পরিচালক অথবা তত্‍কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা লিখিত আদেশ দ্বারা যে প্রতিষ্ঠানে পঞ্চাশ অথবা ততোধিক শ্রমিক নিয়োজিত আছেন বা পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে কর্মরত ছিলেন, সেখানে নির্ধারিত পন্থায়, মালিকের এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি সমণ্বয়ে এমনভাবে একটি অংশগ্রহণ কমিটি গঠন করবেন যেন কমিটিতে শ্রমিকদের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির সংখ্যার চেয়ে কম না হয়।

(২) যে প্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ কমিটিতে শ্রমিকদের প্রতিনিধি মনোনয়ন করবেন।

শর্ত হচ্ছে, যৌথ-দর কষাকষি প্রতিনিধি না থাকলে যে প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ কমিটি গঠিত হবে তাতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্য থেকে নির্ধারিত নিয়মে প্রতিনিধি বাছাই করা হবে।

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ৩৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (৩) উপধারা সংযোজিত।

২. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯নং আইন) দ্বারা মূল ২৪ ও ২৫নং ধারা দুটি প্রতিস্থাপিত।

 

[২৫। অংশগ্রহণ কমিটির কার্যাবলী (Functions of the Participation Committee)  অংশগ্রহণ কমিটির কার্যাবলী হবে শ্রমিকদের মধ্যে চেতনার বিকাশ ঘটানো এবং তার উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং বিশেষতঃ

(ক) মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সমঝোতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াস;

(খ) শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ;

(গ) শৃংখলাবোধ জাগ্রত করা এবং নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্যরক্ষা ও কাজের অবস্থার উন্নতি সাধন ও রক্ষণ;

(ঘ) বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, শ্রমিকদের শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ প্রশিক্ষণের উত্‍সাহ দেয়া;

(ঙ) শ্রমিকদের এবং তাদের পরিবারবর্গের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;

(চ) উত্‍পাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, উত্‍পাদন ব্যয় এবং জঞ্জাল হ্রাস এবং পণ্যের মান উন্নয়ন।

 

[২৫-ক। অংশগ্রহণ কমিটির সভা (Meetings of the Participation Committee)]

(১) আলোচনা এবং মত বিনিময় এবং ২৫ ধারায় উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করার জন্য অংশগ্রহণ কমিটি প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একবার বৈঠকে মিলিত হবেন।

(২) অংশগ্রহণ কমিটির প্রতিটি সভার কার্যক্রম সভা অনুষ্ঠানের সাত দিনের মধ্যে শ্রম পরিচালক বা মধ্যস্থ এর কনসিলিয়েটরের কাছে দাখিল করতে হবে।]

 

২৬। শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ-আলোচনা (Negotiation relating to industrial disputes)

(১) মালিক বা যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি যদি কখনও দেখতে পান যে, মালিক ও কোন শ্রমিকদের মধ্যে শিল্প বিরোধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তবে অনুরূপ অবস্থায়, ক্ষেত্র অনুসারে মালিক বা যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজের মতামত লিখিতভাবে অপর পক্ষকে জ্ঞাত করবেন।

(২) উপধারা (১) মোতাবেক লিখিত মতামত প্রাপ্তির [দশ] দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যে অপর পক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে অপর পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন, যাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যৌথ দর-কষাকষির মাধ্যমে আপোস-নিষ্পত্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়।

(৩) আলোচিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আপোস-মীমাংসায় উপনীত হলে নিষ্পত্তির বিবরণী লিখে তাতে উভয় পক্ষের দস্তখত নিতে হবে এবং একটি করে কপি মধ্যস্থ (Conciliator) ও ২ ধারায় ২৪নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে।

 

১. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯নং আইন) দ্বারা মূল ২৪ ও ২৫নং দ্বারা দুটি প্রতিস্থাপিত।

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা ২৫ক ধারাটি সংযোজিত।

৩. ১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ দ্বারা ৭ [সাত] দিনের পরিবর্তে ১০ [দশ] দিন প্রতিস্থাপিত।

 

২৭। মধ্যস্থ (Conciliator) এ অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে [সরকার]১ মধ্যস্থ হিসেবে কাজ করার জন্য নিজ বিবেচনায় যতজন প্রয়োজন ততজন মধ্যস্থ নিয়োগ করবেন এবং কোন কোন এলাকা তাঁদের প্রত্যেকের কার্যসীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে অথবা কোন কোন শ্রেণীর প্রতিষ্ঠান বা শিল্প তাঁদের প্রত্যেকের কার্যসীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে অথবা কোন কোন শ্রেণীর প্রতিষ্ঠান বা শিল্প তাঁদের প্রত্যেকের এখতিয়ারভুক্ত হবে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে তাও উল্লেখ করতে হবে।

 

[২৭-ক। ধর্মঘটের নোটিশ ইত্যাদির আগে মধ্যস্থতা (Conciliation before notice of strike, etc.)  কোন শিল্প বিরোধে জড়িত পক্ষসমূহ ২৬ ধারা মোতাবেক আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসায় উপনীত হতে ব্যর্থ হলে তাদের যে কেউ মধ্যস্থ (কনসিলিয়েটরকে) এ মর্মে অবহিত করতে পারে যে, আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে এবং বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য তাকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাতে পারেন এবং অনুরূপ অনুরোধ পাওয়ার পর তিনি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কাজ শুরু করবেন।]

 

[২৮। ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিস (Notice of strike or lock-out)  ২৭-ক ধারা অনুসারে অনুরোধ প্রাপ্তির দশ দিনের মধ্যে মধ্যস্থ যদি বিরোধ মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন তবে মালিক অথবা যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি এ অধ্যাদেশের বিধান মোতাবেক, অবস্থা অনুসারে, অপর পক্ষের উপর ধর্মঘট বা লক-আউটের জন্য একুশ দিনের নোটিশ জারি করতে পারবেন।

[শর্ত হচ্ছে, যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধির তিন-চতুর্থাংশ সদস্য অত্র উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে অনুষ্ঠিত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের সম্মতি জ্ঞাপন না করলে কোন যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি ধর্মঘটের নোটিশ জারি করতে পারবেন না।]

 

[২৯। ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারির পর মধ্যস্থতা (Conciliation after notice of strike or lock-out)  শিল্প বিরোধে জড়িত কোন এক পক্ষ ২৮ ধারা মোতাবেক ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারি করলে সঙ্গে সঙ্গে এর একটি কপি মধ্যস্থের কাছে পাঠাতে হবে এবং তিনি ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ সত্ত্বেও বিরোধের ব্যাপারে অবস্থানুসারে মধ্যস্থতা শুরু করবেন অথবা মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবেনঃ]

[শর্ত হচ্ছে, বিরোধে মধ্যস্থতা করার বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার আগে মধ্যস্থতাকারীকে ধর্মঘটের নোটিশের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে হবে, যদি নোটি-এ অধ্যাদেশ, বিধিমালা অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নের সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তবে ধর্মঘটের নোটিশ অত্র অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী জারি হয়েছে বলে ধরা যাবে না এবং জনকল্যাণমূলক সার্ভিসে নোটিশ-এর ক্ষেত্রে মধ্যস্থ তাঁর নিজ বিবেচনা অনুযায়ী মধ্যস্থতার কাজে অগ্রসর হবেন কি হবেন না তা স্থির করতে পারেন।

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ২৭ক ধারা সংযোজিত।

৩. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ২৮ ও ২৯ ধারা প্রতিস্থাপিত।

৪. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ২৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা শর্তটি ও অধিকতর শর্তটি সংযোজিত।

 

আরও শর্ত থাকে, এ ধারা মোতাবেক মধ্যস্থ কর্তৃক গৃহীত মধ্যস্থতা কার্যক্রম শুধুমাত্র ধর্মঘটের নোটিশটি নিয়মানুগ না হওয়ার কারণে অবৈধ হবে না।]

 

৩০। মধ্যস্থের সমীপে কার্যক্রম (Proceedings before Conciliator) (১) বিরোধ মীমাংসার জন্য মধ্যস্থ যত শীঘ্র সম্ভব মীমাংসায় উপনীত হওয়ার উদ্দেশ্যে বিরোধের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের বৈঠক আহবান করবেন।

(২) বিরোধ জড়িত পক্ষসমূহ [ব্যক্তিগতভাবে অথবা তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাদের মনোনীত প্রতিনিধিগণ] মধ্যস্থের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং বিরোধ মীমাংসার জন্য চুক্তি করার অধিকার তাদের থাকবে এবং তারা কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হলে তা মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ বাধ্য থাকবেন।

[শর্ত হচ্ছে, কোন রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানা এরূপ বিরোধে জড়িত থাকলে, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অথবা প্রশাসনিকভাবে জড়িত বিভাগের প্রতিনিধি ও মধ্যস্থের কাছে উপস্থিত থাকতে পারেন।]

(৩) উপস্থিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থ নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ চালাবেন এবং বিরোধ পারস্পরিক আপোসের সুবিধার্থে তিনি নিজের বিচারবুদ্ধি অনুসারে যেকোন পক্ষকে বা পক্ষসমূহকে তাদের দাবি কিছুটা ছেড়ে দিতে বা রদবদলের জন্য প্রস্তাব দিতে পারেন।

(৪) মধ্যস্থের কার্যক্রমের মাধ্যমে বিরোধের বা বিরোধ-সংশ্লিষ্ট যেকোন একটি বিষয়ের মীমাংসা হয়ে গেলে মধ্যস্থ তত্‍সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ও তত্‍সহ বিরোধে জড়িত পক্ষসমূহ কর্তৃক স্বাক্ষরিত আপোস চুক্তির স্মারক-এর একটি কপি [সরকারের] কাছে প্রেরণ করবেন।

[(৫) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশের মেয়াদের মধ্যে আপোস-মীমাংসায় উপনীত হতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের সম্মতিক্রমে আপোস আলোচনায় মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

 

৩১। সালিশী (Arbitration)

(১) মধ্যস্থতা কার্যক্রম ব্যর্থ হলে, মধ্যস্থ বিরোধটি একজন সালিশ (arbitrator)-এর কাছে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে সম্মত করানোর চেষ্টা করবেন। পক্ষগণ রাজি হলে উভয় পক্ষের স্বীকৃত একজন সালিশের কাছে বিরোধটি পাঠানোর জন্য তাঁরা লিখিতভাবে অনুরোধ করবেন।

(২) উপধারা (১) মোতাবেক কোন বিরোধীয় বিষয় যে সালিশের কাছে পাঠানো হবে, তিনি [সরকারের] মনোনীত প্যানেলভুক্ত ব্যক্তি অথবা পক্ষদ্বয় কর্তৃক স্বীকৃত যেকোন ব্যক্তি হতে পারেন।

[(৩) উপধারা (১) অনুসারে সালিশের কাছে বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণের তারিখ থেকে তিরিশ দিনের মধ্যে অথবা পক্ষদ্বয়ের সম্মতিক্রমে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সালিশ তাঁর রোয়েদাদ (award) দেবেন।

(৪) সালিশ তাঁর রোয়েদাদ দেয়ার পর পক্ষগণকে এবং [সরকার]-এর কাছে রোয়েদাদের কপি পাঠাবেন। [সরকার] এটি সরকারী গেজেটে প্রকাশ করবেন।

(৫) সালিশের রোয়েদাদ চুড়ান্ত (final) হবে এবং এর বিরুদ্ধে কোন আপীল চলবে না। এটি সালিশ কর্তৃক বিনির্দিষ্ট অনধিক দু'বছর সময়ের জন্য বৈধ থাকবে।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ২৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারার শর্ত ও অধিকতর শর্তটি সংযোজিত।

২. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯নং আইন) দ্বারা বন্ধনীর ভিতর শব্দসমূহ সংযোজিত।

৩. উপরোক্ত আইন দ্বারা শর্তটি সংযোজিত।

৪. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ এবং ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

৫. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (৫) উপধারাটি যুক্ত।

৬. উপরোক্ত অধ্যাদেশ দ্বারা মূল (৩) উপধারাটি প্রতিস্থাপিত।

 

৩২। ধর্মঘট ও লক-আউট  (Strike and lock-out)  

(১) মধ্যস্থতা কার্যক্রম (Conciliation proceeding) চলাকালে কোন মীমাংসায় উপনীত না হতে পারলে এবং বিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ যদি বিরোধটি ৩১ ধারা মোতাবেক সালিশের (arbitrator) -এর কাছে পাঠাতে সম্মত না হন, তবে [২৮ ধারা অনুসারে প্রদত্ত নোটিশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অথবা] [আপোস প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মধ্যস্থ কর্তৃক সার্টিফিকেট দেয়ার পর] যেটি পরে হয়, ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ অনুসারে শ্রমিকগণ ধর্মঘট বা ক্ষেত্রবিশেষে, মালিকগণ লক-আউট ঘোষণা করতে পারেন।

[(১-ক) বিরোধের সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ, ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হওয়ার আগে অথবা পরে, যেকোন সময় বিরোধীয় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সেটি যৌথ আবেদনের মাধ্যমে শ্রম আদালতে প্রেরণ করতে পারবেন।]

(২) কোন ধর্মঘট বা লক-আউট ৩০ দিনের বেশি স্থায়ী হলে [সরকার] লিখিত নির্দেশ দ্বারা সে ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন।

[শর্ত হচ্ছে [সরকার] যদি মনে করেন যে উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউটের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কষ্ট গুরুতর আকার ধারণ করেছে অথবা এর ফলে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে, তবে তিরিশ দিন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই, যেকোন সময় [****] সংশ্লিষ্ট ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন।]

(৩) যেক্ষেত্রে [সরকার] কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন সেক্ষেত্রে বিরোধটি তৎক্ষণাৎ নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে প্রেরণ করবেন।

শর্ত হচ্ছে, শ্রম আদালত বিরোধের যেকোন বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন রোয়েদাদ (interim award) দিতে পারেন।

আরও শর্ত হচ্ছে, শ্রম আদালত কর্তৃক রোয়েদাদ দিতে বিলম্ব হলে সেজন্য শ্রম আদালতের রোয়েদাদের বৈধতা ক্ষুন্ন হবে না।

(৫) শ্রম আদালতের রোয়েদাদ এতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বহাল থাকবে, তবে তা দু'বছরের বেশি সময়ের জন্য হবে না।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [লক-আউট বা ধর্মঘটের নোটিশ অনুসারে] শব্দাবলীর পরিবর্তে [২৮ ধারা অনুসারে প্রদত্ত নোটিশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অথবা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৭৮ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯নং আইন) দ্বারা কতিপয় শব্দের পরিবর্তে তৃতীয় বন্ধনীর ভিতরের শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (১ক) উপধারাটি সংযোজিত।

৪. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮নং আদেশ এবং ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

৫.  ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা শর্তটি সংযোজিত।

৬. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮নং আদেশ এবং ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [কেন্দ্রীয় সরকার] শব্দাবলীর পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

৭. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ব অনুমতিক্রমে] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।

 

৩২-ক। [***]

 

৩২-খ। [***]

 

৩৩। জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট বা লক-আউট (Strike and lock-out in Public Utility Services)  

(১) জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে [সরকার] লিখিত নির্দেশ জারি করে ধর্মঘট বা লক-আউট হওয়ার আগে যেকোন সময় সংশ্লিষ্ট ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন।

(২) ৩২ ধারার উপধারা (৩), (৪) ও (৫) উক্ত ধারার (২)-এর বেলায় যেভাবে প্রযোজ্য, ঠিক সেভাবে উপরোক্ত (১) উপধারা অনুসারে প্রদত্ত নির্দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

 

[৩৪। শ্রম আদালতে আবেদন (Application to labour Court)

কোন রোয়েদাদ বা মীমাংসা দ্বারা বা কোন আইন মোতাবেক যার বা তার প্রতি প্রদত্ত বা অর্জিত কোন অধিকার কাযর্যকর করার জন্য যেকোন যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি বা যেকোন মালিক বা যেকোন শ্রমিক শ্রম আদালতে আবেদন পেশ করতে পারেন।]

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ব অনুমতিক্রমে] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।

২. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৩২-ক এবং ৩২-খ ধারা দুটি বিলুপ্ত।

 

শ্রম আদালতসমূহ ইত্যাদি

[Labour Courts etc.]

 

৩৫। শ্রম আদালত (Labour Court)  

(১) [সরকার] সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিজের বিবেচনায় যতগুলো শ্রম আদালত প্রয়োজন ততগুলো শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এবং কোথাও একাধিক শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে এ অধ্যাদেশের অধীনে এদের প্রত্যেকের ক্ষমতাভুক্ত এলাকা সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপিত করবেন।

[(২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানকে পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশ্যে দু'জন সদস্য নিযুক্ত হবেন। এদের একজন মালিক পক্ষের এবং অপরজন শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করবেন।]

(৩) কেবল [হাইকোর্ট বিভাগের] জজ বা অতিরিক্ত জজ অথবা জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা আছেন কিংবা অনুরূপ পদে নিযুক্তির যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ লাভের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

[(৪) সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দুটি প্যানেল গঠন করবেন যার একটি গঠিত হবে মালিকদের প্রতিনিধি এবং অন্যটি শ্রমিকদের প্রতিনিধি নিয়ে, প্রতিটি প্যানেল অনধিক পাঁচ ব্যক্তি নিয়ে গঠিত হবেঃ

শর্ত হচ্ছে, সরকার অনুরূপ প্যানেল প্রতি দু'বছর পরপর পুনর্গঠন করবেন, তবে উপরোক্ত দু'বছর মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও নতুন প্যানেল না হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ প্যানেলে বহাল থাকবে;]

[(৪-ক) চেয়ারম্যান, সুনির্দিষ্ট শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত মোকদ্দমার বিচার, তদন্ত, সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা নিযুক্তির জন্য (৪) উপধারা মোতাবেক গঠিত দু'টি প্যানেলের প্রত্যেকটি থেকে একজন করে ব্যক্তিকে মনোনীত করবেন এবং অনুরূপ মনোনীত ব্যক্তিবর্গ ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে উক্ত নির্দিষ্ট শিল্প বিরোধ বিষয়ে শ্রম আদালত গঠিত হয়েছে বলে গণ্য হবেঃ

শর্ত হচ্ছে, শ্রম আদালতে বিচারাধীন একাধিক মোকদ্দমার ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্যানেলসমূহের মধ্যে থেকে যেকোন সদস্যকে মনোনীত করতে পারবেন।]

(৫) [নিম্নোক্ত বিষয়ে শ্রম আদালতের একচ্ছত্র এখতিয়ার থাকবে]

[(ক) অত্র অধ্যাদেশ মোতাবেক এর কাছে আনীত বা প্রেরিত শিল্প বিরোধের বিচার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন;]

(খ) মীমাংসার শর্তসমূহ কার্যকরকরণ অথবা ভংগকরণ সংক্রান্ত যেকোন বিষয় [সরকা] উত্থাপন করলে সে সকল বিষয়ে তদন্ত ও বিচার করবেন;

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দটি প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২নং আইন) দ্বারা (২) উপধারাটি প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২নং আইন) দ্বারা [হাইকোর্ট] শব্দগুলোর পরিবর্তে [হাইকোর্ট বিভাগ] শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।

৪. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৪ উপধারাটি প্রতিস্থাপিত।

৫. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা (৪ক) উপধারাটি সংযোজিত।

৬. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা [শ্রম আদালত] শব্দাবলীর পরিবর্তে বন্ধনীর ভেতর শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত।

৭. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক সংশোধনী অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা উপধারা (৫) এর মূল (ক) অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত।

(গ) অত্র অধ্যাদেশের অধীন কৃত অপরাধের [এবং[সরকার] কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্ট অন্য যেকোন আইনের অধীনে কৃত অপরাধের] বিচার করবেন;

(ঘ) অত্র অধ্যাদেশ দ্বারা বা অধ্যাদেশের অধীনে অথবা [অন্য যেকোন আইনের অধীন] ন্যস্ত বা প্রাপ্ত অন্য যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।

(৬) ১৯২৩ সনের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আইনের (১৯২৩ সনের ৭নং আইন) অথবা ১৯৩৬ সনের মজুরী পরিশোধ আইনে (১৯৩৬ সনের ৪নং আইন) যাই বলা হয়ে থাক না কেন সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে [সরকার] কোন শ্রম আদালতকে উপরোক্ত আইনসমূহের অধীনে যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার ন্যস্ত করে উক্ত আইনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করতে পারবেন এবং সংশ্লিষ্ট আইন অনুসারে শ্রম আদালত অনুরূপ কর্তৃপক্ষ বিবেচিত হবেন এবং উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন না।

[(৭) শ্রম আতালতের কোন সদস্য যদি আদালতের কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকেন অথবা অন্য কোন কারণে উপস্থিত হতে অক্ষম হন তাহলেও আদালতের কাজ অব্যাহতভাবে চলতে পারবে এবং সদস্যের অনুপস্থিতিতে আদালত তার সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করতে পারবেন এবং কেবলমাত্র কোন সদস্যের [অনুরূপ অনুপস্থিতি বা শূন্যতার কারণে অথবা শ্রম আদালত গঠনের কোন ত্রুটির] অজুহাতে আদালতের কোন কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত বা কোন রোয়েদাদ বাতিল হবে না বা এর বৈধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা যাবে না।]

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [এবং .. অপরাধের] শব্দাবলী সংযোজিত।

২. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দটি প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [অন্য যেকোন আইনে অধীনে] শব্দগুলো সংযোজিত।

৪. ১৯৭০ সনের ১৯ অধ্যাদেশ দ্বারা (৭) উপধারাটি সংযোজিত।

৫. ১৯৯৩ সনের ২২নং আইন দ্বারা (অনুরূপ অনুপস্থিত] শব্দগুলোর পরিবর্তে [অনুরূপ অনুপস্থিতি অথবা শূন্যতার কারণে অথবা শ্রম আদালত গঠনের কোন ত্রুটির] শব্দগুলো ও কমাগুলো প্রতিস্থাপিত।

 

৩৬। শ্রম আদালতের ক্ষমতা ও কার্যপ্রণালী (Procedure and powers of Labour Court)

(১) অত্র অধ্যাদেশের বিধানসাপেক্ষে শ্রম আদালত যতদূর সম্ভব ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধিতে (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।

(২) শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে শ্রম আদালত দেওয়ানী আদালত হিসেবে গণ্য হবেন এবং নিম্নোক্ত ক্ষমতাসমূহসহ ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধি (১৯০৮ সনের ৫নং আইন)-তে ঐ আদালতকে যে সকল ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তার সর্ব ক্ষমতাই শ্রম আদালতের বেলায় প্রযোজ্য হবেঃ

(ক) কোন ব্যক্তির আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং শপথনামা পাঠ করিয়ে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা;

(খ) দলিলপত্র ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আদালতে হাজির করতে বাধ্য করা; [**]

(গ) সাক্ষী ও দলিলপত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কমিশন নিয়োগ করা; এবং

[(ঘ) আদালতের সমীপে কোন পক্ষ উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে একতরফা সিদ্ধান্ত দেয়া।]

[(২-ক) শ্রম আদালত যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে বিরোধটি পারস্পরিকভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে, তবে কার্যক্রমের যেকোন পর্যায়ে মোকদ্দমার সকল পক্ষগণের স্বাক্ষরিত আবেদন বিবেচনা করে ও সকল পক্ষকে বা যেকোন পক্ষকে শুনানি দিয়ে, মোকদ্দমাটি প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারেন।]

(৩) অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ বিচারের সময় শ্রম আদালত ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) অধীনে প্রথম শ্রেণীর ম্যজিষ্ট্রেটের আদালতের সমান ক্ষমতা ভোগ করবেন এবং এর প্রদত্ত দণ্ডাদশের বিরুদ্ধে আপীল করার সময় একে উক্ত কার্যবিধির অধীনে দায়রা আদালত হিসেবে গণ্য করতে হবে।

(৪) শ্রম আদালতে মামলা দায়ের ও রেকর্ডপত্র বা দলিল-দস্তাবেজ একজিবিট করার জন্য বা কোন দলিল গ্রহণ করার জন্য কোন কোর্ট ফি দিতে হবে না।

 

১. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ৩৯নং আইন দ্বারা [এবং] শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে।

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা (গ) অনুচ্ছেদের পর [এবং] শব্দ সংযোজিত এবং (ঘ) অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২নং আইন) দ্বারা নতুন (২-ক) উপধারাটি সংযোজিত।

 

৩৭। শ্রম আদালতের রোয়েদাদ ও সিদ্ধান্ত (Awards and decisions of Labour Court)

[(১) শ্রম আদালতের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে আদালতে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে এবং এর দু'টি কপি সাথে সাথে সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে।]

[(১-ক) বিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ লিখিতভাবে সময়সীমা বর্ধিত করার সম্মতি না দিলে প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রম আদালতকে মামলা দায়ের করার দিন থেকে ষাট দিনের মধ্যে রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত প্রকাশ করতে হবে।

শর্ত থাকে যে, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র বিলম্বের জন্য বাতিল হবে না।]

(২) [সরকার] উক্ত রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্তের কপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তা সরকারী গেজেটে প্রকাশ করবেন।

(৩) উপধারা (১) অনুসারে প্রদত্ত ''রোয়েদাদের'' দ্বারা কোন পক্ষ বিক্ষুদ্ধ হলে রোয়েদাদ প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল আবেদন পেশ করতে পারবেন। উক্ত আপীলের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

(৪) অত্র ধারার (৩) উপধারায় উল্লিখিত রোয়েদাদ এবং ৩৬ ধারার (৩) উপধারায় উল্লিখিত দণ্ডাদেশ ছাড়া শ্রম আদালতের সকল সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে এবং এর বিরুদ্ধে অন্য কোন আদালতে বা কর্তৃপক্ষের কাছে আপীল করা যাবে না। অথবা এর বিরুদ্ধে অন্য কোন আদালতে বা কর্তৃপক্ষ সমীপে কোনভাবেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

 

৩৮। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল (Labour Appellate Tribunal)  [(১) এ অধ্যাদেশের উদ্দেশ্যে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এক বা একাধিক শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবেন।

[(১-ক) একাধিক শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিটি ট্রাইব্যুনাল যে এলাকার উপর এখতিয়ার প্রয়োগ করবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেবেন।]

[(২) হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা অতিরিক্ত বিচারক পদে অধিষ্ঠিত বা অধিষ্ঠিত আছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিযুক্ত একজন সদস্য নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গটিত হবে।

[(২-ক) ট্রাইব্যুনালের সদস্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিতব্য শর্তাবলীর ভিত্তিতে উক্ত পদে বহাল থাকবেন।]

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (১) উপধারাটি প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯ নং আইন) দ্বারা (১ক) উপধারাটি সংযোজিত।

৩. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮নং আদেশ দ্বারা এবং ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার]-এর পরিবর্তে [সরকার] শব্দটি প্রতিস্থাপিত।

৪. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা উপধারা (১) প্রতিস্থাপিত।

৫. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা উপধারা (১-ক) উপধারা সংযোজিত।

৬. উপরোক্ত আইন দ্বারা উপধারা (২) এর স্থলে (২) এবং (২ক) উপধারা প্রতিস্থাপিত।

 

(৩) ট্রাইব্যুনাল তাঁর কাছে পেশকৃত আপীল বিবেচনার পর শ্রম আদালতের রোয়েদাদ বহাল রাখতে বা বাতিল করতে কিংবা সংশোধন বা রদবদল করতে পারবেন এবং অন্য কোন বিকল্প না থাকলে এ অধ্যাদেশের যাবতীয় ক্ষমতা শ্রম আদালতের উপর প্রয়োগ করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত আপীল দায়ের করার ৬০ দিনের মধ্যে, যত শীঘ্র সম্ভব প্রদান করতে হবে;

শর্ত হচ্ছে বিলম্ব হওয়ার কারণে এর কোন সিদ্ধান্ত অসিদ্ধ হবে না।

[(৩ক)] শ্রম আদালত কর্তৃক কোন শ্রমিকের পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল দায়ের করা হলে ট্রাইব্যুনাল (৩) উপধারার যেকোন বিধান সত্ত্বেও আপীল দায়েরের তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে অনুরূপ আপিল নিষ্পত্তি করবেন এবং এই সময়ে ট্রাইব্যুনাল শ্রম আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারবেন এবং উপরোক্ত সময়ের মধ্যে যদি আপীলটি নিষ্পত্তি না হয় তবে উক্ত সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের আদেশটি অকার্যকর হয়ে যাবে।]

(৪) যেরূপ নির্ধারণ করা হবে ট্রাইব্যুনাল সেরূপ কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করবেন।

[(৪-ক) ট্রাইব্যুনাল স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এবং শ্রম আদালতে আদেশের সঠিকাতা, আইনানুগতা বা কর্তৃত্ব সম্পর্কে নিজের সন্তুষ্টির জন্য এ অধ্যাদেশের অধীনে যেকোন মোকদ্দমা বা কার্যক্রমের রেকর্ড চেয়ে পাঠাতে পারবেন এবং নিজ বিবেচনামতে যেকোন আদেশ দিতে পারবেনঃ

শর্ত হচ্ছে, যেকোন ব্যক্তিকে শুনানির জন্য যুক্তিসংগত সময় না দিয়ে তার প্রতিকূলে বা তার বিরুদ্ধে এ উপধারা মোতাবেক বা পরিবর্তনমূলক কোন আদেশ দিতে পারবেন না।]

(৫) ট্রাইব্যুনাল তাঁর নিজের আপীল এখতিয়ারের অধীনস্থ কোন শ্রম আদালতের কর্তৃত্বের অবমাননা করা হলে তার দণ্ড দিতে পারবেন এবং এ ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল হাইকোর্টের সমান মর্যাদা ভোগ করবেন।

(৬) উপধারা (৫) অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কোন ব্যক্তিকে যেকোন মেয়াদের কারাদণ্ড অথাব [এক হাজার] টাকার বেশি জরিমানা প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হাইকোর্টে আপীল করতে পারবেন।

 

৩৯। নিষ্পত্তি এবং রোয়েদাদ কার উপর বাধ্যতামূলক (Settlement and awards on whom binding)

(১) মধ্যস্থতার মাধ্যমে লব্ধ নিষ্পত্তি অথবা ৩১ ধারা মোতাবেক প্রকাশিত কোন সালিশের রোয়েদাদ অথবা ৩৭ ধারা অনুসারে শ্রম আদালতের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত [অথবা ৩৮ ধারা মোতাবেক ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্ত]

(ক) শিল্প বিরোধে জড়িত সকল পক্ষের উপর বাধ্যতামূলক হবে;

(খ) অন্যান্যদের সম্পর্কে আদালত সুনির্দিষ্টভাবে ভিন্ন কিছু উল্লেখ না করলে শিল্প বিরোধের সাথে জড়িত থাকার জন্য শ্রম আদালত অন্যান্য যেসব পক্ষকে আদালতে শুনানীর জন্য তলব করেছেন তাদের উপরও বাধ্যতামূলক হবে;

(গ) শিল্প বিরোধের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক উক্ত বিরোধের অন্যতম পক্ষ হয়ে থাকলে মালিকের বংশধর বা উত্তরাধিকারীদের উপর বাধ্যতামূলক হবে; এবং

(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি বিরোধের পক্ষ হয়ে থাকলে বিরোধ উত্‍পত্তির তারিখে যে সকল কর্মচারী উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ছিলেন এবং এর পরে যারা নিযুক্ত হয়েছেন তাদের উপর বাধ্যতামূলক হবে।

 

১. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা উপধারা (৩-ক) উপধারা সংযোজিত।

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা নতুন (৪-ক) উপধারা সংযোজিত।

৩. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২ নং আইন) দ্বারা [পঞ্চাশ টাকা] শব্দাবলীর পরিবর্তে [এক হাজার টাকা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।

৪. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৭০ সনের ১৯নং আইন দ্বারা [অথবা ৩৮ ধারা মোতাবেক ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্ত] শব্দাবলী সংযোজিত।

(২) মধ্যস্থতা কার্যক্রম ছাড়া শুধু মালিক ও ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে মতৈক্যের (Agreement) ভিত্তিতে কোন নিষ্পত্তি হয়ে থাকলে চুক্তির পক্ষসমূহের উপর উক্ত নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক হবে।

 

৪০। নিষ্পত্তি, রোয়েদাদ ইত্যাদি কার্যকর হওয়ার তারিখ (Effective date of settlement, award etc)  (১) নিষ্পত্তি কার্যকরী হবেঃ

(ক) বিরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ সর্বসম্মতভাবে কোন তারিখ নির্দিষ্ট করে থাকলে এ তারিখে; এবং

(খ) তারিখ নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে তারা সম্মত না হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ যে তারিখে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করছেন সে তারিখ থেকে।

(২) বিরোধের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ যতদিনের জন্য সম্মত হবেন ততদিনই নিষ্পত্তি তাদের জন্য অবশ্যপালনীয় হবে এবং তারা কোন মেয়াদ নির্ধারণে সম্মত না হতে পারলে নিষ্পত্তি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত এবং উক্ত এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কোন এক পক্ষ চুক্তি পালনে অনিচ্ছা প্রকাশ করতঃ লিখিতভাবে জানানোর তারিখ থেকে পরবর্তী দু'মাস পর্যন্ত এটি অবশ্যপালনীয় থাকবে।

(৩) ৩৭ ধারার (১) উপধারা অনুসারে প্রদত্ত রোয়েদাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আপীল না করা হলে রোয়েদাদে উল্লিখিত নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অনধিক দু'বছর কার্যকরী থাকবে। সালিশ, শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনাল রোয়েদাদে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাবি কবে থেকে এবং কোন তারিখ পর্যন্ত কিভাবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ করবেন।

শর্ত হচ্ছে, উল্লিখিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই যদি রোয়েদাদের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা বা এর মেয়াদ হ্রাসের জন্য কোন এক পক্ষ শ্রম আদালতে আবেদন করে বলেন যে, যে অবস্থার উপর ভিত্তি করে উক্ত রোয়েদাদ প্রদান করা হয়েছিল তার মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে, তবে সে অবস্থায় অপর পক্ষের বক্তব্য শ্রবণের পর শ্রম আদালত ইচ্ছা করলে নতুন নির্দেশ জারি করে নির্দেশে উল্লিখিত কোন তারিখে রোয়েদাদের কার্যকারিতার মেয়াদ সমাপ্ত করে দিতে পারেন।

(৪) ৩৮ ধারায় (৩) উপধারা অনুসারে আপীল আবেদনের উপর ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের রোয়েদাদ প্রদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। '

(৫) উপধারা (৩) মোতাবেক কোন রায়ে (award) কার্যকারিতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কোন এক পক্ষ অপর পক্ষের কাছে নিজের অসম্মতির কথা লিখিতভাবে জানানোর তারিখ থেকে পূর্ববর্তী দু'মাস পর্যন্ত রায় মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ বাধ্য থাকবেন।

 

৪১। মধ্যস্থতা কার্যক্রম  শুরু ও সমাপ্তি (Commencement and conclusion of proceeding) (১) ২৮ ধারা মোতাবেক মধ্যস্থ যে তারিখে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিস পেয়েছেন সে তারিখ থেকেই মধ্যস্থতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে ধরতে হবে।

(২) মধ্যস্থতা কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে বলে গণ্য হবেঃ

(ক) যেক্ষেত্রে পক্ষগণ নিষ্পত্তিতে উপনীত হয়েছে সেক্ষেত্রে বিরোধে জড়িত পক্ষগণ কর্তৃক নিষ্পত্তির স্মারকে স্বাক্ষর করার তারিখ থেকে; এবং

(খ) যেক্ষেত্রে কোন নিষ্পত্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নিঃ

(i) ৩১ ধারা মোতাবেক বিরোধটি কোন সালিশের (arbitrator) কাছে পাঠানো হয়ে থাকলে সালিশ যে তারিখে রোয়েদাদ দান করবেন সে তারিখ থেক অথবা অন্যথায়

(ii) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ থেকে।

(৩) শ্রম আদালতে উত্থাপিত কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে ধরতে হবেঃ

(ক) শিল্প বিরোধের ক্ষেত্রে [৩২ ধারা অথবা] ৩৪ ধারা অনুসারে যে তারিখে আবেদন পেশ করা হয়েছে অথবা ৩২ ধারা ৩৩ ধারা অনুসারে [সরকার] এটি যে তারিখে শ্রম আদালতে প্রেরণ করেছেন;

এবং

(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে যে তারিখে এটি শ্রম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

(৪) আদালতের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত ৩৭ ধারার উপধারা (১) অনুসারে যে তারিখে প্রদত্ত হয়েছে সে তারিখে শ্রম আদালতে মোকদ্দমার কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে বলে ধরতে হবে।

 

৪২। কতিপয় বিষয় গোপন রাখতে হবে (Certain matters to be kept confidential)  

কোন ট্রেড ইউনিয়ন বা কোন বিশেষ কারবার (এটি কোন ব্যক্তি, ফার্ম বা কোম্পানী দ্বারা পরিজালিত হোক বা না হোক) সম্পর্কে রেজিষ্ট্রার, শালিস (arbitrator) শ্রম আদালত, মধ্যস্থ (conciliator) বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তদন্ত বা অনুসন্ধান চলাকালে সংগ্রহ করা কোন তথ্য বা ঐ কর্তৃপক্ষের সম্মুখে প্রদত্ত সাক্ষ্যের মাধ্যম ছাড়া অন্যভাবে পাওয়া যায় না তা গোপনীয় বলে গণ্য হবে এ মর্মে সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যক্তি, ফার্ম বা কোম্পানী ঐ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুরোধ জানিয়ে থাকলে এ অধ্যাদেশ মোতাবেক এসব তথ্য কোন রিপোর্ট, রায় বা সিদ্ধান্তের অন্তর্ভুক্ত হবে না; অথবা ঐ ট্রেড ইউনিয়নের সেক্রেটারী বা ক্ষেত্রবিশেষ ঐ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ফার্ম বা কোম্পানীর লিখিত সম্মতি ছাড়া এরূপ কোন তথ্য ঐ মামলায় প্রকাশ করা যাবে না।

শর্ত হচ্ছে, দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন)-এর ১৯৩ ধারা মোতাবেক আদালতে অভিযোগ দায়েরের উদ্দেশ্যে এ ধারার কোন কিছুই ঐরূপ কোন তথ্য প্রকাশ করার ব্যাপারে প্রযোজ্য হবে না।

 

৪৩। শিল্প বিরোধ উত্থাপন (Raising of industrial disputes)  

যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক [অথবা মালিক] কর্তৃক নির্ধারিত পন্থায় উত্থাপন না করা হলে কোন শিল্প বিরোধের অস্তিত্ব আছে বলে বিবেচিত হবে না।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা (৩২ধারা অথবা শব্দাবলী সংযোজিত।

২. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] এর পরিবর্তে [সরকার] শব্দটি প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮নং আদেশ দ্বারা পাকিস্তান দন্ডবিধির নাম থেকে পাকিস্তান শব্দ বাদ এবং তত্‍ প্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সনের ৩৫নং আইন দ্বারা (পাকিস্তান দন্ডবিধি) শব্দের পরিবর্তে।

৪. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯ নং অধ্যাদেশ) অধ্যাদেশ দ্বারা [অথবা মালিক] শব্দাবলী সংযোজিত।

 

৪৪। মধ্যস্থতা কার্যক্রম চলাকালীন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারিতে নিষেধাজ্ঞা (Prohibition on serving notice of strike or lock-out while proceedings pending)  কোন মধ্যস্থতা কার্যক্রম চলাকালে অথবা সালিশ বা শ্রম আদালতের কাছে কোন কার্যক্রম অথবা ৩৮ ধারার (৩) উপধারা অনুসারে ট্রাইব্যুনালে আপীল আবেদন হিসেবে সংশ্লিষ্ট শিল্প বিরোধের যেকোন বিষয়ে বিচারাধীন থাকাকালে উক্ত শিল্প বিরোধের সাথে জড়িত কোন পক্ষ সংশ্লিষ্ট শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত বিষয়ে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ দিতে পারবেন না।

 

৪৫। ধর্মঘট ও লক-আউট ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণে শ্রম আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা (Powers of Labour Court and Tribunal to prohibit strike etc.)  

যেক্ষেত্রে কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে শ্রম আদালতে ৩৪ ধারা মোতাবেক কোন দরখাস্ত পেশ করা বা মুলতবী থাকার সময় [**] সে শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র করে কোন ধর্মঘট বা লক-আউট আরম্ভ হয়ে গেছে এবং ঐ বিরোধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হয়ে থাকলে অথবা চলতে থাকলে শ্রম আদালত লিখিত আদেশ জারি করে উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন।

(২) কোন শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ের আপীল আবেদন ৩৮ ধারা মোতাবেক ট্রাইব্যুনালে উত্থাপিত হয়ে থাকলে আপীল দায়েরের তারিখ উক্ত একই শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হয়ে থাকলে বা চলতে থাকলে ট্যাইব্যুনাল লিখিত আদেশ জারি করে উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন।

 

৪৬। বেআইনী ধর্মঘট ও লক-আউট (Illegal strikes and lock-out)

 (১) ধর্মঘট বা লক-আউট বেআইনী হবে যদিঃ

(ক) বিরোধে জড়িত অপর পক্ষের উপর নির্ধারিত পন্থায় ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারি না করে অথবা ধর্মঘট বা লক-আউট হওয়ার আগে নোটিশে ধর্মঘটের বিষয় উল্লেখ না করে অথবা ৪৪ ধারা লংঘন করে যদি তা ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা চালিয়ে যাওয়া হয়; অথবা

(খ) ৪৩ ধারার বিধান মোতাবেক ছাড়া অন্য যেকোন পন্থায় উদ্ভূত শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র করে তা ঘোষিত হলে শুরু করা হলে অথবা চালিয়ে যাওয়া হলে; অথবা

(গ) ৩২ ধারা [৩৩ ধারা] অথবা ৪৫ ধারাবলে প্রদত্ত আদেশ লংঘন করে তা চালিয়ে গেলে;

(ঘ) কোন মীমাংসা বা রোয়েদাদ কার্যকরী থাকাকালে মীমাংসা বা রোয়েদাদ সংক্রান্ত যেকোন বিষয়কে কেন্দ্র করে তা ঘোষিত হলে শুরু করা হলে বা চালিয়ে যাওয়া হলে।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [৩২ অথবা ৩৩ ধারা অনুসারে প্রেরিত] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।

২. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ দ্বারা [৩৩ ধারা] শব্দটি সংযোজিত।

(২) কোন বেআইনী ধর্মঘটের পরিণতি হিসেবে ঘোষিত লক-আউট এবং কোন বেআইনী লক-আউটের পরিণতি হিসেবে ঘোষিত ধর্মঘট বেআইনী বলে গণ্য হবে না।

 

৪৭। কার্যক্রম মুলতবী থাকাকালীন চাকরির শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে (Conditions of service to remain unchanged while proceedings pending)  

(১) কোন শিল্প বিরোধ সম্পর্কে সালিশী কার্যক্রম অথবা মধ্যস্থের কাছে শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত কার্যক্রম মুলতবী থাকাকালীন কোন মালিক শালিসী কার্যক্রম অথবা ক্ষেত্রবিশেষে, মধ্যস্থের কাছে শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলা আরম্ভের আগে কোন শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চাকরির শর্তাবলী তার অসুবিধা ঘটিয়ে পরিবর্তন করতে পারেবন না অথবা তিনিঃ

(ক) কোন সালিশী কার্যক্রম মুলতবী থাকাকালীন শালিশী (arbitrator) -এর অনুমতি ছাড়া; অথবা

(খ) মধ্যস্থ (conciliator) -এর কাছে শ্রম আদালতে ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলা কার্যক্রম মুলতবী থাকার সময় মধ্যস্থ, শ্রম আদালত অথবা ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া, ঐ বিরোধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এরূপ অসদাচরণ ছাড়া কোন শ্রমিককে কর্মচ্যুত (Discharge), বরখাস্ত (dismiss) বা [অন্য কোনভাবে দণ্ড দিতে বা তার চাকরির অবসান ঘটাতে] পারবে না।

(২) (১) উপধারায় কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও (১) উপধারায় উল্লিখিত কোন কার্যক্রম মুলতবী থাকাকালীন কোন রেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তাকে শ্রম আদালতের পূর্বে অনুমতি ছাড়া অসদাচরণের জন্য কর্মচ্যুতি, বা [অন্য কোন রকমে শাস্তি প্রদানে বা তার চাকরির অবসান] করা যাবে না।

 

[৪৭-ক। রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন মুলতবী থাকাকালীন চাকরির শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকেব (Conditions of service to remain unchanged while application for registration pending)

কোন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ৫ ধারা মোতাবেক কোন আবেদন মুলতবী থাকাকালীন সময়ে কোন মালিক, রেজিষ্ট্রারের পূর্ব অনুমতি ছাড়া, কোন শ্রমিক, যিনি এরূপ ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক দরখাস্ত পাওয়ার আগে চাকরির যে শর্ত তার প্রতি প্রযোজ্য ছিল তা পরিবর্তন করতে পারবেন না।]

 

১. ১৯৮৫ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৮৫ সনের ১৫ অধ্যাদেশ) দ্বারা [অন্য কোনভাবে দণ্ড দিতে] শব্দাবলীর পরিবর্তে [অন্য কোনভাবে দণ্ড দিতে বা তার চাকরির অবসান ঘটাতে] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৮৫ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৮৫ সনের ১৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৪৭-ক ধারা সংযোজিত।

 

[৪৭-খ। সভাপতি বা সম্পাদককে বদলী করা যাবে না (President and Secretary not to be transferred) : ট্রেড ইউনিয়নের [সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে] তার সম্মতি ছাড়া একস্থান থেকে অন্য স্থানে বদলী করা যাবে না।

 

৪৮। কতিপয় ব্যক্তির রক্ষাকবচ (Protection of certain persons)  

(১) কোন ব্যক্তি কোন বেআইনী ধর্মঘটে বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করতে বা অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে অস্বীকার করলে উক্ত অস্বীকৃতির কারণে তাকে কোন ট্রেড ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কার করা যাবে না, বা কোন জরিমানা করা যাবে না বা কোন অধিকার যা তিনি বা তার কোন প্রতিনিধি ভোগ করেন, তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, অথবা ট্রেড ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে পারে এমন কোন অবস্থার মধ্যে তাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফেলা যাবে না।

(২) উপধারা (১)-এর বিধান কোনভাবে লংঘন করা হলে সেটি শিল্প বিরোধের বিষয়বস্তুতে পরিণত হতে পারে এবং ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে নির্বাহী কমিটি ও সদস্যদের মধ্যকর বিরোধ নিষ্পত্তির যে ব্যবস্থাই থেকে থাক না কেন তা উপধারা (১)-এর বর্ণিত কার্যধারায় অধিকার বা সুবিধার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অনুরূপ কোন আবেদনের বিচারকালে শ্রম আদালত ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক বহিষ্কৃত ব্যক্তির সদস্যপদ পুনরুদ্ধারের নির্দেশ প্রদানের পরিবর্তে ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক বহিষ্কৃত ব্যক্তির সদস্যপদ পুনরুদ্ধারের নির্দেশ প্রদানের পরিবর্তে ট্রেড ইউনিয়নের তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ প্রদানের ও পূরণের আদেশও দিতে পারেন।

 

৪৯। পক্ষগণের প্রতিনিধিত্ব (Representation of parties)

(১) শিল্প বিরোধে জড়িত যেকোন শ্রমিক ও অধ্যাদেশের অধীনে যেকোন মামলায় যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি যেকোন কর্মকর্তার মাধ্যমে নিজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে এবং যেকোন মালিক উপধারা (২) ও উপধারা (৩) সাপেক্ষে তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন ব্যক্তির মাধ্যমে নিজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।

(২) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক পরিচালিক যেকোন মধ্যস্থ কার্যক্রমে কোন পক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।

(৩) ক্ষেত্র অনুসারে, সংশ্লিষ্ট আদালতের বা সালিশের অনুমতিক্রমে শিল্প বিরোধে জড়িত যেকোন পক্ষ শ্রম আদালতে বা সালিশের কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের প্রতিনিধিত্ব করাতে পারবেন।

 

১. উক্ত অধ্যাদেশে (১৯৮৫ সনের ১৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৪৭-খ ধারাটি সংযোজিত এবং পরবর্তীতে ১৯৯০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯০ সনের ২২ নং আইন দ্বারা) ধারাটি প্রতিস্থাপিত।

 

৫০। চুক্তি ও রোয়েদাদের ব্যাখ্যা (Interpretation of settlement and awards)

(১) কোন রোয়েদাদ বা মীমাংসার ব্যাখ্যা নিয়ে অসুবিধা বা সন্দেহ সৃষ্টি হলে তা এ অধ্যাদেশের অধীনে গঠিত ট্রাইব্যুনালের কাছে পেশ করতে হবে।

(২) উপধারা (১) অনুসারে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রেরিত বিষয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে তাদের বক্তব্য পেশের সুযোগ প্রদানের পর ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং তার সিদ্ধান্ত পক্ষসমূহের উপর চূড়ান্ত ও অবশ্য পালনীয় হবে।

 

৫১। নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদমূলে কোন মালিকের কাছে প্রাপ্য অর্থ আদায় (Recovery of money due from an employer under a settlement or award)

(১) [সরকার] আবেদনক্রমে যেভাবে বকেয়া ভূমি রাজস্ব বা অন্যান্য সরকারী পাওনা আদায় করা হয় সেভাবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের আবেদনক্রমে সালিশ, শ্রম আদালত বা ট্রাইব্যুনালের মীমাংসা, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত মোতাবেক মালিকের কাছে শ্রমিকের পাওনা টাকা আদায় করা যাবে।

(২) সালিশ, শ্রম আদালত বা ট্রাইব্যুনালের মীমাংসা রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত মোতাবেক মালিকের কাছে শ্রমিকের কিছু সুবিধা পাওনা থাকলে এবং টাকার হিসেবে উক্ত সুবিধার পাওনা উশুল করার উপযোগী হলে, অত্র অধ্যাদেশের অধীনে প্রণীত বিধান সাপেক্ষে উপধারা (১)-এ বর্ণিত বিধান মোতাবেক তা আদায় করে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রদান করা যাবে।

 

৫২। যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি স্থিরীকৃত না হওয়া পর্যন্ত দর-কষাকষি (Collective bargaining till determination of collective bargaining agent)

অত্র অধ্যাদেশের বিধান মোতাবেক কোন কাজ বা দায়িত্ব কোন যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি কর্তৃক সম্পাদিত হওয়ার আবশ্যক থাকলে এবং অত্র অধ্যাদেশের অধীনে কোন যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি নির্ধারিত না হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে মালিক কর্তৃক স্বীকৃত রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন তা সম্পাদন করবেন।

[ব্যাখ্যাঃ এ ধারার উদ্দেশ্যে রেজিষ্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়ন বলতে বুঝাবে অনুরূপ রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মোট শ্রমিকদের এক-তৃতীয়াংশ যার সদস্য রয়েছে]

 

দণ্ডসমূহ ও কার্যপদ্ধতি

[Penalties and Procedure]

 

৫৩। অসত্‍ শ্রম আচরণের শাস্তি (Penalty for unfair labour practices)

(১) কোন ব্যক্তি ১৫ ধারার বিধান লংঘন করলে তাকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

 

১. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ এবং ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] পরিবর্তে [সরকার] শব্দটি প্রতিস্থাপিত।

২. ১৯৯৩ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৯৩ সনের ২২নং আইন) দ্বারা ব্যাখ্যাটি সংযোজিত।

 

(২) কোন শ্রমিক ১৬ ধারার কোন বিধান লংঘন করলে তাকে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা [দু'শ টাকা] জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডিত করা যাবে।

(৩) কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা শ্রমিক নয় এমন কোন ব্যক্তি ১৬ ধারার কোন বিধান লংঘন করলে তাকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা [দু' হাজার টাকা] পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

 

৫৪। চুক্তি ভঙ্গের শাস্তি (Penalty for committing breach of settlement)

এ অধ্যাদেশ মোতাবেক কারো পক্ষে কোন মীমাংসা, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত পালনীয় হলে তিনি যদি এর কোন শর্ত ভংগ করেন তবে তাকে নিম্নোক্ত দণ্ড দেয়া যাবেঃ

(ক) প্রথম বারের অপরাধের জন্য এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা [এক হাজার টাকা] পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড এবং

(খ) পরবর্তী প্রতি অপরাধের জন্য দু'বছর কারাদণ্ড অথবা [এক হাজার টাকা] পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় রকম দণ্ড।

 

৫৫। চুক্তির ইত্যাদি বাস্তবায়নের ব্যর্থতায় শাস্তি (Penalty for failing to implement settlement, etc.)

এ অধ্যাদেশ মোতাবেক কারো উপর কোন মীমাংসা রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার কর্তব্য আরোপিত হলে তিনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তা কার্যকরী করতে ব্যর্থ হন তবে তাকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা [পাঁচশ টাকা] পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে এবং কার্যকরী করতে ক্রমাগত ব্যর্থ হলে প্রথম দিনের পর থেকে প্রতিদিনের জন্য [দু'শ টাকা] পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।

 

৫৬। মিথ্যা বর্ণনা দেয়ার শাস্তি (Penalty for false statements, etc.)

কোন ব্যক্তি যদি এ অধ্যাদেশ অথবা তদধীন প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক বা দলিলপত্রে কোন মিথ্যা বক্তব্য মিথ্যা বলে তিনি বিশ্বাস করেন বা বিশ্বাস করার যুক্তসংগত কারণ রয়েছে এমন কোন বক্তব্য পেশ করেন বা করার অথবা এ অধ্যাদেশ মোতাবেক যেসব তালিকা, দলিল বা তথ্য সংরক্ষণ বা পেশ করার দায়িত্ব রয়েছে এমন কোন তালিকা, দলিল বা তথ্য সংরক্ষণ করতে বা পেশ করতে গাফিলতি করেন বা ব্যর্থ হন তবে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা [পাঁচশ টাকা]১ পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে শাস্তি দেয়া যাবে।

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [রূপী] শব্দটি [টাকা] শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

 

৫৭। বেআইনী ধর্মঘট ও লক-আউটের শাস্তি (Penalty for illegal strike or lock-out)

 (১) কোন শ্রমিক কোন বেআইনী ধর্মঘট আরম্ভ করলে, চালালে, অথবা অন্যভাবে তাতে সহায়তা করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যভাবে তাতে সহায়তা করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা দুশ' টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

(২) কোন মালিক কোন বেআইনী লক-আউট শুরু করলে বা চালিয়ে গেলে বা অন্য কোনভাবে সহায়তা করলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এ অপরাধ অব্যাহতভাবে করে গেলে প্রথম দিনের পর থেকে প্রতিদিনের জন্য দু'শ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

৫৮। বেআইনী ধর্মঘট ও লক-আউটে উস্কানি দেয়ার দণ্ড (Penalty for instigating strike or lock-out)

কোন ব্যক্তি বেআইনী ধর্মঘটে বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণে অন্যদেরকে উস্কানি দিলে বা উত্তেজিত করলে বা উক্ত উদ্দেশ্যে অর্থ সরবরাহ করলে বা অন্য কোনভাবে সহায়তা করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

৫৯। ধীরে চলায় অংশগ্রহণ বা এতে প্ররোচিত করার দণ্ড (Penalty for taking part or instigating go slow)

কোন ব্যক্তি বেআইনী ধর্মঘটে বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণে অন্যদেরকে উস্কানি দিলে বা উত্তেজিত করলে বা উক্ত উদ্দেশ্যে অর্থ সরবরাহ করলে বা অন্য কোনভাবে সহায়তা করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা এক হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ব্যাখ্যাঃ এ ধারায় ধীরে কাজ করা বলতে সে ধরনের তত্‍পরতাকে বুঝানো হয়েছে যেখানে একদল শ্রমিক জোটবদ্ধ হয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাভাবিক উত্‍পাদনের গতিকে মন্থর করে; কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগ, যন্ত্রপাতি বিকল হওয়া বিজলী সরবরাহ বন্ধ হওয়া কিংবা যন্ত্রপাতির খুচরা অংশের বা ব্যবহার্য কাঁচামালের অভাবে স্বাভাবিক উত্‍পাদনের গতি মন্থর হলে তা এর আওতার মধ্যে যাবে না।

কোন মালিক ৪৭ ধারার বিধান লংঘন করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা [পাঁচ হাজার টাকা] পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় রকম দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

৬০। কতিপয় অবস্থায় ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তাকে কর্মচ্যুত করার শাস্তি (Penalty for discharging officer of trade union in certain circumstances)

 কোন মালিক ৪৭ ধারার বিধান লংঘন করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

৬১। তহবিল তসরূপে শাস্তি (Penalty for embezzlement or misappropriation of funds)

কোন রেজিষ্টার্ড ট্রেড ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা বা কোন কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের তহবিল তসরুফ বা আত্মসাতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও তত্‍সহ জরিমানাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থদণ্ডের পরিমাণ তসরুফকৃত অর্থের পরিমাণের চেয়ে বেশি হবে না।

 

১[৬১-ক। অরেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের তত্‍পরতার শাস্তি (Penalty for activities of unregistered trade unions)

কোন ব্যক্তি কোন অরেজিষ্ট্রিকৃত ট্রেড ইউনিয়নের বা রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে এরূপ কোন ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে অথবা অংশগ্রহণের জন্য অন্যকে উস্কানি দিলে বা প্ররোচিত করলে অথবা সদস্য হওয়ার চাঁদা ছাড়া তহবিলের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা পাঁচশ [টাকা] পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।]

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৬১-ক ও ৬১-খ ধারা সংযোজিত।

২. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [রূপি] শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

 

[৬১-খ। ট্রেড ইউনিয়নের দ্বৈত সদস্য পদের জন্য শাস্তি (Penalty for dual membership of trade unions)

কোন ব্যক্তি একই সঙ্গে একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হলে বা একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য পদে বহাল থাকলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা [পাঁচশত টাকা] পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।]

 

৬২। অন্যান্য অপরাধের শাস্তি (Penalty for other offences)

কোন ব্যক্তি যদি এ অধ্যাদেশের কোন বিধান লংঘন করেন বা বিধান অনুসারে দায়িত্ব পালন না করেন এবং তজ্জন্য যদি এ অধ্যাদেশ কোন দণ্ডের ব্যবস্থা না করা হয়ে থাকে তবে তাকে [আড়াই শ' টাকা) পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

 

২[৬২-ক। মধ্যস্থের কাছে হাজির না হওয়া বা প্রতিনিধিত্বহীনতার শাস্তি (Penalty for non appearance or non-representation before a Conciliator)

 যদি কোন ব্যক্তি সন্তোষজনক কারণ ছাড়া মধ্যস্থের সমীপে উপস্থিত না হন অথবা ৩০ ধারার (১) উপধারা মানতে ব্যর্থ হন তবে তার ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা [পাঁচশ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি হবে।]

 

৬৩। কপোরেশন কর্তৃক কৃত অপরাধ (Offences by corporations)

 এ অধ্যাদেশের অধীনে কৃত অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি যদি কোম্পানী বা বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান (body corporate) হয় তবে এর প্রত্যেক ডাইরেক্টর, ব্যবস্থাপক বা সেক্রেটারী ও অন্যান্য কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি যদি প্রমাণ করতে না পারেন যে, কৃত অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে বা তার সম্মতিক্রমে করা হয়েছে অথবা উক্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন, তাহলে তিনি বা তারা সকলেই উক্ত অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন।

 

৬৪। অপরাধের বিচার (Trial of offences) এ অধ্যাদেশের অধীনে দণ্ডনীয় যেকোন অপরাধের বিচার শ্রম আদালতে বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে ছাড়া অন্য কোন আদালত করতে পারবেন না: এবং [৫৩ ধারা অথবা ৬২-ক ধারার অপরাধের জন্য বিচারের আবেদন শ্রম পরিচালক বা তাঁর দ্বারা নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা ছাড়া বা তাঁর অনুমোদন বা পূর্ব অনুমতি ছাড়া করা যাবে না।]

 

১. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৬১-ক ও ৬১-খ ধারা সংযোজিত।

২. ১৯৮০ সনের ২৯ নং আইন দ্বারা ৬২-ক ধারা সংযোজিত।

৩. ১৯৭৭ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৭৭ সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ) দ্বারা [রূপী] শব্দটি [টাকা] শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

৪.১৯৮০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) আইন (১৯৮০ সনের ২৯ নং আইন) দ্বারা [৫৩ ধারা অথবা ৬২-ক ধারার অপরাধের জন্য বিচারের আবেদন শ্রম পরিচালক বা তাঁর দ্বারা নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা ছাড়া বা তাঁর দ্বারা নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা ছাড়া বা তাঁর অনুমোদন বা পূর্ব অনুমতি ছাড়া করা যাবে না শব্দ ও সংখ্যাগুলো সংযোজিত]

 

বিবিধ

[Miscellaneous]

 

৬৫। অদায়িতা (Indemnity)

 এ অধ্যাদেশের বা এর কোন বিধি অনুসারে কোন ব্যক্তি সদিচ্ছার সঙ্গে কোন কাজ করলে বা করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকলে সেজন্য তার বিরুদ্ধে কোন মোকদ্দমা, ফৌজদারী মামলা পরিচালনা বা আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।

 

[৬৫-ক। রেজিষ্ট্রার ইত্যাদি সরকারী কর্মচারী (Registrar, etc. to be public servants)  রেজিষ্ট্রার, মধ্যস্থ, শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান এবং ট্রাইব্যুনালের সদস্য দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) ২১ ধারার অধীনে সরকারী কর্মচারী বলে বিবেচিত হবেন।

 

[৬৫-খ। [* * * *]

 

৬৬। বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা (Power to make Rules)  [(১) সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে সরকার এ অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারেন।

(২) অত্র ধারার অধীনে প্রণীত বিধিমালায় এ ব্যবস্থা রাখা যাবে যে, উক্ত বিধিমালার কোন বিধি লংঘনের দায়ে একশ' টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।

 

৬৭। বাতিলকরণ ও সংরক্ষণ (Repeal and saving)

 নিম্নোক্ত আইনগুলো এতদ্বারা বাতিল বলে গণ্য হবেঃ

(ক) ট্রেড ইউনিয়ন এ্যাক্ট, ১৯৬৫ (E.P. Act VI of 1965)

(খ) শ্রম বিরোধ আইন, ১৯৬৫ (E.P. Act BL of 1965)

(গ) পশ্চিম পাকিস্তান শিল্প বিরোধ অধ্যাদেশ (W.P. Ordinance IV of 1968) এবং

(ঘ) পশ্চিম পাকিস্তান ট্রেড ইউনিয়ন অধ্যাদেশ, ১৯৬৮ (W.P. Ordinance V of 1968) সনের ৩৫ নং অধ্যাদেশ দ্বারা অবলুপ্ত।

(২) উপধারা (১)-এর যেসব আইন বাতিল করা হয়েছে তা সত্ত্বেও এবং ১৮৯৭ সনের জেনারেল ক্লজস এ্যাক্ট (X of 1897)-এর বিধানসমূহের কোন ব্যাঘাত না করেঃ

(ক) অত্র অধ্যাদেশ কার্যকরী হওয়ার অব্যাহিত আগে যেসব ট্রেড ইউনিয়ন বহাল ছিল এবং তারা উপরোক্ত যেকোন আইনের অধীনে রেজিষ্ট্রেশন লাভ করেছে তারা এ অধ্যাদেশ অধীনে রেজিষ্ট্রিকৃত বলে গণ্য হবে এবং পরিবর্তিত বা বাতিল না করা পর্যন্ত এর গঠনতন্ত্র কার্যকর থাকবে এবং

(খ) উপরোক্ত যেকোন আইনের অধীনে যা কিছু করা হয়েছে যেসব বিধিমালা প্রণীত হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি বা আদেশ জারি হয়েছে, কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে বা অন্য কোন ব্যবস্থা অবলম্বিত হয়েছে তা অত্র অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৬৫-ক দ্বারা সংযোজিত।

২. ১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ দ্বারা [প্রাদেশিক দন্ডবিধি] পরিবর্তে [দণ্ডবিধি] শব্দ প্রতিস্থাপিত।

৩. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ৬৫-খ ধারা সংযোজিত এবং ১৯৭৭ সনের ৩৫নং আইন দ্বারা ধারাটি অবলুপ্ত।

৪. ১৯৭৭ সনের ৩৫নং অধ্যাদেশ দ্বারা উপধারা (১) প্রতিস্থাপিত।

 

তফসিল

জনহিতকর কার্যসমূহ

[২(xx) ধারা দ্রষ্টব্য]

 

[১। বিদ্যুত্‍ গ্যাস, তৈল ও পানি উত্তোলন, উত্‍পাদন ও জনসাধারণ্যে সরবরাহ।]

২। জনসাধারণের সুবিধার্থে ময়লা নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

৩। হাসপাতাল ও এম্বুলেন্স সার্ভিস।

৪। অগ্নি নির্বাপণ কার্য।

৫। যেকোন ডাক, তার অথবা টেলিফোন সংক্রান্ত কার্য।

৬। রেলপথ ও বিমানপথ।

৭। বন্দর।

[৮। কোন প্রতিষ্ঠানে ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড এবং নিরাপত্তামূলক কার্য।]

 

১. ১৯৭০ সনের শিল্প সম্পর্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৭০ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ) দ্বারা ১ ও ৮ নং এন্ট্রি প্রতিস্থাপিত।

 

তথ্যসূত্র : শ্রম ও শিল্প ইন- নির্মলেন্দু ধর

 

সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট