বাধানিষেধ অমান্য পূর্বক আদিবাসী রায়তদের জমি হস্তান্তরের ফল বা প্রতিক্রিয়া

 

    ১৯৫০ সনের রাষ্ট্রীয় অর্জন (অধিগ্রহণ) ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৭ ধারায় আরোপিত বাধানিষেধ অমান্য করে কোনও আদিবাসী রায়ত যদি কখনো তার কোনরূপ সম্পত্তি হস্তান্তর করলে উহার প্রতিফল নিম্নরূপ হয়ে থাকে; যথা-

    ১) হস্তান্তর বাতিল গণ্যতা : অত্র আইনে উল্লিখিত বিধিবিধান অমান্য করে কোন আদিবাসী কখনো তার জোতজমা হস্তান্তর করলে তা আইনত বাতিল হিসেবে গণ্য করা হবে।

    ২) হস্তান্তর গ্রহীতাকে উচ্ছেদ : এতে বর্ণিত বাধানিষেধ অমান্যপূর্বক কোন আদিবাসী রায়ত যদি তার জোতজমা হস্তান্তর করলে সেক্ষেত্রে রাজস্ব অফিসার তার নিজের উদ্যোগে বা কোনও দরখাস্তের ভিত্তিতে হস্তান্তর গ্রহীতাকে উচ্ছেদ করতে পারবে। অবশ্য এরূপ আদেশের কোনও দরখাস্তের ভিত্তিতে হস্তান্তর গ্রহীতাকে উচ্ছেদ করতে পারবে। অবশ্য এরূপ আদেশের হস্তান্তর গ্রহীতাকে অনুরূপ উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজন মোতাবেক কারণ দর্শানোর যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে।

    ৩) বিক্রীত জমি ফেরত : অত্র আইনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ আইন অমান্য করে কোনও হস্তান্তর দলিল সম্পাদিত করা হলে তদবস্থায় রাজস্ব অফিসার কর্তৃক হস্তান্তরিত জমি ক্রেতার নিকট হতে উদ্ধারপূর্বক সংশ্লিষ্ট আদিবাসী রায়তের দখলে পুনরায় ফেরৎ দিতে হয়।

    ৪) দলিল দাতার মৃত্যুতে : এতে ইহাও বর্ণিত হয়েছে যে, ইতমধ্যে যদি কোন দলিলদাতা রায়ত মৃত্যুবরণ করে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে তার উত্তরাধিকারীগণ উক্ত সম্পত্তিটি ফেরত পাবার অধিকারী সাব্যস্ত হয়।

    ৫) ওয়ারিশ না থাকলে : যেক্ষেত্রে আদিবাসী শ্রেণীভুক্ত দলিদাতার কোনও ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) না থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে সরকার উক্ত জমি খাসদখলে নিয়ে পুনরায় কোনও আদিবাসী রায়ত ব্যক্তির নিকট বন্দোবস্ত দেয়ার ক্ষমতারাখে।

 

সূত্র: বাংলাদেশের উপজাতিদের আইন- রামকান্ত সিংহ, ২০০৩

 

 

সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট