জলমহাল বন্দোবস্তের নীতিমালা
জলমহাল
জলমহাল বলতে বুঝায় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন যা মৎস্য চাষের, মৎস্য শিকারের উপযোগী এবং যে সকল জলাশয়সমূহ মৎস্য পালন ও শিকারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।
জলমহালগুলি দুই শ্রেণীর
ক. বদ্ধ জলমহাল ও
খ. উম্মুক্ত জলমহাল
বদ্ধ জলমহাল : যে মলমহালের চতুঃসীমা নির্দিষ্ট অর্থাৎ স্থলাবেষ্টিত হাওর, বিল, ঝিল, হ্রদ, দীঘি, পুকুর ও ডোবা ইত্যঅদি নামে পরিচিতি তাকে ব্ধ জলমহাল বলে গণ্য করা হয়।
উম্মুক্ত জলমহাল : যে সকল জলমহাল স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত নয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৎস্যের পূর্ণতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে মৎস্য শিকার বন্ধ করাখা যায় না সেগুলোকে উম্মুক্ত জলমহাল বলে গণ্য করা হয়। সাধারণতঃ নদী, খাল বা প্রবাহমান স্রোতধারাকে উম্মুক্ত জলমহাল বরে গণ্য করা হয়।
বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে সরকারী নীতিমালা
১৫ অক্টোবর ১৯৯৭ এর পূর্বে ২০ একর পর্যন্ত খাসবদ্ধ জলাশয়ের ব্যবস্থাপনা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত ছিল। ১৫ অক্টোবর ১৯৯৭ তারিখ হতে ২০ একর পর্যন্ত খাসবদ্ধ জলাশয়ের ব্যবস্থাপনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। নিম্নলিখিত নীতিমালা অনুযায়ী এগুলোর বিলি বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়-
(১) স্থানীয় সরকার বিভাগের নিকট ২০ একর পর্যন্ত যে সব খাস বদ্ধ জলাশয় রয়েছে ঐ জলাশয়সমূহের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ন্যস্ত করা হবে।
(২) স্থানীয় সরকার বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২০ একর পর্যন্ত খাস বদ্ধ জলাশয়গুলির মধ্যে যেগুলি এখনও ইজারা দেওয়া হয় নাই সেই সকল জলাশয়গুলির ব্যবহার এই নীতিমালা জারীর অব্যবহিত পরেই এবং যে সকল জলাশয়ের ইজারার মেয়াদ ১৪০৪ বাংলা সনের ৩০শে চৈত্র উত্তীর্ণ হয়ে যাবে সেই সকল জলাশয়ের ব্যবহার ১লা বৈশাখ ১৪০৫ বাংলা সন হতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত হবে।
(৩) স্থানীয় সরকার বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২০ একর পর্যন্ত যে সকল খাস বদ্ধ জলাশয়ের ইজারার মেয়াদ ১৪০৪ বাংলা সনের ৩০শে চৈত্র শেষ হবে না ঐ সকল জলাশয়ের ব্যবহার ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হবে।
(৪) জলাশয়সমূহ কোন অবস্থাতেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যুব সমাজের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইজারা দেওয়া যাবে না।
(৫) জলাশয়সমূহৈর ইজারা নিবন্ধনকৃত যুব ও যুব-মহিলা সমবায় সমিতির মধ্যেই সীমিত থাকবে।
(৬) জলাশয়সমূহ বন্দোস্ত পাওয়ার জন্য যুব ও যুব-মহিলাদের অবশ্যই নিবন্ধনকৃত যুব সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে এবং তাদের মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হবে।
(৭) শুধুমাত্র-২০ একর পর্যন্ত খাস বন্ধ জলাশয়সমূহ এই নীতিমালার আওতাভূক্ত হবে। নিম্নোক্ত-২০ একর পর্যন্ত খাস বদ্ধ জলাশয়সমূহ এই নীতিমালার বহির্ভূত থাকবে-
(ক) আদর্শ গ্রাম অথবা আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকাভূক্ত জলাশয়সমূহ।
(খ) অর্পিত এবং পরিত্যাক্ত সম্পত্তিভূক্ত জলাশয়সমূহ।
(গ) ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় সংলগ্ন সরকারী খাস জলাশয়সমূহ।
(ঘ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য বা পাবলিক ইজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত জলাশয়সমূহ।
(ঙ) সিটি কর্পোরেশনের ভৌগলিক সীমা রেখার মধ্যে অবস্থিত তাদের নিজস্ব জলাশয়সমূহ।
(৮) জলাশয়গুলির ইজারামূল্য ইত:পূর্বে দেওয়া ইজারার শেষ বৎসরের ইজারামূল্যের কমপক্ষে ১৫% বেশী হতে হবে। এই ইজারামূল্য ইজারা মেয়াদের প্রতি বৎসরে যথারীতি পরিশোধ করতে হবে। ১লা বৎসরের ইজারামূল্যের ৫০% অর্থ নিলাম শেষ হওয়ার সাথে সাথে সফলদরদাতাকে তাৎক্ষণিকভাবে জমা দিতে হবে এবং অবশিষ্ট ৫০% অর্থ পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পরিশাধ করতে হবে। ইজারার সম্পূর্ণ অর্থ আদায়ের পর এবং প্রস্তাবিত ইজারার মেয়াদ আরম্ভ হবার পূর্বে ইজারাদারকে (যুব ও যুব মহিলা সমবায় সমিতিকে) নির্ধারিত ফরমে (ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল এবং বর্তমানে থানা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত চুক্তি পত্র মোতাবেক) চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে। চুক্তিপত্র সম্পাদন ব্যতীত জলাশয়ের দখল দেওয়া যাবে না। নতুন ইজারা পূর্ববর্তি ইজারার মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে।
(৯) ৮নং অনুচ্ছেদে দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ইজারামূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের ইজারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে এবং জলাশয়গুলি বিলম্ব না করে নতুনভাবে পুনরায় ইজারা দিতে হবে।
(১০) ইজারাকৃত জলাশয়সমূহ কোনভাবেই সাবলীজ দেওয়া যাবে না। কোন জলাশয় সাব লীজ দেওয়া হইলে ইজারা স্বযঙক্রিয়ভাবে তাবিল হয়ে যাবে এবং জলাশয়গুলি বিলম্ব না করে নতুনভাবে পুনারায় ইজারা দিতে হবে।
(১১) প্রাথমিক ও পরীক্ষামূলকভাবে জলাশয়গুলি ৩ হতে ৫ বছর মেয়াদের জন্য ইজারা দেওয়া হবে।
(১২) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত দেমের অন্য সকল এলাকার ২০ একর পর্যন্ত খাস বদ্ধ জলাশয়সমূহ নিম্নলিখিত কমিটির মাধ্যমে ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে :
(ক) কমিটির গঠন
১.
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
আহবায়ক
২.
সহকারী কমিশনার (ভূমি)
সদস্য
৩.
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা
সদস্য
৪.
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা
সদস্য
৫.
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা
(যে থানায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাই সেই থানার পার্শ্ববর্তী থানার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবে।)
৬.
একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী
(যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত)
সদস্য
উপরের কমিটি গঠনের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি জারী করবে।
কমিটির কার্যবিধি
কমিটির কার্য পরিধি নিম্নরূপ হবে
(১) কমিটির পক্ষে থানা নির্বাহী অফিসার ২০ একর পর্যন্ত খাস বদ্ধ জলাশয়সমূহ নিবন্ধনকৃত যুব ও যুব মিহলা সমবায় সমিতির মধ্যে ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করবে।
(২) উপরে বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী দরপত্রে অংশগ্রহণকারী বিনন্ধনকৃত যুব ও যুব মহিলা সমবায় সমিতির মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতাকে জলাশয় ইজারা প্রদান করবে।
(৩) জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করণকল্পে ইজারা গ্রহণকারী যুব ও যুব মহিলা সমবায় সমিতিসমূহকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরী সহায়তা প্রদান করিবে।
(৪) জলাশয়সমূহ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না তার সময় সময় পরিবীক্ষণ করবে।
(৫) কোন ইজারা গ্রহীতা এই নীতিমালার বা ইজারা চুক্তির কোন শর্ত ভংগ করলে ইজারা বাতিলপূর্বক অবিলম্বে জলাশয়সমূহ নতুনভাবে পুনরায় ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
(৬) ইজারা কার্যক্রম পূর্ববর্তী বৎসরের ১লা মাঘের পূর্বে/মধ্যে শুরু করে ৩০শে ফাল্গুনের মধ্যে সমাপ্ত করবে।
(৭) কমিটি কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সমাধানকল্পে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও সাহায্যগ্রহণ করবে।
(১৩) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সিটি করর্পোরেশনের ভৌগোলিক সীমা রেখার মধ্যে অবস্থিত ২০ একর পর্যন্ত খাস বদ্ধ জলাশয়সমূহ নিম্নোক্ত কমিটির মাধ্যমে ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে-
খ. কমিটির গঠন
১.
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)
আহবায়ক
২.
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা
সদস্য
৩.
জেলা সমবায় কর্মকর্তা
সদস্য
৪.
জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা
সদস্য
৫.
সহকারী কমিশনার (ভূমি)
(জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত)
৬.
একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী
(যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত)
সদস্য
উপরের কমিটি গঠনের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি জারী করবে।
কমিটির কার্যপরিধি
কমিটির কার্য পরিধি নিম্নরূপ হবে
ক. কমিটির পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ২০ একর পর্যন্ত খাস বদ্ধ জলাশয়সমূহ নিবন্ধনকৃত যুব ও যুব মহিলা সমবায় সমিতির মধ্যে ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করবে।
খ. উপরে বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী দরপত্রে অংশগ্রহণকারী নিবন্ধনকৃত যুব ও যুব মহিলা সমবায় সমিতির মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতাকে জলাশয় ইজারা প্রদান করবে।
গ. জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণকল্পে ইজারা গ্রহণকারী যুব ও যুব মহিলা সমবায় সমিতিসমূহকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরী সহায়তা প্রদান করবে।
ঘ. জলাশয়সমূহ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না তা সময় সময় পরিবীক্ষণ করবে।
ঙ. কোন ইজারা গ্রহীতা এই নীতিমালার বা ইজারা চুক্তির কোন শর্ত ভংগ করলে ইজারা বাতিল পূর্বক অবিলম্বে জলাশয়সমূহ নতুনভাবে পুনরায় ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
চ. ইজারা কার্যক্রম পূর্ববর্তী বৎসরের ১লা মাঘের পূর্বে/মধ্যে শুরু করিয়া ৩০শে ফালগুনের মধ্যে সমাপ্ত করবে।
ছ. কমিটি কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে তা সমাধাকল্পে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও সাহায্য গ্রহণ করবে।
২০ (বিশ) একরের উর্দ্ধে জলমহালের জন্য
ভূমি প্রশাসন বোর্ডের ব্যবস্থাপনার আওতাধীন জলমহলের ইজারা বন্দোবস্তের ব্যাপারে নিম্নলিখিত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়।
ক. বদ্ধ জলমহাল ৩ বৎসর মেয়াদে এবং উম্মুক্ত জলমহাল এক বৎসর মেয়াদে ইজারা দেয়া হবে।
খ. মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মধ্যে সীমিত নিলামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ডাককারীর নিকট ইজারা দিতে হবে তবে এই সর্বোচ্চ ডাক পূর্ববর্তী বৎসরের ডাকের চেয়ে অন্তত ২৫% বেশী না হলে ডাক গ্রহণযোগ্য হবে না এবং নতুনভাবে নিলামের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সেই নিলাম ডাকে যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
গ. কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী বা সংস্থাকে সহযোগিতার মাধ্যমে ইজারা দেয়া যাবে না।
ঘ. জেলা প্রশাসক জলমাহালের নিলাম জেলা সদর দপ্তরে অথবা সুবিধাজনক যে কোন স্থানে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন।
ঙ. প্রতি বৎসর ১৫ই জারনুয়ারীর মধ্যে জলমহাল নিলামের ক্যালেন্ডার তৈনী করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি প্রশাসন বোর্ডের নিকট প্রেরণ করবেন এবং ১লা মার্চ হতে ৩০শে মার্চের মধ্যে ঐ সমস্ত জলমহাল নিলাম ডাকার ব্যবস্থা করবেন এবং নিলাম ডাকার ১৫ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করবেন।
চ. নিলাম ডাকার সময়সূচী নির্দিষ্ট দিনের অন্ততঃ ১৫ দিন আগে পৌরসভা অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পোষ্ট অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস ও জেলা সদর দপ্তরে অবস্থিত অফিসসমূহে নিলামের নোটিশ টানিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ছ. বিশেষ কোন কারণে কোন জলমহাল ৩ বৎসরের অতিরিক্ত সময়ের জন্যে নিলাম দেয়ার প্রয়োজন হলে কারণ উত্থাপনপূর্বক বোর্ড কর্তৃক সরকারী সিদ্ধান্তের নিমিত্তে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরে এই জাতীয় ইজারা কার্যকর হবে, তবে ৩ বৎসরের অতিরিক্ত সময়ের ইজারাও প্রকাশ্য নিলাম ডাকের মাধ্যমে হতে হবে।
জ. কোন বিশেষ কারণে যদি নিলামের দিন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় তবে নিলাম পরিচালক স্বয়ং অথবা তার দ্বারা ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে নিলাম অনুষ্ঠানস্থলে তা ঘোষণা করবেন এবং পরবর্তি একপক্ষ কালের মধ্যে এ নিলাম অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন। সর্বোচ্চ নিলামকারীর নাম নিলাম হলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে। সর্বোচ্চ নিলাম ডাককারী ডাকের ৫০% টাকা নিলাম ডাকের স্থানে ডাক সমাপ্তি ঘোষণার সাথে সাথে জামানত হিসাবে পরিশোধ করতে হবে এবং অবশিষ্ট ৫০% ডাকের ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে জমাকৃত টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। ইজারা কাল আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই প্রয়োজনীয় ইজারা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ইজারাদারকে নিলামকৃত জলমহালের দখর হস্তান্তর করা হয় না।
ঝ. নিলামপ্রাপ্ত সম্পূর্ণ টাকা "ভূমি রাজস্ব বিবিধ জলমহাল হতে সংগ্রহ" এই খাতে মজা দিতে হবে। নিলাম অনমোদন কর্তৃপক্ষ যদি সর্বোচ্চ ডাক অনমোদন না করেন তবে ইজারা বাতিল হয়ে যাবে এবং ইজারাদারের জমাকৃত অর্থ হতে জলমহালের দখলকৃত সময়ের জন্যে আনুপাতিক হারে বাদ দিয়ে বাকী অর্থ ইজারাদারকেক ফেরৎ দিতে হবে।
ঞ. প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্তে কোন মলমহাল তিন বৎসরের অতিরিক্ত সময়ের জন্য নিলাম দেওয়ার প্রস্তাব থাকলে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কর্তৃক সরকারী সিদ্ধান্তের নিমিত্তে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং মন্ত্রণালয় অনুমোদন এর পরে এই জাতীয় ইজারা কার্যকর হবে।
ট. ৫,০০,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের জলমহালগুলো ইজারা বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক অনমোদন করতে হবে এবং ৫,০০,০০০.০০ লক্ষ টাকা উর্দ্ধের আয়ের জলমহালগুলো ইজারা ভূীম প্রশাসন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন করতে হবে।
ঠ. কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জলমহাল নিলাম সম্পর্কে অভিযোগ করলে নিলাম ডাকের ১০ দিনের মধ্যে নিলাম অনুমোদন কর্তৃপক্ষের নিকট করতে হবে এবং তাদের আদেশের বিরদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে ঐ আদেমের ১ মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আপিল দাখিল উল্লেখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটা স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হয় যে, জলমহাল সংক্রান্ত বিধিমালাসমূহ নিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে এবং মৎস্যজীবী সমিতিসমূহ জলমহালসমূহের ইজারা হতে বঞ্চিত হয়ে থাকে সুতরাঙ জলমহাল সংক্রান্ত সরকারের বিভিন্ন সময় প্রচারিত পরিপত্র সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রেখে সংগঠিত প্রকৃত বিত্তহীন ও মৎস্যজীবীবৃন্দ উল্লেখিত জলমহালগুলো পেতে পারে এরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বর্তমানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বেকার যুবকদের ইজারা দেয়া হয়।
তথ্যসূত্র: প্রশিক্ষণ হ্যান্ডআউট, ভূমি আইন, ব্যবস্থাপনা ও ভূমিতে অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষশণ - এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি)
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট