কতিপয় ধর্মীয় সংক্রান্ত জমির খজানা মওকুফের মামলা পরিচালনা পদ্ধতি
এস.এ. আইনের ১৫১ (বি) ধারায় বর্ণিত বিধান মোতাবেক গোরস্থান, শ্মশান, মসজিদ, মন্দির বা গীর্জা প্যাগোড়া ইত্যাদি ধর্মীয় উপাসনালয়ের ভূমি সংক্রান্ত খাজনা মাফ করা হতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট ভূমির মালিক নির্ধারিত ফরমে জেলা প্রশাসকের (Deputy Commissioner) নিকট আবেদন করেন। এক্ষেত্রে এতদ সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্র ধারার মোট নয়টি উপধারা রয়েছে- যেগুলোর মধ্যে ধর্মীয় সংক্রান্ত জমির খাজনা মওকুফ করার বিধিবিধানানি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অত্র দরখাস্ত পাপ্তির পর জেলা প্রশাসক ৯০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তদন্তের প্রেক্ষিতে আবেদনটি সঠিক বিবেচিত হলে খাজনা মাফের আদেশ দিতে পারেন; অন্যথায় অঅবেদন নাকচ বলে গণ্য করতে পারেন। অবশ্য জেলা প্রশাসকের আদেশ দ্বারা ক্ষুদ্র কোন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ৩০ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল দায়ের করতে পারেন।
সঙ্গত প্রয়োজনে এক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনারের আদেশের বিরুদ্ধে ৬০ দিনের মধ্যে রিভিশন মামলা দায়ের করতে পারেন। ভূমি আপীল বোর্ড ৮ উপধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশকে স্বেচ্ছায় (Suonoto) রিভাইজ করতে পারেন। আর ৯ উপধারা মোতাবেক খাজনা মওকুফের আদেশ দেয়ার হলে তা পরবর্তি বাংলা বছরে কর্যকর করতে হবে। অত্র ধারার কার্যক্রমগুলো জেলা প্রশাসকের পক্ষে এ.ডি.সি.ও করতে পারেন।
সূত্র: বাংলাদেশের উপজাতিদের আইন- রামকান্ত সিংহ, ২০০৩
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট