সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন আইন, ১৮৬০
যেহেতু সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা অথবা প্রয়োজনীয় জ্ঞান চর্চা ও বিতরণ, রাজনৈতিক শিক্ষা বিস্তার অথবা দাতব্য উদ্দেশে গঠিত সমিতিসমূহের আইনগত ভিত্তি সমুন্নত করার উদ্দেশে বিধান প্রণয়ন সমীচিন ও প্রয়োজনীয়, সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হল :
১) সংঘস্মারক এর নিবন্ধনের মাধ্যমে সমিতি গঠন : সাতি বা সাতের অধিক ব্যক্তি সাহিত্য, বিজ্ঞান কিম্বা দাতব্য উদ্দেশে অথবা অত্র আইনের ২০ ধারায় বর্ণিত যেকোন উদ্দেশে পরস্পর একত্রিত হয়ে তাদের নাম সংঘস্মারকে সন্নিবেশিত করে উহা জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীসমূহের রেজিষ্ট্রারের বরাবরে দাখিলপূর্বক এ আইনের মাধ্যমে সমিতি গঠন করতে পারবে। -১ ধারা
২) সংঘস্মারক : সংগস্মারকে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে- সমিতির নাম; সমিতির উদ্দেশ্য। যাদের ওপর বিধি মোতাবেক সমিতি পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে- তাদের নাম ঠিকানা ও পেশা ইত্যাদি। সমিতির রুলস এন্ড রেগুলেশন গভর্নিং বড়ির সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন সদস্য কর্তৃক প্রত্যায়িত হতে হবে এবং অবশ্যই সংঘস্মারকের সহিত দাখিল করতে হবে। - ২ ধারা
৩) নিবন্ধন ফি : উল্লেখিতভাবে সংঘস্মারক ও সত্যায়িত কপি দাখিল করা হলে রেজিষ্ট্রার এমর্মে নিজ হাতে প্রত্যয়ন করবে যে, এ আইনের অধীনে সমবায় রেজিষ্ট্রী করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সমবায় নিবন্ধনের লক্ষে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত ফি এবং সমস্ত ফি সরকারী খাতে পরিশোধ করতে হয়। - ৩ ধারা
৪) দম্যানেজিং বডি বা কমিটির বাৎসরিক তালিকা পেশ : বছরে একবার বা সমিতির বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত বাৎসরিক সাধারণ সভার দিনে অথবা উহার ১৪ দিন পূর্বে কিম্বা বিধিতে বাৎসরিক সভা অনুষ্ঠানের বিধান না থাকলে জানুয়ারী মাসে ম্যানেজিং বডি বা কমিটির তালিকা রেজিষ্টার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীর নিকট দাখিল করতে হবে। উক্ত তালিকায় গভর্নিং কমিটি অথবা অন্য কোন গভর্নিং বডি যাদের ওপর সমিতির পরিচালনা তথা ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তাদের নাম ও ঠিকানা উলে।লখ করতে হবে। - ৪ ধারা
৫) সমিতির সম্পত্তির অধিকার কিভাবে বর্তাবে : এ আইনের অধীনে নিবন্ধিকৃত সমিতিসমূহের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যদি ট্রাষ্ট্রিজ এর ওপর না বর্তিয়ে থাকে, তাহলে উহা আপাতত সময়ের জন্য সমিতির গভর্নিং বডির ওপর বর্তাবে এবং বিচারিক কার্যক্রম, দেওয়ানী এবং ফৌজদারী মামলার উক্ত সম্পত্তি সমিতির গভর্নিং বডির স্বত্বাধীন সম্পত্তি হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে। - ৫ ধারা
৬) সমিতির বিরুদ্ধে এবং সমিতি কর্তৃক মামলা দায়ের : এ আইনের অধীনে নিবন্ধিকৃত প্রত্যেকটি সমিতির সভাপতি, চেয়অরম্যান অথবা প্রধান সচিব বা দ ট্রাস্ট্রিজ যেমন সমিতির দায়ের করতে পারবে। সমিতির বিধান দ্বারা সমিতির পক্ষে এবং উহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, সমিতির বিরুদ্ধে কোন দাবী আদায়ের জন্য উহার সভাপতি, চেয়ারম্যান বা প্রধান সচিব অথবা ট্রাষ্ট্রিজকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা যাবে, যদি দরখাস্তের মাধ্যমে গভর্নিং বডি অন্যকোন অফিসার বা স্যক্তিকে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত না করা হয়। - ৬ ধারা
৭) মকদ্দমা বাতিল হবেনা : দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন মকদ্দমা বা বিচারকি কার্যক্রম বাতিল হবেনা, যদিও মকদ্দমা বা বিচারিক কার্যক্রমের সহিত জড়িত কোন সদস্য মৃত্যুবরণ করে, তবে উক্তরূপ মকদ্দমা কিম্বা বিচারিক কার্যক্রম উক্ত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীর নামে চলবে। -৭ ধারা
৮) সমিতির বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায় কার্যকর বা বলবৎকরণ : সমিতির পক্ষে সমর্থনকারী কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা বা অন্য কোন সম্পত্তি আদায়ের রায় প্রদান করা হয়, তাহলে ঐ রায় ঐ ব্যক্তির কোন সম্পত্তি স্থাবর অথবা ঐ ব্যক্তির বা কর্মকর্তার শরীরের বিরুদ্ধে কার্যকর করা যাবেনা। তবে সমিতির সম্পত্তির বিরুদ্ধে ঐ রায় কার্যকর করা যাবে, জারীর দরখাস্তে রায় সম্পর্কে এবং যে পক্ষের বিরুদ্ধে টাকা আদায় করা হয়ে থাকবে এবং যার বিরুদ্ধে মকদ্দমা যেখানে যা প্রযোজ্য, কেবল সমিতির পক্ষে এবং যার জন্য সমিতির সম্পত্তির বিরুদ্ধে রায় কাযৃকর করা প্রয়োজন হয়ে থাকবে। - ৮ ধারা
৯) আইন অনুযায়ী আদায়যোগ্য জরিমানার টাকা : যখন কোন উপআইন সমিতির কোন বিধি বা প্রবিধানের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা যায় অথবা যদি বিধি দ্বারা উহা আইন প্রণয়নের কোন বিধান না থাকে, সাধারণ সভায় উপ-আইন প্রণয়ন করা যায় (সাধারণ সভায় উপ-আইন প্রণয়নের জন্য উপস্থিতি ৩/৫ সদস্যগণের সম্মতি অতীব প্রয়োজন)। সমিতির বিধান বা উপ-আইন যদি ভঙ্গ করা হয়, যার ফলে জরিমানা আরেপযোগ্য হয়, উক্ত জরিমানা ঐ আদালতের মাধ্যমে আদায়যোগ্য হবে- যার এখতিয়ারের অধীনে বিবাদী বসবাস করে অথবা যে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে সমিতি অবস্থিত অথবা সমিতির গভর্নিং বডি যে আদালতের মাধ্যমে দ্রুত পাওনা আদায়যোগ্য মনে করবে। - ৯ ধারা
১০) সমিতির সদস্যগণের বিরুদ্ধে আগন্তুক হিসেবে মকদ্দমা দায়ের এবং মকদ্দমা জয়লাভকারী বিবাদী কর্তৃক আদালত নির্ধারিত খরচ আদায় : যদি সমিতির কোন সদস্য সমিতির বিধি মোতাবেক দেয়া বকেয়া চাঁদা পরিশোধ না করে বা সে সমিতির বিধান মোতাবেক পরিশোধ করতে বাধ্য অথবা বিধি লংঘন করে যিনি সমিতির সম্পত্তি দখল করে অথবা সমিতির কোন সম্পত্তি আটক রাখে অথবা সমিতির কোন সম্পত্তির ক্ষতি বা নষ্ট করে, হাহলে তার বিরুদ্ধে বকেয়া চাঁদা আদায়ের অথবা উক্তরূপ সম্পত্তি আটক বা নষ্ট করার জন্য ক্ষতিপূরণ পূর্বে বর্ণিত পদ্ধতি মোতাবেক মকদ্দমা দায়ের করা যেতে পারে। কিন্তু উক্ত মকদ্দমা বিবাদী, অর্থাৎ সমিতির সদস্য যার বিরুদ্ধে মকদ্দমা অথবা বিচারিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তিনি জয়লাভ করেন, তাহলে যিনি সমিতির নির্দেশ মোতাবেক মকদ্দমা দায়ের করেছেন এবং মকদ্দমার খরচ প্রদানের সিদ্ধান্ত হলে তিনি সমিতির কর্মকর্তা যিনি মকদ্দমা দায়ের করেছেন তার বিরুদ্ধে অথবা সমিতির বিরুদ্ধে খরচের টাকা আদায়ের বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারী হবেন। দ্বিতীয়ত কেবল সমিতির সম্পত্তির বিরুদ্ধে পূর্বে বর্ণিত বিধান মোতাবেক ব্যবস্থাগ্রহণ করা যাবে। -১০ ধারা
১১) অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী সদস্যগণ আগুন্তুক হিসেবে শাস্তিভোগ করবেন : সমিতির সদস্য যিনি সমিতির অর্থ বা অন্যান্য সম্পত্তি চুরি, হরণ বা আত্মসাৎ করে কিম্বা ইচ্ছাকৃত বা বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে নষ্ট বা ক্ষতি করে অথবা কোন দলিল, বন্ড সিকিউরিটি কর সাধন, রশিদ অথবা অন্যান্য দলিল জাল করে, যার ফলে সমিতির আর্থিক ক্ষতি সাধিত হতে পারে তজ্জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য এমনভাবে দায়ী হবে যে, তিনি সমিতির কোন সদস্য নয়। -১১ ধারা
১২) সমিতির উদ্দেশ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংক্ষিপ্তকরণ : গভর্নিং বডির নিকট যখন উহা প্রতীয়মান হয় যে, এ আইন অনুযায়ী নিবন্ধনকৃত সমিতি যা কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা উদ্দেশ্যসমূহ সাধনের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং উক্ত উদ্দেশ্য বা উদ্দেশ্যসমূহ পরিবর্তন, পরিবর্ধন অথবা সংক্ষিপ্তকরণ করা যুক্তিসংঙ্গত মনে হয় অথবা এ আইনের অধীনে অন্য কোন উদ্দেশে অথবা অন্যকোন সমিতির সাথে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে একীভূত করা যুক্তিযুক্ত মনে হয়, তাহলে গভর্নিং বডি সমিতির সদস্যগণের নিকট উক্ত বিষয় লিখিতভাবে অথবা মুদ্রিত প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন এবং সমিতির প্রবিধান অনুযায়ী উক্ত প্রতিবেদন বিবেচিত হবেনা, যদি না বিশেষ সভার ১০ (দশ) দিন পূর্বে প্রতিবেদন সমিতির সদস্যগণকে প্রদান করা না হয় বা ডাকযোগে প্রেরণ করা না হয়। উক্ত প্রতিবেদন বিবেচিত হবে না, যদি না সদস্যগণের মধ্য হতে ৩/৫ অংশ সদস্য কর্তৃক সমর্থিত না হয়। উল্লেখ্য যে, প্রথম বিশেষ সভায় এবং দ্বিতীয় বিশেষ সভার মধ্যে একমাস বিরতি থাকতে হবে। -১২ ধারা
১৩) সমিতির অবসান ও উহার সম্পদের বণ্টন : সমিতির ৩/৫ অংশ সদস্য উহা অবসায়ন বা বিলুপ্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং ৩/৫ অংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে তৎক্ষণাৎ অবসায়ন হবে অথবা যখন থেকে অবসান বা বিলুপ্তি হওয়ার বিষয়ে সদস্যগণ সম্মত হয়েছে এবং সমিতির সম্পত্তির বিষয়ে সমিতির নিকট পাওনা এবং সমিতির দায়দায়িত্ব, সমিতির বিধি যদি থাকে, তাহলে তদানুযায়ী নিষ্পত্তি এবং বিলিবন্দোবস্ত করতে হবে। সমিতির উক্তরূপ কোন বিধি না থাকলে গভর্নিং বডি একটা উপযুক্ত পদ্ধতি খুঁজে বের করবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত গভর্নিং বডির সাথে সম্পত্তির বিলিবন্দোবস্ত বিষয়ে বা অন্য কোন কারণে মতানৈক্য দেখা দেয়, তাহলে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সমিতির প্রধান অফিস যে প্রধান অফিস যে প্রধান দেওয়ানী এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের ভৌগোলিক এখতিয়ারের মধ্যে অবস্থিত, ঐ আদালতে প্রেরণ করতে হবে এবং আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করে সেরূপ আদেশ দেবেন।
সম্মতির প্রয়োজন : শর্ত থাকে যে, কোন সমিতি অবসান বা লিপুপ্তি সাধিত হবেনা, যদি না সমিতির ৩/৫ অংশ সদস্য সরাসরি ভোট বা প্রক্সি ভোটের দ্বারা প্রকাশ্যে তাদের সম্মতি প্রদান না করা হয়। আরো শর্ত থাকে যে, যখন সরকার কোন সমিতির সদস্য অথবা সমিতির চাঁদা প্রদানকারী সদস্য অথবা অন্য কোনভাবে সমিতির কার্যক্রমের বিষয়ে আগ্রহী এবং উক্ত সমিতি এ আইনে নিবন্ধিত হলে সরকারের সম্মতি ব্যতীত অবসান বা বিলুপ্তি করা যাবেনা। -১৩ ধারা
১৪) সমিতির অবসান বা পরিসমাপ্তিতে কোন সদস্য লভ্যাংশ গ্রহণ করবেনা, তবে দফাটি জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীসমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেনা : এ আইনের অধীনে নিবন্ধিকৃত সমিতির অবসান বা পরিসমাপ্তির পর সমিতির দায়নেদা পরিশোধান্তে অবশিষ্ট সম্পত্তি সমিতির কোন সদস্য বা সদস্যগণের মধ্যে বণ্টন করা যাবেনা, বরং অন্য কোন সমিতিতে প্রদান করতে হবে। তবে বিষয়টি সমিতির অবসান বা পরিসমাপ্তির সময় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত বা অন্যের মাধ্যমে সমিতির ৩/৫ অংশ সদস্য কর্তৃক নির্ধারিত হতে হবে, ব্যর্থতার উপরিউক্ত ধারায় বর্ণিত মতে আদালত কর্তৃক তা নির্ধারিত হতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এ দফা ঐধরনের সিতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেনা, যা স্থাপিত বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডারদের চাঁদা দ্বারা। -১৪ ধারা
১৫) সদস্যদের সংজ্ঞা : সদস্যদের অযোগ্য : এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণনার্থে তিনি সমিতির সদস্য বিবেচিত হবেন, যিনি সমিতির বিধি এবং প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী সমিতির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, সমিতির চাঁদা প্রদান করে থাকবেন এবং সমিতির সদস্যগণের জন্য সংরক্ষিত তালিকায় স্বাক্ষর করে থাকবেন এবং প্রবিধান মোতাবেক সমিতির সদস্য হতে পদত্যাগ করবেন না। তবে এ আইনের অধীনে কৃত কোন কার্যক্রমে তিনি ভোট প্রদান করতে পারবেনা অথবা তাকে সদস্য হিসেবে গণ্য করা হবেনা, যদি উক্ত কার্যক্রম গ্রহণের সময় বা ভোট দানের সময় তার নিকট তিন মাসের অতিরিক্ত সময়ের চাঁদা বকেয়া আছে। -১৫ ধারা
১৬) গভর্নিং বডির সংজ্ঞা : সমিতির গভর্নিং বডি বলতে গভর্নরস, কাউন্সিল, ডায়রেক্টরস, কমিটি, ট্রাস্টিজ অথবা অন্য কোন সংস্থাকে বুঝাবে, যার ওপর বিধি এবং প্রবিধান অনুযায়ী সমিতির পরিচালনার দায় দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়। - ১৬ ধারা
১৭) এ আইনের পূর্বে সমিতিসমূহ সম্মতির প্রয়োজন : ১৮৫০ সনের ৪৩নং আইন অনুযায়ী সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং দাতব্য উদ্দেশে গঠিত যেকোন কোম্পানী অথবা সমিতি অথবা এ অঅইনের পূর্বে স্থাপিত এবং গঠিত কোন সমিতি যা বর্ণিত ১৮৫০ সনের ৪৩নং আইন দ্বারা নিবন্ধিত হয়নি, তাও অতপর যেকোন সময় এ আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ কোন কোম্পানী বা সমিতি নিবন্ধিত হবেনা, যদি সদস্যগণের মধ্যে ৩/৫ অংশ ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে অথবা ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি তদুদ্দেশে গঠিত সাধারণ সভায় ভোট প্রদানের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিষয় সম্মতি জ্ঞাপন করতে পারেন। ১৮৫০ সনের ৪৩নং আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোম্পানী অথবা সমিতির পরিচালককে গভর্নিং বডি বলে গন্য করা হবে। কোন সমিতি যা উক্তরূপে নিবন্ধিত হয়নি অথবা ঐরূপ কোন গভর্নিং বডি গঠিত না হয়ে থাকে, তাহলে সমিতির সদস্যবৃন্দকে যথাযথ নোটিশ প্রদানপূর্বক তখন হতে সমিতির জন্য একটি গভর্নিং বডি গঠন করতে পারবে। -১৭ ধারা
১৮) উক্তরূপ সমিতিসমূহকে সংঘস্মারক ইত্যাদি রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট কোম্পানীর নিকট দাখিল করতে হবে : পূর্ববর্তী ধারায় বর্ণিত এ আইনের অধীনে সমিতির গভর্নিং বডি কর্তৃক রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীর নিকট সংঘস্মারক দাখিল করবেন, যাতে সমিতির নাম, সমিতির উদ্দেশ্যে এবং সমিতির গভর্নিং বডি বা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণের নাম, ঠিকানা এবং পেশা উল্লেখসহ এ আইনের ধারা ২ অনুযায়ী প্রত্যায়িত বিধি এবং প্রবিধানমালা এবং সাধারণ সভায় সমিতি নিবন্ধিত হওয়ার বিষয় বর্ণিত কার্যবিবরণীউহাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। -১৮ ধারা
১৯) দলিল দস্তাবেজ পরিদর্শন-জাবেদা নকল : রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিলকৃত সকল দলিল দস্তাবেজ এক টাকা ফি প্রদানপূর্বক যে কোন ব্যক্তি পরিদর্শন করতে পারবে এবং যে কোন দলিল বা উহার অংশ বিশেষের প্রতি দু'শত শব্দ বিশিষ্ট নকল বা উদ্ধৃতাংশ দু'আনা হারে পরিশোধ করত রেজিষ্ট্রার কর্তৃক প্রত্যায়িত নকল বা উদ্ধৃতাংশ পেতে পারে এবং উক্তরূপে জাবেদা নকল প্রাথমিকভাবে বা দৃশ্যত সাক্ষ্য হিসেবে সমস্ত আইনগত কার্যধায় ব্যবহার করা যাবে। - ১৯ ধারা
২০) কোন ধরনের সমিতির ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য হবে : নিম্নবর্ণিত সমিতিসমূহ এ আইন অনুযায়ী নিবন্ধনযোগ্য হবে- দাতব্য সমিতিসমূহ, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং সাহিত্যের উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিতরণ, রাজনৈতিক শিক্ষার প্রসার, গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা অথবা সংরক্ষণ, সদস্যগণের মধ্যে সাধারণ ব্যবহারের জন্য পড়ার কক্ষ অথবা সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত অথবা সরকারী যাদুঘর, চিত্রশিল্প গ্যালারী, অন্যঅন্য কলা, ন্যাচারাল ঐতিহাসিক সংগ্রহ, কারিগরি অথবা দার্শনিক উদ্ভাবন অথবা যন্ত্রপাতি এবং বলাসমূহ সম্পর্কিত বিষয়ে গঠিত সমিতি এ আইনের অধীনে নিবন্ধিত হবে। - ২০ ধারা
[সূত্র : সোসাইটি রেজিষ্ট্রশন আইনের সরাকথা, ১৮৬০ : মো: জাকির হোসেন]
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট