রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১
বাংলাদেশ গেজেট
অতিরিক্ত সংখ্যা
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০০৫
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ৩রা ফাল্গুন, ১৪১১/১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০০৫
সংসদ কর্তৃক গ্রহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৩রা ফাল্গুন, ১৪১১ মোতাবেক ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০০৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়অছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে :¾
২০০৫ সনের ১ নং আইন
বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নৈর জন্য বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগদানের লক্ষ্যে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।¾ (১) এই আইন বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০৫ নামে অভিহিত হইবে।
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবৎ হইবে।
২। সংজ্ঞা।¾ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে¾
(ক) "কর্তৃপক্ষ" অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধ্ন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ;
(খ) "চেয়অরম্যান" অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;
(গ) "তহবিল" অর্থ কর্তৃপক্ষের তহবিল;
(ঘ) "নির্বাহী বোর্ড" অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ড;
(ঙ) "নিবন্ধন" অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মানের ভিত্তিতে শিক্ষক হিসাবে বেসরকালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগলাভে আগ্রহী শিক্ষকদের নিবন্ধন;
(চ) "প্রবিধান" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(ছ) "প্রত্যয়ন" অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মানের ভিত্তিতে শিক্ষক হিসাবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ও নিয়োগলাভে আগ্রহী শিক্ষকদের প্রত্যয়ন প্রদান;
(জ) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(ঝ) "বেসরাকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান" অর্থ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন-
(অ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারী নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল;
(আ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত-
(১) বেসরকারী মাধ্যমিক স্কুল;
(২) বেসরকারী মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ; এবং
(৩) বেসরকারী কলেজ;
(ই) বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত-
(১) বেসরকারী ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট/টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ;
(২) বেসরকারী পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউ;
(৩) ভোকেশনাল/টেকনিক্যাল কোর্স পরিচালনাকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; এবং
(৪) বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স পরিচালনাকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;
(ঈ) বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বা কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত-
(১) বেসরকারী দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা; এবং
(২) বেসরকারী সংযুক্ত এবতেদায়ী দাখল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসা;
(উ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বা অন্য কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কলেজ;
(ঞ) "শিক্ষক" অর্থ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক;
(ট) "সদস্য" অর্থ নির্বাহী সদস্য; চেয়ারম্যানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন; এবং
(ঠ) "সার্বক্ষণিক সদস্য" অর্থ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক সদস্য।
৩। কর্তৃপক্ষ প্রাতিষ্ঠা।¾ (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হইবে।
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই অঅইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপকটষ ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
৪। কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি।¾ (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।
(২) কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
৫। কর্তৃপক্ষের পরিচালনা, ইত্যাদি।¾ (১) কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি নির্বাহী বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ যে সকল ক্ষমতা প্রয়েঅগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে নির্বাহী বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়েঅগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।
(২) নির্বাহী বোর্ড ইহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে সারকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।
৬। নির্বাহী বোর্ড গঠন।¾ (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাহী বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :¾
(ক) চেয়ারম্যান, (পদাধিকার বলে);
(খ) সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ), (পদাধিকার বলে);
(গ) সদস্য (মূল্যায়ন/পরীক্ষা প্রত্যয়ন), (পদাধিকার বলে);
(ঘ) সদস্য (শিক্ষা তত্ত্ব/শিক্ষা মান), (পদাধিকার বলে);
(ঙ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, (পদাধিকার বলে);
(চ) মহাপরিচালক, কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর, (পদাধিকার বলে);
(ছ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, (পদাধিকার বলে);
(জ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন উপ-সচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;
(ঝ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন উপ-সচিব পদামর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা;
(ঞ) বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন; এবং
(ট) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
৯। কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্র।¾ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দেশের সকল বেসরকারী নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক সংযুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমপর্যায়ের কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভোকেশনাল, টেকনিক্যাল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ও দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল ও সংযুক্ত এবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসমূহ এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রেভুক্ত হইবে।
১০। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রণয়ন, ইত্যাদি।¾ (১) কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত শিক্ষকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, নিবন্ধিত ও প্রত্যয়নকৃত না হইলে কোন ব্যক্তি কোন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের জন্য যোগ্য বিবেচিত হইবেন না :
তবে শর্ত থাকে যে, এ আইন বলবৎ হইবার পূর্বে পাঠদানে অনুমতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
১১। চেয়ারম্যান।¾ (১) কর্তৃপক্ষের একজন চেয়ারম্যান থাকিবেন, যিনি নির্বাহী বোর্ডেরও চেয়ারম্যান হইবেন এবং নির্বাহী বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(২) সরকার কর্তৃক অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা অথবা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারী কলেজের একজন প্রথিতযশা এবং প্রবীণ অধ্যাপক চেয়অরম্যান নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
(৩) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন; এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষো, নির্বাহী বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন।
(৪) চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন; এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, নির্বাহী বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত কার্যবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন।
(৫) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেযঅরম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যানরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন।
১২। কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ।¾ (১) কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন সচিবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষ কোন সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে না।
(২) কর্তৃপক্ষের সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১৩। কমিটি।¾ কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সুস্পষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
১৪। কর্তৃপক্ষের তহবিল।¾ (১) কর্তৃপক্ষের কার্য পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথা :¾
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(খ) সরকারের অনুমোদনসহ কোন বিদেশী সরকার বা সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(ঙ) কর্তৃপক্ষের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা;
(চ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদায়কৃত নিবন্ধন ফি, প্রত্যয়ন ফি ও অন্যান্য ফি এবং আয়; এবং
(ছ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
(২) কর্তৃপক্ষের তহবিল বা উহার অংশ বিশেষ সরকার কর্তৃক অনমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।
(৩) উক্ত তহবিলে জমাকৃত অর্থ কর্তৃপক্ষের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদতি কোন তফসিল ব্যাংকে জমা রাখা হইবে।
(৪) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে।
১৫। বাজেট।¾ কর্তৃপক্ষ প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তি অর্থ বৎসরের বাষির্ক বাজেট। বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার এল্লেখ থাকিবে।
১৬। হিসাবরকক্ষণ ও নিরীক্ষা।¾ (১) কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বৎসর কর্তৃপক্ষের তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার এবং ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিলদস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, কোন সদস্য, কর্তৃপক্ষের সচিব বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
১৭। প্রতিবেদন।¾ (১) চেয়ারম্যান প্রতি বৎসর ৩০শে মার্চ-এ বা তাহার পূর্বে পূর্ববর্তী একত্রিশে ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বৎসরে স্বীয় কার্যাবলী সম্বন্ধে রিপোর্ট প্রস্তুত করিবেন এবং তাহা সরকারের নিকট পেশ করিবেন।
(২) সরকার প্রয়োজন মত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী আহবান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে।
১৮। ঋণ গ্রহণ।¾ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।
১৯। চুক্তি।¾ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।
২০। সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ।¾ এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান, কোন সদস্য, কর্তৃপক্ষের সচিব বা কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা চর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে ন।
২১। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।¾ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
২২। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা।¾ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ড. মোঃ ওমর ফারুক খান
ভারপ্রাপ্ত সচিব
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট