১৯৬১ সনের
নিম্নতম মজুরী অধ্যাদেশ
[The Minimum Wages Ordinance, 1961]
[১৯৬১ সনের ৩৯নং অধ্যাদেশ]
[২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯৬১]
কতিপয় শিল্প সংস্থার নিযুক্ত শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরীর হার নিয়ন্ত্রণের বিধান করার জন্য প্রণীত অধ্যাদেশ।
যেহেতু কতিপয় শিল্প সংস্থা চাকরিরত শ্রমিকদের মজুরীর নিম্নতম হার নিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধান করা সমীচীন :
১৯৫৮ সনের ৭ই অক্টোবরের ঘোষণা অনুযায়ী এবং সে উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতিকে সমকারী যাবতীয় মতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত অধ্যাদেশ রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করছেন।
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা এবং প্রবর্তন (Short title, extent and commencement) : (১) এ অধ্যাদেশকে ১৯৬১ সনের নিম্নম মজুরী অধ্যাদেশ নামে অভিহিত করা যেতে পারে।
(২) এটি সমগ্র [বাংলাদেশে]১ প্রযোজ্য।
(৩) এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮নং আদেশ এবং ১৯৮৮ সনের নিম্নতম মজুরী (সংশোধনী) আইন (১৮৮ সনের ৩৪নং) আইন দ্বারা [পাকিস্তান) শব্দের পরিবর্তে [বাংলাদেশ] প্রতিস্থাপিত।
২। সংজ্ঞাসমূহ (Definitions) : বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গের বিপরীত কিছু না থাকলে এ অধ্যাদেশে :
(১) ”প্রাপ্তবয়স্ক” (adult) শব্দটি [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের]১ ধারার (খ) অনুচ্ছেদের অনুরূপ একই অর্থ বহন করবে।
(২) ”বোর্ড” (the board) বলতে২ ধারা মোতাবেক গঠিত নিম্নতম মজুরী বোর্ড (minimum wages board) বুঝাবে।
(৩) [*****]৩
(৪) ”মালিক” (employer) বলতে বুঝাবে কোন ব্যক্তি যিনি সরাসরি অথবা অন্যের মাধ্যমে, নিজের জন্যই হোক বা অপরের পক্ষেই হোক, যার জন্য এ অধ্যাদেশ মোতাবেক নিম্নতম মজুরী ঘোষিত হতে পারে এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন, এবং নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণও এর অন্তর্ভুক্ত--
(ক) কারখানা ক্ষেত্রে কোন ম্যানেজিং এজেন্ট বা অন্য কোন ব্যক্তি কারখানার বিষয়ে যার চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে; এবং
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, অনুরূপ শ্রমিকের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ এবং তার মজুরী পরিশোধের জন্য মালিকের কাছে দায়ী ব্যক্তি।
(৫) “কারখানা” (factory) বলতে বুঝাবে ১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের ২ ধারার (চ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত কারখানা এবং উক্ত আইনের ৩ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক কারখানা হিসেবে গণ্য জায়গাও এর অন্তর্ভুক্ত,]৪
(৬) “শিল্প” (industry) বলতে ব্যাকরণগত ব্যতিক্রম ও সমার্থক অভিব্যক্তি সাপেক্ষে, [১৯৬৯ সনের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের (১৯৬৯ সনের ২৩নং অধ্যাদেশ) ২ ধারার (১৪নং অনুচ্ছেদ]৫ এ বর্ণিত শিল্প বুঝাবে এবং ১৯৩৬ সনের মজুরী পরিশোধ আইনের ২ ধারার (ররর) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বাগান (plantation) ও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
(৭) “তরুণ শ্রমিক” (juvenile worker) অর্থ হচ্ছে এম শ্রমিক যিনি প্রাপ্তবয়স্ক নন।
(৮) “মজুরী” (wages) বলতে অর্থে প্রকাশযোগ্য যেকোন পারিশ্রমিক, যা চাকরির শর্ত, ব্যক্ত বা আরোপিত যাই হোক না কেন, পূরণ সাপেক্ষে কোন ব্যক্তিকে অনুরূপ নিযুক্তির কারণে বা অনুরূপ চারিতে কৃত কাজের জন্য প্রদেয় হয়, তবে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত হবে নাঃ
(ক) অনুরূপ ব্যক্তির ব্যাপারে মালিক কর্তৃক কোন সামাজিক নিরাপত্তা (social insurance) বা পেনশন ফান্ডে (pension fund) বা ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত কোন চাঁদা;
(খ) কোন যাতায়াত ভাতা বা যাতায়াত সুবিধা বাবদ প্রদত্ত মূল্য;
(গ) চাকরির ধরনের কারণে নিযুক্ত ব্যক্তির বিশেষ ব্যয় নির্বাহের জন্য অনুরূপ ব্যক্তিকে প্রদত্ত কোন অর্থ;
ধারা : ২-৩ ১৯৬১ সনের নিম্নম মজুরী অধ্যাদেশ খন্ড ৪ : মজুরী সম্পর্কিত(ঘ) বার্ষিক বোনাস হিসেবে প্রদত্ত কোন অর্থ; অথবা
(ঙ) ডিসচার্জ-এর জন্য প্রদেয় গ্রাচ্যুইটি, এবং
১. ১৯৬৫ সনের ৪নং আইন এবং পরবর্তীতে ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [১৯৩৪ সনের কারখানা আইন] এর পরিবর্তে [১৯৬৫ সনের কারখানা আইন] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
২. ১৯৮৮ সনের নিম্নতম মজুরী (সংশোধনী) আইন ৯১৯৮৮ সনের ৩৪নং) আইন দ্বারা [A Board] শব্দাবলীর পরিবর্তে [The Board] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৩. উপরোক্ত আইন দ্বারা ২ ধারার (৩) নং অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত।
৪. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা ৫নং অনচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত।
৫. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং অধ্যাদেশ দ্বারা [১৯৫৯ সনের শিল্প বিরোধ অধ্যাদেশ-এর ২ ধারার (চ) অনুচ্ছেদে] শব্দাবলীর পরিবর্তে [১৯৬৯ সনের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের ২ ধারার (১৪) নং অনুচ্ছেদ] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
(৯) “শ্রমিক” (worker) বলতে বোঝায় শিক্ষানবিসসহ কোন শিল্পে মজুরী বা পারিতোষিকে রভিত্তিতে দক্ষ বা অদক্ষ, বুদ্দিবৃত্তি সংক্রান্ত বা কারিগরী, করণিক, দৈহিক বা অন্য কাজ করার জন্য নিযুক্ত ব্যক্তিকে বুঝায়; তবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন না :
[(i) সরকার১ কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি;]২
(ii) কয়লা খনিতে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ যাদের সম্পর্কে ১৯৬০ সনের কয়লা খনি (মজুরীর হার নির্ধারণ) অধ্যাদেশ দ্বারা মজুরী নির্ধারিত হতে পারে; এবং
(iii) কৃষিকাজে নিযুক্ত ব্যাক্তি।
৩। নিম্নতম মঞ্জুরী বোর্ড প্রতিষ্ঠা (Establishment of Minimum Wages Board) : (১) এ অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার পর যত শীঘ্র সম্ভব [সরকার]১ তৎকর্তৃক নিযুক্ত নিম্নোক্ত চারজন সদস্যের সমণ্বয়ে একটি নিম্নতম মজুরী বোর্ড নামে একটি বোর্ড]৩ গঠন করবেন; যথা :
(ক) বোর্ডের চেয়ারম্যান;
(খ) একজন নিরপেক্ষ সদস্য;
(গ) মালিকদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন সদস্য; এবং
(ঘ) [***]৪ শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন সদস্য।
শর্ত হচ্ছে, ৫ ধারায় বর্ণিত বোর্ডের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে [সরকার]৩ কর্তৃক নিযুক্ত দু’জন অতিরিক্ত সদস্য সংযোজিত হবেন :
(i) সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মালিকদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন সদস্য; এবং(ii) অনুরূপ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন সদস্য।
(২) বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং নিরপেক্ষ সদস্য নিযুক্ত হবেন [দেশের]৫ শিল্প, শ্রম এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যারা কোন শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত নন এবং মালিক বা শ্রমিকদের সংগঠনের সঙ্গে য্ক্তু নন।
(৩) উপধারায় উল্লিখিত (১) ধারা মোতাবেক [**]৪ মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য এবং [**]৪ শ্রমিকদের প্রতিনিধত্বকারী সদস্য নিযুক্ত করা হবে [সরকার]১ যেসব সংগঠনকে যথাক্রমে অনুরূপ মালিক বা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করবেন, অনুরূপ সংগঠনের মনোনয়ন থাকলে সেগুলো বিবেচনা রার পর।
(৪) [সরকার]১ যেসব সংগঠনকে মালিকদের বা শ্রমিকদের প্রতিনিধত্বকারী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করেন, অনুরূপ সংঘটনের কোন মনোনয়ন াকলে, তা বিবেচনার পর উপধারার শর্তে উল্লিখিত মালিকদের প্রতিনিধিত্ব করার সদস্য সংশ্ণিষ্ট শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং শ্রমিকদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার সদস্য সংশ্লিষ্ট শিল্পে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে [সরকার]১ তাদের নিয়োগ করবেন।
(৫) বোর্ডের সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ; বোর্ডে সাময়িক শূন্যপদ পূরণ এবং কমিটির নিয়োগ থাকলে, বোর্ডের এবং এর কমিটির সভার পদ্ধতি ও পরিচালনা এবং অনুরূপ সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য পারিশোধিতব্য ভাতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ এবং বোর্ড কর্তৃক বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টার সার্ভিস গ্রহণ বাবদ খরচসহ অন্যান্য খরচাদি, ১৭ ধারা মোতাবেক নির্ধারিতব্য বিধিমালা দ্বারা স্থির করা হবে।
১. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] এর স্থলে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।
২. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা (i) নং অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত।
৩. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার প্রদেশের জন্য একটি নিম্নতম মজুরী বোর্ড গঠন করবেন] শব্দাবলীর পরিবর্তে।
৪. উপরোক্ত আইন দ্বারা [প্রদেশের জন্য] শব্দাবলী বিলুপ্ত।
৫. উপরোক্ত আইন দ্বারা [প্রদেশের জন্য] শব্দাবলীর পরিবর্তে [দেশের জন্য] শব্দাজলী প্রতিস্থাপিত।
৪। অদক্ষ তরুণ শমিকদের নিম্নতম মজুরীর হার সুপারিশ (Recommendation of minimum rates of wages for unskilled and juvenile workers) : (১) [সরকার]১ কর্তৃক বোর্ডের কাছ পাঠানো হলে, বোর্ড যেরকম উপযুক্ত মনে করেন অনুরূপ অনুসন্ধানের পর, [**]২ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে নিযুক্ত অদক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক বা তরুণ শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার সুপারিশ করতে পারেন।
(২) বোর্ড উপধারা (১) মোতাবেক সুপারিশে সমগ্র দেশে নিম্নতম মজুরীর হার একই রকম হবে কিনা বা কোন বিশেষ এলাকায় এলাকাভিত্তিক পরিবর্তনশীল হবে কিনা সে বিষয়ে আলোকপাত করবেন।
৫। নির্দিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী হার সুপারিশ
(Recommendation of minimum rates
of wages for workers with respect to particular industries)
: (১) [**]৩ কোন বিশেষ শিল্পের শ্রমিকদের মজুরী ফলপ্রসূভাবে নিয়ন্ত্রণের
জন্য যেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, সেক্ষেত্রে [সরকার]১ যদি মনে করেন যে,
অনুরূপ শিল্পে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরী বিবেচনা করে, অনুরূপ
শ্রমিকদের মজুরীর নিম্নতম হার নির্ধারণ করা সমীচীন, তবে সরকার, বোর্ডকে বোর্ডের মতে
উপযুক্ত অনুসন্ধানের পর হয় অনুরূপ সকল শ্রমিকদের জন্য অথবা নির্দেশপত্রে নির্দিষ্ট
শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার সুপারিশ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারবেন।
[****]৪
(২) উপধারা (১) মোতাবেক প্রদত্ত নির্দেশের সূত্রে বোর্ড সুপারিশে নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করে যেকোন শ্রেণীর (grade) সকল শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরী সুপারিশ করতে পারেন :
(ক) নিম্নোক্ত ধরনের যথাঃ
(i) মেয়াদী কাজের জন্য (time work);
(ii) ফুরনভিত্তিক কাজের জন্য (piece work);
(iii) অতিরিক্ত কাজ (overtime work); এবং
(iv) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (weekly day of rest) কাজ এবং মজুরীসহ অবকাশ (paid holidays); সময়ের কাজের জন্য নিম্নতম মজুরীর হার; এবং
(খ) ফুরনভিত্তিক কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মেয়াদী মজুরীর হার নির্দিষ্ট করা যাতে অনুরূপ শ্রমিকদের মেয়াদী হারে নিম্নতম মজুরী নিশ্চি করা হয়।
(৩) বোর্ড কর্তৃক সুপারশকৃত মেয়াদী মজুরীর হার ঘন্টাভিত্তিক দৈনিক সাপ্তাহিক বা মাসিকভিত্তিক হতে পারে।
(৪) এ ধারা মোতাবেক সুপারিশকৃত অতিরিক্ত কাজের জন্য এবং সবেতন অবকাশের দিনের কাজের জন্য মজুরীর হার বর্তমানে বলবত অন্য কোন আইনের অনুরূপ কাজের জন্য নির্দিষ্ট করা থাকলে তার চেয়ে কম হবে না।
১. ১৯৮৪ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার]-এর স্থলে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত।
২. ১৯৮৪ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [প্রদেশের] শব্দ বিলুপ্ত।
৩. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [প্রদেশের] শব্দ বিলুপ্ত।
৪. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির ১নং আদেশ দ্বারা ৫ ধারার (১) উপধারার শর্তটি বিলুপ্ত।
(২) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক অপরাধের বিচার করার সময় শ্রম আদালত ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন)-তে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রদত্ত একই রকম ক্ষমতা ভোগ করবেন এবং প্রদত্ত দন্তাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার উদ্দেশ্যে উক্ত আদালত, দায়রা আদালত হিসেবে গণ্য হবেন।
(৩) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক অপরাধ বিচার করার সময় আদালত যথাসম্ভব উক্ত বিধিতে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
১১। বোর্ড অথবা পরিষদের কার্যক্রমের সুরক্ষা (Protection of the proceedings of a Board or the Council) : বোর্ডের [**]১ কোন কাজ অথবা কার্যক্রম কেবলমাত্র যেখানে কোন পদ শূন্য থাকার দরুন অথবা এর গঠনে বা নিয়োগে কোন ত্র“টি থাকার দরুন অথবা এর কোন সদস্যের যোগ্যতায় ত্র“টি থাকার কারণে বাতিল হবে না বা কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না।
১২। বোর্ড ইত্যাদি কর্তৃক তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা (Powers of Boards, etc. to collect information) :
২[(১) বোর্ড অথবা বোর্ডের চেয়ারম্যান]৩ এ অধ্যাদেশ মোতাবেক বা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক কোন অনুসন্ধানের (enquiry) উদ্দেশ্যে; কোন মালিককে কোন রেকর্ডপত্র, দলিলাদি বা তথ্য হাজির করতে এবং বোর্ড বা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোন কাজ করতে নির্দেশ দিতে পারেন, এবং অনুরূপ সকল মালিককে অনুরূপ নির্দেশ পালন করতে হবে।]
(২) বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যান [**]৪ এবং এ অধ্যাদেশ বা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য চেয়ারম্যান কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ :
(ক) সকল যুক্তিসঙ্গত সময়ে, যেকোন কারখানায় প্রবেশ করতে;
(খ) অনুরূপ কারখানা সংক্রান্ত যেকোন খাতাপত্র, রেজিষ্টার এবং অন্যান্য দলিলপত্র পরিদর্শন করতে; এবং
(গ) অনুরূপ কারখানার কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির বিবৃতি রেকর্ড করতে পারবেন :
শর্ত হচ্ছে, কোন ব্যক্তি নিজে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারেন এ অনুচ্ছেদ মোতাবেক এমন কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে তাকে বাধ্য করা যাবে না।
(৩) কোন মালিক যদি (১) উপধারার কোন বিধান লংঘন করেন, এবং কোন ব্যক্তি যদি (২) উপধারা মোতাবেক ক্ষমতা ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেন, অথবা দাবি অনুযায়ী কোন খাতাপত্র, রেজিষ্টার বা অন্য দলিলপত্র হাজির করতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি অনধিক [পাঁচ হাজার টাকা]৫ পর্যন্ত যে কোন অংকের জরিমানায় দণ্ডনীয় হবেন।
১৩। বোর্ড ইত্যাদির উপর আদালতের কতিপয় ক্ষমতা (Certain powers of Court to Boards etc) : (১) [বোর্ড]৬ [***]৭ এ অধ্যাদেশ মোতাবেক অথবা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক অনুসন্ধান (enquiry) পরিচালনার সময় দেওয়ানী আদালত হিসেবে গণ্য হবেন নিম্নোক্ত বিষয়ে ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধিতে অনুরূপ আদালতকে প্রদত্ত একই ক্ষমতা ভোগ করবেন; যথা :
(ক) যেকোন ব্যক্তিকে উপস্থিত হতে বাধ্য করা এবং শপথপূর্বক তার জবানবন্দী গ্রহণ করা;
(খ) দলিলপত্র এবং দ্রব্যসামগ্রী হাজির করতে বাধ্য করা; এবং
১. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১ দ্বারা [অথবা পরিষদের] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।
২. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১ দ্বারা মূল (১) উপধারাটি প্রতিস্থাপিত।
৩. ১৯৬৪ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [কোন বোর্ড বা কোন বোর্ডের চেয়ারম্যান] শব্দাবলীর পরিবর্তে [বোর্ড অথবা বোর্ডের চেয়ারম্যান] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৪. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির ১নং আদেশ দ্বারা [এবং পরিষদ] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।
৫. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [পাঁচশ টাকা] শব্দাবলীর পরিবর্তে [পাঁচ হাজার টাকা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৬. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [বোর্ডসমূহ] শব্দাবলীর পরিবর্তে বোর্ড।
৭. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যানগণ] শব্দাবলীর পরিবর্তে [বোর্ডের চেয়ারম্যান] প্রতিস্থাপিত।
দেখা দেয়া, তবে বোর্ড তার সুপারিশসমূহ পুনর্বিবেচনা করবেন, এবং ৬ ধারা মোতাবেক ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হার সংশোধন, পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনার জন্য [সরকারের]১ কাছে সুপারিশ করবেন :
শর্ত হচ্ছে, কোন বিশেষ অবস্থার কারণে প্রয়োজন না হলে কোন সুপারিশ সেটি দেয়ার তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে এবং তিন বছরের পর পুনর্বিবেচনা করা হবে না :
(ক) এ ধারা মোতাবেক পুনর্বিবেচনা এবং সুপারিশ ক্ষেত্রানুসারে, ৪ ধারা মোতাবেক অথবা ৫ ধারা মোতাবেক তদন্ত এবং সুপারিশ বলে গণ্য হবে, এবং অনুরূপ পুনর্বিবেচনা বা সুপারিশসমূহের ক্ষেত্রে তদনুসারে এ অধ্যাদেশের বিধানসমূহ যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে।
[৮। ******]১
৯। নিম্নতম মজুরী হারের চেয়ে কম হারে মজুরী দেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (Prohibition to pay wages at a rate below the minimum rate of wages) : (১) শুধামাত্র এ অধ্যাদেশে বা বর্তমানে বলবত অন্য কোন আইনে অনুমোদিত কর্তন সাপেক্ষে ছাড়া, কোন মালিক কোন শ্রমিককে এ অধ্যাদেশের অনুরূপ শ্রমিকের জন্য মজুরী হিসেবে ঘোষিত হারের চেয়ে কম হারে মজুরী প্রদান করতে পারবেন না।
(২) উপধারা (১)-এর কোন কিছুই :
(ক) কোন মালিককে কোন শ্রমিকের মজুরী হ্রাস করার কোন ক্ষমতা প্রদান করেছে বলে; বা
(খ) কোন চুক্তি, সমঝোতা বা রোয়েদাদ বা প্রচলিত প্রথা মোতাবেক বা অন্যভাবে কোন শ্রমিক যদি উচ্চহারে মজুরী পাওয়ার অধিকারী হয়ে থাকেন বা অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা ভোগরত থেকে থাকেন তবে কোন শ্রমিকের এ অধ্যাদেশ মোতাবেক ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর চেয়ে অধিক হারে মজুরী গ্রহণ করার ক্ষমতা খর্ব করেছে বলে; অথবা
(গ) ১৯৩৬ সনের মজুরী পরিশোধ আইনের কেন বিধান খর্ব করেছে বলে গণ্য হবে না।
(৩) যদি কোন মালিক এ ধারার কোন বিধান লংঘন করেন তবে তিনি [এক বছর]২ পর্যন্ত কোন মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা [পাঁচ হাজার]২ টাকা পর্যন্ত যেকোন পরিমাণ জরিমানায় অথবা উভয় রকম দন্ডে দণ্ডিত হবেন, এবং যে অনুরূপ বিধান ভঙ্গের জন্য বিচারকারী আদালত যদি নির্দেশ দেন যে, লংঘন না হলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে যে অর্থ প্রদান করতে হত অনুরূপ প্রদেয় অর্থ ও প্রদত্ত অর্থের বাকী অংশ আদেশে বিনির্দিষ্ট উপায়ে প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন তবে তা প্রকাশ করতে হবে।
৩[১০। অপরাধের আমল গ্রহণ (Cognizance of offence) : (১) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক বা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ শ্রম আদালত বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের নিম্নতর কোন আদালত আমলে গ্রহণ করবেন না এবং উক্ত অপরাধের ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক অথবা এতদুদ্দেশ্যে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া অনুরূপ অপরাধ আমলে গ্রহণ করা যাবে না।]
১. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির ১নং আদেশ দ্বারা ৮ ধারা বিলূপ্ত।
২. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [ছয় মাস] শব্দের স্থলে [এক বছর] এবং [পাঁচশ' টাকা] এর স্থলে [পাঁচ হাজার টাকা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৩. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা ১০ ধারাটি প্রতিস্থাপিত।
(২) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক অপরাধের বিচার করার সময় শ্রম আদালত ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন)-তে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রদত্ত একই রকম ক্ষমতা ভোগ করবেন এবং প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার উদ্দেশ্যে উক্ত আদালত, দায়রা আদালত হিসেবে গণ্য হবেন।
(৩) এ অধ্যাদেশ কোতাবেক অপরাধ বিচার করার সময় আদালত যথাসম্ভব উক্ত বিধিতে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
১১। বোর্ড অথবা পরিষদের কার্যক্রমের সুরক্ষা (Protection of the proceedings of a Board or the Council) : বোর্ডের [**]১ কোন কাজ অথবা কার্যক্রম কেবলমাত্র যেখানে কোন পদ মূন্য থাকার দরুন অথবা এর গঠনে বা নিয়োগে কোন ক্রটি থাকার দরুন অথবা এর কোন সদস্যের যোগ্যতায় ত্রুটি থাকার কারণে বাতিল হবে না বা কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না।
১২। বোর্ড ইত্যাদি কর্তৃক তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা (Powers of Boards, etc. to collect information) : ২[(১) বোর্ড অথবা বোর্ডের চেয়ারম্যান]৩ এ অধ্যাদেশ মোতাবেক বা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক কোন অনুসন্ধানের (enquiry) উদ্দেশ্যে; কোন মালিককে কোন রেকর্ডপত্র, দলিলাদি বা তথ্য হাজির করতে এবং বোর্ড বা চেয়ারম্যান কর্র্তক নির্দেশিত অন্য কোন কাজ করতে নির্দেশ দিতে পারেন, এবং অনুরূপ সকল মালিককে অনুরূপ নির্দেশ পালন করতে হবে।]
(২) বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যান [**]৪ এবং এ অধ্যাদেশ বা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য চেয়ারম্যান কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ :
(ক) সকল যুক্তিসঙ্গত সময়ে, যেকোন কারখানায় প্রবেশ করতে;
(খ) অনুরূপ কারখানা সংক্রান্ত যেকোন খাতাপত্র, রেজিষ্টার এবং অন্যান্য দলিলপত্র পরিদর্শন করতে; এবং
(গ) অনুরূপ কারখানার কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির বিবৃতি রেকর্ড করতে পারবেন :
শর্ত হচ্ছে, কোন ব্যক্তি নিজে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারেন এ অনুচ্ছেদ মোতাবেক এমন কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে তাকে বাধ্য করা যাবে না।
(৩) কোন মালিক যদি (১) উপধারার কোন বিধান লংঘন করেন, এবং কোন ব্যক্তি যদি (২) উপধারা মোতাবেক ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেন, অথবা দাবি অনুযায়ী কোন খাতাপত্র, রেজিষ্টার বা অন্য দলিলপত্র হাজির করতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি অনধিক [পাঁচ হাজার টাকা]৫ পর্যন্ত যে কোন অংকের জরিমানায় দণ্ডনীয় হবেন।
১৩। বোর্ড ইত্যাদির উপর আদালতের কতিপয় ক্ষমতা (Certain powers of Court to Boards etc.) : (১) [বোর্ড]৬ [***]৭ এ অধ্যাদেশ মোতাবেক অথবা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক অনুসন্ধান (enquiry) পরিচালনার সময় দেওয়ানী আদালত হিসেবে গন্য হবেন এবং নিম্নোক্ত বিষয়ে ১৯০৮ সনের দেওয়ানী কার্যবিধিতে অনুরূপ আদালতকে প্রদত্ত একই ক্ষমতা ভোগ করবেন; যথা :
(ক) যেকোন ব্যক্তিকে উপস্থিত হতে বাধ্য করা এবং শপথপূর্বক তার জবানবন্দী গ্রহণ। করা;
(খ) দলিলপত্র এবং দ্রব্যসামগ্রী হাজির করতে বাধ্য করা; এবং
১. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১ দ্বারা [থবা পরিষদের] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।
২. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১ দ্বারা মূল (১) উপধারাটি প্রতিস্থাপিত।
৩. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [কোন বোর্ড বা কোন বোর্ডের চেয়ারম্যান] শব্দাবলীর পরিবর্তে [বোর্ড অথবা বোর্ডের চেয়ারম্যান] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৪. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির ১নং অঅদেশ দ্বারা [এবং পরিষদ] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে।
৫. ১৯৮৮ সানের ৩৪নং আইন দ্বারা [পাঁচ টাকা] শব্দাবলীর পরিবর্তে [পাঁচ হাজার টাকা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৬. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [বোর্ডসমূহ] শব্দাবলীর পরিবর্তে বোর্ড।
৭। ১৯৮৮ সানের ৩৪নং আইন দ্বারা [বোর্ডেসমূহের চেয়ারম্যানগণ] শব্দাবলীর পরিবর্তে [বোর্ডের চেয়ারম্যান] প্রতিস্থাপিত।
দেখা দেয়, তবে বোর্ড তার সুপারিশসমূহ পুনর্বিবেচনা করবেন, এবং ৬ ধারা মোতাবেক ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর হার সংশোধন, পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনার জন্য [সরকারের]১ কাছে সুপারিশ করবেন :
শর্ত হচ্ছে, কোন বিশেষ অবস্থার কারণে প্রয়োজন না হলে কোন সুপারিশ সেটি দেয়ার তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে এবং তিন বছরের পর পুনর্বিবেচনা করা হবে না :
(ক) এ ধারা মোতাবেক পুনর্বিবেচনা এবং সুপারিশ ক্ষেত্রানুসারে, ৪ ধারা মোতাবেক অথবা ৫ ধারা মোতাবেক তদন্ত এবং সুপারিশ বলে গণ্য হবে, এব অনুরূপ পুনর্বিবেচনা বা সুপারিশসমূহের ক্ষেত্রে তদনুসারে এ অধ্যাদেশের বিধানসমূহ যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে।
[৮। ******]১
৯। নিম্নতম মজুরী হারের চেয়ে কম হারে মজুরী দেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (Prohibition to pay wages at a rate below the minimum rate of wages) : (১) শুধুমাত্র এ অধ্যাদেশে বা বর্তমানে বলবত অন্য কোন আইনে অনুমোদিত কর্তন সাপেক্ষে ছাড়া, কোন মালিক কোন শ্রমিককে এ অধ্যাদেশের অনুরূপ শ্রমিকের জন্য মজুরী হিসেবে ঘোষিত হারের চেয়ে কম হারে মজুরী প্রদান করতে পারবেন না।
(২) উপধারা (১)-এর কোন কিছুই :
(ক) কেন মালিককে কোন শ্রমিকের মজুরী হ্রাস করার কোন ক্ষমতা প্রদান করেছে বলে; বা
(খ) কোন চুক্তি, সমঝোতা বা রোয়েদাদ বা প্রচলিত প্রথা মোতাবেক বা অন্যভাবে কোন শ্রমিক যদি উচ্চহারে মজুরী পাওয়ার অধিকারী হয়ে থাকেন বা অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা ভোগরত থেকে থাকেন তবে কোন শ্রমিকের এ অধ্যাদেশ মোতাবেক ঘোষিত নিম্নতম মজুরীর চেয়ে অধিক হারে মজুরী গ্রহণ করার ক্ষমতা খর্ব করেছে বলে, অথবা
(গ) ১৯৩৬ সনের মজুরী পরিশোধ আইনের কেন বিধান খর্ব করেছে বরে গণ্য হবে না।
(৩) যদি কোন মালিক এ ধারার কোন বিধান লংঘন করেন তবে তিনি [এক বছর]২ পর্যন্ত কোন মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা [পাঁচ হাজার]২ টাকা পর্যন্ত যেকোন পরিমাণ জরিমানায় অথবা উভয় রকম দন্ডে দণ্ডিত হবেন, এবং যে অনুরূপ বিধান ভঙ্গের জন্য বিচারকারী আদালত যদি নির্দেশ দেন যে, লংঘন না হলে না হলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে যে অর্থ প্রদান করতে হত অনুরূপ প্রদেয় অর্থ ও প্রদত্ত অর্থের বাকী অংশ আদেশে বিনির্দিষ্ট উপায়ে প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন তবে তা প্রকাশ করতে হবে।
৩[১০। অপরাধের আমল গ্রহণ (Cognizance of offence) : (১) এ অধ্যাদেশ মোতাবেক বা এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ শ্রম আদালত বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের নিম্নতর কোন আদালত আমলে গ্রহণ করবেন না এবং উক্ত অপরাধের ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক অথবা এতদুদ্দেশ্যে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া অনুরূপ অপরাধ আমলে গ্রহণ করা যাবে না।]
১. ১৯৬৪ সনের রাষ্ট্রপতির ১নং আদেশ দ্বারা ৮ ধারা বিলুপ্ত।
২. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা [ছয় মাস] শব্দের স্থলে [এক বছর] এবং [পাঁচশ' টাকা] এর স্থলে [পাঁচ হাজার টাকা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত।
৩. ১৯৮৮ সনের ৩৪নং আইন দ্বারা ১০ ধারাটি প্রতিস্থাপিত।
সূত্র: শ্রম ও শিল্প আইন- নির্মলেন্দু ধর
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট