সপ্তম অধ্যায়

নিরোধ প্রতিকার প্রসঙ্গে

[OF PREVENTIVE RELIEF]

 

 

নবম অধ্যায়

 

 

বিশ্লেষণ

 

১৷ ভূমিকা: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুরের যতগুলো উপায় অত্র আইনে বিধৃত হয়েছে তন্মধ্যে নিষেধাজ্ঞা একটি অন্যতম৷ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদানে, ন্যায়পরতার নীতির প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার ভূমিকা সমধিক৷

 

নিষেধাজ্ঞা হলো কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বাধ্য করা বা কোন কাজ করা হতে বিরত করার জন্য আদালত কর্তৃক দেয় আদেশ৷

 

৫৷ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য প্রয়োজনীয়তা:  নিষেধাজ্ঞার সাধারণ উদ্দেশ্য হলো অন্যায় কাজকে বারিত করা৷ অনুচিত অধিকার প্রয়োগে বাধা দান৷আংশিক ক্ষতি নিবারণ৷ দখল পুনঃউদ্ধার, সম্পত্তির স্থায়ী ভোগের অধিকার রক্ষা, অধিকার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ না হওয়া অবধি বিরোধী সম্পত্তির ক্ষতি রক্ষ৷

 

তাছাড়া বিশেষ নিষেধাজ্ঞা হলো বিশেষ আইনে মঞ্জুরকৃত নিষেধাজ্ঞা যেমন ১৮৯২ সালের সুখাধিকার আইনের ধারা ৩৫, ১৯৯৪ সালের কোম্পানী ্ইন, ১৮৯০ সালের অভিভাবক রক্ষক আইনের ধারা ১২, দেউলিয়া সালিশী আইনের ধারা ১৮, ২০, ২৭, ৩২, ৩৪ ৪১ বলে মঞ্জুর করা হয়৷

 

স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ বিরোধভুক্ত সম্পত্তি যে অবস্থায় বিদ্যমান ছিল তা সুসমুন্নত রাখা৷

 

এছাড়া ১৯০৮ সালের সিপিসি-এর ধারা ৯৪ এবং আদেশ ৩৯-এর বিধি ১৩২ অনুযায়ী মঞ্জুরকৃত নিষেধাজ্ঞা৷

 

৬৷ নিষেধাজ্ঞা অনুমোদনের সাধারণ নীতি:

. ন্যায়রপরতামূলক প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অবিচার রোধ৷

. নিষেধাজ্ঞা প্রার্থীকে মামলা চালাকালীন উহা না মঞ্জুর করলে অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবলা রয়েছে৷

. অত্র আইনের ধারা ৫৬ এর নীতি অনুসরণ করতে পারে৷

. স্থিতি অবস্থার কোন পরিবর্তন না করা৷

. যথাযথ মধ্যবর্তী প্রতিকার প্রদান৷

. প্রথম দৃষ্টিতে মামলার অস্থিত্ব থাকা৷

. যুক্তিপূর্ণ মামলা থাকা৷

 

নিষেধাজ্ঞায় উভয়পক্ষের মধ্যে স্থিতি অবস্থা রাখা হয়৷৯

 

. পি , ডি, ১৯৭৪ করাচি ১৬৪৷

  . পি, এল, ডি, ১৯৭০ (এস সি) ১৮০৷

  . পি, এল, ডি ১৯৫১ লাহোর ২৬২৷

  . পি, এল, ডি ১৯৭৮ করাচী ৩৩২৷

  . , আই, আর ১৯৫৮ মধ্য প্রঃ ২৮৭৷

  . ১৯৮০ এস, সি সমসার ১৫০৷

  . ১১ ডি, এল, আর ১০৩৷

  . ১১ ডি, এল, আর ৪৭০৷

  . পি, এল, ডি, ১৯৬০ নাগ ১৫৩ (ডিবি)

 

 

 

৮৷ কখন নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করা হয়:

. যখন কোন ব্যক্তি তার নিজের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কিছু করা অধিকার রাখে তখন সে কর্ম হতে নিবৃত্ত করার কোন আইন অপর ব্যক্তিকে অনুমোদন যোগায় না৷১০

. যেক্ষত্রে বাদী তার ব্যবহার দ্বারা এমন কাজ করেছে যেভাবে সমতূল্য কিংবা তার ব্যবহার বা অবহেলা দ্বারা অপর পক্ষকে এমন অবস্থায় ফেলেছেন বা তিনি উক্ত অবস্থায় যেসব কাজ করেছেন তা পরিবর্তন করে অনেক সময় পরে বাদী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করলে সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায় না৷১১

. আবেদনকারীর ভাল মামলা থাকলে (Good arguable & primafacie case)

. সহজেই পূরণযোগ্য ক্ষতি হলে৷

. কোন প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ প্রশাসনের অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে৷

. আবেদনকারীর কোন ব্যক্তিগত ক্ষতি না হলে৷

. সরকার বিদেশী সরকারের সার্বভৌমের কাজে বাধা সৃষ্টি৷

. যেখানে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দেয়া যায় না সেখানে৷

 

১০৷ আদালতের ক্ষমতা:

. আদালত তার অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে৷১২

. বিচারের স্বার্থে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিবার ক্ষমতা আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতাভূক্ত৷১৩

 

১৷ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কাকে বলে

২৷ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের শর্তাবলী

৩৷ যেসব ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায় না

৪৷ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের নীতি

৫৷ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য

৬৷ কে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করতে পারে

৭৷ কার  বিরুদ্ধে মঞ্জুর করা যায়৷

 

২৷ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের শর্তাবলী: একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের শর্তাবলী একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের শর্তাবলী হলো-

  . বাদীকে আপাতদৃষ্টিতে কেসে থাকা প্রমাণ,

  . বাদীকে দেখাতে হবে যে, প্রার্থীত প্রতিকার মঞ্জুর না করলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে;

  . বাদীর সুবিধার ভারসাম্য বিদ্যমান৷১

 

 

  . ৩৫ ডি, এল, আর ২৫;৩৭ ডি, এল, আর ১০৩৷

 

 

() বিবাদী তার পাওনাদারগণকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি অপসারিত বা হস্তান্তর করার ইচ্ছা প্রকাশ বা হুকুম প্রদর্শন করেছে৷

 

৪৷ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের নীতি: একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নোক্ত নীতিসমূহ পরিশীলিত হয়ে থাকে-

. আপাতগ্রহণযোগ্য একটি কেচ থাকা অর্থাত্ existence of prima facie & arguable case

. অপূরণীয় ক্ষতি

. মোকদ্দমা সঠিক ভারসাম্য

. দরখাস্তকারীর আচরণ

. একাধিক নতুন মামলার সৃষ্টি

. হুমকি প্রদান বা কারণ৷

 

১৷ আপাতদৃষ্টিতে কেস থাকা দরখাস্তকারীর আবেদন বা প্রার্থনা এবং দলিলপত্র দৃষ্টে যদি প্রতীয়মান হয় যে, মুল মামলায় তার ভাল কেচ আছে-তাকে সাক্ষাত দৃষ্টে কেস আছে বলে৷ আদালত দরখাস্তকারীর বিষয়ে অনুমান করেন বলেই একে আপাতদৃষ্টে মামলা আছে বলা হয়৷

 

২৷ অপূরণীয় ক্ষতি আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের আগে দেখতে হবে যে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর না করলে আবেদনকারীর অপূরণীয় ক্ষতি হবে৷ অপূরণীয় ক্ষতি হলৈ যেসব ক্ষতি হয় যা খেসারতের মাধ্যমে পূরণ সম্ভব হয় না৷২

 

 

৪৷ আবেদনকারীর আচরণ

আবেদনকারীকে প্রার্থিত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেতে হলে বিলম্ব না করা এবং আইনানুগ আচরণ করতে হবে৷

 

৫৷ একাধিক নতুন মামলা সৃষ্টি

যদি নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা না হয় তাহলে একাধিক নতুন মামলার সূত্রপাত ঘটবে৷ এতে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হবে৷ যে প্রতিকার প্রাসঙ্গিক মূল প্রতিকারের সহযোগী ছাড়া প্রতিকার  অর্থহীন অপূর্ণাঙ্গ থেকে যায়৷ এমন প্রতিকার প্রত্যাখ্যান করা হলে নতুন মামলার সৃষ্টি হতে পারে৷

 

৬৷ হুমকি বা কারণ অন্যায়ের কারণ প্রতিকার না করলে সমাজে দেখা দেবে হুমকি৷ তাই আদালতকে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে৷

 

অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এখতিয়ার, বিশেষ করে ব্যসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে৷ বাদী বিল পরেশোধ করে চুক্তিতে থাকা তার অংশ পূরণ করার পর নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করতে পারেন, যদি কোন ক্ষেত্রে চুক্তি লংঘনের হুমকি আসে৷৬

 

৬৷ কে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করতে পারে সিপিসির আদেশ ৩৯ বিধি অনুযায়ী যে কোন পক্ষ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করতে পারে৷ প্রতিবাদী বাদীর বিরুদ্ধেও৷৭

কোন তৃতীয় পক্ষ, যিনি মামলায় পক্ষ নন তিনি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করতে পারে না৷

 

৭৷ কার বিরুদ্ধে মঞ্জুর করা যায় মামলার একটা পক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের বিরুদ্ধে নয়৷ যিনি মামলার পক্ষ নয় তার বিরুদ্ধে করা যায় না৷ তবে কোন পক্ষের মাধ্যমে কর্তৃত্ব পেলে তার বিরুদ্ধে করা যায়৷৭

 

চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

(OF PERPETUAL INJUNCTION)

ধারা ৫৪৷ চিরস্থায়ী ইনজাংশন যখন মঞ্জুর করা হয় এই অধ্যায়ের অন্তর্ভূক্ত বা এই অধ্যায়ের উল্লিখিত অন্যান্য বিধানের অধীন আবেদনকারীর স্বপক্ষে বিরাজমান মাধ্যবাধকতা তা প্রকাশ্য হোক অথবা অনুমিত হোক ভঙ্গ করাকে নিরোধ করার জন্য চিরস্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে৷

যখন তেমন বাধ্যবাধকতা চুক্তির ফলে উদ্ভুত হয়, তখন আদালত এই আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের বিধানাবালী নিয়মাবলী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন৷

যখন প্রতিবাদী বাদীর সম্পত্তির অধিকারে অথবা সম্ভোগে অনধিকার হস্তক্ষেপ করে অথবা হস্তক্ষেপ করার হুমকি দেয় তখন আদালত নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে চিরস্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন -

() যেখানে প্রতিবাদী বাদীর জন্য সম্পত্তির জিম্মাদার;

() যেখানে অধিকার লঙ্ঘনের ফলে কৃত বাস্তব ক্ষতি অথবা সম্ভাব্য ক্ষতি নিরূপণের কোন মানদন্য নেই;

() যেখানে অধিকার লঙ্ঘন এমন ধরনের যে, আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা উহার পর্যাপ্ত প্রতিকার করা যাবে না;

() যেখানে এমন সম্ভাবনা থাকে যে, অধিকার লঙ্ঘনের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে না;

() যেখানে বিচার বিভাগীয় কার্যধারার জটিলতা নিবারণের জন্য ইনজাংশন প্রয়োজনীয়৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ট্রেড মার্ক সম্পত্তি বলে গণ্য হবে৷

উদাহরণ

() , -কে নির্দিষ্ট জমি ভাড়া দেয় এবং সেখান হতে বালি বা নুড়ি পাথর খনন বা উত্তোলন না করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ -কে চুক্তি লঙ্ঘণ-মূলক খনন কাজ হতে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে ইনজাংশন জারির জন্য মামলা দায়ের করতে পারে৷

() একজন জিম্মাদার জিম্মা ভঙ্গ করার হুমকি দেয়৷ তার সহ-জিম্মাদার যদি থেকে থাকে, অবশ্যই এবং উপকার লাভকারী মালিক চুক্তিভঙ্গ নিরোধের উদ্দেশ্যে ইনজাংশন জারির জন্য মামলা দায়ের করতে পারে৷

 

 

৩৷ কে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করতে পারে আবেদনকারীর অনুকূলৈ কোন দায় থাকলে এবং তা লঙ্ঘন করা হলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়৷

৪৷ কার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় এবঙ তা যে ব্যক্তির কাজের বিরুদ্ধে দেয়া হয় উক্ত কার্যকে উদ্দেশ্য করে তা দেয়া যাবে৷

 

 

 

  . নাগ এল, আর ৬৷

  . ১৮ এন এল জে, ১২৩৷

  . , আই, আর ১৯৩১ বোম্বে ৪৬৬ (ডিবি)

 

 

 

 

স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

. বাদীর অধিকারের বিপরীতে কোন ভূমিকা পালন থেকে বিবাদীকে বিরত রাখার আদেশই স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা৷

. একটি নির্দিষ্ট সময় অবধি বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইহা বলবত্ থাকে৷

. ধারা ৫৪ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত

. সিপিসির আদেশ ৩৯ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত৷

. বিচারকার্য সম্পন্ন করতে ডিক্রী আকারে দেয়া হয়৷

. মামলার যে কোন পক্ষকে উহা মঞ্জুর করা হয়৷

. মামলা দায়েরান্তে বাদী পক্ষই আবেদন করতে পারে৷

. যেকোন পক্ষ আবেদন করতে পারে৷

. বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকে-

. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যকরী থাকে৷

. রায় ডিক্রীর মাধ্যমে প্রদান করা হয়-

. আদেশের মাধ্যমে দেয়া হয়৷

. বিচারকার্য সমাপ্তি শেষে দেয়া হয়৷

. বিচার কার্য সমাপ্তির আগেই দেয়া হয়৷

. বাদীপক্ষের সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবার পর মঞ্জুর করা হয়৷

. সমাপ্তির প্রয়োজনীয় দলিলপত্র দৃষ্টে মঞ্জুর করা হয়৷

. কোর্টফি প্রদানান্তে, নির্ধারিত পরিমাণ, পরিশোধান্তে আবেদন করতে হয়৷

. মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে একটি দরখাস্তের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়৷

১০. মামলা রুজুর সাথে সাথে পাওয়া যায় না৷

১০. রুজান্তে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পাওয়া যায়৷

১১. মোকদ্দমায় জয়ী হলেই পাওয়া যায়৷

১১. যে কোন শর্তে পাওয়া যায়৷

১২. নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরকারী আদালত নয় আপীল আদালত উহা বাতিল করতে পারে৷

১২. উহা মঞ্জুরকারী আদালত উপযুক্ত কারণ থাকলে পুর্নর্বিবেচনাও বাতিল করতে পারে৷

 

৯৷ কিভাবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়: স্থায়ী ইনজাংশন পাবার জন্যে বাদীকে পরিষ্কার স্বত্বের মামলা বা মোকদ্দমা রুজু করতে হয়৷ সমন জারির পর পুরাপুরি শুনানি শেষে ডিক্রী আকারে স্থায়ী ইনজাংশন জারি করা হয়৷ স্থায়ী ইনজাংশন জারির পর বিবাদীকে বাদীর অধিকার লঙ্ঘন বা ভীতি প্রদান করা থেকে চিরতরে বিরত রাখা হয়৷ আদালত তার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে বাদী কর্তৃক মোকদ্দমা রুজুর পর উক্ত মোকদ্দমার গুণাগুন তত্ সহ উহা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ৫৬ নং ধারা মোতাবেক বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ বারিত হয়েছে কিনা বিবেচনান্তে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

এইরূপ প্রতিকার অর্থাত্ স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্যান্য সাধারণ আইন দ্বারা প্রতিকারে ব্যর্থ হয়৷

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে বর্ণিত স্থায়ী ইনজাংশন প্রসঙ্গে ধারা ৫৪ ধারা ৫৬-কে পাশাপাশি রেখে বিবেচনা অপরিহার্য৷ কেননা ৫৪ নং ধারাতে কোন কেন ক্ষেত্রে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না তা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ৫৩ নং ধারারও অনেক সময় সূত্র টানা হয়ে থাকে৷

 

১০৷ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় ৫৪ নং ধারাটি বিশ্লেষণান্তে স্থায়ী ইনজাংশন প্রদানের জন্যে কি কি অপরিহার্য তা নিম্নে অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করা গেল

() বাধ্যবাধকতা (Obligation) আইন দ্বারা কার্যকরীকরণযোগ্য প্রতিটা কর্তব্যই বাধ্যবাধকতা৷ উহা বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে৷ কিন্তু প্রধানত উহা চারটি অবস্থার প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হতে পারে৷ যথা () চুক্তির ফলে সৃষ্টি, () ট্রাস্ট গঠনের পর, () নিমচুক্তি বা টর্ট-এর দরুন, () লিখিত আইন বা সংবিধি কর্তৃক বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির ফলে৷

() বাদী ন্যায্য অধিকার, যার অস্তিত্ব বিদ্যমান হতে হবে৷

() আবেদন-অর্থাত্ বাদীর ন্যায্য অধিকার ভঙ্গ বা ভঙ্গের হুমকির দরুন অপূরণীয় ক্ষতি রোধকল্পে বা তার সুনির্দিষ্ট প্রতিকারকল্পে প্রার্থনা পত্র, কোন মামলা নহে অপরিহার্য৷৭

() যথাসময়ে-অর্থাত্ বাদীর অধিকার লঙ্ঘনের পর বা লঙ্ঘিত হবার সম্ভাবনার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিতর অবশ্যই আবেদন করতে হবে, নচেত্ অহেতুক কাল বিলম্বের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷৮

() বাধ্যবাধকতা পালন সম্ভব হতে হবে, অসম্ভব নয়-তা হলেই বাদী তার প্রতিকারের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷

() আচরণ-অর্থাত্ বাদীকে আদালতের মাধ্যমে কোন কিছুর প্রার্থনার দ্বারা স্থায়ী ইনজাংশন বা অন্য কিছু পেতে হলে অবশ্যই কলুষমুক্ত হতে হবে, নচেত্ আদালত কখনও বাদীর প্রতিকারে এগিয়ে আসবেন না৷৯

() বাদী কোন জমির স্বত্ব দখল প্রমাণে দলিল মৌখিক সাক্ষ্য পেশ করতে সক্ষম হলে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়৷৯.

১০৷ যে সমস্ত মামলায় স্থায়ী ইনজাংশন প্রদান করা যায়:

চুক্তিভঙ্গঃ-

() কার্যকর করণীয়যোগ্য নহে এমন চুক্তিভঙ্গের বিরুদ্ধে কোন ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না অর্থাত্ কার্যকর করণীয়যোগ্য চুক্তির ক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে, যদি কিনা উক্ত চুক্তিভঙ্গের দরুন ক্ষতিপূরণ অন্য কোনভাবে পূরণ সম্ভব না হয়৷১০

() খাজনা বা কর আদায় খাজনা বা কর আদায় অধিকার ছাড়া বাদীর প্রজা থেকে অতিরিক্ত কর আদায়ের বিরুদ্ধে আদালত ইনজাংশন দিতে পারেন৷

() ধর্মীয় উপাসনালয় বিক্রয় বা স্থান্তান্তর বা তার কোনরূপ পরিবর্তন থেকে বিরত থাকার জন্য আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

১৩

() ক্ষতির সামনে গর্ত খননের দরুন প্রতিবেশীর কোন জমির সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আদালত ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

১৫

() সহ-অংশীদার কর্তৃক যৌথ সম্পত্তি ভোগের ক্ষেত্রে কোন যৌথ সম্পত্তির একজন সহ-অংশীদার, অপর একজন অংশীদার কর্তৃক উক্ত যৌথ সম্পত্তিতে এককভাবে তা ন্যায্য অধিকারের সীমা পেরিয়ে অধিকার ভোগ করছে বা করতে যাচ্ছে, যার দরুন অন্যান্য অংশীদারদের সমূহ অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যমান বিরুদ্ধ মামলা দায়েরকরত উহা থেকে বিরত রাখার জন্য ইনজাংশন চায়৷ এক্ষেত্রে সে ইনজাংশন পেতে পারে৷

যখন কোন যৌথ সম্পত্তির একজন সহ-মালিক, অন্যান্য সহ-মালিকদের অধিকার পরিপন্থী বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে, তখন ক্ষতিগ্রস্ত বা যে সমস্ত সহ-মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা হবে না ইনজাংশন-এর জন্যে আদালতের নিকট প্রার্থনা করতে পারেন৷আদালত উক্ত মোকদ্দমার গুণাগুণ বিবেচনান্তে, যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহ'লে স্থিতি বজায় রাখার জন্যে ইনজাংশন দিতে পারেন৷

 

১৭

কোন যৌথ সম্পত্তিতে কোন সহ-অংশীদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হয় না, যদি আবেদনকারী কোন অংশের একক দখল দেখাতে পারে৷

 

() একজন সহ-মালিক কর্তৃক মামলা দায়ের স্থাবর সম্পত্তির একজন সত্যিকার সহ-মালিক উক্ত সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ উদ্যত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করতে পারে৷ যদি কিনা অনধিকার প্রবেশ উদ্যত ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির সত্যিকার দখলকারীর সহিত পক্ষভূক্ত না হয়৷

 

১৯

প্রথম দৃষ্টে বিবাদীর কার্যকলাপ বা অন্য কিছুর নিয়ন্ত্রণ দ্বারা বাদী আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বা হতে পারে যা তার জন্যে খুবই ক্ষতিকার প্রমাণ প্রয়োজন৷

ইনজাংশন প্রদানের মাধ্যমে আদালত কোন আলো-বাতাস গমনাগমন প্রতিবন্ধকতা দুর করতে চান, তখন আদালতকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে, অন্য কোন উপায়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়, একমাত্র ইনজাংশন ছাড়া৷ এক্ষেত্রে আদালত বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুরের মাধ্যমে উহার যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন৷

আলো-বাতাসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অনধিকার প্রবেশ নয় বরং নুইলেন্স বা বিরুক্তি৷

(১০) পানিধারা প্রাপ্তি অধিকারে প্রতিবন্ধকতা (Obstruction to water course or Right to flow of water) অপরিহার্য পানিধারাতে যে কোন রকমের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায়৷ যেক্ষেত্রে পানি প্রবাহ অবৈধভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দ্বারা উহা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং স্থায়ী ইনজাংশন দ্বারা উহার ভবিষ্যত্ পুনরুক্তি বন্ধ করা যেতে পারে৷

বাদী একাধিকক্রমে ৪০ বত্ সর বৃষ্টির পানি প্রবাহ কাজে লাগিয়ে আসছে৷ এক্ষেত্রে বিবাদী তার অধিকারে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তাহলে স্থায়ী ইনজাংশন প্রদানান্তে উহা রোধ করা যায়৷

 

২১

  ১৮. ৩৫ আই, সি৷

  ১৯. ৩৩ মাদ্রাজ ৩২৭৷

  ২০. ৫৫ আই, সি, ৪০৷

  ২১. ৩৫ আই, সি, ৪০৷

 

 

২২

(১৪) দরজার জানালা খোলার দরূণ গোপনীয়তা ভঙ্গ (Invasion of Privacy by opening doors and window): বিবাদী তার ঘরের দেয়ালের জানালা দরজা খোলার দরুন বাদীর কোন গোপনীয়তা বা তেমন কিছু রোধকল্পে বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারে না৷

 

২৪

(১৫) জমিদার এবং প্রজা-প্রজাস্বত্বের শর্ত পরিবর্তন (Land lord & tenant-Alteration of condition of tenancy): জমিদার কর্তৃক প্রজাকে প্রদত্ত স্থায়ী ইজারা জমিতে প্রজা এমন কোন খনন কার্য করতে পারে না, যা উক্ত জমির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে জমিদার তার প্রজার বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷

 

 

 

প্রজার যেখানে কোন স্থায়ী স্বত্ব নেই সেক্ষেত্রে প্রজা কোন রকম দালান তোলার পরিকল্পনা করতে পারে না৷

 

জমিদার তার প্রজাকে এক খণ্ড জমিতে ধান রোপণের উদ্দেশ্যে বর্গা দিল; কিন্তু প্রজা যদি সেস্থলে ধান না রোপণ করে আম গাছ লাগায় তা'হলে জমিদার তার প্রজার বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷

 

(১৬) গোপনীযতা ভঙ্গ রোধকল্পে ব্যক্তিগত কোন গোপন চিঠি উহার লেখক বা প্রেরক কর্তৃক অনুমতি ভিন্ন প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ, যার বিরুদ্ধে ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে৷

 

(১৭) বিবাহ নিরোধের জন্যে ইনজাংশন (Injunction to restrain marriage) পিতার অনুমতি ছাড়া মাতা যদি তার কন্যাকে বাদীর সহিত বিবাহ দেন৷ সেক্ষেত্রে বাদী তার পিতামাতাকে তাদের কন্যা অন্যত্র বিবাহ প্রদান থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন পেতে পারেন৷২৬

 

(১৮) ক্যাষ্ট এণ্ড রিলিজিয়ান (Caste & Religion) ধর্মীয় উপাসনার জন্যে কোথাও কোন দেবতা বা মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং কেহ যদি উক্ত মূর্তিকে বা দেবতাকে উপাসনা করা থেকে বিরত রাখার জন্যে চেষ্টা করে, তবে তার বিরুদ্ধে ইনজাংশন দেয়া যেতে পারে৷২৭

 

বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে নূতন তৈরি মসজিদে শুক্রবার খোতবা পড়া থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন প্রার্থনা করে আদালতে এক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করবে না৷২৮

 

  (১৯) পৌরসভার আইন পরিপন্থী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইনজাংশন প্রদান করা যায়৷ যেমন-

  () অন্যায়ভাবে পানি সরবরাহ বন্ধ করলে ইনজাংশন প্রদান করা যায়৷২৯

  () অন্যায়ভাবে কর ধার্যের বিরুদ্ধে ইনজাংশন প্রদান করা যায়, যা কিনা পৌরকর ধার্যনীতির পরিপন্থী অথবা কর প্রদানকারীর সমর্থন বহির্ভূত৷ তার বলে বকেয়া কর আদায় থেকে বিরত রাখার জন্যে কোন ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না৷

 

 

 

  ২৬. সি ডবলু এন, ৫২১৷

  ২৭. , বোম্বে ৩২৩৷

  ২৮. ১৮ কলিকাতা ৪৪৮৷

  ২৯. ১৯৪৪ , এল ডবলু, ৪৬৯৷

 

 

 

() পৌরসভার তহবিল অন্যায়ভাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে যে কোন করদানকারী ইনজাংশন প্রার্থনা করতে পারেন৷

 

(২০) প্রথাভিত্তিক পশুচরানো (Customary right to graze) বিশেষ কোন জঙ্গলে পশু চরানোর অধিকার সংরক্ষণের জন্য ঘোষণামূলক মামলা দায়ের তত্ সহ অধিকার থেকে বিরত না রাখার জন্যে ইনজাংশন মামলা করা যায়৷ এইরূপ অধিকার ভোগের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই৷৩০

 

(২১) ডিক্রী জারিকরণ (Execution of decree) ঘোষণামূলক মামলার বাদীর বিরুদ্ধে তঞ্চকতাপূর্ণভাবে ডিক্রীপ্রাপ্ত হলে, উহার যথাযথ প্রতিকারস্বরুপ হয় উক্ত ডিক্রী রদ অথবা উক্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর দ্বারা উক্ত ডিক্রী কার্যকর করা থেকে বিরত রাখতে পারেন৷৩১

 

কর্নধর বনাম হরিপ্রসাদ মামলায় দেখা যায় যে, ডিক্রী হোলডার কর্তৃক উক্ত ডিক্রী কার্যকর করা থেকে বিরত থাকার জন্যে ইনজাংশন প্রদান করা হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না উক্ত ডিক্রী হোলডার প্রাপ্ত ডিক্রী কার্যকর করার পদক্ষেপ নিচ্ছে বা নেবার হুমকি দিচ্ছে-প্রমাণিত হয়৷

 

(২২) অনধিকার প্রবেশ (Trespass) অনধিকার প্রবেশ হল কোন ব্যক্তির আইনসঙ্গত ভূমির উপর অবৈধভাবে প্রবেশ করা৷ একমাত্র আইনসঙ্গত মালিকানাস্বত্ব উহার প্রতিরোধস্বরূপ মামলা দায়েরের অধিকারী৷ অনধিকার প্রবেশ মামলায় ইনজাংশন পেতে হলে বাদীকে অবশ্যই গুরুতর ক্ষতি অথবা প্রতিনিয়ত অনধিকার প্রবেশের প্রকৃত প্রমাণ করতে হয়, নতুবা শুধুমাত্র ক্ষতির জন্য কখনও ইনজাংশন মঞ্জুর করা হয় না৷ অনধিকার প্রবেশ নানা ধরনের হতে পারে৷ যেমন- বাদীর জমিতে দালান তোলা বা ভঙ্গ দেওয়াল দেওয়া বা ভাঙা ঘরে প্রবেশ, বাদীর বাড়িতে দূর্গন্ধময় বস্তু বা ভারী কোন বন্তু নিক্ষেপ প্রভৃতি৷

 

কোন সম্পত্তির কেবলমাত্র আইনগত দখলকারীর অনধিকার প্রবেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু তথা ইনজাংশন পাওয়ার অধিকারী কেননা দখলই তার স্বত্বের প্রমাণ৷৩২

 

দখলচ্যুত ব্যক্তি কখনও দখল লাভের জন্য ইনজাংশন পেতে পারে না৷ কিন্তু দখলাধিন থাকার দরুন গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হলে বা সম্ভব না থাকলে সেক্ষেত্রে আদালত ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

বৈধ কর্তৃত্ব ছাড়া অনধিকার প্রবেশ আইন লঙ্ঘণ এবং তার জন্যে অনধিকার প্রবেশকারীর ক্ষতিপূরণে বাধ্য৷

 

 

 

  ৩০. ২০ আই, সি, ৪৬৭৷

  ৩১. সি এল, জে, ৪৮৫৷

  ৩২. এল আর, ২০ আই, , ৯৯৷

 

 

 

অনধিকার প্রবেশের দরুন সৃষ্ট ক্ষতির অন্যভাবে প্রতিকার সম্ভব হলে আদালত সেক্ষেত্রে ইনজাংশন দিবেন না৷

 

(২৩) রেজিস্ট্রেশন (Registration): দাতা দান সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের পূর্বেই তা প্রত্যাহার করতে পারে৷ কিন্তু দান গ্রহীতা যদি উক্ত দলিল ফেরতদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে সেক্ষেত্রে দাতা উক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন পেতে পারে৷৩৩

 

(২৪) প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা (Representative suit) দেওয়ানী কার্যবিধির ১ম আদেশের ৮নং বিধি মোতাবেক কোন গ্রামের বহু সংখ্যক প্রজার এরূপ কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এক না একাধিক ব্যক্তি মামলা দায়ের এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে ইনজাংশনও পেতে পারে৷৩৪

 

(২৫) কপিরাইট গ্রন্থস্বত্ব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে৷ কপিরাইট মূলত জ্ঞান-বিজ্ঞানের সম্প্রসারণ উহার সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ বিনিময়ের উদ্দেশ্যে লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, রেকর্ড গ্রণেতা, সঙ্গীত ইত্যাদি রচয়িতাদের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে প্রণীত কপিরাইট আইনের মূল উদ্দেশ্য হল বেআইনীভাবে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ইহার আইনগত মালিক বা রচয়িতাদের স্বার্থরক্ষা করা৷ বিনা অনুমতিতে বা আইনের মাধ্যম ব্যতীত লঙ্ঘনকে Infringment বা বেআইনী লঙ্ঘন বলে৷ কপিরাইট আইনের ধারা অনুয়ায়ী একজন কপিরাইট-এর মালিক লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা রুজু করতে পারে৷ যেক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করেন যে, উহার প্রতিকার অন্যভাবে প্রদান সম্ভব না সেক্ষেত্রে ইনজাংশন দিতে পারেন৷৩৫

 

(২৬) ট্রেডমার্ক বা ট্রেড নাম (Trade mark/Trade name) ট্রেডমার্ক হল কোন ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত বিশেষ চিহ্ন৷ আর উহা ভঙ্গের দরুন পরিহাস মামলা পরিচালনাযোগ্য৷ লেভেল, শব্দ, অক্ষর, ভাষা, সংখ্যা প্রভৃতি ট্রেডমার্ক চিহ্ন হতে পারে৷

 

ট্রেডমার্ক দৃশ্যমান নকশা যুক্ত বা অনুরূপ কিছু হতে পারে৷

 

ট্রেডমার্কে চিহ্ন কোন সম্পত্তি নয় বরং উহা কোন দ্রব্যের প্রতীক মাত্র৷ সংখ্যা ট্রেডমার্কস্বরূপ গ্রহণযোগ্য৷

 

ট্রেডমার্ক অধিকারে হস্তক্ষেপের প্রতিকারস্বরূপ প্রস্তুতকারক বা উক্ত দ্রব্য ব্যবসায়ী মামলা পরিচালনা করতে পারে এবং আদালত নির্দিষ্ট ট্রেডমার্ক ব্যবহার থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন দিতে পারে না৷৩৬

 

 

  ৩৩. ৪৮ বোম্বে ৪৩৫৷

  ৩৪. ৪০ সি, এল জে, ৫১৫৷

  ৩৫. ১৩ বোম্বে ৩৫৮৷

  ৩৬. ৩৭ কলি ২০৪৷

 

 

 

সাদৃশ্যতুল্য ট্রেডমার্ক হলেই ইনজাংশন পাওয়া যায় না বরং সাধারণ ক্রেতা ট্রেডমার্ক দৃষ্টে যেন বিভ্রান্ত না হয়, সেটার দিকেই সর্বাধিক লক্ষণীয়৷ গেটআপ সাদৃশ্য তুল্য হলেই যথেষ্ট নয়, বরং ক্রেতা সাধারণ উক্ত গেটআপ সাদৃশ্য ট্রেডমার্ক দৃষ্টে প্রতারিত না হয় সেটাই বিবেচ্য৷৩৭

 

বিবাদী বাদীর ট্রেড নাম এমনভাবে ব্যবহার করবে না যার দরুন ক্রেতাকে প্রতারিত হতে হয়৷ এখানে তঞ্চকতাপূর্ণ মনোভাব প্রমাণই যথেষ্ট নয়৷ একটি মামলার বিবরণে প্রকাশ National Bank of India  নামক ট্রেড নাম এর সদৃশ্য  National Bank of Indore.

 

ট্রেড নাম বিবাদীকে ব্যবহারের বিরুদ্ধে ইনজাংশন দ্বারা বিরত রাখা হয়৷৩৮

 

বিজ্ঞপ্তির দ্বারা মার্ক অধিকার লঙ্ঘন করা যায়৷ বাদী যদিও তার ট্রেডমার্ক রেজিঃ করেনি তবুও সে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের দরুন মামলা করতে পারে৷৩৯

 

বিদেশ থেকে আমদানিকৃত দ্রব্য যদি কোন কোং কোথাও বিক্রি করতে থাকে, অতঃপর দ্রব্য অন্য কোং যে কোন জায়গা থেকে সংগৃহীত মালামাল ব্যবসা পরিচালনা করে তবে পূর্বোক্ত কোং পরবর্তী কোং-বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না৷৪০

 

একটি পুরাতন কোং একই জায়গায় একই ধরনের পরিচিতিতে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন একটি কোং-এর বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷ যদিও উক্ত কোং যথাযথভাবে রেজিস্ট্রার কর্তৃক তালিকাভূক্তিকরণ করা হয়েছে৷৪১

 

একজন আমদানীকারক কোন এক বিশেষ কোম্পানীর নাম করে, যার কোন অস্তিত্ব ছিল না, সাইকেল বিক্রি করত৷ অন্য কেহ যদি অনুরূপ কোং এর নাম করে সাইকেল বিক্রি শুরু করে, তবে বাদী উক্ত ব্যক্তিকে ইনজাংশন দ্বারা প্রতিরোধ করতে পারবে না৷৪২

 

* স্ট্যাম্প মূল্য নির্ধারণ (Stamp & Valuation of suit for Injunction) স্থায়ী ইনজাংশন মামলার কোর্ট ফি স্থান, কাল-পাত্রভেদে নির্ধারিত হয়ে থাকে৷

 

১২৷ তামাদি (Limitation) সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৪ নং ধারায় স্থায়ী ইনজাংশন মামলাসমূহের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান তামাদি আইনের ১২০ নং আর্টিকেলই প্রযোজ্য৷৪৩

 

 

  ৩৭. ৫৬ আই সি, ৯৬৫৷

  ৩৮. ২৪ বোম্বো এল, আর ১১৮১ এবং ৪০ কলি ৫৭০৷

  ৩৯. ৯৭ পি, আর, ১৯১৩৷

  ৪০. ৮০ সি, ৭৬২৷

  ৪১. ৫১ আই, সি, ৯০৫৷

  ৪২. ২৪ সি ডবলু, এন, ১৫৫৷

  ৪৩. ২৬ , এস, এল, ৩৯১৷

 

 

১৩৷ ইনজাংশনের জন্যে ডিক্রী তার বাস্তবায়ন এবং উহা অমান্য (Decree for Injunction-Mode of Execution and disobedience) স্থায়ী ইনজাংশন ডিক্রী জারিকারক আদালত উহা অমান্য বা লঙ্ঘনের দরুন বিনা নোটিশে জাজমেন্ট ডেটার-এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারেন৷

 

বাদী যখন বিবাদীকে কোন কার্য করা থেকে বিরত রাখার জন্যে স্থায়ী ইনজাংশন পায়, তখন একই ধরনের প্রতিকারের জন্য, যদি বিবাদী কর্তৃক ইনজাংশন লঙ্ঘিত হয়, নতুন মামলা রুজু করার প্রয়োজন পড়ে না৷ কেননা ইনজাংশন লংঘনকারীর আচরণ আদালতকে অবমাননা করেছে যেহেতু আদালত তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন৷ ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের কোন প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও৷৪৪

 

কোন আদালত কর্তৃক জারিকৃত স্থায়ী স্থায়ী ইনজাংশন-এর বিষয়বস্তু যদি তার এখতিয়ার বহির্ভূত হয় সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত জারিকৃত ইনজাশংশন লঙ্ঘনের জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন না৷৪৫

 

বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে ইনজাংশন চেয়ে মামলা দায়ের করল এবং মাসের ভিতর বাদী জায়গা থেকে দেয়াল তুলে ফেলে দেয়ার জন্য বিবাদীর বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন ভঙ্গের দরুন বিবাদীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করল৷ উক্ত মামলা পরিচালনাযোগ্য না কেননা বাদীর প্রতিকার কার্যকর ছিল না৷৪৬

 

তামাদি তামাদি আইনের আটিকেল ১২০ টি প্রযোজ্য৷ কেননা এরূপ মামলার ক্ষেত্রে তামাদি আইনের তফসিলে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নেই৷১

 

১৪৷ কোর্ট ফি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলার ক্ষেত্রে বাদীকে অবশ্যই তার প্রার্থীত প্রতিকারের মুল্য নিরূপন করতে হবে৷ এক্ষেত্রে যে মূল্য নিরূপণ করা হয় তা সম্পূর্ণ তার বিবেচনামূলক৷২

 

১৫৷ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরকারী আদালত যদি বিচারসম্মতভাবে সবদিক বিবেচনান্তে উহা মঞ্জুর করেন তাহলে আজীবন আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করে না৷৩

 

১৬৷ দখল যে অবস্থাতেই দখল নেয়া হোক যদি বৈধভাবে নেয়া পরিদৃষ্ট না হয়, অর্থাত্ বিরুদ্ধ দখলের দ্বারা নেয়া না হয় বা পরবর্তী স্বত্ব অর্জনের দ্বারা না হয় তাহলে এটাকে আইনের দ্বারা রক্ষা করা যাবেব না৷৪

 

 

  ৪৪. ২৩ , এল, এল, ৪৪৬৷

  ৪৫. ১৫ সি, আই, জে, ১৪৭৷

  ৪৬. ১৩ অল ৯৮৷

  . ৫৬ আই, সি, ৫৭১৷

  . , আই, আর ১৯৩৪ রং ২৬৮৷

  . , আই, আর ১৯২০ অন্ধ্র প্রদেশ ২৩৩৷

  . ৫১ ডি এল আর ৪৪৭৷

 

 

 

ধারা ৫৫৷ বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা যখন একটি বাধ্যবাধকতা (obligation) ভঙ্গ রোধ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন আবশ্যক হয়; যা আদালত কার্যকরী করার যোগ্য, তখন আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে তা রোধ করা সেই সাথে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের বাধ্য করার জন্যে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

উদাহরণ

 

() '' একটি নতুন দালানের দ্বারা আলোর গমনাগমন ব্যবহারের পথে এমন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে, যার উপর '' তামাদি আইনের (৪র্থ খণ্ড) বিধান অনুসারে অধিকার অর্জন করেছে৷ '' আলোর পথে যতখানি বাধা স্থাপন করেছে, তা ভেঙ্গে ফেলার জন্যেও ইনজাংশন পেতে পারে৷

 

() রহিম একটি বাড়ি নির্মাণ করল, যার ছাদের প্রান্তভাগ করিমের জমির উপর পড়েছে৷ করিম তার জমির উপর ছাদের যতখানি প্রান্তভাগ পড়েছে তা ভেঙ্গে ফেলার জন্যে ইনজাংশন পাবার উদ্দেশ্যে মামলা রুজু করতে পারে৷

 

() ৫৪ নং ধারা '' উদহারণে যে মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে আদালত আরও আদেশ প্রদান করতে পারেন যে, রোগী হিসেবে '' চিকিত্ সা উপদেষ্ট ''-এর নিকট যত পত্রালাপ করেছে, তা নিশ্চহ্ন করা হোক৷

 

() ৫৪ নং ধারাতে বর্ণিত '' উদাহরণে উল্লেখিত মামলায় আদালত ''-এর চিঠি ধ্বংস করে ফেলার আদেশ প্রদান করতে পারেন৷

 

() করিম রহিমের সম্পর্কে এমন বিবৃতি প্রকাশ করার হুমকি দেয় যে, তার বাংলাদেশ দণ্ডবিধির একাদশ অধ্যায়ের অধীন শাস্তিযোগ্য৷ আদালত তা প্রকাশ থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন, এমনকি যদিও এটা দেখানো যেতে পারে যে, তা রহিমের সম্পত্তির জন্য ক্ষতিকর নয়৷

 

() '' ''-এর চিকিত্ সা উপদেষ্টা হিসেবে তার নিকট প্রেরিত ''-এর লিখিত চিঠিপত্র প্রকাশ করার হুমকি দেয়, যার মাধ্যমে এটা দেখানো যেতে পারে যে, '' নৈতিকতাবিহীন জীবন যাপন করছে৷ তাকে তা প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখার জন্যেও ইনজাংশন দেয়া যেতে পারে৷

 

() ৫৪ নং ধারার এবং উদাহরণের ক্ষেত্রে আদালত যথাক্রমে উল্লেখিত গ্রস্থত্ব অপহরণ দ্বারা প্রস্তুত ট্রেডমার্ক বিবৃতি এবং চিঠিপত্র প্রত্যর্পণ বা ধ্বংস করে ফেলার আদেশ প্রদান করতে পারেন৷

 

বিশ্লেষণ

 

  ১৷ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন কি?

  ২৷ প্রতিরোধমূলক বাধ্যতামূলক ইনজাংশন;

  ৩৷ আদালতের এখতিয়ারাধীন;

  ৪৷ কোন কোন ক্ষেত্রে ধরণের ইনজাংশন মঞ্জুর করেন না;

  ৫৷ দালান নির্মাণের প্রতিরোধ;

  ৬৷ কূপ খনন;

  ৭৷ উত্ পাত;

  ৮৷ সহ-অংশীদার কর্তৃক দালান নির্মাণ;

  ৯৷ অস্থায়ী বাধ্যতামূলক ইনজাংশন;

  ১০৷ আপীল;

  ১১৷ তামাদি৷

 

১৷ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন কি?

 

ইনজাংশন হয় প্রতিরোধমূলক নতুবা বাধ্যতামূলক৷ প্রতিরোধমূলক ইনজাংশন প্রধানত কোন জিনিসের গতি স্থির অথবা ভবিষ্যত্ কোন কাজ করা থেকে বিরত রাখে, উহা এস, আর, এ্যাক্ট-এর ৫৪ নং ধারা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত তথা পরিচালিত৷ পক্ষান্তরে, বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দ্বারা কোন কাজ করা থেকে বিরত রাখা তত্ সহ কৃত কাজকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দান করা হয়৷ উহা একই এ্যাক্টের ৫৫ নং ধারা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত৷

 

এখন প্রশ্নঃ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন কাকে বলে? প্রসঙ্গে Kerr তাঁর On Injunction নামক পুস্তকের ৫০ পৃষ্ঠাতে বলেন যে, ''A mandatory Injunction is an order compelling a defendant to restore things to the condition in which they were when the palintiffs complaint to made. ''অর্থাত্ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন হল একটি আদেশ যার দ্বারা বিবাদীকে বাদীর কোন জিনিসের নালিশ সষ্টির পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে দিবার আদেশ৷

 

২৷ প্রতিরোধমূলক বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রতরোধমূলক ইনজাংশন থেকে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন শক্তিশালী যুক্তিপূর্ণ৷ প্রতিরোধমূলক মোকদ্দমার ভিত হতে বাধ্যতামূলক মোকদ্দমার ভিত অধিক মজবুত৷ বাধ্যতামূলক ইনজাংশনের ক্ষেত্রে মামলার বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ না৷ আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে অন্তবর্তীকালীন আবেদন মঞ্জুর করতে পারেন ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু করতে পারবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না বিষয়টি অধিক গুরুতর হচ্ছে অথবা বিবাবদী ইচ্ছাকৃতভাবে অর্পিত বাধ্যবাধকত ভঙ্গ করে যার দরুন বাদীর ক্ষতি হতে পারে বা হয়েছে আর সে ক্ষতিপূরণ অন্যকোনভাবে সম্ভব না একমাত্র বাধ্যতামূলক ইনজাংশন ছাড়া৷ আদালত প্রথমত স্বাভাবিকভাবে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন এবং প্রয়োজনবোধে আদালত তার ইচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে বিবাদী কর্তৃক কৃত অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য রেসট্রেকটিভ ইনজাংশন তত্ সহ উক্ত বাধ্যবাধকতা বা ন্যায়ত অধিকার ভঙ্গের ফলে সৃষ্ট অবস্থাকে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুরকারী আদালতকে অবশ্যই দুটি বিষয় বিবেচনা করতে হয়৷ প্রথমতঃ বাধ্যবাধকতা বা ন্যায়ত অধিকার ভঙ্গরোধকল্পে কি ধরনের কর্তব্য সম্পাদন প্রয়োজন তা নিরূপণ এবং দ্বিতীয়ত, সে ধরনের কর্তব্য সম্পাদন আদালত কর্তৃক কার্যকরী যায় কিনা বিবেচনা৷

 

কি বাধ্যতামূলক আর কি- বা প্রতিরোধমূলক প্রত্যেক স্থলে ৫৬ নং ধারাকে সামনে রেখে আদালতকে ইনজাংশন মঞ্জুরের ক্ষমতা প্রয়োগে অগ্রসর হতে হয়৷ আদালত কখনও ৫৬ ধারাকে ডিঙ্গিয়ে কোথাও কাহারও জন্যে ইনাজংশন মঞ্জুর করতে পারেন না৷১

 

* সিদ্ধান্ত পেন্ডিং থাকাকালে অপর পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ ছাড়াই শুধু দরখাস্তের ভিত্তিতে অন্তবর্তী আদেশাত্মক নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের দৃষ্টান্ত প্রায় বিরল৷২

 

* উপযুক্ত কেসে আদালত অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে অস্থায়ী আদেশাত্মক নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়ে অন্যায়কারী পক্ষকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবার আদেশ দিতে পারবে৷৩

 

* কোন আদালতকে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা প্রয়োগ করার আদেশ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়ে অন্যায়কারী পক্ষকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবার আদেশ দিতে পারবে৷৪

 

* মোকদ্দমায় কোন পক্ষের বৈধ অধিকার লংঘন করে যখন মোকদ্দমার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অন্যায়কারী পক্ষ কেন অবৈধ কাজ করেন বলে প্রমাণিত হলে আদেশাত্মক নিষেধাজ্ঞার মত বিবেচনামূলক প্রতিকার সংক্ষুব্ধ পক্ষের অনুকূলে মঞ্জুর করতে হয়৷৫

 

* যখন আদালতের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, পেন্ডিং কার্যক্রমের কোন পক্ষ ঐদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করেন এবং আদালতের মর্যাদার হানি করেন, তখন অন্যায়কারীকে বিরোধীয় বিষয়বস্তু পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আদেশ দিতে এটা আদালতের উপর দায়িত্ব বর্তায়৷৬

 

 

  . ৩১ কলি ৯৪৪ (১৯৪৯) ; সি ডবলু এন, ৭১০৷

  . ৪৬ ডি এল আর ১৭৯৷

  . ৪৯ ডি এল আর ৪৫৬৷

  . ৪৯ ডি এল আর ৪৫৬৷

  . ১৯ ডি এল আর ৬১২৷

  . ৪৯ ডি এল আর ৩৬৪৷

 

 

একজন প্রজা তাঁর ভূ-স্বামীকে জ্ঞাতকরত একখণ্ড জমিতে কিছু আম গাছ লাগায়৷ বত্ সর পর ভূ-স্বামী উক্ত গাছ অপসারণের জন্য মামলা রুজু করে৷ যেহেতু প্রজা তার শ্রম মূলধন উক্ত আম গাছ লাগানোর কাজে ব্যয় করেছে এবং যার পিছনে তার ভূ-স্বামীর সম্মতি ছিল, সেহেতু আদালত উক্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন৷

 

৫৷ দালান নির্মাণ প্রতিরোধ মামলা (Suit to prevent erection of building) বাদী বিবাদী কর্তৃক বিশেষ একটি দরজা নির্মাণ প্রতিরোধ করার জন্য মামলা রুজু করল৷ আরজীতে উল্লেখ ছিল, আদালতের ন্যায়-বিচারে বাদী তার যে কোন প্রতিকার পেতে পারে, তাহা দিতে আজ্ঞা হয়৷ বিবাদী উক্ত কেস ফাইলের পর কিন্তু শুনানির পূর্বে উক্ত দরজাটি নির্মাণ করেছিল৷ উক্ত মামলার শুনানান্তে আদালত বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুরপূর্বক বিবাদীকে নির্মিত দরজাটি ভেঙ্গে ফেলার আদেশ দিতে পারেন, যদিও আদালতে প্রতিরোধামূরক প্রতিকার চাওয়া হয়েছিল৷১৬

 

আলো-বাতাস গমনাগমন পথে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ কোন নতুন দেওয়াল নির্মিত হলে আদালত তাও অপসারণের নির্দেশ দিতে পারেন৷ কিন্তু উক্ত দেওয়াল নির্মাণের পিছনে বাদীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতি থাকলে হবে না৷ এছাড়া বাদীর ক্ষতিপুরণ অন্যভাবে হলে সেক্ষেত্রেও বাধ্যতামূরক ইনজাংশন প্রদান সম্ভব না৷

 

বাদীর ইচ্ছা বা সম্মতির বিরুদ্ধে বিবাদী জোরপূর্বক দালান তুললে আদালত তা ভেংগে ফেলার জন্যে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দিতে পারেন৷১৬

 

৬৷ কূপ খনন (Digging Well) ভূ-স্বামীর সম্পত্তি ছাড়া কোন প্রজা যদি কোন কূপ খনন করে, সেক্ষেত্রে উক্ত ভূ-স্বামী তার প্রজার বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন পেতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ভূ-স্বামী প্রমাণ করতে পারছেন যে, উক্ত কূপের দরুন তার অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে যা প্রতিকার একমাত্র ইনজাংশন ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সম্ভব নয়, যদিও প্রথমদৃষ্টে উক্ত কূপ খনন কল্যানখর বলে মনে হয়েছিল৷১৭

 

 

  ১৫. ২৬ বোম্বে ১৩৬৷

  ১৬. ২৮ বোম্বে ২৯৮৷

  ১৭. ১৩ আই, সি, ৫৫৪, ৬০ সি, ১৭০৷

 

 

আইনে এমন কোন প্রথা নেই যে, একজন সহ-অংশীদার কর্তৃক অন্য যেকোন অংশীদার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা তার অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে৷ এরূপ সমস্যার ক্ষেত্রে আদালত সর্বদা তার প্রতিকার তত্ পর৷ যেমন-

 

  () দুইজন সহ-অংশীদার ৫০ গজ প্রস্থবিশিষ্ট একখণ্ড জমির মালিক৷ একজন অংশীদার জোরপূর্বক উক্ত জমিতে দুটি খুঁটি পুঁতল, যার দরুন অপর অংশীদারের ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হল৷ এক্ষেত্রে আদালত উহা অপসারণের জন্যে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দিতে পারেন৷

 

  () রহিম করিম একটি ক্ষেতের যৌথ মালিক৷ রহিমের সম্মতি ছাড়া করিম উক্ত ক্ষেতের ভিতর সেচকার্যের সুযোগ পাওয়ার জন্য একটি কূপ খনন করল৷ এমতাবস্থায় রহিম উক্ত কূপ পূরণপূর্বক পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্যে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হল৷ কিন্তু আদালত উক্ত ইনজাংশন প্রদানে বিরত থাকেন৷ কেনান উক্ত কূপ দ্বারা উভয়ই উপকৃত হয়েছে৷

 

৯৷ অস্থায়ী বাধ্যতামূরক ইনজাংশন (Temporary Mandatory Injunction) দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ নং আদেশের ২নং রুল অনুসারে আদালত অস্থায়ী বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান করতে পারেন৷১৫

 

অন্তর্বতীকালীন আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কদাচিত্ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদানের ইচ্ছামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করেন৷ কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বাদী কর্তৃক অন্তবর্তীকালীন আবেদনের প্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন চাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আদালত ডিক্রীর ন্যায় আদেশ প্রদান করতে পারেন৷ এরূপ আদেশ বাদীর অধিকার পুনরুদ্ধার পর্যন্তই তার বেশি নয়; কেননা এরূপ আদেশ দ্বারা কোন নতুন অধিকার সৃষ্টি করে না৷১৬

 

১০৷ অর্থাত্ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুর করা বা না করার বিরুদ্ধে আপীল ইনজাংশন মঞ্জুর করা বা না করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা৷ আদালতের নিকট যখনই ইনজাংশন মঞ্জুরের জন্য আবেদন আসে, তখন আদালত আবদনের গুণাগুণ যথার্থতা নিরুপনান্তে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে বা না করতে পারেন৷

 

আবেদনকারীর প্রার্থনার প্রেক্ষিতে বিবাদীর বিরুদ্ধে বাধ্যতামূরক ইনজাংশন মঞ্জুর করা হলে বিরুদ্ধ পক্ষ তার বিরুদ্ধে আপীল আদালতে আপীল করতে পারে৷ পক্ষান্তরে ইনজাংশন মঞ্জুর না করা হলে সেক্ষেত্রে আবদেনকারী উহা না মঞ্জুর করার বিরুদ্ধেও আপীল আদালতে আপীল করতে পারে৷ নিম্ন আদালত আবেদনটি মঞ্জুরপূর্বক বাধ্যতামুলক ইনজাংশন কর্তৃক উক্ত বাধ্যতামুলক ইনজাংশন মঞ্জুর বা না মঞ্জুরের পিছনে পর্যাপ্ত কারণ বিদ্যমান, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত নিম্নাদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবেন না৷

 

 

 

  ১৫. মাদ্রাজ ২০৮৷

  ১৬. ৬৭ আই, সি, ৭৪২ লাহোর৷

 

 

কিন্তু মঞ্জুরকৃত বাধ্যতামূরক ইনজাংশন প্রদানের পিছনে কোন যুক্তিপূর্ণ কারণ নেই সেক্ষেত্রে বা না-মঞ্জুর করার পিছনে তেমন কোন যুক্তি নেই, সেক্ষেত্রে উচ্চাদালত নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে পারেন৷

 

১১৷ তামাদি সহ অংশীদার কর্তৃক বাধ্যতামূরক ইনজাংশন মামলার মেয়াদ তামাদি আইনের ৩২ নং আর্টিকেল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত৷ বত্ সরের মধ্যে মামলা করতে হয়৷১

 

১২৷ সরকারী সংস্থা সরকারী সংস্থা আইনগত ক্ষমতা ব্যতিরেকে কাজ করলে উহার ধারা ৫৫ অনুযায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায়৷১.

 

ধারা ৫৬৷ নিষেধাজ্ঞা যখন প্রত্যাখ্যান করা হয় (Injunction when refuse) ইনজাংশন মঞ্জুর করা হয় না যখন-

  () যে মমালায় ইনজাংশন চাওয়া হয়, সে মামলার দ্বারা একটি বিচার বিভাগীয় কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্যে যদি না কার্যধারার পুনঃপৌনিকতা রোধ করার জন্যে তেমন নিবৃত্তি আবশ্যক হয়;

 

  () যে আদালতে ইনজাংশন চাওয়া হচ্ছে সে আদালতের অধীনস্থ হন এমন আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্যে;

 

  () কোন ব্যক্তিকে আইন প্রণয়ন বিষয়ক কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা থেকে বিরত রাখার জন্যে

 

  () সরকারের কোন বিভাগের সরকারি কতর্ব্যে অথবা বিদেশী সরকারের কোন সার্বভৌম কাজে হস্তক্ষেপ করা জন্যে;

 

  () কোন ফৌজাদারী বিষয়ে কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্যে;

 

  () যে চুক্তির কার্য সম্পাদন সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না, তেমন চুক্তি ভঙ্গ রোধের উদ্দেশ্যে;

 

  () উত্ পাতের অজুহাতে এমন কোন কাজ নিরোধ করার জন্যে যা যুক্তসঙ্গতভাবে সুস্পষ্ট নয় যে, তা উত্ পাতের পর্যায়ে পড়বে;

 

  () এমন একটি ক্রমাগত লঙ্ঘন নিরোধ করার জন্যে যাতে বাদীর মৌন সম্মতি রয়েছে৷

 

  () যখন জিম্মা ভঙ্গের মামলা ছাড়া সমপরিমাণ ফলোত্ পাদন প্রতিকার নিশ্চতভাবেই অন্য কোন সাধারণ কার্যধারার মাধ্যমে পাওয়া যায়;

 

 

 

 

  . ১৯১২ পাঞ্চাব এল আর নং ১৫১, পৃঃ ৪৫৬৷

  .. আই আর ১৯৪৫ রাঃ ৮১৷

 

 

 

যদিও ইনজাংশন মঞ্জুর করা বা না করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা; তবুও আদালেতে ৫৬ ধারাতে উল্লেখিত শর্তসমূহ স্মরণের পর ইনজাংশন প্রদান করা বা না করার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়৷

 

২৷ অনুচ্ছেদ ভিত্তিক আলোচনা নিম্নে অত্র ধারার উল্লিখিত অনুচ্ছেদসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হল

 

() যে মামলায় ইনজাংশন চাওয়া হয়, সে মামলা দ্বারা বিচার বিভাগীয় কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্যে যদি না কার্যধারার পূনঃপৌনিকতা রোধ করার জন্যে তেমন নিবৃত্তি আবশ্যক হয় আদালত কখনও সমস্ত মামলার প্রেক্ষিতে ইনজাংশন দিবেন না, যার দরুন অন্য আদালতের কার্যধারা স্থগিত হয়ে যায়৷ তবে অহেতুক মামলা রোধ তথা আদালতের কার্যধরারর পূনঃপৌনিকতা বন্ধ করার জন্যে ইনজাংশন দিলে তাতে কোন অসুবিধা নেই৷

 

অত্র অনুচ্ছেদে দুটি বিষয় বিবেচ্য- () শুধু ধারনাই নয় অবশ্যই ইনজাংশন আবেদনের সময় অন্য আদালতে বিচার বিভাগীয় কার্যধারা বকেয়া থাকতে হবে;

 

() প্রতিকারের উপায়স্বরূপ ইনজাংশনের উদ্দেশ্য হবে অহেতুক মামলারোধ তথা বিচার বিভাগীয় পূনঃপৌনিকতা এড়ানো৷

 

ইকুটি আদালত কখনই শুধুমাত্র অন্য আদালতের এখতিয়ারজনিত ত্রুটির জন্য যে আদালতে বিচার বিভাগীয় কার্যধারা বকেয়া রয়েছে তা স্থগিত রাখার জন্য ইনজাংশন মঞ্জুর করবেন না ইকুটি আদালত সর্বদা আদালতের বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা তত্ সহ মামলঅর পক্ষসমূহের যথাযথ সুষ্ঠু আচরণের প্রত্যাশী যাতে অহেতুক মামলা তথা বিচার বিভাগীয় পূনঃপৌনিকতা হ্রাস পায়৷

 

যেক্ষেত্রে ইনজাংশন চেয়ে মামলা রুজুর সময় কোন বিচার বিভাগীয় কার্যধারা বকেয়া থাকে না এবং ৫৬ ধারার '' '' অনুচ্ছেদের কোন প্রয়োগ কাজে আসে না, সেক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুরের বেলায় কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে না৷২

 

বিবাদী কোন মামলায় তৃতীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একখণ্ড জমির দখল ডিক্রী পায়, যে মামলায় বাদী ছিল উক্ত জমির মালিক৷ বাদী উক্ তৃতীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিক্রী কার্যকরী করার আগে এবং বিবাদীকে উক্ত ডিক্রী কার্যকরী করা থেকে বিরত থাকার জন্যে ইনজাংশন প্রার্থনা করে৷ কিন্তু যেহেতু বিবাদী উক্ত ডিক্রী কার্যকরী করতে গিয়ে বাদীর উক্ত জমির উপভোগ অধিকারে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করে নি৷ তার ফলে কোন বিচার বিভাগীয় কার্যধারাই স্থগিত হয় নি, সেহেতু ৫৬ ধারার '' অনুচ্ছেদ কর্তৃক ইনজাংশন পেতে পারে৷৩

 

 

 

  . এম এল, টি ২৯৪; ইন্ডি কাস ৮০৬৷

  . ৩৭ কলি ৭১১৷

 

 

() কোন ব্যক্তিকে আইন প্রণয়ন বিষয়ক কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা থেকে বিরত রাখার জন্যে অর্থাত্ আদালত কখনই এমন ধরণের কোন ইনজাংশন মঞ্জুর করবে না