১৯৫০ সনের

মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) আইন

[The Maternity Benefit (Tea Estate) Act, 1950]

[১৯৫০ সনের ২০ নং আইন]

[২২শে মার্চ, ১৯৫০]
 

[চা কারখানায় ও চা বাগানসমূহে নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকদের সন্তান প্রসবের আগের ও পরবর্তী সময়ের চাকরি নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মাতৃকল্যাণ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন]

যেহেতু চা কারখানায় ও চা বাগানসমূহে নিযুক্ত মহিলা শ্রমিকদের সন্তান প্রসবের আগের ও পরবর্তী কিছু সময়ের চাকরি নিয়ন্ত্রণ এবং তাদেরকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা প্রদানের বিধান করা সমীচিন;

অতএব এতদ্বারা নিম্নোক্ত আইন প্রণীত হল :

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা ও প্রবর্তন (Short title, extent and commencement) : এ আইনকে ১৯৫০ সনের মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) আইন নামে অভিহিত করা যেতে পারে

(২) এটি সমগ্র [বাংলাদেশে] কার্যকর হবে

(৩) [সরকার] সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে তারিখ নির্ধারণ করবেন সে তারিখ থেকে এ আইন কার্যকর হবে

সংজ্ঞাসমূহ (Definitions) : প্রসঙ্গ এবং বিষয়বস্তুর পরিপন্থী কিছু না থাকলে এ আইনে-
(ক) মৃত অবস্থায় ভুমিষ্ট শিশু
(still born child)''শিশু' শব্দের অন্তর্গত;
(খ) চা বাগানের বা চা কারখানার পরিচালক এবং ব্যবস্থাপক ও
'মালিক' (employer) শব্দের অন্তর্গত;
(গ)
'প্রসবের সম্ভাব্য দিন' (expected day of delivery) হচ্ছে ৬ ধারার উপধারা (১)-এ বর্ণিত চিকিত্‍সক একজন মহিলার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য দিন হিসেবে যে তারিখ উল্লেখ করবেন
(ঘ)
'কারখানা' (factory) হচ্ছে :
(i) [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের ২ ধারার (চ) অনুচ্ছেদের] সংজ্ঞা অনুসারে একটি কারখানা অথবা
(ii) উক্ত আইনের ৪ ধারা মোতাবেক কারখানা হিসেবে ঘোষিত স্থান, যেখানে চা উত্‍পাদনের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় অথবা অনুরূপ উত্‍পাদনের সাথে সম্পর্কিত কোন প্রক্রিয়া যেখানে পরিচালিত হয়

 

* ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ দ্বারা আইনের নাম থেকে [ইষ্ট বেঙ্গল] শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে

** আইনটি ঢাকা গেজেট বিশেষ তাং ২২মে ১৯৫০ প্রকাশিত হয় এবং প্রজ্ঞাপন নং ১১৯৫-ল্যাব তাং ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ দ্বারা ১লা অক্টোবর, ১৯৫০ তারিখ থেকে আইনটি বলবৎ করা হয়

** আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যকর করা হয় ১১ জানুয়ারী, ১৯৫১ তারিখ থেকে প্রজ্ঞাপন নং ১৯২০-ল্যাব তাং ২৮শে অক্টোবর, ১৯৫০ দ্বারা

১. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ দ্বারা [পূর্ব পাকিস্তান] শব্দের পরিবর্তে [বাংলাদেশ] শব্দ প্রতিস্থাপিত

২. রাষ্ট্রপতির উপরোক্ত আদেশ দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দাবলীর পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত

৩. ১৯৬৫ সনের কারখানা আইন দ্বারা ১৯৩৬ সনের কারখানা অঅইন বাতিল এবং পূনঃ প্রবর্তিত বিধায় [১৯৩৪ সনের কারখানা আইনের ২ ধারার (ঞ) অনুচ্ছেদের] পরিবর্তে [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের ২ ধারার (চ) অনুচ্ছেদের] পড়তে হবে

(ঙ) ''মাতৃকল্যাণ সুবিধা (maternity benefit) বলতে বুঝাবে, বাগানে বা কারখানায় নিযুক্ত একজন মহিলাকে অত্র আইনের অধীনে নগদ টাকা বা তত্‍পরিবর্তে অন্য কিছুর দ্বারা পরিশোধযোগ্য অর্থ;
(চ) ধাত্রী বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাই ও
"নার্স" (nurse শব্দের অন্তর্ভুক্ত;
(ছ)
'বাগান' (plantation) হচ্ছে চা গাছ (plant camelia Thea Linn) জন্মানোর উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত যেকোন এলাকা এবং যেখানে উক্ত উদ্দেশ্যে ২০ জন বা তদুর্ধ্ব সংখ্যক মহিলা নিযুক্ত রয়েছেন অথবা পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে কোন একদিন নিযুক্ত ছিলেন এবং [সরকারী] কোনরূপ শর্ত আরোপ না করে বা শর্ত সাপেক্ষে এ উদ্দেশ্যে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অন্য কোন যেসব বাগানো নাম ঘোষণা করবেন সেসবও এর অন্তর্ভুক্ত হবে
(জ)
'নির্ধারিত (prescribed) হচ্ছে, এ আইন মোতাবেক প্রণীত বিধিমালা নির্ধারিত;
(ঝ)
'মহিলা' (woman) বলতে বুঝাবে একজন মহিলা শ্রমিক; এবং
(ঞ) এ আইনে ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু সংজ্ঞা দেয়া হয়নি এমন সব অভিব্যক্তির অর্থ
, যদি অনুরূপ অভিব্যক্তি [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনে] ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে তা উক্ত আইন বর্ণিত সংজ্ঞা মোতাবেক বুঝতে হবে

নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় মহিলাদের নিয়োগ ও কাজ নিষিদ্ধ (Employment of or work by women in factories prohibited during certain period) : কতিপয় নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় মহিলাদের নিয়োগ বা কাজ করার উপর বাধানিষেধ এ আইন বলবত হওয়ার পর-

(১) কোন মালিক তার জ্ঞাতসারে কোন মহিলাকে তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী ছয় সপ্তাহকাল কারখানায় বা বাগানে কাজে নিযুক্ত করবেন না; এবং

(২) কোন মহিলা তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যে কোন কারখানায় বা বাগানে কাজ করবেন না

মাতৃকল্যাণ সুবিধার পাওয়ার অধিকার এবং তা পরিশোধের দায়িত্ব (Right to, and liability, for payment of maternity benefit) : এই আইনের বিধান সাপেক্ষে কারখানায় বা বাগানে নিযুক্ত প্রতিটি মহিলা তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পর্ববর্তী ছয় সপ্তাহ এবং সন্তান প্রসবের পরবর্তী ছয় সপ্তাহের জন্যে মার্তকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী হবে এবং তার মারিক তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন :

শর্ত হচ্ছে, যে মহিলা যে মালিকের কাছ থেকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা দাবি করবেন তিনি যদি তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব'্য তারিখের পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে অনধিক একশ' পঞ্চাশ দিন যাবত্‍ উক্ত মালিকের কারখানায় বা বাগানে কাজ না করে থাকেন বা নিযুক্ত কর্মচারী না হয়ে থাকেন তবে অনুরূপ মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়া অধিকারিণী হবেন না

 

১. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দাবলীর পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত

২. ১৯৬৫ সনের কারখানা আইন দ্বারা ১৯৩৪ সনের কারখানা আইন বাতিল এবং পূনঃ প্রবর্তিত বিধায় [১৯৩৪ সনের কারখানা আইনের] পরিবর্তে [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের] পড়তে হবে

আরো শর্ত হচ্ছে, একজন মহিলা অনুরূপ মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী হবেন না যদি-
(ক) তিনি ৬ ধারার (১) উপ-ধারার বিধান মোতাবেক প্রয়োজনীয় নিজেকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে না দিয়ে থাকেন
, অথবা

(খ) তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্ববর্তী ছয় সপ্তাহের শুরু থেকে প্রসবের দিন পর্যন্ত এবং সন্তান প্রসবের দিন থেকে পরবর্তী ছয় সপ্তাহে কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিত্‍সা না করিয়ে থাকেন বা করতে না দিয়ে থাকেন অথবা ৬ ধারার উপধারা (২) এ প্রয়োজনীয় কোন চিকিত্‍সক না নার্স দ্বারা চিকিত্‍সা না করিয়ে থাকেন বা করতে না দিয়ে থাকেন

আরো শর্ত হচ্ছে যে, কোন মহিলা কর্তৃক তার সন্তান প্রসবের আগের দিন ৬ ধারার উপধারা (২) এর বিধান পালন না করা হলে সেজন্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না যদি ৬ ধারার (৩) উপধারায় উল্লিখিত চিকিত্‍সক এমর্মে প্রত্যায়ন করেন যে, তার মতানুসারে উক্ত বিধান প্রতিপালন না করার কারণ ছিল অনিয়মিত প্রসব বা মহিলার হিসাবে গড়মিল

মাতৃকল্যাণ সুবিধার পরিমান (Amount of maternity benefit) : (১) ৪ ধারা অনুসারে বাধ্যতামূলকভাবে পরিশোধযোগ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা উপ-ধারা (২) অনুসারে হিসাব করে, ক্ষেত্র মোতাবেক দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক মজুরীর গড় অনুসারে পরিশোধ করতে হবে; এবং তা সম্পূর্ণই নগদ টাকায় পরিশোধ করতে হবে

(২) উপধারা (১)-এর উদ্দেশ্যে ক্ষেত্র অনুসারে, দৈনিক, সাপ্তাহিক অথবা মাসিক গড় মজুরী ৮ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক মহিলা যে তারিখে নোটি্শ দেবেন তার পূর্ববর্তী তিন মাসের মোট মজুরীকে উক্ত সময়ে মহিলা যে কয়দিন কাজ করেছেন তার দ্বারা ভাগ করে বের করতে হবে

মহিলাদের প্রাক প্রসব ও প্রসব পরবর্তী সময়ে শুশ্রূষা (Ante-natal and post-natal care of women) : (১) এ আইন অনুসারে কোন মহিলা তার মালিকের কাছ থেকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা দাবি করলে অথবা করতে ইচ্ছুক হলে সংশ্লিষ্ট মহিলা তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে উপধারা (৩)- এ বর্ণিত চিকিত্‍সক দ্বারা নিজের ডাক্তারী পরীক্ষা করাবেন এবং উক্ত চিকিত্‍সক অনুরূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তাকে একটি প্রত্যায়নপত্র দেবেন

 

১. ১৯৭৪ সনের মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) সংশোধনী আইন (১৯৭৪ সনের ৬৩ নং আইন) দ্বারা মূল ৫ ধারাটি প্রতিস্থাপিত

(২) এ আইন অনুসারে কোন মহিলা তার মালিকের কাছ থেকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা দাবি করলে অথবা করতে ইচ্ছুক হলে সংশ্লিষ্ট মহিলা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্ববর্তী ৬ সপ্তাহের শুরু থেকে প্রসবের দিন পর্যন্ত এবং প্রসবের দিন থেকে পরবর্তী ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত-

(ক) যেসব ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় প্রাক-প্রসব পরবর্তী চিকিত্‍সার জন্য এ আইন মোতাবেক নির্ধারিত মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক নির্দেশিত হলে অনুরূপ হাসপাতালে বা ক্লিনিকে গিয়ে নিজের চিকিত্‍সা করাবেন; অথবা

(খ) যেসব ক্ষেত্রে অনুরূপ হাসপাতাল বা ক্লিনিক নেই সেক্ষেত্রে উপধারা (৩) অনুসারে মালিক কর্তৃক ব্যবস্থিত অন্য চিকিত্‍সক বা নার্স দ্বারা নিজের চিকিত্‍সা করাবেন

(৩) কারখানা বা বাগানে নিযুক্ত মহিলাদের বিনামূল্যে প্রাক-প্রসব ও প্রসব পরবর্তী চিকিত্‍সার বা উপদেশ লাভের সুযোগদানের জন্য প্রত্যেক মালিক নির্ধারিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত একজন চিকিত্‍সক ও একজন নার্সকে সার্বক্ষণিকভাবে তার কারখানায় বা বাগানে নিযুক্ত রাখবেন
শর্ত হচ্ছে
, একজন মহিলা নার্স সঙ্গে না থাকলে কোন পুরুষ চিকিত্‍সক কোন মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন না

প্রসব প্রাক্কালীন সময়ের কাজের পরিমাণ (Amount of work which can be undertaken by a woman during ante-natal period) : কোন মহিলার পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসবের সম্ভাব্যতা সম্পকের্ব ৮ ধারার উপধারা (১) অনুসারে নোটিশ দিন বা নাই দিন প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্ববর্তী ৬ সপ্তাহ যাবত তিনি যে মালিকের কাছ থেকে মার্তকল্যাণ সুবিধা দাবী করবেন তা কারখানয় বা বাগানি হালকা ধরনের কাজ করতে পারেন এবং ৬ ধারার উপধারা (৩)-এ বর্ণিত চিকিত্‍সক যতদিনের জন্য কাজের সক্ষমতার প্রত্যায়নপত্র দেবেন ততদিন পর্যন্ত তিনি হালকা ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং অনুরূপ কাজ যতদিন তিনি করবেন ততদিন উক্ত কাজের জন্য প্রচলিত হারে তিনি মজুরী পাবেন এবং উক্ত মজুরী এ আইন অনুসারে প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধার অতিরিক্ত হিসেবে তাকে প্রদান করতে হবে

মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধের পদ্ধতি (Procedure regarding payment of maternity benefit) : (১) এ আইন অনুসারে মাতৃকল্যাণ সুবিধা পেতে ইচ্ছুক যে কোন মহিলা কারখানা বা বাগানের মালিককে মৌখিক বা লিখিত নোটিশ মারফত জানিয়ে দেবেন যে, পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এবং নোটিশের সাথে ৬ ধারার উপধারা (১)-এ বর্ণিত একটি প্রত্যায়নপত্রও মালিককে দেবেন এবং ৯ ধারার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে যেকোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দান করতে পারেন

(২) উপধারা (১)-এ বর্ণিত নোটি্শ ও প্রত্যায়নপত্র প্রাপ্তির পর কারখানার বা বাগানের মালিক সেটি্ প্রাপ্তির দিন বা পরবর্তী দিন থেকে শুরু করে প্রসবের পরবর্তী ৬ সপ্তাহ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মহিলাকে কাজে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি দেবেন

৩) মালিক এ আইনের ৫ ধারার বিধান অনুসারে সুবিধার অধিকারিণী মহিলাকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা আটটি সমান সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করবেন এবং প্রথম কিস্তির টাকা উপধারা (১)-এ বর্ণিত নোটিশ ও প্রত্যায়নপত্র পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে

(৪) ৬ ধারার উপধারা (২)-এ বর্ণিত ক্লিনিক বা হাসপাতালের চিকিত্‍সকের বা ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে মালিক যদি নিশ্চিত হন যে, কোন মহিলা ৪ ধারার বিধান সাপেক্ষে মার্তকল্যাণ সুবিধা লাভের অধিকার হারিয়েছেন, তাহলে তিনি সংশ্লিষ্ট মহিলাকে উপধারা (৩)-এর বিধান মোতাবেক প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা বন্ধ করে দিতে পারেন

(৫) কোন মহিলা উপধারা (৪) অনুসারে মাতৃকল্যাণ সুবিধা বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে উপধারা (৩) অনুসারে কল্যাণ সুবিধার সর্বশেষ কিস্তি পাওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কারখানাসমূহের পরিদর্শকের কাছে আবেদন পেশ করতে পারেন এবং পরিদর্শক উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর উক্ত আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করতে অথবা মাতৃকল্যাণ সুবিধার অবশিষ্ট অংশ উক্ত মহিলাকে পরিশোধের জন্যে মালিককে নির্দেশ দিতে পারেন৷ পরিদর্শকের সিদ্ধান্তের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে [কারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের] কাছে আপীল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

কোন মহিলার মৃতু্য হলে তার প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধের নিয়ম (Payment of maternity benefit in case of the death of a woman): (১) এ আইন অনুসারে মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী কোন মহিলা প্রসবের দিন অথবা সুবিধা পাওয়ার মেয়াদের মধ্যে মারা গেলে ৪ ধারা অনুসারে মালিকের দায়-দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না, এবং তিনি নবজাতক শিশু জীবিত থাকলে তার অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণকারী ব্যক্তিকে অথবা শিশুটি জীবিত না থাকলে তার মৃত মা কর্তৃক ৮ ধারার উপধারা (১) অনুসারে মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা অনুরূপ মনোনয়ন না দিয়ে থাকলে মালিক কর্তৃক নির্ধারিত মৃত্যু মহিলার ঘনিষ্টতম আত্মীয়কে মাতৃকল্যাণ সুবিধার পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন এবং এ ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

(২) কোন মহিলা মাতৃকল্যাণ সুবিধা লাভের মেয়াদের মধ্যে, কিন্তু সন্তান প্রসবের আগে মারা গেলে মালিক কেবল ৫ ধারা অনুসারে প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধার অর্ধাংশ পরিশোধ করতে বাধ্য হবে৷ মৃত্যুর সময় মহিলার যাবতীয় প্রাপ্য ৮ ধারার উপধারা (১) অনুসারে মনোনীত তার ব্যক্তিকে অথবা অনুরূপভাবে কাউকে মনোনীত না করা হলে মারিক কর্তৃক নির্ধারিত মৃতার ঘনিষ্ঠতম আত্মীয়কে প্রদান করতে হবে এবং এ ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

১০ কতিপয় ক্ষেত্রে কোন মহিলাকে বরখাস্তকরণের নোটিশ দেয়া যাবে না (No notice of dismissal to be given to a woman in certain cases) : (১) কোন মহিলা এ আইনের বিধান অনুসারে কাজে অনুপস্থিত থাকলে সেজন্য মালিক কর্তৃক তাকে কর্মচ্যুতির নোটিশ প্রদান বেআইনী হবে

(২) (ক) কোন মহিলাকে তার প্রসবের পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্যে যথেষ্ট কারণ ছাড়া মালিক কর্তৃক বরখাস্তের নোটিশ দেয়া হলে তা এ আইন অনুসারে প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধার সুযোগ থেকে মহিলাকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যেই প্রদত্ত হয়েছে বলে পরিগণিত হবে

(খ) মালিক কর্তৃক প্রদত্ত কোন বরখাস্তের নোটিশ অনুচ্ছেদ (ক)-এর পর্যায়ভূক্ত কিনা তা নির্ধারণ করতে হলে বিষয়টি নির্ধারিত পদ্ধতিতে [কালখানাসমূহের পরিদর্শকের] কাছে পেশ করতে হবে৷ পরিদর্শকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উক্ত সিদ্ধান্তের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের] কাছে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপীল করা যাবে এবং তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

 

১. ১৯৬২ সনের ১৩ নং অধ্যাদেশ দ্বারা [লেবার কমিশনার] শব্দাবলী] প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ১৯৭৪ সনের ৫৮ নং আইন দ্বারা মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) (সংশোধনী) আইন দ্বারা [শ্রম পরিচালক শব্দাবলীর পরিবর্তে [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শক] শব্দাবলী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

১১এ আইনের বিধান লংঘন করে কাজ করার দণ্ড (Penalty to women for doing work in contravention of the Act) : কোন মহিলা :

(ক) ৮ ধারার উপধারা (২) অনুসারে কারখানা বা বাগানের কাজে অনুপস্থিত থাকার জন্য মালিকের অনুমতি পাওয়ার পরেও প্রসবের আগে ৭ ধারা মোতাবেক ছাড়া কোন কাজ করলে; অথবা

(খ) প্রসবের পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কারখানায় বা বাগানের বা অন্য কোন স্থানে কাজ করলে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে অনধিক পাঁচথ টাকা পর্যন্ত দণ্ডনীয় হবেন

১২মালিক কর্তৃক এ আইন লংঘনের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ (Penalty for contravention of the Act by an employer and application of fine in payment of compensation) : (১) কোন মালিক এ আইনের কোন বিধান লংঘন করলে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচশ টাকা জরিমানায় দণ্ডনীয় হবেন

(২) কোন আদালত এ আইন লংঘনের জন্য জরিমানা ধার্য করার সময় অথবা আপীল আবেদনের প্রেক্ষিতে জরিমানা বহাল রাখার সময় প্রদত্ত রায়ে এ নির্দেশও দিতে পারেন যে, জরিমানা বাবদ আদায়কৃত সম্পূর্ণ টাকা বা এর অংশ সংশ্লিষ্ট মালিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করতে হবে

১৩অপরাধের আমল গ্রহণ (Cognizance of offences) : (১) কারখানাসমূহের পরিদর্শক কর্তৃক অথবা তার পূর্ব অনুমোদন ছাড়া এ আইন অনুসারে কোন মামলা দায়ের করা যাবে না এবং উপধারা (২) অনুসারে আপীলের মেয়াদ অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ মামলা দায়ের করা যাবে না অথবা আপীল করতে হলে শ্রম [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের] পূর্ব অনুমোদন ছাড়া করা যাবে না

(২) কারখানাসমূহের পরিদর্শক এ আইন অনুসারে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিলে বা অনুমতি দিলে তিনি তত্‍ক্ষণাত্‍ তার সিদ্ধান্ত বিবাদীর গোচরীভূত করবেন এবং বিবাদী উক্ত সিদ্ধান্তের ৩০ দিনের মধ্যে এর বিরুদ্ধে প্রধান পরিদর্শকের কাছে আপীল করতে পারেন এবং অনুরূপ আপীল চূড়ান্ত হবে

(৩) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিম্ন পর্যায়ের কোন আদালত এ আইনের বা এর কোন বিধিমালার অধীনে কোন অপরাধের বিচার করবেন না

১৪মামলা দায়ের করতে বা দায়েরের অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে আপীল (Appeal against refusal to prosecute or grant sanction thereto) : কোন মালিক বা মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে কারখানাসমূহের পরিদর্শক এ আইন অনুসারে মামলা দায়ের করতে বা দায়েরের অনুমতি প্রদান করতে অস্বীকার করলে তিনি অবিলম্বে তার অস্বীকৃতিসূচক আদেশ আবেদনকারীকে জানাবেন; এবং অনুরূপ আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ মালিক অথবা মহিলা নির্দেশ প্রদানের তিরিশ দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এর বিরুদ্ধে [কলকারখানার প্রধান পরিদর্শকের] নিকট আপীল করতে পারেন৷ অনুরূপ আপীলে [প্রধান পরিদর্শকের] সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

 

১. ১৯৬২ সনের ১৩ নং অধ্যাদেশ দ্বারা [লেবার কমিশনার] শব্দাবলীর স্থলে [শ্রম পরিচালক] শব্দাবলী] প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ১৯৭৪ সনের ৫৮ নং আইন দ্বারা মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) (সংশোধনী) আইন দ্বারা [শ্রম পরিচালক] শব্দাবলীর পরিবর্তে [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শক] শব্দাবলী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

১৫মামলা দায়েরের সময়সীমা (Limitation of prosecution) : যে তারিখে অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় সে তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে এতদসংক্রান্ত অভিযোগ কারখানাসমূহের পরিদর্শকের কাছে পেশ না করলে কোন আদালত এ আইনের বা এর অধীর কোন বিধিমালা অনুসারে কৃত কোন অপরাধ আমলে নেবেন না

১৬ বিধিমালা (Rules) : (১) এ আইনের বিধানসমূহ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে [সরকার] বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারেন

(২) বিশেষত এবং পূর্বোল্লিখিত সাধারণ ক্ষমতাসমূহের কোনরূপ ব্যতায় না ঘটিয়ে অনুরূপ বিধিমালায় নিম্নোক্ত বিষয়সমুহ সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা যেতে পারে-

(ক) মাষ্টার রোল বা রেজিষ্টার অথবা একটি সম্মিলিত মাষ্টার রোল বা রেজিষ্টার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ এবং [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের ৬১ ধারা] অনুসারে উক্ত মাষ্টার রোলে বা রেজিষ্টারে অথবা সম্মিলিত মাষ্টার রোলে বা রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত করার বিধানসমূহ;

(গ) এ আইনের উদ্দেশ্যে কারখানাসমূহের পরিদর্শক কর্তৃক কারখানাসমূহ পরিদর্শন;

(ঘ) এ আইনে কোন বিধান না থাকলে অনুরূপ ক্ষেত্রে মার্তকল্যাণ সুবিধা পরিশোধের পদ্ধতি;

(ঙ) ৬ ধারায় বর্ণিত চিকিত্‍সক কর্তৃপক্ষ বির্ধারণ;

(চ) ৮ ধারায় উপধারা (১)-এ বর্ণিত মনোনয়ন পদ্ধতি; এবং

(ছ) নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অনুসরণীয় পদ্ধতি :

(i) কারখানাসমূহের পদির্শকের কাছে দরখাস্ত পেশ এবং ৮ ধারার উপধারা (৫) অনুসারে আপীল বিবেচনা;

(ii) কোন প্রশ্ন কারখানাসমূহের পরিদর্শকের কাছে উপত্থাপন এবং ১০ ধারার উপধারা (২)-এর

(খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে আপীল বিবেচনা; এবং

(iii) ধারার উপধাবা (২)-এর অথবা ১৪ ধারা অনুসারে আপীল বিবেচনা

(৩) অনুরূপ বিধিমালায় এ বিধানও প্রণয়ন করা যেতে পারে যে, এর লঙ্ঘন পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দণ্ডীয় হবে

(৪) এ ধানা অনুসারে বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা পূর্বাহ্নে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সাপেক্ষে করা যাবে

 

১. ১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতির ৪৮ নং আদেশ দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দাবলীর পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত

২. ১৯৬৫ সনের কারখানা আইন দ্বারা ১৯৩৪ সনের কারখানা আইন বাতিল এবং পূনঃ প্রবর্তিত বিধায় [১৯৩৪ সনের কারখানা আইনের] পরিবর্তে [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনের] পড়তে হবে

১৭বাতিলকরণ (Repeal of Assam Act 1 of 1944) : ১৯৪৪ সনের আসাম মাতৃকল্যাণ আইনটি সিলেট জেলার ক্ষেত্রে যতদুর প্রযোজ্য ছিল তা বাতিল করা হল

১৮এ আইন এ অধীনে প্রণীত বিধিসমূহের সার-সংক্ষেপ প্রদর্শন করতে হবে (Abstract of this Act and the rules there under to be exhibited): এ আইন অনুসারে প্রণীত বিধিমালার সংক্ষিপ্ত বিবরণ স্থানীয় মাতৃভাষায় লিলে মহিলা শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে এরূপ প্রতিটি চা কারখানার প্রতিটি শাখায় এবং মহিলা শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন এরূপ প্রতিটি বাগানের অন্তত তিনটি প্রধান স্থানে আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শণ করতে হবে

অভিযোগ ও আপীল : মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) ১৯৫৪ বিধিমালার ৯নং এবং ১৩নং বিধিতে (ক) অভিযোগ ও আপীল করা এবং (খ) দণ্ড প্রদানের বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে এবং এর বিবরণ নিম্নে উদ্ধৃত করা হল :

১৯অভিযোগ ও আপীল : (১) ৮ ধারার উপধারা (৫) এবং ১০ ধারার উপধারা (২)-এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে কারখানাসমূহের পরিদর্শকের কাছে পেশকৃত দরখাস্ত একটি স্মরকলিলির আকারে হতে হবে, এতে অভিযোগের পূর্ণ বিবরণ থাকতে হবে এবং আবেদনকারীর বা তার দ্বারা যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা কোন আইনজীবির স্বাক্ষর থাকতে হবে

(২) ৮ ধারার উপধারা (৫) ১০ ধারার উপধারা (২)-এর (গ) অনুচ্ছেদ ১৩ ধারার উপধারা (২) এবং ১৪ ধারা অনুসারে [কারখানাসমূহের পরিদর্শকের] সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে [কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান পরিদর্শকের] কাছে পেশকৃত আপীল ঘটনার প্রয়োজনীয় বিবরণসহ একটি স্মরকলিপির আকারে দাখিল করতে হবে এবং সে আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হচ্ছে তার একটি জাবেদা নকল এর সাথে প্রদান করতে হবে এবং এতে আবেদনকারীর বা তার দ্বারা যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্য কোন ব্যক্তি বা কোন আইনজীবির স্বাক্ষর থাকতে হবে৷ আপীল নিষ্পত্তির সময় [কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান পরিদর্শক] প্রয়োজন মনে করলে কোন আতিরিক্ত তথ্য পেশ করতে বা কোন দলিল বা কাগজপত্র উপস্থিত করতে নির্দেশ দিতে পারেন

২০দণ্ড : কোন ব্যক্তি ৩ নং বিধি (মাষ্টার রোল সংরক্ষণ) : ১০ নং বিধি (বার্ষিক রিটার্ন) এবং ১১ নং বিধি (দুই বছর পর্যন্ত রেকর্ড সংরক্ষণ) লংঘন করলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দণ্ডণীয় হবেন৷

 

সূত্র: বাংলাদেশ শ্রম ও শিল্প আইন- নির্মলেন্দু ধর

 

সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট