১৯৩৯ সনের
মাতৃকল্যাণ আইন
[The Maternity Benefit Act, 1939]
[১৯৩৯ সনের ৪নং আইন]
[২৯শে এপ্রিল
, ১৯৪০]
 


সন্তান প্রসবের আগে এবং পরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য
[**] মহিলাদের চাকরি নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের জন্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু সন্তান জন্মের আগে এবং পরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য [**] মহিলাদের চাকরি নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মাতৃকল্যাণ সুবিধা দেয়ার বিধান করা সমীচিন;
অতএব এতদ্বারা নিম্নোক্ত আইন প্রণীত হল :

 

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা ও আরম্ভ (Short title, commencement and extent): (১) এ আইনকে ১৯৩৯ সনের মাতৃকল্যাণ আইন নামে অভিহিত করা যেতে পারে

  [(২) এটি সমগ্র [বাংলাদেশে] প্রযোজ্য হবে

    (৩) সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে [সরকার] যে তারিখ নির্দিষ্ট করে দেবেন সে তারিখ থেকে এটি কার্যকর হবে৷

 

সংজ্ঞাসমূহ (Definitions): প্রসঙ্গ ও বিষয়বস্তুর পরিপন্থী না হলে, এ আইনে :

(ক) ''শিশু" (Child) শব্দের মধ্যে মৃত অবস্থায় ভূমিষ্ট শিশু (Still born child)-ও অন্তর্ভুক্ত হবে৷

[(খ) ''মালিক" (employer) বলতে যে ব্যক্তি তার বৃত্তি (calling), পেশা (trade), ব্যবসায় (business), সংস্থা (undertaking) বা উত্‍পাদন (manufacture) কাজে পারিশ্রমিক বা বখশিস বা অন্য কোন ধরণের প্রতিদানের বিনিময়ে কোন ব্যক্তিকে কায়িক, করণিক, দক্ষ বা অদক্ষ কাজ করার জন্য নিয়োগ করেন তাকে বুঝায় এবং সমিতিবদ্ধ হোক বা না হোক কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টি এবং মালিকের ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি (managing agent)-ও এর অন্তর্ভুক্ত;]

[(গ) ''পরিদর্শক" (inspector) বলতে বুঝায় এ আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য [সরকার] কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা;]

সংশ্লিষ্ট বিধি : ১৯৫৩ সনের মাতুকল্যাণ বিধিমালায় ৫ ও ৬ নং বিধি

(ঘ) ''মাতৃকল্যাণ সুবিধা" (maternity benefit) বলতে বুঝাবে এ আইনের বিধান মোতাবেক [**] কোন মহিলাকে প্রদেয় অর্থ;

 

** ১৯৭৩ সনের ৮নঙ আইন (১৯৭৪ সনের ৫৩নং আইন দ্বারা সংশোধিত) দ্বারা আইনের নাম থেকে 'বেঙ্গল' শব্দটি বাদ

১.  ১৯৫১ সনের মাতৃকল্যাণ (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ১৯নং আইন) দ্বারা [কারখানায়] শব্দ বাদ দেয়া হয়েছে

২. ১৯৬০ সনের মাতৃকল্যাণ (সংশোধনী) অধ্যাদেশ (১৯৬০ সনের ২৮নং অধ্যাদেশ) দ্বারা মূল (২) উপধারা প্রতিস্থাপিত

৩. ১৯৭৩ সনের ৮নং আইন (১৯৮৪ সনের ৫৩নং আইন দ্বারা সংশোধিত) দ্বারা [পূর্ব পাকিস্তান] শব্দের পরিবর্তে [বাংলাদেশ]

৪. উপরোক্ত আইন দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দের পরিবর্তে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত

৫. ১৯৫১ সনের মাতৃকল্যাণ (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ১৯নং আইন) দ্বারা মূল (খ) অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত

৬. উপরোক্ত আইন দ্বারা মূল (গ) অনুচ্ছেদ প্রতিস্থাপিত

৭. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কারখানায় নিযুক্ত] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে
 

(ঙ) ''চিকিত্‍সক" (medical practitioner) বলতে এ আইনের উদ্দেশ্য [**] পরিদর্শকের অনুমোদনক্রমে মালিক কর্তৃক মনোনীত চিকিত্‍সক বুঝাবে;

(চ) ''মজুরী" (wages) বলতে ১৯৩৬ সনের মজুরী পরিশোধ আইনের ধারার (vi) অনুচ্ছেদে বর্ণিত মজুরী বুঝাবে;

(ছ) ''মহিলা" (woman) বলতে মহিলা শ্রমিক বুঝাবে; এবং

(জ) এ আইনে ব্যবহৃত কিন্তু সংজ্ঞায়িত হয়নি এমন শব্দ বা অভিব্যক্তি [১৯৬৫ সনের কারখানা আইনে] ব্যবহৃত শব্দ বা অবিব্যক্তির অর্থ বহন করবে

 

কতিপয় নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় মহিলাদের কাজ নিষিদ্ধ (Employment of or work by women in factories prohibited during certain period) : এ আইন বলবত হওয়ার পর-
(১) কোন মালিক তাঁর জ্ঞাতসারে কোন মহিলাকে [**] তার সন্তান প্রসবের দিন থেকে পরবর্তী [ছয় সপ্তাহ] সময়ের মধ্যে কাজ করতে দিতে পারবেন না
; এবং
(২) কোন মহিলা তার সন্তান প্রসবের দিন থেকে পরবর্তী [ছয় সপ্তাহ] [**] কাজ করতে পারবেন না

 

মার্তৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়া ও পরিশোধের অধিকার (Right to and liability for payment of maternity benefit) : (১) এ আইনের বিধান সাপেক্ষে, [**] নিযুক্ত প্রত্যেক মহিলা তাঁর প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের পূর্ববর্তী [ছয় সপ্তাহ] এবং প্রসবের দিনসহ পরবর্তী [ছয় সপ্তাহ] (যার মধ্যে ছুটি এবং কর্মহীন দিনও অন্তর্ভুক্ত) উপধারা (২)-এর বিধান মোতাবেক নিকটবর্তী আনার চতুর্থাংশ পর্যন্ত হিসাব করে তার দৈনিক গড় আয়ের সমহারে অথবা তার অনুপস্থিতির দিনগুলোর জন্য দৈনিক [এক টাকা] হারে, যেটি বেশী হয়, মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী হবেন এবং তার মালিক তা পরিশোধের জন্য দায়ী থাকবেন
 

    শর্ত হচ্ছে, যে মালিকের কাছ থেকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা দাবি করা হচ্ছে একজন মহিলা তার প্রসবের দিনের অব্যবহিত আগে অন্ততঃ নয় মাস উক্ত মালিক কর্তৃক চাকরিতে নিযুক্ত না হয়ে থাকলে মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন না
    (২) উপধারা (১)-এ উলি্লখিত দৈনিক গড় আয় হিসাব করা হবে সংশ্লিষ্ট মহিলা ৫ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় নোটিশ দেয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসে যে মজুরী উপার্জন করেছেন তার ভিত্তিতে৷

 

১. ১৯৫১ সনের মাতুকল্যাণ (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ১৯নং আইন) দ্বারা [কল-কারখানাসমূহের] শব্দাবলী অবলুপ্ত

২. ১৯৬৫ সনের কারখানা আইন দ্বারা ১৯৩৬ সনের কারখানা আইন বাতিল এবং পুনঃ প্রবর্তিত এবং ১৯৭৪ সনের ৫৩ নং আইন দ্বারা বন্ধনীর অভ্যন্তরের শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত

৩. ১৯৫১ সনের মাতুকল্যাণ (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ১৯ নং আইন) দ্বারা [কারখানায়] শব্দ অবলুপ্ত

৪. উপরোক্ত আইন দ্বারা [চার সপ্তাহ] শব্দাবলীর পরিবর্তে [ছয় সপ্তাহ] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত

৫. উপরোক্ত আইন দ্বারা [আট আনা] শব্দাবলীর পরিবর্তে [এক টাকা] শব্দ প্রতিস্থাপিত


মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধের পদ্ধতি (Procedure regarding payment of maternity benefit) : (১) এ আইন মোতাবেক মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী যেকোন মহিলা-

(ক) অন্তঃসত্ত্বা হলে, যেকোন দিন ব্যক্তিগতভাবে মৌখিক অথবা এ আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালায় নির্ধারিত ফরমে [মালিককে] এ মর্মে নোটিশ দেবেন যে, পরবর্তী [ছয় সপ্তাহের] মধ্যে তার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এবং উক্ত নোটিশেই ৬ ধারার উদ্দেশ্যে যেকোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারেন

(খ) যে কোন মহিলা যদি অনুচ্ছেদ '' এ উলি্লখিত নোটিশ [মালিককে] না দিয়ে থাকেন তবে তিনি সন্তান প্রসবের দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে অনুরূপ নোটিশ দিয়ে তাঁর সন্তান প্রসবের সংবাদ [মালিককে] জানাবেন

    (২) অনুরুপ নোটিশ পাওয়ার পর [মালিক], মহিলাকে নোটিশটি (১) উপধারার (ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক হলে নোটিশ দেয়ার পরদিন থেকে, প্রসবের পরবর্তী [ছয় সপ্তাহ] এবং নোটিশটি (খ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক হলে প্রসবের দিন থেকে [কাজে] অনুপস্থিত থাকার অনুমতি দেবেন

    (৩) মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়া অধিকারিণী মহিলাকে, মহিলা নিম্নোক্ত পন্থাসমূহের মধ্যে যেভাবে চান, মালিক সেভাবে তার প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধ করবেন :

(i) [ছয় সপ্তাহের] মধ্যে মহিলার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে এ মর্মে একজন চিকিত্‍সক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্র পেশ করার আটচলি্লশ ঘন্টার মধ্যে ছয় সপ্তাহের জন্য, এবং ৪ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী মহিলাকে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সন্তান প্রসবের প্রত্যায়নপত্র পেশ করার আটচলি্লশ ঘন্টার মধ্যে; অথবা

(ii) প্রসবের দিনসহ প্রসবের দিন পর্যন্ত উক্ত মেয়াদের জন্য সন্তান প্রসবের প্রত্যায়নপত্র পেশ করার আটচলি্লশ ঘন্টার মধ্যে এবং উক্ত মেয়াদের অবশিষ্ট দিনসমূহের জন্য তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন অনুরূপ প্রমাণ পেশ করার [ছয় সপ্তাহ] মধ্যে; অথবা

(iii) উপরোক্ত সম্পূর্ণ মেয়াদের জন্য, তিনি যে সন্তান প্রসব করেছেন এ মর্মে প্রমাণ পেশ করার আটচলি্লশ ঘন্টার মধ্যে :
শর্ত হচ্ছে
, এ উপধারা মোতাবেক মহিলা জন্ম দিয়েছেন বলে প্রমাণপত্র পেশ করার উপর মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়া নির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে, প্রসবের ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনুরূপ প্রমাণ পেশ না করা হলে কোন মহিলা কোন মাতৃকল্যাণ সুবিধা বা এর কোন অংশ পাওয়ার অধিকারী হবেন না

    (৪) উপধারা (৩) মোতাবেক প্রয়োজনীয় পেশযোগ্য প্রমাণ হয় ১৮৭৩ সনের * জন্মমৃতু্য রেজিষ্টিকরণ আইন (১৮৭৩ সনের ৪নং আইন) মোতাবেক জন্ম রেজিষ্টার (birth register)-এর প্রত্যায়িত সারাংশ অথবা একজন চিকিত্‍সক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্র অথবা মালিকের নিকট গ্রহণযোগ্য অন্য যেকোন প্রমাণ দিতে হবে

 

১. ১৯৫১ সনের মাতুকল্যাণ (সংশোধনী) আইন (১৯১৫১ সনের ১৯ নং আইন) দাব্রা [চার সপ্তাহ] শব্দাবলী পরিবর্তে [ছয় সপ্তাহ] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কারখানা ব্যবস্থাপককে] শব্দাবলীর পরিবর্তে

৩. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কারখানায়] শব্দের পরিবর্তে [কাজে] শব্দ প্রতিস্থাপিত

৪. ১৯৭৪ সনের ৫৩ নং আইন দ্বারা আইনের নাম থেকে বেঙ্গল শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে


মহিলার মৃত্যুর ক্ষেত্রে মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধ (Payment of maternity benefit in case of a worker's death) : (১) এ আইন মোতাবেক মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারিণী কোন মহিলা যদি তার প্রসবের দিন বা মাতৃকল্যাণ সুবিধা পাওয়ার মেয়াদের মধ্যে যে কোন দিন মারা যান, তবে তার মৃত্যুর দরুণ ৪ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক মালিকের দায়ের পরিসমাপ্তি ঘটবে না এবং এক্ষেত্রে মালিক নবজাতক বেঁচে থাকলে তার প্রতিপালনের দায়িত্ব বহনকারী ব্যক্তিকে অথবা নবজাতক মারা গেলে ৫ ধারার (১) উপধারা মোতাবেক মহিলার আইনগত প্রতিনিধিকে মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধ করবেন

    (২) সন্তান প্রসবের আগে এবং মাতৃকল্যাণ সুবিধা লাভের অধিকারের মেয়াদের মধ্যে কোন মহিলার মৃতু্য হলে মালিক উক্ত মৃতু্যর দিন পর্যন্ত (মৃত্যুর দিনসহ) সময়কালের জন্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধ করতে বাধ্য হবেন৷ তবে শর্ত হচ্ছে, ৫ ধারার (৩) উপধারার (i) অনুচ্ছেদ অনুসারে পাওনার অতিরিক্ত কিছু ইতিপূর্বে পরিশোধ করা হয়ে থাকলে তা মৃত মহিলার আইনগত প্রতিনিধির কাছ থেকে আর উসুল করা যাবে নামৃতু্যর সময় মহিলার যা কিছু পাওনা থাকবে তা ৫ ধারার উপধারা (১) অনুসারে তত্‍কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা কাউকে মনোনীত না করলে তার আইনগত প্রতিনিধিকে পরিশোধ করতে হবে

 

কতিপয় ক্ষেত্রে কোন মহিলাকে বরখাস্তের নোটিশ দেয়া যাবে না (No notice of dismissal to be given to a woman in certain cases) :         (১) কোন মহিলা এই আইনের বিধান অনুসারে কাজে অনুপস্থিত থাকলে অনুরূপ অনুপস্থিতির সময় মালিক তাকে বরখাস্ত করার নোটিশ দিলে তা আইনসম্মত হবে না

    (২) (ক) পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া কোন মালিক কোন মহিলাকে তার প্রসবের পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিশ দিলে তা আইন অনুসারে প্রাপ্য মাতৃকল্যাণ সুবিধা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যেই দেয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে

    (খ) মালিক কর্তৃক প্রদত্ত বরখাস্তের নোটিশের ক্ষেত্রে (ক) অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য কিনা এ মর্মে প্রশ্ন দেখা দিলে বিষয়টি [**] পরিদর্শকের কাছে প্রেরণ করতে হবে৷ পরিদর্শকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, সিদ্ধান্ত ঘোষনার ষাট দিনের মধ্রে [শ্রম পরিচালকের] কাছে আপীল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

 

অনুমোদিত অনুপস্থিতির সময় মজুরীর বিনিময়ে কাজ করার দণ্ড (Penalty for working for payment during permitted period of avsence) : কোন মহিলা ৫ ধারা অনুসারে মালিক কর্তৃক অনুপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়ার পর যদি মজুরীর বিনিময়ে কাজ করেন তবে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে, অনধিক দশ [টাকা] পর্যন্ত জরিমানায় দণ্ডণীয় হবেন

 

আইন ভঙ্গের দায়ে মালিকের দণ্ড এবং জরিমানার অর্থ ক্ষতিপূরণে প্রয়োগ (Penalty for contravention of the Act by an employer and application of fine in payment of compensation) : যদি কোন মালিক এই আইনের কোন বিধান লংঘন করেন, তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি পাঁচশ [টাকা] পর্যন্ত জরিমানায় দণ্ডণীয় হবেন

    (২) কোন আদালতে যখনই এই ধারা মোতাবেক কোন আপীল, রিভিশন বা জরিমানা আরোপ করেন অন্যভাবে উক্ত আদেশ বহাল থাকে, রায় দেয়ার সময় আদালত এ আইনের বিধান ভঙ্গের দরুন মহিলার কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে জরিমানার টাকা সম্পূর্ণ বা আংশিক সংশ্লিষ্ট মহিলাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদানের জন্যও আদালত নির্দেশ দিতে পারেন


১. ১৯৫১ সনের সাতৃকল্যাণ (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ১৯ নং আইন) দ্বারা [কলকারখানাসমূহের] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে

২. ১৯৬২ সনের ১৩ নং অধ্যাদেশ দ্বারা [লেবার কমিশনার] শব্দাবলীর স্থলে [শ্রম পরিচালক] শব্দাবলী] প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ১৯৭৪ সনের ৫৮ নং আইন দ্বারা মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) (সংশোধনী) আইন দ্বারা ]শ্রম পরিচালক] শব্দাবলীর পরিবর্তে [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শক] শব্দাবলী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

৩. ১৯৭৪ সনের ৫৩ নং আইন দ্বারা [রূপী] শব্দটি [টাকা] শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে


১০
মহিলা কর্তৃক আইন ভঙ্গের দণ্ড (Penalty for contravention of the Act by a women) : যদি কোন মহিলা প্রসবের পরে [ছয় সপ্তাহের] মধ্যে [**] কাজ করেন এবং বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি অনধিক দশ টাকা পর্যন্ত দণ্ডনীয় হবেন

 

১১ অপরাধের আমল গ্রহণ (Cognizance of offence) : [**] পরিদর্শক কর্তৃক বা পরিদর্শকের পূর্ব অনুমোদনক্রমে না হলে এ আইন অনুসারে কোন অভিযোগ দায়ের করা যাবে না এবং আপীল করা হয়ে থাকলে (২) উপধারা অনুসারে আপীলের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শক] অনুমোদন না দিলে কোন অভিযোগ দায়ের করা যাবে না

    (২) [**] পরিদর্শক এ আইন মোতাবেক কোন মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিলে বা অনুমোদন দিলে তিনি তত্‍ক্ষণাত্‍ তার সিদ্ধান্ত বিবাদীকে জানাবেন এবং বিবাদী এর ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে [শ্রম পরিচালকের] কাছে আপীল করতে পারবেন [কলকারখানার প্রধান পরিদর্শকের) সিদ্ধান্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত হবে

    (৩) [**] প্রথম শ্রেণীর ম্যজিষ্ট্রেটের চেয়ে অধঃস্তন কোন মামলা আদালত এ আইন বা এর কোন বিধিমালা অনুসারে আনীত কোন অপরাধের বিচার করতে পারবেন না

 

১২ অভিযোগ দায়ের করতে বা দায়ের অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে আপীল (Appeal against refusal to prosecute or grant sanction thereto) : এ আইন অনুসারে মামলা দায়েরের জন্য মালিকের বা কোন মহিলার আবেদন পরিদর্শক অগ্রাহ্য করলে পরিদর্শক বিলম্ব না করে তার সিদ্ধান্তটি আবেদনকারীকে জানাবেন এবং অনুরূপ আদেশে সংক্ষুব্ধ মালিক বা মহিলা আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে পরিদর্শকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের] কাছে আপীল করতে পারবেন৷ এ সম্পর্কে [কলকারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের] সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে

 

১৩ অভিযোগ দায়েরের সীমাবদ্ধতা (Limitation of prosecution) : অপরাধ সংঘটনের তারিখ থেকে ছয় মাসের এ সম্পর্কে [**] পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ পেশ না করা হলে কোন আদালত এ আইন অনুসারে কৃত কোন অপরাধের আমল গ্রহণ করবেন না

 

১৪ বিধিমালা (Rules) : (১) [সরকার] এ আইনের বিধানসমূহ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারেন

 

১. ১৯৫১ সনের মাতৃকল্যাণ সুবিধা (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ৯ নং আইন) দ্বারা [চার সপ্তাহ] শব্দাবলীর স্থলে [ছয় সপ্তাহ] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কোন কারখানায়] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে

৩. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কলকারখানা শব্দাবলী অবলুপ্ত

৪. ১৯৬২ সনের ১৩ নং অধ্রঅদেশ দ্বারা [লেবার কমিশনার] শব্দাবলীর স্থলে [শ্রম পরিচালক] শব্দাবলী] প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ১৯৭৪ সনের ৫৮ নং আইন দ্বারা মাতৃকল্যাণ (চা বাগান) (সংশোধনী) আইন দ্বারা [শ্রম পরিচালক] শব্দাবলীর পরিবর্তে [কলকারখানাসমূহৈর প্রধান পরিদর্শক] শব্দাবলী প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

৫. উপরোক্ত আইন দ্বারা [প্রেসিডেন্সি ম্যাজিষ্ট্রেট] শব্দাবলী বাদ দেয়া হয়েছে

৬. ১৯৭৪ সনের ৫৩ নং আইন দ্বারা [প্রাদেশিক সরকার] শব্দাবলীর স্থলে [সরকার] শব্দ প্রতিস্থাপিত

 
    (২) পূর্বোল্লিখিত ক্ষমতাসমুহের সাধারণত্ব ক্ষুন্ন না করে অনুরূপ বিধিমালায় বিশেষতঃ নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে-

(ক) একটি মাষ্টার রোল বা রেজিষ্টার অথবা একটি সম্মিলিত মাষ্টার রোল ও রেজিষ্টার প্রণয়ন ও সংরক্ষণ এবং এতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়সমূহ;

(খ) এ আইনের উদ্দেশ্যে [**] পরিদর্শক কর্তৃক [কাজ পরিদর্শন];

(গ) এ আইনের উদ্দেশ্যে [**] পরিদর্শকের ক্ষমতা এবং কর্তব্য পালন;

(ঘ) এ আইনের বিধান করা হয়েছে এমন মাতৃকল্যাণ সুবিধা পরিশোধের পদ্ধতি;

(ঙ) ৫ ধারা উপধারা (১)-এর (ক) এবং (খ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক নোটিশের ফরম; এবং

(চ) ৭ ধারার উপধারা (২)-এর অথবা ১১ ধারার উপধারা (২)-এর বা ১২ ধারা অনুসারে আপীল আবেদনের নিষ্পত্তির পদ্ধতি

(৩) অনুরূপ বিধিতে কোন বিধির লংঘনের দরুন পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডের বিধান করা যেতে পারে

(৪) এ আইন অনুসারে বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা সেটি পূর্বাহ্নে প্রকাশ করার শর্তসাপেক্ষে হবে

 

১৫ আইন ও বিধিমালার সারমর্ম প্রদর্শন (Abstract of this Act and the rules thereunder to be exhibited) : যেসব জায়গায় মহিলাগণ নিযুক্ত রয়েছেন এ রকম [কাজের জায়গায়] প্রতি অংশে মালিক কর্তৃক এ আইন ও তদনুসারে প্রণীত বিধিমালার সারমর্ম [বাংলায়] লিখে সুষ্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে

 

১. ১৯৫১ সনের মাত্রকল্যাণ সুবিধা (সংশোধনী) আইন (১৯৫১ সনের ১৯ নং আইন) দ্বারা [কল কারখানাসমূহের পরিদর্শক] শব্দাবলীর পরিবর্তে [পরিদর্শক] মন্দ প্রতিস্থাপিত

২. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কারখানা পরিদর্শন] শব্দাবলীর পরিবর্তে [কাজ পরিদর্শন] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত

৩. উপরোক্ত আইন দ্বারা [কারখানা] শব্দের পরিবর্তে [কাজের জায়গা] শব্দাবলী প্রতিস্থাপিত

৪. ১৯৭৪ সনের ৫৩ নং আইন দ্বারা [স্থানীয় ভাষায়] শব্দাবলীর পরিবর্তে [বাংলায়] শব্দ প্রতিস্থাপিত

 

 

সূত্র: বাংলাদেশ শ্রম ও শিল্প আইন- নির্মলেন্দু ধর

সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট