আদিবাসীদের দ্বারা ভূমি হস্তান্তরে বাধানিষেধ (১৮৮৫)
[ধারা ৪৯(ক) হতে ৪৯(ণ) পর্যন্ত]
(সূত্র : বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন : ১৮৮৫)
এ অধ্যায়ের প্রয়োগ।- (১) অত্র দফাটি ১৯৫০ সনের ৫ এপ্রিলের ৩১৭ (ঠ) নং প্রজ্ঞাপন কর্তৃক বিলুপ্ত)।
(২) সময়ে সময়ে প্রাদেশিক সরকার সরকারী গেজেটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ মর্মে ঘোষণা করতে পারবেন যে, প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নিম্নের আদিম জাতি (বা উপজাতির) ক্ষেত্রে কোন জেলা বা স্থানীয় এলাকায় অত্র অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে এবং আরও ঘোষণা করতে পারবেন যে, অত্র অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে এরূপ জাতি বা উপজাতি বলে গণ্য হবে : সান্তাল (Garo) গনড় (Gonds), হাদি (Hadis), হাজং (Hajong), হো (Hos), খারিয়া (Kharias), খারওয়ার (Kharwars), কোচ (Kochs), কোরা (Koras), মগ (মারমা), মল (Mal) এবং সাওরিয়া পাহাড়িয়া (Sauria Paharias), মিচে (Meches), মুন্ডা (Mundas), মুন্দেই (Mundais), ওয়াও (Oraors) এবং তুরি (Turis)।
(৩) উপধারা (২)-এর অধীনে প্রজ্ঞাপনের প্রকাশনা অত্র অধ্যায়ের বিধানাবলী এরূপ জাতি বা উপজাতির ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রযুক্ত হয়েছে মর্মে চূড়ান্ত সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৪) অনুরূপ কোন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রাদেশিক সরকার এমর্মে ঘোষণা করতে পারবেন যে, উপধারা (২) এর অধীনে যে জায়ত বা উপজাতির ক্ষেত্রে অত্র অধ্যায় প্রযুক্ত হতে পারত, ঐ জাতি বা উপজাতির ক্ষেত্রে কোন জেলা বা স্থানীয় এলাকায় উক্ত প্রজ্ঞাপন আর প্রযুক্ত হবেনা।
(৫) অত্র আইনের অন্যত্র যা বলা হয়েছে, উহা সত্ত্বেও (১) ও (৪) ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে প্রাদেশিক সরকার এমর্মে ঘোষণা করতে পারবেন যে, আদিবাসী রায়তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অত্র অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত সুন্দরবনের কলোনীভুক্ত এলাকায় বসবাসকারী রায়তের ক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব প্রযুক্ত হবে অথবা প্রযুক্ত হবেনা। -৪৯(ক) ধারা
প্রজা অধিকার হস্তান্তরে বাধানিষেধ।- আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত কর্তৃক ব্যক্তিগত বিক্রয়, দান, উইল, রেহেন বা কোন চুক্তি বা সম্মতির মাধ্যমে তার মধ্যস্বত্ব বা জোত অথবা উহার কোন অংশে বিদ্যমান অধিকার কোন হস্তান্তর অত্র অধ্যায়ে বর্ণিত পরিমাণ ব্যতীত অন্যকোন পরিমাণে বৈধ হবেনা। -৪৯(খ) ধারা
মধ্যস্বত্বাধিকারী কর্তৃক ইজারা।- অত্র আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী পূর্ববঙ্গে স্থায়ীভাবে নিবাসিত অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অন্যকোন আদিবাসীকে মধ্যস্বত্বাধিকারী হিসেবে দখলে রাখার অথবা রায়ত হিসেবে চাষাবাদ করার উদ্দেশে ভূমি ইজারা দিতে পারবে। -৪৯(গ) ধারা
রায়ত কর্তৃক কোর্ফা ভাড়া।- একজন আদিবাসী রায়ত পূর্ববঙ্গে স্থায়ীভাবে নিবাসিত অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অন্য একজন আদিবাসীকে অধীনস্থ রায়ত হিসেবে চাষাবাদের উদ্দেশে তার জোত কোর্ফা ভাড়া দিতে পারবে। -৪৯(ঘ) ধারা
মধ্যস্বত্বাধিকারী বা অধীনস্থ রায়ত কর্তৃক খাইখালাসী রেহেন।- (১) একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী ব্যক্ত বা অব্যক্ত কোন চুক্তির মাধ্যমে ৭ (সাত) বৎসরের অধিক নয় এবং যেকোন সম্ভাব্য ঘটনায় উহার অধিক হবেনা এমন যেকোন মেয়াদে অথবা তার নিজস্ব অধিকারের মেয়াদে যেটি অপেক্ষাকৃত কম হবে, পূর্ববঙ্গে স্থায়ীভাবে নির্বঅসিত অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অন্য একজন আদিবাসীর সহিত তার নিজস্ব চাষাবাদের অধীন যেকোন ভূমি সম্পর্কে খাইখালাসী রেহেন বন্দোবস্ত করতে পারবে।
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপভাবে বন্দোবস্তকৃত প্রতিটি রেহেন রেজিষ্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর অধীনে নিবন্ধিত হবে।
(২) ভূমি রেহেন দেয়া সম্পর্কিত একজন আদিবাসীর ক্ষমতা কেবলমাত্র এক প্রকার রেহেনের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ সম্পূর্ণ খাইখালাসী রেহেনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে। -৪৯(ঙ) ধারা
কতিপয় উদ্দেশে হস্তান্তরে কালেক্টরের নিকট দরখাস্ত।- (১) যদি কোন ক্ষেত্রে-
(ক) একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী ৪৯(গ) ধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তার ভূমি উজারা দিতে অক্ষম হয় অথবা একজন আদিবাসী রায়ত ৪৯(ঘ) ধারায় বাণিত বিধান অনুযায়ী তার জোত কোর্ফা ভাড়া দিতে অক্ষম হয় অথবা একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত ৪৯(ঙ) ধারার উপধারা (১) এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তার ভূমি অন্যকোন আদিবাসীকৈ রেহেন দিতে অক্ষম হয়, অথবা
(খ) একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত ব্যক্তিগত বিক্রয়, দান বা উইলের মাধ্যমে তার ভূমি অথবা উহার কোন অংশ অন্যকোন ব্যক্তিকে হস্তান্তরের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে, তাহলে দফা (ক) এর ক্ষেত্রে যে এরূপ আদিবাসী নয় এমনকোন ব্যক্তির নিকট ঐ একই বিষয় হস্তান্তরের উদ্দেশে কিংবা দফা (খ) এর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিক্রয়, দান বা উইলের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে ঐ একই বিষয় হস্তান্তরের উদ্দেশে অনুমতি প্রার্থনা করত কালেক্টরের নিকট দরখাস্ত করতে পারবে এবং কালেক্টর উক্ত দরখাস্ত বিষয়ে যেমন উপযুক্ত মনে করবেন তেমনরূপ আদেশদান করতে পারবেন।
(২) অনুরূপ প্রতিটি হস্তান্তর নিবন্ধিত হবে এবং দলিল নিবন্ধিত ও ভূমি হস্তান্তরিত হবার পূর্বে ঐ দালিলের শর্তাবলী এবং হস্তান্তর সম্পর্কে কালেক্টরের লিখিত সম্মতি লাভ করতে হবে।
(৩) অত্র ধারার বিধানাবলী ব্যতীত অন্য কোনভাবে শর্তাধীনে দখলকৃত ভূমি অথবা উহার কোন অংশে ঐ শর্ত কোন আইন বা স্থানসীয় প্রজার মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য না হলে ঐ ভূমি বা উহার কোন অংশের হস্তান্তর এ ধারায় বর্ণিত কোন কিছুই বৈধতা দান করবেনা। -৪৯(চ) ধারা
অত্র অধ্যায়ের বিধান লংঘিত হলে আদালত হস্তান্তর নিবন্ধন করবে না অথবা বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিবেনা।- অত্র অধ্যায়ের বিধানাবলীর লংঘন করে একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত অথবা অধীনস্থ রায়ত কোন ধরণের হস্তান্তর করলে উক্তরূপ কোন হস্তান্তর দেওয়ানী, ফৌজদারী বা রাজস্ব এক্তিয়ার প্রয়োগ করলে আদালত কর্তৃক নিবন্ধিত হবেনা অথবা কোনভাবে স্বীকৃত হবেনা। -৪৯(ছ) ধারা
মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত কর্তৃক অসঙ্গত হস্তান্তর বাতিলকরণে কালেক্টরের ক্ষমতা।- (১) ৪৯(খ) ধারার বিধানাবলী লংঘন পূর্বক একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত যদি কোন মধ্যস্বত্ব বা জোত বা উহার কোন অংশ হস্তান্তর করে থাকে কিংবা ক্ষেত্রমতে ৪৯(ঙ) ধারার উপধারা (১) এর কিংবা ৪৯(চ) ধারার বিধানাবলী লংঘন করে হস্তান্তর প্রহীতা যদি দখল অব্যাহত রাখে আথবা দখলে থাকে, তাহলে কালেক্টর নিজস্ব উদ্যোগে অথবা এতদুদ্দেশে দাখিলকৃত দরখাস্তের ভিত্তিতে লিখিত আদেশবলে হস্তান্তর গ্রহীতাকে উক্তরূপ মধ্যস্বত্ব জোত বা অংশ হতে উচ্ছেদ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) উচ্ছেদের জন্য প্রস্তাবিত হস্তান্তর গ্রহীতা অত্র আইনের বিধি বিধান লংঘন করে একাধিক্রমে ১২ (বার) বৎসর দখলে থাকেনি; এবং
(২) কালেক্টর উপধারা (১) এর অধীনে কোন আদেশ দিয়ে থাকলে তিনি- (ক) আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়ত অথবা তার উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধিকে হস্তান্তরিত সম্পত্তিতে পুনর্বহাল করবেন, অথবা
(খ) এমর্মে ঘোষণা করতে পারবেন যে, ৪৯(ঞ) ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে বন্দোবস্তের অধিকার ভূস্বামীর ওপর ন্যস্ত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, ১ (এক) বৎসরের মধ্যে উক্ত অধিকার প্রয়োগ করা না হয়, তাহলে কালেক্টর ৬(ছয়) মাসের মধ্যে পূর্ববঙ্গে স্থায়ীভাবে নির্বাসিত অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী কোন আদিবাসীর বরাবরে তিনি যেমন উপযুক্ত মনে করবেন, তেমন শর্তে ভূস্বামীর পক্ষে উক্ত ভূমি বন্দোবস্ত দিতে পারবেন এবং কালেক্টর যদি উক্ত সময়কালের মধ্যে এরূপ বন্দোবস্ত করতে অক্ষম হন, তাহলে ভূমির ওপর অনিয়ন্ত্রিত বন্দোবস্তগত অধিকার ন্যস্ত হবে।- ৪৯(জ) ধারা
কতিপয় প্রজাস্বত্বের পুনঃবন্দোবস্তকরণ।- (১) যেই সময়ে-
(ক) কোন প্রজাস্বত্ব কিংবা উহার অংশের বন্দোবস্তের অধিকার ৪৯(জ) ধারার (২) উপধারার দফা (খ)-এর অধীনৈ ভূস্বামীর ওপর ন্যস্ত হবে মর্মে ঘোষণা করা হয়, বা
(খ) একজন আদিবাসী প্রজা তার প্রজাস্বত্ব অথবা উহার কোন অংশ সমর্পণ করে কিংবা তার বাসস্থান পরিত্যাগ করে এবং তার প্রজাস্বত্বের দখলে না থাকে, সেই সময়ে ভূস্বামী ৮৬, ৮৬(ক) ও ৮৭ ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে-
(অ) পূর্ববঙ্গে স্থায়ীভাবে নির্বাসিত অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসকারী কোন আদিবাসীর সহিত প্রজাস্বত্ব বা উহার কোন অংশ বন্দোবস্ত করতে পারবেন, বা
(আ) কালেক্টরের লিখিত অনুমোদনক্রমে ঐ একই বিষয় অন্যকোন ব্যক্তির সহিত বন্দোবস্ত করতে পারবেন অথবা নিজের দখলে রাখতে পাবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অত্র ধারায় বর্ণিত সম্পূর্ণ বা পরিত্যাগ ৪৯(খ), ৪৯(ঙ) বা ৪৯ (চ) ধারার বিধানাবলী এড়িয়ে যাবার উদ্দেশে করা হয়েছে কালেক্টর এ মর্মে সন্তুষ্ট হলে এরূপ অনুমোদন স্থগিত রাখা যাবেনা।
(২) যদি কোন ভূস্বামী উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী লংঘন করে পূর্বক্তভাবে কোন প্রজাস্বত্ব পুনঃবন্দোবস্ত করে থাকেন কিংবা অন্য কোনভাবে লেনদেন করে থাকেন, তাহলে কালেক্টর ৪৯(জ) ধারার বিধানাবলী অনুসারে যতদূর সম্বব ব্যবস্থা নিতে পারবেন।- ৪৯(ঞ) ধারা
আদালতের আদেশে প্রজার অধিকারে বিক্রির ওপর বাধানিষেধ।- (১) অত্র আইনে যা বলা হয়েছে তা সত্ত্বেও মধ্যস্বত্ব বা জোত অথবা উহার কোন অংশ একজন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত অথবা অধীনস্থ রায়তের বিদ্যমান অধিকার গত বিক্রয়ের এদ্দেশে কোন আদালত কোন ডিক্রি বা আদেশ দিতে পারবেনা কিংবা কোন ডিক্রি জারীমূলে উক্তরূপ কোন অধিকার বিক্রয় করতে পারবেনা। তবে শর্ত থাকে যে, একজন আদিবাসীর দখলভুক্ত মধ্যস্বত্ব বা জোত সম্পর্কে উদ্ভুত বকেয়া খাজনা আদায় করার উদ্দেশে ঐ মধ্যস্বত্ব বা জোত বিক্রয় করা যাবে উপযুক্ত আদালতের ডিক্রি জারীমূলে উপধারা (২) এর বিধানাবলী অনুসারে।
(২) একজন আদিবাসী প্রজার মধ্যস্বত্ব বা জোত সম্পর্কে উদ্ভুত/উপচিত বকেয়া খাজনার জন্য ডিক্রি জারী করা হলে এরূপ ডিক্রি কেবলমাত্র কালেক্টরের দ্বারা কার্যকরযোগ্য হবে এবং আদালত এমর্মে ডিক্রিধারী (Decree-Holder) ব্যক্তির দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ডিক্রিটি কার্যকর করার জন্য কালেক্টরের নিকট পাঠিয়ে দিবেন এবং কালেক্টর উক্ত ডিক্রি কার্যকর করতে গিয়ে নিজস্ব বিচেনায়-
(ক) উক্ত মধ্যস্বত্ব বা জোত ডিক্রি করেত পারবেন; বা
(খ) কথিত আদিবাসী প্রজাকে উচ্ছেদ করতে পারবেন এবং অন্যকোন আদিবাসা প্রচার দ্বারা ডিক্রিতে উল্লেখিত পরিমাণ (অর্থ) পরিশোধের প্রেক্ষিতে তার সহিত ঐমধ্যস্বত্ব, জোত বা উহার কোন অংশ বন্দোবস্ত করতে পারবেন, বা
(গ) ৭ (সাত) বৎসরের অধিক নয় এমন সময়কাল পর্যন্ত উক্ত মধ্যস্বত্ব, জোত বা ইহার কোন অংশের দখল ভূস্বামীকে দিতে পারবেন; এবং অত্র ধারার অধীনে ডিক্রি কার্যকর করতে গিয়ে কালেক্টর যদি,-
(অ) উক্ত মধ্যস্বত্ব বা জোত বিক্রি করেন, তাহলে উপধারা (৩) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে তিনি বকেয়া খাজনার জন্য ডিক্রিমুলে দেওয়ানী আদালতের দ্বারা ভূমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পদ্ধতি অনুসরণ করবেন;
(আ) যেকোন মেয়াদ পর্যন্ত ভূস্বামীকে উক্ত মধ্যস্বত্ব, জোত বা উহার কোন অংশের দখলে বসান, তাহলে উক্ত সময়কাল শেষে ডিক্রিটি পূর্ণভাবে কার্যকর হয়েছে বলে বিবেচিত হবে এবং অতপর কালেক্টর উক্ত ডিক্রি যার বিরুদ্ধে কার্যকর করা হয়েছিল তার বিপক্ষে ক্ষেত্রমতে আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়তের স্বত্ব স্বার্থের উত্তরাধিকারীকে উক্ত মধ্যস্বত্ব বা জোত অথবা উহার কোন অংশে পুনর্বহাল করতে পারবেন অথবা উহার অন্যকোন আদিবাসী সহিত বন্দোবস্ত করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অত্র ধারার অধীন মধ্যস্বত্ব বা জোতের কোন অংশ কালেক্টরের দ্বারা বিক্রিত বা বন্দোবস্ত হবেনা, যদি এরূপ বিক্রি বা বন্দোবস্তের ফলে এরূপ অংশের জন্য খাজনা মধ্যস্বত্বের ক্ষেত্রে (দুই) রুপী বা জোতের ক্ষেত্রে ১ (এক) রুপীর নীচে নেমে আসে।
(৩) (ক) (২) উপধারায় উল্লেখিত ডিক্রির মাধ্যমে কোন জোত বা মধ্যস্বত্ব বিক্রয়ের জন্য ঘোষণাপত্র জারীর পূর্বে কালেক্টর (Decree-Holder) এবং Judgerment-Debtor-এর বক্তব্য শুনার পরে পৃথকভাবে বিক্রিত হবার উদ্দেশে কালেক্টর যেমন উপযুক্ত মনে করবেন লট হিসেবে নির্ধারিত তেমন সংখ্যক ক্ষুদ্রতর এলাকায় মধ্যস্বত্ব বা জোত ভোগ করে দিবেন এবং উক্ত লট ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করবেন;
(খ) দফা (ক)-এর উল্লেখিত ঘোষণাত্র জারীর মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্দেশে কোন মধ্যস্বত্ব বা জোত সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দেয়া হলে ষোঘণাপত্রে উল্লেখিত প্রতিটি লটের জন্য পৃথকভাবে নিলাম ডাকতে হবে এবং নিলামের সর্বমোট পরিমাণ ডিক্রিতে উল্লেখিত পরিশাণ এবং বিক্রয় ব্যয়সহ ব্যয় পারিশোধে পর্যাপ্ত হোয়ামাত্র বিক্রয় বন্ধ করতে হবে এবং আর কোন লটের দাম উহার সর্বনিম্ন হবেনা (No further lots shall be knocked down) এবং সমস্ত লট পৃথকভাবে নিলামে তুলার পরে যদি নিলামের সর্বমোট মূল্য ডিক্রিতে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ এবং পুর্বোক্ত খরচ পরিশোধে পর্যান্ত না হয়, তাহলে সমস্ত লটকে একত্রে নিলামে তুলতে হবে।
(৪) (২) উপধারার অধীনে মধ্যস্বত্ব বা জোত পুনর্বহাল বা বন্দোবস্ত করার পূর্বে মধ্যস্বত্ব বা জোতের খাজনা বেআইনীভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে অথবা উক্ত খাজনা সংলগ্ন এলাকার একইরূপ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একই বর্ণনার ভূমির ক্ষেত্রে একই শ্রেণীর প্রজাদের দ্বারা পরিশাধযোগ্য খাজনা হতে অধিক এমর্মে কালেক্টর সন্তুষ্ট হলে তিনি যেমন ন্যায্য বলে বিবেচনা করবেন, মধ্যস্বত্ব বা জোতের খাজনা তেমন পরিমাণ পরিবর্তন করে আদেশ দান করতে পারবেন।
(৫) অত্র আইনে যা বলা হয়েছে তাসত্ত্বেও (২) উপধারার অধীনে মধ্যস্বত্ব বা জোতের অংশ বিক্রয় করা হলে অথবা বন্দোবস্ত করা হলে,-
(ক) বিক্রয় নিশ্চিত করার অথবা বন্দোবস্ত করার পূর্বে কালেক্টর মধ্যস্বত্ব বা জোতের খাজনা উক্তরূপ অংশে এবং জোতের অবশিষ্ট অংশ বা অংশসমূহ বণ্টন করে দিবেন এবং এরূপ বন্টনে তিনি যতদূর সম্ভব ধারা-৮৮-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন; এবং
(খ) এরূপ বিক্রয়া বা বন্দোবস্তের ফলস্বরূপ উক্ত মধ্যস্বত্ব বা জোতের বিভাজন এবং ছক (ক) এর অধীনে এরূপ মধ্যস্বত্ব বা জোতের বণ্টিত খাজনা ৪৯(ড) ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রজা এবং ভূস্বামীর ওপর বাধ্য হবে।
(৬) অত্র ধারায় বর্ণিত কোন কিছুই-
(ক) এরূপ কোন মধ্যস্বত্ব বা জোতের বিক্রয়ের জন্য ডিক্রি কার্যকর করার কোন অধিকার কিংবা ঐ মধ্যস্বত্ব বা জোত সম্পর্কিত নির্দেশ (Bonafide) কোন চুক্তির শর্তাবলী প্রভাবিত করবেনা, যদি এরূপ ডিক্রিজারী করা হয় কিংবা এরূপ নিবন্ধিত হয়-
(অ) (এ উপদফাটি ১৯৫০ সনের ৫ এপ্রিল তারিখের ৩১৭(ঠ) নং প্রজ্ঞাপনের দ্বারা বিলুপ্ত);
(আ) অত্র অধ্যায় প্রযুক্ত হয়ে থাকে এরূপ জাতি এবং উপজাতির ক্ষেত্রে উক্ত জতি বা উপজাতি সম্পর্কে ধারা ৪৯(ক) এর উপধারা (২) এর অধীনে প্রজ্ঞাপন প্রকাশনের তারিখের পূর্বে কমপক্ষে ১ (এক) বৎসর; বা
(খ) এরূপ কোন মধ্যস্বত্ব বা জোতের বিক্রয়ের জন্য এবং সরকারী দাবী হিসেবে পুনঃ আদায়যোগ্য কোন বকেয়া আদায়ের জন্য কোন অধিকারকে প্রভাবিত করবেনা।- ৪৯(ট) ধারা
ডিক্রিজারীর অবস্থা।- যদি কোন আদিবাসী মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত বা অধীনস্থ রায়তের বিরুদ্ধে ডিক্রিজারী মূলে মধ্যস্বত্ব, জোত বা উহার কোন অংশের বিক্রয়ের আদেশ দেয়া হয় এবং ঐ ডিক্রি এরূপ প্রকাস্বত্ব সম্পর্কে উপচিত বকেয়া খাজনা আদায় ব্যতীত অন্য কোন ডিক্রি হয়, তাহলে ডিক্রিজারীকারী আদালত প্রজাকে বকেয়া খাজনা পরিশোধে যুক্তিসংগত সময় মঞ্জুর করবে।- ৪৯(ঠ) ধারা
আপীল ও রিভিশন।- (১) যে আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হয়েছে ঐ আদেশের তারিখ হতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে দাখিল করা হয়, যা কালেক্টরের ক্ষমতা প্রয়োগকারী জেলার কোন কর্মকর্তার ধারা ৪৯(চ), ৪৯(জ), ৪৯(ঞ) বা ৪৯(ট)-এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে জেলা কালেক্টরের নিকট আপীল করা যাবে, যদি উক্ত আপীল এবং আপীলে কালেক্টরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আপীলে কালেক্টরের দ্বারা প্রদত্ত প্রতিটি আদেশ কমিশনারের দ্বারা রিভিশন এবং পরিবর্তন সাপেক্ষে হবে।
(২) উপধারা (১) এ যা বলা হয়েছে, তাসত্ত্বেও ঐধারায় উল্লেখিত কোন ধারার অধীনে অত্র আইনে অধ্যায় ১০ এর অধীনে কার্যরত কর্মকর্তার দ্বারা প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে এতদুদ্দেশে প্রাদেশিক সরকার যেমন নিযুক্ত করবে, তেমন কর্মকর্তার নিকট আপীল করতে হবে এবং আপীলে এরূপ কর্মকর্তার আদেশই চূড়ান্ত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ প্রতিটি ক্ষেত্রে আপীলে উক্ত কর্মকর্তার দয়ো প্রতিটি আদেশ প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কর্মকর্তার রিভিশন এবং পরিবর্তন সাপেক্ষ হবে।
(৩) উপধারা (১) এ উল্লেখিত কোন ধারার অধীনে জেলা কালেক্টরের দ্বারা প্রদত্ত মূল কোন আদেশের বিরুদ্ধে উক্ত উপধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে কমিশনারের নিকট আপীল করতে হবে।- ৪৯(ড) ধারা
মামলার ক্ষেত্রে বাধা।- অত্র আইনে যা কিছু বলা হয়েছে, তাসত্বেও প্রতারণা কিংবা অধিক্ষেত্রের অভাবজনিত কারণ ব্যতীত অত্র অধ্যায়ের অধীনে কোন কার্যধরায় কালেক্টরের দ্বারা প্রদত্ত কোন আদেশ পরিবর্তন কিংবা বাতিলের জন্য কোন দেওয়ানী আদালতে কোন প্রকার মামলা করা যাবেনা।- ৪৯(ঢ) ধারা
কতিপয় হস্তান্তরের হেফাজত।- মধ্যস্বত্বাধিকারী রায়ত কিংবা অধীনস্থ রায়তের দ্বারা নির্দোষভাবে (Bonafide) তার মধ্যস্বত্ব বা জোত অথবা উহার কোন অংশ হস্তান্তরিত হলে এরূপ হস্তান্তরের বৈধতা অত্র অধ্যায়ে কোন কিছুই প্রভাবিত করবেনা।
(ক) বাতিল।
(খ) এ অধ্যায় প্রযোজ্য হয়েছে এমন বর্ণ ও উপজাতির ক্ষেত্রে উক্ত বর্ণনা উপজাতি সম্পর্কে ধারা ৪৯(ক) উপধারা (২)-এর অধীনে প্রজ্ঞাপন প্রকাশনের কমপক্ষে ১ (এক) বৎসর পূর্বে।- ৪৯(ণ) ধারা
সূত্র: বাংলাদেশের উপজাতিদের আইন- রামকান্ত সিংহ, ২০০৩
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট