তৃতীয় অধ্যায়

দলিল সংশোধন প্রসঙ্গে

(Of The Rectification of Instruments)

 

ধারা ৩১৷ যখন দলিল সংশোধন করা যেতে পারে৷- যখন প্রতারণার মাধ্যমে বা পক্ষসমূহের পারস্পরিক ভুলের দরুন কোন চুক্তি বা অপর কোন লিখিত দলিল সত্যিকারভাবে তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে না, যে কোন পক্ষ কিংবা তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দলিল সংশোধিত করে নেবার জন্য মামলা দায়ের করতে পারে৷ যদি আদালত ইহা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত দেখতে পান যে, দলিল প্রণয়নের বেলায় প্রতারণা অথবা ভুল করা হয়েছে এবং তা কার্যকরী করার ব্যাপারে পক্ষসমূহের সত্যিকার উদ্দেশ্য নিরূপণ করতে অক্ষম হয়, সেখানে আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতা অনুসারে যতদুর পর্যন্ত তা তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক সরল বিশ্বাসে এবং মুল্যের বিনিময়ে অর্জিত অধিকারে হস্তক্ষেপ না করেই করা যায়, ততদূর পর্যন্ত দলিল সংশোধণ করতে পারেন, যাতে তা সে উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে সক্ষম হয়৷

 

উদাহরণ

 

  () , -এর নিকট তার বাড়ি এবং বাড়ি-সংলগ্ন তিনটি গুদামের একটি বিক্রয় করতে ইচ্ছুক হয়ে কর্তৃক তৈরী কবালা সম্পাদন করতে যাতে -এর প্রতারণার ফলে তিনটি গুদামই অন্তর্ভূক্ত করা হয়৷ প্রতারণামূলকভাবে অন্তর্ভূক্ত অপর দুইটি গুদামের একটি , -কে প্রদান করে এবং অন্যটি -কে ভাড়া দেয়৷ অথবা কেহই এই প্রতারণা সম্পর্কে অবহিত ছিল না৷ -এর বিরুদ্ধে কবালা -কে প্রদত্ত গুদাম বাদ দেয়ার ব্যাপারে সংশোধন করা যেতে পারে; কিন্তু - ইজারা প্রভাবিত করতে পারে, এমনভাবে তা সংশোধন করা যাবে না৷

 

  () একটি বিবাহ সম্পর্কিত চুক্তির মাধ্যমে ভাবী বধূ -এর পিতা ভাবী জামাতা -এর সাথে -কে তার কার্যনির্বাহী, প্রশাসক স্বত্ব নিয়োগীকে, তার জীবনকালে বার্ষিক ,০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করার চুক্তিপত্র করে৷ দেউলিয়া অবস্থায় মারা যায় এবং তার স্বত্ব নিয়োগী ''-এর নিকট হতে বার্ষিক বৃত্তি দাবি করে৷ আদালত ইহা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত দেখতে পান যে, পক্ষসমূহের সব সময়  উদ্দেশ্য ছিল যে, '' এবং তার ছেলেমেয়েদের একটা ব্যবসা হিসেবেই এই বার্ষিক বৃত্তি প্রদান করা হবে৷ আদালত চুক্তিপত্রের সংশোধন করতে পারেন এবং ডিক্রী প্রদান করতে পারেন যে, বার্ষিক বৃত্তির কোন অংশেই স্বত্বনিয়োগীর কোন অধিকার নাই৷

 

বিশ্লেষণ

 

১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়;

২৷ উদ্দেশ্য;

৩৷ দলিল সংশোধন কাকে বলে?

৪৷ ধারা মৌলিক নিয়ম;

৫৷ যেসব শর্তপূরণ অত্যাবশ্যক;

৬৷ কে মামলা দায়ের করতে পারে;

৭৷ কখন আদালত একটি চুক্তি বা দলিল সংশোধন করতে পারে;

৮৷ যেসব দলিল সংশোধন করা যায়;

.১৷ বন্ধক দলিল;

.২৷ পুনঃহস্তান্তর দলিল;

.৩৷ সম্পাদিত চুক্তি;

.৪৷ বণ্ড;

.৫৷ অঙ্গিকার;

.৬৷ মামলার প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে;

.৭৷ সোলেনামা;

৯৷ অবহেলার ফল;

১০৷ ভুল সম্পর্কে ক্রয়কারী অবগত থাকলে৷

 

 

১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়: ধারাটি প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হলো কোন চুক্তি বা দলিল সংশোধন সম্পর্কিত৷ কোন পক্ষের প্রতারণা প্রতারণা শূন্য উভয়পক্ষের ভুল মনোভাব ভুলভাবে লিখার দরুন আদালত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে দলিল সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন৷ আদালত তার এখতিয়ারাধীন ক্ষমতাবলে দলিল বা চুক্তি সংশোধন করতে পারেন৷

 

 

২৷উদ্দেশ্য:  অত্র ধারার উদ্দেশ্য একটি চুক্তি লিখিত দলিলে রূপ নেয়ার আগেই পক্ষগণ যে উদ্দেশ্যে অঙ্গীকার করেছেন তা কার্যকরী করতে ন্যায়পরায়ণতার সুবিধা ভোগ করতে পারে৷ সাক্ষ্য আইনের ধারা ৯২ এর সাথে অত্র ধারাটি একত্রে পড়লে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে৷

 

  সম্পত্তির প্রকৃত পক্ষে বিক্রয় হয় কিন্তু ভুলের কারণে দলিল যথাযথভাবে বিবৃত হয় না৷ এই রকম ক্ষেত্রে দলিল সংশোধনের ব্যর্থতা সম্পত্তিতে স্বত্ব অর্জনে ক্ষতি করে না এবং স্বত্ব নষ্ট হয় না৷.

 

 

  . , আই, আর ১৯৫৭, (আসাম) ৭২৭/৪৯৷

  .. ৫০ ডি এল আর ১৩৪৷

 

 

৩৷ দলিল সংশোধন কাকে বলে?

 

  Rectification means correction of an error in an instrument in order to give effect for the real intention of the parties. অর্থাত্ চুক্তিভূক্ত পক্ষগণের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণার্থে দলিলে সাধিত ভুল সংশোধন করাকে দলিল সংশোধন বলে৷ পূর্ব সমঝোতার প্রেক্ষিতে পক্ষগণের মধ্যে একটি লিখিত দলিল সম্পাদিত হলো কিন্তু প্রতারণার বা পারস্পরিক ভুল বা পক্ষগণের প্রকৃত উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা ব্যক্ত করতে ভুল করার দরুন আদালত কর্তৃক পক্ষ বা পক্ষগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত দলিল সংশোধন করতে পারেন৷

 

Rectification is a remedy which must be continuous watched as gealously guarded.

 

 

৪৷ ধারাটির মৌলিক নিয়ম:

. চুক্তিতে শঠতা বা ভুল থাকতে হবে৷ ভুলটি অবশ্যই পারস্পরিক হতে হবে৷ ইচ্ছাকৃত ভুল থাকলে তা গ্রাহ্য হবে না৷

. চুক্তির বিষয়বস্তু অস্পষ্ট হলে প্রকৃত ইচ্ছা যাচাইয়ের জন্য মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য৷

. পক্ষগণের মধ্যে খাঁটি চুক্তি থাকতে হবে৷

. উভয়পক্ষ একমত হয়ে চুক্তি করার পর উহা ইচ্ছার পরিপন্থী হলে৷

. যা সংশোধন করা হয় তা চুক্তি নয় ইহার ভুল বিবরণ৷

 

৫৷ যেসব শর্তপূরণ অত্যাবশ্যক:

. যে চুক্তির দলিলটি সংশোধন করতে হবে, তা পূর্বে সম্পূর্ণ লিখিত চুক্তি হতে হবে৷ এর আবার ২টি শর্ত থাকবে-

  (i) পক্ষগণের চূড়ান্ত ইচ্ছার মৌখিক বা লিখিত সমালোচনা;

  (ii) চুক্তিতে ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবার ইচ্ছা৷

. পূর্ববর্তী চুক্তিটির সঠিক শর্তসমূহ লিখিত হবার উভয় পক্ষের ইচ্ছা এবং দলিল সম্পাদন পর্যন্ত উক্ত ইচ্ছার অপরিবর্তিত থাকা৷

. উভয় পক্ষের সাধারণ ভুল বা শঠতার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা৷

 

৬৷ কে মোকদ্দমা করতে পারে:

. চুক্তিতে যে কোন পক্ষ

  

  . (১৯৪৯) এলা, , আর, ৯১৩ (সি, ,)

  . ২০ কলি ৮৫৪৷

  . ২৮ বোম্বে ৪২০৷

  . ৩১ কলি ৬১৪ (পি, সি) 

 

. চুক্তিভূক্ত পক্ষের প্রতিনিধিগণ;

. অন্য মামলার মাধ্যমেও, এমনকি সংশোধন প্রার্থনা না করেও৷

 

৭৷ কখন আদালত একটি চুক্তি বা দলিল সংশোধন করতে পারে:

. ধারা ৩১- দলিলের কোন সংজ্ঞা দেয়া হয়নি৷ ফলে দলিল বলতে যে কোন দলিলকেই বুঝাবে৷

. আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে দলিল সংশোধন আদেশ দিতে পারেন;

. পক্ষগণের পারস্পরিক তথ্যজনিত, আইনজনীত নয়, ভুল হলে

. ইচ্ছাধীন ভুল হলে আদালত তা গ্রহণ করবে না৷

. চুক্তির সাথে পক্ষগণের ইচ্ছা পরস্পর বিরোধী হলে

. চুক্তির মুল উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত থাকবে;

. লিখিত দলিলের শর্তাবলী সাক্ষ্য আইনের ধারা ৯২-এর প্রেক্ষিত মৌখিক সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে৷ কোন সেকেণ্ডারী সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে না৷

. পারস্পরিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য গ্রাহ্য হবে৷

. দলিল সংশোধনের মেয়াদ পেরিয়ে গেলে ঘোষণামূলক ডিক্রীর মামলা গ্রহণীয় হতে পারে৷

. দলিলটি সিদ্ধ হতে হবে৷

. কোন আপোস নিষ্পত্তি দলিলে ভুল থাকায় তা সংশোধন হতে পারে৷

. দরকষাকষির প্রেক্ষিতে কোন ভূল সংশোধনের মামলা আদালত গ্রহণ করেন না৷

 

৮৷ যেসব দলিল সংশোধন করা যায়:

 

.১৷ বন্ধক দলিল: অত্র আইনের এই ধারাবলে, সিপিসির ধারা ১৫১ বা ১৫২ বলে নয় সংশোধন করা যায়৷১০

 

.২৷ পুনঃহস্তান্তর দলিল: পারস্পরিক ভুলের জন্য দলিলে পুনঃহস্তান্তর মূল্যের কথাটি বাদ পড়লে৷১১

 

 

  . , আই, আর ১৯৫৭ (আসাম) ৪৯ (৫৭)

  . ৩৬ ডি, এল, আর, ৩৩৭, ৩৩৮৷

  . ৯৭ আই, সি ৯২০৷

  . ১৯২৭ কলি ৬০৫৷

  ১০. আই, এল, আর (১৯৫৩) রাজ ৯১৪৷

  ১১. , আই, আর ১৯৩৪ রং ২৩৫৷

 

 

.৩৷ সম্পাদিত চুক্তি: কোন চুক্তি সম্পাদিত হলে এবং বিবাদীর যা করা উচিত ছিল তা সম্পন্ন করলে তাকে পুনরায় দলিল সম্পাদন করে আদেশ দেয়া অথবা ইতিমধ্যে সম্পাদিত দলিল সংশোধনের আদেশ দেয়া নিষ্ফল ছাড়া কিছুই নয়৷১২

 

 

.৪৷ বন্ড: চুক্তিভূক্ত পক্ষই বণ্ডের সংশোধন মামলা করতে পারে৷ তৃতীয় ব্যক্তি মামলা করতে পারে না৷১৩

 

 

.৫৷ অঙ্গীকার পত্র১৪ : যদি ভুল দরকষাকষির প্রেক্ষিতে না হয়৷

 

 

.৬৷ মামলার প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সংশোধন দাবি: সাক্ষ্য আইনের ধারা ১২ ()-এর যৌথ কলা হিসেবে বিবাদী দখল লাভের মামলা বিক্রয়কালীন সংশোধন আপত্তি তুলে প্রতিহত করতে পারে৷১৫

 

 

.৭৷ আদালতের ডিক্রী: ধারার অধীনে সংশোধন করা যায় না৷ কিন্তু সোলেনামা দরখাস্তে কোন ভুল থাকলে এবং তা বিক্রির সময় ধরা পড়লে পরে তা সংশোধন করা যায়৷১৬

 

৯৷ অবহেলার ফল: পারস্পরিক ভুলের দরুন দলিলে ভুল হয় তা সংশোধনের দাবি করা হলে এবং তা তৃতীয় ব্যক্তির স্বার্থ ক্ষুন্ন না করলে কেবলমাত্র অবহেলার দরুন সংশোধনের মামলা বারিত হবে না৷ এসব ক্ষেত্রে ভুল ধরা পড়ার সময় হতে সময় গণনা করতে হবে৷১৮

 

১০৷ ভুল সম্পর্কে ক্রেতা জ্ঞাত থাকলে: পরবর্তী ক্রয়কারী পূর্ববর্তী মুল বিক্রয়কারী এবং ক্রয়কারীর পারস্পরিক ভুল জ্ঞাত থাকলে সে অধিকার আইনের জন্য সরল বিশ্বাসের দাবি তুলতে পারে না৷১৮

 

ধারা ৩২৷ পক্ষসমূহের অভিপ্রায় সম্পর্কে অনুমান: লিখিত চুক্তি সংশোধনের উদ্দেশ্য আদালত অবশ্যই নিশ্চিত হবেন যে, চুক্তির সকল পক্ষের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুষম সুবিচারমূলক চুক্তি সম্পাদন করা৷

 

 

  ১২. , আই, আর ১৯৫৬ উড়িষ্যা ৮৩ (ডি, বি)

  ১৩. , আই, আর, ১৯৩৩ রং ৩৩৭ (ডি, বি,)

  ১৪. ১৯২৭ কলি ৬০৫৷

  ১৫. , আই, আর ১৯১৬ মাদ্রাজ ৫১৯৷

  ১৬. , আই, আর ১৯২৬ মাদ্রাজ ১১৪৬৷

  ১৭. , আই, আর, ১৯৪০ বোম্বে ৩২১৷

  ১৮. , আই, আর, ১৯৩৯ অয্যো ১০৷

 

 

 বিশ্লেষণ

 

১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়: আদালত যদি কোন দলিল সংশোধনের আদেশ দিতে প্রবৃত্ত হন, তাহলে আদালতকে চুক্তিটি ন্যায়ানুগ যুক্তিসঙ্গত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে৷ আদালত দলিলে লিপিবদ্ধ বিষয় পক্ষবৃন্দের অভিপ্রায় থেকে তা অনুমান করবেন৷ এছাড়া চুক্তিটি সার্বিকভাবে বিবেকসম্মত ছিল কিনা তাহাও দেখতে হবে৷

 

 

ধারা ৩৩৷ সংশোধনের মুলনীতিসমূহ: লিখিত দলিল সংশোধনের করার সময় আদালত অনুসন্ধান করতে পারেন, কি অর্থ বহন করা দলিলের অভিপ্রেত ছিল এবং চুক্তির বৈধ ফলাফল সম্পর্কে অভিপ্রায় কি ছিল, শুধুমাত্র সে ব্যাপারেই অনুসন্ধান সীমিত থাকবে না৷

 

বিশ্লেষণ

 

আদালত বিশেষত দুটি প্রশ্নের জবাব প্রাপ্তির পর দলিল সংশোধন আদেশ দেবেন;

  () দলিলে পক্ষবৃন্দের ব্যক্ত অভিপ্রায়;

  () পক্ষবৃন্দের আইনভিত্তিক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল৷

 

বস্তুত দলিলে অভিব্যক্ত ভাষা এবং মনের অভিপ্রায়ই সর্বাধিক বিবেচ্য সংশোধন আদেশ দানের ক্ষেত্র৷

 

 

ধারা ৩৪৷ সংশোধিত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণ: লিখিত চুক্তি প্রথমত সংশোধিত হতে পারে এবং যদি বাদী আরজীতে প্রার্থনা করে থাকে এবং আদালত তা যুক্তিযুক্ত  মনে করেন, তবে পরে তা সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যেতে পারে৷

 

উদাহরণ

 

তার এটর্ণি -কে খরচের টাকার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের জন্য লিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ চুক্তিতে মক্কেলের নাম অধিকার ভুলভাবে অন্তর্ভূক্ত হয়৷ যদি সঠিকভাবে উহা ব্যাখ্যা করা হয়, তবে তা চুক্তির অধীনে সকল অধিকার হতে -কে বঞ্চিত করবে৷ যদি আদালত উপযুক্ত মনে করেন তবে চুক্তি সংশোধন করার এবং নির্দিষ্ট অংকের অর্থ প্রদানের আদেশ পাবার অধিকারী৷

 

বিশ্লেষণ

 

কোন চুক্তির দলিল সংশোধন আদেশের সাথে সাথে উহা কার্যকরীকণের আবেদন একত্রে করা যায়৷ এজন্য পৃথক কোন মোকদ্দমা রুজু করার প্রয়োজন হয় না৷

 

 

 

চতুর্থ অধ্যায়

চুক্তি রদ প্রসঙ্গে

[OF the Rescission of contracts]

 

ধারা ৩৫৷ বিচারপূর্বক যখন রদ করা যায়: লিখিত চুক্তিতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি তা রদ করার জন্য মামলা দায়ের করতে পারে এবং আদালত নিম্নোক্ত যে কোন ক্ষেত্রে বিবেচনাপূর্বক চুক্তি রদ করতে পারেন-

 

  . যেখানে চুক্তি বাতিলযোগ্য অথবা বাদী কর্তৃক সমাপনীয়;

  . যেখানে আপাত দৃশ্যমান নয় এমন কারণে চুক্তি অবৈধ, এবং বাদীর চাইতে প্রতিবাদীকেই দোষী করা যায় বেশি৷

  . যেখানে একটি বিক্রয় চুক্তি অথবা একটি ইজারা গ্রহণের চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য ডিক্রী প্রদান করা হয়েছে এবং ক্রেতা, ইজারাদার ক্রয়মূল্য বা অপরাপর অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে যা আদালত তাকে পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ হিসেবে গৃহীত খাজনা এবং লাভ বিক্রেতা বা ইজারাদাতাকে প্রদান করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন৷ একই ক্ষেত্রে আদালত সে মামলায়ই আদেশের মাধ্যমে যাতে ডিগ্রী প্রদান করা হয়েছিল, কিন্তু তদানুযায়ী কাজ করা হয়নি হয় কর্তব্য অবহেলাকারী পক্ষের বেলায় অথবা সম্পূর্ণ চুক্তিই মামলায় ন্যায়বিচারের আবশ্যক অনুযায়ী রদ করে দিতে পারেন৷

 

উদাহরণ

 

অনুচ্ছেদ () তে

, -এর নিকট একটি মাঠ বিক্রয় করিল৷ মাঠের উপর দিয়া যাতায়াত করার অধিকার সম্পর্কে ''- সরাসরি ব্যক্তিগত জ্ঞান ছিল, কিন্তু তা সে - নিকট গোপন রাখল সে চুক্তি রদ করায়ে নেয়ার অধিকারী৷

 

অনুচ্ছেদ () তে

একজন এটর্ণি তার মক্কেল একজন হিন্দু বিধবা -কে - পাওনাদারদের প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে সম্পত্তি তার নামে হস্তান্তর করতে প্ররোচিত করল৷ এখানে পক্ষসমূহ সমভাবে দোষী নয় এবং হস্তান্তরের দলিল রদ করায়ে নেয়ার অধিকারী৷

 

বিশ্লেষণ

 

১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়;

২৷ চুক্তি রদ কি?

৩৷ চুক্তি বাতিল রদের মধ্যে পার্থক্য;

৪৷ আদালত কখন একটি চুক্তি রদ করতে পারে?

৫৷ যেক্ষেত্রে আদালত একটি চুক্তি রদ আদেশ দিতে পারেন;

৬৷ যেসব কারণে একটি চুক্তি রদ অস্বীকার করা যায়;

৭৷ কিভাবে একটি চুক্তি রদ করা যায়;

৮৷ আংশিক বা সম্পূর্ণ রদ;

৯৷ বাতিল বাতিলযোগ্য চুক্তি;

১০৷ তামাদি;

১১৷ কে চুক্তি রদ করতে পারে;

১২৷ উপ-ধারা () অনুযায়ী একই মামলায় ভিন্ন প্রতিকার

 

 

১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়: কোন চুক্তিতে স্বার্থযুক্ত ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত অত্র ধারায় বা শর্তসাপেক্ষে বিচারপূর্বক চুক্তি রদ আদেশ প্রদানের এখতিয়ারই অত্র ধারার প্রতিপাদ্য বিষয়

 

বিষয়টির উপর দুটি উদাহরণও অত্র ধারায় বিধৃত হয়েছে

 

 

২৷ চুক্তি রদ কি? (What is rescission of contract)?

চুক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের বিপরীত হলো চুক্তি রদ এবং এটি ন্যায়পরতাপূর্ণ প্রতিকারের উপায়ও বটে৷ এর অর্থ চুক্তি শেষ করে দেয় এবং আরম্ভ হতে ইহার বাতিল ঘোষণা

 

Snell ভাষায় ''Rescission is not a judicial remedy but the Act of a Party entitled to rescind. It is a right which a parts to a transaction sometimes has to set the transaction aside and restore to its former position.''

 

 

৩৷ চুক্তি রদ নাকচ-এর মধ্যে পার্থক্য: চুক্তি রদ এবং চুক্তি নাকচ এক নয়৷ এদের মধ্যে রয়েছে পার্থক্য৷ নিম্নে পার্থক্যাবলী সংক্ষেপে বর্ণিত হলো:

 

. অর্থগত পার্থক্য: চুক্তি বা দলিল রদ অর্থ চুক্তি শেষ করে দেয়া যায় যা এখনও কার্যকর রয়েছে এবং উহাকে আরম্ভ হতে বাতিল ঘোষণা করা

 

পক্ষান্তরে, চুক্তি বা দলিল নাকচ হলো কোন চুক্তি কার্যকর নেই এবং দৃশ্যতঃ অকার্যকরযোগ্য তা বাতিল করা

 

. প্রয়োগ ক্ষেত্র: যেসব চুক্তি বাহ্যত বাতিলযোগ্য বা বেআইনী নয় এবং দলিল নাকচ বাতিল বাতিলযোগ্য উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

. রদের বিষয়টি অত্র আইনের ধারা ৩৫ এবং নাকচ ধারা ৩৯-এর বিধান মোতাবেক বিবেচিত সিদ্ধান্তিত হয়ে থাকে

 

. রদ কেবলমাত্র চুক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য কিন্তু নাকচ চুক্তিসহ অন্যান্য দলিলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ যেমন-দান, উইল ইত্যাদি দলিল

 

. রদ নাকচ উভয় ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে

 

 

৪৷ আদালত কখন একটি চুক্তি রদ করতে পারে: আদালত চুক্তিতে স্বার্থযুক্ত যে কোন ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে রদ আদেশ দিতে পারেন:

 

. যেখানে চুক্তি বাতিলযোগ্য কিংবা বাদী কর্তৃক সমাপনীয়

. যেখানে চুক্তিটি অবৈধ এবং যেখানে বাদী হতে প্রতিবাদীই অধিক দায়ী

. যেখানে বিক্রি বা ইজারা গ্রহণের চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য ডিক্রী দেয়া হয়েছে

 

কিন্তু ক্রেতা বা ইজারা গ্রহীতা আদালতের নির্দেশিত ক্রয়মূল্য বা অন্যান্য অর্থ  পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে

 

কোন কোন চুক্তি বাতিল, বাতিলযোগ্য বা বেআইনী তা চুক্তি আইনে বিধৃত হয়েছে

 

বিক্রয় চুক্তির আংশিক গ্রহণযোগ্য৷

 

 

৫৷ যেক্ষেত্রে আদালত একটি চুক্তি রদ ডিক্রী দিতে পারেন: আদালত মূলতঃ নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে একটি চুক্তি রদের ডিক্রী দিতে পারেন-

 

. কোন বিক্রি চুক্তি বা ইজারা গ্রহণের চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের ডিক্রী দেয়ার পর ক্রেতা বা ইজারা গ্রহীতা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ক্রয়মূল্য বা অন্যান্য টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে

 

. কোন চুক্তি বাতিলযোগ্য হলে কিংবা বাদীর দ্বারা সম্পাদনীয় হলে

 

. চুক্তিটি অবৈধ হলে এবং বাদী অপেক্ষা বিবাদী বেশি দোষী হলে

 

৬৷ যেসব কারণে আদালত একটি চুক্তি রদ আদেশ দিতে অস্বীকার করেন: আদালত নিম্নোক্ত কারণে চুক্তির রদ আদেশ অস্বীকার করতে পারে-

  . যেক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয় যে, চুক্তিটির প্রকৃতি অবিভাজ্য এবং উহার অংশবিশেষ রদের আবেদন করা হয়েছে৷

  . বাদী চুক্তিটি মানতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যাচাই করেছে৷

 

 

  . আই আর ১৯২৮ সিন্ধু ৬১

  . কলি ৪৭৪

  . ৫২ বোম্বে (পি. সি)

 

  . চুক্তিটি রদযোগ্য একথা না জেনে চুক্তি বলবত্ থাকাকালে যদি তৃতীয় কোন পক্ষ চুক্তির অধীনে না জেনে কোন অধিকার অর্জন করে থাকে, সেক্ষেত্রে

 

  . সেখানে চুক্তিটি সম্পাদনের পর সম্পত্তি পরিবর্তন হেতু চুক্তির পক্ষগণকে চুক্তিপূর্ব অবস্থার নিকটবর্তী পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না করা যায়৷

 

 . কেসের ঘটনা প্রমাণ করে যে, বিবাদীর স্বত্ব সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকা সত্বেও বাদী খোলাচোখে সম্পত্তি খরিদ করে এবং সম্পত্তিতে দখল পাবার পর সমস্ত সম্পত্তি দখল করতে থাকে৷ অর্পিত সম্পত্তি কর্তৃপক্ষ জমির তিন চতুর্থাংশ নেবে, তার এই আশঙ্কা অস্পষ্ট এবং এটা মামলা দাখিলের কারণ সৃষ্টি করে না৷

 

৭৷ কিভাবে একটি চুক্তি রদ করা যায়: মূলত নিম্নোক্তভাবে একটি চুক্তি রদ করা যায়:

. অত্র আইনের ধারা ৩৫ এর উপ-ধারা (), () () তে বর্ণিত কারণে স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষের চুক্তি বিলোপের মামলা দায়েরের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডিক্রীবলে চুক্তিরদ করা যেতে পারে৷ এজন্য অন্য পক্ষের সম্মতির দরকার পড়ে না

 

. সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মতিক্রমে

 

. মৌখিক চুক্তি দ্বারা৷ যদি চুক্তিটি লিখিত হয় তবে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে৷

 

. আংশিক নয় সমুদয় চুক্তি রদের প্রার্থনার মাধ্যমে ধারা ৩৫- এর উপ-ধারা তিনটির ব্যতিক্রম ব্যতীত৷

 

৮৷ আংশিক বা সম্পূর্ণ রদ:

. ধারা ৩৫-এর উপ-ধারা ()-এর প্রেক্ষিতে যে কোন পক্ষ সমস্ত চুক্তি সম্পাদনে অসমর্থ হলে চুক্তি করা যেতে পারে না৷

. বিক্রি চুক্তির আংশিক রদ প্রার্থনা গ্রহণযোগ্য৷

 

৯৷ বাতিল বাতিলযোগ্য চুক্তি রদ: ধারা ৩৫- কেবল বাতিলযোগ্য চুক্তি রদ এবং ধারা ৩৯ বাতিল বাতিলযোগ্য চুক্তি নাকচের বিধান বিধৃত হয়েছে৷

 

 

 

  . ২০ সি ডব্লু এন ১০৫

  . ৪৪ ডি এল আর ২০২

  . সাক্ষ্য আইন ধারা ৯২, অনু সিদ্ধান্ত

  . কলি ৫৭৪

  . , আই, আর ১৯৫৯ পাট, ৪৬০

  . , আই, আর ১৯২৮ সিন্ধু ৬১

  . , আই, আর ১৯৬০ মাদ্রাজ

 

 

১০৷ তামাদি:

. বিলম্ব ছাড়া চুক্তি রদের জন্য আদালতে মোকদ্দমা করতে হয়৷ আদালত তা অনুমোদন করে থাকেন৷

 

. ডিক্রীর শর্ত অনুযায়ী চুক্তির টাকা পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ পেরিয়ে গেলে আপীল আদালত উহার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে, ডিক্রীদানকারী আদালত নয়৷

 

. কোন মামলার টাকা পরিশোধের পাঁচ দিন বিলম্ব আদালত মওকুফ করতে পারে৷১২ তামাদি আইনের ১১৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তামাদির মেয়াদ বছর

 

ধারা ৩৬৷ ভুলের জন্য রদ (Rescission for mistake): শুধুমাত্র ভুলের জন্য বিচারপূর্বক লিখিত চুক্তি রদ করা যায় না, যদি না যে পক্ষের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করা হয়েছে, সে পক্ষকে উল্লেখযোগ্যভাবে একই মর্যাদায় পুনরুদ্ধার করা যায়, যেন কখনও চুক্তিই করা হয় না

 

 

বিশ্লেষণ

  ১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়;

  ২৷ উদ্দেশ্য;

  ৩৷ চুক্তি রদের সীমাবদ্ধতা বা ভুল বর্ণনা

 

১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়: ধারাটি মূলত সঠিক সহজ চুক্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ৷ প্রতারণার দরুন সৃষ্ট ভুলের সংশোধন তখনই সম্ভব যখন চুক্তিভূক্ত পক্ষকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যায়৷ যদি তা না হয় তবে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়৷ মূলত এটিই ধারাতে ব্যক্ত করা হয়েছে

 

 

২৷ উদ্দেশ্য: কেবলমাত্র চুক্তি রদ মোকদ্দমার ক্ষেত্রে ধারাটি প্রযোজ্য৷ পরে সম্পাদিত আবিষ্কৃত বাতিল চুক্তির অধীনে যে টাকা দেয়া হয়েছিল তা ফেরত্ পাবার ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হবে না৷

 

 

৩৷ চুক্তি রদের সীমাবদ্ধতা: চুক্তি রদের ক্ষেত্রে দু'টি সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান-

 

  . চুক্তি না করলে পক্ষগণ যে অবস্থায় থাকতো চুক্তি রদের পর যদি তাদের সে অবস্থায় পুনরুত্থান করা যায়৷

 

 

  ১০. , আই, আর ১৯৩০ সিন্ধু ৫৬

  ১১. , আই, আর ১৯৪৩ নাগ ১১১ (ডি, বি)

  ১২. তামাদি আইনের ১১৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তামাদির মেয়াদ বছর

  ১৩. , আই, আর ১৯১৭ কলি ৭৮৬ (ডি, বি)

  ১৪. ১৪ সি, ডব্লু, এন ১০১

 

 

  . যেক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ সরল বিশ্বাসে মূল্যের বিনিময়ে চুক্তির অধীনে স্বার্থ অর্জন করেছে

 

৪৷ ভুল বর্ণনা: বর্ণনা এমন ভুল বা চুক্তিটি বাতিল বলে গণ্য হয়, সেক্ষেত্রে উহা রদ সম্ভব নয়৷

 

ধারা-৩৭৷ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলায় বিকল্প হিসেবে রদ প্রার্থনা:  লিখিত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য মামলা দায়েরকারী বাদী বিকল্প হিসেবে প্রার্থনা জানাতে পারে যে, যদি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা না যায় তবে তা রদ করা হোক এবং বিলুপ্ত হিসেবে ত্যাগ করা হোক; এবং আদালত যদি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে অস্বীকার করেন তবে তা রদ করা এবং সে অনুসারে ত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন

 

 

বিশ্লেষ

১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়;

২৷ ধারাটির প্রযোজ্যতা

 

১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়: বাদী চুক্তি রদের মোকদ্দমায় চুক্তি রদসহ বিকল্প প্রতিকার প্রার্থনাও জানাতে পারেন

 

২৷ ধারাটির প্রযোজ্যতা: ধারাটির প্রযোজ্যতা মূলত ন্যায়পরায়ণতা নীতি নির্ভর৷ কেননা কোন বিক্রি চুক্তি রদের সাথে সাথে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন৷ বাদী চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কোন অগ্রিম প্রদান করলে তা ফেরত্ পাবার অধিকারী৷ বাদী এরূপ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন কিংবা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে৷

 

ধারা-৩৮৷ রদকারী পক্ষের তরফ হতে আদালত আবশ্যকবোধে ন্যায়পরতা দাবি করতে পারেন:  চুক্তি রদ করার রায় প্রদানের বেলায় আদালত যে পক্ষকে তেমন প্রতিকার মঞ্জুর করেছেন, সে পক্ষের তরফ হতে অপর পক্ষকে ন্যায়বিচারের প্রয়োজন অনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন

 

 

  ১৫. , আই, আর ১৯৩২ বোম্বে ৫১

  ১৬. , আই, আর ১৯৩৭ নাগ ২৪৩

 

 

বিশ্লেষ

  ১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়;

  ২৷ উদ্দেশ্য;

  ৩৷ নাবালক বা পাগল কর্তৃক চুক্তি;

  . বাতিলযোগ্য চুক্তি;

  ৫৷ বাতিল চুক্তি;

  ৬৷ তামাদি

 

১৷ ধারাটির আলোচ্য বিসয়:  আদালত কোন মোকদ্দমায় ক্ষতিপূরণ আদেশ দানের ক্ষেত্রে ন্যায়পরতার নীতি অবলম্বন করবেন৷ যখন কোন পক্ষ বাতিলযোগ্য চুক্তি রদ করতে চায় এবং ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকারী হয়, সেরূপ ক্ষেত্রে উভয়ই অবশ্যই তার বিপরীত পক্ষকে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে দিবার জন্য যা কিছু করণীয় তা সম্পাদন করবে

 

এক্ষেত্রে চুক্তি আইনের ধারা ৬৫ টি প্রযোজ্য

 

 

২৷ ধারাটির উদ্দেশ্য: ন্যায়বিচারের প্রেক্ষিতেই পক্ষগণকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিবেচনামূলক ক্ষমতা ধারায় আদালতে দেয়া হয়েছে৷ ধারাটি অত্র আইনের ধারা ৪১-এর অনুরূপ

 

 

৩৷ নাবালক বা পাগলের সাথে চুক্তি:  কোন নাবালক তার বয়স ব্যক্ত ছাড়া একটি বিক্রি দলিল সম্পাদন করল৷ ক্রয়কারী বিষয়টি জানত৷ এক্ষেত্রে চুক্তিটি রদের ক্ষেত্রে নাবালক ক্রয়কারী গৃহীত সমুদয় টাকা ফেরত্ দেবে৷

 

তবে এরূপ চুক্তি পাগলের সাথে হলে টাকা ফেরত্ দিতে হবে না৷

 

 

৪৷ বাতিলযোগ্য চুক্তি: বাদী বিবাদীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি আরম্ভ থেকেই বাতিলযোগ্য না হলেও যদি বিক্রয়কারী তার স্বত্ব সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখে তবে সে চুক্তি প্রতারণামূলক (টি, পি' ধারা ৫৫) এরূপ অবস্থাতে বাদী চুক্তি বাতিল দেয় টাকা ফেরত্ দাবি করতে পারে৷

 

 

৫৷ বাতিল চুক্তি: বাতিল চুক্তিতে চুক্তি আইনের ধারা ৩৮ ৪১-এর প্রেক্ষিতে ক্রয়কারী তাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি করতে পারেন৷

 

বিক্রেতা নিজে কোন চুক্তি রদ করতে চাইলে তাহলে তাকে পূর্বে গৃহীত সুবিধাদি ফেরত্ দিতে হবে৷

 

 

  . , আই, আর ১৯৩৯ মাদ্রাজ ১০৬

  . , আই, আর ১৯১৭ কলি ৫৬৬ (ডি, বি)

  . , আই, আর ১৯৫৪ সিদ্ধু ৮১

  . , আই, আর ১৯২১ লাহোর ৩৬৫ (ডি, বি)

  . ১০০ আই, সি, ৮৬০ (পি, সি,)

 

 

 

  পঞ্চম অধ্যা

দলিল বিলোপন প্রসঙ্গ

[Of cancellation of Instruments]

 

 

ধারা-৩৯৷ যখন বিলুপ্তির আদেশ প্রদান করা যেতে পারে যে-কোন ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে লিখিত চুক্তি অবৈধ বা বাতিলযোগ্য, যার যুক্তিসঙ্গত আশঙ্কা রয়েছে যে, তেমন দলিল যদি অনিষ্পন্ন অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়, তবে তার গুরুতর ক্ষতির কারণ হবে, তবে সে বাতিল বা বাতিলযোগ্য ঘোষণার জন্য মামলা দায়ের করতে পারে; এবং আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে তেমন রায় প্রদান করতে এবং চুক্তি বিলুপ্তি হিসেবে ত্যাগ করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন

 

যদি দলিল রেজিস্ট্রশন আইন অনুসারে রজিস্ট্রিকৃত হয়ে থাকে, তবে আদালত তার ডিক্রীর একটি কপি সেই অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন, যার অফিসে উক্ত দলিল রেজিস্ট্রি করা হইয়াছে এবং তেমন অফিসার তার বইতে দলিলের নকলে উহার বিষয় লিপিবদ্ধ করবেন৷

 

উদাহর

 

  () একটি জাহাজের মালি প্রতারণামূলকভাবে জাহাজটিকে সমুদ্রে যাত্রার উপযুক্ত বলিয়া বর্ণনা করিয়া একজন দায়গ্রাহক -কে উক্ত জাহাজের বীমা করতে প্রবৃত্ত করে৷ বীমা পলিসির বিলুপ্তি পেতে পারে

 

  () -কে জমি প্রদান করে৷ তা -এর নামে উইল করে মারা যায়৷ ইহার পর জমির দখল গ্রহণ করে এবং এই মর্মে জাল দলিল পেশ করে যে, তার পক্ষে জিম্মাদার হিসেবেই -কে হস্তান্তর প্রদান করা হয়েছিল৷ এই জাল দলিলের বিলুপ্তি পেতে পারে

 

  () তার জমির সকল প্রজা উচ্ছেদযোগ্য, এই বিবরণ প্রদান করিয়া -এর নিকট জমি বিক্রয় করে৷ ১৮৭৭ সালের জানুয়ারী তারিখে একটি দলিলের মাধ্যমে তা - নিকট হস্তান্তর করে৷ এই তারিখের পরপরই ১৮৭৬ সালের পহেলা অক্টোবরের তারিখ দিয়ে প্রতারণামুলকভাবে -কে উক্ত জমির অংশবিশেষ ইজারা প্রদান করে এবং রেজিস্ট্রেশন আইন অনুসারে ইজারা রেজিস্ট্রি করা হয়৷ এই ইজারার বিলুপ্তি লাভ করতে পারে

 

  () '' একটি জাহাজ -এর নিকট বিক্রি অর্পণে সম্মত হলো যার জন্য -কে ৪টি হুণ্ডি মারফত ৩০,০০০ টাকা প্রদান করতে হবে, যা গ্রহণ করবে৷ হুণ্ডি সমূহ প্রণয়ন গ্রহণ করা হলো, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী জাহাজ প্রদান করা হলো না৷ '' এর বিরুদ্ধে একটি হুণ্ডির ব্যাপারে মামলা দায়ের করল৷ সকল হুণ্ডির বিলুপ্ত করতে পারে

 

বিশ্লেষ

 

১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয় দলিল বিলোপন কি?

২৷ ধারাটির উদ্দেশ্য;

৩৷ কখন আদালত একটি দলিল নাকচ আদেশ দিতে পারে;

৪৷ রদ নাকচের মধ্যে পার্থক্য;

৫৷ বিলুপ্তির জন্য কে মামলা করতে পারে;

৬৷ পণ্য মূল্যের আংশিক পরিশোধ না করলে;

৭৷ সম্পত্তির দখলে বাদী না থাকলে;

৮৷ আদালতের বিবেচনা;

৯৷ বিলুপ্তির প্রার্থনা কখন অনাবশ্যক;

১০৷ নাবালক কর্তৃক বিক্রি;

১১৷ বিভিন্ন দল;

  . দানপত্

  . বন্ধক দলিল;

  . বিক্রি দলিল

১২৷ ক্ষতিপূরণ;

১৩৷ বিলুপ্ত মামলায় ডিক্রী;

১৪৷ বিলুপ্তির মামলায় অজুহাত;

১৫৷ মামল

  . দখলে মামলা;

  . ঘোষণা মামলা

১৬৷ প্রমাণের দায়িত্

১৭৷ তামাদি

১৮৷ কোর্ট ফি;

১৯৷ জটিল প্রশ্ন জড়িত স্বত্

২০৷ আনুষঙ্গিক প্রতিকা

২১৷ দলিলে পক্ষ নয়, এমন ব্যক্তি কর্তৃক মামলা

 

 

১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয় দলিল বিলোপন কি?

 

ধারা ৩৯ টির প্রতিপাদ্য বিষয় গুরুতর ক্ষতিকর দলিলের বিপর্যয় থেকে নিরীহ মানুষকে সংরক্ষণ৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আদালতে দলিল বিলোপণের মোকদ্দমা রুজু করতে হয়৷ আদালত স্বীয় এখতিয়ারবলে যথাবিবেচ্য ক্ষেত্রে দলিল বিলোপন আদেশ দান করতে পারেন৷ এবং বিলোপনে ডিক্রীর কপি সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ করবেন

 

দলিপ বিলোপন কি?

 

ন্যায়পরতার প্রেক্ষিতে কোন বাতিল বা অবৈধ চুক্তির দলিল বিলোপের জন্য আদালতে মোকদ্দমা রুজুয়ান্তে আদালত কর্তৃক যথাযথ বিবেচনাপূর্বক দেয় ডিক্রী বা সিদ্ধান্ত দেয়া হয়৷ যে দলিল দ্বারা ভীতিকর মেঘ বাদীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তা অপসারণকে দলিলে বলোপন বলে

 

 

২৷ ধারাটির উদ্দেশ্য:  এই ধারার উদ্দেশ্য বাতিল বাতিলযোগ্য দলিলের ক্ষতিকর ভীতিকর প্রভাব থেকে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সংরক্ষণ করা৷ বাতিল দলিল আরম্ভ থেকেই বাতিল কিন্তু বাতিলযোগ্য চুক্তির দলিল ততক্ষণ পর্যন্ত অকার্যকর বলে গণ্য হয় না, যতক্ষণ না উহা বাতিল করা হয়৷

 

 

৩৷ কখন আদালত একটি দলিল নাকচ আদেশ দেবেন?

. দলিলটি নাকচ (Cancellation) না করলে বাদীর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে

. দলিলটি বাতিল বা বাতিলযোগ্য হলে

. আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে দলিলটি নাকচ করতে সক্ষম হলে আদালত স্বীয় ক্ষমতাবলে কোন নাকচ ডিক্রী দিতে পারেন

আদালত যুক্তসঙ্গত কারণ ছাড়া কোন দলিল নাকেচ-আদেশ দেবেন না

 

৪৷ দলিল রদ নাকচের মধ্যে পার্থক্য:  রদ সম্পর্কে অত্র আইনের ধারা ৩৫- এবং নাকচ সম্পর্কে ধারা ৩৯- বিস্তারিত বিধানাবলী বিধৃত হয়েছে

 

অনুচিত প্রভাব, প্রতারণা, মিথ্যা বর্ণনা ইত্যাদির মাধ্যমে যে চুক্তির দলিল প্রণীত হয়েছে তা রদ করা হয়

 

কিন্তু দলিল নাকচ কেবল বাতিল বাতিলযোগ্য চুক্তির বেলায় প্রযোজ্য৷ রদ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কিন্তু নাকোচ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়

 

 

৫৷ বিলুপ্তির জন্য কে মামলা দায়ের করতে পারে?

 

ধারা ৩৯-এর অধীনে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দলিল বাতিল বা বাতিলযোগ্য কিংবা যার নিকট উহা ক্ষতিকর হিসেবে গণ্য সে ব্যক্তি উহা নাকচের মামলা করতে পারে৷

 

 

৬৷ পণ্যমূল্যের আংশিক পরিশোধ না করলে: যেক্ষেত্রে বিবাদী পন্যমূল্যের আংশিক পরিশোধ করেছে এবং বাকী অংশের টাকা পরিশোধ করেনি সেক্ষেত্রে উহা ধারার আওতায় আসে না৷

 

  . পি, এল, ডি, ১৯৬৯ (ঢাকা) ৩৫৭ (ডিবি)

  . , আই, আর, ১৯১৫ কেরালা ৬০

  . ২১ ডি, এল, আর, ৬২৬

 

 

৭৷ সম্পত্তির দখলে বাদী না থাকলে: দলিল নাকোচের মামলা অত্র আইনের ধারা ৪২- না করে তা অত্র ধারায় করা হয়৷ এটি একটি স্বতন্ত্র অধিকার৷ বাদী যদিও দলিলটি বাতিলের মাধ্যমে সম্পত্তির দখল পাবার অধিকারী হবেন তবুও তিনি দখলের জন্য উক্ত মামলায় প্রার্থনা করতে পারেন না৷

 

 

৮৷ আদালতের বিবেচনা:

. আদালত তার বিবেচনামূলক প্রতিকার অবশ্যই একপক্ষের অনুকূলে অপর পক্ষের ক্ষতির কারণ ঘটাতে দেয়া হয় না৷

 

. প্রতারণা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলো অথচ প্রকৃতপক্ষে তা করা হয়নি, সেক্ষেত্রে বাদী দলিল বাতিলের মামলা করতে পারে৷

 

. কোন মামলায় ধারা ৩৯ দৃষ্টে দলিল নাকচের প্রার্থনা করা প্রয়োজন অথচ তা করা হয়নি৷ এক্ষেত্রে আদালত মামলা খারিজ না করে প্রতিকার বিধানের জন্য অতিরিক্ত কোর্ট ফি চাইতে পারেন৷

 

. কারোর বিরুদ্ধে দলিলটি বাতিল বা বাতিলযোগ্য হলে, দলিল বাতিলের জন্য মামলা দায়ের করা যায়৷

 

কোন দলিল বাদীর উপর বাধ্যকর নয় মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রীর মামলা এবং কোন দলিল নাকচ করার জন্য দায়েরকৃত মামলার মধ্যে পার্থক্য আছে৷ যেক্ষেত্রে বাদী তার স্বত্ব স্থাপন করার জন্য দায়েরকৃত মামলার মধ্যে পার্থক্য আছে৷ যেক্ষেত্রে বাদী তার স্বত্ব স্থাপন করতে চায় এবং কোন বাধা অপসারিত না করে তার স্বত্ব স্থাপন করতে পারে না এবং যেক্ষেত্রে সে এমন কোন ডিক্রী না দলিলে পক্ষ সেক্ষেত্রে সে ডিক্রী বা দলিলটি অবশ্যই নাকোচ কিংবা বাতিলের ডিক্রী লাভ করতে হবে৷ এরূপ ক্ষেত্রে মামলাটি যদিও সাধারণ ঘোষণামূলক ডিক্রীর মামলা হিসেবে গঠন করা হয় তবুও ইহা মূলত উক্ত ডিক্রী বা দলিল রদের মামলা হিসেবে গন্য হবে

 

বাদীর সম্পত্তি সম্পর্কিত দলিল প্রথম থেকেই বাতিল এবং বিবাদী উক্ত সম্পত্তিতে কোন স্বার্থ অর্জন করেনি মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রী প্রার্থনা করে৷ একই মামলায় বাদী আরও ঘোষণা প্রার্থনা করে যে, বিনাপণে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলটি সৃষ্টি করা হয়েছে৷ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এটি ঘোষণামুলক বিধায় কোর্ট ফি আইনের অনুচ্ছেদ ১৭() অনুযায়ী কোর্ট ফি দিতে হবে৷

 

 

 . পি, এল, ডি, ১৯৫৯ (বাঃ পাঃ) লাহোর ৯৮২

 . ২১ ডি, এল, আর ৬২৬

 . , আই, আর ১৯১৯ লাহোর

 . ১৭ ডি, এল, আর, ১১৯; ২১ ডি, এল, আর, ৬২৬

 . ১৯৮৬ ডি, এল, আর (পঃ নাঃ) ৬৩

 . ২১ ডি, এল, আর ৫০৭

 ১০. ১৭ ডি, এল, আর ১১৯

 

 

৯৷ বিলুপ্তির প্রার্থনা কখন অনাবশ্যক?

 

দলিল রদ এবং দলিল বাতিল এক নয়৷ যে সব দলিলের কার্যকরী নেই রদের প্রয়োজন নেই৷ কেবল যেসব দলিল বাতিল বা বাতিলযোগ্য সেক্ষেত্রে এই ধারা ৩৯-এর অধীন মামলা করা যায়৷ তা না হলে বাতিল দলিল বাদীর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ তাই উহা বিলোপনের জন্য বছরের মধ্যে মামলা করা না হলে উহা কোন বৈধতা পায় না এবং উহা পূর্বের মতো অকার্যকর থেকে যায়৷

 

 

১০৷ নাবালক কর্তৃক বিক্রি: নাবালক কর্তৃক কোন বিক্রি দলিল সম্পাদিত হলো৷ উহা বাতিলের দাবি তুলে বাদী তা দখলের মামলা করে৷ অথচ আইনের চোখে উক্ত দলিলের কোন অস্তিত্ব নেই৷ তাই বিষয়টি ভিন্নভাবে বিবেচনা করতে হবে৷ এর তামাদির সময়সীমা তামাদি আইনের অনুচ্ছেদ ১৪৪ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে৷ তবে শর্ত থাকে যে, বিক্রি দলিলের অজুহাকে বাদী তার সম্পত্তি হতে দখলচ্যুত হয়েছে৷

 

 

১১৷ বিভিন্ন দলিল-

. দানপত্র: দানকৃত সম্পত্তি দখল অর্পণ না করলে প্রথম থেকেই তা বাতিল৷ দখল অর্পণের আগেই দান অস্বীকারকারী ব্যক্তিকে দানপত্র রদের দরকার পড়ে না৷১২.

 

. বন্ধক দলিল: . বন্ধক দলিলের প্রত্যয়ন জাল মর্মে ঘোষণা চেয়ে মামলা করলে তা ধারা ৩৯ ভূক্ত বলে বিবেচিত হতে পারে৷

 

    ২. বন্ধক সমাপ্ত হবার পর উহার দলিল রদ মামলা করা যায় না৷

    ৩. বন্ধক সম্পত্তি অর্পণের পর সম্পত্তিতে কোন ত্রুটির জন্য বন্ধকদাতার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না৷

 

. বিক্রি দলিল: বিক্রি দলিলে পণ্য মূল্য পরিশোধ ছাড়া তা বাতিলের মামলা করা যায় না৷ তবে বিক্রয়কারী সম্পত্তির উপর লিয়েনসহ টাকার জন্য মামলা করতে পারে৷

 

ঘ. পাওয়ার অব এ্যাটর্ণী কাল্পনিকভাবে বা ষড়যস্ত্র করে সম্পত্তি বিক্রি করলে তা বাতিল করা যায়৷ এবং উহার কোন আনুষঙ্গিক প্রতিকার চাওয়া আবশ্যক নহে৷

 

 

 

  ১১. ১৬ ডি, এল, আর, (এস, সি) ৩৩০

  ১২. পি, এল, ডি ১৯৬০ (পঃ পাঃ) করাচী ৬২৫

  ১২.. ডি, এল, আর, (এস সি) ৩৩০

  ১৩. , আই, আর ১৯১৭ এলা ১৫৫

  ১৪. , আই, আর ১৯১৯ মাদ্রাজ ৭৮১

  ১৫. , আই, আর ১৯২৫ অয্যো. ২৭৩

  ১৬. , আই, আর ১৯১৬ মাদ্রাজ ১২১৫ (ডি, বি)

  ১৭. , আই, আর ১৯৫৯ পাটনা ২০৩

 

 

 

১২৷ ক্ষতিপূরণ: বাতিল বা বাতিলযোগ্য চুক্তি বিলুপ্তির জন্য ধারা ৩৯-এর অধীন মামলা করা হলে আদালত ধারা ৪১ অনুযায়ী বাদীকে বিচারে অংশ হিসেবে প্রয়োজন মত ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন৷

 

 

১৩৷ বিলুপ্ত মামলার ডিক্রী: অত্র ধারাধীন সঠিকভাবে গঠিত মামলায় আদালতের কাজ হলো দলিলটি বিলুপ্তি আদেশদানকরত উহার কপি রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ৷ বাদীকে এজন্য কিছু পরিশোধ করতে হয় না৷

 

 

১৪৷ বিলুপ্তির মামলা অজুহাত: দলিলিটি বিলুপ্তির মামলায় বাদীকে নিশ্চিত করে বলতে হবে যে, দলিলটি অমীমাংসিত অবস্থায় রেখে দিলে তার ক্ষতির কারণ ঘটাবে৷ এটি তাকে নিশ্চিত করে বলতে হবে সম্পত্তিতে তার স্বার্থ থাকতে হবে৷

 

 

১৫৷ মামলা:

. দখলের মামলা: সম্পত্তি দখলের মামলায় দলিল বিলোপন প্রয়োজন নেই৷ এমনকি বিনিময় দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল বিলোপন প্রয়োজন হয় না৷

 

. ঘোষণার মামলা: দলিল বাতিল এবং দলিলটি বাদীর উপর বাধ্যকর নহে অর্থ এক নয়৷ বাদী তার অনুকূলে স্বত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷ এরূপ ক্ষেত্রে কোন একটি ডিক্রী বাধা দিচ্ছে যার পক্ষ বাদী নিজে৷ এক্ষেত্রে তাকে ডিক্রীর দলিল বাতিল মামলা করতে হবে, যদিও কেবলমাত্র ঘোষণার প্রার্থনা করা যায়৷

 

. স্বত্ব ঘোষণার সাথে সম্পূর্ণ প্রতিকার পাবার পথের প্রতিবন্ধকতা দুর করতে বাদীকে মূল্যানুসারে কোর্ট ফি প্রদান করে দলিল বাতিলের প্রার্থনা প্রয়োজন ছিল৷

 

 

১৬৷ প্রমাণের দায়িত্ব: কোন মামলা কিংবা কোন আবেদন বাহ্যত তামাদি বলে গণ্য হলে বাদীকেই প্রমাণ করতে হবে যে, এমন কোন পক্ষ বিশেষ অবস্থায় বর্তমান রয়েছে যার দরুন আইনগত সময় গণনা আরম্ভ হবে না৷

 

 

১৭৷ তামাদি: বাদী দলিল রদ করার কারণ হিসেবে দলিলের প্রকৃতি উহার পরণতি সম্পর্কে অবহিত না থাকলে তা জ্ঞাত হবার সময় হতে তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হবে৷

 

 

  ১৮. , আই, আর ১৯৬০ মাদ্রাজ

  ১৯. , আই, আর ১৯৩৫ মাদ্রাজ ২০৩

  ২০. , আই, আর ১৯২৩ মাদ্রাজ ১০৯

  ২১. , আই, আর ১৯১৫ বোম্বে ১৩২ (ডি, বি)

  ২২. ২১ ডি, এল, আর, ৫০৭ (ডি, বি)

  ২৩. ৪৯ ডি এল আর ৯৬ ( ডি)

  ২৪. , আই, আর ১৯১৩ অযো, ২৫৪ (ডি, বি)

  ২৫. পি, এল, ডি, ১৯৪৮ (পি, সি) ৪৯

 

 

১৮৷ কোর্ট ফি:

. দলিল বিলুপ্তির মোকদ্দমায় কোর্ট ফি, কোর্ট ফি আইনের ধারা () () আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে গণ্য হবে৷

. দলিল বাতিলযোগ্য ঘোষণা মামলায় মামলার মুল্যমানের প্রেক্ষিতে কোর্ট ফি দিতে হয়৷

. দখল হস্তান্তরের পর দলিল বিলুপ্তির  মামলায় মামলার মুল্য অনুযায়ী কোর্ট ফি দিতে হবে৷

. স্বত্ব ঘোষণার সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতিকার পাবার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বাদীকে মুল্যানুসারে কোর্ট ফি প্রদান করে দলিল বাতিলের প্রার্থনা প্রয়োজন ছিল৷

 

১৯৷ জটিল প্রশ্ন জড়িত স্বত্ব: বাদীর  স্বত্বের উপর কার্যকরী এমন ক্ষেত্রে তৃতীয় কোন পক্ষের সাথে দলিল সম্পাদিত হলে, সেক্ষেত্রে ধারা প্রযোজ্য নয়৷ বাদীর স্বত্ব, প্রতিদ্বন্দ্বীর নয়, বিবেচ্য৷

 

২০৷ আনুষঙ্গিক প্রতিকার:  বাদীগণ নালিশী জমি দখল করেন বর্ণনায় পূর্বে মামলা দায়ের করে ডিক্রি প্রাপ্ত হওয়ার ঘোষণার প্রধান প্রতিকারের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রতিকারের প্রার্থনার প্রয়োজন নেই৷

 

২১৷ দলিলের পক্ষ নহে এমন ব্যক্তি কর্তৃক মামলা: বাদীগণ তর্কিত কবলা অবৈধ প্রতারণামূলক চরিত্রের ঘোষণা এবং নালিশী জমিতে স্বত্ব ঘোষণা প্রাপ্ত হওয়ার তর্কিত দলিল বাতিলের প্রয়োজন নেই, যেহেতু তার তর্কিত দলিলে পক্ষ নন৷

 

ধারা: ৪০৷ যে দলিলসমূহ আংশিকভাবে বিলুপ্ত  করা যেতে পারে যেখানে দলিল বিভিন্ন অধিকার বা বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার সাক্ষ্য হয়, সেখানে আদালত যথাযথ মামলায় আংশিকভাবে তা বিলুপ্ত করতে পারেন এবং অবশিষ্টাংশকে বহাল রাখতে পারেন

 

উদাহর

 

, - নামে একটি হুণ্ডি প্রণয়ন করল, উহা পৃষ্ঠাংকনের মাধ্যমে -কে প্রদান করল, যার দ্বারা পৃষ্ঠাংকনের ফলে তা -কে প্রদত্ত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, আবার পৃষ্ঠাংকনের মাধ্যেমে তা -কে প্রদান করেছে৷ - পৃষ্ঠাংকন জাল ছিল৷ হুণ্ডিকে অন্যান্য ব্যাপারে বহাল রেখে উক্ত পৃষ্ঠাংকনের বিলুপ্তি পাবার অধিকারী

 

 

  ২৬. পি, এল, ডি, ১৯৬৫ (ঢাকা) ৪৩৯

  ২৭. , আই, আর ১৯২৯ অযো ৪৯১ (ডি, বি)

  ২৮. , আই, আর ১৯৫২ অযো. ৬৯

  ২৯. ৪৯ ডি এল আর ৯৬ ( ডি)

  ৩০. , আই, আর ১৯৬৩ আসাম

  ৩১. ৫৩ ডি, এল আর ৪৫

  ৩২. ৫২ ডি এল আর ৪৬ ( ডি)

 

 

বিশ্লেষ

 

  ১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়;

  ২৷ উদ্দেশ্য;

  ৩৷ বন্ধক দলিলের উপর প্রতারণা

 

 

১৷ প্রতিপাদ্য বিসয়: দলিলের প্রকৃতি বিষয়বস্তুর প্রেক্ষিতে প্রয়োজনবোধে আংশিকভাবে দলিল বিলুপ্তির ব্যবস্থার বিধান অত্র ধারায় বিধৃত হয়েছে৷ এজন্য প্রয়োজন বিলুপ্ত অংশ রক্ষিত অংশ হতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পৃথক হতে হবে৷ এটি আদালতের এখতিয়ারাধীন

 

২৷ উদ্দেশ্য: ন্যায়পরতার নীতির প্রেক্ষিতে বাদীর অধিকার সংরক্ষণার্থে আংশিকভাবে দলিল বিলুপ্তির এবং অবশিষ্টাংশ বহাল রাখা৷ অবিচার থেকে পক্ষকে নিবৃত্ত করণার্থে ন্যায়পর আদালত এরূপ হস্তক্ষেপ করে৷

 

৩৷ বন্ধক দলিলের উপর প্রতারণা: বন্ধক দলিলের উপর প্রতারণা পূর্বক প্রত্যয়ন করা হলে সেক্ষেত্রে বন্ধক দলিল অক্ষুন্ন রেখে প্রত্যয়ন বিলুপ্তির মোকদ্দমা করা যায়৷

 

ধারা-৪১৷ যে পক্ষের জন্য দলিল বিলুপ্ত করা হয়েছে, সে পক্ষের নিকট হতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষমতা৷- দলিল বিলুপ্তির রায় প্রদানের সময় আদালত যে পক্ষকে তদ্রুপ প্রতিকার মঞ্জুর করেছেন সে পক্ষের তরফ হতে পক্ষকে ন্যায়বিচারের প্রয়োজন অনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন

 

বিশ্লেষ

 

  ১৷ ধারার মর্মকথা উদ্দেশ্য;

  ২৷ চুক্তি আইনের ধারা ৬৫-এর সাথে সাদৃশ্য;

  ৩৷ নাবালক কর্তৃক হস্তান্তর;

  ৪৷ উন্মাদ ব্যক্তি কর্তৃক হস্তান্তর;

  ৫৷ অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক হস্তান্ত

  ৬৷ নাবালকের অভিভাবক কর্তৃক হস্তান্ত

  ৭৷ ক্ষতিপূরণ;

  ৮৷ আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা

 

 

  . , আই, আর ১৯৫২ মধ্য প্র. বি. ১৬৮

  . , আই, আর ১৯১৭ এলা ১৫৫ (ডি, বি)

 

 

 

১৷ ধারাটির মর্মকথা উদ্দেশ্য যে পক্ষের অনুকূলে দলিল বিলুপ্তির রায় দেয়া হয় সে পক্ষকে অপর পক্ষ হতে ন্যায়বিচারের তাগিদেই আদালত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবার আদেশ দিতে পারেন

 

  অত্র ধারায় ন্যায়পরায়ণতার যে নিয়মটি বর্ণনা হয়েছে তা হলো যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নীতির আশ্রয় নেয় তাকে ন্যায়পরায়ণ হতে হয়৷

 

 

২৷ চুক্তি আইনের সাথে সাদৃশ্য: ধারা ৪১ টির সাথে চুক্তি আইনের ধারা ৬৫ এর সাদৃশ্য পরিদৃষ্ট হয়

 

  বিষয়টি চুক্তি আইনের ধারা ৬৫ সাথে সঙ্গতিপূর্ণ৷ ধারা ৬৫ টি হলো যখন কোন সম্মতি বাতিল হবে বলে প্রকাশ পায় কিংবা কোন চুক্তি বাতিল হয়, তখন উক্ত সম্মতি বা চুক্তি অনুযায়ী সে ব্যক্তি যার নিকট হতে কোন সুবিধা লাভ করেন, তিনি সে ব্যক্তিকে উহা প্রত্যর্পণ করতে বা উহার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকে

 

  যেমন- -কে তার কন্যা -কে বিবাহ করার অঙ্গীকারের পণস্বরূপ ১০০০ টাকা প্রদান করেন৷ অঙ্গীকারের সময়ে মৃত৷ সম্মতি বাতিল এবং উক্ত এক হাজার টাকা -কে অবশ্যই ফেরত দেবেন

 

 

৩৷ নাবালক কর্তৃক হস্তান্তর: ধারার বিধান মতে, এতে যে বিধানই থাকুক না কেন তা আইনের এমন কোন বিধান নেই যার অধীনে নাবালক কর্তৃক আবদ্ধ হয়েছে, এমন চুক্তির উপর ভিত্তি করে নাবালকের বিরুদ্ধে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে৷

 

 

৪৷ উন্মাদ কর্তৃক হস্তান্তর: কোন সম্পত্তি উন্মাদ ব্যক্তি কর্তৃক হস্তান্তর করা হলে উহা হস্তান্তর দলিল রদ করার বেলায় আদালত বিক্রি মুল্য ফেরত্ দিবার নির্দেশ দেয় না৷

 

 

৫৷ অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক হস্তান্তর:  হস্তান্তর ক্ষমতা নেই এমন ব্যক্তির সম্পত্তি অপর ব্যক্তি গ্রহণ করলে সেক্ষেত্রে আদালত ধারা ৪১-এর অধীন হস্তান্তর গ্রহীতার অনুকূলে বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না৷

 

  এরূপ হস্তান্তরের বেলায় সম্পত্তির প্রকৃত মালিক সম্পত্তির দখলের জন্য মামলা করলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাবেন না৷

 

 

  . , আই, আর ১৯৫৬ অযো ১৮২ (ডি, বি)

  . , আই, আর ১৯৫৯ অন্ধ প্রঃ ১০০ (ডি, বি)

  . , আই, আর ১৯১৭ কলি ৫৬৬ (ডি, বি)

  . , আই, আর ১৯৫৫ পাট ৪৭৫

  . আই, আর ১৯১৯ মাদ্রাজ ১০৫ (ডি, বি)

 

 

৬৷ নাবালকের অভিভাবক কর্তৃক হস্তান্তর: নাবালকের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয় অথচ বাহ্যত ক্ষমতাবান ব্যক্তি কর্তৃক নাবালকের সম্পত্তি হস্তান্তর করা হলে নাবালক বাদী হিসেবে অত্র ধারার প্রতিকার পেতে পারে৷ বিক্রিটি বৈধ বা অবৈধ তা খতিয়ে দেখা ছাড়া ডিক্রী দেয়া যায় না৷ অত্র ধারামতে তদ্রুপ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য আদালত বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে৷

 

৭৷ ক্ষতিপূরণ: . আদালত ন্যায়পরতার নীতির প্রেক্ষিতে কোন দলিল বিলোপের আদেশের সাথে ন্যায়বিচারের স্বার্থে ক্ষতিপূরণ আদেশ দিতে পারে৷

 

    খ. বিক্রি দলিল বিলোপণ মামলা আদালত বাদীকে প্রাপ্ত সুবিধার জন্য ক্ষতিপূরণ পরিশোধের আদেশ দিতে পারেন৷

 

    গ. ক্ষতিপূরণ প্রদানের সীমাবদ্ধতার কোন প্রশ্ন দেখা দেয় না৷

 

৮৷ আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা: ন্যায়পরতার নীতি ছাড়া পণ্যমূল্য প্রত্যর্পণের জন্য বাদীকে নির্দেশ দিতে আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা থাকলেও বিবাদীর অনুকূলে নির্দেশ দিতে পারে না৷

 

 

  . , আই, আর ১৯৫১ মাদ্রাজ ৩৯১

  . , আই, আর ১৯৫১ মাদ্রাজ ৩৯১

  . , আই, আর ১৯৩৩ এলা ৭৭২ (ডি, বি.)

  . , আই, আর ১৯৫২ নাগ ১৭

  ১০. , আই, আর, ১৯২০ বোম্বে ২৬৯

 

 

ষষ্ঠ অধ্যা

ঘোষণামূলক ডিক্রী প্রসঙ্গে

[OF DECLARATORY DECREES]

 

 

ধারা-৪২৷ মর্যাদা বা অধিকার সম্পর্কে আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা৷- আইনানুগ পরিচয় কিংবা কোন সম্পত্তির স্বত্বের অধিকারী কোন ব্যক্তি এমন যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে যে, তেমন মর্যাদা বা অধিকারের ব্যাপারে তার স্বত্ব অস্বীকার করেছে কিংবা অস্বীকার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এবং আদালত তার ইচ্ছাধীন এবং তেমন মামলায় আরও কোন প্রতিকার দাবি করা বাদীর জন্য আবশ্যক নয়

 

  তেমন ঘোষণার সাথে প্রতিবন্ধকতা- তবে শর্ত থাকে যে, যেখানে দাবি কেবলমাত্র স্বত্বের ঘোষণা ছাড়াও আরও প্রতিকার দাবি করতে সমর্থ, কিন্তু তা করা হতে বিরত থাকে, সেখানে আদালত তেমন ঘোষণা প্রদান করবেন না

 

  ব্যাখ্যা৷- একটি সম্পত্তির জিম্মাদার এমন একটি স্বত্ব অস্বীকার করতে আগ্রহী ব্যক্তি যে জীবিত নয় এমন এক ব্যক্তির স্বত্বের প্রতিকূল এবং যদি সে বেঁচে থাকত, তবে সে তার জন্য একজন জিম্মাদার হতো

 

উদাহর

 

 

  () '' বৈধভাবে একটি দখল করেছে৷ পার্শ্ববর্তী গ্রামের অধিবাসী উক্ত জমির মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের অধিকার দাবি করল৷ তারা তাদের দাবিকৃত অধিকারের অধিকারী নয়, এই মর্মে ঘোষণার জন্য '' মামলা দায়ের করতে পারে

 

  () তার সম্পত্তি এই মর্মে উইল করল, , ঘকে দান করল বা যদি আমার মৃত্যুর সময় তারা জীবিত থাকে তবে তাদের সকলের মধ্যে তা সমভাবে বন্টন করা হবে এবং তা তাদের উত্তরজীবি সন্তানদের মধ্যে বন্টন করা হবে৷ কিন্তু তাদের কোন সন্তানই জীবিত নাই৷ - কার্য নির্বাহীর বিরুদ্ধে মামলায় আদালত ঘোষণা করতে পারেন যে, , কি সম্পত্তির চূড়ান্ত মালিক হবে, শুধুমাত্র জীবনকালের জন্যই তারা তা পাবে এবং তাদের অধিকার কায়েমী হওয়ার আগেই সন্তানদের স্বার্থের ব্যাপারেও আদালত ঘোষণা করতে পারেন

 

  () এই মর্মে চুক্তিপত্র করে যে, যদি সে কখনও এক লাখ টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তির অধিকারী হয় তবে তা সে নির্দিষ্ট জিম্মায় অর্পণ করবে৷ তেমন সম্পত্তি অর্জণের পূর্বে সে চুক্তিপত্রকে অনিশ্চয়তার দরুন বাতিল ঘোষণার জন্য মামলা দায়ের করল৷ আদালত তেমন ঘোষণা প্রদান করতে পারেন

 

  () এমন সম্পত্তির স্বত্ব -এর নিকট হস্তান্তর করল যাতে -এর শুধুমাত্র জীবিত থাকা পর্যন্ত স্বার্থ রয়েছে৷ এই স্বত্ব হস্তান্তর - বিরুদ্ধে অবৈধ কারণ সে ভাবী  উত্তরাধিকারী হিসেবে উক্ত সম্পত্তির স্বত্বাধিকারী৷ আদালত কর্তৃক - বিরুদ্ধে আনীত মামলায় ঘোষণা করতে পারেন যে, - তেমন অধিকার রয়েছে

 

  () একজন নিঃসন্তান হিন্দু বিধবা দখলী সম্পত্তির একটি অংশের স্বত্ব হস্তান্তর করল৷ আনুমানিকভাবে উক্ত বিধবার উত্তরজীবি হলে যে ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির দখলের অধিকারী হবে সে স্বত্ব হস্তান্তরগ্রাহীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার এমন ঘোষণা পেতে পারে যে, স্বত্ব হস্তান্তর বৈধ প্রয়োজন ছাড়াই করা হয়েছিল এবং তাই তা বিধবার মৃত্যুর পর বাতিলযোগ্য

 

  () সম্পত্তির দখলরত একজন হিন্দু বিধবা একজনকে তার মৃত স্বামীর পোষ্যরূপে গ্রহণ করে৷ আনুমানিকভাবে উক্ত মহিলার নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুর পর যে ব্যক্তি তার সম্পত্তির স্বত্বাধিকারী হত সে পোষ্যপুত্রের বিরুদ্ধে রুজ্জুকৃত মামলায় পোষ্য গ্রহণ অবৈধ ছিল, এই ঘোষণা পেতে পারে৷

 

  () - কতিপয় নির্দিষ্ট সম্পত্তির দখল রয়েছে৷ দাবি করে যে, সে উক্ত সম্পত্তির মালিক এবং - তার নিকট অর্পণ করা আবশ্যক৷ সম্পত্তি নিজ দখলে রাখার অধিকার সম্পর্কে ঘোষণা অর্জন করতে পারেন

 

  () তার সম্পত্তি উইল করে -কে সারা জীবনের জন্য এবং -এর স্ত্রী ছেলেমেয়ে যদি থেকে থাকে, তবে তাদেরকে স্বার্থের অবশিষ্ট ভাগ প্রদান করে, কিন্তু যদি স্ত্রী-পুত্রহীন অবস্থায় মারা যায়, তবে তা - প্রাপ্য হবে৷ - অনুমিত স্ত্রী ছেলেমেয়ে রয়েয়েছ, কিন্তু অস্বীকার করে যে, কখন বৈধভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল৷ -এর জীবদ্দশায় তার ছেলেমেয়েরা -এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এই ঘোষণা লাভ করতে পারে যে, তারা - সত্যিকার স্ত্রী ছেলেমেয়ে

 

 

বিশ্লেষ

 

১৷ ধারাটির মূখ্য আলোচ্য বিষ

২৷ ধারাটির উদ্দেশ্য;

৩৷ ঘোষণামূলক ডিক্রি কি?

৪৷ ঘোষণামূলক মামলা কি?

৫৷ আনুষঙ্গিক প্রতিকার কি?

৬৷ ধারাটির ওতা

৭৷ ঘোষণামূলক মামলায় যেসব উপাদান থাকতে হবে

৮৷ কোন কোন কারণে আদালত ঘোষণামুলক ডিক্রী মঞুর করতে পারে

৯৷ কখন ধরাধীন প্রতিকার অস্বীকার করা

১০৷ কখন আনুষাঙ্গিকে প্রতিকার ছাড়া মামলা অচ

১১৷ প্রোভাইসার প্রতিবন্ধকতার প্রশ্ন তুললে আদালতের করণী

১২৷ কখন আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রয়োজন হয় না

১৩৷ কখন মামলা দাখিল করা যা

১৪৷ আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা

১৫৷ আপী

১৬৷ আপীল সংশোধ

১৭৷ কোর্ট ফি

১৮৷ কতিপয় ঘোষণামূলক মামলা

  . কর নির্ধার

  . প্রি-এমশ

  . বন্ধ

  . রোয়েদা

  . সালি

  . পণ্য গচ্ছি

  . অর্থ

  . বিবা

  . উই

  ১০. লী

  ১১. দেউলিয়া

  ১২. নির্বাচ

  ১৩. দলিলাদি

  ১৪. সীমানা চিহ্নি

  ১৫. কোম্পানী

  ১৬. উত্তরাধিকা

  ১৭. উপাসনার অধিকা

  ১৮. সম্প্রদা

  ১৯. জনতার অধিকা

  ২০. ভিক্ষা গ্রহণের অধিকা

  ২১. ওয়াক

  ২২. অংশসমূ

  ২৩. চাকুরী

  ২৪. বাধ্যতামুলক অবস

  ২৫. নিয়োগদান

  ২৬. ট্রেডমার্

  ২৭. নিয়ো

  ২৮. খাজনা

  ২৯. লীজ পত্ত

  ৩০. বিশ্ববিদ্যাল

  ৩১. ট্রাস্

  ৩২. সরকারি কর্মচারী

  ৩৩. করপোরেশনের কর্মচারী

  ৩৪. সম্পত্তি ক্রো

  ৩৫. তহবি

  ৩৬. রাজস্ব কার্যক্রম

  ৩৭. রাজস্ব আদায় সিদ্ধান্

  ৩৮. সিনেমা ফিল্ম বিতরণ প্রদর্শ

  ৩৯. বৈধ চরিত্রের অধিকারী কোন ব্যক্তি

  ৪০. ঘোষণার মামলায় দলিল বাতিল আদে

  ৪১. বিরুদ্ধ দখ

  ৪২. যৌথ দখ

  ৪৩. প্রতিবাদি দখ

  ৪৪. পরবর্তী অনুবিধিকে প্রতিকা

  ৪৫. অতিরিক্ত প্রতিকার না

  ৪৬. ঘোষণামূলক ডিক্রীর সম্পাদন যোগ্যতা

 

১৷ ধারাটির মুখ্য আলোচ্য বিষয়:  সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭- সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদানের যতগুলো উপায় রয়েছে তন্মধ্যে অত্র ধারাতে বর্ণিত ঘোষণামূলক ডিক্রী একটি৷ সচরাচর অত্র আইনের যে কয়টি ধারা অধিক পরিশীলিত হয় তন্মধ্যে ধারা ৪২ একটি অন্যতম৷ বস্তুত ঘোষণামূলক ডিক্রী অত্র ধারার প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়

 

  বিষয়টি এখানে সম্ভাব্য পরিসরে আলোচনা করা হয়েছে

 

  ২৷ ধারাটির উদ্দেশ্য: ধারাটির উদ্দেশ্য হলো বাদীর স্বত্বের সাক্ষ্য চিরস্থায়ী এবং শক্তিশালী করা উহার বিরুদ্ধে কোন আক্রমন উহাকে কাহিল করতে না পারে৷

 

 

  . , আই, আর, ১৯১৫ মাদ্রাজ ৩৪৮

 

 

৩৷ ঘোষণামূলক ডিক্রী কি?

অত্র আইনে সুনির্দিষ্ট অধিকার নিশ্চিতকরণে অনুসৃত উপায়সমূহের মধ্যে পক্ষবৃন্দের অধিকার ঘোষণার মাধ্যমে যে সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের বিধান বিদ্যমান উহাকেই ঘোষণামূলক ডিক্রী বলে

 

৪৷ ঘোষণামুলক মামলা কি?

যে মোকদ্দমার বা বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমে বাদীর আইনগত পরিচয় বা কোন সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে সদার্থক বা নঞার্থক ঘোষণা দান করা হয় তাকে ঘোষণামূলক মামলা বলে

 

৫৷ আনুষঙ্গিক প্রতিকার কি?

আনুষঙ্গিক প্রতিকার হলো সেই প্রতিকার যা ঘোষণামূলক মঞ্জুরের ক্ষেত্রে অপরিহার্য৷ উহা প্রতিকার ঘোষণার উপর নির্ভরশীল৷ কোন মামলায় মূল প্রতিকার ছাড়া অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রতিকারকে আনুষঙ্গিক প্রতিকার বলা হয়৷ যে মামলায় স্বত্বের ঘোষণার সাথে অনুগামী প্রতিকার প্রার্থনা প্রয়োজন৷ সে মামলায় অনুগামী প্রার্থনা ছাড়া স্বত্বের ঘোষণার মামলা অচল

 

 

৬৷ ধারাটির আওতা: সব ধরনের ঘোষণা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধারা আদালতকে ক্ষমতা দেয় না৷ সেক্ষেত্রে বাদী নির্দিষ্ট আইনগত মর্যাদা সম্পত্তিতে অধিকার রাখে সেক্ষেত্রে ঘোষণা দিতে আদালতকে ধারা ক্ষমতা দিয়েছে৷

 

ধারায় যেসব উদাহরণ দেয়া হয়েছে তা কতিপয় পরিচিত ক্ষেত্রের উল্লেখ করা হয়েছে মাত্র৷ কিন্তু উক্ত উদাহরণ নির্দেশ করে ধারার ক্ষমতা অধীক্ষেত্র সীমাবদ্ধ করার কোন মামলা নেই৷

 

৭৷ ঘোষণামূলক মামলায় যেসব উপাদান থাকতে হবে:

. বাদীর আইনসঙ্গত পরিচয় বা কোন সম্পতিতে তার কোন অধিকার থাকতে হবে

. বাদীর উক্ত আইনসঙ্গত পরিচয় বা সম্পত্তিতে তা উক্ত অধিকার বিবাদী অস্বীকার করে বা করতে উদ্ধত বা আগ্রহ প্রকাশ করে

. মামলার বিষয়বস্তু অবশ্যই বাদীর আইনসঙ্গত পরিস্থিতি বা অধিকার বিষয়ক হতে হবে

. বাদী স্বত্বের ঘোষণা ছাড়া আরো আনুষঙ্গিক প্রতিকার চাইতে পারে তবে সেরূপ তাকে অবশ্যই সে প্রার্থনা করতে হবে

 

 

  . আই, এল, আর কলি, ১৬৫

  . ৩৯ কলি ৭০৪

  . , আই, আর, ১৯৩৬ মাদ্রাজ ৩০৭

 

 

৮৷ কোন কোন কারণে আদালত ঘোষণামূলক ডিক্রী মঞ্জুর করতে পারে:

  . বিবাদী কর্তৃক বাদীর আইনসঙ্গত পরিচয় বা বৈধ অধিকার স্বীকৃত হতে হবে৷ তাছাড়া প্রার্থনা মঞ্জুর করা হবে না

  . বাদী যদি স্বত্বের ঘোষণা ছাড়া আরো আনুষঙ্গিক প্রতিকার দাবি করতে সমর্থ হয় কিন্তু তা বাদী করা থেকে বিরত থাকে

  . বাদীকে ছাড়া বা প্রকৃত বা পর্যাপ্ত ক্ষতি প্রমাণ করতে হবে

  . ঘোষণামূলক মামলায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী চাইলে আদালত তা মঞ্জুরের প্রার্থনা অস্বীকার করতে পারে

  . বাদীর প্রার্থিত প্রতিকার অন্যভাবে প্রদান সম্ভব হলে ঘোষণার প্রার্থনা অস্বীকার করতে পারে

  . আদালত যদি বিবাদীকে পূর্বে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কোন কার্য করা হতে বিরত রেখে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে আদালত ঘোষণা মঞ্জুর প্রত্যাখ্যান করতে পারেন

  . প্রার্থনা প্রচলিত আইন পররিপন্থী হলে তা মঞ্জুর করা হয় না

  . বাদীর প্রার্থীত প্রতিকার প্রার্থনা অনাবশ্যক অকার্যকর বলে প্রতীয়মান হলে আদালত উক্ত প্রার্থনা প্রত্যাহার করবেন

 

৯৷ কখন ধারাধীন প্রতিকার অস্বীকার করা হয়: আদালত অত্র ধারাধীন প্রতিকার অস্বীকার করতে পারেন-

. চরম ধরণের ক্ষতি না হলে৷

. ঘটনা সাপেক্ষে পূর্ব অনুমানের ভিত্তিতে ডিক্রী করা যায় না৷

. বিবাদী বাদীর দাবি অস্বীকার না করলে৷

. কেবলমাত্র অঙ্গিকার নয়, সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে হবে৷

. কোন তথ্য অধিকারের ক্ষেত্রে৷

. বাদীর ব্যবহার প্রতারণামূলক হলে৷

. যেক্ষেত্রে ঘোষণা নিষ্ফল অকার্যকর হলে৷

. আইনের পরিপন্থী হলে৷

 

 

  . পাটনা এলজে ৬৬

  . ১৫২ এল সি. ৩৬০

  . আই আর ১৯৩৭ মাদ্রাজ ২১ (২১ (২২)

  . আই আর ১৯৪৪ লাহোর ১১০

  . পি, এল, টি, ৮৪

  ১০. আই আর ১৯৪১ নাগ ৩৫৭

  ১১. আই আর ১৯৪১ অযো. ৪২২

  ১২. ১৯৫০ সি ডব্লু এন ১৩৪

 

 

১০৷ কখন আনুষঙ্গিক প্রতিকার ছাড়া মামলা অচল:

  * যে ক্ষেত্রে দায় অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে বাদী যদি বেদখল থাকে এবং বিবাদী দখলে, এরূপ ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনা স্বত্ব ঘোষণা মামলা অচল৷

  * আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনা ছাড়া বাদীর বরখাস্তের আদেশ বেআইনী অচল মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রির মামলা সচল৷

  * প্রতিকী দখল ঘোষণা প্রার্থনার সাথে দখল পুনরুদ্ধারের প্রার্থনা ছাড়া ধারা ৪২ অনুযায়ী মামলা অচল৷

  * আইনী  প্রক্রিয়ায় দখলচ্যুত হয়, সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নয় স্বত্বসহ দখল পুনরুদ্ধারের মামলা দায়ের করতে হবে৷

  * বাদীগণ দলিলটি মিথ্যা, প্রতারণামূলক অবৈধ ঘোষণার পর নালিশী জমিতে স্বত্ব ঘোষণা চান৷ অতএব, মোকদ্দমাটি দেওয়ানী কার্যবিধির ৪২ ধারার আওতায়  পড়ে এবং উপরিউক্ত ৯১ অনুচ্ছেদ আকৃষ্ট করে না৷ বাদীগণ তর্কিত কবলায় পক্ষ ছিলেন না এবং সেই কারণে তর্কিত কবলা বাতিলের আবেদনের প্রয়োজন নেই৷ নিম্ন আদালতগুলি কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত বাতিল প্রয়োজনাতিরিক্ত এবং তা উপেক্ষা করা যেতে পারে৷ বাদীগণ তর্কিত কবলা অবৈধ প্রতারণামূলক চরিত্রের ঘোষণা এবং নালিশী জমিতে স্বত্ব ঘোষণা প্রাপ্ত হওয়ার তর্কিত দলিল বাতিলের প্রয়োজন নেই, যেহেতু তারা তর্কিত দলিলের পক্ষ নন৷

 

  * আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা ছাড়া সাধারণ ঘোষণার মামলায় প্রদত্ত ডিক্রি একটি বার্ষিক বৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ অতএব, এইরূপ তিনি বাদির একটি লাভ বা বার্ষিক বৃক্তি এবং যার বিরুদ্দে প্রদান করা হয়েছে৷ কার্যে রূপদান তার উপর নির্ভরশীল এবং বর্তমান মামলায় বিবাদি বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন হওয়ার বিশ্বাস করার কারণ নেই যে, এইরূপ কর্পোরেশনের আইন আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মানপ্রদর্শন করবেন৷ বর্তমান মামলায় মনে হয় যে, নিম্ন আদালতগুলি রেকর্ড থাকা সকল কিছু বিস্তারিতভাবে বিবেচনা করেছে এবং কারণসহ তাদের সিদ্ধান্তে পৌছিয়েছে এবং বিজ্ঞ নিম্ন আদালতগুলি ডিক্রি প্রদানের সময় বকেয়া বেতন ভাতাদির প্রার্থনা অস্বীকার করেছে এবং চাকরীর ধারাবাহিকতা দৃঢ় করেছে৷অতএব এতে কোন হস্তক্ষেপ করা যায় না৷

 

 

  . ডি এল আর ২৪-২৫

  . ৩১ ডি এল আর ৪০০

  . ১৩ ডি এল আর ৭০

  . ডি এল আর ৪৯

  . ৫২ ডি এল আর ৪৬ ( ডি)

  . ৫০ ডি এল আর ৪১১

 

 

  * মোকদ্দমা দায়ের করার পূর্বে হতে বিবাদীগণ নালিশী জমির দখলে থাকার আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে বাদীর উচিত ছিল খাস দখলের প্রার্থনা করা৷ সুতরাং শুধু ঘোষণার মোকদ্দমা খারিজ হতে বাধ্য৷

 

  * চাকরী মোকদ্দমার আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা শুধু ঘোষণার প্রার্থণা লক্ষণীয় নয়৷

 

  * ডিক্রি বলবৎ করতে হলে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনার প্রয়োজন৷ তা বাদী এড়িয়ে তিনটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারার অনুবিধির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হবে৷

 

  * এই মামলায় উভয় নিম্ন আদালত অভিমত ব্যক্ত করেন যে, বাদীগণ তাদের স্বত্ব দখল প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এমতাবস্থায় এই অভিমত অবশ্যই ব্যক্ত করতে হবে যে, বাদীগণ শুধু ঘোষণার ডিক্রি পেতে অধিকারী নন৷

 

 

১১৷ প্রেভাইসার প্রতিবন্ধকতার আবেদন:

ধারা ৪২ অনুযায়ী প্রোভাইসোতে ঘোষণামূলক ডিক্রি প্রদানের যে প্রতিবন্ধকতা আছে সে প্রতিবন্ধকতা উত্থাপন করা হলে আদালত তদবিষয়ে উহার প্রকৃতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন

 

  প্রথমতঃ দেখেন বাদী একটি প্রতিকারের প্রার্থনা করতে পারে কিনা?

 

  দ্বিতীয়ত: সে তার প্রার্থনা হতে বাদ দিয়েছে কিনা?

 

 

  যে প্রতিকার প্রার্থনা প্রয়োজন নেই সে বিষয়ে অত্র ধারায় কোন বিধান নেই৷ কেননা প্রোভাইসর অর্থ টেকনিক্যাল কারণে কোন প্রতিকার প্রত্যাখ্যান করা নয়৷ বাদীকে সম্ভাব্য সকল প্রতিকারের জন্য প্রার্থনা করতে হয় না৷

 

১২৷ কখন আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রয়োজন:

  * যে ক্ষেত্রে ঘোষণামূলক প্রতিকার না সূচক আকারেও হতে পারে৷ সে প্রেক্ষিতে না সূচক আকারে ডিক্রি প্রার্থনা করলে উহা অস্বীকারের কোন কারণ নেই৷ যদি আনুষঙ্গিক প্রতিকার পেতে ব্যর্থ হলে মামলা বারিত হবে না৷

 

 

  . ৪৯ ডি এল আর ৪২৮

  . ৪৯ ডি এল আর ৩৮

  . ৪৮ ডি এল আর ৩৩০

  ১০. ৪৮ ডি এল আর ৪৬৫

  ১১. ৩১ ডি এল আর

  ১২. ২০ ডি এল আর

  ১৩.

 

 

  * যেক্ষেত্রে বিবাদী বাদীর বিক্রেতার নিকট শঠতামূলক ফায়দা লাভ করে সেক্ষেত্রে বাদী ধারা ৪২ অনুযায়ী প্রতিকার প্রার্থনা করতে পারে৷

  * কোন সরকারী কর্মচারী তার বরখাস্ত বেআইনী মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রির মামলা করতে পারে, আনুষঙ্গিক প্রতিকার ছাড়া৷

  * বাদী যদি বেআইনী নিলাম বাতিলের জন্য স্বত্ব ঘোষণার জন্য মামলা করে তা আনুষঙ্গিক প্রতিকার ছাড়াই সচল৷

 

১৩৷ কখন মামলা দাখিল করা যায়?

অত্র ধারার প্রযোজ্যতা এবং মামলার দাখিলযোগ্য মামলা দাখিলের তারিখে নির্ধারণ করে দেখতে হবে৷ ডিক্রী দিবার নয়৷

 

১৪৷ আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা:

. বাদীর চরম ক্ষতি ছাড়া আদালত অধিকার ঘোষণা অস্বীকার করতে পারে৷

. যেক্ষেত্রে ডিক্রী কোন কাজে আসে না সেখানে আদালত ডিক্রী অস্বীকার করতে পারে৷

. ঘোষণামূলক ডিক্রী অনুমোদন বা অস্বীকার আদালতের এখতিয়ারাধীন৷

. অনেক দিনের অমীমাংসিত বিরোধের মিমাংসাস্বরূপ আদালত ঘোষণামূলক ডিক্রী মঞ্জুর করতে পারে৷

. আরজীতে যদি নির্দিষ্ট দাবি না করতে না হয় আদালত তা স্বেচ্ছামুলক ক্ষমতাবলে বিবেচনা করতে পারে৷

. আবেদনকারীর অধিকার উদ্দেশ্যের সাথে আদালত সংশ্লিষ্ট নয়৷

. নিম্ন আদালতের ক্ষমতা অপপ্রয়োগ প্রতিকার আপীল আদালত করতে পারে৷

. আরও প্রতিকার মামলার একই কারণ হবে উত্ কলিত হতে হবে৷

 

 

  ১৪. ১১ ডি এল আর ৪২৪

  ১৫. ২২ ডি এল আর ৫৯০, ৫৯১

  ১৬. ৩৭ ডি এল আর ১৩১

  . পি. এল. জে. ১৯৭৫ করাচি ৩৩৫

  . ২১৬ আই. সি ৮২

  . ৪৯ সি ডব্লু এন ৭১৬

  . ৪৫ ৩১১

  . ২৫ সি ডব্লু এন ১৭০

  . ২৫ সি এল জে ৫৩৭

  . ২০ সি ডব্লু এন ৪৬৬

  . ১৯৪১ কলি ১৫৩

  . ৩৭ মাদ্রাজ ৪১৫

 

. পরবর্তী ঘটনা যদি কোন আইনগত অবস্থার পরিবর্তন না করে তবে তা গ্রাহ্য৷

১০. কোন ডিক্রী রদ না করে কেবলমাত্র ডিক্রী বাতিল বলে তা বাদীর স্বত্বের উপর কোন আঘাত হানতে সমর্থ নহে মর্মে মামলা করলে তা গ্রহণযোগ্য৷

১১. বাদীর আনুষাঙ্গিক প্রতিকার আপেক্ষিত৷

১২. নিষেধাজ্ঞা একটি আনুষাঙ্গিক প্রতিকার৷

১৩. দখল নিশ্চিতকরণ একটি আনুষাঙ্গিক প্রতিকার৷

১৪. প্রমাণ ছাড়া আনুষাঙ্গিক বা তার স্বত্ব আহবান না করা হলে প্রতিকার কেবল ঘোষণার মামলায় পরিণত করে না৷

১৫. তঞ্চকতার অজুহাতে পূর্বের ঘোষণামূলক ডিক্রী রদের জন্য যে মামলা করা হয় সেক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক প্রতিকার ছাড়া কেবলমাত্র ঘোষণার মামলা করা হলে দাখিলযোগ্য৷

 

১৫৷ আপীল:

* নিম্ন আদালত উক্ত ক্ষমতা খামখেয়ালীভাবে প্রয়োগ করলে আপীল আদালত উহাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে৷

* নিয়মনীতির সাথে অসঙ্গতপূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়৷

* অহেতুক কারণে উক্ত আদালত নিম্ন আদালতের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে না৷

 

১৬৷ আপীল সংশোধন:

. উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের আপত্তি গ্রহণ না করে আপীল খারিজ না করে তা নিম্ন আদালতে প্রেরণ করতে পারেন, যেক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক প্রতিকার চাওয়া উচিত ছিল কিন্তু তা না চাওয়া হয়৷

 

 

  ১০. ১৯৫০ কলি ৩৮৬

  ১১. ৫৮ সি ডব্লু এন ৮৩৫

  ১২. ৩৭ সি এল জে ৪৯৯

  ১৩. ২১ সি এল, জে, ৪১৫

  ১৪. ৩৯ সি ৭০৬

  ১৫. ৮৫ আই সি ৬২৯

  ১৬. ২১ সি ডব্লু এন ৩৭৫

  ১৭. , আই, আর ১৯৩৫ এলা ১৭৪

  ১৮. এলা ৬২২

  ১৯. , আই, আর ১৯৩৫ পাট ২৫৬

  ২০. ১৪ মাদ্রাজ ৪৬

 

 

  . নিম্ন আদালত বাদীকে আরজী সংশোধনের সুযোগ দেয়া সত্বেও তা যদি না করে, তবে আপীল পর্যায়ে তা সংশোধনের অধিকার রাখে না৷

 

১৭৷ কোর্ট ফি: কোর্ট ফি আইনের ধারা () এর আওতায় ধরনের মামলায় কোর্ট ফি নির্ধারিত হয়ে থাকে৷ যেমন-

  . আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে নিষেধাজ্ঞা চাইলে৷

  . কেন ডিক্রী বাতিল ঘোষণার মামলা এবং ডিক্রী কার্যকরী করার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা৷

  . কোন দলিল সম্পর্কে ঘোষণা নিষেধাজ্ঞা৷

  . ধর্মীয় অঙ্গীকার ঘোষণা নিষেধাজ্ঞার মামলা করা৷

  . কোন হিসাব বেআইনী ঘোষণা নিষেধাজ্ঞার মামলা করা৷

  . স্বত্ব ঘোষণা দখল নিশ্চিতকরণ৷

  . দখল অথবা নিষেধাজ্ঞাসহ কোন অছির ঘোষণা চেয়ে মামলা৷

 * আনুষঙ্গিক প্রতিকার না চেয়ে বাদী মামলা খারিজ করার ঝুঁকি বহন করতে গেলে আদালত তাকে অতিরিক্ত কোর্ট ফি বাধ্য করতে পারে না৷

 * আরজীতে বলা হয়েছে তা ছাড়া অন্য কিছু করে আদালতে বাদীর নিকট অর্ধীক কোর্ট ফি দাবি করতে পারে না৷ কেননা কোন বাদী আনুষঙ্গিক প্রতিকার না চাইলে আদালত তা চেতে বাধ্য করতে এবং সে অনুযায়ী কোর্ট ফি চাইতে পারে না৷

 

 

১৮৷ কতিপয় ঘোষণামুলক মামলা:

 

১৮.১৷ কর নির্ধারণ (Tax Assessment): পৌরসভার কর নির্ধারণের হার অবৈধ এখতিয়ার বহির্ভূত হয়েছে মর্মে করদাতা ধারা ৪২ অনুযায়ী ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করতে পারে৷ এবং নির্ধারিত হারে কর আদায়ের উপর নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারে৷

 

 

 

  . ২৫ মাদ্রাজ ৫০৪

  . , আই, আর ১৯৩৮ কলি ৮৬৫

  . , আই, আর, ১৯৩৮ কলি ৮৬৫

  . , আই, আর, ১৯২৭ লাহোর ৮৯০

  . , আই, আর ১৯৩৮ কলি ৮৬৫

  . , আই, আর, ১৯২৮ কলি ৫৫

  . ১৯৪২ পাটনা ১৯৮

  . , আই, আর ১৯৩৮ কলি ৮৬৫

  . , আই, আর, ১৯৪৩ লাহোর ৩৯

  ১০. , আই, আর, ১৯৪৪ পাটনা ১৭

  . পি.এল ডি, ১৯৫৯ ঢাকা =, ডি, এল, আর ৪৩; , আই, আর ১৯৩৪ কলি ৬৭৩ (ডিবি)

  

 

করদাতার বাদী এক্ষেত্রে উসুলকৃত অতিরিক্ত কর ফেরত্ ভবিষ্যতে যাতে সে হারে কর আদায় না করে তজ্জন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করতে পারে৷ এরূপ ক্ষেত্রে কেবলমাত্রে ঘোষণামূলক প্রতিকার মঞ্জুর করা হয় না৷

 

 

১৮.২৷ অগ্রক্রয় (Pre-emption): কেবলমাত্র প্রি-এমশন অধিকার ঘোষণার মাধ্যমেই ইহার অধিকার সুনিশ্চিত হয় না৷ তজ্জন্য ভবিষ্যতে প্রি-এমশন অধিকার কার্যকরীকরণে ভবিষ্যতে আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে দাবি করতে হবে৷

 

 

১৮.৩৷ বন্ধক (Mortgage): বন্ধক গ্রহীতা যখন দখলভূক্ত তখন সে বন্ধক ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করতে পারে৷ খাইখালাসী বন্ধকের ক্ষেত্রে বন্ধকদাতা বন্ধকী সম্পত্তির অধিকার ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে, কেননা বন্ধকী দলিলে বর্ণিত শর্তাবলী বা মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে৷

 

  এটি সাধারণ নিয়ম যে, বন্ধকদাতা কেবলমাত্র বন্ধকদাতা হিসেবে ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে না, আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে বন্ধক উদ্ধার ব্যতীত৷

 

 

১৮.৪৷ সালিস: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সালিসের কোন শুনানী গ্রহণের অধিকার নেই মর্মে ঘোষণার মামলা করা যেতে পারে৷

 

  পিতা কোন বিরোধ মীমাংসার জন্য সালিসের স্মরণাপন্ন হলে এবং সালিসীর রায়ের ভিত্তিতে ডিক্রী পেলো৷ সন্তানের কোন অধিকার নেই যে, উক্ত বিরোধ মিমাংসার জন্য সালিসের নিকট প্রেরণের পিতার কোন কর্তৃত্ব নেই মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা রুজুর এবং আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে ডিক্রী বাতিল প্রার্থনার৷

 

 

১৮.৫৷ রোয়েদাদ (Award): সেখানে রোয়েদাদ আদালতে দাখিল করা হয়নি সে রোয়েদাদ বাদীর উপর বাধ্যকর নহে মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করা যেতে পারে৷

 

যদি রোয়েদাদ আদালতে দাখিল করা হয়, তাহলে সালিসী আইন ১৯৪০ এর ধারা ৩২ অনুযায়ী উহার বৈধতা বা অবৈধতা সংক্রান্ত কোন ঘোষণামূলক মোকদ্দমা অকার্যকর

 

 

১৮.৬৷ পণ্য গচ্ছিত: পণ্য-গচ্ছিতকারী গচ্ছিত পণ্য বিক্রি করে দেয়, গচ্ছিত দাতা উক্ত বিক্রির বিরুদ্ধে কেবলমাত্র ঘোষণামূলক নয়, এজন্য তাকে গচ্ছিত দ্রব্য উদ্ধার বা ক্ষতিপূরণের আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনাও করতে হবে৷

 

 

 

  . , আই, আর ১৯২৪ এলা ৬৫২-৪৫ এলা ৫৫৩ (ডিবি)

  . ৪৮ কলি ১১০; আই আর ১৯২৩ পিসি ৫০

  . ১৯৩৮ পেশ ২৮

  . ১৯৭৪ এস সি এম আর, ১৮১; , আই, আর ১৯৪২ অযোঃ ৪৬৫

  . ১৯২৯ এলা ৩৩১

  . (১৯৫৬) এলা ২২

  . , আই, আর ১৯৩৪ লাহোর ২৩৫ (ডিব.)

  . ১৯২২ লাহোর ২৬১

  ১০. , আই, আর ১৯৬০ পি ২৭৩ (ডিবি)

 

 

১৮.৭৷ অর্থ (Money): বাদী বিবাদী অংশ অনুযায়ী কিছু অর্থ তৃতীয় পক্ষের নিকট রয়েছে বাদী তার অংশের জন্য ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে৷

 

বাদী বিবাদীর নিকট অর্থ পাবে মর্মে কেবল ঘোষণা নয়, অর্থের জন্য ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করতে হবে৷১২ আদালত সে অর্থ উসুল করে দেবে

 

 

১৮.৮৷ বিবাহ: আইগনগত চরিত্র একজন ব্যক্তির মর্যাদাগত বিষয়৷ একজন মুসলমান সন্তান বিবাদীর বৈধ সন্তান ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করল৷ এটি ঘোষণার মোকদ্দমা নয়, বরং মর্যাদার৷ মোকদ্দমাটি নির্বাহযোগ্য৷

 

খোরপোষ মোকদ্দমায় বাদী বিবাদীর পিতা নয় মর্মে ঘোষণার প্রতিকার পেতে পারে৷১৪ বাদী বিধবা বিবাদী পূর্বোক্ত বিবাদী স্বামীর বিরুদ্ধে এই মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করেন যে (স্ত্রী) তাদের বিবাহ এবং চারটি সন্তানের জন্ম ছিল বৈধ৷ সন্তানগণ মোকদ্দমার পক্ষ নয়৷ এক্ষেত্রে সন্তানদের সম্পর্কে আদালত কোন বৈধতার ঘোষনা দেবেন না৷ কেননা তারা মোকদ্দমার কোন পক্ষ নয়

 

বাদী পিতার বৈধ সন্তান এই মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রী লাভের জন্য দায়েকৃত মোকদ্দমা ধারা ৪২- সচল৷১৪.

 

স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় বিবাদীর সঙ্গে বিয়ে বাতিল হয়েছে মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রীর জন্য মোকদ্দমা প্রযোজ্য৷১৪.

 

১৮.৯৷ উইল (Will): উইল বৈধ নয় মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা নির্বাহযোগ্য নয়, যদি না আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে উইল দলিল বাতিলের প্রার্থনা করা হয়৷

 

উইলকারী মৃত্যুর পর উইল বৈধ নয় মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা গ্রহণযোগ্য নয়, তবে উক্ত ঘোষণার প্রার্থনার সাথে উইল সম্পত্তির দখল প্রতিকার না চাওয়া হলে তা গ্রহণযোগ্য৷ যদি দখল অধিকার স্থগিত হয় তবে উইল বাতিলকরণ সম্ভব৷

 

 

  ১১. ১৯৩৯ সিন্ধু ১০৭

  ১২. পি, এল, ডি, ১৯৬১ পৃষ্ঠা ৫৩১

  ১৩. ১৯৫৫ লাহোর ২৬৬ (এফবি)

  ১৪. ১৯৯০ রং ২৯৮

  ১৪.. ২২১ আই সি ৩৭৫ (এফ বি)

  ১৪.. ১৯১৪ কলি ৩২৫

  ১৫. ৩৫ আই, সি, ৯৫

  ১৬. ৩৬ আই, সি ৯৫

 

 

১৮.১০৷ লীজ: কোন যৌথ সম্পত্তির একজন সহ-অংশীদার তাদের যৌথ দখলাধীন সম্পত্তির সমগ্রাংশ অপর একজন ব্যক্তির নিকট লীজ দিবার অঙ্গীকারকরত সেলামী গ্রহণসহ কবুলিয়াত লিখে দিল৷ অন্য সহ-অংশীদার তাদের অংশের দখল অর্পণে অস্বীকার করল৷ লীজ গ্রহীতা বাদী লীজ  চুক্তি ঘোষণার সুনির্দিষ্ট সম্পাদন নয়; মোকদ্দমা করল৷ মোকদ্দমাটি গ্রহণযোগ্য৷

 

ডিক্রীহোল্ডারের বিরুদ্ধে ডিক্রী জারীকরণের জন্য সম্পত্তি ক্রোকার্থে রিসিভারের নিয়োগ করল৷ ডিক্রীহোল্ডার উক্ত সম্পত্তি অন্যের নিকট লীজ দিল৷ লীজ গ্রহীতা উক্ত সম্পত্তির ধার্যকৃত খাজনা রিসিভারের নিকট দেবে৷ ডিক্রী হোল্ডার উক্ত লীজ অবৈধ ঘোষণার ডিক্রীর জন্য মোকদ্দমা রুজু করে৷ মোকদ্দমাটি সচল৷

 

 

১৮.১১৷ দেউলিয়া:  দেউলিয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে জৈনক পাওনাদার একমর্মে একটি ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করল যে একটি সম্পত্তি দেউলিয়া ব্যক্তির ঘোষিথ সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত৷ মোকদ্দমাটি সচল৷

 

দেউলিয়া ব্যক্তি কর্তৃক একখণ্ড সম্পত্তি বিক্রি অবৈধ ঘোষণার মোকদ্দমা গ্রহণযোগ্য৷

 

বাদী তার একখণ্ড জমি বিবাদীর নিকট লীজ দিল৷ কিন্তু উক্ত সম্পত্তি ভুলক্রমে দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তির দেউলিয়া সম্পত্তির তালিকায় ছিল৷ বাদী এখানে কেবলমাত্র ঘোষণার ডিক্রী নয়, আনুষঙ্গিক প্রতিকারসহ মোকদ্দমা রুজু করতে পারেন৷

 

 

১৮.১২৷ নির্বাচন (Election): ভোট দান এবং প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া একটি অধিকার৷ একে আইনসঙ্গত চরিত্র বলে৷ সুতরাং আইনগত ভোটাধিকার বা নির্বাচিত প্রতিনিধির ঘোষণার মোকদ্দমা সচল৷ কোন ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে ঘোষণামূলক ডিক্রী পাওয়া যেতে পারে৷

 

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা প্রযোজ্য৷ কোন ব্যক্তি নির্বাচনে বৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছে মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা সচল৷ নির্বাচন সংক্রান্ত বৈধ চরিত্রে প্রভাব ফেলে এমন কোন বিষয়ে ঘোষণামুলক ডিক্রী সচল নয়৷

 

 

 

  ১৮. ১৯২৩ কলি ৩৮০

  ১৯. ২৮ কলি ৪৯২

  ২০. ৪০ এম সি ৪২১; ১২ এল এল, আর ৬১

  ২১. ১০০ আই সি ৬৪১

  ২২. ১৯২৭ কলি ৯৩৪

  . , আই, আর, ১৯২১ কলি ৪৯৬ (ডিবি); , আই, আর ১৯৪৬ লাহোর ৮৫ (ডিবি)

  . , আই, আর ১৯২১ কলি ৮৫=৪৮ কলি ৩৭৮ (ডিবি)

  . , আই, আর ১৯২১ কলি ৮৫=৪৮, কলি ৩৭৮ (ডিবি)

  . , আই, আর, লাহোর ৮৫; , আই, আর ১৯৩৩ পাটনা ১৫৫

  . , আই, আর ১৯৩৩ কলি ৪৯২ (ডিবি)

  . , আই, আর ১৯৩৩ অযোঃ ৪২৩ (ডিবি)

 

 

১৮.১৩৷ দলিলাদি:

১৩.১৷ বিক্রি দলিল যা সম্পাদিত হয়েছে বৈধ ঘোষণা আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে পরবর্তী দলিল বাতিল মোকদ্দমা সচল৷

 

১৩.২৷ বাদী যেক্ষেত্রে দলিলে কোন পক্ষ নয় এমন ক্ষেত্রে দলিলের শর্তাদি বাদীর উপর বাধ্যকর নয় মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা প্রযোজ্য৷

 

১৩.৩৷ তর্কিত বিক্রি দলিলটি শঠতার কারণে বাতিল বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তাই তা নাকচের দরকার নেই৷ কাজেই নাকচের প্রার্থনার জন্য আরজী সংশোধনের নির্দেশের কোন প্রয়োজন নেই৷

 

১৩.৪৷ লিখিত দলিল নাকচের বিষয়টি ধারা ৪২ নয় ধারা ৩৯ সম্পৃত্ত৷

 

 

১৮.১৪৷ সীমানা চিহ্নিতকরণ জরীপ (Demarcation and survey): বিবাদী যদি বাদীর ভূ-সম্পত্তির চৌহদ্দির সীমানা জরীপকালে মারাত্মকভাবে পরিবর্তন করে সেক্ষেত্রে উক্ত জরীপ কর্তৃক চিহ্নিত চৌহদ্দি বৈধ নয় মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা সচল৷

 

জমিদার কর্তৃক চিহ্নিত সীমানা যদি সরকার জরীপকালে ভুল করে ভিন্ন সীমানা নির্ধারণ করে এবং তজ্জন্য বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাদী তার অধিকার রক্ষার জন্য ঘোষণামূলক মামলা করতে পারে৷

 

 

১৮.১৫৷ কোম্পানী (Company):

১৫.১৷ বাদী কোম্পানীর বৈধভাবে নির্বাচিত পরিচালক মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে৷

 

১৫.২৷ বিবাদীকে অবৈধভাবে কোম্পানী শেয়ার বরাদ্দ করা হয়েছে মর্মে জনৈক শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক ঘোষণামূলক মোকদ্দমা সচল নয়৷

 

১৫.২৷ বাদী লিঃ কোম্পানীর কোন শেয়ারহোল্ডার বা পরিচালক নয় মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা রুজু করা যেতে পারে৷

 

 . পি, এল ডি, ১৯৬০ করাচী ৭৪১

  . পি, এল, ডি, ১৯৬০ ঢাকা ১০৩

  . (১৯৮৬) বিসিআর ( ডি) ৪০৪, ৪১২

  ১০. (১৯৮৬) বিসিআর ( ডি) ৪০৪, ৪১২

  ১১. বি এল, আর এপি ৫৫

  ১২. ডবলু আর ৪২৬

  ১৩. (১৯৪০) কলি ৫৬০

  ১৪. ১৩৬ সি ডবলু এন ৬৩৫

  ১৫. , আই, আর ১৯৩৬ লাহোর ৭৯০

 

 

 ১৫.৪৷ বাদী লিঃ কোম্পানীর পরিচালক মর্মে ঘোষণামূলক সচল কিন্তু উক্ত কোম্পানীর অন্যান্য পরিচালক নিয়োগ অবৈধ চ্যালেঞ্জ ঘোষণার মোকদ্দমা ধারা ৪২ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়৷

 

১৮.১৬৷ উত্তরাধিকারের অধিকার (Right of succession):

১৬.১৷ বাদী মৃতের উত্তরাধিকারী মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা সচল৷ সুতরাং একজন মহিলা অধিকার পেতে পারে৷

 

১৬.২৷ বাদী এই মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করতে পারে যে, বাদী এবং বিবাদী উভয় মৃতের চাকুরীর পেনশন, গ্রাচুইটি, বণ্ড ইত্যাদি অর্থের উত্তরাধিকারী৷ বিবাদীকে এককভাবে তা গ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে৷

 

১৬.৩৷ মুসলিম আইনে ভবিষ্যত্ উত্তরাধিকার অনুমোদিত নয় বিধায় সে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করতে পারে না৷

 

১৬.৪৷ বিবাদীকে দখলচ্যুতকরণের জন্য বিচারের প্রাথমিক পর্যায়ে রিসিভার নিয়োগ যথাযথ নয়৷

 

 

১৮.১৭৷ উপাসনার অধিকার (Right to warship):

 

১৭.১৷ উপাসনা বা এবাদত নাগরিক অধিকার৷২১ সুতরাং অধিকার সংরক্ষণের জন্য মোকদ্দমা সচল৷২২ অধিকারে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা করা যায়৷

 

১৭.২৷ মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ৷ তাই উপাসনালয়ে প্রার্থনার বিরুদ্ধে প্রতিকারস্বরূপ ঘোষণামূলক মোকদ্দমা গ্রহণযোগ্য৷

 

১৭.৩৷ উপাসনার ক্ষেত্রে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে ঘোষণার সাথে সাথে আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে নিষেধাজ্ঞার প্রতিকার সচল৷

 

 

 

  ১৬. , আই, আর ১৯২৮ কলি ১৩৬

  ১৭. পি, এল, ডি ১৯৯৪ পেশ ২৪৯=পি, এল, জে, ১৯৯৪ পেশ ৮৮

  ১৮. , আই, আর ১৯৩৯ সিন্ধু ১০৭ = আই, এল আর ১৯৩৯ করাচী ৪৩২ (ডিবি)

  ১৯. পি, এল, ডি, ১৯৭৫ এস সি ৬২৪

  ২০. ১৯৯৫ পি এল ডি, ১৭২৫

 ২১. ১৩ মাদ্রাজ ২৯৩ (ডিবি); , আই, আর ১৯৫৫ এলা ৬৮ (এস বি)

 ২২. , আই, আর ১৯৫২ এস সি ২৪৫; এলা ৪৬১ (এফ বি)

  ২৩. , আই, আর ১৯৬৩ করাচী ৪৮; , আই, আর ১৯২৫ বোম্বে ২০৯ (ডিবি)

  ২৪. পি, এল, ডি ১৯৬৯ করাচী ৫১২

  ২৫. পি, এল, ডি, ১৯৬০ করাচী ৫১২; আই, এল, আর লাহোর ৩১৭

 

 

 

১৮.১৮৷ কাস্ট বা সম্প্রদায় (Caste): একজন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সদস্য বা সদস্য নয় মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা গ্রহণযোগ্য৷২৬ এবং সে স্বীয় সম্প্রদায় কর্তৃক নির্বাহ করে৷

 

১৯৷ জনপথ অধিকার (Right to public way):

 

১৯.১৷ বাদী তার প্লটের সন্নিকটস্থ রাস্তার ৪০ ফুট প্রস্থ একটি জায়গা লীজ চুক্তির মাধ্যমে ভোগ ব্যবহার করছে৷ বিবাদী উক্ত স্থানের কাদামাটি খোয়া দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় বাদীর ব্যবহার্য স্থানটি সংকুচিত হয়ে গেছে৷ বাদী বিবাদী কর্তৃক উল্লেখিত সম্পত্তির ব্যবহার অধিকার অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে৷

 

১৯.২৷ জনপথ দিয়ে সামাজিক বা রাজনৈতিক বা ধর্মীয় প্রসেসন করার অধিকার ঘোষণার মোকদ্দমা সচল৷

 

১৯.৩৷ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি অধিকারের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেন তবে উহার বিরুদ্ধেও ঘোষণামূলক মোকদ্দমা করা যায়৷

 

১৯.৪৷ জনপথ দিয়ে প্লেইং মিউজিক প্রসেশনের ঘোষণা মোকদ্দমা সচল নয়৷

 

২০৷ ভিক্ষা গ্রহণ অধিকার (Right to offerings):

২০.১৷ একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে ভিক্ষা গ্রহণ অধিকার বিবাদী কর্তৃক বিঘ্নিত হওয়ায় উহা ঘোষণার জন্য  বাদী মোকদ্দমা রুজু করলেই তা সচল বলে গ্রাহ্য হবে না৷ কেননা ভিক্ষা গ্রহণ কোন বৈধ অধিকার বলে স্বীকৃত নয়৷ এজন্য কোন নিষেধাজ্ঞাও মঞ্জুর করা যায় না৷

 

২০.২৷ জজমানদের নিকট হতে নজরানা গ্রহণ অধিকার ঘোষণা মোকদ্দমা সচল বলে গণ্য হয় না৷

 

২১৷ ওয়াকফ (Waqf):  মুতওয়াল্লী যদি ওয়াকফ সম্পত্তিতে জবরদখল করে থাকে তবে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা ছাড়া জনসাধারণের ঘোষণামূলক ডিক্রী অর্জনের মামলা সচল বলে গণ্য হবে৷৩৪ বাদী মুতওয়াল্লী কিন্তু বেদখলদার৷ এক্ষেত্রে ঘোষণার ডিক্রীসহ খাস দখলেরও প্রতিকার চাইতে হবে৷৩৪

 

 

  ২৬. ২৫ লাহোর ১৬৮

  ২৭. ২০ বোম্বে ১৯০ (ডিবি); ৩৩ মাদ্রাজ ৩৪২ (ডিবি)

  ২৮. এন, এল, আর ১৯৯৩ সি এল, জে ৮৫

  ২৯. , আই, আর ১৯৫০ বোম্বে ১৯২ (এফ বি)

  ৩০. ১৯৫১ এলা ডবলু আর (এইচ সি) ৫২৫

  ৩১. , আই, আর ১৯১৮ বোম্বে ১৬২

  ৩২. , আই, আর ১৯২১ এলা ৩৭৪=৪৩ এলা (ডিবি) ১৫৯

  ৩৩. , আই, আর ১৯২৮ লাহোর ৭৩০; , আই, আর ১৯২১ লাহোর ১৩৮

  ৩৪. , আই, আর ১৯৪৬ নাগ ৪০১

  ৩৪ক. (১৯৬১) ১৩ ডি, এল, আর ৫৭৬

 

 

 

২২৷ অংশ সমূহ (Shares):

২২.১৷ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে, যদি দখল নির্বিঘ্ন হয় তাহলে বিষয়ে আদালতে ঘোষণামূলক ডিক্রীর মোকদ্দমা রুজ্জু করা যায়৷

 

২২.২৷ বাদীর অধিকার যদি অজানা অনিশ্চিত হয় তাহলে আদালত তদবিষয়ে কোন ঘোষণার ডিক্রী মঞ্জুর করবেন না৷

 

 

২৩৷ চাকুরী (Service):

২৩.১৷ আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনা ব্যতীত চাকুরী হতে বরখাস্তের বিরুদ্ধে ঘোষণা মামলা সচল নয়৷

 

২৩.২৷ বাদীতে চাকুরীর নিম্নপদে নিযুক্তি দেয়ায় সে উক্ত নিযুক্তির আদেশ বেআইনী অকার্যকর মর্মে আনুষঙ্গিক প্রতিকারসহ ঘোষণামুলক ডিক্রী চেয়ে মোকদ্দমা দায়ের করে৷ ধারা ৪২ অনুযায়ী মোকদ্দমাটি গ্রহণযোগ্য৷ এমনকি যদিও আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা নাবোধক হলেও দেওয়ানী আদালত কোন কর্মকর্তাকে তার পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে না, যদি সে উক্ত পদ হতে অপসারিত হয়৷

 

২৩.৩৷ কোন কর্মচারী আইনগত অধিকার হিসেবে পদোন্নতি দাবি করতে পারে না৷

 

২৩.৪৷ করপোরেশনের কোন কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করলে উহার বিরুদ্ধে ঘোষণামূলক মামলা করা যায় না৷

 

২৩.৫৷ আনুষঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনা ব্যতীত সরকারি কর্মচারী বরখাস্তের আদেশ বেআইনী মর্মে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা গ্রহণযোগ্য এবং ধারা ৪২ মতে কোন বাধা নেই৷

 

২৩.৬৷ বাধ্যতামূলক অবসর দান: বকেয়া বেতন ব্যতীত বাধ্যতামূলক অবসর দান আদেশকে এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে ঘোষণার ডিক্রীর মোকদ্দমা সচল৷

 

 

 

  ৩৫. ডি,এল, আর, ৩৮২

  ৩৬. ৪০ সি এল, জে, ৩০

  ৩৭. পি, এল, ডি, ১৯৫২ ঢাকা ৫৫৭; পি,এল, ডি, ১৯৬১ ঢাকা ৬১৬

  ৩৮. (১৯৬৮) ২০ ডি, এল, আর ৩৩২, ৩৩৩

  ৩৯. (১৯৬৪) ডি, এল, আর ১৬৮

  ৪০. পি, এল, ডি, ১৯৬৬ লাহোর ৪৪২

  ৪১. (১৯৭৯) ৩১ ডি, এল, আর ৪০০

  ৪২. , আই, আর ১৯৫৯ এইচ পি ৩২; আই, আর ১৯৫৮ (এস সি) ২৪৫

 

 

২৩.৭৷ নিয়োগ দান প্রত্যাহার: নিয়োগদান প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা সচল নয়৷

 

২৩.৮৷ চাকুরী হতে অবৈধভাবে বরখাস্ত: চাকুরী হতে অবৈধভাবে বরখাস্ত আদেশের বিরুদ্ধে ঘোষণামূলক ডিক্রীর জন্য মোকদ্দমা দায়ের করা যেতে পারে৷ তবে প্রতিকার আদালতের স্বেচ্ছাধীন৷

 

২৩.৯৷ সরকারী চাকুরীর বিভিন্ন বিষয়: নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিটি কর্তৃক বাদীর নাম তালিকায় শুধু অন্তর্ভুক্তকরণ সরকারী চাকরী নিয়োগের ব্যাপারে বাদীর উপর কোন অধিকার বর্তায় না৷

 

চাকরীর মোকদ্দমায় আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা ছাড়া শুধু ঘোষণার প্রার্থনা লক্ষণীয় নয়৷

 

ডিক্রি বলবৎ করতে হলে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা প্রয়োজন, তা বাদ পড়লে ডিক্রিটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারার অনুবিধির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হবে৷

 

বাদী ব্যাংকের একজন অফিসার৷ তাকে চাকরি হতে অপসারণের আদেশ বাতিল অকার্যকর ছিল এবং তিনি চাকরিতে বহাল আছেন ঘোষণার মামলায় আরো প্রতিকার ছাড়াই রক্ষণীয়৷

 

পক্ষগণের মধ্যে মনিব ভৃত্য সম্পর্ক থাকলে ঘোষণার মামলায় রক্ষণীয় নয়৷

 

২৪৷ ট্রেড মার্ক (Trade mark): বাদী যেক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক কে একচ্ছত্র সম্পত্তি অধিকার হিসেবে ব্যবহার করে মর্মে ঘোষণা না করে, যাতে অন্যের কোন অধিকার নেই, আদালত এসব ক্ষেত্রে ঘোষণামূলক ডিক্রীর মোকদ্দমা মঞ্জুর করেন না৷

 

 

  ৪৩. পি, এল, ডি ১৯৮১ লাহোর ১৮

  ৪৪. পি, এল, ডি, ১৯৭৩ (এস পি) ৫৮৯

  ৪৫. (১৯৬১) ১৩ ডি, এল, আর ৩৪১

  ৪৬. ৫১ ডি এল আর ৭০

  ৪৭. ৪৮ ডি এল আর ৩৩০

  ৪৮. ৪৬ ডি এল আর ৩৭৫

  ৪৯. ৪৭ ডি এল আর ১৭৩

  ৫০. ১৩৩ আইসি ৮৪০

 

 

২৫৷ নিয়োগ (Appointment): স্থায়ী নিয়োগ দান করা হয়েছে মর্মে নিয়োগ ইস্যু সাপেক্ষে অস্থায়ী নিয়োগ পত্রের প্রেক্ষিতে যোগদানকরত স্থায়ী নিয়োগদানের জন্য ঘোষণার মোকদ্দমা সচল নয়৷ প্রকৃত নিয়োগদানের যে কোন সময় অস্থায়ী নিয়োগ প্রত্যাহার করা যায় এবং তার বিরুদ্ধে ঘোষণামূলক ডিক্রীর মোকদ্দমা গ্রহণযোগ্য নয়৷

 

২৬৷ খাজনা (Rent): *বিবাদীর নিকট কোন খাজনা পাওনা না হওয়া সত্বেও নির্দিষ্ট হারে খাজনা পরিশোধের জন্য আনুষঙ্গিক প্রতিকার ব্যতীত ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করা উচিত নয়৷

 

* নোটিশ ছাড়াই ধার্যকৃত বর্ধিত হারে বকেয়া খাজনা উসুলের ঘোষণামূলক ডিক্রী সচল নয়৷

 

* ডিক্রী মুলে প্রাপ্ত জমির বকেয়া খাজনা উসুলের ঘোষণামূলক ডিক্রী সচল৷

 

২৭৷ নামপত্তন (Mutations): বিবাদীর অনুকূলে জমির নামপত্তন বাদীর অধিকারকে খর্ব করেছে বিধায় উক্ত নামপত্তন বাতিল ঘোষণার মোকদ্দমা সচল৷

 

২৮৷ বিশ্ববিদ্যালয়:

২৮.১৷ এমন কোন অত্যাবশ্যক ব্যবস্থা বিরাজমান ছিল যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রমের বিষয়ে মামলা দায়েরে বাধ্য করেছে৷ ইহা মূল আদালতে করতে হবে৷ মামলাটি ইহার গুণাগুণের উপর নিষ্পত্তি করা হয়৷

 

২৮.২৷ বাদী পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে তাই তার নামের পাশে বহিষ্কার শব্দটি সংযোজন অবৈধ মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা সমর্থনীয়৷

 

২৯৷ ট্রাস্ট (Trust):

২৯.১৷ বাদী ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা বিধায় ট্রাস্টি নিয়োগ কর্তৃত্ববান মর্মে ৪২ ধারায় ঘোষণার মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে৷ দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ৯২ এক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷

 

২৯.২৷ বাদী বিবাদীর সাথে যৌথ ট্রাস্টি মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা প্রণিধানযোগ্য৷

 

 

  ৫১. পি,এল, ডি, ১৯৮১ লাহোর ১৮

  ৫২. ডবলু আর ২৯২

  ৫৩. কলি ৫৩

  ৫৪. ১৩ কলি ১৪৭

  ৫৫. ২৪, আর, সি, -৬৭৮

  ৫৬. (১৯৮৫) ৩৭ ডি, এল, আর ৮৫

  ৫৭. ১৬ ডি, এল, আর '৯৮

  ৫৮. ৯৯ আই সি ১৯৪৫

  ৫৯. ১৯৪৬ এলা ৩৬২

 

 

২৯.৩৷ বাদী মন্দিরে ট্রাস্টি মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা সচল, যাতে বিবাদী ট্রাস্টির দায়িত্ব পালনে বাধা না দিতে পারে৷

 

২৯.৪৷ বিবাদী একটি ওয়াকফনামাবলে কোন ওয়াকফ সম্পত্তিকে নিজের এখতিয়ারাধীন আনতে চায়৷ এমন ক্ষেত্রে বাদী উক্ত এয়াকফনামা বাতিল ঘোষণা এবং যৌথ দখল প্রতিষ্ঠার আনুষঙ্গিক প্রতিকার চেয়ে মোকদ্দমা রুজু করতে পারে৷

 

 

৩০৷ সরকারি কর্মচারী:

৩০.১৷ আইনগত চরিত্রের কারণে একজন সরকারি কর্মচারী তার পদমর্যাদা বেতনক্রম প্রভৃতি ধারা ৪২ এর আওতায় ঘোষণার ডিক্রী পেতে পারে৷

 

৩০.২৷ আইন বহির্ভূতভাবে চাকুরী হতে বরখাস্তের বিরুদ্ধে আদালতকে ঘোষণার মোকদ্দমা রুজু করা যায়৷

 

৩০.৩৷ লামবারদার হিসেবে কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ দান ঘোষণা আদালত দিতে পারেন না৷

 

 

৩১৷ করপোরেশনের কর্মচারী:

৩১.১৷ করপোরেশন সরকারি সংবিধি অনুযায়ী সৃষ্ট৷ তাই করপোরশনের কর্মীবাহিনীর চাকুরীর বিধি-বিধান সম্বলিত প্রণিধানমালা থাকে৷ সেই প্রণিধানমালা বহির্ভূত কোন কর্মচারীকে বরখাস্ত বা চাকুরীচ্যুত করলে উহার বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালত ঘোষণার ডিক্রী মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

৩১.২৷ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাত্রীদেরকে সীমিত সময়ের জন্য দেয় সুবিধাদি সংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষণার মোকদ্দমা অচল৷

 

৩১.৩৷ মসজিদের ইমামের অফিসে কোন বেতনাদি নেই৷ তাই উহার জন্য দেওয়ানী আদালতে ধারা ৪২ অনুযায়ী কোন ঘোষণার মোকদ্দমা গ্রাহ্য নয়৷

 

৩২৷ সম্পত্তি ক্রোক:

৩২.১৷ একজন পাওনাদার অন্য আর একজন পাওনাদারের বিরুদ্ধে ক্রোক অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণার ডিক্রী পেতে পারে না৷

 

 

 

  ৬০. ১৮০ আইসি ১০৫৩

  ৬১. ৩৪ সি ডবলু এন ১১২৯

  ৬২. পি, এল, ডি, ১৯৭২ পেশ ১৩ (ডিবি)

  ৬৩. ১১ ডি, এল, আর (এস সি) ২৬০ (ডিবি)

  ৬৪. এন, এল, আর ১৯৯৬ (সি আই, ডি) ২২৪

  ৬৫. (১৯৬৪) ১৬ ডি, এল, আর ২৯৮

 ৬৬. (১৯৬৬) ১৭ ডি, এল, আর, (এস সি) ১১

  ৬৭. (১৯৬৫) ১৭ ডি, এল, আর (ডবলু পি) ৬৮

  ৬৮. , আই, আর ১৯৮৮ সিসি ৮৪=পি, এল, জে, ১৯৮৮ করাচী ১৭১

 

 

৩২.২৷ ভাবী স্বত্বাধিকারী তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ক্রোকের বিরুদ্ধে কোন ঘোষণার ডিক্রী পেতে পারে না, যতক্ষণ না তা নিলামে বিক্রি হয়ে যায়৷ কেননা কেবলমাত্র ক্রোকের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যায় না৷

 

৩৩৷ তহবিল (Fund): বাদী একটি প্রাইভেট কোম্পানীর অর্ধেক শেয়ার ক্রয় করেছে৷ ফার্মটি বাদী বিবাদী পরিচালিত কার্য থেকে গৃহীত৷ ফার্মটি বর্তমানে চালু আছে৷ বাদী উক্ত ফার্মের অর্ধেক শেয়ার ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে৷

 

৩৪৷ রাজস্ব কার্যক্রম:

৩৪.১৷ বিশেষ রাজস্ব ডিক্রীর বিরুদ্ধে বাদী এই মর্মে ঘোষণার ডিক্রী পেতে পারে যে, বাদীর সম্পত্তিতে বিবাদীর কোন স্বত্ব নেই৷ তাই সে বাদীর সম্পত্তির উপর কোন অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না৷

 

৩৪.২৷একজন ব্যক্তি সার্টিফিকেট ডেটর নয় অথচ তার সম্পত্তি ক্রোক হতে যাচ্ছে৷ এমতাবস্থায় সে ব্যক্তি উহা বাতিল ঘোষণা এবং আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা করতে পারে৷

 

৩৫৷ গবাদি পশু বিধনে বাধা:

৩৫.১৷ বাদী তার উত্ সর্গকৃত গবাদি পশু নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে জবাই-এর ঘোষণার মোকদ্দমা করতে পারে৷

 

৩৫.২৷ বিবাদী যদি বাদীর পশু জবাই অস্বীকার করতে চায় তাহলে বাদী উহার বিরুদ্ধে প্রতিকারস্বরূপ ঘোষণার ডিক্রী পেতে পারে৷

 

৩৬৷ পর্চা:

৩৬.১৷ পর্চায় ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হলে তা সংশোধন প্রয়োজন মর্মে বাদী ঘোষণার ডিক্রীর মোকদ্দমার অধিকারী৷

 

৩৬.২৷ পর্চায় ভুল তথ্য সন্নিবেশিত হওয়ার তা অকার্যকর মর্মে ঘোষণার ডিক্রীর মোকদ্দমা সচল৷৭৪ পর্চার মালিক প্রজা হিসেবে প্রদর্শিত হলে উক্ত সংশোধন ঘোষণার মামলা সচল৷

 

 

 

  ৬৯. ,আই, আর ১৯৪৩ লাহোর ৩৯ (ডিবি)

  ৭০. , আই, আর ১৯১৮ কলি ৮১৭ (ডিবি)

  ৭১. , আই, আর ১৯৫৩ এলা ৫৪৭=আই, এল,আর (১৯৫৪) এলা ১৪৮ (ডিবি)

  ৭২. পি, এল, ডি, ১৯৬০ ঢাকা ৯৬৮, ১২ ডি, এল, আর ৪৪৮

  ৭৩. , আই, আর ১৯২৯ এলা ৩৩৯

  ৭২. , আই, আর ১৯১৪ কলি ৮৫৪ (ডিবি)

  ৭৩. , আই, আর ১৯৩৭ কলি ৭৪৫;১৯৭৯ এস সি এম আর ৪৯২

  ৭৪. পি, এল, ডি, ১৯৬৮ পেশ ১৪৮

  ৭৫. (১৯৬০) ১২ ডি, এল, আর ১১৯

 

 

 

৩৭৷ রাজস্ব আদালতের সিদ্ধান্ত: রাজস্ব আদালত যদি আইন পরিপন্থী প্রক্রিয়ায় কোন রাজস্ব ডিক্রী দান করেন তবে তা বাতিলের জন্য কোন ঘোষণামূলক মোকদ্দমা গ্রাহ্য নয়৷

 

৩৮৷ সিনেমা ফিল্ম বিতরণ প্রদর্শন:  বাদি একটি সিনেমার ফিল্ম বিতরণ প্রদর্শনের অধিকার ঘোষণার মোকদ্দমা করে৷ এখানে বাদী ডুপলিকেট সরবরাহের বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে প্রার্থনা করতে পারে৷

 

৩৯. বৈধ চরিত্রের অধিকারী কোন ব্যক্তি: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারায় বর্ণিত অভিব্যক্ত ''বৈধ চরিত্র'' টর্ট অথবা চুক্তি হতে উদ্ভুত নন কিন্তু বৈধ স্বীকৃতির ব্যক্তিগত বিশেষ অধিকার নির্দেশ করে৷ বন্টনের জন্য বাদীর প্রার্থনা নাকচকরণ বৈধ স্বীকৃতির সৃষ্টি করেছে যা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরযোগ্য যার একই ধরণের আবেদন গৃহীত হয়৷

 

৪০. ঘোষণার মামলায় দলিল বাতিল আদেশ: বাদীগণ তর্কিত দলিলটি মিথ্যা, প্রতারণামূলক অবৈধ ঘোষণার পর নালিশী জমিতে স্বত্ব ঘোষণা চান৷ অতএব, মোকদ্দমাটি দেওয়ানী কার্যবিধির ৪২ ধারার আওতায় পড়ে এবং উপরিউক্ত ৯১ অনুচ্ছেদ আকৃষ্ট করে না৷ বাদীগণ তর্কিত কবলার পক্ষ ছিলেন না এবং সেই কারণে তর্কিত কবলা বাতিলের আবেদনের প্রয়োজন নেই৷ নিম্ন আদালতগুলি কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত বাতিল প্রয়োজনাতিরিক্ত এবং তা উপেক্ষা করা যেতে পারে৷ বাদীগণ তর্কিত কবলা অবৈধ প্রতারণামূলক চরিত্রের এবং নালিশী জমিতে ঘোষণা প্রাপ্ত হওয়ায় তর্কিত দলিল বাতিলে প্রয়োজন নেই; যেহেতু তারা তর্কিত কবলায় পক্ষ নন৷

 

৪১. বিরুদ্ধ দখল: যখন বাদীগণ রায়তি বন্দোবস্তো দাবি করে দখলে থাকেন তখন তারা বিরুদ্ধ দখল প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না৷ ফলে তারা স্বত্ব ঘোষণা পেতে পারেন না (৫১ ডি এল আর ২৫৭ এডি) যেহেতু নালিশী জমিতে বাদীর দখল নেই, সেহেতু বিরুদ্ধ দখলের ভিত্তিতে স্বত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা রক্ষণীয় নয়৷

 

৪২. যৌথ দখল: মুল সহ-মালিকানার ক্ষেত্রে বাদী-বিবাদী নালিশী সম্পত্তিতে যৌথ দখলে আছেন৷ সুনির্দিষ্ট জমিতে বাদীর অংশ বন্টন না চেয়ে ঘোষণামূলক প্রতিকারের মামলা রক্ষণীয়৷

 

 

   ৭৬. এলা আই জে, ১০৬৪

  ৭৭. (১৯৬২) ১৪ ডি, এল, আর ৩০৭

  ৭২. ৫২ ডি এল আর ২৬৩

  ৭৩. ৫২ ডি এল আর ৪৭ ( ডি)

  ৭৪. ৫১ ডি এল আর ৭৭

  ৭৫ক. ৪৬ ডি এল আর ৪১৯

 

৪৩. প্রতিবাদী দখল:  যেহেতু নালিশী জমিতে বাদীগণ তাদের দখল প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে সেহেতু শুধু স্বত্ব ঘোষনার মামলা বারিত এবং মামলা গঠন প্রকৃতিতে উহা রক্ষণীয় নয়৷৭৬

 

৪৪. পরবর্তী অনুবিধিকে প্রতিকার: আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা ছাড়া সাধারণ ঘোষণার মামলায় প্রদত্ত ডিক্রি একটি বার্ষিক বৃত্তি ছাড়া আর কোন কিছুই নয়৷

 

বিবাদীগণ নালিশী জমিতে দখলে থাকায় বাদীর উচিত ছিল আনুষঙ্গিক প্রতিকার হিসাবে খাস দখলের প্রার্থনা করা৷

 

ডিক্রি বলবৎ করতে হলে আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনার প্রয়োজন৷ তা বাদ পড়লে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারার অনুবিধি দ্বারা বাধাগ্রস্ত হবে৷

 

৪৫. অতিরিক্ত প্রতিকার না: বাদীগণ নালিশী জমি দখল করেন বর্ণনায় পূর্বে মামলা দায়ের করে ডিক্রি প্রাপ্ত হওয়ায় ঘোষণার প্রধান প্রতিকারের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রতিকার চাওয়ার প্রয়োজন নেই৷

 

৪৬. ঘোষণামূলক ডিক্রীর সম্পাদন যোগ্যতা:  কোন কাজের চরিত্র বেআইনী এবং অবৈধ ঘোষণা আপনা আপনিই বেআইনী কাজের পূর্বাবস্থায় পূনবর্হাল অর্থ করবে৷

 

ধারা-৪৩৷ ঘোষণার ফলাফল: এই অধ্যায়ের বিধান অনুসারে প্রদত্ত ঘোষণা শুধুমাত্র মামলার পক্ষসমূহ এবং তাদের মাধ্যমে দাবিরত ব্যক্তিদের উপর এবং যেখানে লক্ষসমূহের কোন একটি হচ্ছে জিম্মাদা, সেখানে তেমন ব্যক্তিদের উপর ঘোষণার দিন পর্যন্ত তারা বেঁচে থাকত, তবে তেমন পক্ষসমূহ যাদের জন্য জিম্মাদার হত অবশ্য পালনীয় হবে

 

উদাহর

 

একজন হিন্দু তার কথিত স্ত্রী এবং তার মাকে প্রতিবাদী করে দায়েরকতৃ মামলায় তার বিবাহ যথারীতি সম্পন্ন হয়েছে এই ঘোষণা প্রদান এবং তার দাম্পত্য অধিকার পূনপ্রতিঃষ্ঠার জন্য আদেশ প্রদানের আবেদন জানাল৷ আদালত সেই মর্মে ঘোষণা আদেশ প্রদান করলেন৷ দাবি করল যে, তার স্ত্রী এবং তারপর -কে প্রত্যর্পণ করার জন্য মামলা দায়ের করল৷ পূর্ববর্তী মামলায় প্রদত্ত ঘোষণা -এর উপর অবশ্য পালনীয় নয়

 

বিশ্লেষ

 

১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়;

২৷ কাদের উপর ঘোষণামূলক ডিক্রী কার্যক

৩৷ অধিকারের প্রকারভেদ

 

 

 

  ৭৬. ৪৬ ডি এল আর ৪৬৬ (ডি বি)

  ৭৭. ৫০ ডি এল আর ৪১১

  ৭৮. ৪৯ ডি এল আর ৪২৮

  ৭৯. ৪৮ ডি এল আর ৩৩০

  ৮০. ৫৩ ডি এল আর ৪৫২

  ৮১. ৩৭ ডি এল আর জেস

 

  

১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়: এস আর এ্যাক্টের ধারা ৪২- ঘোষণামূলক ডিক্রী প্রদানের ব্যবস্থা এবং ধারা ৪৩- ঘোষণামূলক ডিক্রীর ফলাফল সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে৷ ধারা ৪২-এর প্রেক্ষিতে যে ডিক্রী দেয়া হয় তা কার উপর বাধ্যকর মূলত উহাই ধারা ৪৩- বর্ণতি হয়েছে

 

২৷ কাদের উপর ঘোষণামূলক ডিক্রী কার্যকর: ঘোষণামূলক মোকদ্দমার সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের উপর বাধ্যকর-

  . ঘোষণামুলক মোকদ্দমার সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের উপ

  . যেসব ব্যক্তি মামলায় পক্ষগণের মাধ্যমে দাবিদার ব্যক্তিগণ

  . যেক্ষেত্রে পক্ষগণের যে কোন একপক্ষ ট্রাস্টি হিসেবে বিদ্যমান সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঘোষণামুলক ডিক্রী প্রদানের তারিখে উক্ত ট্রাস্টি বেঁচে থাকলে সে যাদের জন্য ট্রাস্টি হতো তাদের উপর

 

৩৷ অধিকারের শ্রেণীবিভাগ:  অধিকার প্রধানত দু'ধরনের- সর্বজনীন ব্যক্তি কেন্দ্রীক৷ রোমান'লতে সর্বজনীন  অধিকারকে Rem এবং ইংরেজী Real right বলে৷ Real right যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা যায় যদি তা লঙ্খিত হয়৷ অন্যদিকে, ব্যক্তিগত অধিকার কেবলমাত্র সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োগযোগ্য

 

ধারা ৪২ দেয় ঘোষণামূলক ডিক্রী সার্বজনীন অধিকার নয় বিধায় তা আগন্তুকের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা বাধ্যকর নয়৷

 

ধারা ৪৩ টি সিপিসির ধারা ১১ হতে ভিন্নতর৷ এক সাথে অত্র ধারা অনুশীলন বিস্তৃত৷ তবে সিপিসির ধারা ১১ এর সাথে অত্র ধারা পড়তে হবে

 

যদি সাক্ষ্য আইনের ধারা ৪০-৪৩ এব সিপিসির ধারা ১১ এবং অত্র আইনের ধারা ৪৩ আওতায় না পড়ে তবে এরূপ কোন মামলা বাধার সৃষ্টি করবে ঘোষণামূলক ডিক্রী জারিত৷

 

বিচারপতি ল্যাথাম মামলার পক্ষকে ছাড়া অন্যান্যদেরকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন:

  . সিপিসি আইনের পূর্বের মামলার পক্ষগণের মাধ্যমে দাবি করে৷ ইংলিশ আইনে একে Privies বলে

  . যেসব ব্যক্তি পূর্ববর্তী মামলার পক্ষগণের মাধ্যমে দাবি করে না কিন্তু যারা মামলার পক্ষগণ কর্তৃক প্রতিনিধিত্ব করেছিল

  . আগন্তুকগণ যারা privies নয় এবং মামলার পক্ষগণ কর্তৃক প্রতিনিধিত্ব করেনি৷

 

 

  . এম আই ৫৪৩

  . ৪৪ মাদ্রাজ ৭৭৮ (এসবি)

  . বোম্বে ৭০৩৷