দশম অধ্যায়

 

 

৩৷ কে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করতে পারে: আবেদনকারীর অনুকূলে কোন দায় থাকলে এবং তা লঙ্ঘন করা হলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়৷

 

৪৷ কার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়: কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় এবং তা যে ব্যক্তির কাজের বিরুদ্ধে দেয়া হয় উক্ত কার্যকে উদ্দেশ্য করে তা দেয়া যাবে৷

 

  . নাগ এল, আর ৬৷

  . ১৮ এন এল জে, ১২৩৷

  . , আই, আর ১৯৩১ বোম্বে ৪৬৬ (ডিবি)

 

স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

. বাদীর অধিকারের বিপরীতে কোন ভূমিকা পালন থেকে বিবাদীকে বিরত রাখার আদেশই স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা৷

. একটি নির্দিষ্ট সময় অবধি বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইহা বলবত্ থাকে৷

. ধারা ৫৪ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত

. সিপিসির আদেশ ৩৯ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত৷

. বিচারকার্য সম্পন্ন করতে ডিক্রী আকারে দেয়া হয়৷

. মামলার যে কোন পক্ষকে উহা মঞ্জুর করা হয়৷

. মামলা দায়েরান্তে বাদী পক্ষই আবেদন করতে পারে৷

. যেকোন পক্ষ আবেদন করতে পারে৷

. বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকে-

. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যকরী থাকে৷

. রায় ডিক্রীর মাধ্যমে প্রদান করা হয়-

. আদেশের মাধ্যমে দেয়া হয়৷

. বিচারকার্য সমাপ্তি শেষে দেয়া হয়৷

. বিচার কার্য সমাপ্তির আগেই দেয়া হয়৷

. বাদীপক্ষের সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবার পর মঞ্জুর করা হয়৷

. সমাপ্তির প্রয়োজনীয় দলিলপত্র দৃষ্টে মঞ্জুর করা হয়৷

. কোর্টফি প্রদানান্তে, নির্ধারিত পরিমাণ, পরিশোধান্তে আবেদন করতে হয়৷

. মোকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে একটি দরখাস্তের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়৷

১০. মামলা রুজুর সাথে সাথে পাওয়া যায় না৷

১০. রুজান্তে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পাওয়া যায়৷

১১. মোকদ্দমায় জয়ী হলেই পাওয়া যায়৷

১১. যে কোন শর্তে পাওয়া যায়৷

১২. নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরকারী আদালত নয় আপীল আদালত উহা বাতিল করতে পারে৷

১২. উহা মঞ্জুরকারী আদালত উপযুক্ত কারণ থাকলে পুর্নর্বিবেচনাও বাতিল করতে পারে৷

  

৯৷ কিভাবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়: স্থায়ী ইনজাংশন পাবার জন্যে বাদীকে পরিষ্কার স্বত্বের মামলা বা মোকদ্দমা রুজু করতে হয়৷ সমন জারির পর পুরাপুরি শুনানি শেষে ডিক্রী আকারে স্থায়ী ইনজাংশন জারি করা হয়৷ স্থায়ী ইনজাংশন জারির পর বিবাদীকে বাদীর অধিকার লঙ্ঘন বা ভীতি প্রদান করা থেকে চিরতরে বিরত রাখা হয়৷ আদালত তার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে বাদী কর্তৃক মোকদ্দমা রুজুর পর উক্ত মোকদ্দমার গুণাগুন তত্ সহ উহা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৫৫ ৫৬ নং ধারা মোতাবেক বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ বারিত হয়েছে কিনা বিবেচনান্তে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

    এইরূপ প্রতিকার অর্থাত্ স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্যান্য সাধারণ আইন দ্বারা প্রতিকারে ব্যর্থ হয়৷

 

    প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে বর্ণিত স্থায়ী ইনজাংশন প্রসঙ্গে ধারা ৫৪ ধারা ৫৬-কে পাশাপাশি রেখে বিবেচনা অপরিহার্য৷ কেননা ৫৪ নং ধারাতে কোন কেন ক্ষেত্রে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না তা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ৫৩ নং ধারারও অনেক সময় সূত্র টানা হয়ে থাকে৷

 

১০৷ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়: ৫৪ নং ধারাটি বিশ্লেষণান্তে স্থায়ী ইনজাংশন প্রদানের জন্যে কি কি অপরিহার্য তা নিম্নে অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করা গেল:

() বাধ্যবাধকতা (Obligation):  আইন দ্বারা কার্যকরীকরণযোগ্য প্রতিটা কর্তব্যই বাধ্যবাধকতা৷ উহা বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে৷ কিন্তু প্রধানত উহা চারটি অবস্থার প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হতে পারে৷ থা: () চুক্তির ফলে সৃষ্টি, () ট্রাস্ট গঠনের পর, () নিমচুক্তি বা টর্ট-এর দরুন, () লিখিত আইন বা সংবিধি কর্তৃক বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির ফলে৷

() বাদী ন্যায্য অধিকার, যার অস্তিত্ব বিদ্যমান হতে হবে৷

() আবেদন-অর্থাত্ বাদীর ন্যায্য অধিকার ভঙ্গ বা ভঙ্গের হুমকির দরুন অপূরণীয় ক্ষতি রোধকল্পে বা তার সুনির্দিষ্ট প্রতিকারকল্পে প্রার্থনা পত্র, কোন মামলা নহে অপরিহার্য৷

() যথাসময়ে-অর্থাৎ বাদীর অধিকার লঙ্ঘনের পর বা লঙ্ঘিত হবার সম্ভাবনার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিতর অবশ্যই আবেদন করতে হবে, নচেৎ অহেতুক কাল বিলম্বের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷

() বাধ্যবাধকতা পালন সম্ভব হতে হবে, অসম্ভব নয়-তা হলেই বাদী তার প্রতিকারের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷

() আচরণ-অর্থাত্ বাদীকে আদালতের মাধ্যমে কোন কিছুর প্রার্থনার দ্বারা স্থায়ী ইনজাংশন বা অন্য কিছু পেতে হলে অবশ্যই কলুষমুক্ত হতে হবে, নচেত্ আদালত কখনও বাদীর প্রতিকারে এগিয়ে আসবেন না৷

() বাদী কোন জমির স্বত্ব দখল প্রমাণে দলিল মৌখিক সাক্ষ্য পেশ করতে সক্ষম হলে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়৷.

১০৷ যে সমস্ত মামলায় স্থায়ী ইনজাংশন প্রদান করা যায়:

 

চুক্তিভঙ্গ:-

() কার্যকর করণীয়যোগ্য নহে এমন চুক্তিভঙ্গের বিরুদ্ধে কোন ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না অর্থাত্ কার্যকর করণীয়যোগ্য চুক্তির ক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে, যদি কিনা উক্ত চুক্তিভঙ্গের দরুন ক্ষতিপূরণ অন্য কোনভাবে পূরণ সম্ভব না হয়৷১০

() খাজনা বা কর আদায়: অধিকার ছাড়া বাদীর প্রজা থেকে অতিরিক্ত কর আদায়ের বিরুদ্ধে আদালত ইনজাংশন দিতে পারেন৷

() ধর্মীয় উপাসনালয় বিক্রয় বা স্থান্তান্তর বা তার কোনরূপ পরিবর্তন থেকে বিরত থাকার জন্য আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

১৩

() ক্ষতির সামনে গর্ত খননের দরুন প্রতিবেশীর কোন জমির সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আদালত ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

১৫

() সহ-অংশীদার কর্তৃক যৌথ সম্পত্তি ভোগের ক্ষেত্রে কোন যৌথ সম্পত্তির একজন সহ-অংশীদার, অপর একজন অংশীদার কর্তৃক উক্ত যৌথ সম্পত্তিতে এককভাবে তার ন্যায্য অধিকারের সীমা পেরিয়ে অধিকার ভোগ করছে বা করতে যাচ্ছে, যার দরুন অন্যান্য অংশীদারদের সমূহ অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যমান বিরুদ্ধ মামলা দায়েরকরত উহা থেকে বিরত রাখার জন্য ইনজাংশন চায়৷ এক্ষেত্রে সে ইনজাংশন পেতে পারে৷

যখন কোন যৌথ সম্পত্তির একজন সহ-মালিক, অন্যান্য সহ-মালিকদের অধিকার পরিপন্থী বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে, তখন ক্ষতিগ্রস্ত বা যে সমস্ত সহ-মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা হবে না ইনজাংশন-এর জন্যে আদালতের নিকট প্রার্থনা করতে পারেন৷আদালত উক্ত মোকদ্দমার গুণাগুণ বিবেচনান্তে, যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহ'লে স্থিতি বজায় রাখার জন্যে ইনজাংশন দিতে পারেন৷

 

১৭

কোন যৌথ সম্পত্তিতে কোন সহ-অংশীদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হয় না, যদি আবেদনকারী কোন অংশের একক দখল দেখাতে পারে৷

 

() একজন সহ-মালিক কর্তৃক মামলা দায়ের স্থাবর সম্পত্তির একজন সত্যিকার সহ-মালিক উক্ত সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ উদ্যত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করতে পারে৷ যদি কিনা অনধিকার প্রবেশ উদ্যত ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির সত্যিকার দখলকারীর সহিত পক্ষভূক্ত না হয়৷

 

১৯

প্রথম দৃষ্টে বিবাদীর কার্যকলাপ বা অন্য কিছুর নিয়ন্ত্রণ দ্বারা বাদী আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বা হতে পারে যা তার জন্যে খুবই ক্ষতিকার প্রমাণ প্রয়োজন৷

ইনজাংশন প্রদানের মাধ্যমে আদালত কোন আলো-বাতাস গমনাগমন প্রতিবন্ধকতা দুর করতে চান, তখন আদালতকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে, অন্য কোন উপায়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়, একমাত্র ইনজাংশন ছাড়া৷ এক্ষেত্রে আদালত বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুরের মাধ্যমে উহার যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন৷

আলো-বাতাসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি অনধিকার প্রবেশ নয় বরং নুইসেন্স বা বিরুক্তি৷

 

(১০) পানিধারা প্রাপ্তি অধিকারে প্রতিবন্ধকতা (Obstruction to water course or Right to flow of water) অপরিহার্য পানিধারাতে যে কোন রকমের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায়৷ যেক্ষেত্রে পানি প্রবাহ অবৈধভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দ্বারা উহা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং স্থায়ী ইনজাংশন দ্বারা উহার ভবিষ্যত্ পুনরুক্তি বন্ধ করা যেতে পারে৷

বাদী একাধিকক্রমে ৪০ বত্সর বৃষ্টির পানি প্রবাহ কাজে লাগিয়ে আসছে৷ এক্ষেত্রে বিবাদী তার অধিকারে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তাহলে স্থায়ী ইনজাংশন প্রদানান্তে উহা রোধ করা যায়৷

 

২১

  ১৮. ৩৫ আই, সি৷

  ১৯. ৩৩ মাদ্রাজ ৩২৭৷

  ২০. ৫৫ আই, সি, ৪০৷

  ২১. ৩৫ আই, সি, ৪০৷

 

 

২২

(১৪) দরজার জানালা খোলার দরূণ গোপনীয়তা ভঙ্গ (Invasion of Privacy by opening doors and window): বিবাদী তার ঘরের দেয়ালের জানালা দরজা খোলার দরুন বাদীর কোন গোপনীয়তা বা তেমন কিছু রোধকল্পে বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারে না৷

 

২৪

(১৫) জমিদার এবং প্রজা-প্রজাস্বত্বের শর্ত পরিবর্তন (Land lord & tenant-Alteration of condition of tenancy): জমিদার কর্তৃক প্রজাকে প্রদত্ত স্থায়ী ইজারা জমিতে প্রজা এমন কোন খনন কার্য করতে পারে না, যা উক্ত জমির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে জমিদার তার প্রজার বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷

 

 প্রজার যেখানে কোন স্থায়ী স্বত্ব নেই সেক্ষেত্রে প্রজা কোন রকম দালান তোলার পরিকল্পনা করতে পারে না৷

 

জমিদার তার প্রজাকে এক খণ্ড জমিতে ধান রোপণের উদ্দেশ্যে বর্গা দিল; কিন্তু প্রজা যদি সেস্থলে ধান না রোপণ করে আম গাছ লাগায় তা'হলে জমিদার তার প্রজার বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷

 

(১৬) গোপনীযতা ভঙ্গ রোধকল্পে: ব্যক্তিগত কোন গোপন চিঠি উহার লেখক বা প্রেরক কর্তৃক অনুমতি ভিন্ন প্রকাশ আইন বিরুদ্ধ, যার বিরুদ্ধে ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে৷

 

(১৭) বিবাহ নিরোধের জন্যে ইনজাংশন (Injunction to restrain marriage) পিতার অনুমতি ছাড়া মাতা যদি তার কন্যাকে বাদীর সহিত বিবাহ দেন৷ সেক্ষেত্রে বাদী তার পিতামাতাকে তাদের কন্যা অন্যত্র বিবাহ প্রদান থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন পেতে পারেন৷২৬

 

(১৮) ক্যাষ্ট এণ্ড রিলিজিয়ান (Caste & Religion) ধর্মীয় উপাসনার জন্যে কোথাও কোন দেবতা বা মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং কেহ যদি উক্ত মূর্তিকে বা দেবতাকে উপাসনা করা থেকে বিরত রাখার জন্যে চেষ্টা করে, তবে তার বিরুদ্ধে ইনজাংশন দেয়া যেতে পারে৷২৭

 

বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে নূতন তৈরি মসজিদে শুক্রবার খোতবা পড়া থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন প্রার্থনা করে আদালতে এক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করবে না৷২৮

 

  (১৯) পৌরসভার আইন পরিপন্থী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইনজাংশন প্রদান করা যায়৷ যেমন-

  () অন্যায়ভাবে পানি সরবরাহ বন্ধ করলে ইনজাংশন প্রদান করা যায়৷২৯

  () অন্যায়ভাবে কর ধার্যের বিরুদ্ধে ইনজাংশন প্রদান করা যায়, যা কিনা পৌরকর ধার্যনীতির পরিপন্থী অথবা কর প্রদানকারীর সমর্থন বহির্ভূত৷ তাই বলে বকেয়া কর আদায় থেকে বিরত রাখার জন্যে কোন ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না৷

 

 

  ২৬. সি ডবলু এন, ৫২১৷

  ২৭. , বোম্বে ৩২৩৷

  ২৮. ১৮ কলিকাতা ৪৪৮৷

  ২৯. ১৯৪৪ , এল ডবলু, ৪৬৯৷

 

 

() পৌরসভার তহবিল অন্যায়ভাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে যে কোন করদানকারী ইনজাংশন প্রার্থনা করতে পারেন৷

 

(২০) প্রথাভিত্তিক পশুচরানো (Customary right to graze) বিশেষ কোন জঙ্গলে পশু চরানোর অধিকার সংরক্ষণের জন্য ঘোষণামূলক মামলা দায়ের তত্ সহ অধিকার থেকে বিরত না রাখার জন্যে ইনজাংশন মামলা করা যায়৷ এইরূপ অধিকার ভোগের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই৷৩০

 

(২১) ডিক্রী জারিকরণ (Execution of decree) ঘোষণামূলক মামলার বাদীর বিরুদ্ধে তঞ্চকতাপূর্ণভাবে ডিক্রীপ্রাপ্ত হলে, উহার যথাযথ প্রতিকারস্বরুপ হয় উক্ত ডিক্রী রদ অথবা উক্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর দ্বারা উক্ত ডিক্রী কার্যকর করা থেকে বিরত রাখতে পারেন৷৩১

 

কর্নধর বনাম হরিপ্রসাদ মামলায় দেখা যায় যে, ডিক্রী হোলডার কর্তৃক উক্ত ডিক্রী কার্যকর করা থেকে বিরত থাকার জন্যে ইনজাংশন প্রদান করা হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না উক্ত ডিক্রী হোলডার প্রাপ্ত ডিক্রী কার্যকর করার পদক্ষেপ নিচ্ছে বা নেবার হুমকি দিচ্ছে-প্রমাণিত হয়৷

 

(২২) অনধিকার প্রবেশ (Trespass) অনধিকার প্রবেশ হল কোন ব্যক্তির আইনসঙ্গত ভূমির উপর অবৈধভাবে প্রবেশ করা৷ একমাত্র আইনসঙ্গত মালিকানাস্বত্ব উহার প্রতিরোধস্বরূপ মামলা দায়েরের অধিকারী৷ অনধিকার প্রবেশ মামলায় ইনজাংশন পেতে হলে বাদীকে অবশ্যই গুরুতর ক্ষতি অথবা প্রতিনিয়ত অনধিকার প্রবেশের প্রকৃত প্রমাণ করতে হয়, নতুবা শুধুমাত্র ক্ষতির জন্য কখনও ইনজাংশন মঞ্জুর করা হয় না৷ অনধিকার প্রবেশ নানা ধরনের হতে পারে৷ যেমন- বাদীর জমিতে দালান তোলা বা ভঙ্গ দেওয়াল দেওয়া বা ভাঙা ঘরে প্রবেশ, বাদীর বাড়িতে দূর্গন্ধময় বস্তু বা ভারী কোন বস্তু নিক্ষেপ প্রভৃতি৷

 

কোন সম্পত্তির কেবলমাত্র আইনগত দখলকারীর অনধিকার প্রবেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু তথা ইনজাংশন পাওয়ার অধিকারী কেননা দখলই তার স্বত্বের প্রমাণ৷৩২

 

দখলচ্যুত ব্যক্তি কখনও দখল লাভের জন্য ইনজাংশন পেতে পারে না৷ কিন্তু দখলাধীন থাকার দরুন গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হলে বা সম্ভব না থাকলে সেক্ষেত্রে আদালত ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

বৈধ কর্তৃত্ব ছাড়া অনধিকার প্রবেশ আইন লঙ্ঘন এবং তার জন্যে অনধিকার প্রবেশকারীর ক্ষতিপূরণে বাধ্য৷

 

 

 

  ৩০. ২০ আই, সি, ৪৬৭৷

  ৩১. সি এল, জে, ৪৮৫৷

  ৩২. এল আর, ২০ আই, , ৯৯৷

 

 

 

 

 

অনধিকার প্রবেশের দরুন সৃষ্ট ক্ষতির অন্যভাবে প্রতিকার সম্ভব হলে আদালত সেক্ষেত্রে ইনজাংশন দিবেন না৷

 

(২৩) রেজিস্ট্রেশন (Registration) দাতা দান সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের পূর্বেই তা প্রত্যাহার করতে পারে৷ কিন্তু দান গ্রহীতা যদি উক্ত দলিল ফেরতদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে সেক্ষেত্রে দাতা উক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন পেতে পারে৷৩৩

 

(২৪) প্রতিনিধিত্বমূলক মামলা (Representative suit) দেওয়ানী কার্যবিধির ১ম আদেশের ৮নং বিধি মোতাবেক কোন গ্রামের বহু সংখ্যক প্রজার এরূপ কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এক না একাধিক ব্যক্তি মামলা দায়ের এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে ইনজাংশনও পেতে পারে৷৩৪

 

(২৫) কপিরাইট গ্রন্থস্বত্ব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যেতে পারে৷ কপিরাইট মূলত জ্ঞান-বিজ্ঞানের সম্প্রসারণ উহার সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ বিনিময়ের উদ্দেশ্যে লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, রেকর্ড প্রণেতা, সঙ্গীত ইত্যাদি রচয়িতাদের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে প্রণীত কপিরাইট আইনের মূল উদ্দেশ্য হল বেআইনীভাবে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ইহার আইনগত মালিক বা রচয়িতাদের স্বার্থরক্ষা করা৷ বিনা অনুমতিতে বা আইনের মাধ্যম ব্যতীত লঙ্ঘনকে Infringment বা বেআইনী লঙ্ঘন বলে৷ কপিরাইট আইনের ধারা অনুয়ায়ী একজন কপিরাইট-এর মালিক লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা রুজু করতে পারে৷ যেক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করেন যে, উহার প্রতিকার অন্যভাবে প্রদান সম্ভব না সেক্ষেত্রে ইনজাংশন দিতে পারেন৷৩৫

 

(২৬) ট্রেডমার্ক বা ট্রেড নাম (Trade mark/Trade name) ট্রেডমার্ক হল কোন ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহৃত বিশেষ চিহ্ন৷ আর উহা ভঙ্গের দরুন পরিহাস মামলা পরিচালনাযোগ্য৷ লেভেল, শব্দ, অক্ষর, ভাষা, সংখ্যা প্রভৃতি ট্রেডমার্ক চিহ্ন হতে পারে৷

 

ট্রেডমার্ক দৃশ্যমান নকশা যুক্ত বা অনুরূপ কিছু হতে পারে৷

 

ট্রেডমার্ক চিহ্ন কোন সম্পত্তি নয় বরং উহা কোন দ্রব্যের প্রতীক মাত্র৷ সংখ্যা ট্রেডমার্কস্বরূপ গ্রহণযোগ্য৷

 

ট্রেডমার্ক অধিকার হস্তক্ষেপে প্রতিকারস্বরূপ প্রস্তুতকারক বা উক্ত দ্রব্য ব্যবসায়ী মামলা পরিচালনা করতে পারে এবং আদালত নির্দিষ্ট ট্রেডমার্ক ব্যবহার থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন দিতে পারে না৷৩৬

 

 

 

  ৩৩. ৪৮ বোম্বো ৪৩৫৷

  ৩৪. ৪০ সি, এল, জে, ৫১৫৷

  ৩৫. ১৩ বোম্বে ৩৫৮৷

  ৩৬. ৩৭ কলি ২০৪৷

 

 

৩৷ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা (Mandatory Injuction: to grant or not to grant is the discretion of the court): ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিলেতে রুজুকৃত প্রতিটি মামলায়, - যেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রয়োজন, - তা প্রদান বা মঞ্জুর করা বা না করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতাভূক্ত৷ যদিও কোন মামলাতে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান করা বা না করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা, তবুও ন্যায়-বিচারের স্বার্থে মামলার গুণাগুণ বিবেচনান্তে আদালতকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে-

 

    বাদীর জমির উপর বিবাদী জোরপূর্বক দালান তুলছে কিন্তু বাদী প্রয়োজনীয় অর্থ আদালতের ছুটিজনিত কারণে উহা প্রতিরোধের জন্যে মামলা দায়ের করতে কিছু বিলম্ব করল৷ এক্ষেত্রে আদালত তার ইচ্ছামত ক্ষমতাবলে মামলার গুণাগুণ বিবেচনান্তে উহা গ্রহণ করবেন এবং বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান করবেন৷

 

    বাধ্যতামূলক ইনজাংশনের প্রদানের পূর্বে আদালত অবশ্যই বিবাদী কর্তৃক বাদীর প্রতি কৃত অন্যায় বা বেআইনী আচরণের স্থায়ী বাস্তব তথা পর্যাপ্ত কারণ আছে কিনা তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন৷

 

    বাদীর অধিকার ভঙ্গই যে প্রকৃত কারণ তা নয়, বরং অনিবার্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রমাণ অবশ্যই প্রয়োজন, যার উপর নির্ভর করে ইনজাংশন প্রদান অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ তাছাড়া কখনও বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান করা যায় না৷

 

    বহুসংখ্যক সহ-অংশীদারদের একজন একটি সাধারণ জমিতে কাচা ঘর তুলছিলে৷ উক্ত ঘটনার / দিন পর অপর একজন সহ-অংশীদার উক্ত ঘর তোলা থেকে বিরত রাখা এবং সাধারণ অংশীদার হিসেবে এককভাবে সাধারণ সম্পত্তি ভোগের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে৷ উক্ত মামলায় ফুল বেঞ্চ বিবাদীকে তোলা ঘরখানি অপসরণের জন্যে বাধ্যতামূল ইনজাংশন এবং ভবিষ্যতে এরূপ সাধারণ সম্পত্তিতে একক মালিকানা দৃশ্য কোন কর্ম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন৷

 

    নিষেধাজ্ঞা হলো ন্যায়পর প্রতিকারের একটা ধরণ মাত্র৷ যে কারণে প্রতিটি নির্দিষ্ট কেসের ঘটনার প্রেক্ষিতে ন্যায়পরতা ন্যায় বিচারের সহায় তার জন্য উহা ব্যবহার করতে হবে৷

 

৪৷ কোন কোন ক্ষেত্রে আদালত ইনজাংশন প্রদান থেকে বিরত থাকেন: আদালত সকল ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান করে না; যেক্ষেত্রেঃ-

() বাদীর ক্ষতির পরিমাণ নগণ্য;

() ক্ষতির পরিমাণ স্বল্প অর্থের দ্বারা পুরণ সম্ভব;

 

 . ২১ আই, সি, ২৪৯৷

  . ৪২ কলি, ৪৩৬৷

  . ৫৩ ডি এল আর ৫১৬৷

 

 

    একজন প্রজা তাঁর ভূ-স্বামীকে জ্ঞাতকরত একখণ্ড জমিতে কিছু আম গাছ লাগায়৷ বত্সর পর ভূ-স্বামী উক্ত গাছ অপসারণের জন্য মামলা রুজু করে৷ যেহেতু প্রজা তার শ্রম মূলধন উক্ত আম গাছ লাগানোর কাজে ব্যয় করেছে এবং যার পিছনে তার ভূ-স্বামীর সম্মতি ছিল, সেহেতু আদালত উক্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন৷

 

৫৷ দালান নির্মাণ প্রতিরোধ মামলা (Suit to prevent erection of building): বাদী বিবাদী কর্তৃক বিশেষ একটি দরজা নির্মাণ প্রতিরোধ করার জন্য মামলা রুজু করল৷ আরজীতে উল্লেখ ছিল, আদালতের ন্যায়-বিচারে বাদী তার যে কোন প্রতিকার পেতে পারে, তাহা দিতে আজ্ঞা হয়৷ বিবাদী উক্ত কেস ফাইলের পর কিন্তু শুনানির পূর্বে উক্ত দরজাটি নির্মাণ করেছিল৷ উক্ত মামলার শুনানান্তে আদালত বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুরপূর্বক বিবাদীকে নির্মিত দরজাটি ভেঙ্গে ফেলার আদেশ দিতে পারেন, যদিও আদালতে প্রতিরোধমূলক প্রতিকার চাওয়া হয়েছিল৷১৬

 

    আলো-বাতাস গমনাগমন পথে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ কোন নতুন দেওয়াল নির্মিত হলে আদালত তাও অপসারণের নির্দেশ দিতে পারেন৷ কিন্তু উক্ত দেওয়াল নির্মাণের পিছনে বাদীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতি থাকলে হবে না৷ এছাড়া বাদীর ক্ষতিপুরণ অন্যভাবে হলে সেক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান সম্ভব না৷

 

    বাদীর ইচ্ছা বা সম্মতির বিরুদ্ধে বিবাদী জোরপূর্বক দালান তুললে আদালত তা ভেংগে ফেলার জন্যে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দিতে পারেন৷১৬

 

৬৷ কূপ খনন (Digging Well): ভূ-স্বামীর সম্পত্তি ছাড়া কোন প্রজা যদি কোন কূপ খনন করে, সেক্ষেত্রে উক্ত ভূ-স্বামী তার প্রজার বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন পেতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ভূ-স্বামী প্রমাণ করতে পারছেন যে, উক্ত কূপের দরুন তার অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে যা প্রতিকার একমাত্র ইনজাংশন ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সম্ভব নয়, যদিও প্রথমদৃষ্টে উক্ত কূপ খনন কল্যানকর বলে মনে হয়েছিল৷১৭

 

  ১৫. ২৬ বোম্বে ১৩৬৷

  ১৬. ২৮ বোম্বে ২৯৮৷

  ১৭. ১৩ আই, সি, ৫৫৪, ৬০ সি, ১৭০৷

 

 

    আইনে এমন কোন প্রথা নেই যে, একজন সহ-অংশীদার কর্তৃক অন্য যেকোন অংশীদার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা তার অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে৷ এরূপ সমস্যার ক্ষেত্রে আদালত সর্বদা তার প্রতিকার তত্ পর৷ যেমন-

 

  () দুইজন সহ-অংশীদার ৫০ গজ প্রস্থবিশিষ্ট একখণ্ড জমির মালিক৷ একজন অংশীদার জোরপূর্বক উক্ত জমিতে দুটি খুঁটি পুঁতল, যার দরুন অপর অংশীদারের ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হল৷ এক্ষেত্রে আদালত উহা অপসারণের জন্যে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন দিতে পারেন৷

 

  () রহিম করিম একটি ক্ষেতের যৌথ মালিক৷ রহিমের সম্মতি ছাড়া করিম উক্ত ক্ষেতের ভিতর সেচকার্যের সুযোগ পাওয়ার জন্য একটি কূপ খনন করল৷ এমতাবস্থায় রহিম উক্ত কূপ পূরণপূর্বক পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্যে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হল৷ কিন্তু আদালত উক্ত ইনজাংশন প্রদানে বিরত থাকেন৷ কেননা উক্ত কূপ দ্বারা উভয়ই উপকৃত হয়েছে৷

 

৯৷ অস্থায়ী বাধ্যতামূলক ইনজাংশন (Temporary Mandatory Injunction): দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ নং আদেশের ২নং রুল অনুসারে আদালত অস্থায়ী বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদান করতে পারেন৷১৫

 

অন্তর্বতীকালীন আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কদাচিত্ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন প্রদানের ইচ্ছামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করেন৷ কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বাদী কর্তৃক অন্তবর্তীকালীন আবেদনের প্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন চাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আদালত ডিক্রীর ন্যায় আদেশ প্রদান করতে পারেন৷ এরূপ আদেশ বাদীর অধিকার পুনরুদ্ধার পর্যন্তই তার বেশি নয়; কেননা এরূপ আদেশ দ্বারা কোন নতুন অধিকার সৃষ্টি করে না৷১৬

 

১০৷ র্থাৎ বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুর করা বা না করার বিরুদ্ধে আপীল: ইনজাংশন মঞ্জুর করা বা না করা আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা৷ আদালতের নিকট যখনই ইনজাংশন মঞ্জুরের জন্য আবেদন আসে, তখন আদালত আবদনের গুণাগুণ যথার্থতা নিরুপনান্তে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে বা না করতে পারেন৷

 

    আবেদনকারীর প্রার্থনার প্রেক্ষিতে বিবাদীর বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক ইনজাংশন মঞ্জুর করা হলে বিরুদ্ধ পক্ষ তার বিরুদ্ধে আপীল আদালতে আপীল করতে পারে৷ পক্ষান্তরে ইনজাংশন মঞ্জুর না করা হলে সেক্ষেত্রে আবদেনকারী উহা না মঞ্জুর করার বিরুদ্ধেও আপীল আদালতে আপীল করতে পারে৷ নিম্ন আদালত আবেদনটি মঞ্জুরপূর্বক বাধ্যতামুলক ইনজাংশন কর্তৃক উক্ত বাধ্যতামুলক ইনজাংশন মঞ্জুর বা না মঞ্জুরের পিছনে পর্যাপ্ত কারণ বিদ্যমান, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত নিম্নাদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবেন না৷

 

 

 

  ১৫. মাদ্রাজ ২০৮৷

  ১৬. ৬৭ আই, সি, ৭৪২ লাহোর৷

 

 

  () যখন আবেদনকারী বা তার প্রতিনিধির আচরণ এমন হয় যে, তা তাকে আদালতের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করে;

 

  () যেখানে মামলার বিষয়বস্তু আবেদনকারীর কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই৷

 

    উপরে উল্লেখিত ১১ টি অবস্থাতে আদালত কোনক্রমেই ইনজাংশন মঞ্জুর করেন না৷ তবে কোন কোন  ক্ষেত্রে অবস্থার প্রেক্ষিতে বিপরীতও হতে পারে৷

 

উদাহরণ

 

১৷ '' তার ব্যবসায়ে অংশীদার ''-কে অংশীদারিত্ব দেনা লাভ গ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন প্রার্থনা করল৷ কিন্তু দেখা গেল যে, '' অনুচিত্ ভাবে প্রতিষ্ঠানের বহিসমূহ দখল করে রেখেছে এবং ''-কে তা দেখতে দিতে অস্বীকার করছে৷ অবস্থায় আদালত কখনও ইনজাংশন মঞ্জুর করবেন না৷

 

২৷ '' ক্রুসিবল তৈরি বিক্রি করে৷ সেগুলো সে পেটেন্ট প্লাম্বাগো ক্রসিবল নামে বাজারে চালু করল, যদিও সেগুলো কার্যত কখনও পেটেন্ট করা হয় নি৷ '' নাম অপহরণ করল৷ '' এই অপহরণ রোধকল্পে কোন ইনজাংশন পেতে পারে না৷

 

৩৷ '' মেক্সিকান বাম নামে একটি জিনিস বেচত এবং বলব যে এটা দুষ্প্রাপ্য নির্যাস মিশ্রিত করে প্রস্তুত এবং তার সার্বভৌম ঔষধ মান রয়েছে৷ '' একই ধানের মাল বিক্রি করা শুরু করল এবং তার এমন নাম বিবরণ প্রদান করল যে, জনগণ এই বিশ্বাসেই তা কিনতে লাগল যে, তারা ''- মেক্সিকান বাম কিনছে৷ সেই মাল বিক্রি থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে ইনজাংশনের জন্যে '' ''-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল, '' দেখালো যে, ''-এর মেক্সিকান বাম সুগন্ধি মিশ্রিত শুকরের গলিত চর্বি ছাড়া কিছুই না৷ '' যে বিবরণ প্রদান করেছিল তা অসতথা সত্য নয় বিধায় সে ইনজাংশন পেতে পারে না৷

 

বিশ্লেষণ

 

১৷ সাধারণ আলোচনা

২৷ অনুচ্ছেদ ভিত্তিক আলোচনা৷

 

১৷ সাধারণ আলোচনা:  ধারা ৫৬ ধারা ৫৪ পরস্পর বিরোধী৷ ৫৪ ধারাতে কোথায় স্থায়ী ইনজাংশন দেয়া যায় পক্ষান্তরে ধারা ৫৬-তে কোথায় কোথায় স্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায় না তারই বর্ণনা বিধৃত হয়েছে৷ সুতরাং ধারা ৫৪-এর পাশেই ৫৬ ধারার অবস্থান৷ অপরদিকে, ধারা ৫৬-এর পাশেই ৫৪-এর অবস্থান সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের জন্য অপরিহার্য৷ অস্থায়ী ইনজাংশন-এর বেলায় ধারা প্রযোজ্য নয়৷.

 

 

.. ২৩ কলি ৩৫১৷

 

 

    কোন ডিক্রী তঞ্চকতা বা বেআইনীভাবে প্রদত্ত হলে তা কার্যকরী করার বিরুদ্ধে ইনজাংশন মামলা দায়ের করা যায়৷

 

    একটি আদালতের সিদ্ধান্ত আপীল আদালতের সিদ্ধান্তের বিপরীতে হবে ভেবে ডিক্রী ধারাকে ডিক্রী কার্যকর করা থেকে বিরত রাখতে পারে না৷

 

() যে আদালতে ইনজাংশন চাওয়া হচ্ছে, সে আদালতের অধীনস্থ নয়, এমন আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখার ন্যে: একটি আদালত তার ইনজাংশন মঞ্জুর ক্ষমতা প্রয়োগ দ্বারা অন্য আদালতের কোন কার্যধারা স্থগিত রাখবেন না৷ এক্ষেত্রে উচ্চাদালতের কথা ভিন্নরূপ৷ সুষ্ঠু বিচারের উদ্দেশ্যে উচ্চাদালত তার নিম্নস্থ আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখতে পারেন৷ তবে বৈদেশিক আদালতের ক্ষেত্রে এরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ সম্ভব না৷

 

    আদালত কর্তৃক ইনজাংশন মঞ্জুরের ভিত প্রধানত অপূরণীয় ক্ষতি, অপর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিসাধন মামলার পূনঃপৌনিকতা প্রতিরোধের উপর নির্ভরশীল৷ আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে সকল অনধিকার প্রবেশের ক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন, তবে এরূপ ইচ্ছামূলক ক্ষমতা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে বর্ণিত নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷ এই অনুচ্ছেদ মোতাবেক অধীনস্থ নয় এমন আদালতের কার্যধারা রোধকল্পে বা রোধ হতে পারে, এমন কোন ক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুরের পিছনে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই৷

 

    কোন এক মামলায় জেলা আদালত কর্তৃক স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি আদেশ কার্যকর করার অপেক্ষায়৷ এমতাবস্থায়, যদি তৃতীয় পক্ষ উক্ত সম্পত্তি বিক্রির বিরুদ্ধে উক্ত আদালতে আপত্তি তোলে এবং তা যদি প্রত্যাখ্যাত হয়, তখন ব্যক্তি সাবজজ কোর্টে স্বত্ব ঘোষণা মামলা দায়েরকরত উক্ত সম্পত্তি বিক্রির বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷ সাবজজ কোর্ট এক্ষেত্রে অস্থায়ী ইনজাংশন মঞ্জুরপূর্বক উক্ত বিক্রি আদেশ স্থগিত রাখতে পারেন৷

 

    অতঃপর জেলা আদালত উক্ত সম্পত্তি বিক্রি আপাতত উক্ত মামলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্থগিত রাখবেন৷

 

    প্রতিবন্ধকতা কর্তৃক রুজুকৃত মোকদ্দমায় বেনামী সম্পত্তিতে তার অধিকার তা প্রয়োগ তত্ সহ বন্ধকদাতা কর্তৃক বেনামদারকে অর্থ প্রদান এবং বেনামদারকে উক্ত অর্থ গ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন আবেদন করে৷ উক্ত আদালত রায়ে বেনামদারকে ডিক্রী প্রদান করেন৷ কেননা ৫৬ () ধারা মোতাবেক প্রকৃত বন্ধক গ্রহীতা উহার অধিকারী নয় বরং সে ঘোষণা পাবার অধিকারী মাত্র৷

  

  . কলি ৮৫৷

  . ১১ কলি ১৪৬৷

  . ১২ মাদ্রাজ ৩৫৩৷

 

ব্রিটিশ আদালত কখন বৈদেশিক আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্যে স্থায়ী ইনজাংশন প্রদান করতে পারেন না৷

 

* ক্ষতিপূরণ স্বরূপ যথাযথ ক্ষেত্রে, সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারে৷৬১

* আদালত সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্তৃপক্ষকে কোন কবলা মঞ্জুরের আদেশ দিতে পারে না৷.

 

() কোন ফৌজদারী বিষয়ে কার্যধারা স্থগিত রাখার ন্যে: দেওয়ানী আদালত তার স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতাবলে ইনজাংশন মঞ্জুরের দ্বারা কোন ফৌজদারী আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখতে পারেন না৷ তবে যখনই একই বিরোধাত্মক বিষয়ে একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একদিকে দেওয়ানী অপরদিকে ফৌজদারী আদালতের মামলা চলে, তখন সত্যিই একটি জটিল অবস্থার সৃষ্টি করে৷ সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট এইমর্মে দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতে একই বিষয়-বস্তু সংক্রান্ত মামলায় ফৌজদারী আদালতকে তার কার্যধারা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারেন, যতদিন পর্যন্ত না উক্ত মামলার question of issue দেওয়ানী আদালতে নিষ্পত্তি না হয়৷

 

    তবে ইনজাংশন দ্বারা কখনও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলা-ভরণ-পোষণ মামলার কার্যধারা স্থগিত রাখা যায় না৷ কিন্তু বাদীর রক্ষণাবেক্ষণ বিরুদ্ধে কোন বিবাদীর কোন দাবী অথবা তার সম্পত্তিতে কোন অংশ নেই মামলা পরিচালনাযোগ্য৷

 

উদাহরণ

 

    '' তার হ্যাণ্ড নোট বাবদ পাওনা টাকা আদায়ের জন্যে '' এর বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা রুজু করল৷ পক্ষান্তরে, '' ''-এর বিরুদ্ধে ফৌজদারী আদালতে এই মর্মে পাল্টা মামলা দায়ের করল যে, ''-কে তার সমুদয় টাকা পরিশোধ করার পরেও সে তার হ্যাণ্ড নোটটি দিচ্ছে না৷ এক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত ফৌজদারী আদালতের কার্যধারা স্থগিত রাখা হয়৷

 

    একই বিষয়-বস্তু নিয়ে যখন দেওয়ানী ফৌজদারী আদালতে মামলা চলে সেক্ষেত্রে ফৌজদারী মামলায় কার্যধারা স্থগিত থাকে৷ হাইকোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৬১ক ধারা বলে এরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন৷

 

    তবে কোথাও যদি এমন অবস্থার অবতারণা ঘটে যে, ফৌজদারী আদালতের কার্যধারা স্থগিত রেখে দেওয়ানী কার্যধারা চালিয়ে গেলে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে দেওয়ানী মামলার কার্যধারা স্থগিত রেখে ফৌজদারী মামলা চালিয়ে যাওয়া যায়৷১০

 

 

  ৬১. এম এল আর (এডি) ২৫২৷

  .. এল এল আর (এডি) ২৪৬৷

  . ২৩ কলি ৬১০; ৩১ মাদ্রাজ ৫১০৷

  . ৩০ মাদ্রাজ ৪০০৷

  . , আই, আর, ১৯২৫, পি ১৯৩৷

  ১০. ৩২ সি, ডবলু এন, ৫৭৬; , আই, আর ১৯২৮ সি, ৪৬৪৷

 

ব্যক্তিগত উত্পাত কাকে বলে?

 

    ব্যক্তিগত উত্পাত হল কোন কর্তত্বহীন ব্যক্তি কর্তৃক কোন ব্যক্তির সম্পত্তি ভোগ-দখলে বা অন্য কোন অধিকারে অবৈধ হস্তক্ষেপ করা, যার ফলে ক্ষতি সাধিত হয় বা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে৷

 

    ব্যক্তিগত উত্পাত আবার দু'প্রকার৷ যেমন-() সম্পত্তি বা পদাধিকার উপভোগের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বিরক্তি () অন্যের সম্পত্তিতে ক্ষতিকর দ্রব্য স্থাপন বা পরিবেশ সৃষ্টি যার দরুন শারীরিক মানসিক প্রশান্তি অবদমিত হয়৷ (যেমন ধূঁয়া, দূর্গন্ধ, গোলমাল, বিদ্যুৎ, পানি আবর্জনা প্রভৃতি অন্যের জমিতে স্থাপন বা নিক্ষেপ)

 

    উত্পাত প্রসঙ্গে Mr. Kerr বলেন: ''The court will not in general interfere until an actual nuisance has been committed, but it may by virtue of its jurisdiction, to restrain acts which when completed, will result in a ground of action, interfere before any actual nuisance has been committed, when it is satisfied that the act commplained of will inevitably result is a nuisance.''

 

প্রকৃত উত্ পাত ছাড়া আদালত কখনই ইনজাংশন মঞ্জুর করবেন না৷১২

 

    বাদী তুলা মিলের ধূঁয়া, শোরগোল প্রভৃতির দরুন সৃষ্ট বিরক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মোকদ্দমা রুজুপূর্বক ইনজাংশন চাহিল৷ আদালত অবস্থার গুণাগুণ তথ্য পর্যাপ্ত সাক্ষী-প্রমাণ গ্রহণপূর্বক উক্ত বিরক্তির বিরুদ্ধে ইনজাংশন তত্ সহ মামলার পূনপৌনিকতা রোধের আদেশ দেন৷১৩

 

    বাদী, বিবাদী মাদ্রাজ মিউনিসিপ্যাল  কমিশনারের বরুদ্ধে একখণ্ড জমিতে, যার সন্নিকটে বাদীর আবাসস্থল, গোরস্থান শ্মশান হিসাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন প্রার্থনার পর মোকদ্দমা রুজু করে৷ বাদী প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যে, উক্ত জমিতে গোরস্থান শ্মশান প্রতিষ্ঠিত হলে তার আবাসস্থল অস্বাস্থ্যকর হয়ে যাবে এবং তার জমির মূল্যও হ্রাস পাবে৷ কিন্তু কার্যকরমূলক বা প্রকৃত বিরক্তি প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ইনজাংশন মঞ্জুর করেননি৷১৪

 

() এমন একটি ক্রমাগত লঙ্ঘন নিরোধ করার জন্যে, যাতে বাদী মৌন বা প্রকাশ্য সম্মতি দিয়েছে: যে সমস্ত ক্রমাগত লঙ্ঘনের পিছনে বাদীর মৌন বা প্রকাশ্য সম্মতি বিদ্যমান, সেক্ষেত্রে আদালত কখনই ইনজাংশন মঞ্জুর করবেন না৷

 

 

  ১২. ৩৯ কলি ৫৯৷

  ১৩. বোম্বে ৩৫৷

  ১৪. ২৫ মাদ্রাজ ৩১৮৷

 

 

    একজন প্রজা তাঁর কৃষি জমির মালিককে শুধুমাত্র জ্ঞাত বা সংবাদ প্রদানের পর উক্ত জমিতে আম গাছ লাগায়, যার ফলে উক্ত জমির প্রকৃতিই পরিবর্তীত হয়ে যায়৷ অবস্থায় সংবাদ পাবার তিন বত্সর পর উক্ত জমির মালিক সেই প্রজার বিরুদ্ধে আম গাছ অপসারণের মামলা দায়েরপূর্বক ইনজাংশন প্রার্থনা করে কিন্তু আদালত প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করেন৷ কেননা যেহেতু প্রজা তার শ্রম অর্থ  বিনিয়োগের পর আম গাছগুলি লাগায়, যার পিছনে উক্ত ভূমির প্রকৃত মালিকের সম্মতি ছিল, তা না হলে মালিক দীর্ঘ তিন বত্স পর্যন্ত নীরব থাকতে পারত না৷

 

    কোন অনধিকার প্রবেশকারী বাদীর জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে যদি সেখানে ঘর তোলে, বাদী তখন উক্ত ঘর ভেঙে তার দখল পুনরুদ্ধার করতে পারে; ক্ষেত্রে যদি বাদীর কোনরূপ সম্মতির অস্তিত্ব প্রমাণিত না হয় বা প্রমাণ না থাকে, তাহলে ইনজাংশন মঞ্জুর করা যায়৷১৮

 

    ভূ-স্বামী তার প্রজাকে পাকা দালান তোলাতে কোন আপত্তি করে নাই বলেই প্রজার উক্ত জমিতে স্থায়ী অধিকার সৃষ্টি হয়ে যাবে৷ প্রজা পাকা দালান তোলছে যে জমিতে সে জমির খাজনা দিয়ে তার মালিকের থেকে রসিদও সংগ্রহ করেছে৷ এক্ষেত্রে প্রজার স্থায়ী অধিকার সৃষ্টি হয়েছে যদিও ভূ-স্বামী প্রমাণ করেছেন যে, প্রজাকে উক্ত জমি নির্দিষ্ট কয়েক বছরের জন্যে ইজারা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে প্রজা সেখানে দালান তোলার সুযোগ পেয়েছে৷ এক্ষেত্রে আদালত উক্ত দালান অপসারণ করার জন্যে কোন ইনজাংশন দিবেন না৷১৯

 

    যেক্ষেত্রে বিবাদী তার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বাদীর আপত্তির বিরুদ্ধে কোন বিলম্ব বা মৌন সম্মতির যুক্তি তোলে না, সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে যে, বাদী তার দাবি ত্যাগ করেছে৷২০

 

    স্বামী তার সম্পত্তির কিছু অংশ স্ত্রীকে প্রদান করে৷ কিন্তু পরবর্তীতে সে তার স্ত্রীকে প্রদেয় সম্পত্তি সহ কিছু সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রি করে৷ ক্রেতা বিনা বাধায় ক্রয় করা সম্পত্তির দখলানা লাভ করে৷ এভাবে বিনা আপত্তিতে বেশ কয়েক বত্সর উক্ত সম্পত্তি ভোগ-দখল করতে থাকে৷ এমতাবস্থায় সেই ব্যক্তি তার স্ত্রীর অংশটি অন্যপক্ষের নিকট পুনরায় বিক্রি করে৷ পরবর্তী ক্রেতা ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করতে গিয়ে দেখে উক্ত জমি অন্যজনের দখলে৷ তখন পরবর্তী ক্রেতা উক্ত সম্পত্তির দখলের জন্য মামলা দায়ের করে৷ আদালত উক্ত ব্যক্তিকে জমির দখলের আদেশ দিতে পারেন না৷ কেননা পরবর্তী ক্রেতা উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ের সময় কোনরূপ খোঁজ-খবর না নিয়েই ক্রয় করেছে৷ তবে উক্ত ক্রেতা ক্ষতিপূরণ পেতে পারে৷ অপরদিকে, প্রথম ক্রেতা যে বিক্রেতার স্ত্রীর সম্পত্তি বিনা বাধায় বেশ কয়েক বত্সর দখলের সুযোগ পায়, যদিও স্ত্রী জমি বিক্রি সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল না৷

 

 

  ১৮. ডবলু আর ৭১৷

  ১৯. সি, ডবলু এন, ২৫৫৷

  ২০. বোম্বে ৯৭৫ সি, ৯৮৷

 

 

এজমালী সম্পত্তিতে কোন সহ-অংর্শীদার যদি কখনও  অন্য সহ-অংশীদার কর্তৃক চাষাবাদে বাধাপ্রাপ্ত হয়৷ তাহলে সেক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাধাদান ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারে না বরং বাটোয়ারা মামলা দায়ের করতে পারে৷

 

. যখন আবেদনকারী বা তার প্রতিনিধির আচরণ এমন হয় যে, তা তাকে আদালতের সাহায্য থেকে বঞ্চিত রাখে: অর্থাৎ আদালত এমন সমস্ত ক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করবেন না, যেক্ষেত্রে আবেদনকারী নিজে অথবা তার প্রতিনিধি এমন সমস্ত আচরণ করছে, যার দরুন প্রার্থিত বিষয়ে কোন প্রতিকার পেতে পারে না৷ কেননা আদালতের নিকট কোন বিষয়ে প্রতিকার পেতে হলে কলুষমুক্ত আচরণ নিয়ে বা দোষমুক্ত অবস্থায় আসতে হয়৷ তঞ্চকতাপূর্ণ আচরণ কিংবা তেমন ধরণের কোন আচরণ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায় না৷ তাই ইকুইটি আইনের প্রবাদ হল ''He who seeks equity must do equity and who comes into equity must come with clean hand.''

 

প্রসঙ্গে Kerr তাঁর 'On Injunction' নামক পুস্তকে বলেছেন যে, যদি কেহ কখন আদালতের নিকট ইনজাংশনের জন্যে আসে, তবে অবশ্যই তাকে সত্ ভাবে সত্ উদ্দেশ্যে সত্যিকার প্রতিকার পাবার আসায় আসতে হবে৷ এর পরিপন্থী হলে সে কখনও আদালতের নিকট প্রতিকার পেতে পারে না৷

 

. যেখানে মামলার বিষয়বস্তু আবেদনকারীর কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই:  অর্থাৎ আদালত কখন এমন সমস্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করবেন না, সেখানে বাদীর মামলাভূক্ত বিষয়ে কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই, অথবা যদিও থাকে তা অতি নগন্য বা তুচ্ছ৷ কিন্তু যেক্ষেত্রে আবেদনকারী কোন সম্প্রদায় বা পৌরসভার সদস্য সেখানে কোন বিষয়ে সামান্য স্বার্থ থাকলেও সেক্ষেত্রে ইনজাংশন পেতে পারেন এবং আদালত তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ইনজাংশন মঞ্জুর করতে পারেন৷

 

    এভাবে কোন ব্যক্তি যদি কোন সাধারণ তহবিল আত্মসাত্ বা তসরূপের বিরুদ্ধে যদিও তাতে তার সামান্য স্বার্থ আছে, মামলা দায়েরের পর ইনজাংশন পেতে পারেন৷ এখানে কত সংখ্যা বা কি পরিমাণ বিবেচ্য নয় বরং উদ্দেশ্যটাই বিবেচ্য৷

 

    যেমন কোন গ্রাম্য পুকুর বা দীঘি সর্বসাধারণের সম্পত্তি, তাতে প্রত্যেকরই অধিকার আছে৷ যদি কখনও কোন পরিবার কোন অজুহাতে উহার সংস্কার বা উন্নতি সাধনের জন্যে একক অংশগ্রহণ দাবি করে, তাহলে সেক্ষেত্রে গ্রামের যে কোন সদস্য উহার বিরুদ্ধে ইনজাংশন পেতে পারেন৷২৪

 

  ২৪. ১২ মাদ্রাজ ২৪১৷

 

 

() '' একটি নির্দিষ্ট ব্যবসার 'সুনাম' ''- নিকট বিক্রি করতে চুক্তিবদ্ধ হল৷ '' তারপর ''- দোকানের নিকটেই একই ধরনের ব্যবসা শুরু করল এবং পুরাতন খরিদ্দারদের পাওয়ার চেষ্টা চালাতে লাগলো৷ এটা তার অনুমিত চুক্তির বিপরীত এবং ''-কে পুরাতন খরিদ্দারদের পাওয়ার চেষ্টা থেকে বিরত রাখা হয় এবং এমন কোন কাজ যার ফলে ''- নিকট থেকে 'সুনাম' প্রত্যাহৃত হয়, '' থেকে বিরত রাখার জন্যে ''- একটি ইনজাংশন পেতে পারে৷

 

() '' ''- সাথে ১২ মাসের জন্যে ''- থিয়েটারে গান গাওয়া এবং অন্য কোন জনসমাগম স্থানে গান না গাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হল৷ '' গান গাওয়া সংক্রান্ত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যকরীকরণ পেতে পারে না, কিন্তু সে জনসমাগম স্থানে গান গাওয়া থেকে ''-কে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন পাওয়ার অধিকারী৷

 

() '' ''- সাথে চুক্তিবদ্ধ হল যে, বিশ্বস্ততার সাথে কেরানী হিসেবে ১২ মাসের জন্যে তার কাজ করবে৷ '' এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের ডিক্রী পাওয়ার অধিকারী নয়৷ কিন্তু সে ''-কে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে কেরানী হিসেবে চাকুরী করা থেকে বিরত রাখার জন্যে ইনজাংশন পাওয়ার অধিকারী৷

 

() '' ''- সাথে এই মর্মে চুক্তিবদ্ধ হল যে, '' কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট দিনে ,০০০ টাকা প্রদানের বিনিময়ে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে সে একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা শুরু করবে না৷ '' অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয়৷ ''-কে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে ব্যবসা চালানো থেকে বিরত রাখা যাবে না৷

 

বিশ্লেষণ

 

১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়;

২৷ প্রকাশ্য নঞার্থক কড়া বা চুক্তি;

৩৷ ধারাটি প্রয়োগে শর্তাবলী

৪৷ যেক্ষেত্রে ধারা প্রযোজ্য নহে৷

 

    উপরের বর্ণিত ৫টি চুক্তির প্রত্যেকটিতে নঞার্থক সদার্থক কভিন্যান্ট বিদ্যমান৷ এই প্রকারের চুক্তির সুষ্ঠু কার্যকারিতা বাধ্যকরণে আদালত সর্বদা নঞার্থক চুক্তিভঙ্গ থেকে বিরত রাখার জন্য ইনজাংশন মঞ্জুর করে থাকেন৷ আদালত এই প্রকারের ক্ষমতা তখনই প্রয়োগ করেন, যখন চুক্তিভূক্ত পক্ষের জন্যে সদার্থক চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয় না৷

 

    অত্র ধারার নীতিটি সম্ভবত লাখলী বনাম ওয়াগনার মামলা থেকে গৃহীত৷ উক্ত মামলার বিবরণে প্রকাশ বিবাদী বাদীর থিয়েটারে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গান পরিবেশন করবে এবং সে উক্ত সময়ে আর কোথাও গান পরিবেশন করবে না৷ এই মামলায় আদালতে নঞার্থক শর্তটিই কার্যকরী করার আদেশ দান করেন৷ সম্ভবত এই ধারার '' উদাহরণটা এই মামলারই বিবরণ বা উদাহরণ৷

 

‌    ধারা ৫৭-কে বিশ্লেষণ করলে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়৷ () কিছু করার সদার্থক চুক্তি, () কেন বিশেষ কাজ না করার প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য চুক্তি এবং নঞার্থক চুক্তিকে অন্যান্য চুক্তি বা অনুমিত চুক্তির থেকে বিভক্ত () আবেদনকারীকে অবশ্যই তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সম্পাদন৷ উদাহরণ '' '' সদার্থক অপ্রকাশ্য নঞার্থক চুক্তি৷ '' উদাহরণে উল্লেখিত চুক্তিতে আদালত '' তার খরিদ্দারকে ''- দোকানে পাঠাতে বাধ্য করতে পারে না বরং তার ব্যবসা উক্ত স্থানে না চালানোর জন্যে বাধ্য করতে পারেন৷

 

    আদালত যখন কোন সদার্থক চুক্তি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বাধ্য করতে পারে না, তখন উক্ত চুক্তিটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২১ ধারাই অনুসরণযোগ্য বলা চলে৷৩০

 

    অর্থাৎ আদালত কোন সুনির্দিষ্ট চুক্তি কার্যকরণে সক্ষম হয় না যা কিনা সুঃ নিঃ প্রঃ আইনের ২০ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ যদি চুক্তিভূক্ত পক্ষদ্বয় স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে বিশেষ কোন কাজ না করার চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং তাতে কোন একপক্ষ এরূপ চুক্তির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তখন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ যদি আদালতের স্মরণাপন্ন হয়, আদালত তাকে কোন প্রতিকার প্রদান করবেন না৷ যদিও চুক্তি প্রকাশ্য নঞার্থক, কিন্তু যেহেতু চুক্তিটি অসাম্যের উপর নির্ভরশীল, সেহেতু ইনজাংশন পাবে না৷

 

    যেক্ষেত্রে কোন প্রকাশ্য নঞার্থক কড়াল নেই, কিন্তু প্রকাশ্য সদার্থক কড়াল বিদ্যমান৷ সেক্ষেত্রে প্রকাশ্য সদার্থক কড়ালে নঞার্থক কড়াল নিহিত থাকতে পারে৷ '' '' উদাহরণদ্বয় প্রসঙ্গে উল্লেখ্য৷৩১

 

    যদি কোন কড়ালে সদার্থক বিষয়বস্তু কিন্তু ভাষা নঞার্থক সেক্ষেত্রে ইনজাংশন মঞ্জুর করা যাবে না৷ পরিষ্কার নঞার্থক কড়ালে উল্লেখ থাকতে হবে, অন্যথায় ইনজাংশন প্রদান সম্ভব নয়৷৩২

 

২৷ প্রকাশ্য নঞার্থক কড়াল বা চুক্তি (Expressed Begative contenant): চুক্তিভূক্ত কাল পর্যন্ত কোথাও চাকুরী করব না-এরূপ প্রকাশ্য নঞার্থক চুক্তি বা কড়াল কোন চুক্তিতে থাকলে সেক্ষেত্রে বেশ অসুবিধার সৃষ্টি করে যদিও, তবুও আদালত বিবাদীকে বাদীর ফার্মে বা অন্য কোথাও কাজ করতে বাধ্য করতে পারে না বরং অন্য কোথাও কাজ করা থেকে বিবাদীকে বিরত থাকতে বাধ্য করার জন্যে ইনজাংশন দিতে পারেন৷

 

 

  ৩০. ১৮ বি ৭০২ ৭১৫৷

  ৩১. ৩৬, সি, ৩৫৪; ১৩ সি, ডবলু এন, ২৫৫৷

  ৩২. , সি, এইচ, ৬৫৪৷

 

 

    সদার্থক চুক্তিতে নঞার্থক কড়াল নিহিত থাকতে পারে৷ যেমন-আযাদ চুক্তি করল যে, সে তার সম্পূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যদুর দোকান থেকে নিবে৷ এক্ষেত্রে এটা অপ্রকাশ্য চুক্তি হয়ে গেল যে, আযাদ অন্য কোথাও থেকে আর তার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করবে না৷৩৯

 

    লামলী বনাম ওয়াগনার মামলার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নীতিটা বিভিন্ন মামলাতে সমালোচিত হয়েছে৷৪০ এই মামলাতে বিচারক findly এই নীতিকে বিপজ্জনক তথা অসামঞ্জস্য বলে আখ্যায়িত করছেন৷ অনুরূপ বিচারপতি Lord Selbourne Wolverhampton & Walsall Ry Co. Vs. London & N. W. Ry Co. L. R. 16 Eq. 440 মামলাতে উক্ত নীতিকে বিশেষভাবে সমালোচনা করেছেন৷ নামমাত্র নঞার্থক চুক্তি শর্ত মোতাবেক একটা বৃহত্ প্রকৃতির অসম্ভাব্য কর্তব্য সম্পাদন কখনও কি সম্ভব৷ চুক্তির ক্ষেত্রে অনেক সময় চুক্তিভূক্ত পক্ষ বিশেষ অসুবিধার দরুন অনেক সময় প্রায় অসম্ভব ক্ষতিও সহজে মেনে নেয়৷ অতএব সমস্ত অবস্থাতে যথেষ্ট কারণ ছাড়া কিছু করা বা সিদ্ধান্ত নেয়া আদৌ সমূচীন নহে৷

 

৩৷ ধারাটি প্রয়োগে শর্তাবলী: ধারা ৫৭ টি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়াবলীর প্রতি দৃষ্টি রাখতে হয়

  () চুক্তিপত্রে দু'টি চক্তি - একটি সদার্থক এবং অপরটি নঞার্থ থাকতে হবে৷

  () নেতিবাচক চুক্তিটি অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট কাজের বিষয়ে হতে হবে৷

  () নেতিবাচক চুক্তি হতে সবার ব্যক্ত বা অব্যক্ত৷

  () ইতিবাচক চুক্তি কার্যকর করতে আদালতের অপারগতা৷

  () দরখাস্তকারী উপর যতটুকু পালনযোগ্য ততটুকু পালনে ব্যর্থ হবে না৷

 

৪৷ যেক্ষেত্রে ধারা প্রযোজ্য নহে:

() যেক্ষেত্রে উপযুক্ত শর্তাবলী পূরণ করা হয়নি৷

() যেক্ষেত্রে বাধাদান বাতিল বা অযৌক্তিক৷

() নেতিবাচক চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে গেছে৷

() যেক্ষত্রে কেবল অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়৷

() যেখানে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়৷

() যেক্ষেত্রে ধারা ৫৭ এর শর্তাবলী প্রযোজ্য৷

 

  ৩৯. (১৯০১) সি, এইচ, ৭৯৯৷

  ৪০. (১৯৯১) , সি, এইচ, ৪২৯৷

 

 

তথ্যসূত্র: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন [সর্বশেষ সংশোধনী, ধারার বিশ্লেষণ ও উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্তসহ]- মো: আনছার আলী খান

 

 

সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট