সূচীপত্র
কপিরাইট আইন ২০০০
ধারা |
পৃষ্ঠা |
|
প্রথম অধ্যায় প্রারম্ভিক অংশ |
||
১. | সংক্ষিপ্ত শিরোনামা, প্রয়োগ এবং প্রবর্তন | |
২. | সংঙ্গা | |
৩. | একাশনার অর্থ | |
৪. | কর্ম প্রকাশিত বা প্রকাশ্যে সম্পদনকৃত বলিয়া গণ্য কর্ম | |
৫. | বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত বলিয়া গণ্য হওয়া | |
৬. | কতিপয় বিরোধ বোর্ড কর্তৃক নিস্পত্তিব্য | |
৭. | অপ্রকাশিত কর্মের সময়সীমা পর্যন্ত হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থাকারের জাতীয়তা | |
৮. | সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা স্থায়ী আবাস | |
দ্বিতীয় অধ্যায় কপিরাইট অফিস, রেজিষ্টার অব কপিরাইট এবং কপিরাইট বোর্ড |
||
৯. | কপিরাইট অফিস | |
১০. | কপিরাইট রেজিষ্টার ও ডেপুটি রেজিষ্টার | |
১১. | কপিরাইট বোর্ড | |
১২. | বোর্ডের ক্ষমতা ও কার্যপদ্ধতি | |
তৃতীয় অধ্যায় কপিরাইট |
||
১৩. | এই আইনের বিধান বহির্ভুত কপিরাইট থাকিবে না | |
১৪. | কপিরাইটের অর্থ | |
১৫. | কপিরাইট থাকে এমন কর্ম | |
১৬. | ১৯১১ সনের ২নং আইনের অধীন নিবন্ধিত বা নিবন্ধিতব্য ডিজাইন সম্পর্কিত কপিরাইট | |
চতুর্থ অধ্যায় কপিরইটের স্বত্ব এবং মালিকদের অধিকার |
||
১৭. | কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী | |
১৮. | কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগ | |
১৯. | স্বত্ব নিয়োগের ধরণ | |
২০. | কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগী বিষয়ক বিরোধ | |
২১. | পান্ডুলিপির কপিরাইট উইলমূলে হস্তান্তর | |
২২. | স্বত্বাধিকারীর কপিরাইট পরিত্যাগের অধিকার | |
২৩. | মূল অনুলিপি পুণঃবিক্রয়ের শেয়ার | |
পঞ্চম অধ্যায় কপিরাইটের মেয়াদ |
|
|
২৪. | প্রকাশিত সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও শিল্পকর্মের মেয়াদ | |
২৫. | মরণোত্তর কর্মে কপিরাইটের মেয়াদ | |
২৬. | চলচিত্র ফিল্মের কপিরাইটের মেয়াদ | |
২৭. | শব্দ রেকর্ডিংয়ের কপিরাইটের মেয়াদ | |
২৮. | ফটোগ্রাফের কপিরাইটের মেয়াদ | |
২৯. | বেনামী এবং ছদ্মনাম বিশিষ্ট কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ | |
৩০. | সরকারী মর্কে কপিরাটের মেয়াদ | |
৩১. | স্থানীয় কতৃপক্ষের কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ | |
৩২. | আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ | |
ষষ্ঠ অধ্যায় সম্প্রচার সংস্থা এবং সম্পাদনকারীর অধিকার |
||
৩৩. | সম্প্রচার পুণরুৎপাদনের অধিকার | |
৩৪. | অন্যদের অধিকার ক্ষুন্ন না হওয়া | |
৩৫. | সম্পাদনকারীর অধিকার | |
৩৬. | সম্প্রচার পুণরুৎপাদন অধিকার বা সম্পাদনকারীর অধিকারীর অধিকার লংঘন করেনা এমন কার্য | |
৩৭. | সম্প্রচার পুণরুৎপাদন অধিকার এবং সম্পাদকারীর অধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অন্যান্য বিধান | |
সপ্তম অধ্যায় প্রকাশিত কর্মের সংস্করণের অধিকার |
||
৩৮. |
মুদ্রণশৈলী সংস্করণ এবং সংস্করণের মেয়াদ |
|
৩৯. |
লঙ্ঘন ইত্যাদি |
|
৪০. |
কপিরাইটের সহিত সম্বন্ধ |
|
অষ্টম অধ্যায় কপিরাইট সমিতি |
||
৪১. |
কপিরাইট সমিতির নিবন্ধন |
|
৪২. |
কপিরাইট সমিতি কর্তৃক মালিকদের অধিকার নির্বাহ |
|
৪৩. |
কপিরাইট সমিতি কর্তৃক পারিশ্রমিক প্রদান |
|
৪৪. | কপিরাইট সমিতির উপর কপিরাইটের মালিকদের নিয়ন্ত্রণ | |
৪৫. | রিটার্ন এবং প্রতিবেদন | |
৪৬. | হিসাব এবং নিরীক্ষা | |
৪৭. | অব্যাহতি | |
নবম অধ্যায় লাইসেন্স |
|
|
৪৮. |
কপিরাইটের স্বত্বাধীকারীর প্রদত্ত লাইসেন্স |
|
৪৯. |
ধারা ১৯ এবং ২০ এর প্রয়োগ |
|
৫০. |
জনসাধারণের নিকট বারিত কর্মের বাধ্যতামূলক লাইসেন্স |
|
৫১. |
অপ্রকাশিত বাংলাদেশী কর্মের বাধ্যতামূলক লাইসেন্স |
|
৫২. |
অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশের লাইসেন্স |
|
৫৩. |
কতিপয় উদ্দেশ্যে কর্ম পুণরুৎপাদন এবং প্রকাশ করার লাইসেন্স |
|
৫৪. |
এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের বাতিলকরণ |
|
|
|
|
দশন অধ্যায় কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন |
|
|
৫৫. |
কপিরাইটের রেজিষ্টার, ইনডেক্স ফরম এবং রেজিস্টার পরিদর্শন |
|
৫৬. |
কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন |
|
৫৭. |
কপিরাইটের স্বত্বনিয়োগ, ইত্যাদির রেজিষ্ট্রেশন |
|
৫৮. |
কপিরাইটের রেজিষ্ট্রারের অন্তর্ভূক্তি এবং ইনডেক্স ইত্যাদির সংশোধন |
|
৫৯. |
কপিরাইট বোর্ড কর্তৃক রেজিস্টার সংশোধন |
|
৬০. |
কপিরাইট রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত বিবরণ আপাতঃ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হওয়া |
|
৬১. |
কপিরাইট রেজিষ্টারের অন্তর্ভুক্তি ইত্যঅদি প্রকাশ করা |
|
|
|
|
একাদশ অধ্যায় গণ প্রস্থাগারে পুস্তক এবং সংবাদপত্র সরবরাহ |
|
|
৬২. |
গণ গ্রন্থাগারে পুস্তক সরবরাহ |
|
৬৩. |
গণগ্রন্থাগারে সাময়িকী ও সংবাদপত্র সরবরাহ |
|
৬৪. |
সরবরাজতৃত পুস্তকের রসিদ |
|
৬৫. |
শাস্তি |
|
৬৬. |
এই অধ্যায়ের অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ |
|
৬৭. |
সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তক, সাময়িকী ও সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে অধ্যায়ের প্রয়োগ |
|
|
|
|
দ্বাদশ অধ্যায় আন্তর্জাতিক কপিরাইট |
|
|
৬৮. |
কতিপয় আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্ম সম্পর্কিত বিধান |
|
৬৯. |
বিদেশী কর্মে কপিরাইট সম্প্রসারণ করার ক্ষমতা |
|
৭০. |
বাঙলাদেশে প্রথম প্রকাশিত বিদেশী প্রণেতার কর্মের স্বত্বের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের ক্ষমতা |
|
|
|
|
ত্রয়োদশ অধ্যায় কপিরাইটের লঙ্গন |
|
|
৭১. |
কপিরাইট লঙ্গন |
|
৭২. |
কতিপয় কার্য কপিরাইট লঙ্গন নয় |
|
৭৩. |
শব্দ রেকর্ডিং ও ভিডিও চিত্রে অন্তর্ভুক্তব্য বিবরণী |
|
৭৪. |
অধিকার লঙ্গনকারী অনুলিপি আমদানী |
|
|
|
|
চতুর্দশ অধ্যায় দেওয়ানী প্রতিকার |
|
|
৭৫. |
সংঙ্গা |
|
৭৬. |
কপিরাইট লঙ্গনের জন্যে দেওয়ানী প্রতিকার |
|
৭৭. |
পৃথক অধিকারের রক্ষণ |
|
৭৮. |
প্রণেতার বিশেষ স্বত্ব |
|
৭৯. |
অধিকার লঙ্গনকারী অনুলিপির দখলকার বা লেনদেনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মালিকের অধিকার |
|
৮০. |
কপিরাইটের মালিক কার্যধারায় পক্ষ হইবে |
|
৮১. |
আদালতের এখতিয়ার |
|
|
|
|
পঞ্চদশ অধ্যায় অপরাধ এবং শস্তি |
|
|
৮২. |
কপিরাইট বা অন্যান্য অধিকার লঙ্গনজনিত অপরাধ |
|
৮৩. |
দ্বিতীয় বা পরবর্তি অপরাধের বর্ধিত শাস্তি |
|
৮৪. |
কম্পিউটার প্রোগ্রামের লঙ্গিত জ্ঞাতসারে ব্যবহার অপরাধ |
|
৮৫. |
অধিকার লঙ্গনকারী অনুলিপি তৈরি করিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত প্লেট দখলে রাখা |
|
৮৬. |
অধিকার লঙ্গনকারী অনুলিপি বা অধিকার লঙ্গনকারী অনুলিপি তৈরীর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত প্লেট বিলিবন্টন |
|
৮৭. |
রেজিস্টারে মিথ্যা অন্তর্ভুক্তি, ইত্যাদি, অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপণা বা প্রদান করার শাস্তি |
|
৮৮. |
প্রতারিত বা প্রভাবিত করিবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বিবৃতি প্রদানের শাস্তি |
|
৮৯. |
প্রণেতার মিথ্যা কর্তৃত্ব আরোপ |
|
৯০. |
ধারা ৭২ লঙ্গনের শাস্তি |
|
৯১. |
কোম্পাণী কর্তৃক অপরাধ |
|
৯২. |
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ |
|
৯৩. |
লঙ্গিত অনুলিপি জব্দ করিতে পুলিশের ক্ষমতা |
|
|
|
|
৬ষ্ঠদশ অধ্যায় আপীল |
|
|
৯৪. |
ম্যাজিস্ট্রেটের কতিপয় আদেমের বিরুদ্ধে আপীল |
|
৯৫. |
রেজিস্ট্রারের আদেমের বিরুদ্ধে আপীল |
|
৯৬. |
বোর্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল |
|
৯৭. |
তামাদি গণনা |
|
৯৮. |
আপীলের পদ্ধত্তি |
|
সপ্তদশ অধ্যায় বিবিধ |
|
|
৯৯. |
রেজিষ্টার এবং বোর্ড এর দেওয়ানী আদালতের কতিপয় ক্ষমতা |
|
১০০. |
রেজিষ্টার বা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত অর্থ প্রদানের আদেশ ডিক্রির ন্যায় কার্যকর হইবে |
|
১০১. |
অব্যাহতি |
|
১০২. |
জনসেবক |
|
১০৩. |
বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা |
|
১০৪. |
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ |
|
১০৫. |
রহিতকরন, হেফাজত এবং ক্রান্তিকালীন বিধান |
|
কপিরাইট আইন-২০০০
(২০০০ সনের ২৮ নং আইন)
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
কপিরাইট আইন সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু কপিরাইট বিষয়ে প্রচলিত আইনের সংশোধন ও সংহতকরণ সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনামা, প্রয়োগ এবং প্রবর্তন :
(১) এই আইন কপিরাইট আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা :
বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) "অনুলিপি" অর্থ লিখিত, ধ্বনি রেকডিং, চলিচ্চিত্র ছবি বা অন্য কোন বস্তুগত আকারে পুনরুৎপাদন, দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক নির্বিশেষে;
(২) "অনুলিপিকারী যন্ত্র" অর্থ কোন যান্ত্রিক কৌশল বা যন্ত্র যাহা কোন কর্মের অনুলিপি তৈরীতে ব্যবহৃত হয় বা হইতে পারে;
(৩) "অভিযোগন" অর্থ-
(ক) নাট্যকর্মের ক্ষেত্রে কর্মটিকে অ-নাট্য কর্মে রূপান্তর;
(খ) সাহিত্য বা শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, অভিনয় বা অন্য কোন উপায়ে জনসমক্ষে রূপান্তর;
(গ) সাহিত্য বা নাট্যকর্মের ক্ষেত্রে, কর্মের সংক্ষপকরণ বা কমিটির এমন অনুবাদ যাহাতে উক্ত কর্মের বিষয় বা প্রভাব সম্পূর্ণরূপে বা
প্রধানতঃ পুক্তক, সংবাদপত্র, পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা সাময়িকীতে পুনঃপ্রকাশের জন্য যথাযথ ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করা;
(ঘ) সংগীত কর্মের ক্ষেত্রে, উহার যে কোন নিব্যাস বা নকল;
(ঙ) অন্য কোন কর্মের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্মের পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনক্রমে ব্যবহার।
(৪) "আলোক চিত্রানুপিলি" অর্থ কোন কর্মের ফটোকপি বা অনুরূপ অন্য মাধ্যমে প্রণীত অনুলিপি;
(৫) "একচেটিয়া লাইসেন্স" অর্থ এমন লাইসেন্স যদ্বারা অন্য সকল ব্যক্তি বাদে কেবলমাত্র লাইসেন্স প্রাপক বা লাইসেন্স প্রাপক হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুকূলে কপিরাইট স্বত্ব অর্পিত হয় এবং একচেটিয়া লাইসেন্স প্রাপক তদানুসারে ব্যাখ্যাত হইবে,
(৬) "কপিরাইট" অর্থ এই আইনের অধীন কপিরাইট;
(৭) "কপিরাইট সমিতি" অর্থ এই আইনের ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিবন্ধন কৃত কোন সমিতি;
(৮) "কপিরাইট লঙ্ঘনকারী অনুলিপি" অর্থ-
(ক) সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, চলচ্চিত্র ছবি ব্যতীত অন্য কোনভাবে সমগ্র কর্ম বা উহার অংশবিশেষের পুনরুৎপাদন;
(খ) চলচ্চিত্র ছবির ক্ষেত্রে উক্ত কর্মটি সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ, যে কোনভাবে প্রণীত হউক না কেন;
(গ) শব্দ রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে, যেকোন সাধ্যমে অভিন্ন শব্দ রেকর্ড ধারণকারী অন্য যেকোন রেকর্ড;
(ঘ) এই আইনের অধীনে সম্প্রচার পনুরুৎপাদন অথবা সম্পাদনকারীর অধিকার বিষয়ক কোন প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে, এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনক্রমে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের পূর্ণ বা আংশিক চলচ্চিত্র ছবি বা শব্দ রেকর্ড করা বা তৈরী বা আমদানী করা;
(৯) "কম্পিউটার" অর্থে যে কোন ইলেকট্রনিক্স বা তথ্য প্রত্রিয়াকরণের ক্ষমতাসম্পন্ন অনুরূপ যে কোন যন্ত্র অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১০) "কম্পিউটার প্রোগ্রাম" অর্থ পাঠযোগ্য মাধ্যমে যন্ত্রসহ শব্দ, সংকেত, পরিলেখ অথবা অন্য কোন আকারে প্রকাশিত নির্দেশাবলী, যদ্বারা কম্পিউটারকে কোন বিশেষ কাজ করানো বা বাস্তবে ফলদায়ক করানো যায়;
(১১) "কর্ম" অর্থ নিম্নলিখিত যে কোন কর্ম, যথা :
(ক) সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্পকর্ম;
(খ) চলচ্চিত্র ছবি;
(গ) শব্দ রেকর্ডিং; এবং
(ঘ) সম্প্রচার।
(১২) "খোদাই" অর্থে কাঁচ, পাথর বা কাঠের খোদাই কর্ম, ছাপ এবং ফটোগ্রাফা ব্যতীত অনুরূপ অন্যান্য কর্ম অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৩) "গণ গ্রন্থাগান" অর্থ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার এবং তৎকর্তৃক সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্দিষ্টকৃত অন্য পাঁচটি গ্রন্থাগার;
(১৪) "চলচ্চিত্র ছবি বা চলচ্চিত্র" অর্থ যে কোন মাধ্যমে অবধারিত দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রতিচ্ছবিসমূহের অনুক্রম যাহা হইতে চলমান ছবি তেরী করা যায় এবং যাহা শব্দ রেকর্ড সহযোগ দৃষ্টগ্রাহ্য রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করে এবং "চলচ্চিত্র" বলিতে ভিডিও ছবিসহ ক্যাসেট; ভিডিও সি.ডি, এল,ডি; ইন্টারনেট, ক্যাবল নেট-ওয়ার্কস এবং ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রের অনুরূপ কোন মাধ্যমে তৈরী করা যায় এমন কর্মকে বুঝাইবে;
(১৫) "জনসাধারণের সহিত যোগযোগ" অর্থ যে কোন কর্মের অনুলিপি সরবরাহ না করিয়া উক্ত কর্ম জনসাধারণের দেখা, শোনা বা অন্যভাবে তার ও বেতারের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ উপভোগের সুযোগ করা, বা যে কোন প্রকারের প্রদর্শনী বা প্রচারণার মাধ্যমে অনুরূপ সুযোগ সৃষ্টি করা জনসাধারণের মধ্যে কেউ অনুরূপভাবে কর্মটি প্রকৃতই উপভোগ করুক বা নাই করুক;
ব্যাখ্যা : এই দফার উদ্দেশ্য সমাধন-কল্পে সেটেলাইট অথবা কেবল অথবা অন্য কোন যুগপৎ মাধ্যমে একই সাথে একের অধিক গৃহ অথবা বাসস্থান, আবাসিক হোটেল অথবা হোটেলের একাধিক কক্ষের সহিত একই সংগে যোগাযোগকে "জনসাধারণের সহিত যোগাযোগ" বুঝাইবে;
(১৬) "দালান" অর্থে কোন ইমারত অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৭) "নির্ধারিত" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত;
(১৮) "নাট্যকর্ম" অর্থ আবৃত্তির অংশবিশেষ, সমবেত প্রদর্শনী বা নির্বাক প্রদর্শনীর মাধ্যমে নিবোদন, দৃশ্য-বিন্যাস বা লেখনী বা অন্যভাবে গ্রোথিত অভিনয়ের আঙ্গিক অন্তর্ভুক্ত হইবে, কিন্তি কোন চলচ্চিত্র ছবি অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(১৯) "পঞ্জিকা০বর্ষ" অর্থ ১লা জানুয়ারী হইতে শুরু হয় এমন বর্ষ;
(২০) "পান্ডুলিপি" অর্থ কর্মের আদি দলিল, হস্তলিখিত হউক বা না হউক;
(২১) "পুনঃসম্প্রচার" অর্থে কোন সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের দ্বারা বাংলাদেশ বা অন্য কোন দেশের কোন সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠান যুগপৎ বা পরবর্তীতে সম্প্রচার এবং তারের মাধ্যমে এরূপ অনুষ্ঠান বিতরণ অন্তর্ভুক্ত হইবে এবং তদনুসারে পুনঃসম্প্রচার ব্যাখ্যা করা হইবে;
(২২) "পুস্তক" অর্থে যে কোন ভাষার প্রত্যেক খন্ডের অংশ বা ভাগ এবং পুস্তিকা এবং আলাদাভাবে মুদ্রিত বা প্রস্তরে অঙ্কিত সংগীতের প্রত্যেক শীট, মানচিত্র, চার্ট বা নকসা অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু কোন সংবাদপত্র অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু কোন সংবাদপত্র অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(২৩) "প্লেট" অর্থে যে কোন মুদ্রণফলক বা অন্যরকম প্লেট, ব্লক, ছাঁচে তৈরী পুডিং, ছাঁচ, এক মাধ্যম হইতে অন্য মাধ্যমে স্থানান্তর, নেগেটিভ, টেপ, তার অপটিক্যাল ফিল্ম বা অন্যরকম কৌশল যাহা কোন কর্মের মুদ্রণ বা পুনমুদ্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে অথবা ব্যবহারের অভিপ্রায় করা হয় এবং যে কোন ছাঁচ বা অন্যরকম যন্ত্রপাতি যাহার দ্বারা শিল্পকর্মটির শ্রুতিবোধ সম্বন্ধীয় উপস্থাপনার জন্য রেকর্ড করা হয় বা উহার অভিপ্রায় করা অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৪) "প্রণেতা: অর্থ-
(ক) সাহিত্য বা নাট্যকর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটির গ্রন্থাকার;
(খ) সংগীত বিষয়ক কর্মের ক্ষেত্রে, উহার সুরকার বা রচয়িতা;
(গ) ফটোগ্রাফ ব্যতীত অন্য কোন শিল্পসূলভ কর্মের ক্ষেত্রে, উহার নির্মাতা;
(ঘ) ফটোগ্রাফের ক্ষেত্রে, উহার চিত্রগাহক;
(ঙ) চলচ্চিত্র অথবা শব্দ রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে, উহার প্রযোজক;
(চ) কম্পিউটার মাধ্যমে সৃষ্ট সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্প সুলভ কর্মের ক্ষেত্রে কর্মটির সৃষ্টিকারী ব্যক্তি;
(২৫) "প্রযোজক" অর্থে চলচ্চিত্র ছবি অথবা ছবি অর্থবা শব্দ রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি কর্মটির বিষয়ে উদ্যেগ, বিনিয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন;
(২৬) "ফটোগ্রাফ" অর্থে ফটো লিথোগ্রাফ এবং ফটোগ্রাফি সদৃশ কোন প্রক্রিয়ার প্রস্তুত যেকোন কর্ম অন্তর্ভুক্ত হইবে; কিন্তু চলচ্চিত্র ছবির কোন অংশ অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(২৭) "বাংলাদেশী" কর্ম অর্থ এমন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্প কর্ম-
(ক) যাহার প্রণেতা বাংলাদেশের নাগরিক; বা
(খ) যাহা প্রথম বাংলাদেশে প্রকাশিত হইয়াছে; বা
(গ) অপ্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে, যাহার প্রণেতা উহা তৈরীর সময় বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন;
(২৮) "বোর্ড" অর্থ এই আইনের ধারা ১১এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে গঠিত কপিরাইট বোর্ড;
(২৯) "ভাস্কর্য" অর্থে ছাঁচে ঢালা বস্তু এবং মডেল অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩০) "যৌথ গ্রন্থকার কর্ম" অর্থ বা ততোধিক গ্রন্থাকারের সহযোগিতায় প্রণীত কর্ম যাহাতে একজন গ্রন্থাকারের অবদান অপর গ্রন্থাকারের অবদান হইতে স্বতন্ত্র নহে;
(৩১) "রচয়িতা' অর্থ, কোন সংগীতের ক্ষেত্রে, উহার গীতিকার, উহা স্বরলিপির মাধ্যমে রেকর্ডকৃত হউক বা না হউক;
(৩২) "রেজিষ্ট্রার" অর্থ এই আইনের ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিযুক্ত কপিরাইট রেজিষ্ট্রার এবং রেজিষ্ট্রারের কার্য সম্পাদনকারী ডেপুটি রেজিষ্ট্রারও অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
(৩৩) "রেজিস্ট্রার অব ট্রেডমার্ক" অর্থ ড্রেডমার্কস এ্যাক্ট এর ধারা ৪এ উল্লিখিত রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড মার্কস এ্যাক্ট;
(৩৪) "লেকচার" অর্থে ভাষণ, বক্তৃতা ও ধর্মোপদেশ অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩৫) "শব্দ রেকর্ডিং করা অর্থ রেকর্ড করার মাধ্রমে ও পদ্ধতি বিধিশেষে শব্দের এমন প্রক্রিয়ার রেকর্ডিং যাহা হইতে উক্ত শব্দ উৎপাদন করা যায়;
(৩৬) "শিল্প কর্ম: অর্থ-
(ক) শিল্পসুলভ গুণ থাকুক বা না থাকুক চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য ড্রয়িং (রেখাচিত্র, মানচিত্র, চার্ট, নকশাসহ), খোদাই বা ফটোগ্রাফ;
(খ) স্থাপত্য শিল্পকর্ম; এবং
(গ) শিল্পসুলভ কারিকর সমৃদ্ধ অন্য কোন কর্ম;
(৩৭) "সংগীত কর্ম" অর্থ সুর সম্বলিত কর্ম এবং উক্ত কর্মের স্বরলিপির পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত হইবে কিন্তু কোন কথা বা কাজকে গানের মাধ্যমে প্রকাশ বা সম্পাদন করা অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৩৮) "সংস্থাপন" অর্থ শব্দ বা প্রতিচ্ছবি বা উভয়ের সংযোগকারী এমন কৌশল যাহা পরবর্তীতে শ্রবণ বা দৃষ্টিতে বোধগম্য করা যায়;
(৩৯) "সরকারী কর্ম" অর্থ নিম্নলিখিত কোন কতৃপক্ষের দ্বারা বা অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে সম্পাদিত বা জারীকৃত কর্ম-
(ক) সরকার বা সরকারের কোন বিভাগ;
(খ) বাংলাদেশ আইন প্রণয়ণকারী কর্তৃপক্ষ;
(গ) বাংলাদেশের কোন আদালত, ট্রাইবুন্যাল বা অন্য কোন বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ;
(৪১) "সম্পাদন" অর্থ সম্পাদনকারীর অধিকারের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক সম্পাদনকারী কর্তৃক দর্শনসাধ্য বা শ্রবণযোগ্য জীবন্তু উপস্থাপন;
(৪২) "সম্পাদনকারী" অর্থ অভিনেতা, গায়ক, বাদ্যযন্ত্রী, নৃত্যকারী, দড়াবাজকর, ভোজবাজিকর, জাদুকর, সাপুড়ে, লেকচারদাতা অথবা কিছু সম্পাদন করেন এমন যে কোন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৩) "সম্প্রচার" অর্থ এক বা একাধিক রকমের চিহৃ, শব্দ বা টেলিভিশন ও উপগ্রহসহ বেতার যন্ত্রের যে কোন মাধ্যমে জনসাধারণের সহিত যোগাযোগ এবং পুনঃসম্প্রচার উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৪) "সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ" অর্থ এমন কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ, যিনি বা, ক্ষেত্রমত যাহার দ্বারা কোন সম্প্রচার কেন্দ্র পরিচালিত হয়;
(৪৫) "সরবরাহ" অর্থ কোন বক্তৃতার ক্ষেত্রে, যান্ত্রিক বা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে সম্প্রচার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৬) "সাহিত্যকর্ম" অর্থে কম্পিউটার সৃষ্ট উপাত্তভিত্তিসহ মানবিক, ধার্মীয়, সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান কর্ম এবং কম্পিউটার প্রোগ্রাম সারণী ও সংকলন অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(৪৭) "স্থাপত্য কর্ম" অর্থ শৈল্পিক চরিত্র অথবা ডিজাইনকৃত কোন দালান বা ইমারত অথবা ঐরূপ দালান বা ইমারতের কোন মডেল।
৩। প্রকাশনার অর্থ :
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে "প্রকাশনা" অর্থ কোন কর্মের অনুলিপি জনগণের নিকট সরবরাহ করার অথবা পৌছানোর ব্যবস্থা করা;
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে প্রকাশনা অর্থে নিম্নলিখিত কার্য অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা-
(ক) নাট্যকর্ম, নাট্যসংগীত, চলচ্চিত্র বা সঙ্গীত কর্ম;
(খ) জনসমক্ষে সাহিত্য কর্মের আবৃত্তি;
(গ) তারের মাধ্যমে যোগাযোগ, সাহিত্য বা শিল্পকর্মের সম্প্রচার;
(ঘ) শিল্পকর্মের প্রদর্শনী;
(ঙ) স্থাপত্য শিল্পের নির্মাণ।
৪। কর্ম প্রকাশিত বা প্রকাশ্যে সম্পাদনকৃত বলিয়া গণ্য না হওয়া :
বিনা লাইসেন্সে বা কপিরাইট স্বত্বাধকারীর অনুমতি ব্যতিরেকে কোন কর্ম প্রকাশিত, প্রকাশ্যে সম্পাদনকৃত বা কোন লেকচার জনসমক্ষে প্রদত্ত হইলেও, কপিরাইট লংঘনের উদ্দেশ্য ব্যতীত, উক্ত প্রকাশিত বা প্রকাশ্যে সম্পাদনকৃত বলিয়া গন্য হইবে না এবং এবং কোন লেকচার জনসমক্ষে প্রদত্ত হইয়াছে বরিয়া গণ্য হইবে না।
৫। বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত বলিয়া গণ্য কর্ম :
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশে প্রকাশিত কোন কর্ম অন্য কোন দেশে যুগপৎভাবে প্রকাশিত হোয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না উক্ত কর্ম দেশ উক্তরূপ কর্মের কপিরাইট সংক্ষিপ্ততর মেয়অদের জন্য প্রদান করার বিধান করে; এবং কোন কর্ম বাংলাদেশ এবং অপর কোন দেশে যুগপৎভাবে প্রকাশিত বলিয়া গণ্য হইবে যদি বাংলাদেশে এবং অপর দেশে প্রকাশকালের মধ্যে ব্যবধান ত্রিশ দিন, অথবা সরকার কর্তৃক দেশ বিশেষের জন্য এতদউদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়সীমা, অতিক্রান্ত না হয়।
৬। কতিপয় বিরোধ বোর্ড কর্তৃক নিষ্পত্তিতব্য :
কোন কর্ম প্রকাশিত হইয়াছে কিনা অথবা পঞ্চম অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্মটির প্রকাশনার তারিখ সম্পর্কে বা অন্য কোন দেশে কোন কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ এই আইনের অধীন উক্ত কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ হইতে সংক্ষিপ্ততর কিনা সেই সম্পর্কে, কোন বিরোধ দেখা দিলে বিরোধটি বোর্ডে প্রেরণ করা হইবে এবং উক্ত বিষয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি বোর্ড এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনগণের নিকট উস্যুকৃত অনুলিপি বা ধারা ৩-এ উল্লিখিত জনগণের সহিত যোগাযোগ নগণ্য ধরণের, তাহা হইলে উহা ধারার অধীন প্রকাশনা হিসাবে গণ্য হইবে না।
৭। অপ্রকাশিত কর্মের সময়সীমা পর্যাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থকারের জাতীয়তা :
কোন অপ্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে, কর্ম সম্পাদনের সময়সীমা পর্যাপ্ত হইলে উহার গ্রন্থাকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ঐ দেশের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা বলিয়া গণ্য হইবেন যে দেশে তিনি উক্ত পর্যাপ্ত সময়ের অধিকাংশ সময়কালের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
৮। সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা স্থায়ী আবাস :
কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশের সংস্থা বলিয়া গণ্য হইবে যদি উক্ত সংস্থা বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হয় অথবা উহার কোন ব্যবহারিক অফিস বা স্থান বাংলাদেশে থাকে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
কপিরাইট অফিস, রেজিষ্ট্রার অব কপিরাইট এবং কপিরাইট বোর্ড
৯। কপিরাইট অফিস :
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কপিরাইট অফিস নামে একটি অফিস স্থাপিত হইবে।
(২) কপিরাইট অফিস কপিরাইটের রেজিষ্ট্রারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে এবং কপিরাইট রেজিষ্ট্রার সরকারের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশ সাপেক্ষে তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৩) কপিরাইট অফিসের একটি সীলমোহর থাকিবে যাহার ছাপ বিচারবিভাগীয় অবগতির অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১০। কপিরাইট রেজিষ্ট্রার ও ডেপুটি রেজিষ্ট্রার :
(১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একজন কপিরাইট রেজিষ্ট্রার নিয়োগ করিবেন এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক কপিরাইট ডেপুটি রেজিষ্ট্রার নিয়োগ করিতে পারিবেন।
(২) রেজিষ্ট্রার-
(ক) এই আইনের অধীনে রক্ষিত কপিরাইট রেজিস্ট্রারের সকল এন্ট্রিতে স্বাক্ষর করিবেন;
(খ) কপিরাইট অফিসরে সীলমোহর দ্বারা কপিরাইটের সকল নিবন্ধন সনদপত্র মোহরাঙ্কিত করিবেন ও সত্যায়িত কপিতে স্বাক্ষর করিবেন;
(গ) এই আইন দ্বারা উহার অধীনে তাঁহার উপর প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করিবেন;
(ঘ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন।
(৩) কপিরাইটি ডেপুটি রেজিষ্ট্রার, রেজিষ্ট্রারের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশ সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন রেজিষ্ট্রারের ঐ সকল দায়িত্ব, সম্পাদন করিবেন যাহা রেজিস্ট্রার, সময় সময়, তাঁহাকে অর্পণ করিবেন; এবং এই আইনে "রেজিষ্ট্রার" অর্থে ডেপুটি রেজিষ্ট্রারও অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(১১) কপিরাইট রোর্ড :
(১) সরকার, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর যত শীঘ্র সম্ভব, কপিরাইট বোর্ড নামে একটি বোর্ড গঠন করিবে, যাহা একজন চেয়ারম্যান ও অন্যূন দুইজন কিন্তু অনধিক ছয় জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।
(২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।
(৪) সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত জেলাজজ ছিলেন বা আছেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বা হাইকোর্টের বিচারপতি হইবার উপযুক্ত একজন আইনজীবী চেয়ারম্যান নিযুক্ত হইবেন।
(৫) রেজিষ্ট্রার বোর্ডের সচিব হইবেন এবং নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করিবেন।
১২। বোর্ডের ক্ষমতা ও কার্যপদ্ধতি :
(১) বোর্ড, এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, উহার বৈঠকের স্থান ও সময় নির্ধারণসহ কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) এই আইনের অধীন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সদস্যগণের মধ্যে মত-পার্থক্য হইলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামত প্রাধান্য পাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে সংখ্যাগলিষ্ঠতা থাকবে না সে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের মতামত প্রাধান্য পাইবে।
(৩) বোর্ড ধারা ৯৯ এর অধীনে কোন সদস্যের উপর উহার যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অর্পণ করিতে পারবে এবং এইরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা কৃত কাজকর্ম বোর্ডের আদেশ বা কাজ হিসাবে গণ্য হইবে।
(৪) শূধুমাত্র বোর্ডের কোন সদস্যপদ শূণ্য রহিয়াছে বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি রহিয়াছে শুধুমাত্র এই কারণে বোর্ডের কোন কাজ বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা উহার বৈধতা লইয়া প্রশ্ন করা যাইবে না।
(৫) বোর্ড ফৌজাদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) এর ৪৮০ ও ৪৮২ ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে দেওয়ানী আদালতরূপে গন্য হইবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ডের নিকট উপস্থাপিত সকল বিষয় দন্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ১৯৩ ও ২২৮ এর অর্থে বিচারপবিভাগীয় কার্যক্রম হিসাবে গণ্য হইবে।
(৬) বোর্ডের কোন সদস্য বোর্ডের নিকট উত্থাপিত এমন কোন কার্যধারায় অংশগ্রহণ করিবেন না যাহাতে তাঁহার ব্যক্তিগত স্বার্থ রহিয়াছে।
তৃতীয় অধ্যায়
কপিরাইট
১৩। এই আইনের বিধান বহির্ভুত কপিরাইট থাকিবে না :
এই আইন আপাতত: বলবৎ অন্য কোন আইনের বিধানের পরিপন্থী উপায়ে কোন ব্যক্তি কোন প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত কার্মের কপিরাইট বা অনুরূপ কোন সত্বের অধিকারী হইবেন না, কিন্তু এই ধারার কোন কিছু এমনভাবে ব্যাখ্যা করা যাইবে না যাহাতে কোন বিশ্বাসভঙ্গ বা আস্থা রোধ করিবার অধিকার রদ হইতে পারে।
১৪। কপিরাইটের অর্থ :
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে "কপিরাইট" অর্থ, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে কোন কর্ম বা কর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশের বিষয়ে নিম্নবর্ণিত কোন কিছু করা বা করার ক্ষমতা অর্পণ, যথা-
(১) কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যতীত, সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্মের ক্ষেত্রে,-
(ক) যে কোন উপায়ে ইলেকট্রোনিক্স মাধ্যমের কর্মটি সংরক্ষণ করাসহ যে কোন বস্তুগত আংগিকে কর্মটির পুনরুৎপাদন করা;
(খ) সার্কুলেশনে রহিয়াছে এমন অনুলিপি ব্যতিরেকে, কর্মটির অনুলিপি জনগণের জন্য ইস্যু করা;
(গ) জনসমক্ষে কর্মটি সম্পাদন করা অথবা উহা জনগণের মধ্যে প্রচার করা;
(ঘ) কর্মটির কোন অনুবাদ, উৎপাদন, পুনরুৎপাদন, সম্পাদন বা প্রকাশ করা;
(ঙ) কর্মটির বিষয়ে কোন চলচ্চিত্র ছবি শব্দ রেকর্ড করা;
(চ) কর্মটি সম্প্রচার করা বা কর্মটির সম্প্রচারকৃত বিষয় বা অনুরূপ অন্য কোন যন্ত্রের সাহায্যে জনসাধারণকে অবহিত করা;
(ছ) কর্মটি অভিযোজন করা;
(জ) কর্মটির অনুবাদ বা অভিযোজন বিষয়ে উপরের (ক) হইতে (চ)-এ উল্লিখিত কোন কাজ করা।
(২) কম্পিউটার প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে-
(ক) দফা (১)-এ উল্লিখিত যে কোন কিছু করা;
(খ) ইতিপূর্বে একইরূপ অনুলিপি বিক্রয় করা বা ভাড়া প্রদান করা হইক বা না হউক, কম্পিউটার প্রোগ্রামের অনুলিপি বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করা অথবা বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করা অথবা বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করার প্রস্তাব করা;
(৩) শিল্প কর্মের ক্ষেত্রে-
(ক) কোন দ্বিমাত্রিক কর্মের ত্রিমাত্রিক কর্মে অথবা ত্রিমাত্রিক কর্মের দ্বিমাত্রিক কর্মে অংকনসহ যেকোন বস্তুগত আঙ্গিকে কর্মটি পুনরুৎপাদন করা;
(খ) কর্মটি জনগণের মধ্যে প্রচার করা;
(গ) সার্কুলেশনে রহিয়অছে এমন অনুলিপি ব্যতিরেকে, কর্মটির অনুলিপি জনগণের জন্য ইস্যু করা;
(ঘ) কর্মটিকে কোন চলচ্চিত্রের ছবির অন্তর্ভুক্ত করা;
(ঙ) কর্মটির অভিযোজন করা;
(চ) কর্মটির অভিযোজন বিষয়ে উপরের (ক) হইতে (ঘ)-এর ইল্লিখিত কোন কিছু করা;
(ছ) কর্মটি সম্প্রচার করা বা কর্মটির সম্প্রচারকৃত বিষয় ম্যইক বা অনুরূপ অন্য কোন যন্ত্রের সাহায্যে জনসাধারণকে অবহিত করা।
(৪) চলচ্চিত্র ফিল্ম এর ক্ষেত্রে-
(ক) কর্মটির অংশবিশেষের প্রতিবিম্বের ফটোগ্রাফসহ উহার অনুলিপি তৈরী করা;
(খ) ইতিপূর্বে এইরূপ অনুলিপি বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করা হউক বা না হউক; ফিল্ম এর অনুলিপি বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করা অথবা বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করার প্রস্তাব করা;
(গ) ফিল্মটি জনগণের মধ্যে প্রচার করা;
(৫) শব্দ রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে-
(ক) অভিন্ন রেকর্ডিং অংগীভূত করিয়া অন্য কোন শব্দ রেকর্ডিং তৈরী করা;
(খ) এতাপূর্বে একইরূপ অনুলিপি বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করা হউক বা না হউক, শব্দ রেকর্ডিং এর কোন অনুলিপি বিক্রয় করা বা ভাড়া প্রদান করা অথবা বিক্রয় বা ভাড়া প্রদান করার প্রস্তাব করা;
(গ) শব্দ রেকর্ডিং জনগণের মধ্যে প্রচার করা।
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, একবার বিক্রয় হইয়াছে এমন অনুলিপি ইতিমধ্যে সার্কুলেশনে থাকা অনুলিপি বলিয়া গণ্য হইবে।
১৫। কপিরাইট থাকে এমন কর্ম :
(১) এই ধারার বিধান এবং এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, নিম্নলিখিত শ্রেণীর কর্মের কপিরাইট বিদ্যমান, যথা :
(ক) সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও শিল্পসুলভ আদি কর্ম;
(খ) চলচ্চিত্র ছবি;
(গ) শব্দ রেকর্ডিং;
(২) ধারা ৬৮ বা ৬৯ প্রযোজ্য হয় এমন কর্ম ব্যতীত উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন কর্মের ক্ষেত্রে কপিরাইট থাকিবে না, যদি-
(ক) কোন প্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়, বা যেক্ষেত্রে কর্মটি বাংলাদেশের বাহিরে প্রকাশিত হইবার ক্ষেত্রে, উহার প্রকাশনার তারিখে প্রণেতা, বা ঐ তারিখে প্রণেতা জীবিত না থাকিলে, মৃত্যুর তারিখে বাংলাদেশের নাগিরক বা স্থায়ী বাসিন্দা না হইয়া থাকেন;
(খ) স্থাপত্য শিল্পকর্ম ব্যতীত কোন অপ্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটি প্রস্তুতের সময় প্রণেতা বাংলাদেশের নাগিরক অথবা স্থায়ী বাসিন্দা না হইয়া থাকেন :
তবে শর্ত থাকে যে, দফা (ক) ও (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন চলচ্চিত্র ফিল্মের প্রযোজকের সদর দপ্তর বা সচরাচর আবাস ফিল্মটি নির্মাণের উল্লেখযোগ্য বা সম্পূর্ণ সময়ে বাংলাদেশে থাকে তাহা হইলে উক্ত চলচ্চিত্র ফিল্মের কপিরাইট বহাল থাকিবে।
(গ) কোন স্থাপত্য শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটি বাংলাদেশে অবস্থিত না থাকে;
ব্যাখ্যা : যৌথ প্রণেতার কর্মের ক্ষেত্রে, এই উপ-ধারায় উল্লিখিত শর্তাবলী কর্মটির সকল প্রণেতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কপিরাইট বহাল থাকিবে না-
(ক) চলচ্চিত্র ফিল্ম এর ক্ষেত্রে যদি ফিল্মটির মৌলিক অংশ অন্য কোন কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত হয়;
(খ) সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্ম দ্বারা শব্দ রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে, যদি শব্দ রেকর্ড করার সময় উক্ত কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘন করা হয়।
(৪) চলচ্চিত্র ফিল্ম বা শব্দ রেকর্ডিং এর কপিরাইট এমন কোন কর্মের স্বতন্ত্র কপিরাইটকে প্রভাবিত করিবে না যে সম্পর্কিত বিষয়ে কর্মটি বা উহার মৌলিক অংশ বা ক্ষেত্রমত, শব্দ রেকির্ডিং তৈরী হইয়াছে।
(৫) স্থপত্য শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, কপিরাইট কেবল শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য ও ডিজাইনে থাকিবে এবং নির্মাণ প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিতে বিস্তৃত হইবে না।
১৬। ১৯১১ সনের ২নং আইনের অধীন নিবন্ধিত বা নিবন্ধিতব্য ডিজাইন সম্পর্কিত কপিরাইট :
(১) পেটেন্টস এ্যাক্ট ডিজাইনস এ্যাক্ট, ১৯১১ (১৯১১ সনের ২নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত কোন ডিজাইনে এই আইনের অধীন কপিরাইট থাকিবে না।
(২) পেটেন্টস এ্যান্ড ডিজাইনস এ্যাক্ট, ১৯১১ (১৯১১ সনের ২নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত হওয়ার যোগ্য কিন্তু ঐভাবে নিবিন্ধিত হয় নাই এরূপ যে কোন ডিজাইনের কপিরাইটের অবসান হইবে যখনই উক্ত ডিজাইনে প্রয়োগ করা হইয়াছে এমন কোন বস্তুর কপিরাইট উহার স্বত্বাধিকারী দ্বারা বা তাহার অনুমতি সহকারে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পঞ্চাশবারের বেশী পুনরুৎপাদন করা হইয়াছে।
চতুর্থ অধ্যায়
কপিরাইটের স্বত্ব এবং মালিকদের অধিকার
১৭। কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী :
এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোন কর্মের প্রণেতা ঐ কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে,-
(ক) চাকুরী বা শিক্ষানবিসী চুক্তির অধীন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সাময়িকীর মালিকের চাকুরীতে নিযুক্ত থাকাকালে প্রণেতা কর্তৃক সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সাময়িকীতে প্রকাশের উদ্দেশ্যে রচিত সাহিত্য, নাট্য বা শিল্প সম্পর্কিত কর্মের ক্ষেত্রে, উক্ত মালিক ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকার শর্তে কর্মটি সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সাময়িকীতে প্রকাশ বা পুনরুৎপাদনের সহিত যতখানি সম্পর্কযুক্ত ততখানি কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবেন;
(খ) দফা (ক) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যক্তির উদ্যোগে এবং অর্থের বিনিময়ে ফটোগ্রাফ লওয়া, ছবি বা প্রতিকৃতি আঁকা খোদাই কাজ বা চলচ্চিত্র নির্মাণ করার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকা সাপেক্ষে, উহার কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবেন;
(গ) চাকুরী বা শিক্ষানবিসীর চুক্তির অধীন কোন কর্মের প্রণেতার চাকুরীতে দফা (ক) বা (খ) প্রযোজ্য হয় না এমন নিযুক্ত থাকাকালে নিয়োগকারী, ভিন্নরূপ কোন চুক্তির অনুপস্থিতিতে, ঐ কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবেন;
(ঘ) জনসমক্ষে প্রদত্ত বক্তৃতা বা বিবৃতির ক্ষেত্রে, বক্তৃতা বা বিবৃতি প্রদানকারী ব্যক্তি অথবা উক্ত ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির পক্ষে উক্ত বক্তৃতা বা বিবৃতি প্রদান করিয়া থাকিলে, উক্ত অপর ব্যক্তি, উক্ত বক্তৃতা বা বিবৃতি প্রদানকারী ব্যক্তি বা যাহার পক্ষে উক্ত বক্তৃতা বা বিবৃতি প্রদান করা হইয়াছে সেই ব্যক্তি অপর কোন এমন ব্যক্তির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন, যিনি সংশ্লিষ্ট বক্তৃতা বা বিবৃতির ব্যবস্থা করা বা বক্তৃতা বা বিবৃতি প্রদানের স্থানের ব্যবস্তা করা সত্ত্বেও উহার কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবেন;
(চ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অনুরূপ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে প্রথম প্রকাশিত কোন কর্মের ক্ষেত্রে, উক্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ভিন্নতর কোন চুক্তি না থাকিলে, কর্মটির কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবে;
(ছ) ধারা ৮৬ প্রযোজ্য হয় এমন কোন কর্মের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান উহার কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইবে।
১৮। কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগ :
(১) কোন বিদ্যমান কর্মের কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী বা ভবিষ্যৎ কর্মের কপিরাইটের সম্ভাব্য স্বত্বাধিকারী যে কোন ব্যক্তির নিকট কোন কপিরাইটের সম্পূর্ণ বা আংশিক, সাধারণভাবে বা শর্তসাপেক্ষে পূর্ণ মেয়াদ বা আংশিক মেয়াদের জন্য স্বত্ব নিয়োগ করিতে পারেন :
তবে শর্ত থাকে যে, ভবিষ্যৎ কর্মের কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগের ক্ষেত্রে, কর্মটির অস্তিত্বশীল হওয়ার পর স্বত্ব নিয়োগ কার্যকর হইবে।
(২) যেক্ষেত্রে কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগী কপিরাইটের অন্তর্ভুক্ত কোন স্বত্বের অধিকারী হন, সেক্ষেত্রে, স্বত্ব নিয়োগী যে পরিমাণ স্বত্ব লাভ করিয়াছেন এবং স্বত্ব প্রদানকারী যে পরিমাণ স্বত্ব প্রদান করেন নাই তৎসম্পর্কে স্বত্ব প্রদানকারী এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং তদনুসারে এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে।
ব্যাখ্যা : এই ধারা "স্বত্ব নিয়োগী" কোন ভবিষ্যৎ কর্মের কপিরাইটের ক্ষেত্রে স্বত্ব নিয়োগীর আইনানুগ প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হইবে যদি কর্মটি অস্তিত্বশীল হইবার পূর্বেই স্বত্ব নিয়োগীর মৃত্যু হয়।
১৯। স্বত্ব নিয়োগের ধরণ :
(১) কোন কর্মের কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগ বৈধ হইবে না, যদি তাহা প্রদানকারী বা তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির দ্বারা স্বাক্ষরিত না হয়।
(২) কোন কর্মের কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগ অবশ্যই কর্মটিকে চিহ্নিত করিবে, এবং স্বত্ব নিয়োগকৃত অধিকার ও অধিকারের মেয়াদ এবং স্বত্ব নিয়োগের ভৌগলিক পরিধি দলিলে উল্লেখ থাকিবে।
(৩) কোন কর্মের কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগ দলিলে প্রণেতা অথবা তাহার উত্তরাধিকারীকে স্বত্ব নিয়োগ কার্যকর থাকাকালীন সময়ে প্রদেয় রয়্যালিটির উল্লেখ থাকবে এবং পারস্পরিক স্বীকৃতি মতে স্বত্ব নিয়োগ পুনঃরীক্ষণ, বর্ধিতকরণ বা বাতিলের ব্যবস্থা রাখা সাপেক্ষে হইবে।
(৪) যে ক্ষেত্রে স্বত্ব নিয়োগীকারী তাহার নিকট এই ধারার কোন উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত অধিকার স্বত্ব নিয়োগের তারিখ হইতে এক বৎসর ব্যবহার না করেন, উক্ত অধিকারের স্বত্ব নিয়োগ উক্ত সময়সীমা উত্তীর্ণের পর, স্বত্ব নিয়োগ দলিলে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, তামাদি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫) যদি কোন স্বত্ব নিয়োগের মেয়াদ উল্লেখ না থাকে, তাহা হইলে স্বত্ব নিয়োগের তারিখ হইতে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য উহা করা হইয়াছে গণ্য হইবে।
(৬) যদি স্বত্ব নিয়োগের ভৌগোলিক পরিধি উল্লেখ না থাকে, তাহা হইলে উহার পারিধি বাংলাদেশের সর্বত্র বলিয়া গণ্য হইবে।
(৭) উপ-ধারা (২), (৩), (৪), (৫) ও (৬)-এ উল্লিখিত বিধানবলীর কোন কিছুই এই আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে সম্পাদিত স্বত্ব নিয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকর হইবে না।
২০। কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগী বিষয়ক বিরোধ :
(১) যদি কোন স্বত্ব নিয়োগী তাহার নিকট হস্তান্তরকৃত কোন অধিকার ব্যবহার করিতে ব্যর্থ হন এবং উক্ত ব্যর্থতার জন্য স্বত্ব নিয়োগীকারীর কোন কার্য বা কার্যহীনতা দায়ী না হয়, তাহা হইলে বোর্ড, স্বত্ব প্রদানকারী নিকট হইতে অভিযোগ পাইয়া, তদভিত্তিতে তৎকর্তৃক যথাযথ বিবেচিত তদন্তের পর স্বত্ব নিয়োগ বালিত করিতে পারিবে।
(২) যদি কপিরাইটের কোন স্বত্ব নিয়োগের বিষয়ে উদ্ভব হয়,বোর্ড সংক্ষুব্ধ পক্ষের নিকট হইতে অভিযোগ পাপ্তি এবং তদভিত্তিতে কতৎকর্তৃক যথাযথ বিবেচিত তদন্তের পর রয়্যালটি উদ্ধারের আদেশসহ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত আদাশে প্রদান করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীনে বোর্ড স্বত্ব নিয়োগী বাতিল করার কোন আদেশ প্রদান করিবে না যদি বোর্ড এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, স্বত্ব নিয়োগের শর্ত স্বত্ব প্রদানকারীর জন্য যদি তিনি প্রণেতা হন কঠোর হইয়াছে;
আরও শর্ত থাকে যে,এই উপ-ধারার অধীন কোন স্বত্ব নিয়োগ রদের আদেশ স্বত্ব নিয়োগের পরবর্তী ৫ বছর সময়সীমার মধ্যে প্রদান করা যাইবে না।
২১। পান্ডুলিপির কপিরাইট উইলমূলে হস্তান্তর :
যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি উইলমূলে কোন সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্ম, বা শিল্প পান্ডালিপির অধিকারী হয়, এবং কর্মটি উইলকারীর মৃত্যুর পূর্বে প্রকাশিত না হইয়া থাকে, সেক্ষেত্রে উইলকারীর উইলে বা তৎসম্পর্কিত কডিসিলে ভিন্নরূপ কোন অভিপ্রায় প্রকাশ না পাইলে, মৃত্যুর পূর্বে উইলকারী ঐ কর্মের যে পরিমাণ কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী ছিলেন সেই পরিমাণ কপিরাইট উইলের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া ধরিতে হইবে।
ব্যাখ্যা : এই ধারার "পান্ডুলিপি" অর্থ কর্মটি ধারণকারী মূলদলিল, হস্তলিখিত হউক বা না হউক।
২২। স্বত্বাধিকারীর কপিরাইট পরিত্যাগের অধিকার :
(১) কোন কর্মের প্রণেতা কপিরাইটে তাহার সকল বা যে কোন স্বত্ব নির্ধারিত ফরমে রেজিষ্ট্রার-এর বরাবরে নোটিস দিয়া পরিত্যাগ করিতে পারেন এবং তৎপ্রেক্ষিতে উক্তরূপ স্বত্ব উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে নোটিশের তারিখ হইতে বিলুপ্ত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, রেজিষ্ট্রার তাহা সরকারী গেজেটে তাহার বিবেচনায় যথাযথ পদ্ধতিতে প্রকাশ করিবেন।
(৩) কোন কর্মের কপিরাইটে অন্তর্ভুক্ত সকল বা যে কোন স্বত্বের পরিত্যাগ কোন ব্যক্তির পক্ষে উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত নোটিশ দিবার তারিখে বিদ্যমান যে কোন স্বত্বকে পভাবিত করিবে না।
২৩। মূল অনুলিপির পুনঃবিক্রয়ের শেয়ার :
(১) কোন চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য বা রেখাচিত্রের মূল কপির বা কোন সাহিত্য কর্মের মূল পান্ডুলিপি বা কোন নাট্য বা সংগীত কর্মের মূল অনুলিপির পুনঃবিক্রয়ের ক্ষেত্রে, অনুরূপ কর্মের প্রণেতা যদি ধারা ১৭ এর অধীন প্রথম অধিকারের মালিক বা তাহার বৈধ উত্তরাধিকারী হন, তাহা হইলে, উক্ত কর্মের কপিরাইটের স্বত্বানিয়োগ সত্বেও, এই ধারার বিধান অনুসারে অনুরূপ মূল অনুলিপি বা পান্ডুলিপির পুনঃবিক্রয় মূল্যের অংশ পাইবার অধিকারী হইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, কর্মটির কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর অনুরূপ অধিকার বিলুপ্ত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত অংশ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে এবং এই বিষয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মের জন্য বিভিন্ন রকম অংশ ধার্য করিতে পারিবে :
আরও শর্ত থাকে যে, কোন ক্ষেত্রেই এইরূপ অংশ পুনঃবিক্রয় মূল্যের ১০% এর বেশী হইবে না।
(৩) এই ধারার দ্বারা অর্পিত অধিকারের বিষয়ে কোন বিরোধ সৃষ্টি হইলে, উহা বোর্ডে প্রেরিত হইবে এবং উহাতে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
পঞ্চম অধ্যায়
কপিরাইটের মেয়াদ
২৪। প্রকাশিত সাহিত্য, নাট্য, সংগীত ও শিল্প কর্মে কপিরাইটের মেয়াদ :
অত:পর ভিন্নরূপ বিধান করা না হইলে প্রণেতার জীবনকালে পকাশিত কোন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্প কর্মের (ফটোগ্রাফ ব্যতীত) কপিরাইট তাহার মুত্যুর পরবর্তী পঞ্জিকা-বৎসর হইতে গণনা করিয়া ষাট বছর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকিবে।
ব্যাখ্যা : এই ধারায় যৌথভাবে প্রণীত কর্মের ক্ষেত্রে, 'প্রণেতা' অর্থে যে প্রণেতার মৃত্যু শেষে হইয়াছে তাহাকে বুঝিতে হইবে।
২৫। মরণোত্তর কর্মে কপিরাইটের মেয়াদ :
(১) প্রণেতার মৃত্যুর তারিখে কপিরাইট বিদ্যমান থাকে এমন সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্ম বা খোদাই- কর্ম, বা অনুরূপ কর্মের যৌথ প্রণেতার ক্ষেত্রে, যিনি শেষ মৃত্যুবরণ করেন তাহার মৃত্যুর তারিখে বা উক্ত তারিখের পূর্বে কিন্তু যাহা বা যাহার অভিযোজন উক্ত তারিখের পূর্বে হয় নাই, তদ্রুপ ক্ষেত্রে, কর্মটির প্রথম প্রকাশের পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে বা কর্মটির কোন অভিযোজন পূর্ববর্তী কোন বৎসরে প্রকাশিত হইয়া থাকলে সেই বৎসরের পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে;
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্ম বা উক্ত কর্মের অভিযোজন প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যদি ঐ কর্মের বিষয়ে তৈরী কোন রেকর্ড জনসাধারণের নিকট বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা হইয়া থাকে।
২৬। চলচ্চিত্র ফিল্মের কপিরাইটের মেয়াদ :
কোন চলচ্চিত্র ফিল্মের ক্ষেত্রে, যে বছসর কর্মটি প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তি পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
২৭। শব্দ রেকর্ডিংয়ের কপিরাইটের মেয়াদ :
কোন শব্দ রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে, যে বৎসর রেকর্ডিং প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
২৮। ফটোগ্রাফের কপিরাইরেটর মেয়াদ :
ফটোগ্রাফের ক্ষেত্রে, যে বৎসর ফটোগ্রাফটি প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তি পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
২৯। বেনামী এবং ছদ্মনাম বিশিষ্ট কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ :
(১) বেনামী বা ছদ্মনামে প্রকাশিত কোন সাহিত্য, নাট্য সংগীত বা শিল্প কর্মের (ফটোগ্রাফ ব্যতীত) ক্ষেত্রে, যে বৎসর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ পাইলে, যে বৎসর প্রণেতার মৃত্যু হয় উহার পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
(২) উপ ধারা (১) এ উল্লিখিত বেনামী যৌথ প্রণেতার কর্মের ক্ষেত্রে, প্রণেতা অর্থে-
(ক) একজন প্রণেতার পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে, ঐ প্রণেতা,
(খ) একাধিক প্রণেতার পরিচয়ের ক্ষেত্রে, উক্তসব প্রণেতার মধ্যে সর্বশেষ যিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন সেই প্রণেতাকে বুঝিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১)-এ কোন ছদ্মনাম বিশিষ্ট যৌথভাবে প্রণীত কর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতার অর্থ বুঝিতে হইবে-
(ক) প্রণেতাগণের মধ্যে এক বা একাধিক প্রণেতার নাম (সকলের নহে) ছদ্মনাম হইলে এবং তাহার বা তাহাদের পরিচয় অপ্রকাশিত থাকিলে, যাহার নাম ছদ্মনাম নহে তাহার উল্লেখ বা দুই বা ততোধিক প্রণেতাগণের নাম ছদ্মনাম না হইলে ঐরূপ প্রণেতার উল্লেখ যিনি শেষে মৃত্যুবরন করিয়াছেন,
(খ) প্রণেতাগণের মধ্যে এক বা একাধিক নাম (সকলের নহে) ছদ্মনাম হইলে এবং তাহাদের মধ্যে এক বা একাধিক প্রণেতার নাম প্রকাশিত হইলে, প্রণেতাগণের মধ্যে ইহতে যাহাদের নাম ছদ্মনাম নহে তাহাদের মধ্যে যিনি শেষে মৃত্যুবরন করেন এবং যে প্রণেতাগণের নাম ছদ্মনাম ও প্রকাশিত তাহাদের উল্লেখ,'
(গ) সকল প্রণেতাগণের নাম ছদ্মনাম হইলে এবং তাহাদের মধ্যে একজনের পরিচয় প্রকাশিত হইলে যে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশিত হইয়াছে তাহার উল্লেখ বা, এইরূপ দুই বা ততোধিক প্রণেতার পরিচয় প্রকাশিত হইলে, ঐরুপ প্রণেতার মধ্যে যিনি শেষে মৃত্যুবরন করিয়াছেন তাহার উল্লেখ।
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোনো প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যদি প্রণেতা এবং প্রকাশক উভয়ের দ্বারা প্রণেতার পরিচয় জনসাধারণ্যে প্রকাশ হইয়া পড়ে অথবা সেই প্রণেতা অন্যভাবে বোর্ডের সন্তুষ্টিমতে তাহা প্রতিষ্ঠিত করেন।
৩০। সরকারী কর্মে কপিরাইটের মেয়াদ :
কোন সরকারী কর্মের কপিরাইটের ক্ষেত্রে, সরকার ঐ কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইলে যে বৎসর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তি পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকিবে।
৩১। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ :
কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মের কপিরাইটের ক্ষেত্রে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঐ কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী হইলে যে বৎসর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তি পঞ্জিকা-বর্ষ শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
৩২। আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ :
ধারা ৬৮ প্রযোজ্য হয় এমন কোন আন্তর্জাতিক সংগঠনের কর্মের ক্ষেত্রে, যে বৎসর কর্মটি প্রথম প্রকাশিত হইয়াছে উহার পরবর্তী পজ্ঞিকা-বর্ষের শুরু হইতে ষাট বৎসর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
৬ষ্ঠ অধ্যায়
সম্প্রচার সংস্থা এবং সম্পাদনকারীর অধিকার
৩৩। সম্প্রচার পুনরুৎপাদনের অধিকার :
(১) প্রত্যেক সম্প্রচার সংস্থা কর্তৃক সম্প্রচারিত বিষয়ে উহার বিশেষ অধিকার থাকিবে, যাহা "সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার" নামে অভিহিত হইবে।
(২) সম্প্রচার যে সৎসর প্রথম করা হইয়াছে উহার পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে ২৫ বছর পর্যন্ত সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার অক্ষুন্ন থাকিবে।
(৩) কোন সম্প্রচারিত বিষয়ে সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার অব্যাহত থাকাকালে কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকারের মালিকের লাইসেন্স ব্যতীত সম্প্রচার অথবা উহার মৌলিক অংশের বিষয়ে নিম্নোক্ত কোন কার্য করিলে, তিনি ধারা ৩৬ এর বিধান সাপেক্ষে, সম্প্রচার সংস্থার সম্প্রচার পুনরুৎপাদনের অধিকার লংঘন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, এবং বিষয়টির প্রকৃতিগত সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, অধ্যায় ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ এবং ১৭ এর বিধানাবলী সম্প্রচার সংস্থা ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন উহারা যথাক্রমে প্রণেতা এবং কর্ম ছিল, যথা :
(ক) সম্প্রচারটি পুন:সম্প্রচার করা; বা
(খ) অর্থের বিনিময়ে সম্প্রচারটি জনগণকে দেখা বা শোরার ব্যবস্থা করা; বা
(গ) সম্প্রচারটি সংস্থাপন করা; বা
(ঘ) বিনা লাইসেন্সে প্রাথমিক সংস্থাপন বা লাইসেন্সে থাকার ক্ষেত্রে উহার উদ্দেশ্য বহির্ভুত ক্ষেত্রে সংস্থাপনটির পুনরুৎপাদন করা; বা
(ঙ) উপ-দফা (গ) অথবা (ঘ)-এ উল্লিখিত কোন সংস্থাপন বা অনুরূপ সংস্থাপনের পুনরুৎপাদনকে জনগণের জন্য বিক্রয় করা, ভাড়া দেওয়া অথবা বিক্রয় বা ভাড়া প্রস্তাব করা।
৩৫। অন্যদের অধিকার ক্ষুন্ন না হওয়া :
সন্দেহ দূরীকরণার্থ এতদ্বারা ঘোষণা করা হইল যে, সম্প্রচার সংস্থা প্রদত্ত অধিকার কোন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা চলচ্চিত্র ফিল্ম অথবা সম্প্রচারের ব্যবহৃত শব্দ রেকর্ডিং এর কপিরাইট ক্ষতিগ্রস্ত করিবে না।
৩৫। সম্প্রাদনকারীর অধিকার :
(১) যেক্ষেত্রে কোন সম্পাদনকারী কোন সম্পাদনে আবির্ভুত করা নিয়োজিত হন, তাহার উক্ত সম্পাদন এর বিষয়ে একটি অধিকার থাকিবে, যাতা "সম্পাদনকারীর অধিকার" নামে অভিহিত হইবে।
(২) সম্পাদন যে বছর প্রথম করা হইয়াছে উহার পরবর্তী পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে পঞ্চাশ বৎসর পর্যন্ত সম্পাদনকারীর অধিকার বিদ্যমান থাকিবে।
(৩) কোন সম্পাদনের বিষয়ে সম্পাদনকারীর অধিকার অব্যাহত থাকাকালে কোন ব্যক্তি সম্পাদনকারীর অনুমতি ব্যতীত উক্ত সম্পাদন অথবা উহার মৌলিক অংশের বিষয়ে নিম্মোক্ত কোন কার্য করিলে, তিনি, ধারা ৩৬ এর বিধান সাপেক্ষে সম্পাদনকারীর অধিকার লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং বিষয়টির প্রকৃতিগত সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, অধ্যায় ১১, ১২ ও ১৩ এর বিধানাবরী সম্পাদনকারী ও সম্পদানের বিষয়ে এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন তাহারা যথাক্রমে প্রণেতা ও কর্ম ছিল, যথা :
(ক) সম্পাদনটির সংস্থাপন করা; বা
(খ) সম্পাদনটির সংস্থাপন পুনরুৎপাদন করা, যাহাতে-
(অ) সম্পাদনটির সংস্থাপন সম্মতি থাকে না; বা
(আ) সম্পাদনকারীর সম্মতির উদ্দেশ্য বহির্ভুতভাবে করা; বা
(ই) ধারা ৩৬ এর বিধানাবলীর অনুসরণে তৈরী সংস্থাপন ধারা ৩৬-এ উল্লিখিত উদ্দেশ্য হইতে ভিন্ন উদ্দেশ্যে তৈরী করা; অথবা
(গ) সম্পাদনটি এমন কোন ক্ষেত্রে সম্প্রচার করা যেক্ষেত্রে উহার ধারা ৩৬ অনুসরণে রচিত শব্দ রেকর্ডিং বা দর্শনসাধ্য রেকর্ডিং নহে অথবা উহা এমন কোন সম্প্রচার যাহা একই সম্প্রচার সংস্থা কর্তৃক ইতিপূর্বে সম্প্রচার এবং যাহা সম্পাদনকারীর অধিকার লংঘন একই সম্প্রচার সংস্থা কর্তৃক ইতিপূর্বে সম্প্রচারিত বিষয়ের সম্প্রচার এবং যাহা সম্পাদনকারীর অধিকার লংঘন করে নাই; বা (ঘ) সংস্থাপন বা সম্প্রচার হইতে জনগণের নিকট প্রচারণা ব্যতীত অন্যভাবে সম্পাদনটি জনগণের নিকট সম্প্রচার করা।
৩৬। সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার বা সম্পাদনকারীর অধিকার লংঘন করে না এমন কার্য :
নিম্নোক্ত কার্যাবলী দ্বারা কোন সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার বা সম্পাদনকারীর অধিকার লংঘিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না-
(ক) শব্দ রেকর্ডিং বা দর্শনসাধ্য রেকর্ডিং তৈরীকারকের ব্যক্তিগত ব্যবহার অথবা কেবলমাত্র শিক্ষাদান অথবা গবেষণার উদ্দেশ্য তৈরী; বা
(খ) কোন সম্পাদন বা সম্পদনের উদ্বৃত্ত অংশ সৎ উদ্দেশ্য ব্যবহার, চলমান ঘটনা প্রচার, পর্যালোচনা, শিক্ষা অথবা গবেষণার জন্য ব্যবহার; বা
(গ) প্রয়োজনীয় অভিযোজন এবং সংশোধনীসহ অনুরূপ অন্যান্য কার্য যাহাতে ধারা ৭৩ এর অধীনে কপিরাইট লংঘন সংঘটিত হয় না।
৩৭। সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার এবং সম্পাদনকারীর অধিকারের কেত্রে প্রযোজ্য অন্যান্য বিধান:
এই আইনের ধারা ১৮, ১৯, ৪৮, ৭৬, ৭৯, ৮৫, ৮৬ এবং ৯৩ প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও সংশোধন সাপেক্ষে, যে কোন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সম্প্রচার পুনরুৎপাদন অধিকার এবং সম্পাদনের ক্ষেত্রে অধিকারের বিষয়ে সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে যেইরূপ উহারা কোন কর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় :
তবে শর্ত থাকে যে, কোন কর্ম বা সম্পদানের ক্ষেত্রে কপিরাইট বা সম্পাদনকারীর অধিকার যদি বিদ্যমান থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত সম্প্রচার পুনরুৎপাদনের জন্য প্রদত্ত কোন লাইসেন্স কার্যকর হইবে না, যদি না উহা কপিরাইটের মালিক বা, ক্ষেত্রমত, সম্পাদনকারীর অথবা উভয়ের সম্মতিক্রমে প্রদত্ত হয়।
সপ্তম অধ্যায়
প্রকাশিত কর্মের সংস্করণের অধিকার
৩৮। মুদ্রণশৈলী সংরক্ষণ এবং সংরক্ষণের মেয়অদ :
কোন কর্মের কোন সংস্করণের প্রকাশক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, ফটোগ্রাফিক বা অনুরূপ কোন প্রক্রিয়ার ঐ সংস্করণের মুদ্রণশৈলীগত বিন্যাসের কপি তৈরী করিবার ক্ষমতা প্রদানের অধিকার ভোগ করিবেন এবং এইরূপ অধিকার যে বৎসর সংস্করণটি প্রথম প্রকাশিত হইয়াছে পরবর্তি পঞ্জিকা-বর্ষের শুরু হইতে পঁচিশ বৎসর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।
(ক) চরচ্চিত্রের স্বত্বাধিকারীগণ কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে তাহাদের নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পর্ঘ্যৈ অথবা যে কোন র্ঘ্যের কমপক্ষে একটি কপি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ, ভবিষ্যতে পগেষণা ইত্যাদি প্রয়োজনে জমা দিতে হইবে।
৩৯। লঙ্ঘন ইত্যাদি :
প্রকাশক হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া কোন ব্যক্তি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফিক বা অনুরূপ কোন প্রক্রিয়ার কোন সংক্ষরণ বা উহার মৌলিক অংশের মুদ্রণশৈলীগত বিন্যাসের কপি তৈরী করিলে বা করিবার কারণ ঘটাইলে, তিনি প্রকাশকের অধিকার লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং বিষয়বস্তুর প্রকৃতির গ্রহণযোগ্যতার সীমার মধ্যে, দ্বিতীয় অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রকাশক এবং সংস্করণসমূহের মুদ্রণশৈনীগত বিন্যাসের ক্ষেত্রে এইরূপৈ প্রযোজ্য হইবে যেন উহারা যথাক্রমে প্রণেতা ও কর্ম ছিল।
ব্যাখ্যা : "মুদ্রণশৈলীগত বিন্যাস" অর্থে ক্যালিগ্রাফিক অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৪০। কপিরাইটের সহিত সম্বন্ধ :
সকল প্রকার সন্দেহ দূরীকরণার্থ এতদ্বারা ঘোষণা করা হইল যে, এই অধ্যায়ের প্রকাশককে প্রদত্ত অধিকার।
(খ) সংস্করণটি কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত বা সংরক্ষিত নহে এই প্রশ্ন নির্বিশেষে, বিদ্যমান থাকিবে;
(খ) সাহিত্য, নাট্য, সংগীত, বা শিল্পকর্মের কপিরাইট, যদি থাকে উহাকে প্রভাবান্বিত করিবে না।
অষ্টম অধ্যায়
কপিরাইট সমিতি
৪১। কপিরাইট সমিতির নিবন্ধন :
(১) এই আইন বলবৎ হওয়ার পর, উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিবন্ধিত না হইলে,কোন ব্যক্তি বা সমিতি কপিরাইট বিদ্যমান আছে এমন কোন কর্মের জন্য অথবা এই আইনের অধীন প্রদত্ত অন্য কোন অধিকারের বিষয়ে লাইসেন্স ইস্যূ করার বা মঞ্জুর করার ব্যবসা শুরু করিতে অথবা অব্যাহত রাখিতে পারিবেন না :
তবে শর্ত থাকে যে, কপিরাইটের কোন মালিক কোন নিবন্ধিত কপিরাইট সমিতির সদস্য হিসাবে ব্যক্তিগত এখতিয়ারে তাহার দায়িত্বের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ নিজস্ব কর্মের ব্যাপারে লাইসেন্স প্রদানের অধিখার অব্যাহত রাখিতে পারিবেন :
আরো শর্ত থাকে যে, এই অঅইন প্রবর্তিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে কপিরাইট অধ্যাদেশ, ১৯৬২ (১৯৬২ সনের ৩৪নং অধ্যাদেশ) এর অধীনে কার্যরত পারফমিং রাইটস সোসাইটি, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কপিরাইট সমিতি মর্মে গণ্য হইবে এবং অনুরূপ সকল সমিতিকে এই আইন বলবৎ হওয়ার এক বছরের মধ্যে নিবন্ধীকৃত হইতে হইবে।
(২) নির্ধারিত শর্ত পূরণকারী প্রত্যেক সমিতি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যবসা করার অনুমতির জন্র রেজিষ্ট্রারের নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে, যিনি উক্ত দরখাস্ত সরকারের নিকট দাখিল করিবেন।
(৩) প্রণেতা এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য অধিকারের মালিকদের স্বার্থ, জনস্বার্থ ও জনগণের সুবিধা এবং, বিশেষতঃ লাইসেন্স প্রার্থী হইতে পারে এমন ব্যক্তিসমষ্টির স্বার্থ ও সুবিধা এবং দরখাস্তকারীদের যোগ্যতা এবং পেশাগত দক্ষতা বিচেনা করিয়া সরকার, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন সমিতিকে কপিরাইট সমিতিরূপে নিবন্ধিত করিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সাধারণতঃ একই শ্রেণীর কর্মের ব্যবসা করার জন্য একের অধিক সমিতিকে নিবন্ধিত করিবে না।
(৪) যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন কপিরাইট সমিতি কপিরাইট মালিকদের স্বার্থের পরিপন্থীভাবে উহার কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছে, সেক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে তদন্তপূর্বক উক্ত সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করিতে পারিবে।
(৫) যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কপিরাইট মালিকদের স্বার্থে প্রয়োজন মনে করিবে সেক্ষেত্রে সরকার, আদেশ দ্বারা উপ-ধারা (৪) এর অধীনে তদন্তধীন কোন সমিতির নিবন্ধন অনধিক এক বছরের জন্য আদেশে বর্ণিত সময়সীমার জন্য স্থগিত করিতে পারিবে এবং সরকার উক্ত কপিরাইট সমিতির কার্য নির্বাহের জন্য একজন প্রশাসক নিযুক্ত করিতে পারিবে।
৪২। কপিরাইট সমিতি কর্তৃক মালিকদের অধিকার নির্বাহ :
(১) এতদউদ্দেশ্যে নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে,-
(ক) কোন কপিরাইট সমিতি যে কোন অধিকারের মালিকদের নিকট হইতে লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স ফি আদায় বা উভয়বিধ কার্যের মাধ্যমে তাঁহার কোন কর্মের কোন অধিকার পরিচালনার জন্য একচ্ছত্র কর্তৃত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে; এবং
(খ) সংশ্লিষ্ট চু্ক্তির অধীন উদ্ভুত অধিকারের অনুরূপ অধিকার ক্ষুন্ন না করিয়া, কোন অধিকারের মালিকের উক্তরূপ কর্তৃত্ব প্রত্যাহার করিয়া নেওয়ার "ক্ষমতা" থাকিবে।
(২) এই আইনের অধীন উদ্ভুত অধিকারের অনুরূপ অধিকার পরিচালনা করে এইরূপ বিদেশী সমিতি বা সংস্থার সহিত কোন কপিরাইট সমিতি নিম্নরূপ কার্য সম্পাদনের নিমিত্তে আবদ্ধ হইতে পারে, যথা :
(ক) উক্ত বিদেশী সমিতি বা সংস্থাকে কোন বিদেশী রাষ্ট্রে উক্ত বাংলাদেশী কপিরাইট সমিতির প্রশাসনাধীন কোন অধিকার প্রশাসন করার দায়িত্ব প্রদান;
(খ) উক্ত বিদেশী সমিতি বা সংস্থার প্রশাসনাধীন কোন অধিকারের প্রশাসন বাংলাদেশে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোন সমিতি বা সংস্থা বাংলাদেশী কর্ম এবং অন্যান্য কর্মের লাইসেন্সের শর্ত বা আদায়কৃত ফি বন্টনের ক্ষেত্রে কোনরূপ বৈষম্য করিতে পারিবে না।
(৩) নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, প্রত্যেক কপিরাইট সমিতি-
(ক) এই আইনের অধীন কোন অধিখারের ব্যাপারে ধারা ৪৮ এর অধীন লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে;
(খ) অনুরূপ লাইসেন্স মোতাবেক ফি আদায় করিতে পারিবে;
(গ) স্বীয় ব্যয় কর্তনপূর্বক অনুরূপ ফি অধিকারের মালিকদের মধ্যে বন্টন করিতে পারিবে;
(ঘ) ধারা ৪৪ এর বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য যে কোন কার্য করিতে পারিবে।
৪৩। কপিরাইট সমিতি কর্তৃক পারিশ্রমিক প্রদান :
(১) সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন বিশেষ শ্রেণীর কর্মের কোন কপিরাইট সমিতি সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী অনুরূপ কর্মের মালিকদের অধিকার পরিচালনা কিরতেছে, তাহা হইলে সরকার সেই সমিতিকে এই ধারার উদ্দেশ্যে নিযুক্ত করিবে।
(২) কপিরাইট সমিতি, এতদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, কোন কর্মের প্রচার সঙখ্যা বিবেচনা করিয়া কপিরাইটের প্রত্যেক মালিককে প্রদেয় পারিশ্রমিকের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরী করিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ পরিকল্পনায় প্রদেয় অর্থ কপিরাইট সমিতির বিবেচনায় যুক্তিসংগত প্রচারণার পর্যায়ে উপনীত কর্মের কপিরাইট কালিকের মধ্যে সীমিত থাকিবে।
৪৪। কপিরাইট সমিতির উপর কপিরাইট মালিকদের নিয়ন্ত্রণ :
(১) প্রত্যেক কপিরাইট সমিতি সেই সকল কপিরাইট মালিকগলের যৌথ নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে যাহাদের অধিকার উক্ত সমিতি পরিচালনা করে (ধারা ৪২ এর উপ-ধারা (২)-এ বর্ণিত বিদেশী সমিতি বা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত অধিকারসমূহের মালিকগণ নহে) এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে-
(ক) ফি আদায় ও বন্টনের জন্য কপিরাইট মালিকদের অনুমোদন সংগ্রহ করে;
(খ) আদায়কৃত ফি হইতে কোন অংকের টাকা অধিকারের মালিকগণের মধ্যে বন্টন ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য উক্ত অধিকারের মালিকদের অনুমোদন গ্রহণ করে;
(গ) উক্ত মালিকদেরকে তাহাদের অধিখার পরিচালনার বিষয়ে উহার কার্যকলাপ সম্পর্কে নিয়মিত পূর্ণ ও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।
(২) সকল ফি অধিকারের মালিকদের মধ্যে, যতদুর সম্ভব, তাহাদের কর্মের প্রকৃত ব্যবহারের অনুপাতে বন্টন করিতে হইবে।
৪৫। রিটার্ণ এবং প্রতিবেদন :
(১) প্রত্যেক কপিরাইট সমিতি, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যে কোন সকল কর্মের ক্ষেত্রে উহার মঞ্জুর কর্তৃত্ব আছে সেই সব লাইসেন্স বাবদ যে ফি, চার্জ রয়্যালটি আদায় করার প্রস্তাব করে উহাসহ নির্ধারিত অন্যান্য আদায়ের একটি বিবরণ প্রস্তুত ও প্রকাশ করিয়া রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবে।
(২) সরকার হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোন কর্মকর্তা সমিতি কর্তৃক পরিচালিত অধিকার বাবদ আদায়কৃত ফি এই আইনের বিধানাবলী অনুসারে যথাযথভাবে ব্যবহৃত ও বন্টিত হইতেছে কিনা সে সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইবার জন্য কপিরাইট সমিতি হইতে যে কোন প্রতিবেদন অথবা নথি তবল করিতে পারিবে।
৪৬। হিসাব এবং নিরীক্ষা :
(১) এই আইনের ধারা ৪১ এর অধীন নিযুক্ত প্রত্যেক কপিরাইট সমিতি যথাযথভাবে হিসাব ও অন্যান্য রেকর্ড সংরক্ষণ করিবে এবং সরকার কর্তৃক কম্পট্রোলা ও অডিটর-জেনারেলের সহিত পরামর্শক্রমে এতদউদ্দেশ্য প্রণীত ফরম ও পদ্ধতিতে যথাযথ হিসাব এবং অন্যান্য নথি সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাব বিবরণী প্রণয়ন করিবে।
(২) সরকার হইতে প্রাপ্ত প্রত্যেক কপিরাইট সমিতির অর্থের হিসাব কম্পট্রোলার ও অপিটর-জেনারেল কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের ব্যবধানে তৎকর্তৃক নিরীক্ষিত হইবে এবং উক্ত নিরীক্ষা বাবদ ব্যয়িত অর্থ কপিরাইট সমিতি কর্তৃক কম্পট্রোলার ও অপিট-জেনারেলকে প্রদেয় হইব।
(৩) কোন সরকারী হিসাব নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কম্পট্রোলার ও অপিটর-জেনারেল এর যে ক্ষমতা ও অধিকার থাকে, উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কপিরাইট অফিসের হিসাব নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কম্পট্রোলার ও অডিটর-জেনারেল অথবা তৎকর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তির একই ক্ষমতা ও অধিকার থাকিবে, এবং বিশেষত:
কম্পট্রোলার ও অডিটর বা তৎকর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তি হিসাব নিরীক্ষর প্রয়োজনে যে কোন বই, হিসাব এবং অন্যান্য দলিলাদী এবং কাগজপত্রের উপস্থাপন দাবী করিতে এবং কপিরাইট সমিতির যে কোন অফিস পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
৪৭। অব্যাহতি :
(১) এই অধ্যায়ের কোন কিছুই এই আইন বলবৎ হওয়ার পূর্বে কোন কর্মে কোন পারফরমিং রাইটস সোসাইটি কর্তৃক অর্জিত অধিকার বা উহার অর্পিত দায়িত্ব ক্ষুন্ন করিবে না।
(২) এই অধ্যায়ের কোন কিছুই এই আইন বলবৎ হওয়ার পূর্বে কোন কর্মের বিষয়ে পারফরমিং রাইটস সোসাইটির অধিকার ও দায়িত্ব বিষয়ে উদ্ভুত কোন বিচারবিভাগীয় কার্যক্রমকে প্রভাবান্বিত করিবে না।
নবম অধ্যায়
লাইসেন্স
৪৮। কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী প্রদত্ত লাইসেন্স :
কোন বিদ্যমান কর্মের কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী বা কোন ভবিষ্যৎ কর্মের কপিরাইটের সম্ভাব্য স্বত্বাধিকারী তাহার, বা তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির, স্বাক্ষরিত লাইসেন্সের মাধ্যমে কপিরাইটের যে কোন স্বার্থ প্রদান করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ভবিষ্যৎ কর্মের কপিরাইট সম্পর্কিত লাইসেন্সের ক্ষেত্রে, কর্মটি অস্তিত্বশীল হওয়ার পর লাইসেন্স কার্যকর হইবে।
ব্যাখ্যা : এই ধারার অধীন কোন ভবিষ্যৎ কর্মের কপিরাইটের ব্যক্তি কর্মটি অস্তিত্বশীল হইবার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে, তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি, লাইসেন্সে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, লাইসেন্সের সুবিধা ভোগ করিবার অধিকারী হইবেন।
৪৯। ধারা ১৯ এবং ২০ এর প্রয়োগ :
ধারা ১৯ এবং ২০ এর বিধানবলী, প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও সংশোধন সাপেক্ষে, ধারা ৪৮ এর অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্সের ক্ষেত্রে এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে, যেভাবে ঐ সকল বিধান অন্য কোন কর্মের কপিরাইটের স্বত্ব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
৫০। জনসাধারণের নিকট বারিত কর্মের বাধ্যতামূলক লাইসেন্স :
প্রকাশিত বা জনসাধারণ্যে সম্পাদিত বাংলাদেশী কোন কর্মের কপিরাইটের মেয়াদের মধ্যে যদি এই মর্মে বোর্ডের নিকট দরখাস্ত করা হয় যে ঐ কর্মের কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী-
(ক) কর্মটি পুন:প্রকাশ করিতে বা পুন:প্রকাশ করিবার অনুমতি দিতে অস্বীকার করিয়াছেন অথবা কর্মটি জনসাধারণ্যে সম্পাদন করিবার অনুমতি দিতে অস্বীকার করিয়াছেন এবং ঐরূপ অস্বীকৃতির কারণে কর্মটি জনসাধারণ্যের নিকট বারিত রহিয়াছে; অথবা
(খ) ঐরূপ কর্মের সম্প্রচার দ্বারা গণযোগযোগের অনুমতি দিতে অস্বীকার করিয়াছেন, তাহা হইলে বোর্ডে ঐ কর্মের কপিরাইটের স্বত্বাধিকারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত নহে, তাহা হইলে আবেদনকারীকে কর্মটি পুন:প্রকাশের লাইসেন্স প্রদানের জন্য রেজিষ্ট্রারকে, বোর্ড যেরূপ নির্ধারণ করিবে কপিরাইটের স্বত্বাধিকারীকে সেইরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা সাপেক্ষে এবং ক্ষেত্রমত, অন্য কোন শর্ত আরোপ করা সাপেক্ষে, আবেদনকারীকে কর্মটি পুন:প্রকাশ করিবার, জনসাধারণ্যে, সম্পাদন করিবার বা সম্প্রচার দ্বারা কর্মটি জনসাধারণ্যে সঞ্চারিত করিবার জন্য লাইসেন্স প্রদান করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং অতঃপর রেজিষ্ট্রার বোর্ডের নির্দেশাবলী অনুসারে আবেদনকারীকে নির্ধারিত ফি পরিশোধের বিনিময়ে লাইসেন্স প্রদান করিবে।
ব্যাখ্যা : এই উপ-ধারা "বাংলাদেশী কর্ম" অভিব্যক্তি দ্বারা সেই সকল চলচ্চিত্র কর্ম অথবা শব্দ রেকর্ডিং অন্তর্ভুক্ত হইবে যাহা বাংলাদেশে তৈরী বা প্রস্তুত হইয়াছে।
(২) উপ-ধারা ৯১) এর অধীনে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি আবেদন পেশ করিলে, বোর্ডের মতে, যে ব্যক্তি জনসাধারণের স্বার্থে সর্বাপেক্ষা ভাল কাজ করিবে, সেই আবেদনকারীকে লাইসেন্স প্রদান করা হইবে।
৫১। অপ্রকাশিত বাংলাদেশী কর্মের বাধ্যতামূলক লাইসেন্স :
(১) যেক্ষেত্রে কোন বাংলাদেশী কর্মের প্রন্থকার মৃত, অজ্ঞান বা নিরুর্দ্দিষ্ট অথবা কর্মের কপিরাইটের মালিকের কোন সন্ধান নাই, সেক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তি উক্ত কর্ম অথবা যে কোন ভাষায় উহার অনুবাদ প্রকাশের জন্য লাইসেন্স চাহিয়া বোর্ডে এর নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাস্ত দাখিলের পূর্বে দরখাস্তকারী তাহার প্রস্তাব বাংলাদেশে প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজী ভাষার দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিটির একটি সংখ্যায় প্রকাশ করিবে; এবং যদি কর্মটি অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ প্রকাশের জন্য দরখাস্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ভাষায় প্রকাশিত একটি দৈনিক সংবাদপত্রেও প্রস্তাবটি, এই শর্তে প্রকাশ করিতে হইবে যে, বাংলাদেশে উক্ত ভাষায় একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়া থাকে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন এর প্রত্যেক দরখাস্ত-
(ক) নির্ধারিত ফরমে,
(খ) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের একটি অনুলিপি সংযোজিত করিয়া,
(গ) নির্ধারিত ফি সংযোগে, দাখিল কারিতে হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন বোর্ডের নিকট দরখাস্ত দাখিল করা হইলে, বোর্ড নির্ধারিত পদ্ধতিতে তদন্তসম্পন্ন, করিয়া, রেজিষ্ট্রারকে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত রয়্যালটি প্রদান ও অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে, কর্মটি অথবা উহার অনুবাদ দরখাস্তে বর্ণিত ভাষায় প্রকাশের জন্য দরখাস্তকারীকে লাইসেন্স মুঞ্জর করার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং রেজিষ্ট্রার দরখাস্তকারীর অনুকূলে বোর্ডের নির্দেশ অনুসারে লাইসেন্স মঞ্জুর করিবে।
(৫) যেক্ষেত্রে এই ধারার অধীন লাইসেন্স মঞ্জুর করা হয়, সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার দরখাস্তকারীকে বোর্ড কর্তৃক রয়্যালটি তৎকর্তৃক নির্দিষ্ট হিসাবে জমাদানের জন্য, আদেশ দ্বারা, নির্দেশ দিতে পারিবে এবং তৎভিত্তিতে কপিরাইটের মালিক বা ক্ষেত্রমত, তাহার উত্তরাধিকারী, নির্বাহক বা আইনানুগ প্রতিনিধি যে কোন সময় উক্ত রয়্যালটি দাবী করিতে পারিবেন।
(৬) এই ধারায় উপরি-উল্লেখিত বিধানাবলী ক্ষুন্ন করিয়া, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন কর্মের ক্ষেত্রে যদি মুল প্রণেতা জীবিত না থাকেন, তাহা হইলে সরকার জাতয়ি স্বার্থে কর্মটির প্রকাশনা প্রত্যাশিত বিবেচনা করিলে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কর্মটি প্রকাশ করিবার জন্য প্রণেতার উত্তরাধিকারী, নির্বাহক অথবা বৈধ প্রতিনিধিকে আহবান করিতে পারিবে।
(৭) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (৬) এর অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন কর্ম প্রকাশিত না হয়, ক্ষেত্রে, কর্মটি প্রকাশের অনুমতির জন্য, কোন ব্যক্তির দরখাস্তের ভিত্তিতে, বোর্ড, সংশ্লিষ্টপক্ষগণকে শুনাণীর সুযোগ প্রদান করতঃ নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবস্থা বিবেচনা করিয়া, নির্ধারিত রয়্যালটি প্রদানের স্বার্থে কর্মটি প্রকাশের অনুমতি দিতে পারিবে।
৫২। অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশের লাইসেন্স :
(১) কোন সাহিত্য বা নাট্য কর্মের প্রথম প্রকাশের পাঁচ বছর পরে বাংলাদেশে সাধারণভাবে ব্যবহৃত যে কোন ভাষায় উহার অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশের জন্য যে কোন ব্যক্তি বোর্ডের নিকট লাইসেন্স চাহিয়া আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিক্ষতা অথবা গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রয়োজন হইলে কোন ব্যক্তি মুদ্রণ অথবা পুনরুৎপাদনের অনুরুপ কোন মাধ্যমে বাংলাদেশী ব্যতীত অন্য কোন সাহিত্য বা নাট্যকর্মের বাংলাদেশে সাধারণতঃ ব্যবহৃত কোন ভাষায় অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশের জন্য, কর্মটির প্রথম প্রকাশের তিন বছর পরে, বোর্ডের নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে অনুরুপ অনুবাদ কোন উন্নত দেশে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় না এমন ভাষায় হয়, সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি অনুরুপ দরখাস্ত উক্ত কর্মটি প্রকাশের এক বছর পরে পরিতে পারিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন প্রত্যেক দরখাস্ত নির্ধারিত ফরমে করিতে হইবে এবং কর্মটির অনুবাদের প্রতি কপির প্রস্তাবিত খুচরা মূল্য উল্লেখ করিতে হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন লাইসেন্সের প্রত্যেক দরখাস্তকারী তাহার দরখাস্তের সহিত নির্ধারিত ফি রেকিষ্ট্রারের নিকট জমা দান করিবেন।
(৫) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন এর বোর্ডের নিকট দরখাস্ত দাখিল করা হয়, সেক্ষেত্রে বোর্ড, নির্ধারিত তদন্ত অনুষ্ঠান শেষে, রেজিষ্ট্রারকে দরখাস্তে বর্ণিত ভাসায় কর্মটির অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশের একচেটিয়া নহে এমন লাইসেন্সর প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন বোর্ডের নির্দেশ নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে হইবে, যথা :
(ক) আবেদনকারী ঐ কর্মের কপিরাইটের মালিককে জনসাধারণের নিকট কর্মটির অনুবাদ বিক্রয়ের জন্য রয়্যালটি প্রদান করিবে, যাহা বোর্ড কর্তৃক, প্রত্যেক ক্ষেত্রের অবস্থা বিবেচনাক্রমে নির্ধারিত পন্থায় ধার্য করা হইবে।
(খ) যদি লাইসেন্সটি উপ-ধারা (১) এর অধীনে দাখিলকৃত দরখাস্তের ভিত্তিতে প্রদত্ত হয়, সেক্ষেত্রে উহা উক্ত কর্মটির অনুবাদের কপি বাংলাদেশের বাহিরে রপ্তানীর জন্য প্রযোজ্য হইবে না এবং অনুরূপ অনুবাদের প্রত্যেকটির অনুলিপিতে এই ভাষায় কপিটি যে কেবলমাত্র বাংলাদেশে বিতরণের জন্য তৎমর্মে একটি নোটিশ থাকিতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বা সরকারের অধীনস্থ কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইংরেজী, ফারাসী বা স্প্যানিশ ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় কর্মটির অনুবাদের কপি কোন দেশে রপ্তানীর ক্ষেত্রে দফা (ক) এর বিধান কার্যকর হইবে না, যদি-
(অ) অনুরূপ কপি বাংলাদেশের বাহিরে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের নিকট অথবা বাংলাদেশের বাহিরে অনুরূপ নাগরিকদের সমিতির নিকট প্রেরিত হয়; বা
(আ) অনুরূপ কপি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে শিক্ষকতা, বৃত্তি অথবা গবেষণাকার্য হয় এবং কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে না হয়; বা
(ই) উপরের (অ) এবং (আ) এর ক্ষেত্রে অনুরূপ রপ্তানীর অনুমতি ঐ দেশের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত হয় :
আরো শর্ত থাকে যে,-
(অ) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন লাইসেন্স প্রদান করা হইবে না যদি না আবেদনপত্রে উল্লেখিত ভাষায় কর্মটির কোন অনুবাদ উহার কপিরাইটের মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্মটির প্রথম প্রকাশের ৫ বছরের মধ্যে প্রকাশ না কারিয়া থাকেন, বা প্রকাশিত হইয়া থাকিলে উহা নিঃশেষ না হইয়া থাকে :
(আ) উপ-ধারা (২) এর শতাংশের অধীন দরখাস্ত ব্যতীত উক্ত উপ-ধারার অধীন কোন লাইসেন্স মঞ্জুর করা হইবে না, যদি দরখাস্তে উল্লিখিত ভাষায় কর্মটির অনুবাদ কপিরাইটের মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক উহার প্রথম প্রকাশের ৩ বছরের মধ্যে প্রকাশ না করিয়া থাকেন, যা প্রকাশিত হইয়া থাকিলে, উহা নিঃশেষে না হইয়া থাকে;
(ই) উপ-ধারা (২) এর শতাংশের অধীন কোন লাইসেন্স মঞ্জুর করা হইবে না যদি দরখাস্তে উল্লিখিত ভাষায় কর্মটির অনুবাদ উহার কপিরাইটের মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি প্রথম প্রকাশের ৩ বছরের মধ্যে প্রকাশ না করিয়া থাকেন বা, প্রকাশিত হইয়া থাকিলে, উহা নিঃশেষে না হইয়া থাকে :
আরো শর্ত থাকে যে, উভয় ক্ষেত্রেই কোন লাসেন্স মঞ্জুর করা হইবে না যদি-
(অ) আবেদনকারী বোর্ডের সন্তুষ্টিমতে প্রমাণ করিতে না পারেন যে ঐরূপ অনুবাদ তেরী ও প্রকাশ করিবার জন্য ক্ষমতা চাহিয়া তিনি কপিরাইটের মালিককে অনুরোধ করিয়াছিলেন এবং উক্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে অথবা নিজ তরফ হইতে উপযুক্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি কপিরাইটের মালিকের সন্ধান লাভ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন;
(আ) যেক্ষেত্রে আবেদনকারী কপিরাইটের মালিকের সন্ধান লাভ করিতে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে, তিনি লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করিবার অন্যূন দুইমাস পূর্বে কর্মটিতে উল্লিখত প্রকাশককে রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে অনুরূপ ক্ষমতা প্রদানের জন্য যে অনুরোধপত্র দিয়াছেন সেই অনুরোধপত্রের কপি প্রেরণ করিয়া না থাকেন;
(ই) উপ-ধারা (২) এর শতাংশের অধীন দরখাস্ত ব্যতীত উক্ত উপ-ধারার অধীন দরখাস্তের ক্ষেত্রে ৬ মাস অথবা উক্ত উপ ধারার শতাংশের অধীনে দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে ৬ মাস অথবা উক্ত উপধারার শার্তাংশের অধীনে দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে ৬ মাস অথবা উক্ত উপধারার শর্তাংশের অধীনে দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে ৯ মাস এই উপ-ধারার দফা (ক) এর অধীনে অনুরোধ করার পরে অথবা যেক্ষেত্রে দফা (খ) এর অধীনৈ অনুরোধের অনুলিপি প্রেরিত হইয়াছে সে ক্ষেত্রে উক্ত অনুলিপি প্রেরণের তারিখ হইতে অতিক্রান্ত হইয়া থাকে এবং উক্ত ৬ মাস বা ক্ষেত্রমত ৯ মাস সময়সীমা মধ্যে দরখাস্তে বর্ণিত ভাষায় কর্মটির কপিরাইটের মালিক অথবা তাহার নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক কর্মটির অনুবাদ প্রকাশিত না হইয়া থাকে;
(ঈ) উপ-ধারা (২) এর অধীনে দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে-
(১) প্রণেতার নাম এবং কর্মটির নির্দিষ্ট সংস্করণের শিরোনাম প্রস্তাবিত অনুবাদের সকল কপিতে মুদ্রত হইয়া থাকে;
(২) কর্মটি মূখ্যত : চিত্রকর্ম পরিপূর্ণ ক্ষেত্রে, ধারা ৫৪ এর বিধানবলীও প্রতিপালিত হইয়া থাকে;
(উ) বোর্ড এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী কর্মটির সঠিক অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশ করিতে উপযুক্ত এবং এই ধারার অধনৈ কপিরাইটের মালিককে প্রদেয় রয্যালটি পরিশোধ করিবার সামর্থ তাহার থাকে;
(ঊ) প্রণেতা কর্মটির কপিসমূহ বাজার হইতে প্রত্যাহার করেন; এবং
(ঋ) বাস্তবোচিত ক্ষেত্রে কর্মটির কপিরাইটের মালিককে শুনানীর সুযোগ দেওয়া হয়।
(৭) কোন সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ বোর্ড এর নিকট নিম্নলিখিত কর্মের সম্প্রচার, শিক্ষাদান বা কারিগরি অথবা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল বিস্তৃতির উদ্দেশ্যে ও প্রকাশনার জন্য লাইসেন্স চাহিয়া দরখাস্ত করিতে পারিবে।
(ক) মুদ্রণ অথবা অনুরূপ পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে প্রকাশিত এবং উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কোন কর্ম;
(খ) অডিও-ভিজ্যুয়্যাল যন্ত্রে ধারণ করা হইয়াছে এবং কেবলমাত্র পদ্ধতিগত পাঠদান কর্মকান্ডের জন্য প্রণীত প্রকাশিত কোন পাঠ :
তবে শর্ত থঞাকে যে, ঐরূপ লাইসেন্স মঞ্জুর করা হইবে না যদি না-
(অ) অনুবাদটি আইন অনুযায়ী তেরী বা অর্জিত কর্ম হইতে কৃত হয়;
(আ) সম্প্রচারটি শব্দ এবং ভিজ্যুয়াল রেকর্ডিং-এর মাধ্যমে করা হয়;
(৮) উপ-ধারা (৩) হইতে (৫) এর বিধানাবলী উপ-ধারা (২) এর অধীনে দাখিলকৃত দরখাস্তের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রযোজ্য হয়, উপ-ধারা (৭) এর অধীনে লাইসেন্স মঞ্জুরের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ একইভাবে প্রযোজ্য হইবে।
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
(ক) "গবেষণার উদ্দেশ্য" অর্থে শিল্প গবেষণা, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থার গবেষণার (সরকারী মালিকানাধীন অথবা নিয়ন্ত্রণাধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ব্যতীত)
অথবা অন্যান্য সমিতি বা ব্যক্তির সংঘের গবেষণা অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(খ) "শিক্ষাদান, গবেষণা অথবা বৃত্তিমূলক উদ্দেশ্য" অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল এবং টিউটরিয়াল ইনষ্টিউটশনসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্য এবং অন্য সকল প্রকারের প্রাতিষ্ঠিতানি শিক্ষাদান কার্যক্রমের উদ্দেশ্য অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৫৩। কতিপয় উদ্দেশ্য কর্ম পুনরুৎপাদন এবং প্রকাশ করার লাইসেন্স :
(১) যে ক্ষেত্রে উপন্যাস, কবিতা, নাটক, সংগীত, চিত্রকলা অথবা তৎসংশ্লিষ্ট কোন কর্ম প্রথম প্রকাশের পরবর্তি ৭ বছর, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, বস্তুগত বিজ্ঞান, অংকশাস্ত্র প্রযুক্তিবিদ্যা অথবা তৎসংশ্লিষ্ট কোন কর্ম প্রথম প্রকাশের পরবর্তি ৩ বছর এবং অন্য কোন ক্ষেত্রে কর্মটি প্রথম প্রকাশের পরবর্তি ৫ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর কর্মটির অনুলিপি বাংলাদেশে যদি পাওয়া না যায়, অথবা অনুরূপ অনুলিপি ৬ মাস সময়সীমার মধ্যে জনসাধাণের জন্য অথবা পদ্ধতিগত শিক্ষামলক কার্যক্রমের জন্য পুনরুৎপাদনের অধিকারের মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমাতপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে সাধারণভাবে ধার্যতব্য মূল্যের সংগে যুক্তিসংগতভাবে সম্পর্কযুক্ত মূল্যে বাংলাদেশে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা না হয়, সেক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তি অনুরূপ কর্ম পদ্ধতিগত শিক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে অনুরূপ কর্মের কোন সংস্করণ যে মূল্যে বিক্রয় হয় সেই মূল্যে অথবা তদপেক্ষা কমমূল্যে বিক্রয়ের পুনরুৎপাদন ও প্রকাশের জন্য লাইসেন্স চাহিয়া বোর্ডের নিকট দরখাস্ত করিতে পারিবেন।
(২) লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত নির্ধারিত ফরমে করিতে হইবে, যাহাতে কর্মটির পুনরুৎপাদিত প্রতিটি কপির প্রস্তাবিত খুচরা মূল্য উল্লেখ থাকিবে।
(৩) এই ধারার অধীনে লাইসেন্স এর জন্য প্রত্যেক দরখাস্তকারী দরখাস্তের নির্ধারিত ফি জমা করিবে।
(৪) এই ধারার অধীন বোর্ড এর নিকট দরখাস্ত দাখিল করা হইলে, বোর্ড নির্ধারিত তদন্ত অনুষ্ঠান শেষে, রেজিষ্ট্রারকে দরখাস্তে উল্লিখিত কর্মটির পুনরুৎপাদন ও প্রকাশের জন্যে দরখাস্তকারীকে, নিম্নবর্ণিত শর্তাধীনে একচেটিয়া নয় এমন লাইসেন্স মঞ্জুর করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে যথা :
(ক) দরখাস্তকারী কর্মটির কপিরাইটের মালিককে জনগণের নিকট বিক্রীত কর্মটির পুররুৎপাদনের অনুলিপি ববাদ কোর্ড নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধার্যকৃত বয়্যালটি প্রদান,
(খ) এই ধারার অধীনে মঞ্জুরকৃত লাইসেন্সের অধীন কর্মটির পুনরুৎপাদিদত অনুলিপি বাংলাদেশের বাহিরে রপ্তানী নিষিদ্ধ রাখ;
(গ) কেবলমাত্র বাংলাদেশে বিক্রয় ও বিতরণের জন্য উল্লেখ করিয়া একটি নোটিশ পুনরুৎপাদিত প্রতিটি অনুলিপির অন্তর্ভুক্ত করা।
(৫) এই ধারার অধীন কোন লাইসেন্স মঞ্জুর করা হইবে না বা, ক্ষেত্রমত, মঞ্জুর করার পর উহা কার্যকর রাখা হইবে না, যদি-
(ক) আবেদনকারী বোর্ডের সন্তুষ্টিমতে প্রমাণ না করেন যে, ঐরূপ অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশ করিবার জন্য ক্ষমতা চাহিয়া তিনি কপিরাইটের মালিককে অনুরোধ করিয়াছিলেন এবং উক্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে অথবা নিজ তরফ হইতে উপযুক্ত প্রচেষ্টা সত্বেও তিনি কপিরাইটের মালিকের সন্ধান লাভ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন এবং এইরূপ অনুরোধের সাথে সংশ্লিষ্ট যে দেশে কর্মটির প্রকাশকের ব্যবসায়ের প্রধান কার্যালয় রহিয়অছে বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ থাকে, তিনি সে দেশের সরকার কর্তৃক এতগুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক তথ্য কেন্দ্রকে খবর দিয়াছেন;
(খ) যেক্ষেত্রে অঅবেদনকারী কপিরাইটের মালিকের সন্ধান লাভ করিতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করিবার অন্যূন তিন মাস পূর্বে কর্মটিতে উল্লিখিত প্রকাশককে রেজিষ্ট্রার্ড ডাকযোগে তাহাকে অনুরূপ ক্ষমতা প্রদানের জন্য যে অনুরোধ করিয়াছেন সেই অনুরোধ পত্রের কপি আবেদনের সহিত সংযুক্তি না করেন বা অনুরূপ অন্য একটি কপি উপরিউল্লিখি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক তথ্য কেন্দ্রে প্রেরণ না করেন;
(গ) বোর্ড এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী কর্মটির সঠিক অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশ করিতে উপযুক্ত এবং এই ধারার অধীনে কপিরাইটের মালিককে প্রদেয় রয়্যালটি প্রদানের সামর্থ তাহার আছে;
(ঘ) দরখাস্তকারী বোর্ড কর্তৃক ধার্যকৃত মূল্যে, যাহা অভিন্ন বা একই রকমের বিষয়ে সমমানসম্পন্ন কর্মের মূল্যের সহিত তুলনীয়, কর্মটি পুনরুৎপাদন ও প্রকাশে উদ্যোগী না হন;
(ঙ) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, অংকশাস্ত্র অথবা কারিগরী কর্মের পুনরুৎপাদন ও প্রকাশের দরখাস্তের ক্ষেত্রে আবেদনকারী কর্তৃক শর্ত পূরণ করার তারিখ বা দফা (ক) এর অধীন অনুরোধ করার তারিখ হইতে, অথবা যেক্ষেত্রে অনুরোধের অনুলিপি দফা (খ) এর অধীনে প্রেরিত হয়, উক্ত অনুলিপি প্রেরণের তারিখ হইতে, ৬ মাস অতিক্রান্ত না হয়, এবং কর্মটির কপিরাইটের মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কর্মটির পুনরুৎপাদন উক্ত ৬ মাস সময়সীমার মধ্যে প্রকাশ না হয়;
(চ) অন্য যে কোন কর্ম পুনরুৎপাদন দরখাস্তের ক্ষেত্রে দফা (ক) তে বর্ণিত অনুরোধ করার অথবা যে ক্ষেত্রে অনুরোধের অনুলিপি দফা (খ) এর অধীনে প্রেরিত হয়, সেক্ষেত্রে অনুলিপি প্রেরণের পরবর্তী ৩ মাস অতিক্রান্ত না হয়, এবং কর্মটির কপিরাইটের বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কর্মটির পুনরুৎপাদন উক্ত তিনমাস সময়সীমার মধ্যে প্রকাশ করা না হয়;
(ছ) প্রণেতার নাম এবং কর্মটির পুনরুৎপাদনের প্রস্তাবিত নির্দিষ্ট সংস্করণের শিরোনাম পুনরুৎপাদিত সকল কপিতে মুদ্রিত না হয়;
(জ) প্রণেতা কর্মটির কপি বাজার হইতে প্রত্যাহার না করেন; এবং
(ঝ) যে ক্ষেত্রে সম্ভব, কর্মটির বিশেষ সংস্করণের কপিরাইটের মালিককে শুনানীর সুযোগ দেয়া না হয়।
(৬) এই ধারার অধীন কোন কর্মের অনুবাদ পুনরুৎপাদন ও প্রকাশ করার লাইসেন্স মঞ্জুর করা হইবে না যদি না উক্ত অনুবাদ উহার মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রকাশিত না হয় এবং অনুবাদটি বাংলাদেশে সাধারণভাবে ব্যবহৃত ভাষায় না হইয়া থাকে।
(৭) এই ধারার বিধানাবলী বিলুপ্ত হবে পদ্ধতিগত শিক্ষাগত কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে অডিও ভিজ্যুয়্যাল মাধ্যমে ধারণকৃত যে কোন পাঠ এর পুনরুৎপাদন এবং প্রকাশনা অথবা বাংলাদেশে সাধারণতভাবে প্রচলিত কোন ভাষায় অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
৫৪। এই অধ্যায়ের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের বাতিলকরণ?
(১) যদি ধারা ৫২ এর উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন ভাষায় কোন কর্মের অনুবাদ তৈরী ও প্রকাশনার জন্য লাইসেন্স প্রদানের পর (অত:পর এই উপ-ধারার লাইসেন্সকৃত কর্মরূপে উল্লিখিত) কর্মটির কপিরাইটের মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যদি একই ভাষায় কর্মটির অনুবাদ প্রকাশ করে, যাহা মূলতঃ অভিন্ন ও একই রকমের বিষয়ের সমমানসম্পন্ন কর্মের অনুবাদের মূল্যের সহিত তুলনীয়, তাহা হইলে ঐরূপ মঞ্জুরকৃত লাইসেন্সটি বাতিল হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ বাতিল কার্যকর হইবে না, যদি লাইসেন্সধারী ব্যক্তির প্রতি অনুবাদের কধিকারের মালিক কর্তৃক পূর্বোক্তমতে অনুবাদ প্রকাশের বিষয় অবগত করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদত্ত নোটিশ জারীর পর তিন মাস সময়সীমা অতিক্রান্ত না হয় :
আরো শর্ত থাকে যে, লাসেন্স বাতিল কার্যকর হওয়ার পূর্বে তৈরী ও প্রকাশিত লাসেন্সকৃত কর্মের অনুলিপি বিক্রয় ও বিতরণ অব্যাহত থাকিবে যদি না ইতিমধ্যে তৈরীকৃত ও প্রকাশিত কপি নিঃশেষিত না হইয়া থাকে।
(২) যদি ধারা ৫৩-এর অধীন কোন কর্মের পুনরুৎপাদন অথবা অনুবাদ তৈরী প্রকাশের জন্য লাইসেন্স মঞ্জুর করার পরবর্তী কোন সময়ে পুনরুৎপাদনের অধিকারের মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি উক্ত কর্মের অনুলিপি বা অনুবাদ একই ভাষায় বিক্রয় বা বিতরণ করে, যাহা মূলতঃ অভিন্ন ও একই রকমের বিষয়ে সমমানসম্পন্ন কর্মের মূল্যের সহিত তুলনীয়, তাহা হইলে ঐরূপ মঞ্জুরকৃত লাইসেন্সটি বাতিল হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ বাতিল কার্যকর হবে না, যদি লাইসেন্সধারী ব্যক্তির উপর পুনরুৎপাদনের অধিকারের মালিক কর্তৃক পূর্বোক্তমতে কর্মটির সংস্করণসমূহের অনুলিপি বিক্রয় বা বিতরণের বিষয় অবগত করিয়া প্রদত্ত নোটিশ জারীর পরে ৩ মাস সময়সীমা অতিক্রান্ত হইয়া না থাকে :
আরো শর্ত থাকে যে, অনুরূপ বাতিল কার্যকর হওয়ার পূর্বে লাইসেন্সধারী কর্তৃক পুনরুৎপাদিত কপির বিক্রয় অথবা বিতরণ অব্যাহত থাকিবে যদি না ইতিমধ্যে তৈরীকৃত অনুলিপি নিঃশেষিত না হইয়া থাকে।
দশম অধ্যায়
কপিরাইট রেজিষ্ট্রশন
৫৫। কপিরাইটের রেজিষ্ট্রার, ইনডেক্স, ফরম এবং রেজিষ্টার পরিদর্শন :
(১) রেজিষ্ট্রার কপিরাইট অফিসে নির্ধারিত ফরমে কপিরাইটের রেজিষ্টার নামে একটি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিবেন, যাহাতে কর্মের নাম ও শিরোনাম, গ্রন্থাকার, প্রকাশক এবং কপিরাইটের স্বত্বাধিকারীর নাম ও ঠিকানা এবং নির্ধারিত অন্য সকল বিবরণ থাকিবে।
(২) রেজিষ্টার কপিরাইটের রেজিষ্টারের নির্ধারিত ইনডেক্সও রাখিবেন।
(৩) এই ধারার অধীন সংরক্ষিত কপিরাইটের রেজিষ্টার এবং উহার ইনডেক্স যুক্তিসংগত সকল সময়ে পরিদর্শনের জন্য খোলা থাকিবে, এবং যে কোন ব্যক্তি উক্ত রেজিষ্টার বা ইনডেক্সের কপি বা উহাদের অংশবিশেষ, নির্ধারিত ফি প্রদান এর শর্ত সাপেক্ষে, পাওয়ার অধিকারী হইবেন।
৫৬। কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন :
কোন কর্মের প্রণেতা, প্রকাশক বা কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী বা উহাতে স্বার্থ আছে এমন ব্যক্তি কপিরাইটের রেজিষ্টারে কমৃটির বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করিবার জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত ফি সহযোগে দরখাস্ত করিতে পরিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দ্রবসামগ্রীর বিষয়ে ব্যবহৃত হয় বা হইতে পারে এমন শিল্পকর্ম বিষয়ক দরখাস্তে সেই মর্মে একটি বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকিতে হইবে এবং ট্রেড মার্কস রেজিষ্টার কর্তৃক এই মর্মে প্রদত্ত সনদপত্র অন্তর্ভুক্ত হইতে হইবে যে, অনুরূপ শিল্পকর্মের সহিত অভিন্ন বা সাধারণভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন ট্রেড মাকর্স ঐ নামে ট্রেড মার্কস এ্যাক্ট এর অধীনে রেজিষ্ট্রিকৃত হয় নাই অথবা অনুরূপ রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দরখাস্তকারী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক এ্যাক্ট এর অধীনৈ কোন দরখাস্ত দাখিল করেন নাই।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কর্মের দরখাস্ত প্রাপ্তির পর রেজিষ্ট্রার তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত তদন্ত অনুষ্ঠানের পর কর্মটির বিবরণ কপিরাইটের রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত করিবেন এবং ঐরূপ রেজিষ্ট্রেশনের একটি সনদপ্রত্র দরখাস্তকারীকে প্রদান করিবেন যদি না তিনি, তৎকর্তৃক লিখিত কারণে, ঐরূপ অন্তর্ভুক্ত সটিক হইবে না বলিয়া মনে করেন।
৫৭। কপিরাইটের স্বত্বনিয়োগ, ইত্যাদির রেজিষ্ট্রেশন :
(১) কোন কপিরাইটের স্বার্থ প্রদানের আগ্রহী কোন ব্যক্তি উক্তরূপ প্রদানে বিবরণ কপিরাইটের রেজিষ্ট্রারে অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে, নির্ধারিত ফি প্রদান করিয়া, যে স্বার্থ প্রদান করা হইতেছে উহার মূল দলিল এবং উক্ত দলিলে একটি সত্যায়িত অনুলিপিসহ রেজিষ্ট্রারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন কর্মের আবেদন প্রাপ্তির পর রেজিষ্ট্রার, তাহার বিচেনায় উপযুক্ত তদন্ত অনুষ্ঠানের পর কপিরাইটের রেজিষ্ট্রার উক্ত প্রদানের বিবরণ সন্নিবেশিত করিবেন, যদি না তিনি, তৎকর্তৃক লিখিত কারণে, মনে করেন যে উক্ত প্রদান সম্পর্কে কোন অন্তর্ভুক্তি করা উচিত হইবে না।
(৩) যে স্বার্থ প্রদান করা হইয়াছে উহার সত্যায়িত অনুলিপিটি কপিরাইট অফিসে রাখিয়া দেওয়া হইবে এবং মূল দলিল এনডোর্সকৃত বা তৎসঙ্গে রেজিষ্ট্রেশনের সার্টিফিকেট সংযুক্ত করিয়া উহার জমাদানকারীকে ফেরত দিতে হইবে।
৫৮। কপিরাইটের রেজিষ্টারের অন্তর্ভুক্তি এবং ইনডেক্স ইত্যাদির সংশোধন :
রেজিষ্ট্রার নির্ধারিত ক্ষেত্রে এবং নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে কপিরাইট রেজিষ্টার এবং ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত কোন নাম, ঠিকানা এবং বিবরণের ভুল বা বাদপড়াসহ আকস্মিক অন্য কোন কারণে সংঘটিত ভুল শুদ্ধ করিয়া সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন।
৫৯। রেজিষ্টার বা কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির দরখাস্তের ভিত্তিতে বোর্ড কপিরাইট রেজিষ্ট্রারের নিম্নরূপ সংশোধনের আদেশ দিতে পানিবেন, যথা :
(ক) ভুলক্রমে বাদ পড়া কোন এন্ট্রী রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত করা;
(খ) রেজিষ্ট্রারের কোন এন্ট্রি বাদ দিয়া বা কোন এন্ট্রি উহাতে অন্তর্ভুক্ত করা;
(গ) রেজিষ্ট্রারের কোন ভুল বা ত্রুটির সংশোধন দ্বারা।
৬০। কপিরাইট রেজিষ্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত বিবরণ আপাতঃ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হওয়া :
(১) কপিরাইটের রেজিষ্টার ও ইনডেক্স এর কোন বিবরণ আপাতঃ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং রেজিষ্ট্রার কর্তৃক প্রত্যায়িত এবং কপিরাইট অফিসের সীমোহরকৃত কপিরাইট রেজিষ্ট্রারের কোন অন্তর্ভুক্তি বা উহার কোন উদ্বৃতি সকল আদালতে মূল দলিল বা মূলকপির উপস্থাপন ব্যতীত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।
(২) কোন কর্মের কপিরাইটের রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট উক্ত কর্মের কপিরাইট থাকার বিষয়ে আপাতঃ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে এবং সার্টিফিকেটে যে ব্যক্তিকে কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী হিসাবে দেখানো হইয়াছে তিনি ঐরূপ কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী।
৬১। কপিরাইট রেজিষ্টারের অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি প্রকাশ করা :
কপিরাইট রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্ত কোন এন্ট্রি, ধারা ৫৬ এবং ৫৭ এর অধীন অন্তর্ভুক্ত কোন কর্মের বিবরণ, ধারা ৫৮ এর অধীন রেজিষ্টারে কৃত সংশোধনী এবং ধারা ৫৯ এর অধীনে কৃত সংশোধনী রেজিষ্টার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রকাশ করা হইবে।
একাদশ অধ্যায়
গণ গ্রন্থাগারে পুস্তক এবং সংবাদপত্র সরবরাহ
৬২। গণ গ্রন্থাগারে পুস্তক সরবরাহ :
(১) এই আইনের অধীন গ্রণীতব্য কোন বিধি সাপেক্ষে, কিন্তু প্রিন্টিং প্রেসেস এন্ড পাবলিকেশন্স (ডিক্লারেশন এন্ড রেজিষ্ট্রেশন) এ্যাক্ট, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সনের ২৩নং) এর ধারা ২৪ এর বিধানাবলী ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আইন কার্যকর হইবার পর বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রত্যেক পুস্তকের প্রকাশক, ভিন্নরূপ কোন চুক্তি সত্ত্বেও, তাহার প্রকাশনার তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে নিজ খরচে এক কপি পুস্তক সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ছয়টি গণগ্রন্থাগারের প্রত্যেকটিতে বিতিরণ করিবেন।
(২) বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগারে সরবরাহকৃত কপিটি ম্যাপ ও চিত্রাদিসহ ম্যাপ ও চিত্রাদিসহ পরিপূর্ণ এবং হুবহু কপি হইতে হইবে এবং উত্তম বাঁধাই, সেলাই বা ষ্ট্রিচকৃত এবং সর্বোত্তম কাগজে মুদ্রিত হইতে হইবে।
(৩) অন্য যে কোন গণ গ্রন্থাগারে সবরাহকৃত কপি সেই কাগজের হইবে যে কাগজে বিক্রয়ের জন্য পুস্তকটির সর্বাধিক সংখ্যক কপি মুদ্রিত হইয়াছে এবং উহা বিক্রয়ের জন্য তৈরীকৃত পুস্তকের অবস্থার সদৃশ হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই পুস্তকটির দ্বিতীয় বা পরবর্তি এমন সংস্করণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যে সংস্করণের লেটার প্রেস, ম্যাপ, বই ছাপা বা অন্য খোদাই কর্মে কোন সংযোজন বা পরিবর্তন করা হয় নাই, এবং পুস্তকটির প্রথম বা অন্য যে কোন সংস্করণের কপি এই ধারা অনুসারে বিতরণ করা হইয়াছে।
৬৩। গণ গ্রন্থাগারে সাময়িকী ও সংবাদপত্র সরবরাহ :
এই আইনের অধীন প্রণীতব্য বিধি সাপেক্ষে কিন্তু প্রিন্টিং প্রেসেস এন্ড পাবলিকেশন্স (ডিক্লারেশন এন্ড রেজিষ্ট্রশন) এ্যাক্ট, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সনের ২৩নং) এর ধারা ২৬ এর বিধানাবলী ক্ষুন্ন না করিয়া বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রত্যেক সাময়িকী ও সংবাদপত্রের প্রকাশক নিজ খরচে সংশ্লিষ্ট সাময়িকী বা সংবাদপত্রের প্রতি সংখ্যার এক কপি উহা প্রকাশিত হওয়া মাত্রই ধারা ৬২ (১) এ উল্লিখিত ছয়টি গণ গ্রন্থাগারের প্রত্যেকটিতে সবরাহ করিবেন।
৬৪। সরবরাহকৃত পুস্তকের রশিদ :
গণ গ্রন্থাগারে দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি (লাইব্রেরিয়ান বা অন্য যে নামেই অভিহিত হউন) অথবা এতদুউদ্দেশ্যে তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তি ধারা ৬২ বা ৬৩ অনুসারে পুস্তকের লিখিত রশিদ প্রদান করিবেন।
৬৫। শাস্তি :
এই আইনের বিধান বা তদধীন প্রণীত বিধি লঙ্ঘনকারী প্রকাশক এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন, এবং উক্তরূপ লঙ্ঘন যদি কোন পুস্তক বা সাময়িকীর ক্ষেত্রে হয়, তাহা হইলে উক্ত পুস্তক বা সাময়িকীর মূল্যের সমপরিমাণ অর্থদন্ডেও তিনি দন্ডনীয় হইবেন, এবং এই অপরাধের বিচারকারী আদালত এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, তাহার নিকট হইতে আদায়কৃত সম্পূর্ণ বা আংশিক জরিমানা, ক্ষতিপূরণ হিসাবে, যে গ্রন্থাগারে পুস্তক, সাময়িকী বা, ক্ষেত্রমত, সংবাদপত্র সরবরাহ করা হইত সে গ্রন্থাগারে প্রদান করা হউক।
৬৬। এই অধ্যায়ের অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ :
(১) সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা সরকার হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত কোন আদালত এই অধ্যায়ের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
(২) মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট অপেক্ষা নিম্নতর কোন আদালত এই অধ্যায়ের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধের বিচার করিবে না।
৬৭। সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তক, সাময়িকী ও সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে অধ্যায়ের প্রয়োগ :
সরকার কর্তৃক বা সরকারী কর্তৃপক্ষের অধীনে প্রকাশিত পুস্তক, সাময়িকী ও সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেও এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবে, কিন্তু শুধুমাত্র দাপ্তিরিক কার্যে ব্যবহারের জন্য প্রকাশিত পুস্তকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
দ্বাদশ অধ্যায়
আন্তর্জাতিক কপিরাইট
৬৮। কতিপয় আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্ম সম্পর্কিত বিধান :
(১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই মর্মে ঘোষণা করিতে পারিবে যে, এই ধারা প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই মর্মে ঘোষণা করিতে পারিবে যে, এই ধারা প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে তবে সংস্থায় অবশ্যই এক বা একাধিক সার্বভৌম রাষ্ট্র সদস্য থাকিবে।
(২) যে ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হয় এমন কোন সংস্থার নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণাধীনে কোন কর্ম সম্পাদিত বা প্রথম প্রকাশিত হয় এবং এই ধারার ব্যবস্থা ব্যতীত অন্য কোনভাবে বাংলাদেশে উক্ত কর্মের কোন কপিরাইট থাকিত না বা, ক্ষেত্রমত, উহার প্রথম প্রকাশ বাংলাদেশে হইত না, এবং হয় উপরিউক্তভাবে কর্মটির প্রণেতার সহিত এমন চুক্তির মোতাবেক, যাহাতে কপিরাইটের স্বত্বাধিকারীর অধিকার সংরক্ষণ করে না অথবা কর্মটির কপিরইটের ধারা ১৭ এর অধীন কোন সংস্থার মালিকানাধীন, সেক্ষেত্রে সমগ্র বাংলাদেশে কর্মটির কপিরাইট বিদ্যমান থাকিবে।
(৩) এই ধারা প্রযোজ্য হয় এমন কোন সংস্থা, যাহার প্রাসঙ্গিক সময়ে সংবিধিবদ্ধ সংস্থার আইনগত যোগ্যতা ছিল না, কপিরাইটের অধিকারী হওয়া বা কপিরাইট সম্পর্কিত কার্যাদি করা সম্পর্কিত বিষয়ে এবং কপিরাইট প্রয়োগের উদ্দেশ্যে সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকে আইনগত ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল এবং আছে বলিয়া গণ্য হইবে।
৬৯। বিদেশী কর্মে কপিরাইট সম্প্রসারন করার ক্ষমতা :
(১) সরকার, সরকারি গেজেট আদেশ দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, এই আইনের সকল বা যে কোন বিধান নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে এই অধ্যায়ের বিধানাবলী এবং আদেশ সাপেক্ষে এই আইন প্রযোজ্য হইবে যথা :
(ক) কোন দিবেশী রাষ্ট্রে প্রথম প্রকাশিত এমন কর্ম যাহার সহিত আদেশটি এমনভাবে সম্পর্কিত যেন উহা বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল,
(খ) কোন অপ্রকাশিত কর্ম বা কর্মশ্রেণী যাহার প্রণেতা কর্মটি সম্পাদানকালে এমন কোন বিদেশী প্রজা বা নাগরিক ছিলেন যে রাষ্ট্রের সহিত আদেশটি এমনভাবে সম্পর্কিত যেন প্রণেতা বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন,
(গ) কোন বিদেশী রাষ্ট্রের এমন ডোমিসাইলের ক্ষেত্রে যে রাষ্ট্রের সহিত আদেশটি এমনভাবে সম্পর্কিত যেন ঐরূপ ডোমিসাইলড ব্যক্তি বাংলাদেশের,
(ঘ) এমন কোন কর্ম যাহার প্রণেতা উহার প্রথম প্রকাশনার তারিখে, বা প্রণেতা মৃত হইলে তাহার মৃত্যুকালে তিনি এমন কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রজা বা নাগরিক ছিলেন যে রাষ্ট্রের সহিত আদেশটি এমনভাবে সম্পর্কিত যেন প্রণেতা সেই তারিখ বা সময়ে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন :
তবে শর্ত থাকে যে,
(অ) এই ধারা অনুসারে কোন বিদেশী রাষ্ট্র (যে দেশের সহিত বাংলাদেশের কোন চুক্তি রহিয়াছে বা দেশ এমন কোন কপিরাইট কনভেনশনের পক্ষ যে কনভেনশনে অন্য একটি পক্ষ বাংলাদেশ ব্যতীত) সম্বন্ধে কোন আদেশ জারীর পূর্বে সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হইবে যে, ঐবিদেশী রাষ্ট্র এই আইনের বিধানবলী অনুসারে সেই দেশে কপিরাইটের কর্মের স্বত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় একইরুপ বিধান প্রণয়ন করিয়াছে বা প্রণয়ন করিতেছে :
(আ) আদেশে এই মর্মে বিধান করা যাইতে পারে যে এই আইনের বিধানাবলী সাধারণভাবে অথবা আদেশে উল্লেখিত কর্ম শ্রেণী বা শ্রেণীর মামলা সম্পর্কে প্রযোজ্য হইবে :
(ই) আদেশে বিধান করা যাইতে পারে যে, যে দেশের সহিত আদেশটি সম্পর্কিত বাংলাদেশের কপিরাইটের মেয়াদ ঐ বিদেশী রাষ্ট্রের আইন দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত হইবে না,
(ঈ) আদেশে বিধান করা যাইতে পারে যে, গণ গ্রন্থাগারসমূহে পুস্তকের কপি সরবরাহ সম্পর্কিত এই আইনের বিধানাবলী, আদেশের দ্বারা যতদূর বিধান করা যায় তাহা ব্যতীত, উক্ত রাষ্ট্রে প্রথম প্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না;
(উ) কপিরাইটের স্বত্ব সম্পর্কে এই আইনের বিধানাবলী প্রয়োগের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট বিদেশী রাষ্ট্রের অঅইনের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া আদেশে প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহতি ও সংশোধনের বিধান করা হইবে;
(ঊ) আদেশে বিধান করা যাইতে পারে যে, এই আইন বা ইহার অংশবিশেষ আদেশের কার্যকারীতা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে প্রণীত বা প্রথম প্রকাশিত কর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না;
(ঋ) আদেশে বিধান করা যাইতে পারে যে, এই আইন দ্বারা প্রদত্ত অধিকার এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও আনুষঙ্গিকতা সাপেক্ষে কার্যকর হইবে।
(২) সরকার উপ-ধারা (১) এর বিধান বাংলাদেশের বাহিরের শব্দ রেকর্ডিং এবং সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের অভিনেতা ও প্রযোজকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করিতে পারিবে।
৭০। বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত বিদেশী প্রণেতার কর্মের স্বত্বের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের ক্ষমতা :
সরকারের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন বিদেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশী কর্মের গ্রন্থাকারদের পর্যাপ্ত স্বার্থ সংরক্ষণ করিতেছে না বা স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেছে না, তাহা হইলে, সরকার গেজেটে প্রকাশিত আদাশে দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ জারী করিতে পারিবে যে, এই আইনের যে সকল বিধান দ্বারা বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশিত কর্মের কপিরাইট প্রদান করে সেই সকল বিধান, আদেশে উল্লিখিত তারিখের পরে প্রকাশিত ঐ সকল কর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যে সকল কর্মের গ্রন্থাকার ঐরূপ বিদেশী রাষ্ট্রের প্রজা বা নাগরিক এবং বাংলাদেশের ডোমিসাইল নহেন।
ত্রয়োদশ অধ্যায়
কপিরাইটের লংঘন'
৭১। কপিরাইট লঙ্ঘন :
কোন কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে-
(ক) যখন কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কপিরাইটের মালিক বা রেজিষ্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতীত বা অনুরূপভাবে প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত বা এই আইনের অধীন কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষে আরোপিত কোন শর্ত লঙ্ঘনপূর্বক-
(অ) এমন কিছু করেন যাহা করিবার একচেটিয়া অধিকার এই আইন দ্বারা কপিরাইটের মালিককে দেওয়া হইয়াছে; অথবা
(আ) অবগত না থাকার এবং সন্দেহের কোন যুক্তিসংগত কারণের অনুপস্থিতিতে, মুনাফার উদ্দেশ্যে জনসাধারণ্যে এমন কোন কর্ম সম্পাদনের জন্য কোন স্থান ব্যবহারের অনুমতি দেন যাহাতে কর্মটির কপিরাইট লঙ্ঘন করে, যদি না ইহা করা হয় যে, বিষয়টি সম্বন্ধে তিনি অবগত ছিলেন না বা অনুরূপ সম্পাদন কপিরাইটের লঙ্ঘন হইবে মর্মে বিশ্বাস করিবার তাহার কোন যুক্তিসংগত কারণ ছিল না; বা
(খ) যখন কোন ব্যক্তি-
(অ) কর্মটির অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি বিক্রয় বা ভাড়া করেন বা বিক্রয় বা ভাড়া করার বা বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শনী করেন বা বিক্রয়ের কিংবা ভাড়ার প্রস্তাব করেন; বা
(আ) বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অথবা কপিরাইটের মালিকের অধিকার ক্ষুন্ন হয় এইরূপ পরিসীমায় বিতরণ করেন; বা
(ই) বাণিজ্যিকভাবে জনসাধারণ্যে প্রদর্শন করেন; বা
(ঈ) কোন কর্মের অধিকার লংঘিত অনুলিপি বাংলাদেশে আমদানী করেন।
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বিষয়ক বা শিল্প কর্মকে চলচ্চিত্র শিল্প কর্মে পুনরুৎপাদন একটি "অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি" হিসাবে গণ্য হইবে।
৭২। কতিপয় কার্য কপিরাইট লঙ্ঘন নয় :
(১) নিম্নলিখিত কার্যগুলি কপিরাইট লঙ্ঘন হইবে না, যথা :
(ক) বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার ব্যতীত নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্প কর্মের সদ্ব্যবহার, যথা :
(অ) গবেষণাসহ ব্যক্তিগত অধ্যয়ন অথবা ব্যক্তিগত ব্যবহার যথা :
(আ) উক্ত কর্ম অথবা অন্য কোন কর্মের সমালোচনা অথবা পর্যালোচনা;
(খ) নিম্নেউল্লিখিত মাধ্যমে চলমান ঘটনা বিবৃত করার উদ্দেশ্যে সাহিত্য, নাট্য, সংগীত অথবা শিল্পকর্মের সদ্ব্যবহার, যথা :
(অ) সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সাময়িকী; বা
(আ) সম্প্রচার বা চলচ্চিত্র ছবি অথবা ফটোগ্রাফি;
ব্যাখ্যা : জনসমক্ষে প্রদত্ত বক্তৃতা বা বিবৃতির সংকলন প্রকাশনাকে এই দফার অর্থে উক্ত কর্মের সদ্ব্যবহার বুঝাইবে না;
(গ) বিচার কার্যধারা বা বিচার কার্যধারার রিপোর্টের উদ্দেশ্যে কোন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বিষয়ক বা শিল্পকর্মের পুনরুৎপাদন;
(ঘ) জাতয়ি সংসদ সচিবালয় কর্তৃক কেবলমাত্র সংসদ সদস্যদের ব্যবহারের জন্য সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বিষয়ক বা শিল্পকর্মের পুনরুৎপাদন;
(ঙ) আপাততঃ বলবৎ কোন আইন অনুসারে কোন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বিষয়ক বা শিল্পকর্মের সার্টিছাইড কপির মাধ্যমে পুনরুৎপাদন;
(চ) কোন প্রকাশিত সাহিত্য বা নাট্যকর্মের যুক্তিসংগত উদ্ধৃতি জনসমক্ষে পাঠ করা বা আবৃত্তি;
(ছ) শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য এবং অনুরূপভাবে শিরোনামে উল্লিখিত সংকলনের প্রকাশ, যাহা প্রধানতঃ নন-কপিরাইট বিষয় লইয়া মুদ্রিত এবং কোন প্রকাশক কর্তৃক বা তাহার পক্ষে জারীকৃত কপিরাইট বিদ্যমান রহিয়অছে, কিন্তু শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য প্রকাশিত নয়, এমন সাহিত্য বা নাট্যকর্মের সংক্ষিপ্ত অংশের প্রকাশ;
তবে শর্ত থাকে যে, পাঁচ বৎসরের সময়সীমা অভিন্ন প্রকাশ কর্তৃক একই প্রণেতার দুই এর অধিক রচনার অংশ প্রকাশ করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা : কোন যৌথ প্রণেতার কর্মের ক্ষেত্রে, এই দফায় কর্মের রচনার অংশের রেফারেন্স অর্থে এক বা একাধিক প্রণেতার অন্য যে কোন ব্যক্তি সহযোগীতায় কৃত রচনার অংশ অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(জ) শিক্ষক বা ছাত্র কর্তৃক শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার এবং কেবলমাত্র শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে বা পরীক্ষায় উত্তরদান করিতে হইবে এমন প্রশ্নপত্রের অংশরূপে বা অনুরূপ প্রশ্নের উত্তরে সাহিত্য, নাট্য, সংগীত অথবা শিল্পকর্মের পুনরুৎপাদন অথবা অভিযোজন;
(ঝ) কোন সাহিত্য, নাট্য, বা সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতায় অংশরূপে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অথবা কোন চলচ্চিত্র ছবি বা শব্দ রেকর্ডিং এর প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং ছাত্রদের দ্বারা সম্পাদিত কর্ম, যদি অনুরূপ কর্মচারী ও ছাত্রদের এবং ছাত্রদের পিতামাতা ও অভিভাবক এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের তৎপরতার সহিত প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে দর্শকমন্ডলী সীমিত থাকে;
(ঞ) কোন গীতিকারসহ সংগীত কর্মের বিষয়ে শব্দ রেকির্ডিং, যদি-
(অ) কর্মটির কপিরাইটের মালিক কর্তৃক বা তাহার লাইসেন্স দ্বারা ইতিপূর্বে ঐ কর্মটির শব্দ রেকর্ডিং হইয়া থাকে; এবং
(আ) শব্দ রেকর্ডিং প্রস্তুতকারী ব্যক্তি শব্দ রেকির্ডিং তৈরী করিবার ইচ্ছা জানাইয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ দিয়া থাকেন, য সকল কভার ও লেভেল দ্বারা রেকির্ডিং বিক্রয় হইবে সেই সকল কভার ও লেভেলের অনুলিপি সরবরাহ করিয়া থাকেন এবং তৎকর্তৃক তৈরী করা হইবে এমন সমস্ত শব্দ রেকর্ডিং বাবদ নির্ধারিত পদ্ধতিতে বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্থিরকুত রয়্যালটি কমৃটির কপিরাইটের মালিককে পরিশোধ করিয়া থাকেন :
তবে শর্ত থাকে যে-
(১) অনুরুপ শব্দ রেকর্ডিং প্রস্তুতকারী ব্যক্তি কর্মটির কোন পরিবর্তন করিতে বা উহা হইতে কিছু বাদ দিতে পরিবেন না, যদি না অনুরুপ পরিবর্তন অথবা বর্জন ইতিপূর্বে কপিরাইটের মালিক কর্তৃক বা তাহার লাইসেন্সদ্বারা করা হয় অথবা যদি না অনুরুপ পরিবর্তন বা বর্জন শব্দ রেকর্ডিং এ কর্মটির অভিযোজনের জন্য যুক্তিসংগতভাবে প্রয়োজনীয় হয়,
(২) শব্দ রেকর্ডিং এমন প্যাকেট অথবা এমন লেবেলসহ বিতরণ করা যাইবে না যাহাতে জনসাধারণকে উহার পরিচিতি বিষয়ে ভুল ধারনা দিতে বা বিভ্রান্ত করিতে পারে,
(৩) কর্মটির প্রথম শব্দ রেকির্ডিং তৈরী হওয়ার বছর শেষের পরবর্তী দুইটি পঞ্জিকা বর্ষ শেষ হওয়ার পূর্বে অনুরুপ কোন শব্দ রেকর্ডিং তৈরী করা যাইবেনা, এবং
(৪) অনুরুপ শব্দ রেকর্ডিং প্রস্তুতকারক ব্যক্তি কপিরাইটের মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট অথবা প্রতিনিধিকে অনুরুপ কোন শব্দ রেকর্ডিং বিষয়ে রেকর্ড এবং হিসাব বহি পরিদর্শনের সুযোগ দিবেনা :
আরও শর্ত থাকে, যদি বোর্ডের নিকট এই মর্মে কোন অভিযোগ আনা হয় যে, এই দফার অধীনে প্রস্তুতকৃত কোন শব্দ রেকর্ডিং এর জন্য কপিরাইটের মালিক সম্পূর্ণ অর্থপ্রাপ্ত হন নাই এবং বোর্ড প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট হয় যে অভিযোগটি সত্য, তাহা হইলে বোর্ড একতরফা আদেশ দ্বারা অনুরূপ শব্দ রেকর্ডিং প্রস্তুতকারী ব্যক্তিকে অধিকতর অনুলিপি তৈরী বন্ধ করিতে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে রয়্যালটি প্রদানের আদেশ দানসহ উহার বিচেনায় উপযুক্ত অনুরূপ আরও আদেশ প্রদান করিতে পারিবে;
(ট) কোন রেকর্ড ব্যবহার করিয়া রেকর্ডিং লোকজন বাস করে এমন স্থানে (হোটেল বা অনুরূপ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) কেবলমাত্র বা প্রধানতঃ বসবাসকারীদের সুবিধাদির অংশরূপে বা মুনাফার জন্য স্থাপিত বা পরিচালিত নহে এইরূপ কোন ক্লাব, সমিতি বা অন্যান্য সংস্থার তৎপরতার অংশ হিসাবে শ্রুত হইবার কারণ ঘটানো;
(ঠ) কোন অপেশাদার ক্লাব বা সমিতি কর্তৃক বিনামূল্যে অতবা কোন ধর্মীয় দাতব্য বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপকারার্থে উপস্থাপন করা হয় এমন কোন সাহিত্য, নাট্য, সংগী বিষয়ক কর্মের সম্পাদন;
(ড) কপিরাইটের মালিক কর্তৃক পুনরুৎপাদনের অধিকার সংরক্ষণ করা হয় নাই সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সাময়িকীতে এমন চলতি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্শীয় নিবন্ধের পুনরুৎপাদন করা;
(ঢ) জনসাধারণ্যে প্রদত্ত কোন বক্তৃতার রিপোর্ট সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সাময়িকীতে প্রকাশ;
(ণ) কোন গণগ্রন্থাগার বা জনগণ কর্তৃক বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য অলাভজনক বা গ্রন্থাগার অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহিত সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারের দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি দ্বারা বা তাঁহার নির্দেশানুসারে অনুরূপ গ্রন্থাগারে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশে পাওয়া যায় না এইরূপ কোন পুস্তকের (পুঞ্জিকা, স্বরলিপি, ম্যাপ, চার্ট বা প্লানসহ) অনধিক তিন কপি তৈরী;
(ত) গবেষণা বা ব্যক্তিগত অধ্যায়নের অভিপ্রায়ে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার আছে এমন কোন গ্রন্থাগার, মিউজিয়াম বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত কোন অপ্রকাশিত সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বিষয়ক বা শিল্পকর্মের পুনরুৎপাদন :
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোন কর্মের প্রণেতার পরিচয় বা যৌথ প্রণেতার কর্মের ক্ষেত্রে, প্রণেতাগণের মধ্যে যে কাহারও পরিচয় লাইব্রেরী, মিউজিয়াম বা, ক্ষেত্রমত, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জ্ঞাত সেক্ষেত্রে এই সফার বিধান কেবলমাত্র তখনই প্রযোজ্য হইবে যদি অনুরূপ প্রণেতার মৃুত্যর তারিখ হইতে বা যৌথ প্রণেতার কর্মের ক্ষেত্রে, যে পরিচয় জ্ঞাত তাহার মৃত্যুর তারিখ হইতে বা, যদি একাধিক প্রণেতার পরিচয় হয়, তাহা হইতে ঐরূপ প্রণেতাগণের মধ্যে সর্বশেষে যিনি মৃত্যুবরণ করেন, তাহার মৃত্যুর পরিচয় জ্ঞাত হয়, তাহা হইতে ঐরূপ প্রণেতাগণের মধ্যে সর্বেশেষে যিনি মৃত্যুবরণ করেন, তাহার মৃত্যুর পরিচয় হইতে ষাট বৎসরের পরবর্তী কোন এক সময়ে করা হয়;
(থ) নিম্নেবর্ণিত বিষয়ের পুনরুৎপাদন অথবা প্রকাশনা যথা :
(অ) জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন ব্যতীত সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইয়াছে এমন যে কোন বিষয়;
(আ) সরকার কর্তৃক পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ নিষিদ্ধি করা না হইলে, সরকার নিযুক্তি কমিটি, কমিশন, কাউন্সিল, বোর্ড বা অনুরূপ অন্যান্য সংস্থার রিপোর্ট পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ;
(ই) ভাষ্য সহকারে পুনরুৎপাদিত বা প্রকাশিত হইয়াছে জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত এমন কোন আইন;
(ঈ) সংশ্লিষ্ট আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যান্য বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুনরুৎপাদন বা প্রকাশিত নিষিদ্ধ করা না হইলে উক্ত আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের রায় বা আদেশ পুনরুৎপাদন বা প্রকাশ;
(দ) নিম্নেবর্ণিত অবস্থায় জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রনীত আইন এবং তদধীনে প্রণীত কোন বিধি অথবা আদেশের যে কোন ভাষায় অনুবাদ তৈরী বা প্রকাশনা, যথা :
(অ) উক্ত ভাষায় অনুরূপ আইন বা বিধি বা আদেশের অনুবাদ ইতিপূর্বে সরকার কর্তৃক তৈরী বা প্রকাশিত না হওয়া; অথবা
(আ) উক্ত ভাষায় অনুরূপ আইন বা বিধি বা আদেশের অনুবাদ ইতোপূর্বে সরকার কর্তৃক তেরী বা প্রকাশিত না হওয়া থাকিলে, অনুবাদটি জনগণের কাছে বিক্রয়ের জন্য মজুদ নাই :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ অনুবাদের উল্লেখযোগ্য স্থানে এই মর্মে একটি বিবৃতি থাকিতে হইবে যে, অনুবাদটি সরকার কর্তৃক প্রমাণিত মর্মে অনুমোদিত বা গৃহীত হয় নাই;
(ধ) কোন স্থাপত্য শিল্পকর্মের চিত্রাংকন, রেখাচিত্র, খোদাই বা আলোকচিত্র তেরী বা প্রকাশ অথবা কোন স্থাপত্য শিল্পকর্মের প্রদর্শন করা;
(ন) প্রকাশ্যস্থানে বা জনসাধারণের প্রবেশাধিকার আছে এমন স্থানে স্থায়ীভাবে অবস্থিত ধারা ২ এর দফা (২) (গ) এর অন্তর্ভুক্ত কোন ভাস্কর্য বা অন্যান্য শিল্পকর্মের চিত্রাংকন, রেখাচিত্র খোদাই বা আলোকচিত্র তৈরী বা প্রকাশ;
(গ) কোন চলচ্চিত্র ফিল্মে যথা :
(১) প্রকাশ্য স্থানে বা জনসাধারনের প্রবেশাধিকার আছে এমন কোন স্থানে স্থায়ীভাবে অবস্থিত কোন শিল্পকর্মের অন্তর্ভুক্তি;
(২) অন্যান্য যে কোন শিল্পকর্মের অন্তর্ভুক্তি, যদি অনুরূপ শুধামাত্র পটভূমিরূপে হয় অথবা ঐ কর্মের রূপায়িত প্রধান বিষয়ের সহিত কোন কারণে প্রাসংগিত হয়;
(ফ) কোন শিল্পকর্মের প্রন্থাকার কর্তৃক শিল্পকর্মের উদ্দেশ্যে তৈরীকৃত ছাঁচ, নক্সা, পরিকল্পনা, নমুনা অথবা আলেখ্য ব্যবাহর, যেক্ষেত্রে প্রণেতা ঐ শিল্পকর্মের কপিরাইটের মালিক নয় :
তবে শর্ত থাকে যে, তিনি ঐভাবে শিল্পকর্মটির মূল ডিজাইনের পুনরাবৃত্তি বা অনুকরণ না করেন;
(ঘ) কোন স্থাপত্য নক্সা বা পরিকল্পনা অনুসারে সংশ্লিষ্ট আদি ভবন বা কাঠামোর অনুকরণ কোন ভবন বা কাঠামোর পুনঃনির্মাণ :
তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ নক্সা বা পরিকল্পনার মালিকের সম্মতি বা লাইসেন্সসহকারে আদি নির্মাণ কাজ করার শর্ত পূরণ থাকিতে হইবে;
(ভ) কোন চলচ্চিত্র ছবিতে রেকর্ডকৃত বা পুনরুৎপাদিত কোন সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্মের কপিরাইটের মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর প্রদর্শনী :
তবে শর্ত থাকে যে, দফা (ক) এর উপ-ধারা (আ), দফা (খ) এর উপদফা (অ) এবং দফা (ঘ), (চ), (ছ), (ব) ও (ন) এর বিধানাবলী কোন কার্য সম্বন্ধে প্রযোজ্য হইবে না যদি না উক্ত কার্যটি নিম্নোক্তভাবে প্রাপ্তি স্বীকার সহকারে থাকে-
(অ) শিরোনামা বা অন্যান্য বর্ণনা দ্বারা কর্মটি সনাক্তকরণ; এবং
(আ) যদি কর্মটি বেনামী না হয় অথবা কর্মটির প্রণেতা পূর্বে সম্মত হন বা চাহেন যে, তাহার নামে প্রাপ্তিস্বীকার করা যাইবে না, প্রণেতাকেও সনাক্ত করিয়া;
(ম) কোন কম্পিউটার প্রোগ্রামের অনুলিপির বৈধ দখলদার কর্তৃক উক্ত অনুলিপি হইতে নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামটির অনুলিপি বা অভিযোজন তৈরী-
(অ) কম্পিউটার প্রোগ্রামটি যে উদ্দেশ্যে সরবরাহ করা হইয়াছিল সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য; অথবা
(আ) কেবলমাত্র যে উদ্দেশ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামটি সরবরাহ করা হইয়াছিল সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হারানো, ধ্বংস বা ক্ষতি হইতে সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী সুরক্ষা স্বরূপ সহায়ক অনুলিপি তৈরী;
(য) কোন সম্প্রচার সংস্থা কর্তৃক উহার নিজস্ব সুবিধা ব্যবহার করিয়া নিজস্ব সম্প্রচারের জন্য এমন কোন কর্মের অস্থাযী রেকর্ডিং করা যাহাতে উহার সম্প্রচার অধিকার আছে এবং কর্মটির ব্যতিক্রমধর্মী দালিলিক চরিত্র থাকার প্রেক্ষিতে বেকর্ডটি আর্কাইভে রাখার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা;
(র) সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোন সরকারী অনুষ্ঠানে বা কোন প্রকৃত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সাহিত্য, নাট্য, বা সংগীত বিষয়ক, কর্ম সম্পাদন করা অথবা অনুরূপ কর্মজনগণের নিকট প্রচার করা বা উহার কোন শব্দ রেকর্ডিং তৈরী করা।
ব্যাখ্যা : এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থে বিবাহ শোভাযাত্রা এবং বিবাহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সামাজিক উৎসব অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত বিষয়ক কর্মের অনুবাদের ক্ষেত্রে বা সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত বিষয়ক কর্মের অভিযোজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যেইভাবে উহারা স্বয়ং কর্মটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।
৭৩। শব্দ রেকির্ডিং ও বিডিও চিত্রে অন্তর্ভুক্তব্য বিবরণী :
১) কোন ব্যক্তি শব্দ রেকর্ডিং এবং উহার পাত্রের উপর নিম্নোক্ত বিবরণী প্রদর্শন ব্যতীত কোন কর্মের বিষয়ে কোন শব্দ রেকির্ডিং প্রকাশ করিবে না, যথা :
(ক) শব্দ- রেকর্ডিং প্রস্তুতকারীর নাম ও ঠিকানা;
(খ) উক্ত কর্মের কপিরাইটের মালিকের না ও ঠিকানা; এবং
(গ) উহার প্রথম প্রকাশনার বছর।
(২) ভিডিও চিত্র প্রদর্শনকালে বা ভিডিও ক্যাসেটের উপর বা অন্যান্য পাত্রে নিম্নোক্ত বিবরণীসমূহ প্রদর্শন না করিয়া কোন ব্যক্তি কর্মের ভিডিও চিত্র প্রকাশ করিবে না, যথা :
(ক) ভিডিও চিত্র প্রস্তুতকারী ব্যাক্তির না ও ঠিকানা;
(খ) অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত কর্মটির কপিরাইটের মালিকের নিকট হইতে ভিডিও চিত্র তেরীর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স অর্জন করিয়াছেন মর্মে প্রদত্ত একটি ঘোষণাপত্র;
(গ) অনুরূপ কর্মের কপিরাইটের মালিকের নাম ও ঠিকানা; এবং
(ঘ) যেক্ষেত্রে অনুরূপ কর্মটি একটি চলচ্চিত্র, যাহার প্রদর্শনীয়র জন্য চলচ্চিত্র সেন্সরশীপ আইন, ১৯৬৩ (১৯৬৩ সনের ১৮নং আইন) এর ৪ ধারা বিধান অনুসারে সনদপত্র আবশ্যক হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত কর্মের বিষয়ে বর্ণিত ধারার অধীনে মঞ্জুরীকৃত সনদপত্রের একটি অনুলিপি।
৭৪। অধিকারলঙ্ঘনকারী অনুলিপি আমদানী :
(১) কোন কর্মের কপিরাইটের মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির দরখাস্তরে ভিত্তিতে নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, রেজিষ্ট্রার, তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত তদন্তের পর এই মর্মে আদেশ দিতে পরিবেন যে, বাংলাদেশে তৈরী করা হইলে কপিরাইট লঙ্ঘন হইতো এইরূপ কর্মের বাংলাদেশের বাহিরে তৈরীকৃত অনুলিপি আমদানী করা যাইবে না।
(২) এই আইনের অধীনে প্রণীতব্য বিধি সাপেক্ষে, রেজিষ্ট্রার বা এতদুদ্দেশ্যে তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুলিপি পাওয়া যাইতে পারে এমন কোন উড়োজাহাজ, জাহাজ, যানবাহন, ডক বা আঙ্গিনায় প্রবেশ করতে পারিবেন এবং অনুরূপ অনুলিপি পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ প্রযোজ্য হয় এইরূপ অনুলিপি কাষ্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের ৪নং আইন) এর ধারা ১৬ অনুসারে বাংলাদেশে আমদানি নিষিধ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্যদ্রব্যরূপে গণ্য হইবে এবং সেইমতে ঐ আইনের সমস্ত বিধান কার্যকর হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আইনের অধীন বাজেয়াপ্তকৃত অনুরূপ সকল কপি সরকারে ন্যস্ত না করিয়া কর্মটির কপিরাইটের মালিককে পৌছাইয়া দিতে হইবে।
চর্তুদশ অধ্যায়
দেওয়ানী প্রতিকার
৭৫। সংজ্ঞা :
এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পসঙ্গের পরিপন্থী না হইলে "কপিরাইটের মালিক" অভিবক্তি-
(ক) একচেটিয়া লাইসেন্সের অধিকারী;
(খ) অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, যে পর্যন্ত না প্রণেতার পরিচয় উদঘাটিত হইয়া থাকে কর্মটির প্রণেতা বা যৌথ প্রণেতার অজ্ঞাতনামা কর্মের ক্ষেত্রে বা যৌথভাবে রচিত কোন কর্ম যাহাদের নামে প্রকাশিত তাহাদের সকল ছদ্মনামীয় হয় এবং তাহা হইলে প্রনেতাগনের যে কাহারো পরিচয় প্রকাশ কর্তৃক জনসধারণ্যে প্রকাশিত হইয়া থাকে, সেই প্রণেতা অথবা তাহার আইনানুগ প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হইবেন।
৭৬। কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য দেওয়ানী প্রতিকার :
(১) যেক্ষেত্রে কোন কর্মের কপিরাইট অথবা এই আইনের অধীন অর্পিত অন্য কোন অধিকার লঙ্ঘন করা হয়, সেক্ষেত্রে কপিরাইটের বা, ক্ষেত্রমত, অনুরূপ অন্য অধিকারের স্বত্বাধিকারী, এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকা সাপেক্ষে, নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতিপূরণ, হিসাব এবং অন্যান্য সকল প্রতিকার এবং স্বত্ব লঙ্ঘনের দায়ে আইনের প্রদত্ত অন্যান্য প্রতিকার পাইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, বিবাদীয় যদি প্রমাণ করেন যে স্বত্ব লঙ্ঘনের তারিখে সংশ্লিষ্ট কর্মে কপিরাইট বিদ্যমান ছিল মর্মে তিনি অবগত ছিলেন না এবং ঐ কর্মের কপিরাইট ছিল না মর্মে তাহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ ছিল, তাহা হইলে বাদী, স্বত্ব লঙ্ঘন সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা এবং স্বত্ব লঙ্ঘনক্রমে কপি বিক্রয়ের মাধ্যম বিবাদী কর্তৃক অর্জিত মুনাফার সমগ্র বা অংশবিশেষের ব্যাপারে কোন আদেশ ব্যতীত, কোন প্রতিকার পাইবার অধিকারী হইবেন।
(২) যখন কোন সাহিত্য, নাট্য ও সংগীত কর্মের ক্ষেত্রে কর্মটি প্রকাশিত হওয়ার সময় উহার কপির উপর প্রণেতা বা ক্ষেত্রমত, প্রকাশের অর্থ বহনকারী কোন নাম দৃষ্টিগোচর হয়, অথবা কোন শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে, কর্মটি তৈরী হওয়ার সময় উহার উপর দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তির নাম ঐভাবে দৃষ্টিগোচর হয় বা হইয়াছিল, ঐরূপ কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘন সম্পর্কে যে কোন আইনগত কার্যক্রমে ঐ ব্যক্তিকে প্রণেতা বা, ক্ষেত্রমত, প্রকাশ হিসাবে অনুমান করা হইবে যদি না ভিন্নরূপ কিছু প্রমাণিত হইয়া থাকে।
(৩) কপিরাইট লঙ্ঘন সম্পর্কে যে কোন আইনগত কার্যক্রমে সকল পক্ষের খরচাদি আদালতের বিচক্ষণ ক্ষমতার অধীন হইবে।
৭৭। পৃথক অধিকারের রক্ষণ :
এই আইনের সাপেক্ষে, যেক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তি কোন কর্মের কপিরাইটের অন্তর্ভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন অধিকারের মালিক হন, সেক্ষেত্রে ঐরূপ যে কোন অধিকারের মালিক ঐ অধিকারের অন্যান্য আইনগত কার্যক্রমের মাধ্যমে ঐরূপ মামলা বা আইনগত কার্যক্রমে অন্য যে কোন অধিকারের মালিককে পক্ষ না করিয়া স্বতন্ত্রভাবে ঐরূপ স্বত্ব প্রয়োগ করিতে পারিবেন।
৭৮। প্রণেতার বিশেষ স্বত্ব :
(১) কোন কর্মের প্রণেতা ঐ কর্মের কপিরাইট স্বত্ব নিয়োগী বা পরিত্যাগ করা সত্বেও, কর্মটির রচনাস্বত্ব দাবী করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্মের কোন বিকৃতি, অঙ্গহানি বা অন্যান্য পরিবর্তন সম্পর্কে অথবা উক্ত কর্মটির বিষয়ে তাহার সম্মান ও সুখ্যাতি ক্ষুন্ন হইতে পারে এমন অন্যান্য কার্যের জন্য ক্ষতিপূরণ বা কার্যের উপর নিবারণ দাবী করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (১) এর উপ-দফা (ম) প্রযোজ্য হয় এমন কম্পিউটার প্রোগ্রামের কোন অভিযোজন নিয়ন্ত্রণের বা ঐ বাবদ ক্ষতিপূরণ দাবী করিবার কোন অধিকার উক্ত প্রন্থাকারের থাকিবে না।
ব্যাখ্যা : কোন কর্ম প্রদর্শনে বা প্রণেতার সন্তুষ্টিমতে উহা প্রদর্শনে ব্যর্থতা এই ধারার অধীন অধিকার লঙ্ঘন মর্মে গণ্য হইবে না।
(২) কোন কর্মের রচনাস্বত্ব দাবী করিবার অধিকার ব্যাতীত, উপ-ধারা (১)এর অধীন কোন কর্মের প্রণেতাকে প্রদত্ত অন্য কোন অধিকার ঐ প্রণেতার আইনানুগ প্রতিনিধির দ্বারা প্রয়োগ করা যাইবে।
৭৯। অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপির দখলকার বা লেনদেনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মালিকের অধিকার:
কপিরাইট বিদ্যমান আছে এমন কোন কর্মের অধিকার সকল লঙ্ঘনকারী অনুলিপি এবং ঐরূপ অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি তৈরীর জন্য ব্যবহৃত বা ব্যবহারের হন্য উদ্দীষ্ট প্লেট কপিরাইটের মালিকের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে, যিনি উহাদের দখল পুনরুদ্ধারের বা উহাদের রুপান্তর সম্পর্কে আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, কপিরাইটের মালিক কোন অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপির রুপান্তর সম্পর্কে কোন প্রতিকার পাইবেন না, যদি বিবাদী প্রমাণ করেন যে-
(ক) কর্মটির কপিরাইট বিদ্যমান আছে মর্মে তিনি ছিলেন না এবং তাহার এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল যে, কর্মটির অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি নয় এবং উহার কপিরাইট বিদ্যমান ছিল, বা
(খ) ঐরুপ অনুলিপি বা প্লেট সম্পর্কে কোন কর্মের কপিরাইটের অধিকার লঙ্ঘন সংশ্লিষ্ট নাই মর্মে তাহার বিম্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ ছিল।
৮০। কপিরাইটের মালিক কার্যধারায় পক্ষ হইবে :
(১) কোন একচেটিয়া লাইসেন্সধারী কর্তৃক কপিরাইট লঙ্ঘন বিষয়ে দায়েরকৃত প্রত্যেক দেওয়ানী মামলা বা অন্যান্য দেওয়ানী কার্যধারায় কপিরাইটের মালিককে বিবাদী কিরতে হইবে, যদি না আদালত ভিন্নরূপ নির্দেশ দান করে, এবং যে ক্ষেত্রে এইরূপ মালিক বিবাদী হয়, একচেটিয়া লাইসেন্সধারীর দাবীর বিরোধিতা করিবার অধিকার তাহার থাকবে।
(২) যেক্ষেত্রে কপিরাইট লঙ্ঘন বিষয়ে একচেটিয়া লাইসেন্সধারী কর্তৃক দায়েরকৃত কোন দেওয়ানী মামলা বা কার্যধারা কৃতকার্য হয়, সেক্ষেত্রে একই কারণে কপিরাইটের মালিক কর্তৃক আনীত নতুন মামলা বা অন্য কোন দেওয়ানী কার্যধারা রক্ষণীয় হইবে না।
৮১। আদালতের এখতিয়ার :
কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত প্রত্যেক দেওয়ানী মামলা বা অন্য কোন দেওয়ানী কার্যধারা সেই জেলা জজ আদালতে রুজু ও বিচার করিতে হইবে যাহার আদি অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে মামলাটি বা অন্য কার্যধারা দায়ের করাকালে, মামলাটি বা অন্য কার্যধারা দায়েরকারী ব্যক্তি বা যেক্ষেত্রে অনুরূপ একাধিক ব্যক্তি থাকেন, তাহাদের মধ্যে কেহ প্রকৃতপক্ষে এবং সেচ্ছায় বসবাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করেন।
পঞ্চদশ অধ্যায়'
অপরাধ এবং শাস্তি
৮২। কপিরাইট বা অন্যান্য অধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ :
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত কোন কর্মের কপিরাইট বা এই আইনের ধারা ৭৪ অধীন অর্পিত অধিকার ব্যতীত অন্য কোন অধিকার ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তিনি অনূর্ধ্ব চার বৎসর কিন্তু অন্যূন ছয় মাস মেয়াদের কারাদন্ড এবং অনূর্ধ্ব দুই লক্ষ টাকা কিন্তু অন্যূন পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি ইহা আদালতের সন্তুষ্টিমতে প্রমাণিত হয় যে, লঙ্ঘনটি ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ধারায় মুনাফার উদ্দেশ্যে ঘটে নাই, সেক্ষেত্রে আদালত ৬ মাসের কম সময়ের কারবাস এবং ৫০,০০০/- টাকার জম জরিমানার দন্ড আরোপ করিতে পারিবে।
৮৩। দ্বিতীয় বা পরবর্তী অপরাধের বর্ধিত শাস্তি :
যে ব্যক্তি ধারা ৮২ এর অধীনে দন্ডিত হইয়া পুনরায় অনুরূপ কোন অপরাধে দন্ডিত হইলে তিনি দ্বিতীয় এবং পরবর্তি প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনূর্ধ তিন বৎসর কিন্তু অন্যূন ছয় মাসের কারাদন্ড এবং অনূর্ধ তিন লক্ষ টাকা কিন্তু অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি ইহা আদালতের সন্তুষ্টিমতে প্রমাণিত হয় যে, লঙ্ঘনটি ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ধারায় মুনাফার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে আদালত ১ বছরের কম মেয়াদের কারাবাস এবং ১ লক্ষ টাকার কম পরিমাণ জরিমানার দন্ড আরোপ করিতে পারিবে :
আরো শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এই আইন প্রবর্তিত হওয়ার পূর্বে প্রদত্ত কোন শাস্তিকে আমলে নেওয়া হইবে না।
৮৪। কম্পিউটার প্রোগ্রামের লঙ্ঘিত কপি জ্ঞাতসারে ব্যবহার অপরাধ :
কোন ব্যক্তি যিনি জ্ঞাতসারে কম্পিউটার প্রোগ্রামের লঙ্ঘিত কপি ব্যবহার করেন, তিনি অনূর্ধ্ব ৩ বৎসর কিন্তু অন্যূন তিন মাস মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা অনূর্ধ্ব দুই লক্ষ টাকা কিন্তু অন্যূন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন :
তবে মর্থ থাকে যে, যদি আদালতের সন্তুষ্টিমতে প্রমাণিত হয় যে, কম্পিউটার প্রোগ্রামটি ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ধারায় মুনাফা লাভের জন্য লঙ্ঘিত হয় নাই, তাহা হইলে তিন মাসের কম মেয়াদের কারাবাস এবং ৫০,০০০/- টাকার কম জরিমানার যে কোন দন্ড আরোপ করিতে পারিবে।
৮৫। অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপির তৈরী করিবার উদ্দেশ্য প্লেট দখলে রাখা :
কোন ব্যক্তি, যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কপিরাইট বিদ্যমান রহিয়াছে এমন কোন কর্মের অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি তৈরী করিবার উদ্দেশ্যে কোন প্লেট তৈরী করেন বা দখলে রাখেন, বা কপিরাইটের মালিকের সম্মতি ব্যতিরেকে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাহার ব্যক্তিগত লাভের জন্য ঐরূপ কোন কর্মের জনসাধারণ্যে সম্পাদনের কারণ ঘটান, তাহা হইলে তিনি অনুর্ধ দুই বৎসরের কারাদন্ড বা অনূধ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৮৬। অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপির বা অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি তেরীর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত প্লেট বিলিবন্টন :
এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার করিবার কালে, অভিযক্ত অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হউক, আদালত উহার নিকট অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি বা অধিকার লঙ্ঘনকারী অনুলিপি তৈরী করিবার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত প্লেটরূপে প্রতীয়মান, অভিযুক্ত অপরাধীর দখলভুক্ত কর্মটির সমস্ত অনুলিপি বা সমস্ত প্লেট ধ্বংস করিবার বা কপিরাইটের মালিককে বুঝাইয়া দিবার বা আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করে সেভাবে বিলিবন্টন করিবার আদেশ দিতে পারিবে।
৮৭। রেজিষ্টারে মিথ্যা অন্তর্ভুক্তি, ইত্যাদি, অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য উপস্থাপনা বা প্রদান করার শাস্তি :
কোন ব্যক্তি যদি-
(ক) কপিরাইট রেজিষ্টারে কোন মিথ্যা অন্তর্ভুক্তি সন্নিবেশ করেন বা করিবার কারণ ঘটান, বা
(খ) মিথ্যাভাবে রেজিষ্টারে কোন অন্তর্ভুক্তির অনুলিপির অর্থ বহনকারী কোন লেখা লিখেন বা লিখান, বা
(গ) মিথ্যা জানিয়া ঐরূপ কোন অন্তর্ভুক্তি বা লেখা সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপন বা প্রদান করেন অথবা উপস্থাপন বা প্রদান করার কারণ ঘটান,
তিনি অনূর্ধ্ব দুই বৎসর কারাদন্ড বা দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৮৮। প্রতারিত বা প্রভাবিত করিবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বিবৃতি প্রদানের শাস্তি :
কোন ব্যক্তি-
(ক) কোন কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে এই আইনের কোন বিধানের আওতায় তাহার যে কোন কার্য সম্পাদনে প্রতারিত করিবার অভিপ্রায়, বা
(খ) এই আইন বা ইহার অধীন কোন বিষয় সম্পর্কে কোন কিছু করিতে বা না করিতে প্রভাবিত করিবার অভিপ্রায়ে,
মিথ্যা জানিয়া কোন মিথ্যা বিবৃতি বা ব্যাখ্যা প্রদান করেন, তিনি অনূর্ধ দুই বৎসরের কারাদন্ডে বা অনূর্ধ পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৮৯।প্রণেতার মিথ্যা কর্তৃত্ব আরোপ :
কোন ব্যক্তি-
(ক) প্রণেতা নহেন এমন কাহারো নাম কোন কর্মের ভিতরে বা উপরে বা উক্ত কর্মের পুনরুৎপাদিত অনুলিপির ভিতরে বা উপরে এমনভাবে সন্নিবেশ বা সংযুক্ত করেন যাহাতে এই মর্মে ইঙ্গিত বহন করে যে ঐরূপ ব্যক্তি কর্মটির প্রণেতা; অথবা
(খ) এমন কোন কর্ম প্রকাশ, বিক্রয় বা ভাড়ায় প্রদান করেন অথবা বাণিজ্যিকভাবে জনসমক্ষে প্রদর্শন করেন যে কর্মের বিথরে বা উপরে এমন কোন ব্যক্তির নাম এমনভাবে সন্নিবেশ বা সংযুক্ত করা হইয়া থাকে যাহাতে এই মর্মে ইঙ্গিত বহন করে যে, ঐরূপ ব্যক্তি কর্মটির প্রণেতা বা প্রকাশক, কিন্তু যিনি তাহার জানামতে ঐরূপ প্রণেতা বা প্রকাশক নহেন; অথবা
(গ) দফা (খ) এ উল্লিখিত কোন কর্ম করেন বা সেই কর্মের পুনরুৎপাদন বিতরণ করেন যে কর্মের ভিতর বা উপরে কোন ব্যত্তির কোন ব্যক্তির নাম এমনভাবে সন্নিবেশ বা সংযুক্ত করা হয় যহাতে এই মর্মে ইঙ্গিত বহন করে যে, ঐরূপ ব্যক্তি কর্মটির প্রণেতা, কিন্তু যিনি তাহার জানামতে ঐরূপ কর্মের প্রণেতা নহেন, অথবা কর্মটি জনসমক্ষে সম্পাদন করেন বা কোন বিশেষ প্রণেতার কর্মরূপে কর্মটি সম্প্রচার করেন যিনি যাহার জানামতে ঐরূপ কর্মের প্রণেতা নহেন;
তিনি অনূর্ধ্ব দুই বৎসর কারাদন্ড বা অনূর্ধ পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৯০। ধারা ৭২ লঙ্ঘনের শাস্তি :
কোন ব্যক্তি যদি ধারা ৭২ এর বিধান লঙ্ঘনপূর্বক কোন রেকর্ড বা ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব তিন লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
৯১। কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ :
(১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন কোম্পানী কর্তৃক সংঘটিত হইলে, অপরাধ সংঘটনের সময় উক্ত কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোম্পানীর দায়িত্বে ছিলেন এবং সংঘটনের সময় উক্ত কোম্পানীর ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোম্পানীর দায়িত্বে ছিলেন এবং কোম্পানীর নিকট দায়ী ছিলেন এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি এবং অধিকন্তু ঐ কোম্পানী ঐরূপ অপরাধের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহারা তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য এবং সেইমত দন্ডপ্রাপ্ত হইতে দায়ী হইবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই কোন ব্যক্তিকে কোন শাস্তির জন্য দায়ী করিবে না; যদি তিনি প্রমাণ কনের যে ঐ অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত অথবা তিনি ঐরূপ অপরাধ সংঘটনরোধ করিবার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করিয়াছিলেন।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাচাই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন কোম্পানী কর্তৃক কোন অপরাধ যদি সংঘটিত হয় এবং ইহা প্রমাণিত হয় যে, ঐ অপরাধ কোম্পানীর কোন পরিচালক, ম্যানেজার সেক্রেটারী বা অন্যান্য অফিসারের সম্মতি বা গাফলতির কারণে সংঘটিত হইয়াছে তাহা হইলে উক্ত পরিচালক, ম্যানেজার, সেক্রেটারী বা অন্যান্য অফিসারও ঐ অপরাধের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহারা তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য এবং সেইমতে দন্ডনীয় হইবেন।
ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্যে-
(ক) "কোম্পানী" অর্থে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং কোন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সমিতিও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
(খ) ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে "পরিচালক" অর্থে উহার অংশীদারকে বুঝাইবে।
৯২। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ :
দায়রা জজ আদালত অপেক্ষা নিম্নতর কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ, ধারা ৬৬ এর বিধান সাপেক্ষে, বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না।
৯৩। লঙ্ঘিত অনুলিপি জব্দ করিতে পুলিশের ক্ষমতা :
(১) সাব-ইনসপেক্টরের নিম্নতর পদাধিকারী নহেন এমন যে কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, ধারা ৮১ এর অধীনে কোন কর্মের কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, হইতেছে বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, তাহা হইলে তিনি গ্রেফতারী পরোয়ানা কর্মটির সকল অনুলিপি এবং লঙ্ঘনকারী অনুলিপি তৈরীর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সকল প্রেট, যেখানেই ছাড়াই যাওয়া যাক, জব্দ করিতে পারিবেন এবং অনুরূপভাবে জব্দকৃত সকল কপি এবং প্লেট যত দ্রুত সম্ভব, একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থাপন করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে জব্দকৃত কোন কর্মের অনুলিপিতে বা প্লেটে স্বার্থ রহিয়াছে এমন যে কোন ব্যক্তি ঐরূপ জব্দ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে অনুরূপ অনুলিপি বা প্লেট তাহাকে ফেরত দিবার জন্য ম্যাটিস্ট্রেটের নিকট দরখাস্ত করিতে পারেন এবং ম্যাজিষ্ট্রেট, দরখাস্তকারী ও বাদীর শুনানী গ্রহণের পর এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরো তদন্ত কিরয়া দরখাস্তে উপর তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত আদেশ প্রদান করিবেন।
৬ষ্ঠদশ অধ্যায়
আপীল
৯৪। ম্যাজিষ্ট্রেটের কতিপয় আদেশের বিরুদ্ধে আপিল :
ধারা ৮৬ বা ধারা ৯৩ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি, আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে, যে আদালতে আদেশ প্রদানকারী আদালত হইতে সাধারণতঃ আপিল করা চলে সেই আদালতে আপীল করিতে পানিবেন এবং ঐরূপ আপীল আদালত কর্তৃক আপীল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঐ আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
৯৫। রেজিষ্ট্রারের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল :
(১) রেজিস্ট্রারের কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুদ্ধ যে কোন ব্যক্তি ঐ সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে বোর্ডের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।
(২) এই ধারার অধীন বোর্ডের শুনানী গ্রহণকালে রেজিষ্ট্রার বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকিবেন না।
৯৬। বোর্ডের অঅদেমের বিরুদ্ধে আপীল :
ধারা ৯৫ এর অধীন আপীলে প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ ব্যতীত, বোর্ডের কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি ঐ সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৬ এর আওতায় বোর্ডের কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অণুরুপ কোন আপীল চলিবে না।
৯৭। তামাদী গণনা :
এই অধ্যায়ের অধীন আপীলের জন্য প্রদত্ত তিন মাসের সময় গণনায়, যে আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করা হইয়াছে, উহার সার্টিফাইড কপি বা, ক্ষেত্রমত সিদ্ধান্তের রেকর্ড প্রদানের জন্য গৃহীত সময় বাদ দিতে হইবে।
৯৮। আপীলের পদ্ধতি :
হাইকোর্ট বিভাগ এই আইনের সহিত সংগতি রাখিয়া ধারা ৯৬ এর অধীনে উহার নিকট দায়েরকৃত আপীলে অনুসরণীয় পদ্ধতি বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
সপ্তদশ অধ্যায়
বিবিধ
৯৯। রেজিষ্ট্রার এবং বোর্ড এর দেওয়ানী আদালতের কতিপয় ক্ষমতা :
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) এর অধীনে কোন দেওয়ানী মামলার বিচার করা কালে রেজিষ্ট্রার ও বোর্ড এর নিম্নোক্ত বিষয়ে দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা থাকিবে, যথা :
(ক) সমন প্রদান করা এবং কোন ব্যক্তির উপস্থিত নিশ্চিত করা এবং তাহাকে শপথপূর্বক পরীক্ষা করা;
(খ) কোন দলিল প্রদর্শন এবং উপস্থাপন করানো;
(গ) হলফনামাসহ সাক্ষ্য গ্রহণ;
(ঘ) সাক্ষ্য বা দলিল পরীক্ষার জন্য কমিশন মঞ্জুর করা;
(ঙ) সাক্ষ্য বা দলিল পরীক্ষার জন্য কমিশন মঞ্জুর করা;
(চ) নির্ধারিতব্য অন্য যে কোন বিষয়।
ব্যাখ্যা : সাক্ষীর উপস্থিতি বলবৎকরণার্থে রেজিষ্ট্রার বা, ক্ষেত্রমত বোর্ড এর অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমানা হইবে সমগ্র বাংলাদেশ।
১০০। রেজিষ্ট্রার বা বোর্ড কর্র্তক প্রদত্ত অর্থ প্রদানের আদেশ ডিক্রীর ন্যায় কার্যকর হইবে:
রেজিষ্ট্রার বা বোর্ড কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদত্ত অর্থ প্রদানের আদেশ বা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত অনুরূপ আদেশের বিরুদ্ধে আনীত আপীলে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রেজিষ্ট্রার, বোর্ড বা ক্ষেত্রমত, সুপ্রীমকোর্টের রেজিষ্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে দেওয়ানী আদালতের ডিক্রী মর্মে গন্য হইবে এবং অনুরূপ আদালতের ডিক্রীর ন্যায় অভিন্ন পদ্ধতিতে কার্যকরযোগ্য হইবে।
১০১। অব্যাহতি :
এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনে সরল বিশ্বাসে কৃত বা করার অভিপ্রায় এর জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা বা আইনগত কার্যক্রম চলিবে না।
১০২। জনসেবক :
এই আইনের অধীন নিযুক্ত প্রত্যেক কর্মকর্তা এবং বোর্ডের প্রত্যেক সদস্য দন্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ২১ এ Public Servant (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে Public Servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবে।
১০৩। বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা :
(১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(২) পূর্বোল্লিখিত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুন্ন না করিয়া নিম্নবর্ণিত বা যে কোন বিষয়ে সরকার বিশেষ করিয়া এবং উপরিউক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকভাবে ক্ষুন্ন না করিয়া অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথা :
(ক) চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের অন্যান্য সদস্যগণের কর্মের মেয়াদ ও চাকুরীর শর্তাবলী;
(খ) এই আইনের অধীন দাখিলতব্য অভিযোগ ও দরখাস্ত এবং মঞ্জুরীকৃত লাইসেন্সের ফরম;
(গ) রেজিষ্ট্রার বা বোর্ডের সমীপে কার্যধারায় অনুসরণীয় পদ্ধতি;
(ঘ) ধারা ৪১ এই উপ-ধারা (২) এর অধীন দরখাস্ত দলিলের শর্তাবলী;
(ঙ) ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন কপিরাইট সমিতি নিবন্ধন হওয়ার শর্তাবলী;
(চ) ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিবন্ধন বাতিলের তদন্ত;
(ছ) ধারা ৪২ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীনে কপিরাইট সমিতিকে প্রদেয় ক্ষমতার শর্ত এবং উক্ত উপ-ধারার দফা (খ) এর অধীন অধিকারের মালিকদের অনুরূপ ক্ষমতা অর্পণের ক্ষমতা প্রত্যাহারের শর্তাবলী;
(জ) ধারা ৪২ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন কপিরাইট সমিতি কর্তৃক লাইসেন্স ইস্যুকরণ, ফি আদায় এবং অধিকারে মালিকদের মধ্যে অনুরূপ ফি বন্টনের শর্তাবরী;
(ঝ) ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে ফি আদায় ও বন্টন বিষয় অধিকারে মালিকদের অনুমোদন ফি হিসাবে আদায়কৃত কোন অর্থের সদ্ব্যব্যবহার এবং অনুরূপ মালিকদের তাহাদের অধিকারসমূহে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কার্যাবলীর তথ্য সরবরাহের পদ্ধতি;
(ঞ) ধারা ৪৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কপিরাইট সমিতি কর্তৃক রেজিষ্ট্রারের নিকট বিবরণী দাখিল;
(ট) এই আইনের অধীন প্রদেয় কোন রয়্যালটি নির্ধারণ এবং অনুরূপ রয়্যালটি প্রদানের জন্য জামানত গ্রহণের পদ্ধতি;
(ঠ) এই আইনের অধীন প্রদেয় রয়্যালটি প্রদানের পদ্ধতি;
(ড) কপিরাইট সমিতি কর্তৃক হিসাব এবং অন্যান্য আনুষংগিক নথি সংরক্ষণ এবং বার্ষিক হিসাব বিবরণীর নমুনা ও পদ্ধতি এবং ধারা ৪২ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন অধিকারের ব্যক্তি মালিককে প্রদত্ত পারিশ্রমিকের পরিমাণ নির্ধারণের পদ্ধতি;
(ঢ) এই আইনের অধীন রক্ষিতব্য কপিরাইট রেজিষ্ট্রারের ফরম এবং উহাতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এমন বিবরণী;
(ণ) যে সকল বিষয়ে রেজিষ্ট্রার এবং বোর্ডের দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা থাকিবে;
(ত) এই আইনের অধীনে প্রদেয় ফিস এই আইনের দ্বারা রেজিষ্ট্রারের ব্যবস্থাপনায় বা নিয়ন্ত্রাণে ন্যস্ত কপিরাইট অফিসের কার্যাদি ও অন্য সকল বিষয়।
১০৪। ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ :
এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি পাঠ প্রকাশ করিবে যাহা এই আইনের অনূদিত ইংরেজী পাঠ (Authentic English Text) নাম অভিহিত হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।
১০৫। রহিতকরণ, হেফাজত এবং ক্রান্তিকালীন বিধান :
(১) Copy-right Ordinance, 1962 (Ord. No. XXXIV of 1962) এতদ্বারা রহিত করা হইল।
(২) যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি এই আইন হওয়ার পূর্বে এমন কোন কাজ করিয়া থাকেন যাদ্বারা তিনি সংশ্লিষ্ট সময়ে আইন মোতাবেক কোন কর্মের পুনরুৎপাদন বা সম্পাদনের জন্য অথবা এই আইন কার্যকর না হইলে ঐরূপ পুনরুৎপাদন বা সম্পাদন বৈধ হইত এমন কোন কর্মের পুনরুৎপাদন বা সম্পাদনের জন্য কোন প্রকার ব্যয় বা দায় এর জন্য দায়ী হন, সেক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই ঐরূপ কাজ হইতে বা তৎসূত্রে উদ্ভুত কোন অধিকার বা স্বার্থ খর্ব বা ক্ষুন্ন করিবে না, যদি না এই আইনেবলে পুনরুৎপাদন বা সম্পাদন করিবার অধিকারী ব্যক্তি চুক্তিভঙ্গের দরুণ বোর্ড যেরূপ নির্ধারণ করে ঐরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে সম্মত না হন।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিত আইনের অধীন কোন কর্মের কপিরাইট ছিল না এমন কোন কর্মের ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কপিরাইট থাকিবে না।
(৪) এই আইন কার্যকর হওয়ার অব্যাহতি পূর্বে যেক্ষেত্রে কোন কর্মের কপিরাইট বিদ্যমান ছিল ঐরূপ কপিরাইটের অন্তর্ভুক্ত অধিকার, এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে, কর্মটি যে শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ঐ শ্রেণী সম্বন্ধে ধারা ১৪-এ উল্লিখিত অধিকার হবে এবং যদি উক্ত ধারা দ্বারা কোন নতুন অধিকার প্রদত্ত হয়, তাহা হইলে উক্ত অধিকারের মালিক-
(ক) এই আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে কর্মটির কপিরাইটের সম্পূর্ণ স্বত্ব-নিয়োগ হইয়া থাকলে, উক্ত স্বত্ব-নিয়োগ স্বার্থের উত্তরাধিকারী হইবেন।
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, ঐ ব্যক্তি হইবেন যিনি উপ-ধারা (১) এর অধীন বাতিলকৃত আইনে কর্মটির কপিরাইটের প্রথম স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
(৫) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, কোন ব্যক্তি এই আইন কার্যকর হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে কোন কর্মের কপিরাইট অথবা কোন অধিকার বা অধিকারের অন্তর্গত কোন স্বার্থের অধিকারী থাকিলে, তাহার ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর না হইলে যে সময়ের জন্য তিনি ঐরূপ অধিখার বা স্বার্থের অধিকারী হইতেন তাহা অব্যাহত থাকিবে।
(৬) এই আইনের কোন কিছুই উহা কার্যকর হওয়ার পূর্বে কৃত কোন কাজ কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত কাজ হিসাবে ব্যাখ্যায়িত হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি ঐ কাজ অন্যভাবে ঐরূপ অধিকারলঙ্ঘন গঠন না করিয়া থাকে।
(৭) এই ধারায় ভিন্নরূপ কিছু থাকলে, রহিতকরণের ফলাফলের বিষয়ে ১৮৯৭ সানের জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট (১৮৯৭ সনের ১০নং আইন) প্রযোজ্য হইবে।
সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট