রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১

বাংলাদেশ গেজেট

 

অতিরিক্ত সংখ্যা

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত

 

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০০৫

 

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

ঢাকা, ৫ই ফাল্গুন ১৪১১/১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০০৫

 

    সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৫ই ফাল্গুন, ১৪১১ মোতাবেক ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০০৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়অছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্ব সাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে :¾

    ২০০৫ সনের ৩নং আইন

    বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৩নং আইন) এর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন।

    যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যপূরণকল্পে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৩নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

    সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :

 

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।¾ (১) এই আইন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০০৫ নামে অভিহিত হইবে।

    (২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

 

২। ২০০৩ সনের ১৩নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন।¾ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলটরী কমিশন আইন, ২০০৩, অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া অভিহিত, এর ধারা ২ এর দফা (ম) এ "বিদ্যুৎ বা গ্যাস" শব্দগুলির পরিবর্তে "এনার্জি" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

 

৩। ২০০৩ সনের ১৩ নং আইনের ধারা ৭ এর সংশোধন।¾ উক্ত আইনের ধারা ৭ এর¾

(ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (১) এবং (১ক) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :¾

    "(১) কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীগণের নিম্নবর্নিত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকিতে হইবে, যথা :¾

(ক) খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্রাস, অথবা প্রট্রোলিয়ামজাত পদার্থ বিষয়ে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রীধারী প্রকৌশলী; অথবা

(খ) ভূবিজ্ঞান, আইন, অর্থনীতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায়-প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, পরিসংখ্যান এবং লোক প্রশাসন বিষয়ে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে কমপক্ষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী; এবং

(গ) দফা (ক) অথবা (খ) তে উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে বিশ বৎসরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা।

    (১ক) খনিজ সম্পদ, প্রাকৃতিক গ্যাস অথবা প্রেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ বিষয় হইতে একজন, এবং বিদ্যুৎ বিষয় হইতে একজন সদস্য নিয়োগ করিতে হইবে, এবং অবশিষ্ট ৩ জন সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত বিষয়সমূহৈর যে কোনটি হইতে একজনের বেশী সদস্য নিয়োগ করা যাইবে না।";

(খ) উপ-ধারা (২) এর¾

(অ) দফা (ঘ) এর প্রান্তস্থিত; "এবং" চিহ্ন ও শব্দটির পরিবর্তে "দাঁড়ি" প্রতিস্থাপিত হইবে, এবং

(আ) দফা (ঙ) বিলুপ্ত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (২) এর পর নিম্নরূপ উপ-ধারা (২ক) সন্নিবেশিত হইবে, যথা :¾

"(২ক) সরকারী চাকুরীতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ চেয়ারম্যান বা সদস্য পদের জন্য, এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, তাঁহাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দরখাস্ত দাখিল করিতে পারিবেন, তবে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হইলে উক্ত ব্যক্তিগণ শুধুমাত্র সরকারী চাকুরীর অবসান ঘটাইয়া উক্ত পদে যোগদান করিতে পারিবেন।"

 

৪। ২০০৩ সনের ১৩ নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন।¾ উক্ত আইনের ধারা ১১ এর¾

(ক) উপ-ধারা (২) এর দ্বিতীয় লাইনের "কালণে" শব্দটির পরিবর্তে "কারণের" শব্দটি, তৃতীয় লাইনের "করিবে" শব্দটির পরিবর্তে "করিবেন" শব্দটি এবং শেষ লাইনের "দিবে" শব্দটির পরিবর্তে "দিবেন" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (৩) এর প্রথম লাইনের "সরকারের" শব্দটির পরিবর্তে "রাষ্ট্রপতির", দ্বিতীয় লাইনের "কমিশনারের" শব্দটির পরিবর্তে "সদস্যের" শব্দটি, তৃতীয় লাইনের "কমিশনারকে" শব্দটির পরিবর্তে "সদস্যকে" শব্দটি ও "সরকার" শব্দটির পরিবর্তে "রাষ্ট্রপতি" শব্দটি এবং শেষ লাইনের "করিবে" শব্দটির পরিবর্তে "করিবেন" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৪) এর প্রথম লাইনের "প্রধান" শব্দটির পরিবর্তে "প্রদান" শব্দটি, দ্বিতীয় লাইনের "সরকার" শব্দটির পরিবর্তে "রাষ্ট্রপতি" শব্দটি, "কমিশনারকে" শব্দটির পরিবর্তে "সদস্যকে" শব্দটি এবং "করিবে না" শব্দগুলির পরিবর্তে "করিবেন না" শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং

(ঘ) উপ-ধারা (৫) এর প্রথম লাইনের "কমিশনারের" শব্দটির পরিবর্তে "সদস্যের" শব্দটি, দ্বিতীয় লাইনের "সরকার" শব্দটির পরিবর্তে "রাস্ট্রপতি" শব্দটি ও "কমিশনারকে" শব্দটির পরিবর্তে "সদস্যকে" শব্দটি এবং তৃতীয় লাইনের "পারিবে" শব্দটির পরিবর্তে "পারিবেন" শব্দটি ও "কমিশনার" শব্দটির পরিবর্তে "সদস্য" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে।

৫। ২০০৩ সনের ১৩ নং আইনের ধারা ১২ এর সংশোধন।¾ উক্ত আইনের ধারা ১২ এর উপ-ধারা (৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৬) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :¾

"(৬) কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে ২ (দুই) জন সদস্য কমিশনের সভা আহবানের জন্য লিখিতভাবে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করিতে পারিবেন, এবং উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির ৭ ঞসাত) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সভা আহবান করিবেন।"

 

৬। ২০০৩ সনের ১৩নং আইনের ধারা ১৭ এর সংশোদন।¾ উক্ত আইন এর ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৪) এ "কমিশনের সকল ব্যয় নির্বাহের পর" শব্দগুলির পর "রাজস্ব বাজেটের" শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে।

 

৭। ২০০৩ সনের ১৩নং আইনের ধারা ২২ এর সংশোধন।¾ উক্ত আইনের ধারা ২২ এর দফা (ড) এ "এনার্জি" শব্দটির পরিবর্তে "বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং এনার্জি সঞ্চালন, বিপণন, সরবরাহ, মজুতকরণ, দক্ষ ব্যবহার, সেবার মান, ট্যারিফ নির্ধারণ ও নিরাপত্তার উন্নয়ন" শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

 

৮। ২০০৩ সনের ১৩ নং আইনের ধারা ৩৪ এর সংশোধন।¾ উক্ত আইনের ধারা ৩৪ এর¾

(ক) উপ-ধারা (২) এর প্রথম লাইনের "বিষয়গুলির" শব্দটির পরিবর্তে "বিষয়গুলি" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (২) (চ) এ "পাওয়ার" শব্দটির পরিবর্তে "এনার্জি" এবং "পরিকল্পনা" শব্দটির পরিবর্তে "পরিকল্পনা" শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(গ) উপ-ধারা (৬) এ "বিজ্ঞপ্তি জারী করিবে" শব্দগুলির পর "উহার প্রয়োজনীয় প্রচারের জন্য লাইসেন্সীকে নির্দেশ প্রদান করিবে" শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে; এবং

(ঘ) উপ-ধারা (৭) বিলুপ্ত হইবে।

 

ড. মোঃ ওমর ফারুক খান

সচিব

 

সৌজন্যে: প্যান লোকালাইজেশন প্রোজেক্ট