দ্বিতীয় অধ্যায়
চুক্তি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন প্রসঙ্গে
[Of the specific
Performance of contracts]
(ক)
যে চুক্তি
সুনির্দিষ্টভাবে
কার্যকরী
করা
যাইতে
পারে
।
ধারা-১২ (যেই
সব
ক্ষেত্রে
সুনির্দিষ্ট
কার্যসম্পাদন
আদায়যোগ্য)
যদি এ অধ্যায়ে অন্যত্রভাবে বিধিবদ্ধ না থাকে, তবে যে-কোনো চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে আদায় করা যাইতে পারে ।
(ক) যখন সম্মতিসূচক কার্যসম্পাদন পুরোপুরি বা অংশত একটি জিম্মদার অন্তর্ভূক্ত হয়;
(খ) যখন সম্মতিসূচক কার্যসম্পাদন না করিলে কার্যত যে ক্ষতি সাধিত হবে, তা নির্ণয় করার কোনো মানদণ্ডের অস্তিত্ব থাকে না;
(গ) যখন এই সম্মতিভূক্ত কাজ এমন হয় যে, তাহা সম্পাদন না করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত প্রতিকার লাভ করা যায় না; অথবা
(ঘ) যখন এই সম্ভাবনা থাকে যে, সম্মতিসূচক কার্যসম্পাদন না করার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাইবে না ।
ব্যাখ্যা : যদি না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না বিপরীত কিছু প্রমাণিত হয়, আদালত ইহা অবশ্যই ধরিয়া লইবে যে, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চুক্তিভঙ্গের পর্যাপ্ত প্রতিকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে নহে এবং অস্থাবর হস্তান্তরের চুক্তিভঙ্গের প্রতিকার তেমনভাবে করা যায় ।
উদাহরণ
দফা-(ক)-বাতিল
দফা-(খ)
খ একজন মৃত চিত্রকরের একটি চিত্র এবং একজোড়া কারুকার্যখচিত দুষ্প্রাপ্য চীনা মাটির পাত্র বিক্রয় করিতে সম্মত হয় এবং ক তাহা ক্রয় করিতে সম্মত হয় । ক খ-কে এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য বাধ্য করিতে পারে; কারণ এই কার্য সম্পাদন না করার ফলে কার্যত যে ক্ষতি হইবে তা নির্ণয় করার কোনো মানদণ্ড নেই ।
দফা-(গ)
ক, খ-এর নিকট একটি বাড়ি ১০০০ টাকায় বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় । খ ক্রয়মূল্য প্রদান করিলে তাহার নিকট বাড়ি হস্তান্তর করার জন্য ক-এর প্রতি নির্দেশ সম্বলিত একটি ডিক্রীর অধিকারী ।
এ্যাকট অব ইনকরপোরেশনের দ্বারা আরোপিত কতিপয় বাধ্যবাধকতা হতে মুক্ত হওয়ার জন্য একটি রেলওয়ে কোম্পানী খ-এর সাথে রেলপথ দ্বারা বিচ্ছিন্ন খ-এর জমির সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য রেলপথের মধ্য দিয়া একটি আর্চওয়ে নির্মাণ, কতিপয় নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে একটি রাস্তা নির্মাণ, এই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট বার্ষিক অর্থ প্রদান এবং চুক্তিতে যেমনভাবে নির্দেশ রহিয়াছে তেমনভাবে একটি সাইডিং এবং একটি প্ল্যাট ফরম নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। খ এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণের অধিকারী । কারণ, ইহার সুনির্দিষ্ট সম্পাদনে তার স্বার্থ শুধু টাকা দ্বারা পর্যাপ্তভাবে ক্ষতিপূরণ করা যায় না, এবং আদালত আর্চওয়ে, রাস্তা, সাইডিং এবং প্ল্যাট ফরম নির্মাণ তদারক করার জন্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারেন।
ক, বিশেষ ধরণের নির্দিষ্ট সংখ্যক রেলওয়ে শেয়ার বিক্রি করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং খ তাহা ক্রয় করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় ক বিক্রি সম্পন্ন করতে অস্বীকার করে শেয়ার বিক্রয় করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং খ তা ক্রয় করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় । ক বিক্রয় সম্পন্ন করিতে অস্বীকার করে, খ, ক-কে এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের বাধ্য করিতে পারে, কারণ শেয়ার সংখ্যার দিক হইতে সীমাবদ্ধ এবং তা সব সময় বাজারে পাওয়া যাইবে না এবং সেগুলির দখল একজন শেয়ার হোল্ডারের মর্যাদা বহন করে, যা অন্য কোনো ভাবে করা যায় না ।
ক, খ-এর জন্য ছবি আঁকার ব্যাপারে খ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং খ তিনটি ছবির জন্য ১০০০ টাকা প্রদানে সম্মত হয় । ছবি আঁকা হয়েছে ১০০০ টাকা প্রদানের বিনিময়ে খ উক্ত ছবিগুলি পাবার অধিকারী ।
দফা-(ঘ)
ক পৃষ্ঠাঙ্কন ছাড়াই কিন্তু মুল্যবান প্রতিদানের বিনিময়ে খ-এর নিকট একটি প্রমিসরি নোট হস্তান্তর করে । ক দেউলিয়া হইয়া পড়ে এবং গ-কে স্বত্ব নিয়োগ নিযুক্ত করে, খ, গ-কে উক্ত নোটে পৃষ্ঠাঙ্কন করিতে বাধ্য করিতে পারে, কারণ গ, ক-এর দায়-দায়িত্বেরও উত্তরাধিকারী হইয়াছে এবং নোটে পৃষ্ঠাঙ্কন না করার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রদত্ত ডিক্রীও অর্থহীন হইবে ।
ধারা
১৩ (যে
চুক্তির
বিষয়বস্তু
আংশিকভাবে
বিলুপ্ত
হইয়াছে )
চুক্তি আইনের ৫৬ ধারার কোনো বিধান সত্বেও চুক্তি সম্পাদনের সময় অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী কার্যসম্পাদনের সময় আংশিকভাবে বিলুপ্ত হইবার কারণে চুক্তি অনুযায়ী কার্যসম্পাদন পুরোপুরি অসম্ভব নহে ।
উদাহরণ
(ক) ক, খ-এর নিকট একটি বাড়ি এক লক্ষ টাকায় বিক্রয় করিতে চুক্তিবদ্ধ হইল । চুক্তি সম্পন্ন করার পরদিন ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িটি বিধ্বস্ত হইয়া গেল । এখন ক্রয়মুল্য প্রদানের মাধ্যমে খ-কে চুক্তিতে তাহার অংশের কার্যসম্পাদনে বাধ্য করা যাইতে পারে ।
(খ) খ কর্তৃক দেয় নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ক, খ-কে সারা জীবনের জন্য বার্ষিক বৃত্তি প্রদানের চুক্তিবদ্ধ হইল । চুক্তি সম্পন্ন করার পরদিন খ ঘোড়ার পিঠ হইতে পড়ে মারা গেল । এখন খ-এর প্রতিনিধিকে উক্ত অর্থ পরিশোধে বাধ্য করা যাইতে পারে ।
ধারা-১৪(চুক্তির
অংশবিশেষ
সুনির্দিষ্টভাবে
সম্পাদন,
যেখানে
অসম্পাদিত
অংশ
হচ্ছে
ছোট)
যেখানে চুক্তিবদ্ধ একটি পক্ষ তাহার নিজের অংশের সম্পূর্ণ কার্য সম্পাদন করিতে অসমর্থ কিন্তু যেই অংশ অসম্পাদিত অবস্থায় পরিত্যক্ত হইবে সম্পূর্ণ অংশের তুলনায় তাহা মুল্যের দিক হইতে ক্ষুদ্র এবং এইজন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানে স্বীকৃত হয়, সেখানে আদালত যে-কোনো পক্ষের মামলার প্রেক্ষিতে চুক্তির যতটুকু সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের নির্দেশ দিয়ে বাকিটুকুর জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করিবেন ।
উদাহরণ
(ক) ক, খ-এর নিকট ১০০ বিঘার একটি জমি বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হইল । কিন্তু পরে দেখা গেল ৯৮ বিঘা জমি ক-এর মালিকাধীন আর বাকি ২ বিঘা জমি একজন অপরিচিত ব্যক্তির, যে তাহাদের সাথে অংশ লইতে অস্বীকার করিল । এই ২ বিঘা ৯৮ বিঘা জমির ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় নহে, তাহাতে ব্যবহার বা ভোগের জন্য এমন আবশ্যক নহে, যে ইহার ফলে সাধারণ ক্ষতির প্রতিকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পর্যাপ্তভাবে করা যাইবে না । খ-এর মামলাক্রমে ক-কে উক্ত ৯৮ বিঘা জমি খ-এর নিকট হস্তান্তর করার এবং বাকি দুই বিঘা হস্তান্তর না করার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেয়া যাইতে পারে । অথবা ক-এর আবেদনক্রমে খ-কে উক্ত জমির দখল গ্রহণ করিয়া বাকি জমির জন্য মঞ্জুরকৃত ক্ষতিপূরণের অর্থ বাদ দিয়ে চুক্তি অনুসারে ক্রয়মুল্য ক-কে অর্পণ করার নির্দেশ প্রদান করা যাইতে পারে ।
(খ) ২ লক্ষ টাকায় একটি বাড়ি ও জমি ক্রয়-বিক্রয়ের একটি চুক্তিতে দুই পক্ষই সম্মত হয় যে, আসবাবপত্রের অংশবিশেষের মূল্য নির্ধারণ করে নেয়া হইবে । আসবাবপত্রের মুল্যায়নের ব্যাপারে পক্ষগণ একমত হইতে অসমর্থ হওয়া সত্বেও আদালত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারেন এবং মামলায় আসবাবপত্রের মুল্যায়ন করিয়া তাহা সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী সীমিত রাখিতে পারেন ।
ধারা-(১৫
চুক্তির
অংশবিশেষ
সুনির্দিষ্টভাবে
সম্পাদন,
যে
ক্ষেত্রে
অংশবিশেষ
সম্পাদিত
অংশ
বড়)
যেখানে চুক্তিবদ্ধ একটি পক্ষ চুক্তিতে তাহার অংশের সম্পূর্ণ কার্যসম্পাদন করিতে ব্যর্থ হয় এবং অসম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত অংশ সম্পূর্ণ কাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হয় কিংবা আর্থিক ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট না হয়,
তাহলে সেই সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য একটি ডিক্রী পাওয়ার অধিকারী হইবে না । কিন্তু আদালত অপর পক্ষের মামলার প্রেক্ষিতে চুক্তিভঙ্গকারী পক্ষকে তাহার পক্ষে যতটুকু সম্পাদন করা সম্ভব চুক্তির ততটুকু অংশ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করার নির্দেশ প্রদান করিতে পারেন, যদি বাদী পক্ষ আরও কার্যসম্পাদনের দাবি পরিত্যাগ করে এবং কাজে ত্রুটির জন্য অথবা প্রতিবাদী কর্তৃক চুক্তিভঙ্গের দরুন সাধিত ক্ষতির জন্য প্রাপ্য সকল ক্ষতিপূরণের অধিকার পরিহার করে ।
উদাহরণ
(ক) ক, খ-এর নিকট ১০০ বিঘার একটি জমি বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় । কিন্তু পরে দেখা যায় যে, মাত্র ৫০ বিঘা জমি ক-এর মালিকানাধীন রহিয়াছে এবং অন্য ৫০ বিঘার মালিক একজন অপরিচিত ব্যক্তি, যে তাহাদের সাথে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিয়াছে । ক, খ-এর বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী পাইতে পারে না, কিন্তু যদি খ সম্মতিকৃত মুল্য প্রদানে ইচ্ছুক হয় এবং ক-এর অবহেলা বা চুক্তিভঙ্গের জন্য তাহাকে যে ক্ষতি বহন করিতে হইতেছে তাহার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সকল অধিকার পরিত্যাগ করিয়া ক-এর মালিকানাধীন ৫০ বিঘা জমি গ্রহণ করিতে চায়, তবে ক্রয়মূল্য পরিশোধের প্রেক্ষিতে ৫০ বিঘা জমি তাহার নিকট হস্তান্তর করার জন্য ক-এর নির্দেশ-সম্বলিত ডিক্রী পাইবার অধিকারী ।
(খ) ক ১ লক্ষ টাকায় বাড়ি ও বাগানসহ একটি সম্পত্তি খ-এর নিকট বিক্রি করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় । বাড়ির ব্যবহার বা উপভোগের জন্য বাগানটি গুরুত্বপূর্ণ । পরে দেখা যায় যে, ক বাগান হস্তান্তর করিতে সক্ষম নহে ক, খ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য ডিক্রী পাইতে পারে না; কিন্তু যদি খ সম্মতিকৃত মুল্য প্রদানে ইচ্ছুক হয় এবং ক-এর অবহেলা বা ত্রুটির জন্য তাহাকে যেই ক্ষতি বহন করিতে হইবে অথবা যেই অভাব বোধ করিতে হইবে তাহার ক্ষতিপূরণ পাইবার সকল অধিকার পরিত্যাগ করিয়া বাগান ছাড়াই বাড়ি এবং সম্পত্তি গ্রহণ করিতে সম্মত হয় তবে খ ক্রয়মূল্য পরিশোধের প্রেক্ষিতে বাড়ি এবং সম্পত্তি তাহার নিকট হস্তান্তর করার জন্য ক-এর প্রতি নির্দেশ-সম্বলিত ডিক্রী পাইবার অধিকারী ।
ধারা
১৬ (কোনো
চুক্তির
স্বতন্ত্র
অংশের
সুনির্দিষ্ট
কার্যসম্পাদন)
যখন চুক্তিটির একটি অংশের স্বতন্ত্রভাবে কার্যসম্পাদন করা যায় অথবা করা আবশ্যক হয় এবং তাহা একই চুক্তির এমন অন্য অংশ হ্ইতে স্বতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে অবস্থান করে যাহা সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করা যাইবে না বা করা আবশ্যক নহে, তাহলে আদালত পূর্ববর্তী অংশের সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারেন ।
ধারা
১৭ (অন্যান্য
ক্ষেত্রে
চুক্তির
অংশবিশেষ
সুনির্দিষ্টভাবে
সম্পাদনে
প্রতিবন্ধকতা)
পূর্ববর্তী তিনটি ধারায় যে কোনটির আওতাধীন মামলা ছাড়া বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে আদালত চুক্তির অংশবিশেষ সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।
ধারা
১৮ (ত্রুটিপূর্ণ
স্বত্বসম্পন্ন
বিক্রেতার
বিরুদ্ধে
ক্রেতার
অধিকার)
যেখানে এক ব্যক্তি এমন নির্দিষ্ট সম্পত্তি বিক্রয় বা ভাড়া প্রদানের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যাহাতে তাহার শুধুমাত্র ত্রুটিপূর্ণ স্বত্ব রহিয়াছে, সেখানে ক্রেতা বা ইজারাদারের (যদি না এই অধ্যায়ে অন্যভাবে বিধান প্রদান করা হয়) নিম্নোক্ত অধিকার রয়েছেঃ-
(ক) যদি বিক্রেতা অথবা ইজারাদাতা বিক্রয় বা ইজারা প্রদানের পরপরই সম্পত্তিতে কোনো স্বত্ব অর্জন করে, তবে ক্রেতা বা ইজারাদার তাহাকে তেমন স্বত্বের জন্য চুক্তি পালন করিতে বাধ্য করিতে পারে;
(খ) যেখানে স্বত্ব বৈধ করার জন্য অন্যান্য ব্যক্তিদের সম্মতি প্রয়োজন হয় এবং তাহারা বিক্রেতা বা ইজারাদাতার অনুরোধে তাহা করিতে বাধ্য, সেখানে ক্রেতা বা ইজারাদার তাহাকে তেমন সম্মতি সংগ্রহ করিতে বাধ্য করিতে পারে ।
(গ) যেখানে বিক্রেতা দায়হীন সম্পত্তি বিক্রয়ের কথা প্রকাশ্যে ব্যক্ত করে কিন্তু বাস্তবে সম্পত্তি এমন পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বন্ধক রাখা হইয়াছে যাহা ক্রয়মূল্যকে অতিক্রম করে না এবং কার্যত বিক্রেতার শুধু তাহা মুক্ত রাখার অধিকার রহিয়াছে সেখানে ক্রেতা তাহাকে তাহা বন্ধক মুক্ত করিতে এবং বন্ধকগ্রহীতার নিকট হইতে হস্তান্তর অর্জন করিতে বাধ্য করিতে পারে ।
(ঘ) যেখানে বিক্রেতা বা ইজারাদাতা চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য মামলা দায়ের করে এবং মামলা তাহার ত্রুটিপূর্ণ স্বত্বের অজুহাতে খারিজ হইয়া যায়, সেখানে প্রতিবাদীর অধিকার রহিয়াছে, সুদসহ জমাকৃত অর্থ (যদি জমা করিয়া থাকে) এবং মামলার খরচ ফেরত পাইবার এবং তেমন জমাকৃত অর্থ সুদ ও খরচের জন্য বিক্রেতা বা ইজারাদার যে জমি বিক্রয় বা ইজারা দিতে সম্মত হইয়াছিল তাহাতে বিক্রেতা বা ইজারাদাতার স্বত্বের উপর পূর্বস্বত্ব অধিকার থাকিবে ।
ধারা
১৯ (কতিপয়
ক্ষেত্রে
ক্ষতিপূরণ
মঞ্জুরের
ক্ষমতা)
কোনো ব্যক্তি যে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য মামলা দায়ের করিয়াছে, সে হয় তেমন কার্যসম্পাদনের অতিরিক্ত অথবা তাহার পরিপূরক হিসাবে চুক্তিভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করিতে পারে ।
যদি তেমন কোনো মামলায় আদালত সিদ্ধান্ত করেন যে, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন মঞ্জুর করা উচিত নহে কিন্তু পক্ষসমূহের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল যাহা প্রতিবাদী ভঙ্গ করিয়াছে এবং সে চুক্তিভঙ্গের জন্য বাদী ক্ষতিপুরণ পাওয়ার অধিকারী তাহা হইলে আদালত সে অনুসারে তাহাকে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করিবেন ।
যদি তেমন কোনো মামলায় আদালত সিদ্ধান্ত করেন যে, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন মঞ্জুর করা আবশ্যক, কিন্তু মামলার ন্যায়বিচারের জন্য এতটুকু যথেষ্ট নহে এবং চুক্তিভঙ্গের জন্য বাদীকে কিছু ক্ষতিপূরণ প্রদান করাও প্রয়োজন, তাহা হলে আদালত সে অনুসারে তাহার জন্য ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করিবেন ।
এই ধারা অনুসারে যে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করা হইবে তাহা আদালত কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় নিরূপণ করা যাইতে পারে ।
ব্যাখ্যা : চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন করার অনুপযোগী হইয়া পড়িয়াছে এমন পরিস্থিতিতে আদালত কর্তৃক এই ধারা অর্পিত এখতিয়ার প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করিবে না ।
উদাহরণ
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
ক, খ-এর নিকট ১০০ মন চাউল বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হইল । খ, ক-কে চুক্তি অনুযায়ী কার্যসম্পাদনে বাধ্য করার জন্য অথবা ক্ষতিপুরণ প্রদানের বাধ্য করার জন্য মামলা দায়ের করিল । আদালত এই মত প্রকাশ করে যে, ক একটি বৈধ চুক্তি সম্পন্ন করিয়াছিল, এবং কোনো রকম ওজর ছাড়াই তাহা ভঙ্গ করিয়া খ-এর ক্ষতি করিয়াছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনই ইহার উপযুক্ত প্রতিকার নহে । তখন আদালতের নিকট যাহা ন্যায্য বলিয়া মনে হইবে, তেমন ক্ষতিপূরণই খ-এর জন্য মঞ্জুর করিবেন ।
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
ক, খ-এর নিকট একটি বাড়ি ১০০০ টাকায় বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হইল । ঠিক হইল যে, ১৮৭৭ সালের ১ জানুয়ারি মূল্য পরিশোধ এবং বাড়ির দখল প্রদান করা হইবে ।
ক চুক্তির নিজ অংশের কার্যসম্পাদনে ব্যর্থ হইল এবং খ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন এবং ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করিল, যাহা ১৮৭৮ সালের ১ জানুয়ারি তাহার পক্ষে নিষ্পত্তি হইল । ডিক্রীতে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের আদেশ ছাড়াও ক-এর অস্বীকৃতির ফলে খ-কে যে ক্ষতি স্বীকার করিতে হইয়াছে, তাহার জন্য ক্ষতিপূরণও মঞ্জুর করা যাইতে পারে ।
ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে
ক্রেতা ক বিক্রেতা খ-এর বিরুদ্ধে একটি পেটেন্ট বিক্রয় চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলা দায়ের করিল । মামলার শুনানির আগেই পেটেন্ট অবসান ঘটিল । আদালত চুক্তি অনুযায়ী কার্যসম্পাদন না করার জন্য ক-কে ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করিতে পারেন এবং প্রয়োজনবোধে সে উদ্দেশ্যে আরজি সংশোধন করিতে পারে ।
ক একটি পাবলিক কোম্পানীর ডিরেকটরগণ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবের সে অনুসারে সে তাহার জন্য বরাদ্দকৃত নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ারের অধিকারী সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন এবং প্রস্তাব অনুযায়ী কার্যসম্পাদন না করার দায়ে ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করিল । মামলার শুনানির আগেই সকল শেয়ার বরাদ্দ করা হইল । এই ধারা অনুসারে আদালত কার্যসম্পাদন না করার জন্য ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করিতে পারেন ।
ধারা
২০ (খেসারত
পরিশোধ
সুনির্দিষ্ট
কার্যসম্পাদনের
প্রতিবন্ধকতা
নহে)
চুক্তি যদি অন্যথায় সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণের জন্য যথাযথ হয় তবে তাহা সেইভাবে কার্যকরী করা যাইতে পারে, যদিও চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ প্রদানের কথা থাকে এবং চুক্তিভঙ্গকারী পক্ষ তা প্রদানেও ইচ্ছুক হয় ।
উদাহরণ
ক, খ-কে গ-এর অধীন ক কর্তৃক দখলীকৃত সম্পত্তি অধীনস্থ ইজারা অনুমোদন করে চুক্তি সম্পাদন করিল, এবং তাহাতে শর্ত হ্ইল যে, ক অধীনস্থ ইজারার বৈধতার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের জন্য গ-এর কাছে আবেদন জানাবে এবং যদি লাইসেন্স সংগ্রহ করা না যায়, ক, খ-কে ১০,০০০ টাকা প্রদান করিবে ক, খ-এর নিকট লাইসেন্সের আবেদন জানাতে অস্বীকৃতি জানাইল এবং খ-কে ১০,০০০ টাকা প্রদান করিতে চাইলো । তথাপিও যদি লাইসেন্স প্রদানে সম্মত হয়, তবে খ উক্ত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণের অধিকারী ।
(খ) যাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায়
ধারা-২১ (যে
চুক্তিসমূহ
সুনির্দিষ্টভাবে
কার্যকরীকরণযোগ্য
নয় )
নিম্নোক্ত চুক্তিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যাবে না
(ক) যে চুক্তির কার্যসম্পাদন না করলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্বারা পর্যাপ্ত প্রতিকার হয়;
(খ) যে চুক্তি এত জটিল ও অসংখ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণের সমষ্টি অথবা তা পক্ষসমূহের ব্যক্তিগত যোগ্যতা অথবা সংকল্পের উপর এত নির্ভরশীল অথবা অন্য কোন ভাবে উহার প্রকৃতিই এমন যে, আদালত উক্ত চুক্তির উল্লেখযোগ্য শর্তাবলীর সুনির্দিষ্ট যুক্তিসঙ্গত কার্যসম্পাদন কার্যকরী করিতে পারেন না;
(গ) যে চুক্তির শর্তাবলী আদালত যুক্তিসঙ্গত নিশ্চয়তার সাথে নির্ণয় করতে পারে না;
(ঘ) যে চুক্তি তার প্রকৃতির কারণেই বাতিলযোগ্য;
(ঙ) জিম্মাদারগণ কর্তৃক কৃতচুক্তি যা তাদের ক্ষমতা লংঘন করে করা হয়েছে অথবা তাদের জিম্মাদারী চুক্তি ভঙ্গ করে করা হয়েছে;
(চ) বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত করপেররেশন বা পাবলিক কোম্পানীর পক্ষে অথবা তেমন কোম্পানীর উদ্যোক্তা ব্যক্তিগণ কর্তৃক কৃত চুক্তি যা তাদের ক্ষমতার অতিরিক্ত;
(ছ) যে চুক্তির কার্যসস্পাদন করতে হলে শুরু করার তারিখ হতে তিন বত্সরের বেশি সময় ক্রমাগত কাজ করে যেতে হবে;
(জ) যে চুক্তির বিষয়বস্তু উল্লেখযোগ্য অংশ উভয় পক্ষ বর্তমান ধরে নিলেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার আগেই তার বিলুপ্তি ঘটিয়াছে ।
১৯৪০ সালের সালিসী আইনে যেমন বিধান আছে তা ব্যতিরেকে বর্তমান বা ভবিষ্যত মতানৈক্যের সালিসীর জন্য প্রেরণ করার কোনো চুক্তিই সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যাইবে না, কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি সালিসী চুক্তি ছাড়া এমন কোনো চুক্তি করে, যাহার উপর পূর্বোক্ত আইনের বিধান প্রযোজ্য এবং তা সম্পাদন করিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে এবং এমন কোনো বিষয়ে মামলা দায়ের করে, যাহা সে সালিসীর জন্য প্রেরণ করিতে চুক্তিবদ্ধ, তেমন চুক্তির অস্তিত্ব মামলার পথে প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করিবে ।
উদাহরণ
অনুচ্ছেদ (ক) তে
'ক' সরকারের শতকরা চার টাকা হারে একলক্ষ টাকার ঋণপত্র বিক্রয় করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং 'খ' তা ক্রয় করিতে চুক্তিবদ্ধ হয় ।
'ক' প্রতি বাক্স নীল ১,০০০ টাকা দরে ৪০ বাক্স নীল বিক্রয় করতে এবং 'খ' তা ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয় ।
খ-এর নিকট 'ক' কর্তৃক কিছু সম্পত্তি হস্তান্তর করার বিনিময়ে 'খ' এর অনুকূলে ১০,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত একটি ক্রেডিট খোলা এবং সে অংক পর্যন্ত টাকার জন্য ক-এর ড্রাফট পরিশোধ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় ।
উপরোক্ত চুক্তিসমূহে সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না, কারণ প্রথম এবং দ্বিতীয় ক ও খ উভয়েই এবং তৃতীয়টিতে ক-এর ক্ষতি আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে ।
অনুচ্ছেদ (খ) তে
'ক' খ-এর ব্যক্তিগত কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হল;
'ক' খ-কে তার ব্যক্তিগত কাজে নিয়োগ করিতে চুক্তিবদ্ধ হল;
একজন গ্রন্থকার 'ক' একজন প্রকাশক খ-এর সহিত একটি সাহিত্য গ্রন্থ রচনা সমাপ্ত করতে চুক্তিবদ্ধ হইল;
'খ' এসব চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন আদায় করিতে পারে না ।
'ক' খ-এর ব্যবসা এমন মূল্যে ক্রয় করতে চুক্তিব্ধ হল, যাহা দু'জন মুল্য নির্ণয়কারী ঠিক করিবেন এবং মুল্য নির্ণয়কারীর একজনের নাম করিবে 'ক' ও অপরজনের নাম করিবে 'খ' । ক এবং খ উভয়েই একজন করে মুল্য নির্ণয়কারীর নাম প্রদান করিল, কিন্তু মূল্য নিরুপিত হইবার আগেই 'ক' তাহার মুল্য নিরুপণকারীকে অগ্রসর না হবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিল;
জাহাজ মালিক 'ক' এবং ভাড়াকারী খ-এর মধ্যে চট্রগ্রামে সম্পাদিত এক জাহাজ ভাড়া চুক্তিতে এ মর্মে সম্মতি প্রকাশ করা হয় যে, জাহাজ করাচীর দিকে অগ্রসর হবে এবং সেখানে চাউল উঠবে এবং তার পর লণ্ডনের পথে অগ্রসর হবে এবং এক তৃতীয়াংশ ভাড়া জাহাজ রেঙ্গুনে আসলে প্রদান করা হইবে এবং বাকি দু' তৃতীয়াংশ লণ্ডনে মাল অর্পন করার পর প্রদান করা হইবে;
ক, খ-এর নিকট জমি ইজারা প্রদান করিল এবং খ ইজারার পরদিন হতে তিন বত্সরের জন্য বিশেষ পন্থায় তা চাষাবাদ করিতে চুক্তিবদ্ধ হইল;
ক ও খ চুক্তিবদ্ধ হয় যে, ক কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক দাদনের বিনিময়ে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার তিন বত্সর পর খ তাহার নিজ জমিতে বিশেষ ফসল উত্পন্ন করিবে এবং তা যখন কাটার উপযুক্ত হইবে তখন তাহা কেটে এবং প্রস্তুত করে ক-এর নিকট অর্পণ করিবে;
ক, খ-এর সহিত চুক্তিবদ্ধ হয় যে, খ কর্তৃক ১,০০০/- টাকা প্রদানের বিনিময়ে সে খ-এর জন্য একটি ছবি আঁকিবে;
ক, খ-এর সহিত এমন কতিপয় কাজ সম্পাদন করিতে চুক্তিবদ্ধ হয়, যাহা আদালত তদারক করিতে পারিবে না;
ক, খ-এর সহিত খ-এর প্রয়োজন হইতে পারে এমন কতিপয় ধরনের প্রয়োজনীয় মাল সরবরাহ করিতে চুক্তিবদ্ধ হয়;
ক, খ-এর সহিত চুক্তিবদ্ধ হইল যে, সে খ-এর নিকট হইতে একটি নির্দিষ্ট বাড়ি নির্দিষ্ট শর্তে এবং নির্দিষ্ট ভাড়ায় ইজারা লইবে যদি ড্রইংরুম সুন্দরভাবে সজ্জিত থাকে, এমনকি যদি এ মত প্রকাশ করা হয় যে, এ চুক্তি ভঙ্গের জন্য নিশ্চিতভাবেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাইবে;
ক, খ-কে বিয়ে করার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়;
উপরোক্ত চুক্তিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যাইতে পারে না ।
অনুচ্ছেদ (গ) তে
একটি রিফ্রেসমেন্ট রুমের মালিক ক ও খ-এর সাথে এ চুক্তিতে আবদ্ধ হয় যে, সে খ-কে সেখানে তার মালামাল বিক্রয় করার জন্য জায়গা এবং প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জাম প্রদান করবে৷ ক তার চুক্তির কার্যসম্পাদনে অস্বীকৃতি জানায়৷ এ মামলা হবে ক্ষতিপূরণের জন্য, সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য নয়, কারণ জায়গা এবং সাজ-সরাঞ্জামের পরিমাণ ও প্রকৃতি নির্দিষ্ট করা হয়নি৷
অনুচ্ছেদ (ঘ) তে
চুক্তিতে প্রস্তাবিত অংশীদারিত্বের সময়কাল নির্দিষ্ট না করেই ক ও খ একটি নির্দিষ্ট ব্যসায়ে অংশীদার হওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হল৷ এ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন করা যায় না৷ কারণ যদি তা তেমনভাবে সম্পাদন করা হয়, তবুও ক বা খ সাথে সাথেই, অংশীদারিত্ব ভেঙ্গে দিতে পারে৷
অনুচ্ছেদ (ঙ) তে
ক একটি জমির জিম্মাদার এবং উক্ত জমি ৭ বত্ সরের জন্য ইজারা দেবার অধিকার তার রয়েছে৷ সে খ-এর সহিত উক্ত জমি ৭ বত্ সরের জন্য ইজারা প্রদান এবং এ সময়কাল শেষে ইজারার মেয়াদ বর্ধিত করার অঙ্গীকার করে চুক্তি সম্পাদন করে৷ এ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন করা যায় না৷
একটি কোম্পানীর পরিচালকদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সবার মঞ্জুরী সাপেক্ষ প্রতিষ্ঠান বিক্রয় করে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে৷ তারা তেমন মঞ্জুরী ব্যতিরেকেই তা বিক্রয় করার জন্য চুক্তিব্ধ হয়৷ এ চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না৷
দু'জন জিম্মদার ক ও খ একলক্ষ্ টাকা মূল্যের জিম্মা সম্পত্তি বিক্রয় করার অধিকারী৷ তারা উক্ত সম্পত্তি গ-এর নিকট ৩০,০০০ টাকায় বিক্রি করবার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ এ চুক্তি এতই ক্ষতিকারক যে, তা বিশ্বাসভঙ্গের শামিল৷ গ এ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন আদায় করতে পারে না৷
খনিতে কাজ করার জন্য একটি কোম্পানীর উদ্যোক্তা ব্যক্তিরা চুক্তিবদ্ধ হল যে, কোম্পানী যখন গঠিত হবে, তখন তা নির্দিষ্ট খনিজ সম্পত্তি ক্রয় করবে৷ তারা তেমন সম্পত্তির মুল্য নিরুপনের ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে নাই, কার্যত তারা তার অতিরিক্ত মুল্য প্রদানেই সম্মত হয়৷ তারা আরও শর্ত লিপিবদ্ধ করে যে, বিক্রেতা তাদিগকে ক্রয়মূল্যের উপর একটি বোনাস প্রদান করবে৷ এ চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না৷
অনুচ্ছেদ (চ) তে৷
রেলপথ নির্মাণ ও চালু রাখার একমাত্র উদ্দশ্য নিয়ে গঠিত একটি কোম্পানী একটি কটন মিল নির্মাণের উদ্দেশ্যে একখণ্ড জমি ক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ এ চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না৷
অনুচ্ছেদ (ছ) তে৷
ক খ-কে ২১ বত্সরের জন্য একটি রেলপথের এমন নির্দিষ্ট অংশ ভাড়া দেবার জন্য চুক্তিবদ্ধ হল, যাহা ক কর্তৃক খ-এর জমির উপর নির্মিত হয়েছে এবং একই চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্তের অধীনে সমগ্র রেলপথই গাড়ি চালানোর অধিকার খ-এর থাকবে এবং ক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন সরবরাহ ও আবশ্যক হতে পারে এবং ক এই সমগ্র সময়কালে সমগ্র রেলপথকে ভাল অবস্থায় রাখবে৷ এ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য খ-এর আবেদন অবশ্যই প্রথ্যাখ্যাত হবে৷
অনুচ্ছেদ (জ) তে৷
গ ও ঘ এর জীবন কালের জন্য খ-কে একটি বার্ষিক বৃত্তি দেবার জন্য ক চুক্তিবদ্ধ হল৷ কিন্তু পরে দেখা গেল যে, যদিও ক ও খ গ-কে জীবিত ধরে নিয়েছে তবুও চুক্তির তারিখে সে মৃত ছিল৷ এ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করা যাবে না৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়;
২৷ অনুচ্ছেদ ভিত্তিক বক্তব্য;
৩৷ প্রযোজ্যতা;
৪৷ পর্যাপ্ত প্রতিকার সম্ভব;
৫৷ প্রকৃতিগত কারণে৷
১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়:
ধারা ২১-এ কোন কোন ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনযোগ্য নহে তা বলে দেয়া হয়েছে ধারাটিতে দফা (ক) হতে (জ) পর্যন্ত ৮টি ক্ষেত্রে কোন চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায়৷ ধারাটির প্রতিটি দফাতে প্রযোজ্য উদাহরণও দেয়া হয়েছে৷ অত্র আইনের ধারা ১২ যে সব চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় তা বলা হয়েছে৷ আদালতে কোন চুক্তি সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের মামলা রুজু আদালত সর্বাগ্রে অত্র আইনের ধারা ১২ ও ২১টি প্রেক্ষিতে যাচাই করে দেখেন যে, চুক্তিটি সত্যিই কার্যকরযোগ্য কিনা? অতঃপর সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে৷
২৷ অনুচ্ছেদ ভিত্তিক বক্তব্য: অত্র ধারা মতে নিম্নোক্ত চুক্তিগুলো সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরযোগ্য নয়;
অনুচ্ছেদ (ক) ক্ষতিপূরণ দ্বারা যেখানে পর্যাপ্ত প্রতিকার পাওয়া যায়৷
অনুচ্ছেদ (খ) চুক্তির কোন পক্ষের ব্যক্তিগত যোগ্যতার উপর যে চুক্তির সম্পাদন নির্ভরশীল৷
অনুচ্ছেদ (গ) যে চুক্তির শর্তাবলী নিশ্চিতভাবে নির্ভরযোগ্য না হলে
অনুচ্ছেদ (ঘ) প্রত্যাহারযোগ্য চুক্তি
অনুচ্ছেদ (ঙ) ক্ষমতার বহির্ভূতভাবে জিম্মাদার কর্তৃক কৃত চুক্তি
অনুচ্ছেদ (চ) ক্ষমতার বহির্ভুত শর্তযুক্ত চুক্তি যদি তাতে কোন সংস্থা বা কোম্পানী সম্পৃত্ত৷
অনুচ্ছেদ (ছ) তিন বছরের অধিককাল যে চুক্তিতে অবিরাম কাজ করা প্রয়োজন৷
অনুচ্ছেদ (জ) চুক্তির বিষয়বস্তু বিলুপ্ত হলে৷
৩৷ প্রযোজ্যতা: যদিও আদালত বিবেচনামুলক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে এবং চুক্তি মামলার পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বিবেচনাপূর্বক কোন চুক্তির কার্যসম্পাদনের সিদ্ধান্ত ঘোষনা করে থাকে৷ সে প্রেক্ষিত যদি কোন চুক্তি অত্র ধারাভূক্ত না হলেও আদালত কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করতে পারেন৷১
৪৷ পর্যাপ্ত প্রতিকার সম্ভব:
(১) কোন চুক্তি সম্পাদন না হবার দরুন যদি উহার প্রতিকার অর্থ মাধ্যমে পর্যাপ্ত বলে বিবেচিত হয় তাহলে ধারাটি প্রযোজ্য৷২
(২) সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না, সেখানে ক্ষতিপুরণের প্রতিকার পাওয়া যায়৷৩
(৩) টাকা ধার দিবার চুক্তি কার্যকরীকরণ অযোগ্য৷৪
১.
এ
আই আর
১৯৪৪
বোঃ ৭৬৷
২.
পি
এল ডি
১৯৭১
মাঃ ৫৯৮৷
৩.
৫
এস সি
১৫৯৷
৪.
৮
এ এল
জে
১৯৮২ (ডিবি)৷
৫৷ প্রকৃতিগত কারণে:
(১) বিষয়বস্তুর বিলোপ সাধন হলে সে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন সম্ভব নয়৷৫
(২) চুক্তির শর্ত অনিশ্চিত হলে আদালত তা কার্যকরণের আদেশ দেবেন না৷৬
(৩) ব্যক্তিগত সেবার উপর চুক্তিটি নির্ভরশীল হলে তাও অত্র ধারাভূক্ত৷৭ একজন কর্মচারী প্রতিষ্ঠা করতে পারে যে, তাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তবুও সে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের প্রতিকার পেতে পারে না৷৮
(৪) কোন চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের জন্য ৩ বছর এক নাগাদ কাজ করতে হয় তা অত্র ধারাভূক্ত৷৯
(৫) অনিশ্চিত শর্তযুক্ত চুক্তি অত্র ধারাভূক্ত৷১০
(৬) প্রয়োগযোগ্য নয় এমন চুক্তি৷ কারখানার ম্যানেজিং এজেন্ট এজেন্সির অন্য সকলের সঙ্গী হবেন৷ এ ক্ষেত্রে মতবিরোধ দেখা দিলে চুক্তি অত্র ধারাভূক্ত বলে বিবেচিত হবে৷১১
(৭) পূর্বশর্তযুক্ত চুক্তি যদি পূর্বশর্ত পূরণ করা না হলে তা অত্র ধারাভূক্ত৷১২
(৮) ইতিমধ্যে প্রয়োগকৃত চুক্তি৷১৩
(৯) অছি কর্তৃক ক্ষমতা বহির্ভূত চুক্তি৷১৪
(১০) অসম্পূর্ণ চুক্তি হলে এবং চুক্তির শর্ত অনিশ্চিত হলে আদালত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের ডিক্রি দিবেন না৷১৫
৫.
এ আই
আর
১৯১৮
কলি ১০৮৷
৬.
১৯১৩
পাঞ্চা
এল আর
১৪৯৷
৭.
১০
ডি এল
আর
৪৫৮৷
৮.
ঐ
৯.
এ
আই আর
১৯২৭
মাঃ ৮৯৮৷
১০.
৩৭
ডি এল
আর
১২৬ (এ
ডি)৷
১১.
এ
আই আর
১৯৪৪
বোঃ ৭৬৷
১২.
এ
আই আর
১৯৪৫
এলা ৩৯ (ডিবি)৷
১৩.
এ
আই আর
১৯২৯
নাগ ১৯৪ (ডিবি)৷
১৪.
এ
আই আর
১৯২৩
কলি ১৩০ (ডিবি)৷
১৫.
৩৭
ডি
এল
আর
১২০ (এ
ডি);
৫ বি
এল
ডি ২৭১ (এ
ডি)৷
(গ) আদালতের বিবেচনামূরক ক্ষমতা প্রসঙ্গে
ধারা-২২৷ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে ডিক্রি প্রদান প্রসঙ্গে বিবেচনামুলক ক্ষমতা: সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ব্যাপারে ডিক্রি প্রদানের এখতিয়ার হচ্ছে ইচ্ছাধীন এবং শুধুমাত্র তা করা আইনসম্মত, এ কারণেই আদালত তেমন প্রতিকার মঞ্জুর করতে বাধ্য নয়৷ কিন্তু আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারিতা নয়, বরং তা হচ্ছে নিখুত ও যুক্তিসঙ্গত, বিচার বিভাগীয় মূলনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং আপীল আদালতের মাধ্যমে সংশোধনযোগ্য৷
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে আদালত সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য ডিক্রি প্রদান না করার ব্যাপারে যথাযথভাবে ইচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন:-
(১) যেখানে এমন পরিস্থিতিতে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে যে, তা বাদীকে প্রতিবাদীর উপর একটি অন্যায় সুবিধা প্রদান করেছে, যদিও সেখানে বাদীর পক্ষ হতে কোন জালিয়াতি বা ভুল বিবরণ না-ও থাকতে পারে৷
উদাহরণ
(ক) একটি নির্দিষ্ট সম্পত্তির সারা জীবনের প্রজা ক সম্পত্তিতে তার স্বত্বের ব্যাপারে খ-কে স্বত্ব নিয়োগী নিযুক্ত করল৷ খ উক্ত স্বত্ব বিক্রয় করতে এবং গ তা ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হল৷ চুক্তি সম্পাদন করার একদিন পর সে মারা গেল৷ যদি খ ও গ সমভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকে অথবা জ্ঞাত থাকে, তবে খ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের অধিকারী হবে৷ কিন্তু যদি খ তথ্য সম্পর্কে অবহিত থাকে, এবং গ সে সম্পর্কে অবহিত না থাকে, তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের দাবি খ-এর বেলায় প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(খ) ক, খ এর কাছে কতিপয় সুনির্দিষ্ট মওজুদ পণ্যে গ-এর স্বত্ব বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হল৷ চুক্তিতে এ শর্তও লিপিবদ্ধ করা হল যে, এমনকি যদি দেখা যায় যে, গ-এর স্বত্ব একেবারেই মূল্যহীন তবুও এ চুক্তি সঠিকভাবে বলবত থাকবে৷ কার্যত গ-এর স্বত্বের মুল্য নির্ভরশীল ছিল কতিপয় অংশীদারীত্বের হিসাব-নিকাশের ফলাফলের উপর, যে ব্যাপারে গ তার অংশীদারের নিকট অত্যাধিক ঋণগ্রস্ত ছিল৷ এ ঋণের কথা ক-এর জানা ছিল, কিন্তু খ তা জানত না৷ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন ক-এর বেলায় অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(গ) ক একটি নির্দিষ্ট জমি বিক্রয় করতে এবং খ তা ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হল৷ কিন্তু বন্যার হাত হতে উক্ত জমি রক্ষা করার জন্য উহার মালিক কর্তৃক ব্যয়বহুল বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ করা আবশ্যক৷ খ এ পরিস্থিতির কথা জানত না এবং ক তা তার নিকট হতে গোপন রেখেছিল৷ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন ক-এর বেলায় অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(ঘ) ক-এর সম্পত্তি নিলামে উঠানো হয়েছে৷ খ, ক-এর এটর্ণি গ-কে তার পক্ষে নিলাম ডাকার অনুরোধ জানাল৷ গ সরল বিশ্বাসে এক কতকটা অসাবধানতাবশত নিলাম ডাকল৷ বিক্রেতার এটর্ণিকে নিলাম ডাকতে দেখে উপস্থিত ব্যক্তিরা মনে করল যে, সে ডাক বাড়চ্ছে এবং তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে বিরত রইল৷ সম্পত্তির মুল্যের চাইতে অত্যন্ত কম ডাকা সত্বেও ডাক গৃহীত হল৷ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন খ-এর বেলায় অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(২) যেখানে চুক্তির কার্য সম্পাদন প্রতিবাদীকে অত্যন্ত ক্লেশে জড়িয়ে ফেলবে, যা সে পূর্ণ হতে বুঝতে পারেনি, অপরদিকে, উহার কার্য সম্পাদন না করলে বাদীকে তা তেমন কোন ক্লেশে বিজড়িত করবে না৷
(ঙ) ক তার পিতার উইল অনুসারে এ শর্তে কতক জমির অধিকারী হয় যে, যদি সেগুলি ২৫ বছরের মধ্যে বিক্রয় করে, তবে বিক্রয়-মূল্যের অর্ধেক খ-এর প্রাপ্য হবে৷ ক উক্ত শর্ত ভুলে দিয়ে ২৫ বছর অতিক্রান্ত হবার পূর্বেই উক্ত জমি গ-এর নিকট বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ এখানে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন ক-এর উপর এত কঠোরতা আরোপ করবে যে, আদালত গ-এর পক্ষে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে বাধ্য করবে না৷
(চ) দুই জন জিম্মাদার ক ও খ জিম্মা সম্পত্তির বৃত্তিভোগী গ-এর সাথে উক্ত জিম্মা সম্পত্তি ঘ-এর নিকট বিক্রয় করার চুক্তিতে যোগদান করার জন্য ঐক্যমতে পৌছায়৷ কিন্তু বিক্রয়-মূল্য এই দায়-দায়িত্ব হতে মুক্ত হবার জন্য যথেষ্ট নয়, যদিও চুক্তি করার দিন বিক্রেতাদের বিশ্বাস ছিল যে, তা পর্যাপ্ত হবে৷ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন খ-এর বেলায় অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(ছ) একটি সম্পত্তির মালিক ক তা খ-এর নিকট বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় এবং চুক্তিতে শর্ত আরোপ করে যে, সে অর্থাত্ ক উহার সীমা নির্দিষ্ট করতে বাধ্য হবে না৷ সম্পত্তিটি সত্যি সত্যিই মুল্যবান ছিল যা সে জানত না৷ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন খ-এর বেলায় অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে, যদি না সে অজ্ঞাত সম্পত্তিতে তার দাবি পরিত্যাগ করে৷
(হ) ক, খ-এর নিকট নির্দিষ্ট জমি বিক্রয় এবং একটি নির্দিষ্ট রেলওয়ে স্টেশন হতে সেখান পর্যন্ত রাস্তা করে দেবার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ পরবর্তী সময় দেখা যায় যে, মামলার সম্মুখীন না হয়ে ক রাস্তা প্রস্তুত করতে সক্ষম নয়৷ খ-এর বেলায় চুক্তির রাস্তা সংক্রান্ত অংশের সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে, এমন কি যদিও এ মত প্রকাশ করা হয় যে, সে রাস্তার জন্য ক্ষতিপূরণসহ চুক্তির বাকি অংশের সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের অধিকারী৷
(ঝ) একটি খনির ইজারাদার ক তার ইজারাদাতা খ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় যে, ইজারা চলাকালীন যে কোন সময়ে খ খনির ব্যাপারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সাজ-সরাঞ্জাম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে নোটিশ প্রদান করতে পারবে এবং ইজারা সম্পত্তির উপর নিরূপনীয় মূল্যে নোটিশে বর্ণিত যন্ত্রপাতি ও সাজ-সরাঞ্জাম তাকে প্রদান করা হবে৷ তেমন চুক্তি ইজারাদারের ব্যবসায়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে, এবং তেমন চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন খ-এর বেলায় অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(ঞ) ক, খ এর নিকট হতে নির্দিষ্ট জমি কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ কিন্তু জমির প্রবেশ পথের ব্যাপারে চুক্তিতে কিছু উল্লেখ করা হয় না৷ জমিতে প্রবেশের জন্য কোন পথের অস্তিত্ব নেই বলে দেখানো যেতে পারে৷ খ-এর বেলায় চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
(ট) ক, খ-এর সাথে খ-এর কারখানা হতে এবং অন্য কোন কারখানা হতে নয়, তার ব্যবসায়ে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট শ্রেণীর সকল মাল ক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ আদালত খ-কে মাল সরবরাহ করতে বাধ্য করতে পারে না৷ কিন্তু সে যদি ঐসব মাল সরবরাহ না করে এবং যদি না তাকে অন্য কোথাও হতে সে মাল ক্রয়ের অনুমতি প্রদান করা হয় তবে ক ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে পারে৷ খ-এর বেলায় চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে৷
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে আদালত সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য ডিক্রি প্রদানের ব্যাপারে যথাযথভাবে তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন:
(৩) যেখানে বাদী সুনির্দিস্ট কার্য সম্পাদনযোগ্য চুক্তির উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পন্ন করেছে অথবা চুক্তির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
উদাহরণ
ক একটি রেল কোম্পানীর নিকট জমি বিক্রয় করে৷ কোম্পানী তার সুবিধার জন্য কতিপয় নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ কোম্পানী জমি গ্রহণ এবং তা তাদের রেলপথের জন্য ব্যবহার করে৷ ক-এর কাজ সম্পন্ন করার চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে পালনের ডিক্রি অবশ্যই প্রদান করা হবে৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়;
২৷ প্রযোজ্যতা;
৩৷ বিবাদীর যে সব কারণ পেশ করতে পারে;
৪৷ চুক্তির অস্তিত্ব;
৫৷বাদীকে অবশ্যই ত্রুটিহীন অবস্থায় আসতে হবে;
৬৷ পক্ষগণকে পুনঃমামলা হতে রক্ষা;
৭৷ আদালত সুনির্দিষ্টভাবে কার্যসম্পাদনের ডিক্রী কখন অস্বীকার করতে পারে?
৮৷ ক্রেতাকে অবশ্যই কর্ম করবে ইচ্ছা পোষণ ও প্রযুক্তি;
৯৷ বিকল্প প্রতিকার;
১০৷ সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ;
১১৷ সম্পূর্ণ ক্রয়মূল্য পরিশোধ করা না হলে;
১২৷ আইনকে অবজ্ঞা করে চুক্তি করা হলে;
১৩৷ অযোগ্য পক্ষ কর্তৃক চুক্তি করা হলে;
১৪৷ অপর্যাপ্ত মুল্য;
১৫৷ ভিন্ন চুক্তি;
১৬৷ সম্পত্তির সামান্য পরিবর্তন;
১৭৷ পরিনাম সম্পর্কে পূর্বেই জ্ঞাত;
১৮৷ বিলম্ব-
১. স্বল্প বিলম্ব
২. সময় চুক্তির নির্যাস নয়
৩. দীর্ঘ বিলম্ব
৪. বাদীর কারণে বিলম্ব
১৯৷ কতিপয় মোকদ্দমা-
১. কোম্পানীর শেয়ার
২. দাম্পত্য অধিকার পুনুরুদ্ধার
২০৷ একই দলিলে একাধিক চুক্তি;
২১৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা;
২২৷ অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দখল;
২৩৷ চুক্তি পালন কষ্টকর;
২৪৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা৷
১৷ ধারাটির প্রিতপাদ্য বিষয়:
১.১৷ যে ক্ষমতা প্রয়োগ করা আদালতের বিবেচনার উপর নির্ভরশীল মূলতঃ উহাই আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা৷ তাই বলে যে আদালত কোন কিছু নিয়ম বহির্ভূত, খামখেয়ালীভাবে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা রায় দিবে তা নয়৷ এ জন্য আদালতকে ন্যায়পরতার নীতি অনুবর্তন করতে হয়৷ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের অত্র ধারাতে কোন চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনাদেশ দানের ক্ষেত্রে আদালতকে বিবেচনামূলক ক্ষমতা দেয় হয়েছে৷ সাউন্ট ও যুক্তিপূর্ণ নীতির প্রেক্ষিতে আদালত এরূপ ক্ষমতা অনুশীলন করে৷১
১.২৷ সুনির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন প্রতিকার মঞ্জুর কোন আইনের স্বাভাবিক গতি কিংবা মোকদ্দমায়ভূক্ত কোন পক্ষের অধিকারও নয়৷২ এটি আদালতের স্বেচ্ছামূলক এখতিয়ার নির্ভর৷৩
১.৩৷ ধারা ২২টিতে বর্দ্ধিত নীতি সর্বশেষ নয়, বিশেষ ক্ষেত্রেও আদালত আদালত, সত্য ও যুক্তিপূর্ণ কারণে কোন মোকদ্দমাতে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যকরণ আদেশ করতে বা না করতে পারেন৷৪
১.৪৷ ধারা ২২ এর উদাহরণে দেয়া অধিক্ষেত্রেই কেবলমাত্র আদালতে স্বেচ্ছামূলক এখতিয়ার সীমাবদ্ধ নয় বরং এর বাহিরেও বিস্তৃত হতে পারে৷৫
১.৫৷ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন মঞ্জুর অথবা অস্বীকার করা আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল৷৫.১
২৷ প্রযোজ্যতা: সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে মঞ্জুরকৃত প্রতিকার ন্যায় বিচারজাত প্রতিকার৷ উহা অধিকার হিসেবে দাবী করা যায় না৷
নিম্নদালত কর্তৃক মঞ্জুরকৃত প্রতিকার আপীল আদালত কর্তৃক সংশোধনযোগ্য৷৬ বিবেচনামুলক এখতিয়ার যদি যুক্তসঙ্গত না হয় সেক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হয় না বা প্রয়োগ করা সঙ্গত নয়৷৭
৩৷ বিবাদী যেসব কারণ বা অজুহাত পেশ করতে পারে:
(ক) তর্কিত চুক্তিটি পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়নি, আলোচনা হয়েছে মাত্র৷
(খ) চুক্তিটি আইনগত কারণে বাতির বা বাতিলযোগ্য৷
(গ) চুক্তিটি শর্তপূরণ করা হয়েছে এবং সে তা থেকে অব্যাহতিও পেয়েছে৷
(ঘ) চুক্তিটি কার্যকর করা হলে তার অপূরণীয় ক্ষতি হবে এবং বাদী অযথা সুবিধা লুটবে৷
৪৷ চুক্তির অস্তিত্ব:
১. বাদী চুক্তি অস্তিত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে আদালত প্রার্থিত প্রতিকার মঞ্জুরে অস্বীকৃতি জানাতে পারে৷ বাদী যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেনি তা ভাবা হয় না৷৮
১.
১৩ ডি
এল
আর ৫৫৪ (ডিবি)৷
২.
পি
এল ডি
১৯৮১
করাচী
১৭০৷
৩.
৭
ডি এল
আর
১৪২ (ডিবি)৷
৪.
১৪
ক্রি
এল জে
৬২৭ (ডিবি)৷
৫.
ঐ
৫.১.
৪৭ ডি
এল
আর ৭২৷
৬.
৭
ডি এল
আর
৬৪২ (ডিবি)৷
৭.
এ
আই আর
১৯৪০
পাঃ ২৩৫৷
৮.
এ
আই আর
১৯১৪
মাঃ ৪৬৯ (ডিবি)৷
২. চুক্তিটি নবায়ন করা হলে, নবায়নকৃত চুক্তিটি পুরাতন চুক্তিটি নয়, সম্পাদনের জন্য আবেদন করতে হবে৷৯
৩. চুক্তিটি বৈধ হিসেবে প্রমাণিত হলে, তা অস্বীকার করতে হলে বিবাদীকে তা প্রমাণ করতে হবে৷১০
৫৷ বাদীকে অবশ্যই ত্রুটিহীন অবস্থায় আসতে হবে: কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বিবেচনার জন্য প্রার্থনা জানাবার ক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত খাত নিয়ে আদালতে আসতে হবে৷১১
৬৷ পক্ষগণকে পূনঃ মামলা হতে রক্ষা:
সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলা খারিজ করে দেয়া হয় যে ক্ষেত্রে মামলার ডিক্রি দেয়া হলে তা বাদীর কোন উপকারে আসবে না এবং তা পুনঃ মামলার সৃষ্টি করবে৷১২
৭৷ আদালত সুনির্দিষ্টভাবে কার্যসম্পাদনের ডিক্রি দানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন:
বাদীর পক্ষ হতে চুক্তিটিতে যদিও কোন শঠতা বা ভুল উত্থাপন নেই তবুও যেক্ষেত্রে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি প্রদান করলে বিবাদী ক্লেশে পড়িবে সেক্ষেত্রে আদালত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি প্রদানে অস্বীকৃতি জানাবেন এবং বাদীর বায়নার টাকা অনেকদিন পর্যন্ত বিবাদীর কাছে খেটেছে বিধায় বাদী ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকারী৷১৩ রুগ্নশয্যায় শায়িত একজন বিবাদীর চিকিত্ সার জন্য এবং অপর বিবাদীর পূত্রের পড়াশোনার খরচের টাকা সংগ্রহের জন্য একটি বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রয়ের চুক্তি করা হয়৷ ১ বত্ সর তিন মাসের মধ্যে কোন টাকা পরিশোধ না করায় চুক্তির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয় এবং বাদী মিথ্যা দাবী উত্থাপন করে যে, সে মূল্যের সমস্ত টাকা পরিশোধ করেছে৷ যে ব্যক্তির ইচ্ছা অসত্ সে ব্যক্তির বরাবরে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মত ইকুইটেবল প্রতিকার মঞ্জুর করা যায় না৷ অধিকন্তু ১৯৬৯ সালে সম্পাদিত চুক্তি ১৯৮৪ সালে প্রয়োগ করা ন্যায়সঙ্গত নয়, কারণ এই বত্ সরগুলিতে মুদ্রামান হ্রাস পেয়েছে৷১৪
* সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী প্রদান আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার অন্তর্ভূক্ত৷ ইহা আইনসঙ্গত শুধুমাত্র এই কারণে আদালত ইহা দিতে বাধ্য নহেন৷ মামলার ঘটনার অবস্থা বিবেচনা করে যদি দেখা যায় এরূপ ডিক্রি প্রদান করলে উহা বাদীকে বিবাদীর উপর অন্যায় সুবিধা প্রদান করবে তবে এরূপক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি প্রদান করা উচিত হবে না ক্ষতিপূরণসহ বিবাদী বাদীকে মুল্যের টাকা ফেরত দিবে৷১৫
৯.
এ
আই আর
১৯৬০
মহিঃ
৫৯ (ডিবি)৷
১০.
এ
আই আর
১৯৫২
মাঃ ৩৮৯৷
১১.
এ
আই আর
১৯২৮
মাদ্রাজ
৮৬০৷
১২.
এ
আই আর
১৯৫৬
ভুপাল
৪১৷
১৩.
৫
বি এল
ডি (এডি) ৪৯৷
১৪.
৪
বি সি
আর (এডি) ১৯৩৷
১৫.
৩
বি এল
ডি (এডি) ২২৫, ২২৬৷
* একই দলিলে একাধিক চুক্তি থাকিলে প্রত্যেকটি ভিন্নভাবে প্রয়োগযোগ্য৷১৬
* চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার অন্তর্ভূক্ত৷ ইহা দেয়া আইনসঙ্গত শুধুমাত্র এ কারণে ইহা মঞ্জুর করতে আদালত বাধ্য নহেন৷ ক্ষেত্র বিশেষে ইহা মঞ্জুর করা হবে না৷১৭
* চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে প্রতিকার প্রদান আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার অন্তর্ভূক্ত৷ আদালত যদি দেখেন যে ইহা বিবেকের বাহিরে তবে আদালত ২২ ও ৩৮ ধারায় সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে প্রতিকার প্রদান করবে না৷
* ক্লেশের কারণে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি প্রদান অস্বীকার করা যায়৷ বিবাদীগণ আতঙ্কের মধ্যে ছিল, কারণ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, তত্ কালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের জীবন নিরাপদ নহে৷ এ কারনে গ্রামের বাড়ীঘর বিক্রী করে তাদের মধ্যে কতিপয় হিন্দু পরিবার ভারতে চলে যায়৷ কাজেই বাদীর অনকূলে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করা এইরূপ ক্ষেত্রে অন্যায় হবে না৷১৮
* যেহেতু বাদী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, তার ও বিবাদীর মধ্যে চুক্তি আছে সেহেতু বাদী চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি পেতে পারে না৷১৯ বিক্রয়ের চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের এরুপক্ষেত্রে অস্বীকার করা যায়৷ যে সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য চুক্তি করা হয়েছে উহার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যদি ওয়াকফ্ সম্পত্তি না হয় তবে সেক্ষেত্রে ক্লেশের প্রশ্নে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করা যায় না৷২০
* যেক্ষেত্রে চুক্তির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে এবং বাদী যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে চুক্তিতে তার অংশের কার্যসম্পাদন করতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক নয় সেক্ষেত্রে সে উহার সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী পাবার অধিকারী নয়৷২১
* চুক্তির বহায় মুল্য স্পষ্টতঃ খুবই কম এবং ইহা এমন এক সময় সম্পাদিত হয়েছে যখন দেশে সিভিল গোলামাল চলছিল এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদেশ ত্যাগের জন্য মনস্থ করেছিল৷ বাদী বিরোধীয় সম্পত্তির দখল ও নেয়নি এবং দখল না নেবার কোন উপযুক্ত কারণও দেখাতে পারেনি৷ মুল্যের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পর এবং স্বত্বের দলিল বাদীকে হস্তান্তরের পরও বাদী কেন তার ক্রয় করা সম্পত্তির দখলে যেতে চেষ্টা করেনি এবং কেন বিবাদীকে দখল থাকিতে দেয়া হয় এবং উহা উপভোগ করতে দেয়া হয় ইহার কারণ সে দেখাতে পারেনি৷
১৬.
১৬ ডি
এল
আর ১০৫৷
১৭.
৫
ডি এল
ডি (এ ডি)
৪১;
সি ডব্লু এন
২৮৫; (১৯৫১)
৫৫ সি
ডব্লু
এন. ৫৫৭; ৩৪
সি
এল জে
১৮.
৩
বি এল
ডি
২২৬, ২৩০, ২৩১৷
১৯.
৫
বি সি
আর (এইচ সি
ডি)
৭৭, ৭৮৷
২০.
৫
বি এল
ডি
২৯১৷
২১.
৫
বি এল
ডি (এ ডি)
৫১৷
বাদী বলে গেল যে, সে উক্ত সম্পত্তির উন্নতির জন্য কোন টাকা খরচ করেছে৷ সমস্ত ঘটনা ও অবস্থা বিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত নেন যে, যদি চুক্তির কার্যসম্পাদনের ডিক্রি দেয়া হয়, তবে বিবাদীর উপর বাদীকে অন্যায় সুযোগ দেয়া হবে৷ কাজেই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী মঞ্জুর না করার ইহা একটি উপযুক্ত কেইস৷২২
* বিবাদী মামলার ভূমি ৯০০০ টাকায় বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় এবং বায়নাপত্র সম্পাদন করে ও ৮০০০ টাকা বুঝে পেয়ে দখল অর্পণ করে৷ তত্ পর বিবাদী বাকী টাকা নিয়ে কবলা দলিল সম্পাদন করতে অস্বীকার করে৷ মূল আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে, বিবাদী তার কেইস প্রমাণ করতে পারেনি৷ আপীল আদালত সিদ্ধান্ত নেন যে, বিবাদী তার লিখিত বর্ণনায় সম্পূর্ণ নূতন কেইস উপস্থাপন করেছে এবং লিখিত আপত্তির কেইসকে বিদায় দিয়েছে৷ ১নং বিবাদী অশিক্ষিত পর্দানশীন মহিলা ইহা গ্রহণীয় নহে৷ বায়নাপত্রে তার দস্তখত, তার লিথি বর্ণনা ও আদালতে তার উপস্থিতি হতে ১নং বিবাদী যে অশিক্ষিত পর্দানশীল মহিলা উহা অগ্রণীয়৷ হাইকোর্ট আপীল আদালতের ডিক্রী বহাল করেন এবং এ মর্মে ডিক্রি সংশোধন করেন যে, ৩০ দিনের মধ্যে বাকী ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে৷২৩
* যেক্ষেত্রে 'সময়' চুক্তির মুল বিষয়বস্তু সেক্ষেত্রে পক্ষগণ যদি তাদের আচরণের দ্বারা সময় বৃদ্ধি করে থাকে তবে ইহা বলা যাবে না যে, সময়ই চুক্তি মূল বিষয়৷ চুক্তি আইনের ৫৫ ধারা এরূপ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷২৪
* যদি জমি বিক্রির জন্য কোন মূল চুক্তিতে সময়কে চুক্তির মুল বিষয়বস্তু না করা হয়, তবে উক্ত চুক্তির কোন পক্ষ পরবর্তী পর্যায়ে নোটিশের মাধ্যমে সময়কে চুক্তির মুল বিষয় করতে পারবে না- যদি না অন্যপক্ষ কোন ব্যর্থতা, অসদাচরণ বা অবিবেচিত বিলম্বের দোষে দোষী না হয়৷২৫
* বাদী রেসপনডেন্ট ও বিবাদী আপীলকারীর মধ্যে সম্পত্তি ফেরত্ দেয়ার চুক্তি হস্তান্তরযোগ্য ও ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্তযোগ্য৷২৬
৮৷ বাদীর কর্মসম্পাদনে ইচ্ছা ও প্রস্তুতি:
সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের মামলায় বাদীকে নিশ্চিত করে বলতে হবে যে, চুক্তি করার সময় হতে মামলার শুনানি হওয়া অবধি তার চুক্তিবদ্ধ কর্মসম্পাদন করতে নিরবিচ্ছিন্ন প্রস্তুতি ও ইচ্ছা ছিল৷ নিশ্চিতভাবে ইহা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে৷১
২২. (১৯৮৪)
৪ বি
সি
আর (এ
ডি)
১২৭৷
২৩. (১৯৮৬)
৬ বি
সি
আর (এইচ সি
ডি)
১৩৷
২৪.
৩
বি এল
ডি
২২৬, ২৩০, ২৩১৷
২৫. (১৯৬৭)
১৯ ডি
এল
আর ৮০৬, ৮০৭৷
২৬.
৪
বি সি
আর (এডি) ১৩৩৷
১.
এ
আই
আর
১৯৫৫
এন ইউ
সি
ষ্ট্রীট
৩৪৭৮৷
যখন চুক্তির উদ্দেশ্য পরাভূত হয়েছিল এবং বাদী যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে তার অংশ দলিলে প্রস্তুতি এবং ইচ্ছুক ছিলেন না, তখন সে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন পেতে অধিকারী হতে পারে না৷২
৯৷ বিকল্প প্রতিকার:
ক্ষতিপূরণের বিকল্প প্রতিকার দাবী করা হলে তা সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের জন্য প্রতিকার দিতে অস্বীকার করার কারণ হিসেবে গণ্য হয় না৷৩
১০৷ সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ:
সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের স্থলে ক্ষতিপূরণ আদেশদান আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা৷ সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে আদালত সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের স্থলে ক্ষতি পূরণের আদেশ সূষম হবে বলে সিদ্ধান্তে আসতে সক্ষম হলেও সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি অস্বীকার করার কারণ নেই৷৪
১১৷ সম্পূর্ণ ক্রয়মূল্য পরিশোধ করা না হলে: সাধারণত সম্পূর্ণ ক্রয়মূল্য পরিশোধ না করার কারণে বিক্রি চুক্তি সুনির্দিষ্ট অভাবে সম্পাদন করে বাদীর দাবি অস্বীকার করা হয় না৷৫
১২৷ আইনকে অবজ্ঞা করে চুক্তি করা হলে: (ক) কোন চুক্তি আইনের নীতি পরিপন্থী হবার দরুন বাতিল হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং তা প্রয়োগযোগ্য নাও হতে পারে৷ জনকল্যাণ নীতির পরিপন্থী হলেও তা প্রয়োগযোগ্য নাও হতে পারে৷৬
(খ) আইনকে ফাঁকি দিয়ে কোন চুক্তি করা হলে উহা নিবৃত করার জন্য প্রতিকার দিতে অস্বীকার করার আদালতের একচ্ছত্র অধিকার বিদ্যমান৷৭
১৩৷ অযোগ্য পক্ষ কর্তৃক চুক্তি করা হলে:
আইনত চুক্তিতে আবদ্ধ হবার যোগ্য নহে এমন ব্যক্তি কর্তৃক চুক্তি করা হলে, আইনের দৃষ্টিতে তা চুক্তি নহে৷ তাই তা সুনির্দিষ্টভাবে অপ্রয়োগযোগ্য৷ কোন কোম্পানীর এসডি চুক্তিতে আবদ্ধ হবার ক্ষমতা না থাকা সত্বেও চুক্তিতে আবদ্ধ হলে তা সুনির্দিষ্টভাবে অকার্যকরযোগ্য৷৮
২.
৫ বি
এল
ডি ৬১৷
৩.
এ
আই আর
১৯৫১
মাদঃ
৬১২৷
৪.
এ
আই আর
১৯৫৪
মাদঃ
১৫৮৷
৫.
এ
আই আর
১৯৪৮
কলি ১৪৭৷
৬.
১৬
ডি এল
আর
২৩৯৷
৭.
এ
আই আর
১৯৫৫
কলি ২১৷
৮.
এ
আই আর
১৯১৪
কলি ৬৮৭ (ডিবি)৷
১৪৷ অপর্যাপ্ত মূল্য:
* প্রতারণা কিংবা অপর্যাপ্ততার অনুপস্থিতি থাকলে অভিমত ব্যক্ত করার নিশ্চিতভাবে কোন যুক্তি নেই যে, ১নং প্রতিবাদীকে ক্ষতিপূরণ দিবার জন্য বাদীকে বলার কোন উপযুক্ত কারণ আছে৷৯
* চুক্তি উত্তর মুল্য বৃদ্ধি কোন পক্ষ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করার কারণ বলে গণ্য হয় না৷১০
* কেবলমাত্র অপর্যাপ্ত মুল্য সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের আদেশ দিতে অস্বীকার করার কারণ হতে পারে না৷ যেখানে (ক) মুল্য এতই কম যে, তা আদালতের বিবেককে আঘাত করে৷ (খ) বিক্রেতার নিরক্ষতার ঘটনা অবৈধ সুবিধার মর্মে সাক্ষ্য দেয় সেক্ষেত্রে আদালত সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করতে পারে৷১১
* কোন ব্যক্তি যে মুল্যে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে চুক্তি করেছেন তার চাইতে অধিকমূল্য দিতে কোন তৃতীয় পক্ষ রাজী আছে মর্মে কোন ঘটনা সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের মামলায় ডিক্রি অস্বীকার করার জন্য যথেষ্ট বলে গণ্য হয় না৷১২
১৫৷ ভিন্ন চুক্তি:
দুটো চুক্তি ভিন্ন তারিখে করা হয়েছে এমন চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পন্ন করার মামলায় বাদী দ্বিতীয় নম্বর চুক্তির ক্ষেত্রে মিথ্যা বর্ণনা দিয়েছে মর্মে কোন ঘটনা আদালতকে বাদীর প্রথম চুক্তিটির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের আদেশ দিতে অস্বীকার করার ক্ষমতা দেয় না৷ সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের মামলায় বাদী পূর্বে ত্রুটিযুক্ত অবস্থায় এসেছেন মর্মে কোন কারণ মামলা খারিজ করার সমর্থন যোগায় না৷১৩
১৬৷ সম্পত্তির সামান্য পরিধি:
সম্পত্তি বিক্রি করার চুক্তির পরে সম্পত্তিতে সামান্য পরিবর্তন করা হলে তা এ ধারার আওতায় আনার জন্য যথেষ্ট বলে গণ্য হবে না৷১৪
১৭৷ পরিনাম সম্পর্কে পূর্বেই জ্ঞাত:
বিবাদী যেক্ষেত্রে বাদীর সাথে তার সমগ্র জায়গায় ইজারার জন্য চুক্তি করল এবং তাতে এর উপর যে ইমারত আছে তার অন্তর্ভূক্ত থাকলে সহজেই বাদীর উপর যে, উহা ক্লেশদায়ক হবে তা অনুমেয়৷ এবং এক্ষেত্রে ক্লেশের কারণে উক্ত ক্ষেত্রে বাদীর দাবী প্রত্যাখ্যান করা যায় না৷১৫
৯.
৩৯ ডি
এল
আর ৩৪৩৷
১০.
৩৯
ডি এল
আর
৩৪২৷
১১.
পি
এল ডি
১৯৮১
করাচী
১৭০ (ডিবি)৷
১২.
এ
আই আর
১৯২৭
কলি ৮৮৯ (ডিবি)৷
১৩.
এ
আই আর
১৯৫৮
অন্ধঃ
প্রঃ
৯৯৷
১৪.
পি
এল ডি
১৯৮৩
পেশঃ
১১৩৷
১৫.
এ
আই আর
১৯৫৫
কলি ২১০ (ডিবি)৷
১৮৷ বিলম্ব:
১. স্বল্প বিলম্ব:
মামলার দাখিল করতে ১ মাসের বিলম্ব সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করার ক্ষেত্রে কোন কারণ নেই৷১৬
২. সময় চুক্তির নির্যাস নয়:
স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে সাধারণত সময় কোন নির্যাস নয়৷১৭ সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির সময় পেরিয়ে যাবার পরেও করা যেতে পারে৷১৮ তবে এর অর্থ এই নয় যে, কোন পক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসম্পাদন না করে ঘুমাবে৷১৯
৩. দীর্ঘ বিলম্ব (Very long delay): কোন বিক্রির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের প্রতিকার মঞ্জুর আদালতের স্বেচ্ছামূলক এখতিয়ারাধীন৷ তবে এরূপ প্রতিকার মারাত্মক অসচেতনতা এবং বিলম্বের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ দীর্ঘ সময় বিলম্বের যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে তবে তা ভিন্ন কথা৷ কিন্তু তা না থাকলে উহা বিবেচনা করা হয় না৷২০
কোন মামলায় দীর্ঘ বিলম্ব হলে এবং তার কারণ বিবাদীর উপর আরোপ করতে না পারলে মামলার ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়ে৷২১
৪. বাদীর কারণে বিলম্ব:
সময় যদি চুক্তির আবশ্যকীয় শর্ত হয় তবে চুক্তির কর্মবাদী যথাসময় সম্পন্ন করতে বিলম্ব করলে তা বাদীর ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে৷ অন্যথায় যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ কর্ম করবেন বাদীর ইচ্ছা থাকলে তা বাদীকে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের ডিক্রি পেতে অধিকারী করে তোলে৷২২
যেক্ষেত্রে বাদী তার চুক্তিবদ্ধ কর্ম যথাসময় সম্পাদন করতে বিলম্ব করায় সম্পত্তির মূল্য বেড়ে গেছে সেক্ষেত্রে বাদীকে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের ডিক্রি দেয়া যায় না৷২৩
১৯৷ কতিপয় মোকদ্দমা:
১. কোম্পানীর শেয়ার: কোন ব্যক্তি কোম্পানীর শেয়ার নিতে চুক্তি করলে এবং সে চুক্তি কার্যকরী করার জন্য কোম্পানী দীর্ঘ বিলম্বে মামলা করলে আদালত বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের ডিক্রি দেবে না৷২৪
১৬.
এ আই
আর
১৯১৪
কলি ১৩৭৷
১৭.
পি
এল ডি
১৯৮১
বি জে
৬০৷
১৮.
১৯৯৪
এস সি
এম
আর ২১৮৯৷
১৯.
পি
এল ডি
১৯৮১
বি জে
৬০৷
২০.
১৯৯০
সি এল
সি
১৬৪৯৷
২১.
এ
আই আর
১৯২২
পি সি
২৪৯৷
২২.
এ
আই আর
১৯১৯
কলি ৮৩৭ (ডিবি)৷
২৩.
এ
আই আর
১৯২১
কলি ১৭৯ (ডিবি)৷
২৪.
এ
আই আর
১৯৫০
বোম্বে
১৪০৷
২৷ দাম্পত্য পুনরুদ্ধার:
মুসলিম আইনে বিবাহ একটি দেওয়ানী চুক্তি৷ তাই এই চুক্তির প্রেক্ষিতে স্বামী দাম্পত্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে৷ স্বামীর দোষের দরুণ দাম্পত্য অধিকার অস্বীকার করা যেতে পারে৷২৫
২০৷ একই দলিলের একাধিক চুক্তি:
একই দলিলে একাধিক চুক্তি থাকলে যদি প্রত্যেকটির পৃথক পৃথক সত্তা থাকে তাহলে প্রত্যেকটি চুক্তি পৃথক পৃথকভাবে বলবত্ যোগ্য৷২৬
২১৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা:
বাদী ও বিক্রেতার ভিতরকার চুক্তি কার্যকর করতে হলে ডিক্রির সঠিক ধরণ হবে পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতাকে পরবর্তী দলিলে যোগদান করা যাতে স্বত্ব বর্তাবার সব জটিলতার অবসান ঘটে৷২৭
২২৷ অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দখখ:
দরখাস্তকারীগণ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হওয়ায় তারা নালিশী জমি নিলাম খারিজ দাবী করতে পারে না এবং যেহেতু তারা বাদীগণের অনুকূলে প্রয়োগকৃত বিবেচনামূলক ক্ষমতা চ্যালঞ্জ করতে পারে না৷২৮
স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরীকরণের মোকদ্দমায় বাদী দখল পাবার অধিকারী৷ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে মামলার পক্ষ করে নিতে হবে এবং বাদীকে যথাযথ প্রতিকার পেতে হলে অবৈধ অনপ্রবেশকারীকে নালিশী সম্পত্তি হতে উচ্ছেদ করতে হবে৷২৯
২৩৷ চুক্তি পালন কষ্টকর:
রেসপন্ডেন্ট এর কষ্টের কারণে সুনির্দিষ্ট সম্পাদন আবিষ্কার করা হয় যদি শুধু বর্তমান বাজার দরের বিবেচনায় ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়, তাহা হলে কষ্টের কারণে সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের অস্বীকৃতির উদ্দেশ্য পরাভূত হবে৷৩০
পৈত্রিক ভিটেবাড়ি ছেড়ে যদি কারও রাস্তায় নামার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তাদেরকে বসনবাড়ি হতে বের করার জন্য চুক্তির সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের ডিক্রি মঞ্জুর করা যাবে না৷৩১
চুক্তির সময় সবিশেষ অবস্থা কেমন ছিল তাই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের মোকদ্দমায় বিবেচনার বিষয়৷৩২
২৫.
এ আই
আর
১৯৬০
এলা ৬৩৪৷
২৬.
১৬
ডি এল
আর
১০৫৷
২৭.
৪৯
ডি এল
আর
৮৫ (এডি)৷
২৮.
৫৩
ডি এল
আর
৪৫ (এ
ডি)৷
২৯.
ঐ৷
৩০.
৪৩
ডি এল
আর
১০০ (এ
ডি)৷
৩১.
৫২
ডি এল
আর
৫৮৬৷
৩২.
৫১
ডি এল
আর
৪১২৷
এই মোকদ্দমায় প্রাপ্ত ঘটনা এবং পক্ষগণ প্রদত্ত সাক্ষ্য হতে এই বলা যায় না যে, বিবাদী আপিলকারী সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২২ ধারার ২ দফায় বর্ণিত কেস সৃষ্টি করতে পেরেছেন৷ বিবাদী আপীলকারীর যদি সাক্ষ্যের দ্বারা প্রমাণ করতে না পারেন যে, চুক্তির শুরুতেই কষ্টকর অবস্থা বিরাজমান ছিল তাহলে আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না৷ সময় পরিবর্তনের কারণে নালিশী জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া চুক্তির সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনা অস্বীকার করতে এই মোকদ্দমায় কোন কষ্টকর অবস্থা গঠন করবে না৷৩৩
২৪৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা: চুক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের প্রতিকার মঞ্জুর করা বা মঞ্জুর করতে অস্বীকার করা আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতার বিষয়৷ যুক্তিসঙ্গত ক্ষতিপূরণ করে এই রকম চুক্তি সম্পাদন অস্বীকার করার অধিকার আদালত সংরক্ষণ করে না৷৩৪
ঘ. যাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায়৷
ধারা-২৩৷ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন যে পেতে পারে: যদি এই অধ্যায়ে অন্যভাবে বিধিবদ্ধ না থাকে তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন পেতে পারে:
(ক) চুক্তির যে-কোন পক্ষ;
(খ) চুক্তির যে-কোন পক্ষের প্রধান অথবা স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি
তবে শর্ত এই যে, যেখানে তেমন পক্ষের শিক্ষা, দক্ষতা, সচ্ছলতা অথবা কোন ব্যক্তিগত গুণাগুণ চুক্তির উল্লেখযোগ্য উপাদান হয় অথবা যেখানে চুক্তিতে বিধান থাকে যে, তার স্বার্থের স্বত্ব নিয়োগ করা যাবে না, সেখানে তার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি অথবা তার প্রধান চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের অধিকারী হবেন না, যদি না চুক্তিতে তার অংশ ইতিপূর্বে সম্পাদিত থাকে৷
(গ) যেখানে চুক্তি হয়েছে একটি বিবাহের ব্যাপারে নিষ্পত্তি অথবা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার সন্দেহপূর্ণ অধিকারের আপোস-মীমাংসা সেখানে চুক্তি অনুসারে হিতকরভাবে অধিকারী যে-কোন ব্যক্তি;
(ঘ) যেখানে একজন আজীবন প্রজা তার ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সেখানে অবশিষ্ট ব্যক্তি;
(ঙ) যেখানে চুক্তিপত্র এমন যা সম্পন্ন করা হয়েছিল তার পূর্বাধিকারীর সহিত এবং যেখানে তেমন চুক্তিপত্রের লাভ উত্তরাধিকারী পাওয়ার অধিকারী, সেখানে অধিকার ভোগের উত্তরাধিকারী;
৩৩.
৫০
ডি এল
আর
২৭৬৷
৩৪.
৪৭
ডি এর
আর
৭২৷
(চ) যেখানে চুক্তি হচ্ছে এমন উত্তরাধিকারী যা হতে উদ্ভুত মুনাফা লাভের অধিকারী এবং তা ভঙ্গ হওয়ার কারণে আর্থিক ক্ষতি ভোগ করবে, সেখানে অবশিষ্ট ভাগের উত্তরাধিকারী;
(ছ) যখন পাবলিক কোম্পানী চুক্তি করে এবং তার পর পরই তা অপর একটি পাবলিক কোম্পানীর সহিত একত্রিত হয়ে যায়, সেখানে একত্রিত হয়ে যাওয়ার ফলে গঠিত নূতন কোম্পানী;
(জ) যখন একটি পাবলিক কোম্পানীর উদ্যোক্তা ব্যক্তিগণ কোম্পানি গঠিত হওয়ার আগেই কোম্পানির প্রয়োজনবশত চুক্তি করে এবং কোম্পানি গঠনের শর্তাবলীতে তেমন চুক্তিকে নির্বিঘ্ন করা হয়, সেখানে কোম্পানী৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়;
২৷ ধারাটির প্রযোজ্যতা;
৩৷ যাদের ক্ষেত্রে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায়;
৪৷ যেক্ষেত্রে চুক্তির অধীনে অধিকার হস্তান্তরযোগ্য নহে;
৫৷ স্বত্বনিয়োগ
৬৷ বেনামী লেনদেন
৭৷ পারিবারিক নিষ্পত্তি;
৮৷ নাবালক কর্তৃক চুক্তি;
৯৷ ডিক্রী কার্যকরী;
১০৷ অগ্রক্রয়াধীকারের ক্ষেত্র সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের দাবি প্রয়োগযোগ্য নহে৷
১৷ ধারাটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু: যার অনুকূলে সুনির্দিষ্টভাবে চুক্তি বলবত্ করার আদেশ দেয়া যায় এ ধারাতে মূলত সেটিই বিধৃত হয়েছে৷
২৷ ধারাটির প্রযোজ্যতা:
ক. অত্র আইনের অধীনে কোন চুক্তি কেবলমাত্র চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তির উপরই বাধ্যকর হয়ে থাকে এবং তার বিরুদ্ধেই কার্যকরী করা যায়৷১
খ. চুক্তির পণ্য মুল্য তৃতীয় কোন পক্ষের কাছ হতে আসলেও উক্ত ব্যক্তির চুক্তির পক্ষ নয় বলে তিনি চুক্তি পালনের মামলা করতে পারেন না৷২
১.
এ.
আই. আর
১৯৫৮
এলা ৬৮৮৷
২.
এ.
আই. আর.
১৯৪৩
সি. ১৯০৷
গ. কোন তৃতীয় পক্ষের অনুকূলে সম্পত্তির উপর কার্যকর থাকলে উক্ত তৃতীয় পক্ষ মামলা করতে পারে৷৩
৩৷ যাদের ক্ষেত্রে চুক্তিটি কার্যকরী করা যায়: নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায়৷
১. চুক্তির যে কোন পক্ষ৷
২. স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি বা যে কোন পক্ষের প্রধান৷
৩. বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন দ্বন্দ্ব নিরসনে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যগণের মধ্যকার সন্দেহপূর্ণ অধিকার সংক্রান্ত আপোস নিষ্পত্তির ওয়াদা যার কাছে পৌছাবার কথা সেই ব্যক্তি৷
৪. কোন জীবন স্বত্বভোগী প্রজা, যিনি অন্য লোকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে তার পরবর্তী অধিকার৷
৫ ও ৬ অনুচ্ছেদ ঙ ও চ এর প্রেক্ষিতে জীবনস্বত্ব ভোগীর সাথে যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তার বিরুদ্ধে উক্ত ব্যক্তির জীবনস্বত্ব ভোগীর পরবর্তী ব্যক্তি৷
৭. যে ক্ষেত্রে একটি পাবলিক কোম্পানী চুক্তিবদ্ধ হয় এবং পরে আর একটি পাবলিক কোম্পানির সাথে মিলে একটি নতুন কোম্পানী গঠন করে সেক্ষেত্রে নতুন কোম্পানি৷
৮. পাবলিক কোম্পানির উদ্যোক্তাগণ কোম্পানী গঠনের সাথে কোম্পানির গরজেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে- কোম্পানির গঠনের শর্তাবলী যারা সমর্থন করে- সেক্ষেত্রে কোম্পানি৷
স্মার্তব্য, ধারা ২৩-এর অধীন চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম আদালতের ইচ্ছাধীন এখতিয়ার৷৪
৪৷ যেক্ষেত্রে চুক্তির অধীনে অধিকার হস্তান্তরযোগ্য নহে:
ক. চুক্তির ভিতর যদি লেখা থাকে যে ইহা অহস্তান্তরযোগ্য৷৫
খ. চুক্তিটিতে হস্তান্তরকারীর কেবলমাত্র স্বার্থ থাকে৷৬
গ. আইনত হস্তান্তরযোগ্য বিবেচিত হলে৷
ঘ. চুক্তির কোন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হস্তান্তরকারীর ব্যক্তিগত গুণাগুণ নির্ভর হয়৷
৩.
এ, আই,
আর (১৯২৬)
৭ (ডি
বি)৷
৪.
৭
ডি, এল,
আর,
৬৪২৷
৫.
পোল্যাণ্ডের
চুক্তি
আইন ১০ম সংস্কারণ
১৭৪৷
উভয় পক্ষের পিতামাতা কর্তৃক সম্পাদিত বিবাহপূর্ব চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য একজন বার্মার বৈদ্ধ উক্ত মামলা করতে পারে৷৬
৫৷ স্বত্ব নিয়োগ: অত্র ধারাতে বিধৃত নিষিদ্ধ চুক্তি ছাড়া সকল চুক্তি যার সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদন সম্ভব তা স্বত্ব নির্ভরযোগ্য৷ এ ধারাতে ব্যবহৃত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দ্বারা স্বত্ব আরোপিত ব্যক্তিকে বুঝাবে৷৭
৬৷ বেনামী লেনদেন: বেনামদার চুক্তির কোন পক্ষ না হলেও তার নামে যে সম্পত্তি আছে সে বিষয়ে মামলা দায়ের করতে পারে৷৮ স্বামী, স্ত্রীর নামে সম্পত্তি কিনলে স্বামী মামলা করতে পারে৷
৭৷ পারিবারিক নিষ্পত্তি: ধারা ২৩ (গ) অনুযায়ী পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিগণ যাতে বিতর্কিত অধিকার ও দাবিসমূহ তাদের অপর দাবিদারের সাথে নিষ্পত্তি করতে পারে৷৯
৮৷ নাবালক কর্তৃক চুক্তি: চুক্তি করার সময় বাদী ক্রয়কারী নাবালক থাকলে পারস্পারিকতার অনুপস্থিতি আছে বলে গণ্য হয় না কারণ বিবাদী কর্তৃক চুক্তিটি বাদীর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা যায় না৷
এ অসুবিধা বাদীর বেলায় সমভাবে প্রযোজ্য৷ কেননা বাদী চুক্তিটি বিবাদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের দাবি করতে পারবে না তাতে চুক্তি করার সময় বিবাদী সুস্থ মস্তিষ্কে থাক বা না থাক৷১০
৯৷ ডিক্রি কার্যকরী: আদালত কর্তৃক কোন চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনের জন্য যে ডিক্রি দেয়া হয়, তা উভয়পক্ষের অনুকূলে কার্যকরী হয়৷ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলায় বাদী যেমন ডিক্রী কার্যকরী করার অধিকার রাখেন, তেমনি বিবাদীও৷১১
১০৷ প্রি-এমশনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের দাবি গ্রহণযোগ্য: অত্র ধারাধীন অগ্রক্রয়াধিকারপ্রাপ্ত পরবর্তী ক্রেতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনের দাবি করা হলে আদালত বিবেচনামূলক প্রয়োগপূর্বক সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদনের দাবি অস্বীকার করতে পারে৷১২
৬.
এ, আই,
আর,
১৯৩০
এলা ১০১৷
৭.
এ,
আই, আআর, ১৯১৭ মাদ্রাজ
৩৫৮ (ডিবি)৷
৮.
৪৬
কলি ৫৬৬ পি.
সি.৷
৯.
এ,
আই, আর
১৯৪২
পাট ৪৬০৷
১০.
এ,
আই, আর,
১৯৬৪
এনা, ৫২৭ (ডি,
বি)৷
১১.
এ,
আই, আর,
১৯৩২
কলি ৫৭৯ (ডি,
বি)৷
১২.
১৩
ডি, এল,
আর,
৫৫৪৷
(ঙ) যাদের ক্ষেত্রে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না৷
ধারা-২৪৷ প্রতিকারের পথে ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা: চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন এমন ব্যক্তির পক্ষে করা যায় না:
(ক) যে চুক্তিভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে না৷
(খ) যে নিজে চুক্তির কোন প্রয়োজনীয় শর্ত ভঙ্গ করে বা শর্ত পালন করতে অসমর্থ হয় এবং যার ফলে তার নিজের অংশেরই কার্যসম্পাদন বাকী থাকে;
(গ) যে ইতিমধ্যে তার প্রতিকার বেছে নিয়েছে এবং কথিত চুক্তিভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছে; অথবা
(ঘ) যে চুক্তির পূর্বেই অবগত ছিল যে, উহার বিষয়বস্তু (যদিও তা কোন মূল্যবান পণভিত্তিক নয়) বিলিবন্দোবস্ত করা হয়েছিল এবং তখন তা কার্যকরী ছিল৷
উদাহরণ
অনুচ্ছেদ (ক) তে
খ-এর এজেন্ট চরিত্রসম্পন্ন খ, গ-এর ঘর ক্রয় করার জন্য গ-এর সহিত একটি চুক্তি সম্পন্ন করল৷ কিন্তু কার্যত ক, গ-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে নাই বরং সে নিজস্ব ক্ষমতায়ই তা করেছে৷ ক এ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে পারে না৷
অনুচ্ছেদ (খ) তে
ক, খ-এর নিকট একটি বাড়ি বিক্রয় করে এবং বিক্রয়ের তারিখ হতে সুনির্দিষ্ট বার্ষিক ভাড়ায় ১৩ বছরের জন্য উক্ত বাড়ির ভাড়াটিয়া হওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ ক দেউলিয়া হয়ে পড়ে৷ সে অথবা তার স্বত্ব নিয়োগী চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারবে না৷
ক, খ-এর নিকট একটি বাড়ি এবং এমন একটি বাগান বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হল যাতে সুশোভিত বৃক্ষরাজি রয়েছে, যা বাসস্থান হিসেবে উক্ত সম্পত্তির একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়৷ ক, খ-এর সম্মতি ছাড়া বৃক্ষরাজি কেটে ফেলল, ক চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারবে না৷
খ-এর সহিত একটি ইজারা চুক্তি অনুসারে ক একটি জমি দখল-ভোগ করেছে৷ ক জমির অপচয় অথবা জমির প্রতি অস্বামীত্বমূলক আচরণ করল৷ ক চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন কার্যকরী করতে পারে না৷
ক, খ-এর নিকট অসমাপ্ত বাড়ি ভাড়া দিতে চুক্তিবদ্ধ হল৷ খ বাড়িটি সম্পূর্ণ করার এবং ইজারা নেওয়ার চুক্তিপত্রে এই শর্ত সন্নিবেশ করল যে, ক বাড়িটিকে সব সময় মেরামত করা অবস্থায় রাখবে৷ খ অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণভাবে বাড়িটিকে সম্পূর্ণ করল৷ খ চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে পারবে না, যদিও ক ও খ পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের ক্ষতিপূরণের জনয মামলা দায়ের করতে পারে৷
অনুচ্ছেদ (গ) তে
ক, খ-এর নিকট একটি বাড়ি সুনির্দিষ্ট শর্ত এবং ভাড়ায় ভাড়া দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ খ চুক্তির কাজ সম্পাদন করতে অস্বীকৃতি জানায়৷ ক এরপর খ-এর চুক্তিভঙ্গের ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করে এবং ক্ষতিপূরণ লাভ করে৷ ক চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন কার্যকরী করার অধিকারী হবে না৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু;
২৷ যার অনুকূলে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করা যায় না;
৩৷ বাদী কর্তৃক চুক্তি পরিবর্তন করা হলে;
৪৷ চুক্তির অনাবশ্যকীয় অংশ ভঙ্গ করলে;
৫৷ ভাবী পণ মূল্য৷
১৷ ধারাটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু: যে ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট প্রতিজ্ঞা আদায়ে যোগ্য নয় তার পরিচয় অত্র ধারাতে বর্ণিত হয়েছে৷ ধারাটি বাদীর কার্যাবলী ও আচরণের উপর প্রতিষ্ঠিত পরিচয়৷ ধারা ২১-এর অনুরূপ চুক্তির প্রকৃতি হতে উদ্ভুত হয়নি৷ এ ধারায় চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের বিরুদ্ধে যে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে তা স্বয়ং চুক্তির কোন কিছুর প্রতিষ্ঠিত নয়৷
২৷ যার অনুকূলে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করা যায়
না: ধারা ২৪-এর প্রেক্ষিত নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের অনুকূলে একটি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করা যাবে না-
ক. উক্ত ধারায় দফা (ক) অনুযায়ী চুক্তির এমন কিছু নেই যা বাদীকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া হতে নিষেধ করতে পারে; কিন্তু বাদীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কিছু আপত্তির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না৷
খ. দফা (খ) অনুযায়ী বাদী স্বয়ং চুক্তির কোন অংশ সম্পাদনের অযোগ্য নয়৷ কিন্তু বাদী নিজেই ব্যক্তিগতভাবে তা সম্পাদন করতে অসমর্থ যার কার্য সম্পাদন অন্যথায় খুবই সম্ভব, বা
বাদী নিজেই চুক্তির প্রয়োজনীয় শর্ত ভঙ্গ করেছে যার কার্য সম্পাদন তার করা উচিত ছিল৷১
১. (১৮১৫)
১ মাদ্রাজ
১৫০৷
বাদী কর্তৃক চুক্তিভঙ্গজনিত কাজটি অবশ্যই অধিক ও ইচ্ছাকৃত হতে হবে৷
গ. দফা (গ) অনুযায়ী ইহা বাদীর নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যে, সে পূর্বেই সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন ছাড়া অন্য বিকল্প প্রতিকারের সুযোগ গ্রহণ যাচাই করেছে, এবং উক্ত বিকল্প প্রতিকার বাছাই ও তার অধীন বাদী পরিতোষ লাভ করেছে৷২
ঘ. দফা ঘ অনুযায়ী বাদী আগ থেকেই তৃতীয় কোন পক্ষের অধিকার সম্বন্ধে অবগত ছিল বলে উহা তার নিজের সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের দাবি ন্যায়পর বলে পরিণত হয়েছে৷
উল্লেখ্য, চুক্তির অপরিহার্য শর্তসমূহ বর্জন করলেও বাদীর পক্ষের চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী পেতে অসুবিধা হবে না৷৩
৩৷ বাদী কর্তৃক চুক্তি পরিবর্তন করা হলো:
বাদী তার চুক্তিবদ্ধ অংশে কর্ম সম্পাদনে ইচ্ছুক তবে আদি চুক্তির শর্তানুযায়ী নহে, পরিবর্তিত ও শর্তানুসারে৷ বাদী আরজীতে উল্লেখ করলেন যে, তিনি চুক্তিবদ্ধ তার অংশ করতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক তা উহা চুক্তিবদ্ধ সমুদয় টাকা পরিশোধে প্রস্তুত নয় এবং তিনি যে পরিমাণ টাকা সঠিক বলে মনে করেন সে পরিমাণ টাকা দিয়ে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদনে ইচ্ছা বা প্রস্তুতি৷ তাই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়৷৪
৪৷ চুক্তির আবশ্যকীয় শর্তভঙ্গ করলে: (ক) চুক্তির আবশ্যকীয় শর্তভঙ্গ করলে বাদী সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনের প্রতিকার পেতে পারে না৷ অনাবশ্যকীয় শর্তভঙ্গ করলে প্রতিকার পেতে পারে৷৫
(খ) বাদী যদি চুক্তি আবশ্যকীয় শর্ত ভঙ্গ করে নিজের অংশই সম্পাদন না করে তবে তার অনুকূলে চুক্তি সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন মঞ্জুর করা যায় না৷ রেসপন্ডেন্ট সুনির্দিষ্ট সম্পাদন চেয়ে যখন আদালতে আসেন তখন এটা অব্যক্ত যে, আদালতের নির্দেশে তিনি টাকা জমা দিতে প্রস্তুত৷৫.১
৫৷ ভাবী পণ্য ক্রয়:
ক্রেতাকে ভবিষ্যতে কিছু করতে হলে বিক্রয়কারীর হস্তান্তরের পণ্য মূল্য হিসেবে বিক্রয়কারীর বিরুদ্ধে চুক্তি সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রয়োগ করা যায় না৷৬
২.
এ, আই,
আর (পি, পি,)
২০৮৷
৩.
৪
বি, সি,
আর, (এ, ডি,)
৫৩৪৷
৪.
এ,
আই, আর
১৯৬৪
ট্রাভ
কোং ৪৪০১৷
৫.
এ,
আই, আর,
১৯৬০
এলা ২৬১ (ডি,
বি)৷
৫.১.
৪৭ ডি
এল
আর ৪৮ (এ
ডি)৷
৬.
এ,
আই,
আর,
১৯৩০
পাটনা
১২১ (ডি,
বি)৷
ধারা ২৫৷ স্বত্ব নেই এমন ব্যক্তি কর্তৃক অথবা অনুমতিক্রমে পত্তন দাতা কর্তৃক সম্পত্তি বিক্রয় চুক্তি: সম্পত্তি বিক্রয় অথবা ইজারা প্রদানের চুক্তি তা সেই সম্পত্তি স্থাবর কি অস্থাবর, তেমন বিক্রেতা বা ইজারাদাতার পক্ষে সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না-
(ক) যে ব্যক্তি সম্পত্তিতে তার কোন স্বত্ব নাই জেনেও তা বিক্রয় করার বা ভাড়া প্রদানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে;
(খ) যে ব্যক্তি সম্পত্তিতে তার সঠিক স্বত্ব রয়েছে এই বিশ্বাসে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তবুও বিক্রয় বা ইজারা প্রদান সম্পন্ন করার জন্য পক্ষসমূহ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে অথবা আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে ক্রেতা বা ইজারাদারকে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহমুক্ত স্বত্ব প্রদান করতে পারে না;
(গ) যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ হবার আগেই চুক্তির বিষয়বস্তুর ব্যাপারে বন্দোবস্ত (যদিও তা কোন বিনিময়-মুল্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত না-ও হতে পারে) করছে৷
উদাহরণ
(ক) ক, গ-এর নির্দেশ ছাড়াই এমন একটি সম্পত্তি খ-এর নিকট বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয়, যে সম্পর্কে ক জানে যে, তা গ-এর মালিকাধীন৷
ক এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারে না, এমনকি যদি গ তা অনুমোদন করতে ইচ্ছুকও থাকে৷
(খ) ক উইল করে জিম্মাদারদের নিকট তার জমি প্রদান করল৷ উইলে এই ঘোষণা প্রদান করা হয় যে, তারা খ-এর নিকট হতে লিখিত সম্মতি গ্রহণ করে জমি বিক্রয় করতে পারে৷ খ নিম্নলিখিতভাবে জিম্মাদার কর্তৃক কৃত যে কোন বিক্রির ব্যাপারে সাধারণ সম্মতি প্রদান করল৷ জিম্মাদারগণ তার পরে জমি বিক্রয় করার জন্য গ-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হল৷ গ চুক্তি কার্য সম্পাদন করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল৷ জিম্মাদারগণ এই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে পারে না৷ কারণ, এই বিশেষ বিক্রির ব্যাপারে খ-এর সম্মতি না থাকায় তারা গ-কে যে স্বত্ব প্রদান করবে আইন অনুযায়ী তা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহমুক্ত নয়৷
(গ) ক কতিপয় জমির অধিকার ভোগরত থাকায় তা খ-এর নিকট বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হল৷ তদন্তের পর দেখা গেল যে, ক, খ-এর উত্তরাধিকারী হিসেবে জমি দাবি করছে এবং খ বহু বত্ সর আগে দেশত্যাগ করেছে এবং সাধারণভাবে তাকে মৃত বলে ধারণা করা হয়, কিন্তু তার মৃত্যু সম্পর্কে পর্যাপ্ত কোন প্রমাণ নাই৷ ক, খ-কে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে বাধ্য করতে পারে না৷
(ঘ) ক স্বাভাবিক স্নেহ-প্রীতির বশবর্তী হয়ে তার ভাই ও তাদের সন্তান-সন্ততির সহিত কতিপয় নির্দিষ্ট সম্পত্তি পত্তন করে এবং পরে সে একই সম্পত্তি একজন আগন্তুকের নিকট বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ ক এই চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে পারে না, ক আরণ তা করতে গেলে পূর্বের পত্তন বাতিল করে দিতে হয় এবং এভাবে তদানুসারে দাবিদার ব্যক্তিদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করতে হয়৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু;
২৷ প্রযোজ্যতা;
৩৷ চুক্তি;
৩.১৷ ইজারা চুক্তি;
৩.২৷ সীমিত মালিক কর্তৃক হস্তান্তর;
৩.৩৷ স্বত্বে অনুমোদন সাপেক্ষে চুক্তি করা হলে;
৪৷ চুক্তি ভঙ্গের কারণ;
৫৷ স্বত্বের প্রমাণ;
৬৷ তৃতীয় পক্ষকে পক্ষভূক্তকরণ৷
১৷ ধারাটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু: যার নিজের কোন অধিকার নেই সে অপরকে কোন অধিকার দিতে পারে না৷ ধারাটি আগের ধারা ১৫, ১৮, ও ২৪ হতে প্রভেদ সৃষ্টক৷ তবে ধারা ১৮-এর পরিপূরক৷ সেক্ষেত্রে ধারা ১৮ অনুযায়ী একজন ক্রেতা একজন অখাটি স্বত্ববিশিষ্ট বিক্রেতা বা ইজারাদাতার বিরুদ্ধে কোন অধিকার কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারে সেক্ষেত্রে অত্র ধারা ২৫ অনুযায়ী ক্রেতা সম্পূর্ণ স্বত্ববিহীন কোন বিক্রেতা বা ইজারাদাতার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবন্ধকতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে৷
২৷ ধারাটির প্রযোজ্যতা:
চুক্তি করার সাথে সাথে উহার কর্তৃত্ব সৃষ্টক স্বত্বভঙ্গ হয়ে যায় যদি কিনা বিক্রেতা যে সম্পত্তি চুক্তির অধীনে প্রদান করবে বলে স্বীকার করেছে তা তার মালিকানাধীন স্বত্ব না হয়৷ এরূপ অবস্থাতে ক্রেতা চুক্তি ভঙ্গের দরুন ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারে তজ্জন্য দখলে হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয় না৷১
৩৷ চুক্তি:
৩.১৷ ইজারা চুক্তি:
ইজারা গ্রহীতার স্বত্ব পরিপূর্ণ করার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তা ইজারাদাতা নিতে সমর্থ হলে ইজারাদাতার চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে সম্পাদন না করার কোন কারণ নেই৷২
৩.২৷ সীমিত মালিক কর্তৃক হস্তান্তর:
কোন সীমিত অধিকারের মালিক সম্পূর্ণ অধিকারের অধিকারিনী ভেবে কোন সম্পত্তি বিক্রি করলে এবং পরে তা প্রকাশ পেলে বিক্রি করা তার অনুকূলে একটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করতে পারে না এবং তিনি ক্ষতিপূরণ ও দাবি করতে পারেন না৷৩
১.
এ, আই,
আর
১৯৩৪
মাদ্রাজ
৬৮৭৷
২.
এ,
আই, আর
১৯৩৮
কলি ১৩৬৷
৩.
এ,
আই, আর
১৯২৮
অযোধ্যা
৪৭৫ (ডি,
বি)৷
৩.৩৷ স্বত্বের অনুমোদন সাপেক্ষে চুক্তি করা হলে:
ক্রেতার উকিল অনুমোদন সাপেক্ষে চুক্তি করা হলে উক্ত শর্ত চুক্তির পরবর্তী শর্ত হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং তা পালন করা না হলে চুক্তি বাতিল করার বিধান থাকতে পারে৷ পরিসমাপ্ত চুক্তিতে পক্ষগণ চুক্তিগত দায়িত্ব একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাতিল করার বিধান রাখতে পারেন৷ নীতিটি চুক্তি আইনের ধারা ৩৫-এ বিধৃত হয়েছে৷
এডভোকেটের অনুমোদন যুক্তিহীনভাবে বন্ধ করে রাখলে বিক্রেতা সব সময় উহার বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার পাবার অধিকারী৷৪
৪৷ চুক্তিভঙ্গের প্রমাণ:
চুক্তি বা স্বত্বভঙ্গের ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমার বেলায় বাদীকে প্রমাণ করতে হবে যে চুক্তিভঙ্গ হয়েছে৷৫
৫৷ স্বত্বের প্রমাণ:
ক. বিক্রেতার স্বত্ব যে সময় আইনগত প্রশ্নের উপর নির্ভর না করে কোন বিতর্কিত ঘটনার উপর নির্ভর করে তখন উক্ত ঘটনা অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে৷ বিক্রেতা যদি প্রমাণে ব্যর্থ হলে সে ভাল স্বত্ব সৃষ্টি করেছে বলে বিবেচিত হবে না৷৬
খ. বিক্রেতা কর্তৃক সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনের মামলায় ক্রেতা-বিক্রেতার আগের হস্তান্তর সম্পর্কে জ্ঞাত আছে বলে কোন ঘটনা ক্রেতাকে বিক্রেতার স্বত্ব সম্পর্কে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না৷ তবে শর্ত থাকে যে, তারা স্বত্বের সম্পর্কে অনুসন্ধানের বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখতে সম্মত হলে অথবা বিক্রেতার স্বত্ব যেভাবে আছে সেভাবে গ্রহণে সম্মত থাকলে এ নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না৷৭
৬৷ তৃতীয় পক্ষকে পক্ষভূক্তকরণ: বিক্রেতার পক্ষে বিক্রয়ের চুক্তি সম্পাদনের আদেশ দেয়া যায় না যখন তিনি জানবেন যে, যে জমি বিক্রয় করতে যাচ্ছেন তাকে তার স্বত্ব ছিল না, ঐ ধরনের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষকে পক্ষভূক্ত করা যায়, যখন তিনি দাবি করেন যে ঐ জমি তার দখলে আছে৷৮
৪.
এ, আই,
আর,
১৯৫৯
অন্ধ
প্রঃ
২৫৬৷
৫.
এ,
আই, আর,
১৯০৪
মাদ্রাজ
৬৮৭৷
৬.
এ,
আই, আর
১৯৪০
মাদ্রাজ
৭৩৯৷
৭.
এ,
আই, আর
১৯৪০
মাদ্রাজ
৭৩৯৷
৮.
৩৫
ডি এল
আর
১১০৷
(চ) পরিবর্তন ব্যতীত যাদের বেলায় চুক্তি সুনির্দির্ষ্টভাবে কার্যকরি করা যায় না
ধারা ২৬৷ পরিবর্তন ছাড়া কার্যকরীকরণ না করা: যেখানে বাদী লিখিত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন দাবি করে এবং প্রতিবাদী সে ব্যাপারে একটি পরিবর্তন খাড়া করে সেখানে বাদী নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে তেমন পরিবর্তন ব্যতীত সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন করতে পারবে না ঃ-
(ক) যেখানে প্রতারণার মাধ্যমে বা তথ্যের ভুলের কারণে যে চুক্তির কার্য সম্পাদন দাবি করা হচ্ছে তার শর্ত প্রতিবাদী চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় যেমন ভেবেছিল তা হতে ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করেছে;
(খ) যেখানে প্রতারণার মাধ্যমে বা তথ্যগত ভুলের দরুন যা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে প্রতিবাদী তার এবং বাদীর মধ্যে চুক্তির ফলাফল সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে;
(গ) যেখানে প্রতিবাদী চুক্তির শর্তাবলী জেনে এবং উহার ফলাফল উপলব্ধি করেও বাদীর কতিপয় ভুল বিবরণের উপর বিশ্বাস করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অথবা বাদীর তরফ হতে এমন কতিপয় শর্তের প্রেক্ষিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যা চুক্তিতে যুক্ত করা হয়েছে কিন্তু তা সে পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে;
(ঘ) যেখানে পক্ষসমূহের লক্ষ্য হচ্ছে নির্দিষ্ট আইনগত ফলাফল লাভ করা কিন্তু চুক্তি যেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে তা তেমন ফলদায়ী হয় না;
(ঙ) যেখানে পক্ষসমূহে চুক্তিনামা সম্পাদনের সাথে সাথেই, তা পরিবর্তন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷
উদাহরণ
(ক) ক, খ ও গ একটি দলিলে স্বাক্ষর করে যার মর্মার্থ হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই ১,০০০ টাকার খতের জন্য ঘ-এর সহিত চুক্তিবদ্ধ হবে৷ ক, খ ও গ প্রত্যেকেই পৃথকভাবে ১,০০০ টাকার জন্যে দায়ী করে ঘ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় তারা প্রমাণ করে যে, প্রত্যেকেই শব্দটা ভুল করে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল যে, তারা ১,০০০ টাকার জন্য যুক্ত খত প্রদান করবে৷ ঘ এইভাবে দাঁড় করানো পরিবর্তন মেনে নিলে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন পেতে পারে৷
(খ) ক, খ-কে একটি বাসাবাড়ি ক্রয় করার লিখিত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনে বাধ্য করার জন্যে মামলা দায়ের করল৷ খ এই কথা প্রমাণ করে যে, সে মনে করেছিল যে, চুক্তিতে বাড়ির সংলগ্ন উঠানের কথাও অন্তর্ভূক্ত না বহির্ভূত সেই সম্পর্কে সন্দেহ থেকে যায়৷ আদালত খ কর্তৃক দাঁড় করানো পরিবর্তন ব্যতিরেকে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে অস্বীকার করবেন৷
(গ) ক লিখিতভাবে খ-কে একটি ঘাট এবং সে সাথে নকশায় চিহ্নিত ক-এর জমি খণ্ড ভাড়া দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ চুক্তি স্বাক্ষর করার আগে খ মৌখিকভাবে প্রস্তাব করে যে, নকশার চিহ্নিত জমির পরিবর্তে ক-এর একই আয়তনের অন্য জমি খণ্ড ব্যবহার করার ব্যাপারে তার স্বাধীনতা থাকবে এবং এই ব্যাপারে ক সুস্পষ্টভাবে সম্মতি প্রদান করে৷ খ তার পরে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষর করে৷ ক, খ কর্তৃক দাঁড় করানো পরিবর্তন মেনে না লইলে, সে লিখিত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারবে না৷
(ঘ) ক ও খ একটি জমি খ-এর সারা জীবনের জন্য এবং জমির স্বত্বের অবশিষ্ট ভাগ অপর জনের জন্য নিশ্চিত করার জন্য চুক্তিপূর্ব আলোচনায় মিলিত হল৷ তারা একটি চুক্তি সম্পন্ন করল যার শর্তে দেখা গেল যে, খ-এর উপর চূড়ান্ত মালিকানা অর্পণ করা হয়েছে৷ এভাবে কৃত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যাবে না৷
(ঙ) ক নির্দিষ্ট শর্তে এবং প্রতিমাসে ১০০ টাকা ভাড়ায় খ-কে একটি বাড়ি ভাড়া প্রদান করার কথা মেনে ন নিল৷ পরে দেখা গেল বাড়িটি মেরামতের যোগ্য নয়, তাই খ-এর সম্মতিক্রমে ক তা ভেঙ্গে ফেলিল এবং সে জায়গায় একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ করল; খ মৌখিকভাবে ১২০ টাকা প্রতি মাসে ভাড়া প্রদানে চুক্তিবদ্ধ হল৷ খ তারপরে লিখিত চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করার জন্য মামলা দায়ের করল৷ সে পরবর্তী মৌখিক চুক্তি দ্বারা কৃত পরিবর্তনকে মেনে না নিয়ে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে পারে না৷
বিশ্লেষণ
১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়;
২৷ প্রযোজ্যতা;
৩৷ দফা ক ও খ এর পার্থক্য;
৪৷ কখন পরিবর্তন দ্বারা চুক্তি কার্যকর করা যায় না;
৫৷ শঠতার ক্ষেত্রে প্রতিকার;
৬৷ ভুলের ক্ষেত্রে প্রতিকার৷
১৷ প্রতিপাদ্য বিষয়:
চুক্তি হতে পারে মৌখিক কিংবা লিখিত৷ তবে লিখিত চুক্তির সুবিধা অনেক৷ কেননা তাতে চুক্তির শর্তাবলী সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়৷ অনেক ক্ষেত্রে লিখিত দলিলে থাকতে পারে অস্পষ্টতা অথবা প্রতারণা৷ মূলত এরূপ ক্ষেত্রে আইনের বিধান কি তারই আলেখ্য অত্র ধারাতে বিধৃত হয়েছে৷
২৷ প্রযোজ্যতা:
সাধারণত এটি ধরে নেয়া হয় যে, চুক্তিভূক্ত পক্ষ আইন সম্পর্কে জ্ঞাত তাই তা বর্তমান আইনের সাথে সঙ্গিতপূর্ণ হতে হবে এবং তার ব্যাখ্যাও হবে তেমন৷১ বাদী বিবাদী আইনত করতে পারে না, বিবাদীকে তা করতে বাধ্য করতে পারে না এটা কোন চুক্তি সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখাতে হয়৷২
৩৷ দফা ক ও খ এর পার্থক্য:
১. ক, দফা খ-তে ভুল ধারণা যুক্তিসঙ্গত হবে৷ কিন্তু দফা ক তে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই৷
২. দফা ক-এর ভুলটি মূলত তথ্যগত বা শর্তমূলক হতে পারে৷ দফা খ তা হবে অপ্রত্যাশিত৷
৩. দফা ক-এর ভুলটি চুক্তির শর্ত বিষয়ক হতে হবে৷ অন্যদিকে, দফা খতে চুক্তির শর্তের আইনগত ফলাফল বিষয় হতে হবে৷
৪. দফা ক-এর বেলায় বিবাদী চুক্তিটি যে শর্তাবলীতে অভিন্ন মত পোষণ করেছিল তা থেকে ভিন্নতর শর্তাবলী লেখা হয়েছে৷ অন্যদিকে, দফা খ যে চুক্তির শর্তাবলী সাময়িকভাবে স্বীকৃত অবস্থায় চুক্তিতে আছে৷
৪৷ কখন পরিবর্তন দ্বারা চুক্তি কার্যকর করা যায় না:
(ক) যেক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ভুল তথ্যের দরুণ কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন চুক্তির কার্য সম্পাদন দাবি করা হচ্ছে উক্ত চুক্তিবদ্ধ হবার সময় বিবাদী যে শর্তে কথা বলেছেন তা বর্তমান হতে ভিন্নতর৷
(খ) যেক্ষত্রে কোন চুক্তির পক্ষগণ চুক্তিটি সম্পাদনের সাথে সাথেই তা পরিবর্তনের জন্য চুক্তি সম্পাদন করে৷
(গ) যেখানে কোন চুক্তির পক্ষগণের লক্ষ্য হচ্ছে আইনগত নির্দিষ্ট ফলাফল হাসিল করা কিন্তু আইনগত ভুলের প্রেক্ষিতে তা যেভাবে তৈরি করা হচ্ছে তা আশানুরূপ ফলদায়ক হচ্ছে না৷
(ঙ) যখন প্রত্যাশিত বা ভুল তথ্যের দরুণ কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে চুক্তির ফলাফল বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত ভুলধারণার বশবর্তী হয়ে বাদী বিবাদী চুক্তিবদ্ধ হয়৷
(চ) যেক্ষেত্রে বিবাদী চুক্তির শর্তসমূহ ক্ষতি হবার এবং ইহার ফলাফল উপলব্ধি করেও বাদীর কিছু ভুল বিবরণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে চুক্তি সম্পাদন করেছে যা বাদী পালনে স্বীকৃত নয়৷
১.
এ, আই,
আর
১৯৪৯
নাগ ৩৮৯৷
২.
এ,
আই, আর,
১৯১৬
কলি, ১২৬ (ডি,বি.)৷
৫৷ শঠতার ক্ষেত্রে প্রতিকার:
ক. দলিলটি রদ পূর্বক অন্য পক্ষকে জ্ঞাত করতে পারে
খ. দলিলটি নাকোচের জন্য মোকদ্দমা করতে পারে৷৩
গ. দলিলটি সংশোধনের মামলা করা যায়৷৪
ঘ. চুক্তিটি রদের জন্য মামলা দায়ের করা যায়৷৫
ঙ. ভুল সংশোধন দাবি জানাতে পারে৷৬
চ. ক্ষতিপূরণের মামলা করলে তা প্রতিহত করা৷৭
ছ. ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের৷৮
জ. শর্তাবলী পরিবর্তনের মামলা করতে পারে, প্রতারিত হবার পর৷৯
৬৷ ভুলের ক্ষেত্রে প্রতিকার:
ক. ক্ষুদ্ধপক্ষ দলিল নাকোচের মামলা দায়ের করতে পারে৷১০
খ. চুক্তিটি রদের মামলা করতে পারে৷১১
গ. উভয় পক্ষ চুক্তিটি বাতিলযোগ্য নয় বাতিল করতে পারে৷১২
ঘ. চুক্তিটি সংশোধন মামলা দায়ের করতে পারে৷১৩
ঙ. ভুলকে প্রতিরক্ষা বা পরিবর্তনের দাবি করতে পারে৷১৪
(ছ) যাহাদের বিরুদ্ধে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায়৷
ধারা-২৭৷ পক্ষগণ ও তাদের নিকট প্রাপ্ত পরবর্তী স্বত্বাধীনে দাবিদার ব্যক্তি এবং পক্ষসমূহের বিরুদ্ধে প্রতিকার ঃ যদি এ অধ্যায় অন্যভাবে বিধিবদ্ধ না থাকে, চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করা যেতে পারঃ-
(ক) যে কোন পক্ষের বিরুদ্ধে;
(খ) চুক্তির পরবর্তী সময়ে উদ্ভুত স্বত্ব দ্বারা তার অধীনে দাবিরত যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যদি না সে মূল্যের বিনিময়ে এমন একজন হস্তান্তর গ্রহীতা হয়, যে সরল বিশ্বাসে মুল চুক্তি সম্পর্কে অনবহিত থেকে তার অর্থ প্রদান করেছিল ঃ-
৩.
এ, আর,
এ্যাক্ট
ধারা
৩৯৷
৪.
এস,
আর এ্যাক্ট
ধারা
৩১৷
৫.
এস,আর, এ্যাক্ট
ধারা
৩৫৷
৬.
চুক্তি
আইন ধারা ১৯৷
৭.
এস,
আর, এ্যাক্ট (ভারত)
এ্যাক্ট-(৬ষ্ঠ)
৩১৮৷
৮.
এস,
আর, এ্যাক্ট (ভারত)
এ্যাক্ট-(৬ষ্ঠ)
৩১৮৷
৯.
এস,
আর, এ্যাক্ট
ধারা
২৬৷
১০.
এস,
আর, এ্যাক্ট
ধারা
৩৯৷
১১.
এস,
আর, আইন ধারা ৩৫৷
১২.
চুক্তি
আইন ধারা ২০৷
১৩.
এস,
আর, এ্যাক্ট
ধারা
৩১৷
১৪.
পোলকের
চুক্তি
আইন (১৩)
১৮৷
(গ) এমন স্বত্বের অধীন দাবিদার ব্যক্তির বিরুদ্ধে যা যদিও চুক্তির পূর্ববর্তী ছিল এবং বাদীর জানা ছিল, তবুও তা প্রতিবাদী স্থানচ্যুত করে থাকবে;
(ঘ) যখন পাবলিক কোম্পানী চুক্তিবদ্ধ হয় এবং তার পর পরই তা অন্য পাবলিক কোম্পানীর সাথে একত্রিত হয়, তখন একত্রিত হবার ফলে উদ্ভুত নূতন কোম্পানির বিরুদ্ধে৷
(ঙ) যখন পাবলিক কোম্পানির উদ্যোক্তা ব্যক্তিরা, কোম্পানী গঠিত হওয়ার আগেই চুক্তি করে, তখন কোম্পানির বিরুদ্ধে; যদি কোম্পানী চুক্তি অনুমোদন ও গ্রহণ করে থাকে এবং কোম্পানী গঠনের শর্ত দ্বারা চুক্তি সমর্থিত হয়ে থাকে৷
উদাহরণ
অনুচ্ছেদ (খ) তে
ক নির্দিষ্ট জমি একটি বিশেষ দিনের মধ্যে খ-এর নিকট অর্পণ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়৷ ক উক্ত জমি অর্পণ না করেই নির্দিষ্ট দিনের আগের উইল করা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে৷ খ, ক-এর উত্তরাধিকারী বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিনিধিকে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করতে বাধ্য করতে পারে৷
ক নির্দিষ্ট জমি খ-এর নিকট ৫,০০০ টাকার বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হল৷ ক পরবর্তী সময়ে ৬,০০০ টাকার বিনিময়ে উক্ত জমি গ-কে প্রদান করল, যে মুল চুক্তি সম্পর্কে অবহিত ছিল৷ খ, গ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারে৷
ক, খ-এর নিকট ৫,০০০ টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট জমি বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হল৷ খ জমির দখল গ্রহণ করল৷ পরবর্তী সময়ে ক উক্ত জমিই গ-এর নিকট ৬,০০০ টাকায় বিক্রয় করল৷ গ উক্ত জমিতে খ-এর স্বত্ব সম্পর্কে কোন অনুসন্ধান করল না৷ খ-এর দখলই গ-কে তার স স্বত্ব সম্পর্কে অবহিত করার জন্য যথেষ্ট এবং খ, গ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারে৷
ক ১,০০০ টাকার বিনিময়ে তার নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি উইল করে যেতে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ চুক্তির পরপরই ক উইল না করে মারা যায় এবং গ তার সম্পত্তির শাসন ভার গ্রহণ করে৷ খ গ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারে৷
ক কতক নির্দিষ্ট জমি খ-এর নিকট বিক্রয় করতে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ চুক্তি সম্পাদন করার আগেই ক পাগল হয়ে যায় এবং গ-কে তার কার্যনির্বাহক নিযুক্ত করা হয়৷ খ গ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির কার্য সম্পাদন করিতে পারে৷
অনুচ্ছেদ (গ) তে
ক একটি সম্পত্তির আজীবন প্রজা, যার স্বত্বের অবশিষ্ট ভাগের অধিকারী খ৷ যে পত্থনি অনুসারে আজীবন প্রজা সে পত্তনি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ করে ক সম্পত্তি গ-এর নিকট বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হইল৷ গ এই পত্তনির বিষয়টি জানত৷ বিক্রয় সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ক মারা গেল৷ গ, খ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করিতে পারে৷
ক ও খ একটি জমির যৌথ প্রজা, যার অর্ধাংশ দুইজনের যে কেহই জীবদ্দশায় হস্তাস্তর করতে পারবে, কিন্তু তাহা একই স্বত্ব অনুসারে উত্তজীবির উপর বর্তাবে৷ ক তার অর্ধাংশ গ-এর নিকট বিক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হল এবং মারা গেল৷ গ, খ-এর বিরুদ্ধে চুক্তির কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারে৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়
২৷ ধারা ২৩ ও ২৭
৩৷ দফা ভিত্তিক আলোচনা
৪৷ নোটিশ সংক্রান্ত
৫৷ শর্তযুক্ত বা অসম্পূর্ণ চুক্তি
৬৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা কর্তৃক অনুসন্ধান
৭৷ প্রমাণের দায়
৮৷ তৃতীয় ব্যক্তির দখলে থাকলে
৯৷ মামলার পক্ষে
১০৷ চুক্তির ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ
১১৷ দেউলিয়া কর্তৃক চুক্তি
১২৷ ভাড়াটিয়া দখলকৃত সম্পত্তি
১৩৷ ডিক্রির ধরণ
১৪৷ রিভিশন
১৫৷ এই ধারার অধীন ডিক্রি
১৬৷ নিষেধাজ্ঞা
১৭৷ রেজিস্ট্রেশন
১৮৷ পরবর্তী ক্রেতা ডিক্রী দ্বারা বাধ্য কিনা৷
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়:
ধারা ২৭ এ চুক্তি কার বিরুদ্ধে বলবত্ করা যায় সেটিই আলোচিত হয়েছে৷ সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী চুক্তির বেলায় কোন তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না৷ কেবল চুক্তির পক্ষগণ আবশ্যকীয় এবং যথার্থপক্ষ হিসেবে গণ্য হয়৷ তবে এক্ষেত্রে তিনটি বাত্যয় রয়েছে ঃ-
(ক) চুক্তির পরিবর্তনপূর্বক নতুন চুক্তি সৃষ্ট হলে;
(খ) পরবর্তী চুক্তির প্রেক্ষিতে স্বার্থ সৃষ্টি হলে; ও
(গ) যেক্ষেত্রে মামলার সংখ্যা কমানো দরকার হয়ে পড়ে৷১
সম্পাদিত চুক্তির ক্ষেত্রে এ ধারাটির কোন অনুশীলন নেই৷ পরিত্যক্ত চুক্তির বেলায় সুনির্দিষ্ট সম্পাদন আদালতের স্বেচ্ছামূলক এখতিয়ারভূক্ত৷ ধারাটি কেবল চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের বেলায় প্রযোজ্য ভূ-মালিক চুক্তি কার্যকরী করার জন্য নয়৷২ বিক্রি সম্পন্ন ছাড়া বিক্রি চুক্তির ক্ষেত্রে নয় ধারাটি প্রযোজ্য৷৩ ধারাটিতে পাবলিক কোম্পানীর কথা হয়েছে, কিন্তু কোন প্রাইভেট কোম্পানীর কথা বলা হয় নি৷ অনুরূপ ধারা ২৩ এ ও৷
২৷ ধারা ২৩ ও ২৭:
ধারা ২৭ টি সামগ্রীক হিসেবে বিবেচিত হলেও উহা ধারা ২৩ এর তুলনায় এর অধিক্ষেত্র ক্ষুদ্রতর৷
৩৷ দফা ভিত্তিক আলোচনা:
দফা (ক):
সাধারণ নিয়মানুযায়ী চুক্তিবদ্ধ পক্ষেরও বিরুদ্ধেই চুক্তি অভাবে কার্যকরযোগ্য৷ তবে-
* হস্তান্তরদাতার নাবালকত্ব সম্পর্কে জেনেও হস্তান্তর গ্রহীতা কোন চুক্তি করলে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগযোগ্য নহে৷৪ কিন্তু জ্ঞাতি না থাকলে বিষয়টি আদালতে স্বেচ্ছামূলক বিবেচনা নির্ভর৷৫
* মাতা যদি নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি চুক্তি করে তবে সে চুক্তি নাবালকের উপর বাধ্যকর নয়৷৬
* হিন্দু পরিবারের কর্তার বিরুদ্ধে কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যকরণের মোকদ্দমা করা এবং উহার ডিক্রি পরিবারের সকলের উপর বর্তাবে৷৭
দফা (খ): (১) কোন চুক্তি কেবলমাত্র উহার পক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা যায় না বরং পক্ষের অধীনে যে ব্যক্তি পরবর্তীতে স্বত্ব লাভ করে থাকে তার বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করা যায়৷৮
১.
এ আই
আর
১৯২৩
মাদ. ৩১৩ (ডিবি)৷
২.
এ,
আই, আর
১৯১৩
কলি ২৩৪৷
৩.
১৯৮৫
সি এল
সি
৭৷
৪.
এ
আই আর
১৯২৪;
পা. ৮১ (ডিবি)৷
৫.
এ
আই আর
১৯৪৭
মাদ্রাজ
৬৭ (ডিবি)৷
৬.
এ
আই আর
১৯৫২
ট্রাভ
কোঃ ১৯৯৷
৭.
এ
আই আর
১৯৫৩
পাট ৫৩৫ (ডিবি)৷
৮.
১৯৯১
সি এল
সি
১৩৪৩৷
(২) তবে কোন ক্রেতা সরল বিশ্বাসে পূর্ববর্তী চুক্তির সম্পর্কে জ্ঞাত না হয়ে যথাযথভাবে মুল্য বিনিময়ে চুক্তিভূক্ত হলে তার বিরুদ্ধে উহা সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিপালনের জন্য ব্যবহার করা যায় না৷৯
(৩) এস আর
এ্যাক্টের কোথাও সরল বিশ্বাসের সংজ্ঞা দেয়া হয়নি৷ তাই জেনারেল ক্লজেজ
এ্যাক্টের দেয় সংজ্ঞাটিই এখানে গ্রাহ্য৷ উদ্দেশ্যের সততা যাচাই হলো সকল বিশ্বাস৷১০ সততার সাথে বিশ্বাসকে সরল বিশ্বাস বলে৷
(৪) পূর্ব অবস্থিত চুক্তির ফল:
যে ব্যক্তির অনুকূলে পূর্ববর্তী চুক্তির অস্তিত্ব থাকে তিনি উহা ২৭ (খ) ধারা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট প্রতিপালন করাতে পারেন এবং পরবর্তী ক্রেতাকে তার অনুকূলে বিক্রয় দলিল সম্পাদন করতে বাধ্য করতে পারেন৷ কিন্তু যে পর্যন্ত না এরূপ পরবর্তী ক্রয়কারী কর্তৃক বিক্রয় দলিল সম্পাদন না হয়, যিনি পূর্ববর্তী চুক্তি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন, সে পর্যন্ত যে ব্যক্তির অনুকূলে পূর্ববর্তী চুক্তি করা হয়েছিল সে ব্যক্তি উহাতে কোন স্বত্ব লাভ করে না৷১১
(৫) পূর্ব অবস্থিত চুক্তির সমগোত্রীয় দাবি:
কোন তৃতীয় পক্ষ প্রজার নিকট হতে ফসল গ্রহণ করলেন এবং তিনি সম্পূর্ণভাবে অবহিত ছিলেন যে ভূ-স্বামী তার দাবি তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারেন৷ কারণ তার দাবি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭ (খ) ধারা অনুসারে সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগযোগ্য দাবির সমগোত্রীয়৷১২
(৬) পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী চুক্তি:
একই জমি বিক্রয় সম্পর্কে বাদীর অনুকূলে চুক্তি হবার পূর্বে বিবাদীর সঙ্গে চুক্তি হলে বাদী বিবাদীর অনুকূলে সম্পাদিত চুক্তি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না মর্মে কোন ঘটনাই বাদীকে ন্যায়পরায়নতার নীতির সুযোগ লইতে সাহায্য করে না৷১৩
কাজেই কোন বিক্রয় চুক্তি ২৮ নভেম্বর, ১৯৪৭ সালে ৩০ মে ১৯৪৭ সালের অঙ্গীকার অনুসারে সম্পাদিত হল৷ অপরপক্ষে বিবাদীর চুক্তি ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ২৪ আগষ্ট ১৯৪৭ সালে সম্পাদিত হলে উহার উপরে বাদীর স্বত্ব প্রাধান্য পাবে৷ এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭ (খ) ধারা প্রযোজ্য হয় না৷১৪
৯.
এ আই
আর
১৯৫৩
মাদ্রাজ
৪০৮৷
১০.
এ
আই আর
১৯৬১
উড়ি ১২৯৷
১১.
এ
আই আর
১৯২৫
মাদ. ৪৯২৷
১২.
এ
আই আর
১৯২৯
রং ৯৩৷
১৩.
এ
আই আর
১৯৫৫
এলা ২৪ (ডিবি)৷
১৪.
এ
আই আর
১৯৫৪
নাগ ৩২৮৷
(৭) মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী এবং আইনগত প্রতিনিধি: 'পরবর্তী চুক্তির মাধ্যমে তার অধীনের স্বত্বাধিকারী ব্যক্তি বলতে' চুক্তির মৃতপক্ষের উত্তরাধিকারী এবং আইনগত প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করে৷১৫
কাজেই বিক্রেতার মৃত্যুর সময় বিক্রয় চুক্তিটি রেজিস্ট্রি করা না হলে ক্রয়কারী ব্যক্তি এ ধারার অধীনে মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বিক্রয় চুক্তি প্রতিপালনের জন্য এবং দলিল সম্পাদন এবং রেজিস্ট্রির জন্য তিন মাসের মধ্যে মামলা করতে পারেন৷১৬
(৮) আদালতের বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা: এস আর
এ্যাক্টের ২৭ ধারার অধীনে চুক্তির কোন পক্ষের অধীনে দাবিদার ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুক্তি প্রয়োগ করা যায়৷ আদালতের বিক্রয়ের মাধ্যমে ক্রয়কারী ব্যক্তি সকল ক্ষেত্রে দেনাদার ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য না হলেও তাকে দেনাদার ব্যক্তির মাধ্যমে তার স্বত্বের দাবি করতে হয়৷ কাজেই আদালতের মাধ্যমে বিক্রয় করার পূর্বে কোন সম্পত্তি বিক্রয় হয়ে থাকলে উহা সিদ্ধান্ত হয় যে, বিক্রয় চুক্তি হিসেবে উহা আদালতের মাধ্যমে ক্রয়কারীর উপর বাধ্যকর৷ পূর্বে যে বিক্রয় চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে তা আদালতের মাধ্যমে ক্রয়কারীর উপরে বাধ্যকর হবে৷১৭
(৯) বন্ধক: স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের চুক্তি সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্বেও পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তি বন্ধক দেয়া হলে বন্ধকগ্রহীতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন লাভ করা যায়৷১৮
(১০) ইজারা: ইজারা অনুমোদন করার চুক্তি জমির সঙ্গে আরম্ভ হয় না বলে উহার মূল পক্ষের প্রতিনিধির উপর উহা বাধ্যকর নহে৷১৯
কিন্তু কৃষি জমির ইজারা অনুমোদনের চুক্তি ইজারাদাতার উত্তরাধিকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়৷২০
(১১) অগ্রক্রয়াধিকার: অগ্রক্রয়াধিকার চুক্তির মূল পক্ষের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বিশেষ অবস্থাধীনে ২৭ ধারার অধীনে প্রয়োগযোগ্য৷২১
১৫.
এ আই
আর
১৯২৯
রং ২৭৪৷
১৬.
৭
ডি এল.
আর
২৬৩৷
১৭.
১৪
ডি এ
আর (এস সি)
১১২৷
১৮.
এ
আই ডি
এল
আর ১৯৬০ অন্ধ্র.
প্র. ৩৷
১৯.
এ
আই আর
১৯২৫
এলা ৪২৭৷
২০.
এ
আই আর
১৯৫০
এলা ৪২১৷
২১.
এ
আই আর
১৯২৪
এলা ৪০০৷
(১২) অগ্রক্রয়াধিকার পুনঃ বিক্রয়ের চুক্তি দ্বারা ক্ষুন্ন হয়
না:
ক্রয়কারী এবং বিক্রয়কারীর মধ্যের কোন চুক্তি তৃতীয় পক্ষের অগ্রক্রয়াধিকার ক্ষুন্ন করবে না৷ কাজেই 'ক', 'খ' এর অনুকূলে বিক্রয় দলিল সম্পাদন করার পরে উক্ত একই দিনে 'খ', 'ক' এর অনুকূলে অপর এটি দলিল সম্পাদন করলেন৷ খ সম্পত্তিটি পুনঃ হস্তান্তরে রাজী হলেন৷ 'ক' একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রয় মূল্য ফেরত দিলে পূনঃ হস্তান্তরের চুক্তি সম্পাদন করা হল৷ উক্ত পুনঃ হস্তান্তরের চুক্তি অগ্রক্রয়কারী 'গ'-এর উপর বাধ্যকর নহে৷ গ-এর যে অগ্রক্রয় অধিকারের সৃষ্টি হয়েছে তা পরবর্তী বিক্রয় দলিলের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয় নি বরং উহা মুল বিক্রয় দলিল হতে জন্মলাভ করেছে৷ কাজেই 'ক', 'খ'-এর বিরুদ্ধে পুনঃ হস্তান্তরের চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিপালনের জন্য মামলা করলে 'গ'-এর ক্ষেত্রে ২৭ (খ) ধারা প্রযোজ্য হবে না৷ কারণ তিনি 'খ'-এর মাধ্যমে দাবি করেন না এবং তার স্বত্ব পরবর্তী বিক্রয় দলিল হতে সৃষ্ট নহে৷২২
(১৩) বিক্রয়কারীর মৃত্যু:
যেক্ষেত্রে বিক্রয়কারী বৈধ বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে সেক্ষেত্রে তার উত্তরাধিকারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের ডিক্রি দেওয়া যায়৷২৩
যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ হবার পরে মৃত্যুবরণ করলেন এবং তার মৃত্যুর পরে তার বিধবা স্ত্রী চুক্তিটি সম্পন্ন করলে উহা সিদ্ধান্ত হয় যে, উক্ত ব্যক্তির পুত্রদের উপরে চুক্তিটি বাধ্যকর৷২৪
অনুচ্ছেদ-(গ): প্রত্যেক ব্যক্তিকে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনে বাধ্য করা যায়, সম্পত্তি বিক্রি চুক্তিতে নির্বাচনে যার পরাজিত হয়েছে৷ কোন সুনির্দিষ্ট চুক্তির কার্য সম্পাদন মামলায়, বিবাদীর সম্মতিক্রমে সম্পত্তিতে প্রত্যেক দখলভূক্ত প্রজার বিরুদ্ধে, তাত্ ক্ষনিক দখল দাবী করা যায়৷১
অনুচ্ছেদ-(ঘ):
(ঘ) দফা এবং (ঙ) দফা প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হয়ে পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়৷ কোন পাবলিক কোম্পানির চুক্তি করার পরে অপর কোন পাবলিক কোম্পানির সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে গেলে উক্ত মিশ্রিত কোম্পানি ২৩ (ছ) এবং ২৭ (ঘ) ধারা অনুসারে উক্ত চুক্তি প্রয়োগ করার অধিকারী৷ চুক্তির কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে, হস্তান্তরকারী কোম্পানি কর্তৃক আবদ্ধকৃত চুক্তি, মিশ্রিত কোম্পানি প্রয়োগ করার অধিকার রাখে৷২
কোম্পানির উদ্যোক্তা কর্তৃক কোন চুক্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে উক্ত কোম্পানির অস্তিত্ব লাভ করে চুক্তির উপর বিশ্বাস রেখে চুক্তিবদ্ধ সম্পত্তির দখল গ্রহণ করলে উক্ত কোম্পানির উপর বাধ্যকর৷৩
২২.
এ আই
আর
১৯৫১
এলা ৫৬৩৷
২৩.
এ
আই আর
১৯৪৬
নাগ ১৩৯৷
২৪.
এ
আই আর
১৯২৮
নাগ ২১১৷
১.
১২২
আই সি
২৫৭ (ডিবি)
মাদ৷
২.
এ
আই আর
১৯৫৯
ক্যাল
৩৫২ (ডিবি)৷
৩.
এ
আই আর
১৯৫১
পাট ২৯৯৷
৪৷ নোটিশ সংক্রান্ত:
অত্র ধারার খ দফাতে নোটিশের প্রসঙ্গ সম্পৃত্ত৷ তাই অত্র ধারার নোটিশের গুরুত্ব প্রভূত৷ নোটিশ দু'প্রকার- প্রকৃত ও পরোক্ষ নোটিশ৷ এখানে ডাকযোগে নোটিশ ও পত্রিকার মাধ্যমে নোটিশ প্রদানের বিধান স্বীকৃত৷
৪.১৷ বিক্রয়ের পরে নোটিশ: কোন ক্রয়কারী পূর্ববর্তী বিক্রয় চুক্তির নোটিশ ব্যতিরেকে সরল বিশ্বাসে বিক্রয়কারীকে সমস্ত বিক্রয়মূল্য পরিশোধ করবে এবং উক্ত দলিলটি রেজিস্ট্রি না করা হলেও তা ২৭ (খ) ধারার ব্যতিক্রমের আওতায় আসবে৷ কিন্তু যেক্ষেত্রে তিনি শুধুমাত্র পণ্য মূল্যের একটি সামান্য অংশ পরিশোধ করেন এবং নোটিশ পাবার পরে উহার বৃহত্ অংশ পরিশোধ করেন সেক্ষেত্রে তিনি সরল বিশ্বাসে কাজ করেছেন বলে গণ্য হবেন না৷৪
৪.২৷ মুল্যের বিনিময় হস্তান্তরগ্রহীতার নোটিশ না থাকলে:
কোন চুক্তি শুধুমাত্র উহার পক্ষদের বিরুদ্ধেই প্রয়োগযোগ্য নহে বরং পরবর্তী চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট স্বত্বাধিকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধেও উহা ব্যবহার করা যায়৷ তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথ মূল্যের মাধ্যমে পূর্ববর্তী বিক্রয় চুক্তি সম্পর্কে অবহিত না হয়ে হস্তান্তর গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে উহা প্রয়োগ করা যায় না৷৫
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭ ধারার (গ) দফার আওতায় আসতে হলে পরবর্তী ক্রয়কারী ব্যক্তিকে যে জিনিসগুলি দেখাতে হবে তা হল (ক) সরল বিশ্বাসে (খ) মুল্যের বিনিময় এবং (গ) পূর্ববর্তী চুক্তি সম্পর্কে নোটিশ ব্যতীত পরবর্তী চুক্তি করা হয়েছে৷৬
৪.৩৷ নোটিশ সহ হস্তান্তর গ্রহীতা: নোটিশসহ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার অবস্থা বিক্রয়কারীর সমতূল্য৷ বিক্রয়কারী ব্যক্তির পরিবর্তে নোটিশসহ পরবর্তী হস্তান্তরগ্রহীতার দখলে সম্প্রতি থাকলেও তা সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলার প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটায় না৷৭
নোটিশসহ ক্রয়কারী ততক্ষণ সম্পত্তির দখলে থাকতে পারেন যতক্ষণ না সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের জন্য চুক্তিটি প্রয়োগ করা হয়৷ পরবর্তী ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চুক্তি পালনের মামলা করার কারণ হল যে, তিনি বিক্রয়কারীর পরিবর্তে সম্পত্তির দখলে আছেন৷ ২৭(খ) ধারার অধীনে মামলার ক্ষেত্রে তিনি আবশ্যকীয় পক্ষ কারণ তার অনুপস্থিতিতে চুক্তিটি সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিপালনযোগ্য নহে৷৮
৪.
এ আই
আর
১৯৩৪
এলা ১০৪৫ (ডি
বি)৷
৫.
পি
এল ডি
১৯৭২
লাহোর
২৫৷
৬.
পি
এল ডি
১৯৬৯
লাহোর
৭৬২ (ডি
বি)৷
৭.
পি
এল ডি
১৯৭৩
নোট ১১৯৷
৮.
পি
এল ডি
১৯৭৭
লাহোর
১২২৯৷
৪.৪৷ নোটিশ এবং প্রমাণের দায়: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭ ধারার যে নোটিশের উল্লেখ করা হয়েছে তা অবশ্যই এমন হতে হবে যে, যা পরবর্তী ক্রয়কারীর সরল এবং সযত্ন অনুসন্ধানের মাধ্যমে অথবা পারিপার্শ্বিক অবস্থা হতে আবিস্কৃত হয়৷৯
যেক্ষেত্র কোন ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে হয় যে, কোন ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে বিতর্কিত লেনদেনটি কিছু সংখ্যক ব্যক্তির জানা আছে মর্মে কোন ঘটনা উহা প্রমাণের তুল্য হবে না৷১০
৪.৫৷ প্রতিষ্ঠানের নিকট নোটিশ: প্রতিষ্ঠানের যে কোন ব্যক্তির উপর নোটিস জারী করলে তা (খ) দফার নোটিসের অন্তর্ভূক্ত৷১১
৪.৬৷ নাবালকের অভিভাবকের নিকট নোটিশ:
নাবালকের সম্পত্তি সম্পর্কে কোন নোটিস জারী করার প্রয়োজন হলে তা নাবালকের প্রতিনিধিত্বকারী অভিভাবকের নিকট জারী করতে হবে৷ যেক্ষেত্রে পিতা এবং নাবালককে নিয়ে যৌথ পরিবার গঠিত হয় পিতা নাবালক পুত্রের জন্য নির্দিষ্ট জমি ক্রয় করার ক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে কাজ করেন সেক্ষেত্রেও উপরোক্ত নিয়মটি প্রযোজ্য হয়৷ এক্ষেত্রে সম্পত্তি ক্রয়ের টাকা নাবালকের পিতামহ সরবরাহ করেছেন মর্মে কোন ঘটনা কোন পার্থক্য সৃষ্টি করবে না৷ পূর্ববর্তী চুক্তি সম্পর্কে অভিভাবক অবগত থাকলে (খ) দফার অধীনে নাবালক কোন সুবিধা দাবি করতে পারে না৷১২
কোন ব্যক্তির স্বত্ত্ব পরবর্তী ক্রয় চুক্তি হতে সৃষ্ট হলে এবং তিনি ২৭ ধারার আওতায় আসতে চাইলে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি পূর্ববর্তী চুক্তি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না এবং তিনি সরল বিশ্বাসে মুল্যের বিনিময়ে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন৷১৩
৪.৭৷ নোটিসের প্রমাণ:
হস্তান্তরগ্রহীতার পূর্ববর্তী বিক্রয় চুক্তি সম্পর্কে নোটিস ছিল মর্মে ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ কদাচিত্ পাওয়া যায় এবং সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলায় বিবাদী নোটিস ব্যতীত সরল বিশ্বাসে ক্রয়কারী হিসেবে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে আদালতকে আবশ্যিকভাবে পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করতে হয়৷১৪
৯.
আই এল
আর
১৯৪৯
১ কলি ৫৩৪ (ডিবি)
১০.
এ
আই আর
১৯২৮
অর ৩০৭ (ডিবি)৷
১১.
এ
আই আর
১৯৩১
লাহোর
২২৭৷
১২.
এ
আই আর
১৯৫৩
নাগ ২১৬৷
১৩.
পি
এল ডি
১৯৭২
এস সি
২৫৷
১৪.
এ
আই আর
১৯৬০
ক্যাল
৩৬১ ডিবি৷
হস্তান্তর গ্রহীতার পূর্ববর্তী বিক্রয় চুক্তি সম্পর্কে কোন নোটিস ছিল না তা সম্পর্কে শুধুমাত্র অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে তা ২৭ ধারা অনুসারে প্রমাণের দায় সম্পন্ন করা হয়েছে বলে গণ্য হবে না৷১৫
৪.৮৷ ক্রয়কারী ব্যক্তির যে কোন একজনের নিকট নোটিশ: সহক্রয়কারীর যে কোন একজন পূর্ববর্তী বিক্রয় চুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকলে এবং তিনি অন্যান্য ক্রয়কারী যে স্থানে বাস করে সে স্থানে বাস করলে অথবা অন্যান্য ক্রয়কারীর জায়গার পার্শ্বে তার জায়গা থাকলে তার নিকট যে নোটিস দেয়া হয় অথবা থাকে তা সকল ক্রয়কারীর আছে বলে গন্য হবে৷ এক্ষেত্রে অন্যান্য ক্রয়কারীকে নোটিস দেয়া আবশ্যক নহে৷১৬
৪.৯৷ স্বামীর প্রতি নোটিশ: পর্দানশীল ভদ্র মহিলার স্বামীর নিকট প্রেরিত নোটিস তার নিকট প্রেরিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে না৷১৭
৫৷ শর্তযুক্ত অথবা অসম্পূর্ণ চুক্তি:
(১) যে সকল অঙ্গীকার পরিপূর্ণ চুক্তি হবার জন্য তৃতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করে সে সকল চুক্তিকে সাধারণত অসম্পূর্ণ চুক্তি হিসেবে গণ্য হয়৷ কাজেই যেসকল ক্ষেত্রে কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষে কোন বিক্রয় চুক্তি করা হয় এবং উক্ত অনুমোদন সংগ্রহ করা যায় না এবং উহা সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োগ করা যায় না৷১৮
(২) পরিত্যক্ত চুক্তি: সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের প্রতিকার বিবেচনামূলক প্রতিকার৷ যখন কোন চুক্তি পরিত্যক্ত করা হয় তখন উহা বাদীর উদাহরণে প্রয়োগ করা যায় না৷১৯
১৫.
পি এল
ডি
১৯৭৪
বিজে
২৫৷
১৬.
পি
এল ডি
১৯৭৩
নোট, ৯২
পৃষ্ঠা
১৩৮৷
১৭.
এ
আই আর
১৯২৫
অয্যে
৬১৩৷
১৮.
পি
এল ডি
১৯৭৩
নোট ১১৯ পি
১৮৪৷
১৯.
পি
এল ডি
১৯৭৩
নোট ১১৯ পি
১৮৪৷
৬৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা কর্তৃক অনুসন্ধান: কোন ব্যক্তি সম্পত্তি ক্রয় করার ক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি পূর্বে বিক্রয়ের জন্য চুক্তি করা হয়েছে কিনা তার অনুসন্ধান করেছেন এবং উক্ত মর্মে কোন তথ্য পান নাই বলে প্রমাণ করতে চাইলে তাকে দেখাতে হবে যে, (ক) তার সরল বিশ্বাসে কাজ করেছেন, (খ) মূল চুক্তি সম্পর্কে তারা অবগত ছিলেন না; এবং (গ) উপরোক্ত দুটি বিষয় তারা যুক্তিসঙ্গত যত্ন গ্রহণ করেছেন৷ এক্ষেত্রে পরবর্তী ক্রয়কারী ব্যক্তি কর্তৃক শুধুমাত্র অস্বীকৃত দায়িত্ব পালন যথেষ্ট বলে গণ্য হবে না৷ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যথার্থ ঘটনার দ্বারা প্রমাণ করতে হবে৷২০
৭৷ প্রমাণের দায়: ২৭ ধারার (খ) দফার আওতায় আসতে হলে পরবর্তী ক্রয়কারীকে দেখাতে হবে যে, সে (ক) সরল বিশ্বাসে; (খ) মুল্যের বিনিময়ে; এবং (গ) পূর্ববর্তী চুক্তি সম্পর্কে নোটিস ব্যতীত ক্রয় করেছেন৷২১
৮৷ তৃতীয় ব্যক্তির দখলে থাকলে: কোন পক্ষের দখলে সম্পত্তি থাকলে তা তার স্বত্বের নোটিস হিসেবে গণ্য হয়৷ স্বত্বের অধীনে কোন ব্যক্তি দখল লাভ করতে পারে এবং একই সময় এমন সকল দলিলের মালিক হতে পারেন যা তাকে হস্তান্তরিত স্বত্বের অধিকারী করে তুলে৷ যে ব্যক্তি সম্পত্তিটি ক্রয় করে তিনি তার সমস্ত অধিকার সম্পর্কে অবহিত আছেন বলে মনে করা হয়৷২২
৯৷ মামলার পক্ষ:
বিক্রয়কারীর স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি সম্পত্তি দাবি করলে এবং যে ব্যক্তি সম্পত্তি ক্রোক করেছেন বলে দাবি তুলেন তা সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলার আবশ্যকীয় পক্ষ হিসেবে গণ্য হন৷২৩
কাজেই সুনির্দিষ্ট চুক্তির প্রতিপালনের মামলার দখলে থাকা ব্যক্তি কোন পূর্ববর্তী চুক্তির অধীনে দাবি করলে তিনি মামলার আবশ্যকীয় পক্ষ হিসেবে গণ্য হন এবং তার বিরুদ্ধে ডিক্রির নির্দেশ দেয়া যায়৷২৪
১০৷ চুক্তির ক্ষেত্রে তৃতীয়
পক্ষ: চুক্তির ক্ষেত্রে কোন তৃতীয় পক্ষ স্বাধীন স্বত্বের উপস্থাপন করলেও তাকে মামলার বিবাদী করা হলে আদালত সেক্ষেত্রে তাকে যথাযথ আদেশের মাধ্যমে মামলা হতে অব্যাহতি দিতে পারে এবং উক্ত অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিবাদী স্বত্বের বলে দখল পাবার অধিকারী হলে বাদী সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলার ডিক্রি পাবার পরে তার বিরুদ্ধে নুতনভাবে মামলা করতে পারেন৷ উক্ত বিবাদী যে স্বত্বের উপস্থাপন করেছেন তা সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলার অনুসন্ধান করে দেখার আবশ্যক নেই৷ এ ধরনের মামলার কারণ সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলায় যুক্ত করা যায় না৷২৫
১১৷ দেউলিয়া কর্তৃক চুক্তি: দেউলিয়া হবার তারিখে কোন দেউলিয়ার বিরুদ্ধে যে সকল চুক্তি প্রয়োগযোগ্য তা সরকারী রিসিভারের বিরুদ্ধেও প্রয়োগযোগ্য৷২৬
২০.
পি এল
ডি
১৯৭৪
বিজে
২৫৷
২১.
পি
পেল ডি
১৯৬৯
লাহোর
৯৬২ (ডিবি)৷
২২.
পি
এল ডি
১৯৫৩
লাহোর
৮৭৷
২৩.
এ
আই আর
১৯৪৩
ভিন ২৭৷
২৪.
এ
আই আর
১৯১৯
কলি ৪৭৭ ডিবি৷
২৫.
এ
আই আর
১৯৪৮
নাগ ১৮১৷
২৬.
এ
আই আর
১৯২৮
মাদ ৮৬০ ডিবি৷
১২৷ ভাড়াটিয়ার দখলকৃত সম্পত্তি: ১৭(খ) ধারায় যে নোটিসের উল্লেখ করা হয়েছে তা শুধুমাত্র প্রকৃত নোটিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নহে বরং তা পরোক্ষ নোটিসকেও অন্তর্ভূক্ত করে৷ কাজেই কোন পরবর্তী ক্রয়কারী সম্পত্তিতে দখলকার ব্যক্তিকে ভাড়াটিয়া হিসেবে জেনে থাকলে সেক্ষেত্রে তাকে নোটিস ব্যতিত ক্রয়কারী হিসেবে গণ্য করা যায়৷২৭
কাজেই তিনি সম্পত্তির দখলে থাকা ব্যক্তির কোন কোন শর্তের উপরে দখল রয়েছে তার অনুসন্ধান না করে সম্পত্তিটি ক্রয় করলে এবং তা তিনি মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করলেও ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন না৷২৮
১৩৷ ডিক্রির ধরণ: কেবল মুল চুক্তিবদ্ধ পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রি প্রাপ্তি পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার স্বার্থকে প্রভাবিত করতে পারে না৷ কেননা, পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট হস্তান্তর বাতিল ছিল না৷ ইহা কেবল মুল প্রতিজ্ঞাকারীর মনোনয়নের উপর বাতিলযোগ্য ছিল৷২৯
যেক্ষত্রে বিক্রতা এবং পরবর্তী ক্রেতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলায় ডিক্রি হয় সেক্ষেত্রে উভয়কে দলিল সম্পাদনের নির্দেশ দেয়াই উপযুক্ত কার্যধারা৷৩০
১৪৷ রিভিশন: হাইকোর্ট ডিভিশন এ ধারাতে রিভিশন এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে৷৩১
১৫৷ এ ধারার অধীনে ডিক্রি: পূর্ববর্তী চুক্তি সম্পর্কে নোটিস আছে এমন পরবর্তী ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হলে উক্ত মামলায় যে ডিক্রি দেয় তা বিক্রয়কারী এবং পরবর্তী ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে দেয়া হয় এবং মুল বিক্রয়কারী এবং পরবর্তী ক্রয়কারী ডিক্রির মালিকের অনুকূলে বিক্রয় দলিল সম্পাদন করে দিতে বাধ্য৷৩২
১৬৷ নিষেধাজ্ঞা: কোন ব্যক্তি কোন সম্পত্তি ক্রয় করার জন্য পূর্বে চুক্তি করে থাকলে অপর ব্যক্তির নিকট উক্ত সম্পত্তি পুনরায় বিক্রয় করা হলে তার বিরুদ্ধে পূর্বোক্ত ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন৷৩৩
২৭.
পি
এল ডি
১৯৭৬
করাচী
৬৪০৷
২৮.
পি
এল ডি
১৯৭৬
করাচী
৬৪০৷
২৯.
২৬
ডি এল
আর
২৪৮৷
৩০.
৩৪
সি ডব্লু এন
৬৯১৷
৩১.
এন
এল আর
সি
আই ভি
৩১৫৷
৩২.
পি
এল ডি
১৯৭৭
লাহোর
১২২৯৷
৩৩.
পি
এল ডি
১৯৭৬
করাচী
৭৩৪৷
১৭.১৷ বিক্রয় দলিলের রেজিস্ট্রেশন: সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭(ক) ধারা এবং রেজিস্ট্রেশন আইনের ৪৮ ধারার মধ্যে কোন দন্ধ নেই৷ যে সকল বিষয় সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭(খ) ধারার আওতায় আসে তা রেজিস্ট্রেশন আইনের ৪৮ ধারা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না৷ ৪৮ ধারার নীতি অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মৌখিক দলিলের উপর প্রাধান্য পায়৷ উভয় ধারা খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে একত্রে পড়লে দেখা যায় যে, সকল বিষয় ২৭(খ) ধারার আওতায় পড়ে তা ৪৮ ধারার আওতায় আসে না৷৩৪
১৭.২৷ সুনির্দিষ্ট কর্ম প্রতিপালনের জন্য পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রিকৃত দলিল বাতিল করতে হবে: রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে কোন জমি বিক্রয় করা হল৷ উক্ত জমি বিক্রয়ের জন্য পূর্বে চুক্তি করা হয়েছে তার ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালন এবং নিষেধাজ্ঞার মামলা করা হলে তা আমলে আসেব না যদি না পূর্ববর্তী দলিল বাতিল করা হয়৷৩৫
১৭.৩৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতা কর্তৃক বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি করা হলে: সম্পত্তির দখলে থাকা ব্যক্তির স্বত্বের বিরুদ্ধে কোন ক্রয়কারী তার দলিল রেজিস্ট্রি করে প্রাধান্য পেতে পারেন না৷ উক্ত ক্রয়কারী সম্পত্তির দখলে থাকা ব্যক্তির স্বত্ব অবহেলা করলে এবং উহার প্রকৃতি সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হলে তিনি ন্যায়পরায়ণতার সকল নিয়ম অনুসারে বিতর্কিত সম্পত্তির দখলে থাকা ব্যক্তির স্বত্ব রেজিস্ট্রি করা না হলেও উক্ত অরেজিস্ট্রিকৃত দলিল তার রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের উপর প্রাধান্য পাবে৷৩৬
১৮৷ পরবর্তী ক্রেতা ডিক্রি দ্বারা বাধ্য কিনা: পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার উপর স্বত্ব না বর্তালে তার বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের ডিক্রি বলবত করা হবে না৷৩৭
ধারা-২৭ক৷ ইজারা সংক্রান্ত চুক্তির আংশিক সম্পাদনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন:
এ অধ্যায়ের বিধান সমূহ অনুসারে, যেখানে স্থাবর সম্পত্তির ইজারা প্রদানের লিখিত চুক্তির পক্ষসমূহ কর্তৃক অথবা তাদের পক্ষে স্বাক্ষরিত হয, সেখানে চুক্তির যে কোন পক্ষ চুক্তি রেজিস্ট্রিকৃত না হওয়া সত্বেও যদি তা রেজিষ্ট্রিকৃত হওয়া আবশ্যক অপর পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য মামলা দায়ের করতে পারবে, যদি-
৩৪.
এ আই
আর
১৯৫৪
অন্ধ্র
২০৷
৩৫.
পি
এল ডি
১৯৭৫
করাচী
৯৩০ (ডিবি)৷
৩৬.
এ
আই আর
১৯২৩
বোম্বে
১৩ (ডিবি)৷
৩৭.
৪৭
ডি এল
আর
৫৭০৷
(ক) যেখানে ইজারাদাতা কর্তৃক সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন দাবি করা হচ্ছে এবং সে চুক্তির আংশিক কার্য সম্পাদন হিসেবে সম্পত্তির দখল গ্রহণ করেছে অথবা ইতিমধ্যেই দখলরত থাকায় চুক্তির আংশিক কার্যসম্পাদন হিসেবে দখল অব্যাহত রেখেছে এবং চুক্তির বাস্তবায়ন করে কিছু কাজ করেছে ঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এ ধারায় কোন কিছুই প্রতিদান স্বরূপ হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকারকে প্রভাবিত করবে না, যে চুক্তি সম্পর্কে অথবা তার আংশিক কার্য সম্পাদন সম্পর্কে অবহিত নয়৷
১৯৩০ সালের ১লা এপ্রিলের পর সম্পাদিত ইজারা চুক্তি সমূহের উপরই এ ধারা প্রযোজ্য৷
বিশ্লেষণ
১৷ প্রতিপাদ্য বিষয় ও উপাদান;
২৷ উদ্দেশ্য;
৩৷ সম্পত্তি হস্তান্তর সাধনের ধারা ৫৩-ক;
৪৷ লিখিত এবং স্বাক্ষরিত দলিল;
৫৷ ইজারার টাকা;
৬৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার দখল৷
১৷ প্রতিপাদ্য বিষয় ও উপাদান: ধারা ২৭ক ১৯২৯ সালের ২১ নং আইনের ধারা-৩ দ্বারা সংযোজিত হয়েছে৷ ধারাটি ইজারা চুক্তি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত৷ তাই রেজিস্ট্রেশন আইনের ধারা ১৭ ও ৪৯ এর সাথে ধারাটি মিলিয়ে পড়তে হবে৷
উপাদান:
(ক) চুক্তিটি লিখিত ও উভয় পক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে৷
(খ) ইজারাদাতা ইজারা চুক্তিটির যদি সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদন দাবি করে তাহলে তাকে অবশ্যই ইজারা গ্রহীতার বরাবরে চুক্তির আংশিক কার্য সম্পাদন হিসেবে দখল অর্পণ করতে হবে৷ এখানে চুক্তিটি এক্সিকিউটরী, এক্সিকিউটেও নয়৷১
২৷ উদ্দেশ্য:
স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেবার চুক্তি লিখিত ভাবে করা হলে এবং তাতে পক্ষগণ স্বাক্ষর করলে উহা রেজিস্ট্রি করা প্রয়োজন হওয়া সত্বেও রেজিস্ট্রি করা না হলে এ ধারার অধীন চুক্তিটি সুনির্দিষ্ট প্রতিপালনের জন্য মামলা করা যায়৷২
১. (১৯৫৫)
ডি এল
আর
২৬৩, ২৬৫৷
২.
পি
এল ডি
১৯৭৮
লাহোর
১১১৬৷
৩৷ সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ধারা ৫৩-ক:
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনে ধারা ৫৩-ক এবং অত্র আইনের ধারা ২৭-ক সাদৃশ্যপূর্ণ৷ ধারা ২৭-ক কেবল ইজারাকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু ধারা ৫৩-ক স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷ ফলে ইজারাকৃত সম্পত্তিও ধারা ৫৩-ক পরিধিভূক্ত বলে গণ্য৷৩
রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামুলক হওয়া স্বত্বেও তা রেজিস্ট্রিকৃত না হলে তদবিষয়ে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন মামলা দায়ের করা হলে তাতে ডিক্রি দেয়া যেতে পারে৷৪
৪৷ লিখিত এবং স্বাক্ষরিত দলিল: কোন ইজারা দলিল লিখিত হয়েছে কিন্তু তাতে পক্ষগণ স্বাক্ষর করেনি৷ এ ধারার অধীন তা অকার্যকর৷ এমনকি তা মৌখিক চুক্তি হিসেবে গ্রাহ্য হতে পারে না৷৫
উভয় পক্ষকে ফর্দে স্বাক্ষর করতে হবে এমন নয়৷ তবে যে ক্ষেত্রে ইজারা চুক্তিতে হস্তান্তরকারী স্বাক্ষর দেন এবং এর প্রতিলিপিতেও সহি দেন৷ দুটি অংশ একই চুক্তির অধীন হয়, সেক্ষেত্রে অত্র ধারার ১ম শর্তটি পূরণ হয়৷৬
৫৷ ইজারার টাকা:
ইজারা দাতা যে ক্ষেত্রে চুক্তির আংশিক কার্য সম্পাদনের জন্য ইজারা গ্রহীতাকে দখল অর্পণ করে, সেক্ষত্রে তিনি ইজারার সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে ইজারা অধীন চুক্তিবদ্ধ টাকা ডিক্রি পাবার অধিকারী৷৭
৬৷ পরবর্তী হস্তান্তর গ্রহীতার দখল: দ্বিতীয় হস্তান্তর গ্রহীতা যদি দখলে থাকে এবং যে চুক্তির উপর ভিত্তি করে মামলা করা হয়েছে ঐ চুক্তি সম্পর্কে জ্ঞাত থাকেন৷ তবে তার বিরুদ্ধে মামলা এবং দখলের ডিক্রি মঞ্জুর করা যাবে৷৮
৩.
এ আই
আর
১৯৪০
পাট ৩৮৫ (এফ
বি)৷
৪.
৬
ডি এল
আর
৩৮৩৷
৫.
এ
আই আর
১৯৫৫
নাগ ১৭০ ডিবি৷
৬.
এ
আই আর
১৯৫২
নাগ ১১৫৷
৭.
এ
আই আর
১৯৫২
উড়িষ্যা
১১৬৷
৮.
২২
ডি এল
আর
৪১৯ (এসসি)৷
জ. যাদের বিরুদ্ধে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায়না৷
ধারা ২৮৷ সে পক্ষগণকে কার্যসম্পাদনে বাধ্য করা যাবে
না: নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনে চুক্তিবদ্ধ পক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকরী করা যাবে না:
(ক) যদি চুক্তির তারিখে বিরাজমান বিষয়বস্তুর অবস্থার তুলনায় তত্ কর্তৃক গৃহীতব্য প্রতিদান এতই অপর্যাপ্ত হয় যে, তা নিজেই কিংবা অত্র ধারায় পরিস্থিতির সহযোগে প্রতারণা অথবা বাদী কর্তৃক অন্যায় সুবিধা গ্রহণের সাক্ষ্য হেয় দাঁড়ায়৷
(খ) যদি চুক্তির অধীন যে পক্ষ কর্তৃক কার্য সম্পাদন করা কর্তব্য হয় সে পক্ষের সম্মতি ভুল বিবরণ (ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত) গোপন চক্রান্ত বা অসদাচরণের মাধ্যমে অর্জন করা হয়ে থাকে অথবা তেমন পক্ষের এমন কোন আশ্বাস প্রদানের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিপূর্ণ করা হয়নি;
(গ) যদি ভুল তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অথবা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অথবা অপ্রত্যাশিতভাবে তার সম্পত্তি প্রদান করা হয়ে থাকেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, চুক্তিতে ভুলের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিধান থাকে তখন তেমন বিধানের আওতার মধ্যে বুলের জন্য ক্ষতিপূরণ করা যেতে পারে এবং যদি তেমন কার্যকরীকরণ যথাযথ হয়; তবে অন্যান্য বিষয়ে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যেতে পারে৷
উদাহরণ
অনুচ্ছেদ (গ) তে
দুইজন কার্যনির্বাহীর একজন ক-সহ কার্যনির্বাহীর প্রাধিকারও তার রয়েছে এই ভুল বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে উইলপূর্বক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি খ-র নিকট বিক্রয় করার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়৷ খ বিক্রয় সম্পূর্ণ করার জন্য পীড়াপীড়ি করতে পারবে না৷
ক একজন নিলামকারীকে নির্দিষ্ট জমি বিক্রয় করার নির্দেশ প্রদান করে৷ ক পরবর্তী সময়ে এই জমির ২০ বিঘার ব্যাপারে নিলামকারীর প্রাধিকার বাতিল করে, কিন্তু নিলামকারী অসাবধানতাবশত সমগ্র জমিটাই খ-এর নিকট বিক্রয় করে, যে বাতিলের ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত ছিল না৷ খ চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন কার্যকরী করতে পারবে না৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়৷
২৷ উদ্দেশ্য;
৩৷ আপীলের পর্যায়ে অপর্যাপ্ত মুল্যের আপত্তি তোলা;
৪৷ দফা-ক-এর নজীর৷
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়: এস, আর
এ্যাক্টের ধারা ২৮টি ধারা ২৭ এর বিপরীতে৷ ধারা ২৯ এ কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে করা যায় কিন্তু ধারা ২৮-এ কতিপয় লোকের বিরুদ্ধে একটি চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী করা যায় না৷
উক্ত ধারার উপ-ধারা (ক) অনুযায়ী চুক্তির প্রতিদান মূল্য খুবই অপর্যাপ্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুক্তিটি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না৷
একই ধারার (খ) উপ-ধারা মতে যেক্ষেত্রে চুক্তির একপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে বা সত্য গোপন করে বা অন্যায় পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক তার সম্মতি নিয়ে করা হয় সেক্ষত্রে উহা কার্যকরী করা যাবে না৷
উপধারা (গ) অনুযায়ী বিবাদী যদি অন্যের ভুল তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে কিংবা অপ্রত্যাশিতভাবে কোন চুক্তিতে সম্মতি দেয় তবে সেক্ষেত্রে চুক্তিটি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর যাবে না৷
তবে ভুলের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিধান থাকলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে এবং যথা বিবেচ্য ক্ষেত্রে চুক্তির অন্যান্য বিষয়ও সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যাবে৷
২৷ উদ্দেশ্য: যেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্তানুযায়ী কার্য সম্পাদন সম্ভব নয় তা সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করা৷
৩৷ আপীলের পর্যায়ে অপর্যাপ্ত মূল্যের আপত্তি তোলা:
আপীলের পর্যায়ে অপর্যাপ্ত মূল্যের আপত্তি তোলা যায় না৷ সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন মামলায় আপীলের ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত পণ্যমূল্যের কিংবা পর্দানশীল মহিলা বিক্রয়কারী, অজ্ঞতার বিষয় কোন আপত্তি তোলা যায় না৷১
৪৷ দফা-ক এর নজীর:
মূল্য অপর্যাপ্ত হবার কারণে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন অস্বীকার করা যায় না৷২
(ঝ) সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলা খারিজ করার ফলাফল৷
ধারা ২৯৷ খারিজের পর চুক্তিভঙ্গের মামলা দায়েরে প্রতিবন্ধকতা:
একটি চুক্তির অথবা তার অংশের সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলা খারিজ হয়ে গেলে তা তেমন চুক্তি অথবা তার অংশবিশেষ ভঙ্গ করার দায়ে ক্ষতিপূরণের জন্য বাদী কর্তৃক মামলা দায়ের করার অধিকারের প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করবে৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়৷
২৷ ধারাটির উদ্দেশ্য
৩৷ আংশিক মুল্য পরিশোধের মামলা৷
১৷ ধারাটির আলোচ্য বিষয়: ধারা ২৯-এর আলোচ্য বিষয় হলো সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের দাবিতে মামলা করে সে মামলায় ঠকে গেলে বাদী ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারে না৷
যেক্ষেত্রে কোন চুক্তি সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের ডিক্রী প্রদান করা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে আদালত ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন৷
১.
এ, আই,
আর
১৯১৬
পি, সি
২৪৫৷
২.
এ,
আই, আর,
১৯৬০
মধ্যপ্রদেশ
২৩৫৷
বাদী যদি চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলায় ধারা ১৯ অনুযায়ী অন্য প্রতিকার প্রার্থনা না করে থাকে তবে পরবর্তী পর্যায়ে নতুন মামলায় সে আর কোন ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকারী হবে না৷ ইহা এ ধারার প্রকৃত কথা৷ এ কারণে বাদী তার স্বার্থ রক্ষার জন্য কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলায় বিকল্প প্রতিকার হিসেবে ক্ষতিপূরণ দাবি করা উচিত৷ কিন্তু বাদীর দায়েরকৃত চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের মামলা খারিজ হলে সে উহার মূল্য বা উহার অংশবিশেষ ফেরত্ পাবার জন্য মামলা দায়েরে ধারা-২৯ অন্তরায় সৃষ্টি করে না৷ এ ধরনের মামলা ধারা ১৯-এর বহির্ভূত৷১
১৷ উদ্দেশ্য:
একই চুক্তির ক্ষেত্রে বাদী সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন ও ক্ষতিপূরণের মামলা করা নিবৃত্তই হলো এ ধারার উদ্দেশ্য৷ এ কারণে সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন মামলায় ক্ষতিপূরণও দাবি করতে হবে৷ প্রয়োজনে মামলা চলাকালে আরজী সংশোধনান্তে উহা দাবি করা যায়৷২
৩৷ আংশিক মূল্য পরিশোধ মামলা: চুক্তিভঙ্গের দরুন কেবলমাত্র ক্ষতিপূরণের মামলা অত্র ধারাতে রহিত করা হয়েছে৷ এ কারণে বাদী পরিশোধিত টাকা আংশিক পুনঃপরিশোধের জন্য মামলা করলে তা সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলা খারিজ হবার ঘটনা দ্বারা বারিত হবে না৷৩
এ কারণে পারস্পরিকতার নীতির অভাবে নাবালক কর্তৃক দাখিলকৃত সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রতিপালনের মামলা খারিজ হয়ে গেলেও বাদী তার কর্তৃক পরিশোধিত বায়নার টাকা ফেরত চেয়ে মামলা করতে পারে৷৪
৪৷ তামাদি:
বায়নার টাকা ফেরত্ পাবার মামলায় চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলা খারিজ তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে দায়ের করতে হবে৷ এক্ষেত্রে তামাদি আইনের অনুচ্ছেদ ১৭টি প্রযোজ্য৷৫
(ঞ) বন্দোবস্ত সম্পাদন করার রায় ও নির্দেশাবলী
ধারা ৩০৷ পত্তনি সম্পাদন করার জন্য রায় ও উইল প্রদত্ত নির্দেশনাবলীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ধারাসমূহের প্রয়োগ:
চুক্তি সম্পর্কে এ অধ্যায়ের বিধানাবলী প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হলে রায়ের ব্যাপারে প্রযোজ্য এবং তা বিশেষ পত্তনি কার্যকরী করার জন্য উইলের বা উইলে পরিশিষ্টের নির্দেশনাবলীর ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবে৷
১.
২৯ বোম্বে
৮২৭ (এফ,
বি);
এ আই,
আর
১৯৪৫
নাগ ৬৭৷
২.
পি,
এল, ডি
১৯৭০
করাচী
৭৭০৷
৩.
এ,
আই, আর,
১৯৪৫
নাগ ৬৭৷
৪.
এ,
আই, আর,
১৯২৯
লাহোর
৩৩২৷
৫.
৩১
এলা ৬৮,
২৫
এলা ৬১৮৷
বিশ্লেষণ
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়;
২৷ এওয়ার্ড চুক্তি;
৩৷ রোয়েদাদ রেজিস্ট্রেশন৷
১৷ ধারাটির প্রতিপাদ্য বিষয়: এ ধারার বিধান অনুযায়ী আদালত যে মামলা আণয়ন করা হয় সে মামলার নিষ্পত্তির জন্য আদালত এ আইনের ধারা ২২ অনুযায়ী ইহার ইচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে৷
তামাদি আইনের অনুচ্ছেদ ১১৩ ও ১১৪ কর্তৃক এ মামলা নিয়ন্ত্রিত হবে৷
২৷ এওয়ার্ড:
এ ধারা রোয়েদাদকে চুক্তিতে পরিণত করে না৷ তাই রোয়েদাদের সুনির্দিষ্ট পালনের জন্য মামলা করা হলে তা সুনির্দিষ্টভাবে চুক্তি পালনের মামলা হিসেবে গণ্য হবে না৷১
৩৷ রোয়েদাদের রেজিস্ট্রেশন: অরেজিস্ট্রিকৃত রোয়েদাদ সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে৷২
১.
এ, আই,
আর
১৯১৯
ইউ পি,
পি,
বার্মা
রুই ২৫৷
২.
এ,
আই, আর,
১৯৩৭
সিন্ধু
৭ (ডি,
বি,)৷